অবনী বাড়ি আছো কবিতা, অবনী বাড়ি আছো কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

অবনী বাড়ি আছো কবিতা

অবনী বাড়ি আছো
অবনী বাড়ি আছো
দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া
কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছো?’

বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস
দুয়ার চেপে ধরে–
‘অবনী বাড়ি আছো?’

আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয় পড়ি আমি
সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছ?’

অবনী বাড়ি আছো কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের

অবনী বাড়ি আছো শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত বারো পঙ্‌ক্তির রসোত্তীর্ণ কবিতা। এটি তার ধর্মে আছো জিরাফেও আছো কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

অবনী বাড়ি আছো কবিতার কবি কে

অবনী বাড়ি আছো কবিতার কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়।

অবনী বাড়ি আছো কবিতার বিষয়বস্তু, অবনী বাড়ি আছো কবিতার মূলভাব

লেখক শক্তি চট্টোপাধ্যায় কলম ধরেছিলেন মানুষের জন্যে । তিনি মন খুলে উদাত্ত স্বরে মানুষকে ঢাক দিয়েছেন , সবাই এসে মানুষের পাশে দাঁড়াক । আজকের মানুষের বড়ো কষ্ট , শোকতাপে জর্জরিত মানুষ কাঁদছে , যে প্রকৃত মানুষ সে যেন সেই দুঃখী মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় । হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান নয় তেমনি সকল মানুষ সমান নয় । তাই মানুষ হয়ে আর একদল মানুষ অপরের ক্ষতি করার জন্য ফাঁদ পাতছে । ফাঁদে পড়া মানুষগুলোকে বাঁচানোর জন্য কবি চান পাখির মতো ডানা দিয়ে আগলে ওই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে । আজকের মানুষ বড়ো একলা সুখ বা দুঃখ সৰেতেই সে একাকী , একাকীত্ব মানুষের কাছে অভিশাপ , কবি বলেছেন একজন সত্যিকারের মানুষ হলে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াও । সকাল থেকে দুপুর বিকাল গড়িয়ে রাত , সব সময় মানুষ ভাবছে এই বুঝি পাশে কেউ স্নেহের হাত রাখলো । সব সময় সে তোমাকে ভাবছে । এই একলা সব মানুষগুলোর পাশে তুমি একটু দাঁড়াও । তুমি কীভাবে এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে সেই পথ তোমাকেই খুঁজে নিতে হবে । ভালোবেসে দাঁড়াও , সুখ – দুঃখের সাগরে ভেসে এসে দাঁড়াও । যেমন ভাবে পারো তেমনি ভাবে দাঁড়াও । মানুষ বড়ো কাঁদছে , তাদের ক্রন্দনরোলে পৃথিবী মুখরিত হচ্ছে । তুমি তো মানুষ , মানুষ হলে মানুষের হাত ছেড়ো না , মানুষ বড়ো একলা তুমি তাঁর পাশে এসে দাঁড়াও । 

অবনী বাড়ি আছো কবিতার ব্যাখ্যা

দুয়ার এঁটে ঘুমায় যখন পাড়া
কেবল শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছো?’”

—এখানে ‘অবনী’ হলো কবি নিজেই। অর্থাৎ আমারা নিজেরাই। আমাদের আত্মা বা চেতন শক্তি যা’ই বলি না কেনো। অবনী যদি আমি বা আমার আত্মা হয় তবে আমার শরীর হচ্ছে সেই অবনীর ঘর। আমার চারপাশে আরও অনেক ঘর(মানুষের শরীর) আছে, এবং সব মিলিয়েই একটা পাড়া। কবি প্রথমেই বলেছেন “দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া”, অর্থাৎ এই দুয়ার বা দরজা হলো মায়া, মোহ। আমরা প্রতিটা মানুষই এই মোহ বা মায়ায় জড়িয়ে রয়েছি, মোহান্ধতায় বা মায়ায় এমন ভাবে আবদ্ধ হয়ে রয়েছি যে কেউ সেই অবনীর খোঁজ রাখিনি, সবাই সেই অবনীকে যেনো ভুলেই গেছি… সবাই যেনো মায়া বা মোহের মধ্যে ঘুমিয়ে আছি। কিন্তু তার মধ্যেও নীরবেই কেউ যেনো কড়া নেড়ে বলছে বাড়ি আছো? রাতে যেমন কোনো বস্তুর অস্তিত্ব দৃশ্যমান নয় অথচ আছে… ‘অবনী বাড়ি আছো?’ এভাবে বহির্জগতে কেউ ডাকছে না অথচ যেনো মায়া ভেদ করে কবি যেনো শুনতে পারছেন সে ডাক।

“বৃষ্টি পড়ে এখানে বারোমাস
এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে
পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস
দুয়ার চেপে ধর—
‘অবনী বাড়ি আছো?’”

—এখানে একটু বলে রাখি, ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত এমন অনেক ব্যাখ্যাতেই দেখা যায় যে— আলোচকগন এই স্তবকের প্রাকৃতিক বর্ণনাকে উল্লেখ করে যা বলেছেন তা এইরকম,— “নির্জন বাড়িতে মহুয়ার বোতলকে সঙ্গী করে কবি যখন মেঘদূত মালাকে দেখলেন তখন তার মনে হলো অসংখ্য গোরু যেনো যাত্রা করেছে। মেঘেরা গাভীর মতো চড়ে বেরাচ্ছে। অবনী দুয়ার এঁটে ঘুমিয়েছেন! কে বা কারা যেনো দরজায় কড়া নাড়ছে। তাকে যেনো ডেকে বলছে আয় আয়। অবনী যেতে চায়নি। অবনী বলছে তুমি আমায় ডাকছো আমি যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো?”

আমার কাছে এই ধরনের যুক্তি অর্থহীন মনে হয়। একটির সাথে আরেকটি কবিতাকে একসাথে গুলিয়ে একটা মুড়িঘন্টো করা আর কি। কবির বিশ্লেষণ যখন হবে তখন তার সমগ্র সাহিত্য সৃষ্টির ওপর হবে তার সাথে আসবে তার ব্যক্তি জীবনও, কিন্তু কোনো কবিতা আলোচনা করতে গেলে শুধুমাত্র সেই কবিতার ওপরেই শুদ্ধতার সাথে আলোচনা করা উচিত। আলোচ্য কবিতার বাইরে অন্য কবিতার লাইন জুড়ে ঘন্ট না করাই ভালো। তবে কোনো জিনিস উদাহরণ সহযোগে বোঝাতে গেলে অন্যকবিতা আসতে পারে তবে তা মূলকবিতার মতো প্রধান্য পায় না। তবে হ্যাঁ, অনেক সময় পরবর্তীকালে কোনো কবি তার কোনো কবিতার ভাবনা সম্পর্কে কবি নিজেই আলোচনা করে যান। যদি পাঠকের ভাবনায় না মেলে? তবে কি কবিতার প্রসঙ্গে কবির ভাবনাই শেষ কথা বলে? সেক্ষেত্রেও আমি আমার আগের মতই বহাল রাখবো, —কবিতা একবার লেখা হয়ে গেলে, তা আর কবির থাকেনা, থাকেনা কবির ভাবনার গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ। তা হয়ে যায় আপামর পাঠক সাধারণের। পাঠকেরা কবিতার মধ্যে তাদের মনের, তাদের ভাবনার তৃপ্ততা খোঁজে, মিলিয়ে নিতে চায় নিজেকে। আর যখন কবিতার ভেতরে নিজেকে পেয়ে যায় তখন মনেপ্রাণে কবিতাটির ওপর নিবির ভালোবাসা জন্মে যায় পাঠকহৃদয়ে। আর জীবনবোধের কবিতাগুলিতে এ কথাগুলি আরও প্রকটভাবে খাটে। তাছাড়া এমনও হয়, কবি লেখার সময় একটা ভাবনায় ভেবেছেন, কিন্তু লেখার শেষে দেখা গেলো কবিতাটির মধ্যে আরও অনেক সুন্দর ভাবনা আছে, যা কবির অজ্ঞাতেই কবিতার মধ্যে ঢুকে গেছে। আর কবিতার আলোচনার ক্ষেত্রে কবি কী বলেছেন তা নয়, আমার মনে হয় কবিতা কী বলেছে সেটাই আলোচনার মূখ্য বিষয় হওয়া উচিত।

যাইহোক তর্কে লাভ নেই, আমার মতোকরে বলি— এখানে প্রথম দু’লাইনে এই মায়াময় জগতের খুব সুন্দর করে বর্ণনার জাল বুনেছেন কবি। তারপরেই বলেছেন— “পরাঙ্মুখ সবুজ নালিঘাস/ দুয়ার চেপে ধরে।” অর্থাৎ এমন মায়ার জগত ছেড়ে এতো মোহময়তা ছেড়ে আমরা যেতে চাই না। এই ঘোর নেশাতুর মোহো যেনো দুয়ার চেপে ধরে। মায়ার বাঁধন আর ছিঁড়তে পারিনা। দরজা আর খুলতে চায় না। এখানে আমরা যেনো ব্যর্থ হয়ে পরি। তবুও অব্যক্ত সেই ডাক ডেকেই চলে, একটু একটু যেনো অনুভব করি সেই ডাক “অবনী বাড়ি আছো?”

“আধেকলীন হৃদয় দূরগামী
ব্যথার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি আমি
সহসা শুনি রাতের কড়ানাড়া
‘অবনী বাড়ি আছো?’”

—মায়ার মধ্যে থাকতে থাকতে আমরা যেনো জীবনের একটা সময়ে এসে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। নানান দুঃখ, বেদনার মধ্যে থাকতে থাকতে অনেকটাই অভ্যস্থ হয়ে পড়ি। ভেতরের অবনীকে এড়িয়ে থাকার কাছে যেনো একটু একটু মাথা নত করি। ভেতরের অবনী যেনো মাঝে মধ্যে নাড়া দিয়ে ওঠে। অর্ধেক লীন হয়ে যাওয়া দূরগামী ব্যথা অর্থাৎ গভীর ভেতরের খানিক অভ্যস্থ হয়ে যাওয়া ব্যথার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ি। এ ঘুম যেনো নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকার মতো। এর মধ্যেও যেনো একটু একটু টের পাওয়া যায় সেই ডাক— “অবনী বাড়ি আছো?”

কোনো কবিতার শুদ্ধ আলোচনা করতে গেলে সমালোচকে কবিতার ছন্দ, শব্দ প্রভৃতি সমস্ত কিছু উল্টে পাল্টে নেড়ে ঘেটে গভীর ভাবে নিরীক্ষণ করতে হয়। বুঝতে হয়! আলোচনা করতে কোনো কিছুই যাতে বাদ না যায় এমন মনোভাব রাখতে হয়। কিন্তু আমার দ্বারা কখনো শুদ্ধ আলোচনা করা সম্ভব নয়। যখনই এ কবিতা দেখতে যাই তখন আমি কোথায় যেনো হারিয়ে যাই, বাস্তবিক আমি বলে আর কিছু থাকিনা। এমন ভাবে হারিয়ে যাওয়া কারো পক্ষে কি শুদ্ধ আলোচনা সম্ভব? তাই হয়তো অনেক ত্রুটি থেকে গেলো। তবুও শেষে বলে যাই আমি গভীরতা বলতে যা বুঝি তা হলো, আমি যেদিন গভীরতাকে ছুঁতে পারবো সেদিন হয়তো আমি আর আমি থাকবো না, হয়তো সেদিনই আমার মরণ হবে, হয়তোবা পাগল হয়ে যাবো। আমি সেই গভীরতার সন্ধানে নিরন্তর ছুটে বেড়াচ্ছি।

আরো পড়তে: ছোটদের জন্য একুশের কবিতা, একুশের কবিতা প্রশ্ন উত্তর

অবনী বাড়ি আছো কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার করো

অবনী বাড়ি আছো কবিতাটি এক বর্ষামুখর রাতের কবিতা, যেখানে কবি নিজেকেই অবনী চরিত্র রূপে প্রকাশ করেছেন। তবে এ কবিতা রচনা প্রসঙ্গে শক্তি বলেছেন, নির্জন বাড়িতে মহুয়ার বোতলকে সঙ্গী করে কবি যখন সামনে মেঘদূত মালাকে দেখলেন তখন তার মনে হলো অসংখ্য গরু যেন যাত্রা করেছে। মেঘেরা গাভির মতো চড়ে বেড়াচ্ছে। অবনী দুয়ার এঁটে ঘুমিয়েছে, কে বা কারা যেন তার দরজার কড়া নাড়ছে। কে যেন তাকে ডাকছে আয় আয়। অবনী যেতে চায় নি। অবনী বলছে তুমি আমায় ডাকছো আমি চলে যেতে পারি। কিন্তু কেনো যাবো? আমারতো একটা ছোটো শিশুসন্তান রয়েছে, ওর মুখ ধরে চুমু খাবো। এই যে পারিবারিক মায়া-মমতা কবিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখতে চাইছে।

পরক্ষণেই হয়ত কবি আবার বুঝতে পারলেন যে, সে ইচ্ছে করলেই থাকতে পারবে না। চলে তার যেতে হবে। কোনো মমতার বন্ধন সন্তানের লাবণ্যময় মুখ তাকে আঁকড়ে রাখতে পারবে না। এ সব ভেবে কবি আবার বললেন, আমি যাবো কিন্তু এখনি যাবো না।

সাহিত্যে নামকরণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , বিশেষ করে কবিতার নামকরণ । আধুনিক কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় মানুষের কবি । সুখে – দুঃখে সবসময় তিনি মানুষের পাশে থাকতে চান । কবি উদার আহ্বান জানান আমাদের , আমরা যারা নিজেদের মানুষ ভাবি , তাঁদের কাছে আজকের মানুষ বড়ো দুঃখী , বড়ো একলা , বড়ো অসহায় । যেমন করেই হোক মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে । একাকী মানুষ দিনরাত একজন মানুষের কথা ভাবে তার মতো করে । এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারা সবচেয়ে বড়ো মানবিক ধর্ম । দিন গড়িয়ে গেছে । মানুষ যত সরল ছিল হয়েছে তত জটিল । তাই মানুষ একলা , বড়ো দুঃখী , কবির কাতর আবেদন এই সময় মানুষের পাশে যেমন করে হোক দাঁড়াতে হবে । কীভাবে তুমি আসবে তা তোমাকেই ঠিক করতে হবে । ভালোবেসে স্নেহের দুই হাত মেলে তাদের জড়িয়ে ধরতে হবে । তবেই মানবিক ধর্ম সফল হবে । গোটা কবিতা জুড়ে কবি আবেদন রেখেছেন মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে । তাই কবিতার ‘ দাঁড়াও ’ নামকরণ সার্থক হয়েছে বলে মনে হয় ।

অবনী বাড়ি আছো কবিতার প্রশ্ন উত্তর

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় ‘অবনী বাড়ি আছো?’ কথাটি কতবার ব‍্যবহৃত হয়েছে ?

Ans – ৩ বার

অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় পাড়া কীভাবে ঘুমিয়ে আছে ?

Ans – দুয়ার এঁটে

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কেবল কী শোনা যায় ?

Ans- রাতের কড়ানাড়া

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় ‘রাতের কড়ানাড়া’ শব্দটি কতবার আছে ?

Ans – ২বার

‘_ শুনি রাতের কড়া নাড়া’ – ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় তৃতীয় স্তবক অনুযায়ী শূন‍্যস্থান পূরণ করো।

Ans – সহসা

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় বৃষ্টি কতমাস পড়ে ?

Ans – বারোমাস

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় গাভীর সঙ্গে কীসের তুলনা করা হয়েছে ?

Ans – মেঘের

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কোন রঙের উল্লেখ আছে ?

Ans – সবুজ

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় দুয়ার এঁটে কে ঘুমিয়ে আছে ?

Ans – পাড়া

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় ‘পরাঙ্মুখ’ কথার অর্থ কী ?

Ans – বিমুখ

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় ‘দুয়ার’ শব্দটি কতবার ব‍্যবহৃত হয়েছে ?

Ans- ২ বার

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কে দুয়ার চেপে ধরে ?

Ans – সবুজ নালি ঘাস

‘আধেকলীন হৃদয়ে দূরগামী’ পঙক্তিটি ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কোন স্তবকে আছে ?

Ans – তৃতীয় স্তবকে

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কীসের মধ‍্যে ঘুমিয়ে পড়ার প্রসঙ্গ আছে ?

Ans – ব‍্যথার মাঝে

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কোন সময়ের প্রসঙ্গ আছে ?

Ans – রাত্রি

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কীসের শব্দের প্রসঙ্গ আছে ?

Ans – কড়ানাড়া

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় অন্ত‍্যমিল জোড় শব্দ কয়টি আছে ?

Ans – ৪ টি, পাড়া – নাড়া, মাস – ঘাস, চরে – ধরে, গামী – আমি

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় উল্লেখিত ব‍্যক্তিটির নাম কী ?

Ans – অবনী

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় কটি জিজ্ঞাসা চিহ্ন আছে ?

Ans – ৩টি

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় স্তবক কয়টি ?

Ans – ৩ টি

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় চরণ সংখ‍্যা কত ?

Ans – ১২

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতাটি কোন কাব‍্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে ?

Ans – ধর্মে আছো জিরাফে আছো। 

‘ধর্মে আছো জিরাফে আছো’ কাব‍্যগ্রন্থটি কাকে উৎসর্গ করা হয় ?

Ans – আধুনিক কবিতার দুর্বোধ‍্য পাঠকের হাতে। 

‘ধর্মে আছো জিরাফে আছো’ কাব‍্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ কে অঙ্কন করেছেন ?

Ans – নিতাই ঘোষ। 

‘ধর্মে আছো জিরাফে আছো’ কাব‍্যগ্রন্থটির প্রথম প্রকাশ কবে হয়েছে ?

Ans – আশ্বিন, ১৩৭২বঙ্গাব্দ। 

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতার প্রথম লাইন কী ?

Ans – দুয়ার এঁটে ঘুমিয়ে আছে পাড়া। 

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় শেষ লাইন কী ?

Ans – অবনী বাড়ি আছো ?

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় জিজ্ঞাসা চিহ্ন যুক্ত পঙক্তি কোনটি ?

Ans – অবনী বাড়ি আছো । 

‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায় জিজ্ঞাসা চিহ্ন ছাড়া বিরামচিহ্ন যুক্ত পঙক্তি কোনটি ?

Ans- দুয়ার চেপে ধরে। 

‘ব‍্যথার মাঝে ঘুমিয়ে পড়ি আমি’ পঙক্তিটি কোন কবিতায় আছে ?

Ans – ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায়। 

কোন কবিতায় কোনো পূর্ণচ্ছেদ নেই ?

Ans – ‘অবনী বাড়ি আছো’ কবিতায়। 

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

‘ দাঁড়াও ‘ কবিতায় কবি মানুষকে কী কী করতে বলেছেন ? 

উঃ । কবিতায় মানুষ বড়ো কাঁদছে বলে কবি বলেছেন , পাশাপাশি তিনি এও বলেছেন যে মানুষই ফাঁদ পাতছে । 

‘ তোমার মতো মনে পড়ছে ‘ — কখন কবির মনে পড়েছে ? 

উঃ । কবির সকাল থেকে সন্ধে আর রাতের বেলা অর্থাৎ সবসময় মনে পড়ছে । 

কবি কী হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন

উঃ । কবি মানুষকে মানুষ হয়ে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন এবং পাখির মতো মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । 

কৰি কী কী ভাবে মানুষকে দাঁড়াতে বলেছেন

উ: কবি এসে দাঁড়াতে বলেছেন এবং ভেসে দাঁড়াতে বলেছেন পাশাপাশি তিনি মানুষের পাশে ভালোবেসেও দাঁড়াতে বলেছেন । 

মানুষ কীভাবে রয়েছে

উঃ । মানুষ বড়ো একলা হয়ে পড়েছে , তাই কবি এমন মানুষ চেয়েছেন যে এই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবে । 

মানুষ একলা কেন

উঃ । ব্যস্ততম জগতে সবাই ছুটছে । কেউ কারো কথা মনে করছে না যারা গতি হারিয়ে ব্যস্ত জগতের এর সাথে তাল মেলাতে পারছে না — তারাই একলা হয়ে পড়ছে । 

‘ তোমাকে সেই সকাল থেকে তোমার মতো মনে পড়ছে — তুমি তাহার পাশে দাঁড়াও । এর অন্তর্হিত অর্থ লেখো

উঃ । কবি সেই প্রকৃত মানুষকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুঁজে চলেছেন । কবির স্মৃতিতে সেই মানুষ এবং তার মানবিকতার ছোঁয়া এখনও গভীর ছায়া ফেলে রয়েছে । তাকে খুঁজে এনে তাকে জাগ্রত করতে হবে । এখানে তুমি বলতে কবি সেই মানুষের মানবিকতাবোধ ও চেতনাকে বোঝাতে চেয়েছেন । একাকী অসহায় মানুষের পাশে মানবিক ভাবনা নিয়েই দাঁড়াতে হবে । প্রয়োজনে মানুষকে সহমর্মিতা জানাতে হবে এবং সহযোগিতা করতে হবে । 

শক্তি চট্টোপাধ্যায় কোথায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন

উ: শক্তি চট্টোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বহুভু গ্রামে । 

তাঁর লেখা একটি উপন্যাসের নাম লেখো 

উঃ । তার লেখা একটি উপন্যাস হলো ‘ কুয়োতলা ‘ । 

নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও 

‘ মতো ‘ শব্দ ব্যবহার করা হয় কখন ? তোমার যুক্তির পক্ষে দুটি উদাহরণ দাও । 

উঃ । কারোর সাথে তুলনা বোঝাতে ‘ মতো ‘ কথাটি ব্যবহার করা হয় । 

উদাহরণ – 

( ১ ) আমি তোমার মতো ভালো ছাত্র নই ।

 ( ২ ) মানুষের মতো মানুষ হও 

কবি পাখির মতো পাশে দাঁড়াতে বলেছেন কেন ? 

উ: । পাখি স্বাধীন সুখ – দুঃখ তার গায়ে লাগে না । তাই পাখির মতো স্বাধীনভাবে , দৃঢ় মনোভাব নিয়ে কবি মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । পাখির মিষ্টি ডাকে যেমন মন ভরে ওঠে তেমনই দুঃখের দিনে পাশে দাঁড়ানো মানুষের আশ্বাসও যেন মনে আশার সঞ্চার করে । 

মানুষই ফাঁদ পাতছে – কবি কেন একথা বলেছেন ? ‘ মানুষ ‘ শব্দের সঙ্গে ‘ ই ‘ ধ্বনি যোগ করেছেন কেন ? —তোমার কী মনে হয় ? 

উঃ । লোভ মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি তাই মানুষই মানুষকে ঠকায় । ঠকাবার জন্য নানা প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদ পাতে । মানুষের সীমাহীন আকাঙ্খা ও লোভ তার মানসিকতার পরিবর্তন ঘটায় । সে ভুল পথে অন্যকে ঠকিয়ে সুখ ভোগ করতে চায় । তাই কবি বলেছেন মানুষই ফাঁদ পাতে বা ছলচাতুরী করে । পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ দেখা যায় । একদল বিবেকবান , মনুষ্যত্ববোধসম্পন্ন ও অন্য দল লোভী ও চতুর । তারা সব সময় চাতুরির দ্বারা মানুষকে ঠকিয়ে লাভবান হতে চায় । এই শ্রেণির মানুষকে বোঝাতেই কবি ‘ ই ’ প্রত্যয়টি যোগ করেছেন বলে আমার মনে হয় । 

তোমার মতো মনে পড়ছে – এই পক্তির অন্তর্নিহিত অর্থ কী ? 

উঃ । এই পঙক্তিটি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘ দাঁড়াও ‘ কবিতাটি থেকে নেওয়া হয়েছে । একজন মানুষ যেমন করে অপর মানুষকে কাছে পেতে চায় , মানুষ যেমন করে তার পাশে অন্যজনকে জানে তেমনটা বোঝাতে উপরের উক্তিটি করা হয়েছে । বর্তমান সমাজের মানবিক অবক্ষয় কবিকে ব্যথিত করে তুলেছে । মানুষের এই দুর্দিনে তাই সবসময় কবি পরিপূর্ণ সহযোগী এক প্রকৃত মানুষের সন্ধান করেছেন । তাই এই সৎ মানুষের কথা কবির মনে পড়েছে । 

‘ এসে দাঁড়াও ভেসে দাঁড়াও এবং ভালোবেসে দাঁড়াও ‘ — এই পত্তিটির বিশেষত্ব কোথায় ? এই ধরনের দুটি বাক্য তুমি তৈরি করো

উঃ । পঙক্তিটিতে , ধ্বনির দ্বারা একটি কাব্যসৌন্দর্য প্রকাশ করার চেষ্টা রয়েছে । ‘ ‘ দাঁড়াও ’ এবং ‘ সে ’ অক্ষরটি পর পর তিনবার ব্যবহার করার ফলে এই পঙক্তিটিতে এই শব্দটিই বেশি গুরুত্ব পেয়েছে । মানুষ অসহায় অবস্থায় রয়েছে তাদের দুঃখ কষ্টের সীমা পরিসীমা নেই । এদের পাশে দাঁড়াতে হবে , যেভাবে পারবে সেইভাবে দাঁড়াতে হবে এটাই মূল কথা । এই অর্থ বোঝাতে কবি উপরের শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন । মানুষকে ভালোবেসে তার পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষের মানবিক কর্তব্য । কবি সেটাই করতে বলেছেন ।

( ১ ) দেশকে ভালোবাসো , দেশের মঙ্গল তোমার মঙ্গল ।

 ( ২ ) দেশ ডুবছে অন্ধকারে দেশের পাশে দাঁড়াও । 

( ৩ ) মানুষ অন্ধকারের ঘূর্ণিস্রোতে ভেসে যাচ্ছে , যেভাবে পারো ভেসে এসে তাকে সাহায্য করো ।

‘ মানুষ বড়ো ছে — কী কারণে কবি এই কথা বলেছেন ? 

উঃ । আজকের পৃথিবী বড়ো মাটিল , বড়ো কঠিন । এত দ্রুত তার পরিবর্তন হচ্ছে যে মানুষ তাল মেলাতে পারছে না , অভাব , দারিদ্রতা , কর্মহীনতা মানুষের সহজ সরল সামাজিক জীবনের পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছে । আধুনিক সভ্যতার নিমর্মতায় মানুষ ক্রমশ বিচ্ছিন্ন ও অসহায় হয়ে পড়ছে । স্বভাবতই এই অসহায় মানুষ একটু সহানুভূতি পাবার আশায় সে ব্যাকুল ও বড়ো দুঃখী । তাই সে কাঁদছে । 

মানুষ বড়ো একলা তুমি তাহার পাশে এসে দাঁড়াও । —পত্তিটিকে তিনবার ব্যবহার করার কারণ কী হতে পারে বলে মনে হয় ?

 উঃ । কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘ দাঁড়াও ‘ কবিতাটিতে কবি বলতে চেয়েছেন যে নানা শোষণে , দুঃখে কষ্টে মানুষ ক্রমশই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে । তার দুঃখের কথা শোনার বা সান্ত্বনা দেবার মতো কেউ আর নেই । তাই কবি বলেছেন সেই একাকী মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই আজ সব থেকে বেশি প্রয়োজন । 

( ১ ) মানুষ মানুষকে ঠকাবার জন্য ফাঁদ পাতছে ফাঁদে পড়া অসহায় মানুষ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না অর্থাৎ সে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ও একলা হয়ে পড়ছে ।

 ( ২ ) একাকী মানুষ প্রিয়জনকে পাশে পেতে চায় । তা না পেলে আরও বেশি করে হতাশা ও নিঃসঙ্গতায় ভোগে । 

( ৩ ) মানুষ প্রগতির সাথে পা মেলাতে না পেরে হতভম্ব হয়ে পড়েছে , কি করবে বুঝে উঠতে না পেরে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে । তাই একলা হয়ে পড়ে সে কাঁদছে । 

কবিতাটির নাম ‘ দাঁড়াও ‘ কতটা সার্থক ? কবিতাটির নাম ‘ মানুষ বড়ো কাঁদছে হতে পারে কি তোমার উত্তরের ক্ষেত্রে মুক্তি দাও ।

 উঃ । কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ‘ দাঁড়াও ‘ কবিতাটির ক্ষেত্রে মূল ভাববস্তুকে মনে রেখে একটি ব্যাল্গুনধর্মী নামকরণ করেছেন ‘ দাঁড়াও ’ শব্দের এক অর্থ হয় থমকে দাঁড়াও । কোনো কাজ করা থেকে বিরত হও । এখানে সেই অর্থে ‘ দাঁড়াও ’ কথা ব্যবহার করা হয়নি । ‘ পাঁড়াও ‘ অর্থে কবি বলতে চেয়েছেন নানা শোষণে দুঃখ কষ্টে জর্জরিত মানুষের কাছে এবং তার পাশে দাঁড়াতে । এই একলা মানুষের পাশে দাঁড়ানো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ । এই গুরুত্বের কারণেই কবি ‘ দাঁড়াও ’ শব্দটি কবিতায় তিনবার উচ্চারণ করেছেন । এই অর্থে নামকরণ সার্থক হয়েছে । অন্যদিক দিয়ে বলা চলে গোটা কবিতা জুড়ে মানুষ নানাভাবে অসহায় অবস্থায় পড়ে মধ্যে কেঁদে চলেছে । তাই ‘ মানুষ বড়ো বাঁদছে । এই নামকরণটিও একেবারে অযৌক্তিক হতো না । 

কবি কাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করেছেন বলে তোমার মনে হয় ? 

উঃ । যে প্রকৃত মানুষ , যার হৃদয় অন্যের জন্য কেঁদে ওঠে । অন্যের সুখে যে সুখী হয় সেই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন মানুষের কথা কবি বলেছেন । তাদের কাছে কবির অনুরোধ মানুষের পাশে এসে দাঁড়ানোর জন্য । অসহায় মানুষ বড়ো একলা হয়ে পড়েছে । তার পাশে দাঁড়িয়ে তাকে জীবন যুদ্ধে পথ চলার শিক্ষা দেবে এবং দুঃখে তাদের সান্ত্বনা দেবে । এরকম একজন মানুষকে কবি পাশে দাঁড়াতে বলেছেন । 

৭. কবিতাটি চলিত বাংলায় লেখা শুধু একটি শব্দ সাধু ভাষা । শব্দটি খুঁজে বার করো এবং শব্দটিকে এভাবে ব্যবহার করেছেন কেন কৰি ? 

উঃ । শব্দটি হলো — তাহার । কবি মানুষকে সম্মান দিতে চেয়েছেন । কেন অসংখ্য মানুষজন অসহায় — এই অসহায়তা বোঝাতে ‘ তাহার ‘ কথাটি কবি ব্যবহার করেছেন ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | অবনী বাড়ি আছো

Q1. অবনী বাড়ি আছো কবিতা অবনী কে

Ans – এখানে ‘অবনী’ হলো কবি নিজেই।

Q2. অবনী বাড়ি আছো কবিতা প্রকাশকাল

Ans – অবনী বাড়ি আছো কবিতা ১৯৬৫ সালের অক্টোবরে (আশ্বিন ১৩৭২ বঙ্গাব্দ) বীক্ষণ প্রকাশ ভবন কর্তৃক প্রকাশিত হয়।

Q3.অবনী বাড়ি আছো কবিতার উৎস কি

Ans – অবনী বাড়ি আছো কবিতার উৎস “ধর্মে আছো জিরাফেও আছো কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত

Q4. অবনী বাড়ি আছো কবিতা কে দুয়ার চেপে ধরে

Ans – সবুজ নালি ঘাস

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।