তুরস্ক কোন মহাদেশে অবস্থিত, তুরস্কের রাজধানীর নাম কি, তুরস্কের মুদ্রার নাম কি, তুরস্ক জনসংখ্যা কত

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

তুরস্ক কোন মহাদেশে অবস্থিত

তুরস্ক দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার আনাতোলিয়া উপদ্বীপের সম্পূর্ণ অংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তের অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত। ফলে ভৌগলিকভাবে দেশটি একই সাথে ইউরোপ ও এশিয়ার অন্তর্ভুক্ত। আলাতোলীয় অংশটি তুরস্কের প্রায় ৯৭% আয়তন গঠন করেছে।

এটি মূলত একটি পর্বতবেষ্টিত উচ্চ মালভূমি। আনাতোলিয়ার উপকূলীয় এলাকায় সমভূমি দেখতে পাওয়া যায়। তুরস্কের দক্ষিণ-ইউরোপীয় অংশটি ত্রাকিয়া নামে পরিচিত; এটি আয়তনে তুরস্কের মাত্র ৩% হলেও এখানে তুরস্কের ১০% জনগণ বাস করে। এখানেই তুরস্ক ও গোটা ইউরোপের সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তানবুল অবস্থিত (জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১৩ লক্ষ)।

ভূমধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে সংযুক্তকারী বসফরাস প্রণালী, মার্মারা সাগর ও দার্দানেলেস প্রণালী ত্রাকিয়া ও আনাতোলিয়াকে পৃথক করেছে।

তুর্কীরা নিজেদেরকে ইউরোপীয় ভাবতে গর্ববোধ করে যদিও তুরস্কের সামান্য একটা অংশ ইউরোপে পরেছে। মূলত ইউরোপ কোন আদর্শিক বা সাংস্কৃতিক ব্যাপার না বরং একটা ভৌগোলিক ব্যাপার। পশ্চিমে গ্রীনল্যান্ড থেকে শুরু করে পূর্বে উরাল পর্বতমালা পর্যন্ত দক্ষিণপূর্বে ককেশাস পর্বতমালা ও দক্ষিণে ভুমধ্যসাগর ও মর্মর উপসাগর ইউরোপকে এশিয়া থেকে ভৌগোলিকভাবে আলাদা করে রেখেছে।

সেই হিসেবে তুরস্কের মর্মর উপসাগর এর বসফরাস প্রণালির পশ্চিম এর অংশ ইউরোপ যেটাকে থ্রেস বা তাকরিয়া বা রুমেলি বলে। আর বসফরাস এর পূর্বের অংশ এশিয়া যেটাকে আনাতোলিয়া বা এশিয়া মাইনর বলে। যদিও তুরস্কের ভূখণ্ডের মাত্র ৩% ও জনসংখ্যার ১০% ইউরোপ অংশে তবুও তারা নিজেদেরকে ইউরোপিয়ান ভাবে।

তুরস্কের আয়তন কত

তুরস্কের আয়তন ৭,৮৩,৩৫৬ বর্গ কিলোমিটার।

তুরস্ক পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একটি রাষ্ট্র। তুরস্কের প্রায় পুরোটাই এশীয় অংশে, পর্বতময় আনাতোলিয়া বা এশিয়া মাইনর উপদ্বীপে পড়েছে।

তুরস্কের বাকী অংশের নাম পূর্ব বা তুর্কীয় থ্রাস এবং এটি ইউরোপের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় অবস্থিত। এই অঞ্চলটি উর্বর উঁচু নিচু টিলাপাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তাম্বুল অবস্থিত।

সামরিক কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটি জলপথ এশীয় ও ইউরোপীয় তুরস্ককে পৃথক করেছে মার্মারা সাগর, এবং বসফরাস প্রণালী ও দার্দানেলেস প্রণালী। এই তিনটি জলপথ একত্রে কৃষ্ণ সাগর থেকে এজিয়ান সাগরে যাবার একমাত্র পথ তৈরি করেছে।

তুরস্কের পশ্চিমে এজিয়ান সাগর ও গ্রিস ও বুলগেরিয়া; উত্তর-পূর্বে জর্জিয়া, আর্মেনিয়া ও স্বায়ত্বশাসিত আজারবাইজানি নাখচিভান স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র; পূর্বে ইরান; দক্ষিণে ইরাক, সিরিয়া ও ভূমধ্যসাগর, সাইপ্রাস দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত। তুরস্কের উপকূল দেশটির সীমান্তের তিন-চতুর্থাংশ গঠন করেছে।

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব ও উত্তর-পশ্চিমে আছে উর্বর সমভূমি। পশ্চিমে আছে উঁচু, অনুর্বর মালভূমি। পূর্বে আছে সুউচ্চ পর্বতমালা। দেশের অভ্যন্তরের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হলেও ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলের জলবায়ু মৃদু।

তুরস্কের রাজধানীর নাম কি

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা আনাতোলিয়াতেই অবস্থিত।

ঐতিহাসিকভাবে আঞ্চিরা ও অ্যাঙ্গোরা নামে পরিচিত। আনাতোলিয়ার মধ্য অংশে অবস্থিত এই শহরের জনসংখ্যা সদরে ৫১ লাখ ও আঙ্কারা প্রদেশে ৫৭ লাখ, ইস্তাম্বুলের পরে এটি তুরস্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।

ইউরোপ সঙ্গমস্থলে অবস্থিত বলে তুরস্কের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিবর্তনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব পড়েছে। গোটা মানবসভ্যতার ইতিহাস জুড়েই তুরস্ক এশিয়া ও ইউরোপের মানুষদের চলাচলের সেতু হিসেবে কাজ করেছে। নানা বিচিত্র প্রভাবের থেকে তুরস্কের একটি নিজস্ব পরিচয়ের সৃষ্টি হয়েছে এবং এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতির প্রভাব পড়েছে এখানকার স্থাপত্য, চারুকলা, সঙ্গীত ও সাহিত্যে। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনও অনেক অতীত ঐতিহ্য ও রীতিনীতি ধরে রাখা হয়েছে। তবে তুরস্ক বর্তমানে একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানকার অধিকাংশ লোকের ধর্ম ইসলাম এবং মুখের ভাষা তুর্কি ভাষা।

বহু শতাব্দী ধরে তুরস্ক ছিল মূলত কৃষিপ্রধান একটি দেশ। বর্তমানে কৃষিখামার তুরস্কের অর্থনীতির একটি বড় অংশ এবং দেশের শ্রমশক্তির ৩৪% এই কাজে নিয়োজিত। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তুরস্কতে শিল্প ও সেবাখাতের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বিশেষত অর্থসংস্থান, পরিবহন, এবং পেশাদারী ও সরকারি সেবায়। অন্যদিকে কৃষির ভূমিকা হ্রাস পেয়েছে। টেক্সটাইল ও বস্ত্র শিল্প দেশের রপ্তানির প্রধান উৎস।

অর্থনৈতিক রূপান্তরের সাথে সাথে নগরায়নের হারও অনেক বেড়েছে। বর্তমানে তুরস্কের ৭৫% জনগণ শহরে বাস করে। ১৯৫০ সালেও মাত্র ২১% শহরে বাস করত। জনসংখ্যার ৯০% তুরস্কের এশীয় অংশে বাস করে। বাকী ১০% ইউরোপীয় অংশে বাস করে।

তুরস্কের মুদ্রার নাম কি

তুরস্কের মুদ্রার নাম তুর্কি লিরা (₺) (TRY)।

১৯২৩ সালে তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর দেশটিতে অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। পরবর্তী ছয় দশকব্যাপী অর্থাৎ ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত সে উন্নয়ন প্রচেষ্টা একই ধারাবাহিকতায় চলতে থাকে। এরপর অধিকতর উন্নয়নের জন্য ১৯৮৩ সালে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তুরগুত ওজাল। তিনি বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করেন এবং বাজার অর্থনীতির প্রসার ঘটান। এই সংস্কারের ফলে প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। কিন্তু অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ১৯৯৪ সালে এই প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।

১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ধাক্কা লাগে। এসব সমস্যার কারণে ১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত গড় প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৪ শতাংশ। ২০০১ সালের সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যার পর নতুন করে সংস্কার কর্মসূচি শুরু করেন অর্থমন্ত্রী কামাল দারবিশ। তার সংস্কারের ফলে মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব অনেক কমে যায়। তুরস্ক তার বাজার ধীরে ধীরে মুক্ত করতে শুরু করে। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির হার ছিল গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০০৮ সালে দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫ দশমিক ৪ শতাংশ।

২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা তুরস্কেও লাগে। দেশটির অর্থমন্ত্রী জানান, এ বছর ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ হচ্ছে ২৩ দশমিক ২ বিলিয়ন তুর্কি লিরা। ২০০৭ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তুরস্কে মোট জাতীয় আয়ের ৮ দশমিক ৯ শতাংশ আসে কৃষি থেকে, ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ আসে শিল্পখাত থেকে এবং ৫৯ দশমিক ৩ শতাংশ আসে সেবাখাত থেকে।

তুরস্কের পর্যটন শিল্প দেশটির অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রেখে চলছে। ২০০৮ সালে দেশটিতে পর্যটকের সংখ্যা ছিল তিন কোটি ৯ লাখ ২৯ হাজার ১৯২ জন। যাদের কাছ থেকে কর আদায় হয় দুই হাজার ১৯০ কোটি ডলার।

এ ছাড়া তুর্কি অর্থনীতির অন্যান্য খাতের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ব্যাংকিং খাত, নির্মাণ খাত, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ, তেল, পরিশোধন, খাদ্য, লোহা, স্টিল, অটোমোটিভ ইত্যাদি। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী অটোমোটিভ তৈরির দিক থেকে তুরস্কের অবস্থান বিশ্বে ১৭তম।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপকভাবে কমে এসেছে। ১৯৯৫ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে এক চুক্তি করে তুরস্ক। ২০০৭ সালে বিদেশী বিনিয়োগ থেকে তুরস্কের আয় হয়েছে দুই হাজার ১৯০ কোটি ডলার।

উন্নত অর্থনীতির দেশ এটি। দেশটির স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন মান ভারতের এক চতুর্থাংশ ।

তুরস্ক জনসংখ্যা কত

তুরস্কের জনসংখ্যা প্রায় সাত কোটি ১৫ লাখ।

দেশটির জন্মহার গড়ে ১ দশমিক ৩১। প্রতি বর্গকিলোমিটারে এর জনসংখ্যা ৯২ জন। এর মধ্যে শহরে বসবাস করে ৭০ দশমিক ৫ জন। ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী লোক রয়েছে ৬৬ দশমিক ৫ শতাংশ। শূন্য থেকে ১৪ বছরে বয়সী লোকের সংখ্যা ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ। ৬৫ বছরের বেশি বয়সী লোকের সংখ্যা ৭ দশমিক ১ শতাংশ।

সিআইএ ফ্যাক্টবুক অনুসারে তুর্কি পুরুষের গড় আয়ু ৭০ দশমিক ৬৭ বছর ও মহিলাদের গড় আয়ু ৭৫ দশমিক ৭৩ বছর। মোট জনসংখ্যার গড় আয়ু ৭৩ দশমিক ১৪ বছর।

তুরস্ক কিসের জন্য বিখ্যাত

তুরস্ক তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক দৃশ্যের জন্য পরিচিত। এটি প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, সুন্দর সৈকত, জমজমাট বাজার এবং প্রাণবন্ত শহরগুলির মিশ্রণ সহ পূর্ব এবং পশ্চিমা প্রভাবের অনন্য মিশ্রণের জন্য বিখ্যাত। কাবাব, বাকলাভা এবং তুর্কি আনন্দের মতো খাবার সহ দেশটি তার সুস্বাদু খাবারের জন্যও বিখ্যাত।

তুরস্ক প্রাচ্য এবং ইউরোপীয় উভয় উপাদানের বিচিত্র সেটের জন্য বিখ্যাত – ঐতিহ্যবাহী তুর্কি চা থেকে রাজকীয় হাগিয়া সোফিয়া পর্যন্ত। এটি তার কার্পেট, হাম্মাম এবং বাজার, ইস্তাম্বুল এবং ক্যাপাডোসিয়ার মতো গন্তব্য এবং তুর্কি আনন্দ এবং বাকলাভার মতো মিষ্টি খাবারের জন্যও বিখ্যাত।

যে জিনিসগুলোর জন্য তুরস্ক বিখ্যাত

  • ইস্কেন্দার কাবাব: মৃত্যুর জন্য।
  • তুর্কি সোপ অপেরায় আবদ্ধ হন।
  • স্যুভেনির এভিল আই।
  • ইস্তাম্বুল : তুরস্কের সবচেয়ে বিখ্যাত শহর।
  • তুর্কি কার্পেট এবং রাগ.
  • সুস্বাদু তুর্কি আনন্দ।
  • চুল প্রতিস্থাপন এবং দাঁতের কাজ।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের নাম কি

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের নাম রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।

রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান হলেন তুরস্কের ১২তম রাষ্ট্রপতি যিনি ২০১৪ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০১ সালে তিনি একে পার্টি (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টি বা একেপি) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার অল্প দিনের মধ্যেই দলটি জনসমর্থনের মাধ্যমে এক নম্বর অবস্থানে চলে আসে।

দলটি ১৯৮৪ সালের পর প্রথমবার তুরস্কের ইতিহাসে একদলীয় দল হিসেবে এবং পরপর ৪ বার (২০০২, ২০০৭, ২০১১,২০১৪) সাংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়। রাষ্ট্রপতি হবার পূর্ব পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন এই দলের সভাপতি ও প্রধান দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পুর্বেও ২০০৩ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরষ্কের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং তার পূর্বে ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্যিক প্রবেশাধিকারের চুক্তি, বিগত দশবছর ধরে চলাকালীন মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও তুর্কি লিরার (তুর্কি মুদ্রা) মুল্য পুনর্নিধারণ, সুদের হার কমানো,অতীতে উসমানীয় শাসনাধীন দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিশ্বমহলে নেতৃস্থানীয় ও সৌহার্দ্যপুর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠাপ্রাপ্তিকে মুল লক্ষ্য রেখে বৈদেশিক নীতি গ্রহণ (নব্য-উসমানবাদ), বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সফলভাবে নিয়ন্ত্রণ, প্রভৃতি কারণে বিশ্বমহলে তিনি ব্যাপকভাবে আলোচিত।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের তালিকা

নিম্নে তুরস্কের রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের একটি তালিকা দেওয়া হলো। তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ১৯২৩ সালে প্রজাতান্ত্রিক সময়কালের সূচনা থেকে বারো জন রাষ্ট্রপ্রধান এই পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

ক্রমিক
নং
নামক্ষমতা গ্রহণক্ষমতা ত্যাগমেয়াদকালরাজনৈতিক
দল
মোস্তফা কামাল
আতাতুর্ক
২৯ অক্টোবর
১৯২৩ ১ নভেম্বর
১৯২৭ ৪ মে
১৯৩১ ১ মার্চ
১৯৩৫
১ নভেম্বর
১৯২৭ ৪ মে
১৯৩১ ১ মার্চ
১৯৩৫ ১০ নভেম্বর
১৯৩৮[ক]
১৫ বছর
১২ দিন
প্রজাতান্ত্রিক জনতা দল
ইসমত ইনোনু১১ নভেম্বর
১৯৩৮ ৩ এপ্রিল
১৯৩৯ ৮ মার্চ
১৯৪৩ ৫ আগস্ট
১৯৪৬
৩ এপ্রিল
১৯৩৯ ৮ মার্চ
১৯৪৩ ৫ আগস্ট
১৯৪৬ ২৭ মে
১৯৫০
১১ বছর
১৯৭ দিন
প্রজাতান্ত্রিক জনতা দল
জালাল বায়ার২৭ মে
১৯৫০ ১৪ মে
১৯৫৪ ১ নভেম্বর
১৯৫৭
১৪ মে
১৯৫৪ ১ নভেম্বর
১৯৫৭ ২৭ মে
১৯৬০[খ]
১০ বছরডেমোক্র্যাট পার্টি
জেমাল গুর্সেল১০ অক্টোবর
১৯৬১
২ ফেব্রুয়ারি
১৯৬৬[গ]
৪ বছর
১১৫ দিন
স্বতন্ত্র
জেভদেত সুনাই২৮ মার্চ
১৯৬৬
২৮ মার্চ
১৯৭৩
৭ বছরস্বতন্ত্র
ফাহরি কোরুতুর্ক৬ এপ্রিল
১৯৭৩
৬ এপ্রিল
১৯৮০
৭ বছরস্বতন্ত্র
কেনান এভরেন৯ নভেম্বর
১৯৮২
৯ নভেম্বর
১৯৮৯
৭ বছরস্বতন্ত্র
তুর্গুত ওজাল৯ নভেম্বর
১৯৮৯
১৭ এপ্রিল
১৯৯৩[ঘ]
৩ বছর
১৫৯ দিন
মাতৃভূমি দল
সুলেমান দেমিরেল১৬ মে
১৯৯৩
১৬ মে
২০০০
৭ বছরসত্যপথ দল
১০আহমেত নেজদেত সেজার১৬ মে
২০০০
২৮ আগস্ট
২০০৭
৭ বছর
১০৪ দিন
স্বতন্ত্র
১১আবদুল্লাহ গুল২৮ আগস্ট
২০০৭
২৮ আগস্ট
২০১৪
৭ বছরন্যায়বিচার ও উন্নয়ন দল
১২রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান১৮ আগস্ট
২০১৪
ক্ষমতাসীন৯ বছর, ১২৬ দিনন্যায়বিচার ও উন্নয়ন দল
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের তালিকা
আরো অন্যান্য প্রশ্নোত্তরের সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | তুরস্ক

Q1. আধুনিক তুরস্কের জনক কে

Ans – মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক। তাঁকে আধুনিক তুরস্কের জনক বলা হয়।

Q2. তুরস্কের ভাষার নাম কি

Ans – একমাত্র সরকারি ভাষা তুর্কি বাদে লুসানের চুক্তি অনুসারে, সরকারীভাবে স্বীকৃত সংখ্যালঘু ভাষাগুলি হল আর্মেনিয়ান, গ্রীক এবং হিব্রু।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।