দ্রব্য কি, অর্থনৈতিক দ্রব্য কাকে বলে, গিফেন দ্রব্য কি, নিকৃষ্ট দ্রব্য কি, ভেবলেন দ্রব্য কি

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

দ্রব্য কি, দ্রব্য কাকে বলে

অর্থনীতির ভাষায়, মানুষের অভাব পূরণ করে তথা প্রয়োজন মিটায় এমন সব সামগ্রীকে সাধারণভাবে দ্রব্য বলে । কাজেই যে সব দ্রব্য সামগ্রীর অভাব পূরণের ক্ষমতা বা উপযোগ রয়েছে তাদেরকে দ্রব্য বলে ।

বস্তুগত ও অবস্তুগত সকল সম্পদকে দ্রব্য বলে। যে সকল সম্পদের মানুষের তৃপ্তি পূরণের সামর্থ থাকে তাদেরকে দ্রব্য বলে।

যেমন : খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চেয়ার, টেবিল, ভূ-উপরিস্থ এসব কিছুই বস্তুগত দ্রব্য।

আবার, ব্যবসায়ের সুনাম, মানুষের মানবিক গুণাবলি, আলো, বাতাস এগুলো হলো অবস্তুগত দ্রব্য।

অর্থনৈতিক দ্রব্য কাকে বলে, অর্থনৈতিক দ্রব্য কি

যে দ্রব্যের সমস্ত উপযোগ রয়েছে, জোগান চাহিদার তুলনায় সীমাবদ্ধ যা হস্তান্তরযোগ্য এবং বাহ্যিক সত্তার অধিকারী তাকে অর্থনৈতিক দ্রব্য বলে।

যেসব দ্রব্য পাওয়ার জন্য মানুষকে আর্থিক মূল্য প্রদান করতে হয়, সেগুলোকে অর্থনৈতিক দ্রব্য বলা হয়। অর্থনৈতিক দ্রব্যের যোগান সীমাবদ্ধ। যেমন খাদ্য, বস্ত্র, বই, চেয়ার, গাড়ি ইত্যাদি।

গিফেন দ্রব্য কি

আপনি যদি আপনার আয়ের সিংহভাগ ((Lion’s share)কোনোএকটি দ্রব্য কেনার জন্য ব্যয় করেন, তাহলে মূল্য বেড়ে গেলে আপনি যদি দ্রব্যটি বেশি করে কিনেন, সে দ্রব্যকে আমরা গিফেন দ্রব্য বলতে পারি। আলফ্রেড মার্শাল (Alfred Marshall) তাঁর Principles of Economics বইতে জনৈক Sir Roger Giffen-এর নাম উলেখ করেছেন; যিনি আয়ারল্যান্ডে রুটির দাম বাড়লে নিম্ন আয়সম্পন্ন পরিবার বেশি রুটি ক্রয় করে বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনা চাহিদা বিধির ব্যতিক্রম। অনেক বইতে গিফেন দ্রব্য ইংরেজ পরিসংখ্যানবিদ Robert Giffen -এর নাম অনুসারে হয়েছে বলে উলেখ করা হয়।

স্টিগলার (G. J. Stigler) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন যে, Giffen উপরোক্ত ধরনের কোন বক্তব্য তার কোন লেখায় প্রকাশ করেননি (G. J. Stigler Notes on the Historyof the Giffen Paradox, in Essays in the History of Economics Chicago, 1965, Page374-384)।অতএব, গিফেন দ্রব্য একটি বিতর্কিত ব্যাপার এবং তাই পরবর্তিকালে উপরোক্ত বক্তব্যকে Giffen Paradox হিসাবে অনেকে অভিহিত করেছেন।

অর্থনীতির সব থেকে জরুরি তত্ত্ব হচ্ছে চাহিদা এবং যোগানের তত্ত্ব। এই তত্ত্ব থেকে আমরা জানতে পারি চাহিদা এবং যোগান যেখানে মিলে যায় সেই দামে ক্রেতা কিনতে রাজি এবং বিক্রেতা বেচতে রাজি।

যখন যোগান বেড়ে যায় দাম কমে যায় এবং যোগান কমে গেলে দাম বেড়ে যায়।

আবার চাহিদা বাড়লেও দাম বাড়ে এবং চাহিদা কমলে দাম কমে যায়।

অর্থাৎ দামের এবং যোগানের উল্টো সম্পর্ক এবং চাহিদা ও দামের সোজা সম্পর্ক।

কিন্তু অর্থনীতির এই নিয়ম সব সময় খাটে না। গিফিন দ্রব্য এমন একটা দ্রব্য যা এই নিয়ম মানে না। মানে দাম বাড়লে এগুলোর চাহিদা বাড়ে এবং দাম কমলে চাহিদা কমে। জানি অনেকর গ্রাফ বুঝতে অসুবিধা হতে পারে তাই এগুলো আর ব্যবহার করব না। যদিও একটা গ্রাফ একশো কথার সমান।

গিফিন দ্রব্যগুলোর ব্যাপারে প্রথম গবেষণা করেন স্কটিশ অর্থনীতিবিদ Robert Giffen। তিনি দেখলেন স্কটল্যান্ডের শ্রমিকরা আলুর দাম কমলে আলু কম খায় এবং আলুর দাম বাড়লে আলু বেশি খায়।

অর্থনীতিবিদরা এটা ওই সময় জানতেন যে বিলাসের দ্রব্যগুলোর দাম বাড়লে তার চাহিদা আরো বাড়ে, কারণ সেগুলো নিজের প্রতিপত্তি ও সম্পদ লোককে দেখানোর একটা পন্থা। তাই দাম বাড়লে ধনী ব্যক্তিরা সেই দ্রব্য বেশি করে কেনে। কিন্তু আলু তো অতি সাধারণ খাওয়ার বস্তু তাহলে এমন কেন হয়ে?

গিফিন দেখলেন যে শ্রমিকদের আয় যদি না বাড়ে কিন্তু আলুর দাম কমে যায় সেক্ষেত্রে তারা অল্প আলু কিনলে বাকি টাকা দিয়ে মাংস কিনতে পারে তাই তারা তখন আলু কম কিনে মাংস কেনে। তার মানে আলুর দাম কমলে তাদের পরোক্ষ ভাবে আয় বেড়ে যায়। তাই আলুর দাম কমলে তারা আলু কম কিনছে অন্য দ্রব্য কেনার জন্য। আবার যখন আলুর দাম বাড়ে তখন তাদের বাকি টাকা দিয়ে মাংস কেনা সম্ভব হচ্ছে না তাই তারা বেশি করে আলুই কিনছে। এই কারণে গিফিন দ্রব্য এক বিশেষ ধরনের Inferior good কারণ এখানে দ্রব্যের দামের সঙ্গে একজনের পরোক্ষ আয়ের যোগ রয়েছে। গিফিন দ্রব্যের দাম কমে গেলে আপনার ক্রয় ক্ষমতা বেড়ে যায় যেমনটা হয় আপনার আয় বেড়ে গেলে কিন্তু সত্যিকারের আয় আপনার বাড়ে না।

Inferior goods ( নিম্ন মানের দ্রব্য) এর ক্ষেত্রে একজনের আয় বাড়লে এই দ্রব্যগুলোর চাহিদা কমে যায়, দ্রব্যের দামে কোন তারতম্য নাও ঘটতে পারে। যেমন আপনি যখন ১২০০০ টাকা পেতেন তখন বাসে যাতায়াত করতেন কিন্তু তা বেড়ে যাওয়ায় আপনি ট্যাক্সি চাপতে শুরু করলেন। এখানে বাস তাহলে inferior good। কিন্তু গিফিন দ্রব্যের ক্ষেত্রে একজনের আয়ে একই থাকে খালি দ্রব্যের চাহিদা বাড়ে কমে দাম অনুসারে।

সাধারণ ভাবে রোজকার খাবারগুলো এই গিফিন দ্রব্যের আওতায় পড়ে। যেমন সাধারণ ভাবে আপনি রুই মাছ খান কিন্তু তার দাম কমে যাওয়ায় রুই মাছ বাবদ মোট মাসিক খরচ কমে গেল। এবার দেখলেন কদিন কম রুই মাছ খেলে আপনার পক্ষে একদিন জম্পেশ করে ইলিশ মাছ খাওয়ার সুযোগ হবে তখন আপনি রুইয়ের দাম কমলেও তা কম খাচ্ছেন। আবার দাম বাড়লে ইলিশ বন্ধ।

গিফেন দ্রব্য কাকে বলে

স্যার রবার্ট গিফেন লক্ষ করেছিলেন উনিশ শতকে আয়ারল্যান্ডের সাধারণ মানুষ এতই দরিদ্র ছিল যে, তারা যা আয় করত তার বেশিরভাগ সস্তা আলু কিনতে খরচ করত এবং দামি মাংস তারা খুব কমই কিনত। আলুর দাম বাড়ার ফলে তারা মাংস কেনা আরও কমিয়ে দিয়েছিল এবং খাদ্যাভাব পূরণের জন্য আলুই আগের চেয়ে বেশি ভােগ করতে শুরু করেছিল। স্যার রবার্ট গিফেন এই বিষয়টি প্রথম লক্ষ করেন। ফলে গিফেন দ্রব্য বলতে এমন নিকৃষ্ট দ্রব্যকে বােঝায় যার দাম বৃদ্ধি পেলে চাহিদার পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

কোন পন্যের দাম বাড়ার সাথে সাথে যদি পন্যটির চাহিদাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায় তবে পন্যটি গিফেন দ্রব্য হবে। কারন, তত্বানুযায়ী – দাম বৃদ্ধি পেলে চাহিদা কমে যাওয়ার কথা। উল্টোদিকে – দাম কমলে পন্যের চাহিদাও কমে যায়। যা চাহিদাবিধির সম্পুর্ন বিপরীত এবং হাস্যকর। তবে আধুনিক অর্থনীতিতে গিফেন দ্রব্যের উপস্থিতি প্রায় নাই বললেই চলে।

গিফেন দ্রব্য এর উদাহরণ

মোটা কাপড়, চাল, ডাল, আলু ইত্যাদি গিফেন দ্রব্য এর উদাহরণ।

নিকৃষ্ট দ্রব্য কি, নিকৃষ্ট দ্রব্য কাকে বলে

যে সমস্ত দ্রব্য সামগ্রীর ক্ষেত্রে ভোক্তার আয় বাড়লে ঐ দ্রব্যের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং আয় কমলে দ্রব্যের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাকে নিকৃষ্ট দ্রব্য বলে।

ভোক্তার আয় বাড়লে যে দ্রব্যের চাহিদার পরিমাণ বৃদ্ধি না পেয়ে বরং কমে যায় তাকে নিকৃষ্ট দ্রব্য বলা হয়।

যেসব দ্রব্য সামগ্রী দরিদ্র জনসাধারণ প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকে। যেমন- মোটা চাল, মোট কাপড়, নিম্ন মানের খাদ্য সামগ্রী ইত্যাদিকে নিকৃষ্ট দ্রব্য বলা চলে। তবে অন্য পরিভাষায় গিফেন দ্রব্যকেই নিকৃষ্ট দ্রব্য বলা হয়।

নিকৃষ্ট দ্রব্য এবং গিফেন দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য

নিকৃষ্ট দ্রব্য এবং গিফেন দ্রব্য উভয় ক্ষেত্রে আয় প্রভাব না বােধক হলেও এ দু’য়ের মধ্যে নিম্নরূপ পার্থক্য রয়েছে যেমন-

নিকৃষ্ট দ্রব্যগিফেন দ্রব্য
নিকষ্ট পণ্যের বেলায় না-বােধক আয় প্রভাব বিকল্প প্রভাবকে অতিক্রম করতে পারে।অন্যদিকে অতি নিকৃষ্ট (গিফেন) পণ্যের বেলায় না-বােধক আয় প্রভাব বিকল্প প্রভাবকে অতিক্রম করে।
নিকৃষ্ট পণ্যের বেলায় দাম ও চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক বিপরীত হয়। অর্থাৎ চাহিদা রেখা নিম্নগামী হয় কিন্তু গিফেন পণ্যের বেলায় দাম ও চাহিদার পরিমাণের সম্পর্ক হ্যা-বােধক হয়।গিফেন পণ্যের বেলায় চাহিদা রেখা বাম থেকে ডান দিকে উর্ধ্বগামী হয়।
মার্শালের চাহিদা বিধি নিকৃষ্ট পণ্যের বেলায় প্রযােজ্য হয়।অন্যদিকে গিফেন পণ্যের বেলায় প্রযােজ্য হয় না।
অন্যদিকে যে সব নিকষ্ট পণ্যের ঋণাত্মক আয় প্রভাব বিকল্প প্রভাবকে অতিক্রম করে সেগুলােই গিফেন পণ্য বলে বিবেচিত। এ অর্থে সকল নিকৃষ্ট পণ্য গিফেন পণ্য হতে পারে না। কারণ সেগুলােই গিফেন পণ্য বলে বিবেচিত । এ অর্থে সকল নিকৃষ্ট পণ্য গিফেন পণ্য হতে পারে নাগিফেন পণ্য এবং নিকষ্ট পণ্যের মধ্যে পার্থক্য হল মাত্রাগত। এ পার্থক্য না বােধক। এ অর্থে সকল গিফেন পণ্যই নিকৃষ্ট। তবে যে সব নিকৃষ্ট পণ্যের ঋণাত্মক আয় প্রভাব না-বােধক। এ অর্থে সকল গিফেন পণ্যই নিকৃষ্ট। 
নিকৃষ্ট দ্রব্য এবং গিফেন দ্রব্যের মধ্যে পার্থক্য

সকল গিফেন দ্রব্যই নিকৃষ্ট দ্রব্য কিন্তু সকল নিকৃষ্ট দ্রব্য গিফেন দ্রব্য নয় ব্যাখ্যা  

নিরপেক্ষ রেখা তত্ত্বের মাধ্যমে গিফেন দ্রব্যের প্রকৃতি ব্যাখ্যা করা হিকস অ্যালেনের একটি উল্লেযােগ্য বিষয়। গিফেন দ্রব্য হল একটি বিশেষ ধরনের নিকৃষ্ট দ্রব্য যার ঋণাত্মক আয় প্রভাব এতই শক্তিশালী যে,এটা ধনাত্মক পরিবর্তক প্রভাবকে ছাড়িয়ে যায়। ফলে দ্রব্যটির দাম কমলে এর চাহিদা হাস পায় এবং দাম বাড়লে এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ ধরণের অবস্থার অস্তিত্ব তখন দেখতে পাওয়া যয় যখন একটি দ্রব্যের উপর ভােক্তার আয়ের একটি মােট অংশ ব্যীয়ত হয়। একমাত্র তখনই দ্রব্যটির দাম হাস পেলে ভােক্তার প্রকৃত আয় কীভাবে পরিবর্তন হয়। এ ধরনের নিকৃষ্ট দ্রব্যকে ‘গিফেন দ্রব্য বলে। ব্রিটিশ পরিসংখ্যানবিদ স্যার রবার্ট গিফেন ঊনবিংশ শতাব্দীতে তত্ত্বটি আবিষ্কার। করায় এর নামানুসারে দ্রব্যটির নাম হয়েছে গিফেন দ্রব্য।

নিকৃষ্ট দ্রব্য গিফেন দ্রব্য

চিত্রে একটি নির্দিষ্ট মূল্য ভােক্তার প্রাথমিক ভারসাম্যবস্থা IC1 রেখায় Q বিন্দুতে অর্জিত হয়েছে। এখন Y দ্রব্যের দাম স্থির থেকে X দ্রব্যের দাম হ্রাস পেলে নতুন বাজেট রেখা হয় PL2। এ PL2 বাজেট রেখায় IC2, নিরপেক্ষ রেখায় R বিন্দুতে ভােক্তা ভারসাম্য লাভ করে। চিত্রানুযায়ী নতুন ভারসাম্য বিন্দুতে ভোক্তা ভােগ হ্রাস করে X দ্রব্যের OM পরিমাণের পরিবর্তে ON পরিমাণ ভােগ করবে। চিত্রে MG হল ঋণাত্মক আয় প্রভাবের ফল, যাতে ভােক্তা X দ্রব্য কম ক্রয় করতে বাধ্য হয়। ফলে পরিবর্তক প্রভাব গতিশীল হয়ে ভােক্তাকে পুণরায় GN পরিমাণ X দ্রব্য ক্রয়ের জন্য প্রবৃত্ত করবে। অতএব, ঋণাত্মক আয় প্রভাব MG পরিবর্তক প্রভাব GN অপেক্ষা বড়। এটির ফলশ্রুতিতে মূল্য হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও ভােক্তার X দ্রব্যের MN পরিমাণ চাহিদা হ্রাস পাবে। এভাবে মূল্য প্রত্যক্ষভাবে পরিবর্তনের কারণে গিফেন দ্রব্যের দাম বাড়লে চাহিদা বাড়ে এবং দাম কমলে চাহিদা কমে। তবে একটি দ্রব্যকে গিফেন দ্রব্য বলতে হলে তিনটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

১। দ্রব্যটি শক্তিশালী ঋণাত্মক আয় প্রভাব সম্পন্ন হতে হবে। 

২। পরিবর্তক প্রভাব ছােট হবে। 

৩। নিকষ্ট দ্রব্যের উপর ভােক্তার আয়-ব্যয়ের অনুপাত অত্যন্ত বেশি হতে হবে। 

উপরিউক্ত আলােচনায় তাই প্রতীয়মান যে, একটি দ্রব্যকে গিফেন দ্রব্য হতে হলে তাকে অবশ্যই নিকৃষ্ট দ্রব্য হতে হবে এবং একটি নিকৃষ্ট দ্রব্য কতিপয় শর্ত সাপেক্ষ গিফেন দ্রব্যের রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ প্রামণিত হল “সকল গিফেন দ্রব্য নিকৃষ্ট দ্রব্য কিন্তু সকল নিকৃষ্ট দ্রব্য গিফেন দ্রব্য নয়।

ভেবলেন দ্রব্য কি

ভেব্লেন পণ্য বিলাসবহুল পণ্য বা উচ্চতর পণ্য যেগুলির দাম যোগান এবং চাহিদার সাধারণ অর্থনৈতিক আইন অনুসরণ করে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যখন কোনও জিনিস ব্যয়বহুল হয়ে যায়, তখন এর জন্য চাহিদা হ্রাস পায়। ভেব্লেন গুডের সাথে বিপরীত ঘটনা ঘটে – যখন তাদের দাম বৃদ্ধি পায়, লোকেরা তাদের আরও চায় – চাহিদা বৃদ্ধি পায়। গ্রাহকরা মূলত তাদের স্থিতি বাড়ানোর জন্য এই ধরণের পণ্যগুলি কিনে থাকেন – এগুলি পদমর্যাদার প্রতীক।

Veblen পণ্যগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে দামী সুইস ঘড়ি, ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগগুলি, নির্দিষ্ট ওয়াইন, গহনা এবং বিলাসবহুল গাড়ি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা ব্যয়বহুল হওয়ায় তাদের চাহিদা রয়েছে। সহজ কথায় বলতে গেলে, যে লোকেরা তাদের কিনে তারা দেখায় যে তাদের স্টাইল, শ্রেণি, অর্থ এবং ভাল স্বাদ রয়েছে।

ভেবলেন দ্রব্য কাকে বলে

ভেব্লেন পণ্য বিলাসবহুল পণ্য বা উচ্চতর পণ্য যেগুলির দাম যোগান এবং চাহিদার সাধারণ অর্থনৈতিক আইন অনুসরণ করে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যখন কোনও জিনিস ব্যয়বহুল হয়ে যায়, তখন এর জন্য চাহিদা হ্রাস পায়। ভেব্লেন গুডের সাথে বিপরীত ঘটনা ঘটে – যখন তাদের দাম বৃদ্ধি পায়, লোকেরা তাদের আরও চায় – চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

ভেব্লেন পণ্য বিলাসবহুল পণ্য বা উচ্চতর পণ্য যেগুলির দাম যোগান এবং চাহিদার সাধারণ অর্থনৈতিক আইন অনুসরণ করে না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যখন কোনও জিনিস ব্যয়বহুল হয়ে যায়, তখন এর জন্য চাহিদা হ্রাস পায়। ভেব্লেন গুডের সাথে বিপরীত ঘটনা ঘটে – যখন তাদের দাম বৃদ্ধি পায়, লোকেরা তাদের আরও চায় – চাহিদা বৃদ্ধি পায়। গ্রাহকরা মূলত তাদের স্থিতি বাড়ানোর জন্য এই ধরণের পণ্যগুলি কিনে থাকেন – এগুলি পদমর্যাদার প্রতীক।

Veblen পণ্যগুলির উদাহরণগুলির মধ্যে দামী সুইস ঘড়ি, ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগগুলি, নির্দিষ্ট ওয়াইন, গহনা এবং বিলাসবহুল গাড়ি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তারা ব্যয়বহুল হওয়ায় তাদের চাহিদা রয়েছে। সহজ কথায় বলতে গেলে, যে লোকেরা তাদের কিনে তারা দেখায় যে তাদের স্টাইল, শ্রেণি, অর্থ এবং ভাল স্বাদ রয়েছে।

চূড়ান্ত দ্রব্য কি

যে সকল দ্রব্য উৎপাদনের পর সরাসরি ভোগে ব্যবহৃত হয়,তাদেরকে চূড়ান্ত দ্রব্য বলা হয়। যেমন:পাউরুটি,চেয়ার ইত্যাদি।

চূড়ান্ত দ্রব্য বলতে সেই দ্রব্যকে বুঝায় যা সরাসরি ভোগের জন্য ব্যবহার করা হয় ।

দ্রব্য বিনিময় প্রথা কি

প্রাচীনকালে মানুষের অভাব কম ছিল। কিন্তু কালক্রমে মানুষের অভাব বেড়ে যাবার ফলে ব্যক্তি বা পরিবারের একার পক্ষে সকল প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপন্ন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে না। উদ্ভব হয় পন্য বিনিময়।

কারণ কোন দ্রব্যের প্রয়োজন হলে সে নিজের উৎপাদিত দ্রব্যের বিনিময়ে অন্যের নিকট থেকে তা পেত। অর্থাৎ যখন একটি দ্রব্যের পরিবর্তে অন্য একটি দ্রব্য সরাসরি বিনিময় করা হয় তখন তাকে দ্রব্য বিনিময় প্রথা বলে।

এখনকার সময়ে কারো কোনো কিছুর দরকার হলে দোকানে গিয়ে টাকা বা মুদ্রা দিয়ে সেটি কিনে নেয়। যখন মুদ্রার চল ছিল না, তখন কী হতো? ধরা যাক, একজনের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ফলমূল-সবজি আছে, কিন্তু চাল নেই। আবার আরেকজনের কাছে চালের মজুদ এতটাই যে, নিজের জোগান শেষ করার পরও বাড়তি থেকে যাবে। এ অবস্থায় যার কাছে ফলমূল-সবজি বেশি আছে, তিনি এর বিনিময়ে যার কাছে চাল আছে তার কাছ থেকে চাল নিতে পারেন। এটিই বিনিময় প্রথা।

উদাহরণ: একজন মুচি তার জুতার বিনিময়ে কৃষকের নিকট হতে চাল সংগ্রহ করত। ফল বিক্রেতা ফলের বিনিময়ে জেলের কাছ থেকে মাছ সংগ্রহ করত।

পরিবর্তক দ্রব্য কি

যে দ্রব্য দ্বারা অন্য কোনো একটি দ্রব্যের চাহিদা পূরণ করা যায়, তাকে পরিবর্তক দ্রব্য বলা হয়।

মূলধনী দ্রব্য কাকে বলে

যে সমস্ত দ্রব্য অন্য দ্রব্য উৎপাদনে সাহায্য করে তাকে মূলধনী দ্রব্য বলে। যেমন: যন্ত্রপাতি,কারখানা,গুদামঘর,ইত্যাদি।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | দ্রব্য

Q1. স্পিনোজার মতে দ্রব্য কি

Ans – স্পিনোজার মতে দ্রব্য হল এক একক, অদ্বিতীয়, অসীম স্বয়ম্ভু ও নির্বিশেষ সত্ত্বা। 

Q2. স্পিনোজার কয়টি দ্রব্য স্বীকার করেছেন

Ans – একটি এবং তা হল ঈশ্বর।

Q3. দ্রব্য=ঈশ্বর=প্রকৃতি ব্যাখ্যা করো

Ans – দ্রব্য বা ঈশ্বর যেমন এক ও অসীম বিশ্বজগতও তেমনই এক ও অসীম। স্পিনোজার মোটেও তাই দ্রব্য = ঈশ্বর = প্রকৃতি।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।