কুরবানির প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

কুরবানী বিষয়ক কিছু গুরুত্ব পূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

একজন সচ্ছল ও সামর্থবান ব্যক্তির উপর কয়টি কুরবানী করা ওয়াজিব ?

উত্তরঃ সচ্ছল ও সামর্থবান পূর্ণবয়স্ক মুসলমানের উপর একটি কুরবানী করা ওয়াজিব। যদিও সে অধিক সম্পদের মালিক হোক না কেন? তবে যদি কেউ একাধিক কুরবানী করে তাহলে তা হবে নফল ছাওয়াব।

কতটুকু সম্পদের মালিক হলে কুরবানী ওয়াজিব হয় ?

উত্তরঃ কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার জন্য সচ্ছল ও সামর্থবানের পরিমাণ হল, যাকাতের নেছাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। তবে যাকাতের জন্য নেছাব সমপরিমাণ সম্পদের এক বৎসর অতিবাহিত হতে হবে। কিন্তু কুরবানীর জন্য ঐ সম্পদের এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং ১০ই জিলহজ্ব ফজর হতে ১২ই জিলহজ্ব সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যাকাতের নেছার সমপরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর ঐ সময়ের মধ্যে যে কোন দিন কুরবানী করা ওয়াজিব।

সামর্থের অভাবে কুরবানী করা সম্ভব না হলে, ঋণ করে কুরবানী করা যাবে কি ?

উত্তরঃ পয়সার অভাবে কুরবানী করা সম্ভব না হলে, ঋণ নিয়ে কুরবানী করে পরিবার কিংবা ছেলে-মেয়েদেরকে খুশি করা ও আত্মতৃপ্তি লাভ করার মধ্যে কোন ফায়দা নেই। যার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় সে অন্যের থেকে ধার নিয়ে কুরবানী করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ কুরবানী শুধু কোন তৃপ্তিবোধের বিষয় নয়। বরং এটি একটি ইবাদত। ইবাদত করা ওয়াজিব না হলে তা করার প্রয়োজন কি?

ঋণী ব্যক্তি কুরবানী করবে নাকি তার ঋণ পরিশোধ করবে?

উত্তরঃ ঋণী ব্যক্তি কুরবানী না করে ঋণ পরিশোধ করাই তার কর্তব্য। ঋণী ব্যক্তির কুরবানী করার অর্থ ফরয নামাজ না পড়ে নফল নামায পড়ার ন্যায়, যার কোন প্রয়োজন নেই।

কুরবানী করার সুন্নত নিয়ম কি ?

উত্তরঃ কুরবানী করার সুন্নত পদ্ধতি হলো, যার উপর কুরবানী ওয়াজিব সে নিজের পক্ষ থেকে এবং পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে নিজ হাতে কুরবানী করবে। কুরবানীর পশু একটি হোক কিংবা একাধিক হোক অথবা ভাগে করলে একভাগ হোক কিংবা একাধিক ভাগ হোক। একটি পশু বা একভাগ কুরবানী নিজের ও নিজের পরিবারবর্গের জন্য যথেষ্ট।

সচ্ছল মুসাফিরের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে কি?

উত্তরঃ কুরবানী ওয়াজিব হল স্থায়ী অধিবাসীর উপর। মুসাফিরের উপর নয়। যদিও মুসাফির সচ্ছল বা সামর্থবান হয়। তবে কোন মুসাফির যদি সফর থেকে বারোই যিলহজ্ব সূর্যাস্তের পূর্বেই বাড়িতে পৌঁছে তাহলে তার উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।

যে ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব সে যদি বিশেষ কোন কারণে কুরবানী করতে না পারে, তাহলে সে কি করবে ?

উত্তরঃ কুরবানী ওয়াজিব হলে, বিশেষ কোন কারণে কুরবানী করতে না পারলে , এই অবস্থায় যদি সে পূর্বেই কুরবানীর উদ্দেশ্যে কোন পশু খরিদ করে থাকে, তাহলে সেই পশু জীবিত অবস্থায় কাউকে দান করে দেবে। আর কোন পশু খরিদ না করে থাকলে তার কুরবানীর বিনিময়ে একটি ছাগলের মূল্য দান করে দেবে।

মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি?

উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও কুরবানী করা যায়। অবশ্য মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকা করাই উত্তম। এমনিভাবে রাসূল (সঃ) এর পক্ষথেকেও কুরবানী করা যায়।

কয় প্রকারের প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা বৈধ, জানাবেন।

উত্তরঃ- ছয় প্রকারের প্রাণী দ্বারা কুরবানী করা যায়। যথা- উট, মহিষ, গরু, দুম্বা, ছাগল ও ভেড়া। এগুলো ছাড়া অন্য পশু দিয়ে কুরবানী করা জায়েয হবে না।

কুরবানীর পশুর বয়স

উত্তরঃ- দুম্বা, ছাগল, ও ভেড়া কুরবানীর জন্য পূর্ণ এক বৎসর বয়সের হতে হবে। তবে এসব পশু এক বৎসর বয়সের আদৌ পাওয়া না গেলে, তাহলে দেখতে এক বৎসর বয়সের মত লাগে এমন ছয় মাসের পশু দিয়েও কুরবানী করা যাবে। গরু ও মহিষ পূর্ণ দু’বছর বয়সের হতে হবে। আর উট হতে হবে পাঁচ বছর বয়সের । তার কম বয়সের হলে কোনটির কুরবানী জায়েয হবে না।

জবাইয়ের সময় কোরবানিকারীদের নামের তালিকা পাঠ করা আবশ্যক কী না?

উত্তর : এটি জরুরি কিংবা আবশ্যক নয়, তবে নাম উচ্চারণ করা মুস্তাহাব। সহিহ মুসলিমের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- রাসূলে কারিম সা: কোরবানির পশু জবাই করার সময় বলেছিলেন, ‘আল্লাহর নামে কোরবানি করছি। হে আল্লাহ! আপনি এটিকে মুহাম্মাদ, তার পরিবারবর্গ ও তার উম্মতের পক্ষ থেকে কবুল করুন।’ (সহিহ মুসলিম-১৯৬৭) অতএব যাদের পক্ষ থেকে কোরবানি করা হবে, জবাইয়ের আগে তাদের নাম উল্লেখ করা মুস্তাহাব। যদি বলা হয়- ‘হে আল্লাহ! অমুকের সন্তান অমুকের তরফ থেকে কবুল করে নিন’ এরপর ছুরি চালনা করলে মুস্তাহাব আমলের সওয়াব পাওয়া যাবে। তবে এটি জরুরি বা আবশ্যক নয়।

গোশত তিন ভাগ করা কি জরুরি?

উত্তর : যার যার ভাগের অংশকে তিন ভাগে ভাগ করে এক ভাগ নিজের জন্য, এক ভাগ আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীর জন্য কোরবানি করেছেন এমন আত্মীয় এবং প্রতিবেশীদেরও দেয়া যাবে, আরেক ভাগ গরিব-দুঃখী মানুষের জন্য। এরূপ বণ্টন করা মুস্তাহাব। কিন্তু এরূপ তিন ভাগ করা জরুরি কিংবা আবশ্যক নয়। এতে হেরফের বা কমবেশি করলে কোনো অসুবিধা নেই। আপনি চাইলে গরিবকে একটু বাড়িয়ে দিলেন কিংবা প্রতিবেশীর জন্য একটু বেশি রাখলেন কিংবা আপনি নিজের জন্য একটু বেশি রাখলেন, এতে কোরবানির কোনো ক্ষতি হবে না। তবে আবশ্যক নয় বলে পুরোটা নিজে খাওয়া মানবিকতার দিক থেকে অনুচিত।

কোরবানির গোশত কত দিন ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে?

উত্তর : কোরবানির গোশত যত দিন ইচ্ছা ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে। এটি একান্তই প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। এ ব্যাপারে শরিয়ত কোনো সীমা নির্ধারণ করে দেয়নি।

কুরবানির নেসাব

কুরবানির নেসাব হলো-স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি। রুপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে হিসাব হলো-এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা/ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর সোনা-রুপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা/ভরি রুপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায় তাহলে তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব।

কুরবানির প্রচলিত ভুল ও কুসংস্কার ধারণা

  • কোনো কোনো এলাকায় কুরবানির পশুর খাদ্য নালি নিয়ে ঘরের সামনে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়। আর মনে করা হয় এর মধ্যে রয়েছে অনেক পূণ্য, আসলে এ ধারণা অবান্তর।
  • কোনো কোনো এলাকায় প্রচলন আছে, যে সমস্ত গাছের আমে পোকা হয়, সে সমস্ত গাছে বসে কুরবানির গোস্ত খেয়ে হাঁড়গুলো গাছে ঝুলিয়ে রাখলে পোকা হয় না, অথচ এধরনের ধারণা অমূলক ও বর্জনীয়।
  • কোনো কোনো এলাকাতে জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কুরবানির দিন পর্যন্ত মুরগি ইত্যাদি জবেহ না করা এবং আদৌ গোস্ত না খাওয়ার যে রীতি ও রেওয়াজ রয়েছে শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই ।
  • অনেক এলাকায় পশুর বয়স অনুপাতে দাঁত গজিয়েছে কি-না তা যাচাই করা হয়, কিন্তু বয়সের ক্ষেত্রে দাঁত গজানো না গজানোর ওপর নির্ভর করা যায় না; বরং বয়সের সঠিক ধারণা হলো দাঁত না গজালেও কুরবানি হবে, আর বয়স কম হলে দাঁত গজালেও তার দ্বারা কুরবানি হবে না ।
  • জন্তু ক্রয় করার পর লাল সালু দিয়ে সাজ-সজ্জা করা, এবং পুষ্পমালা দিয়ে গলিতে গলিতে নেয়া হয় এবং জনশ্রæতি ও বাহবা পাওয়ার জন্য জন্তুকে এদিক সেদিক ঘুরানো হয়। এটা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও কুসংস্কার। তাই এ সমস্ত গর্হিত কাজ থেকে আমাদের বিরত থাকা অতিব জরুরি।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

কুরবানির মাসআলা, কুরবানির আধুনিক মাসআলা

  • ১ মাসআলা: যার ওপর ছদকা ফিতর ওয়াজিব তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব। আর যে এমন সম্পদশালী নয় তার ওপর কুরবানি করা ওয়াজিব হবে না। কিন্তু ওয়াজিব না হওয়া সত্ত্বেও যদি করতে পারে, তবে সওয়াব পাবে।
  • ২ মাসআলা: মুসাফিরের ওপর (যখন সে তার ঘরবাড়ি ও এলাকার বাইরে সফরে থাকে) কুরবানি ওয়াজিব নয়।
  • ৩ মাসআলা: ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত এই তিনদিন কুরবানি করার সময়। এই তিন দিনের মধ্যে যেদিন ইচ্ছা সেদিনই কুরবানি করা যায়; কিন্তু প্রথম দিন সবচেয়ে উত্তম, তারপর দ্বিতীয় দিন ও তারপর তৃতীয় দিন।
  • ৪ মাসআলা: ঈদুল আজহার নামাজের আগে কুরবানি করা জায়েজ নয়। ঈদের নামাজের পর কুরবানি করতে হবে।
  • ৫ মাসআলা: ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানি করা জায়েজ। সূর্যাস্তের পর আর কুরবানি হবে না।
  • ৬ মাসআলা: কুরবানির তিনদিনের মধ্যে যে দু’টি রাত অন্তুর্ভূক্ত, সেই দুই রাতেও কুরবানি করা জায়েজ। কিন্তু রাতের বেলায় জবাই করা ভালো নয়। যদি কোনো একটি রগ কাটা না হয় তবে কুরবানি জায়েজ হবে না।
  • ৭ মাসআলা: কেউ জিলহজের ১০ বা ১১ তারিখে সফরে ছিল বা গরীব ছিল, কিন্তু ১২ তারিখে সূর্যাস্তের আগে সে বাড়ি এসেছে বা কোনোভাবে সম্পদশালী হয়েছে অথবা কোথাও ১৫ দিন থাকার নিয়ত করেছে, এসব অবস্থায় তার কুরবানি ওয়াজিব হবে।
  • ৮ মাসআলা: নিজের কুরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা মুস্তাহাব। যদি নিজে জবাই করতে না পারে, তবে অন্যের দ্বারা জবাই করা যাবে। কিন্তু নিজে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ভালো। মেয়েরা পর্দার ব্যাঘাত হয় বলে যদি সামনে উপস্থিত না থাকতে পারে, তবে তাতে কোনো ক্ষতি নেই।
  • ৯ মাসআলা: কুরবানি করার সময় মুখে নিয়ত করা ও দোআ উচ্চারণ করা জরুরি নয়। শুধু মনে চিন্তা করে নিয়ত করে মুখে শুধু বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার বলে জবাই করলে তার কুরবানিও জায়েজ হবে। কিন্তু স্মরণে থাকলে জায়েজ হলেও উক্ত দোআ দু’টি পড়া বেশি উত্তম।
  • ১০ মাসআলা: কুরবানি শুধু নিজের পক্ষ থেকে ওয়াজিব হয়। এমন কি অপ্রাপ্তবয়স্ক সন্তান যদি সম্পদের মালিক হয়, তবুও তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয় ও মা-বাবার উপরও ওয়াজিব নয়। যদি কেউ সন্তানের পক্ষ থেকে কুরবানি করতে চায়, তবে তার নফল কুরবানি হবে। কিন্তু অপ্রাপ্তবয়স্কের সম্পদ থেকে কিছুতেই কুরবানি হবে না।

কুরবানির বাহাস

ঈমাম সাহেবের সাথে কুরবানির যে প্রসঙ্গে বাহাস

  • জুমা মসজিদের ইমাম সাহেব কোরবানির ফজিলত, নিয়ম কানুন ইত্যাদি বয়ান করলেন। এক পর্যায়ে বললেন , আপনারা ৪০ হাজার ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কোরবানির গরু কিনেন অথচ যে হুজুর গরু জবাই করে তাকে ২/৩ শ টাকা দিতে পারেন না, এটা লজ্জা জনক ।
  • হুজুরকে দিয়ে গরু জবাই দিতে হবে কেন ?
  • ইমাম সাহেব যেন শক খেলেন । হাজেরিনে মজলিস থেকে এধরণের নাদান প্রশ্ন আসতে পারে এটা বোধ হয় উনার কল্পনায় ছিল না । মজলিস ও আমার দিকে ” বেয়াদব ছেলেতো ” টাইফ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ।
  • যতদূর জানি কোরবানি দাতার নিজ হাতে কোরবানি করা উত্তম ।
  • আপনি কিন্তু একবারও কোরবানি দাতার নিজ হাতে কোরবানি করা যে উত্তম একথা বলেননি।
  • ইমাম সাহেব বললেন , অশিক্ষিত মানুষ জন ঠিক মত সুরা কেরাত জানেনা, ভুল ত্রুটি হলে কোরবানিটাই বরবাদ হয়ে যাবে ।

কুরবানীর ইতিহাস, উদ্দেশ্য ও কতিপয় বিধান Pdf

কুরবানির প্রশ্ন উত্তর, বাংলা কুরআন শরীফ

আল-কুরআন: বাংলা উচ্চারণ ও বাংলা অনুবাদ



আল-কুরআন: আরবি থেকে বাংলা, উচ্চারণ এবং বাংলা অনুবাদ হল প্রখ্যাত লেখক, গোলাম আহমদ মুর্তজা কর্তৃক বাংলায় সবচেয়ে সহজ অনুবাদ। অডিও সক্ষম বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে, প্রতিটি অধ্যায় দুটি ভিন্ন QR দিয়ে শুরু হয়, যা শোনার জন্য স্মার্ট ফোন জুড়ে স্ক্যান করা যেতে পারে

কুরবানির প্রশ্ন উত্তর

মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি?
উত্তরঃ মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও কুরবানী করা যায়। অবশ্য মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকা করাই উত্তম। এমনিভাবে রাসূল (সঃ) এর পক্ষথেকেও কুরবানী করা যায়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।