সমভূমি কাকে বলে, পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমির নাম কি

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

সমভূমি কাকে বলে

সমুদ্র সমতল থেকে প্রায় সম উচ্চতায় সুবিস্তৃত স্থলভাগকে সমভূমি বলা হয়।

তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকশো মিটার উঁচুতেও সমভূমি গঠিত হতে পারে। সমভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কয়েকশত ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় অবস্থিত হতে পারে।

সমভূমিতে মৃদু ঢাল বিশিষ্ট ভূমি, ছোট ছোট টিলা, পাহাড় এবং নদী উপত্যকার উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। পৃথিবীর মোট স্থলভাগের প্রায় অর্ধেক সমভূমি। মানুষের আবাস এবং অর্থনৈতিক কামকাণ্ড সমভূমিতে সংঘটিত হয়।

সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশে সমভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি আফ্রিকা মহাদেশে সমভূমির পরিমাণ সবচেয়ে কম। ইউরেশিয়ার উত্তরাংশ জুড়ে পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমি অবস্থিত। ভূ-তাত্ত্বিক গঠনের দিক দিয়ে সমভূমিগুলো যথেষ্ট বৈচিত্র্যপূর্ণ।

উদাহরণ : নদী অববাহিকা ও সমুদ্র উপকূল অঞ্চলে সমভূমি গড়ে ওঠে। ভারতের সিন্ধু-গঙ্গা-ব্রক্ষ্মপুত্র সমভূমি, রাশিয়ার সাইবেরিয়া সমভূমি, মিশরের নীল নদ উপত্যকা, উত্তর আমেরিকার মিসিসিপি-মিসৌরি উপত্যকা প্রভৃতি পৃথিবী বিখ্যাত সমভূমি। সাইবেরিয়া সমভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমি।

সমভূমির বৈশিষ্ট্য

সমভূমিতে সাধারণত কোনো উচ্চভূমি, নিম্নভূমি বা খাড়া ঢাল থাকে না। তবে সামান্য উঁচু-নিচু বা বন্ধুর হতে পারে। সমভূমিসমূহ সাধারণত মহাদেশের সীমান্তে মহাসাগরের তীরে অথবা মহাদেশীয় ভূ-ভাগের অভ্যন্তরে হতে পারে।

1) সমভূমির উচ্চতা বেশ কম, সমভূমির ঢালও বেশ কম।
2) সমভূমি সাধারণত পলি দ্বারা গঠিত হয়।
3) বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সমভূমিগুলি অবস্থান করে।
4) ভূপৃষ্ঠের স্থলভাগের 50% -এর বেশি অংশ সমভূমির অন্তর্গত।
5) এশিয়া, ইউরােপ ও উত্তর আমেরিকা মহাদেশে সমভূমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, আফ্রিকা মহাদেশে সবচেয়ে কম।

সমভূমির শ্রেণিবিভাগ

অবস্থান ও গঠনপ্রণালির ওপর ভিত্তি করে পৃথিবীর সমভূমিকে নিম্নলিখিত ভাগে বিভক্ত করা যায়।

ক্ষয়জাত সমভূমি

বহু উচ্চভূমি দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রকার প্রাকৃতিক শক্তি যেমন- বায়ুপ্রবাহ, সৌরতাপ, বৃষ্টিপাত, পানিস্রোত, হিমবাহ প্রভৃতি দ্বারা ক্ষয় হয়ে ধীরে ধীরে অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমিতে পরিণত হয়। এ জাতীয় সমভূমিকে ক্ষয়জাত সমভূমি বলে।

ইউরোপের ফিনল্যান্ড ও উত্তর আমেরিকার হাডসন উপসাগর তীরবর্তী সমভূমি ক্ষয়জাত সমভূমির উদাহরণ।

হৈমবাহিক সমভূমি

উচ্চ পর্বতগাত্র হতে বরফের প্রবাহ বা হিমবাহ নিচের দিকে নেমে আসার সময় প্রবল বর্ষণে ভূমি ক্ষয় হয়ে সমভূমিতে রূপান্তরিত হয়। আবার হিমবাহের সাথে যে সকল শিলা, কাঁকর ও নানাবিধ প্রস্তরখন্ড নিচে নেমে আসে সেগুলো সঞ্চিত হতে হতে অসমান ভূমিকে সমভূমিতে পরিণত করে। এভাবে হিমবাহের মাধ্যমে এ জাতীয় সমভূমি সৃষ্টি হয় বলে একে হৈমবাহিক সমভূমি বলে।

এ জাতীয় সুবিস্তৃত সমভূমি উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার উত্তরাংশ, ফিনল্যান্ড, পূর্ব কানাডা এবং সুইডেনে দেখা যায়।

কার্স্ট সমভূমি

চুনাপাথরের বৈশিষ্ট্যমন্ডিত অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ জলধারার মাধ্যমে সৃষ্ট সমভূমিকে কার্স্ট সমভূমি বলে।

যুগোশ্লোভিয়ার কার্স্ট অঞ্চলে এ জাতীয় সমভূমি দেখা যায়। এ কার্স্ট অঞ্চলটি আড্রিয়াটিক সাগরের পূর্ব তীরের সাথে সমান্তরালভাবে প্রায় ৮০ কি. মি. দীর্ঘ এলাকা জুড়ে অবস্থিত। ভূ-গর্ভস্থ জলধারা দ্বারা খড়িমাটি বা চুনাপাথর দ্রবীভূত হয়ে কার্স্ট সমভূমি সৃষ্টি হয়।

সঞ্চয়জাত সমভূমি

বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক শক্তি যেমন- নদী, বায়ুপ্রবাহ ও হিমবাহের মাধ্যমে উচ্চভূমি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে পলিমাটি, কাঁকর, বালু, কর্দম প্রভৃতি নিম্নস্থানে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে সঞ্চয়জাত সমভূমি বলে।

এ জাতীয় সমভূমি যে কোনো ভূমির তুলনায় অধিক উর্বরতাসম্পন্ন। অবস্থান ও গঠনপ্রণালির উপর ভিত্তি করে সঞ্চয়জাত সমভূমিকে নিম্নলিখিত কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যথা

লাভা সমভূমি

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে নির্গত গলিত লাভা দ্বারা ভূ-পৃষ্ঠের যে সমভূমির সৃষ্টি হয়, তাকে লাভা সমভূমি বলে। দাক্ষিণাত্যের উত্তর-পশ্চিমাংশের কৃষ্ণ মৃত্তিকাময় সমভূমিটি লাভা সমভূমির উদাহরণ।

পলিজ সমভূমি

নদীবাহিত কাঁকর, বালি, পলি প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি সৃষ্টি হয় তাকে পলিজ সমভূমি বলে। পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্তীর্ণ সমভূমিগুলো এভাবে গঠিত হয়েছে।

যেমন- মিসিসিপি অববাহিকা, নীল নদের অববাহিকা, গঙ্গা অববাহিকা, হোয়াংহো অববাহিকা প্রভৃতি সমভূমি দীর্ঘদিন যাবৎ পলি সঞ্চিত হয়ে গঠিত হয়েছে। এ জাতীয় সমভূমি কৃষিকাজের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

পলিজ সমভূমিকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা

i) পাদদেশীয় সমভূমি :

পাহাড়ী নদী দ্বারা পর্বতের ঢাল হতে ক্ষয়প্রাপ্ত নানা আকৃতির প্রস্তর ও শিলাখন্ড, কাঁকর, নুড়ি ও বালুকণা প্রভৃতি পর্বতের পাদদেশে সঞ্চিত হয়। এভাবে নদী দ্বারা অবক্ষেপণের ফলে পর্বতের পাদদেশে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে পাদদেশীয় সমভূমি বলে।

যেমন- বাংলাদেশের দিনাজপুর এবং রংপুর জেলার অধিকাংশই পাদদেশীয় সমভূমি।

ii) প্লাবন সমভূমি :

নদীর পরিণত অবস্থাতে বন্যার সময় পানি স্রোতের সাথে বালি, কাঁকর প্রভৃতি এর গতিপথের দু’দিকে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত নিম্নভূমিতে জমা হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে প্লাবন সমভূমি বলে।

iii) ব-দ্বীপ :

নদীর গতিপথের সর্বশেষ পর্যায়ে অর্থাৎ সমুদ্রে পতিত হওয়ার পূর্বে নদীর গতি সর্বাধিক মন্থর থাকে এবং পানিতে পলির পরিমাণ থাকে সর্বাধিক। ফলে নদীর মোহনাতে প্রচুর পরিমাণে পলি সঞ্চিত হয়। এ পলি সঞ্চিত হতে হতে বাংলা মাত্রাহীন ‘ব’ এর মতো যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে ব-দ্বীপ বলে।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ, পাকিস্তানের সিন্ধু, মিশরের নীল, ব্রহ্মদেশের ইরাবতী, চীনের ইয়াংসি, হোয়াংহো, উত্তর আমেরিকার মিসিসিপি, ইতালির পো প্রভৃতি নদীর মোহনায় বিস্তীর্ণ ব-দ্বীপ গঠিত হয়েছে।

গ. লোয়েস সমভূমি :

বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে ধূলিকণা, বালুকা, মাটি প্রভৃতি একস্থান থেকে অন্যস্থানে সঞ্চিত হয়। ভূমির ক্ষয় ও গঠনের ক্রিয়াশীল। বায়ুর দ্বারা দীর্ঘদিনের স্যাক্রিয়ার ফলে ধীরে ধীরে যে সমভূমি গঠিত হয় তাকে লোয়েস সমভূমি বলে।

চীনের পূর্বদিকে হোয়াংহো নদীর উপত্যকায় বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত গোবি মরুভূমির বালুরাশি সঞ্চিত হয়ে লোয়েস সমভূমি সৃষ্টি হয়েছে।

ঘ. উপকূলীয় সমভূমি :

ভূ-আন্দোলনের ফলে মহীসোপান বা মহীঢাল অঞ্চলে অর্থাৎ সমুদ্র তীরের মহাদেশগুলোর প্রাস্তভাগে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে উপকূলীয় সমভূমি বলা হয়।

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাংশের উপকূলে সরু অথচ সুদীর্ঘ উপকূলীয় সমভূমির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

প্লাবন সমভূমি কাকে বলে, পলি গঠিত সমভূমি কাকে বলে

প্লাবনভূমি শব্দের অর্থ বন্যার ফলে সৃষ্টি ভূমি। নদী যখন নিম্ন প্রবাহে বয়ে চলে তখন নদীপাড় থেকে উপত্যকা শেষ সীমা পর্যন্ত বন্যার পুলিশ জমে যে সুবিস্তৃত সমভূমি গঠিত হয় তাকে প্লাবনভূমি বা প্লাবন সমভূমি বলা হয়।

উদাহরণ: সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা প্রকৃতি নদীর নিম্ন প্রবাহে বিস্তৃত প্লাবনভূমি গড়ে উঠেছে।

প্লাবন সমভূমি কিভাবে গঠিত হয়

মধ্য প্রবাহে নদীতে জলস্রোত কম থাকার ফলে কুলি জমে জমে নদী গর্ভ ভরাট অগভীর হয়ে যায় এর ফলে নদীর জলধারণ ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। এর ফলে বন্যা সৃষ্টি হয় এবং নদী বয়ে আনা নূরী, বালি, পলি বন্যার ফলে আশেপাশে সমভূমিতে সঞ্চিত হয়ে মোটা স্তর তৈরি হয় এভাবেই উপত্যকা ক্রমাগত বন্যার পলি দিয়ে ভরাট হয়ে প্লাবনভূমি সৃষ্টি করে।

প্লাবনভূমি নদীর নিম্ন প্রবাহে লক্ষ্য করা যায়।

প্লাবন সমভূমি কোথায় দেখা যায়, বিস্তীর্ণ প্লাবন সমভূমি কোথায় দেখা যায়

নদীর নিম্নপ্রবাহে প্লাবন সমভূমি দেখা যায়।

সাম্প্রতিক কালের প্লাবন সমভূমি

বাংলাদেশের প্রায় ৮০% ভূমি নদীবিধৌত এক বিস্তীর্ণ সমভূমি । সমতল ভূমির উপর দিয়ে অসংখ্য নদী প্রবাহিত হওয়ার কারণে এখানে বর্ষাকালে বন্যার সৃষ্টি হয় । বছরের-পর-বছর এভাবে বন্যার পানির সঙ্গে পরিবাহিত পলিমাটি সঞ্চিত হয়ে প্লাবন সমভূমি গঠিত হয়েছে । এ প্লাবন সমভূমির আয়তন প্রায় ১,২৪,২৬৬ বর্গ কিলোমিটার ।

সমগ্র সমভূমির মাটির স্তর খুব গভীর এবং ভূমি খুবই উর্বর । সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায় , যেমন – দেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অধিকাংশ স্থান , ঢাকা ,টাঙ্গাইল ,ময়মনসিংহ, জামালপুর ,পাবনা ও রাজশাহী অঞ্চলের অংশবিশেষ কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট ,সুনামগঞ্জ ,মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার অধিকাংশ এলাকা এবং কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার পূর্ব দিকের সামান্য অংশ নিয়ে সমভূমি গঠিত ।

এছাড়াও চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অধিকাংশ এবং লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলার কিছু অংশ জুড়ে এ সমভূমির গঠিত । হিমালয় পর্বত থেকে আনীত পলল দ্বারা এই অঞ্চল গঠিত । ফরিদপুর ,কুষ্টিয়া, যশোর ,খুলনা ,বরিশাল, পটুয়াখালী ও ঢাকা অঞ্চলের অংশবিশেষ নিয়ে ব-দ্বীপ সমভূমি গঠিত । নোয়াখালী ও ফেনী নদীর নিম্ন ভাগ থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল হল উপকূলীয় সমভূমি । খুলনা ও পটুয়াখালী অঞ্চল এবং বরগুনা জেলার কিয়দংশ নিয়ে স্রোতজ সমভূমি গঠিত । বাংলাদেশের এ অঞ্চল গুলোর মাটি উর্বর বলে কৃষিজাত দ্রব্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে তা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে ।

গাঙ্গেয় সমভূমি কাকে বলে

উত্তর ভারতের বৃহৎ সমভূমির বৃহৎ অংশ টি হল গাঙ্গেয় সমভূমি। যা ভারতের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের প্রায় 3.75 লক্ষ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। এই সমভূমি অঞ্চল টি মূলত গঙ্গা ও তার অসংখ্য শাখা ও উপনদী র বাহিত পলির সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট বলে, একে গাঙ্গেয় সমভূমি বলা হয়ে থাকে। গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চল কে ভূমিরূপ গত পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে তিনটি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়ে থাকে। 

A) উচ্চ গাঙ্গেয় সমভূমি – গাঙ্গেয় সমভূমির এই অংশটি উত্তরে শিবালিক এর পাদদেশ থেকে দক্ষিনে উপদ্বীপীয় মালভূমি উত্তর সীমানা, পশ্চিমে যমুনা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে বিস্তৃত। উচ্চ গাঙ্গেয় সমভূমির বিস্তার প্রায় 1.49 লক্ষ বর্গ কিমি। 

B) মধ্য গাঙ্গেয় সমভূমি – মধ্য ও পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও বিহার জুড়ে বিস্তৃত গাঙ্গেয় সমভূমির এই অংশের বিস্তৃতি প্রায় 1.44 বর্গ কিমি। 

C) নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমি – গাঙ্গেয় সমভূমির নিম্ন অংশ টি পূর্বে পাটনা ও দার্জিলিং হিমালয়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে গঙ্গা নদীর মোহনা বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই অংশের আয়তন প্রায় 81 হাজার বর্গ কিলোমিটার।

পশ্চিমে যমুনা নদী, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গঙ্গার মােহানা, উত্তরে হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল এবং দক্ষিণে মধ্য ও পূর্বভারতের উচ্চভূমির মধ্যবর্তী বিশাল সমতল অঞ্চলটির নাম গাঙ্গেয় সমভূমি। উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বিস্তৃত এই সমভূমির মােট আয়তন প্রায় ৪ লক্ষ 75 হাজার বর্গকিমি।

রাঢ় সমভূমি কাকে বলে

পশ্চিমে মালভূমি অঞ্চল ও পূর্বে ভাগীরথী ও হুগলি নদীর মধ্যবর্তী সামান্য ঢেউ খেলানো অঞ্চলটি রাঢ় সমভূমি নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং বীরভূম জেলার পূর্বাংশ রাঢ় সমভূমির অন্তর্গত। পশ্চিম মালভূমি অঞ্চলটি গ্রানাইট ও নিস শিলা দ্বারা গঠিত হওয়ায় এখানকার মাটির রঙ লাল।

সমপ্রায় সমভূমি কাকে বলে

পেনিপ্লেন হলো একটি উঁচু ভূমি যা সমতল এবং চারপাশে খাড়া ঢালযুক্ত। এটি একটি পর্বতমালার সমতল অংশ যা ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। পেনিপ্লেনগুলি সাধারণত মালভূমি থেকে ছোট হয় এবং এগুলিতে মালভূমির মতো উচ্চতা থাকে না। পেনিপ্লেনগুলির উচ্চতা সাধারণত ১০০ থেকে ১০০০ মিটার পর্যন্ত হয়।

পেনিপ্লেনগুলির গঠন বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এগুলি সাধারণত হিমবাহ, নদী এবং বায়ু ক্ষয়ের ফলে সৃষ্টি হয়। হিমবাহ ক্ষয়ের ফলে পেনিপ্লেনগুলিতে গভীর খাদ এবং খাঁজকাটা সৃষ্টি হয়। নদী ক্ষয়ের ফলে পেনিপ্লেনগুলিতে গভীর উপত্যকা এবং ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয়। বায়ু ক্ষয়ের ফলে পেনিপ্লেনগুলিতে ছোট ছোট টিলা এবং পাহাড় সৃষ্টি হয়।

পেনিপ্লেনগুলি সাধারণত কৃষি, পশুপালন এবং পর্যটন শিল্পের জন্য উপযোগী। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কৃষি জমি রয়েছে এবং এগুলিতে পশুপালনও করা হয়। পেনিপ্লেনগুলিতে পর্যটন শিল্পও বিকাশ লাভ করেছে।

পলল সমভূমি কাকে বলে

পর্বত বা পাহাড়ের পাদদেশে বা নিম্ন ঢালে নদী দ্বারা বাহিত পলি সজ্জিত হয়ে পাখাসদৃশ্য যে ভূ-ভাগ গড়ে ওঠে তাকে পলল সমভূমি বলা হয়। ২. প্লাবন সমভূমি : নদীর উভয় তীরে বন্যার পানির দ্বারা বাহিত পলি সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে প্লাবন সমভূমি বলে।

পাদদেশীয় সমভূমি কাকে বলে

ক্রমাগত জল এবং বায়ুর ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের ফলে মরুভূমি অঞ্চলে পর্বতের ঢাল ও পাদদেশভাগ যখন পাথরে ঢাকা ঢালু সমতল ভূমিতে পরিণত হয় তখন তাকে পাদদেশীয় সমভূমি বা পেডিমেন্ট বলে । যেমন— আফ্রিকা মহাদেশের সাহারা মরুভূমি অঞ্চলে অ্যাটলাস পর্বতের পাদদেশে পেডিমেন্ট দেখা যায় ।

ক্ষয়জাত সমভূমি কাকে বলে

কোন উচ্চ ভূমি প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সমভূমিতে পরিণত হলে তাকে ক্ষয়জাত সমভূমি বলে

বিভিন্ন বহির্জাত প্রাকৃতিক শক্তির ক্রমাগত ক্ষয় কার্যের ফলে কোনো উঁচু ভূমিরূপ ক্ষয় প্রাপ্ত হয়ে ক্ষয়জাত সমভূমির সৃষ্টি করে।

আরো পড়তে: মালভূমি কাকে বলে, ভারতের উচ্চতম মালভূমির নাম কি

লোয়েস সমভূমি কি

মরুভূমির বালি বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বহুদূর উঠে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি সৃষ্টি হয় তাকে লোয়েস সমভূমি বলে। লোয়েস শব্দের অর্থ সূক্ষ্ম পলি বা স্থানচ্যুত বস্তুকণা। লোয়েস সঞ্চয়ের ফলে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে লোয়েস সমভূমি বলে।

মরুভূমির সূক্ষ্ম বালিরাশি কখনও কখনও বহুদূরে উঁড়ে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে যে সমভূমি সৃষ্টি করে তাকে লোয়েস সমভূমি বলে ।

অতিসূক্ষ্ম বালিকণা বায়ুপ্রবাহ দ্বারা পরিবাহিত হয়ে মরুভূমি সীমানার অনেক দূরে নিয়ে গিয়ে জমা হয়ে যে সমভূমি গঠন করে, তাকে লোয়েস সমভূমি (Loess Plain) বলে । ‘Loess’ শব্দটি জার্মান শব্দ ‘Loss’ থেকে এসেছে, যার অর্থ “সূক্ষ্ম পলি”। বিশিষ্ট জার্মান ভূ-বিজ্ঞানী রিকটোফেন (Richthofen) সর্বপ্রথম লোয়েস চিহ্নিত করেন ।

লোয়েস সমভূমির উদাহরণ

মধ্য এশিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে বালিরাশি শীতকালীন উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুবাহিত হয়ে উত্তর চিনের হোয়াংহো নদীর অববাহিকায় দীর্ঘদিন ধরে বিপুল পরিমাণে সঞ্চিত হয়ে সেখানে এক বিস্তীর্ণ ও উর্বর লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে ।

লোয়েস সমভূমি কোথায় দেখা যায়

পৃথিবীতে মূলতঃ চারটি লোয়েস সমভূমি অঞ্চল দেখা যায় । যথা

  1. এশিয়ার লোয়েস অঞ্চলঃ এশিয়ার উত্তর-পশ্চিম চীনে ৬৪৫ হাজার বর্গকিলোমিটারব্যাপী এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলটি অবস্থিত ।
    উত্তর-পশ্চিম চীনব্যতীত মধ্য-এশিয়ার আরও বিভিন্ন অববাহিকায় লোয়েস দেখতে পাওয়া যায় ।
  2. ইউরোপের লোয়েস অঞ্চলঃ ইউরােপে হিমবাহ সঞ্চিত সূক্ষ্ম বালু ও কর্দম পরে বায়ুবাহিত হয়ে দূরদেশে সঞ্চিত হওয়ার ফলে লােয়েশ গঠিত হয়েছে । জার্মানীতে মধ্য – ইউরােপের উচ্চভূমির উত্তরে যে অঞ্চল বাের্দি ( Borde ) নামে পরিচিত । এছাড়াও মধ্য বেলজিয়ামের নিম্ন – মালভূমি ও ফ্রান্সের উত্তর – পূর্ব এবং পূর্বাংশে লােয়েশ সঞ্চিত হতে দেখা যায় । ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে এটি লিমন ( Limon ) নামে পরিচিত ।
  3. উত্তর আমেরিকার লোয়েস অঞ্চলঃ উত্তর আমেরিকার মিসিসিপি-মিসৌরী নদী উপত্যকা অঞ্চলে লোয়েস সঞ্চয় দেখা যায় । ইলিনয়, আইওয়া এবং নেব্রাস্কার মধ্য দিয়ে দক্ষিণে মেক্সিকো উপসাগর পর্যন্ত এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল লোয়েস দ্বারা আবৃত ।
  4. দক্ষিন আমেরিকার লোয়েস অঞ্চলঃ লোয়েস অবক্ষেপ দক্ষিণ আমেরিকার আর্জেন্টিনার পম্পাসেও দেখতে পাওয়া যায় ।

লোয়েস সমভূমির চিত্র

লোয়েস সমভূমি বৈশিষ্ট্য

লোয়েস সমভূমি – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  1. এর রং হলদে ।
  2. এটি অতি সুক্ষ্ম নরম, প্রবেশ্য ও চুনময় ।
  3. এই মাটি খুবই উর্বর ।
  4. এটি পলি দ্বারা গঠিত,যার মধ্যে কোণবিশিষ্ট কোয়ার্টজ, ফেলসপার, ক্যালসাইট, ডলোমাইট এবং অন্যান্য খনিজের কণা একত্রে সংঘবদ্ধ অবস্থায় থাকে । 
  5. এই মৃত্তিকার প্রস্থচ্ছেদ করলে অসংখ্য উল্লম্ব সরু নল বা টিউবের ন্যায় ছিদ্রপথের অবস্থান দেখা যায় ।
  6. এর সূক্ষ্ম কণাগুলি পরস্পরের সাথে সুসংঘবদ্ধ অবস্থায় থাকে ।
  7. লোয়েসের মধ্যবর্তী অসংখ্য ছিদ্রপথ থাকায় এর মধ্য দিয়ে জল সহজেই অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ।

পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমির নাম কি

পশ্চিম সাইবেরিয়ান সমভূমি

রাশিয়ান জাপাদনো-সিবিরস্কায়া রাভনিনা সমভূমি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অঞ্চল, মধ্য রাশিয়া। এটি পশ্চিমে উরাল পর্বতমালা এবং পূর্বে ইয়েনিসেই নদী উপত্যকার মধ্যে প্রায় 1,200,000 বর্গ মাইল (3,000,000 বর্গ কিমি) এলাকা দখল করে আছে।

জাপানের দুটি সমভূমির নাম, জাপানের দুটি সমভূমির নাম লেখ

জাপানের ভূ – প্রকৃতি পর্বতসঙ্কুল। প্রায় 75 শতাংশ পর্বত এবং বাকি 25 শতাংশ সমভূমি।

এই সমভূমির মধ্যে কান্তো সমভূমিই বৃহত্তম। 45 শতাংশই এর মধ্যেই পড়ে। এর মধ্যে পড়ে তোচিগির কিয়দংশ, ইবারাকি, গুনমা, সাইতামা, চিবা, টোকিও এবং কানাগাবা শহরগুলো।

তাছাড়া আছে, 1. এচিগো সমভূমি, এতে পড়ে নিগাতা শহর, 2. ইশিকারি সমভূমি (হোক্কাইডো এর অন্তর্গত। )

3 . নোবি সমভূমি, (আইচি এবং গিফি শহর সমেত।)। ইত্যাদি।

মানব জীবনে সমভূমির গুরুত্ব

পৃথিবীতে অবস্থিত অন্যান্য যে-কোনো ভূমিরূপের মধ্যে সমভূমির গুরুত্ব সর্বাধিক এবং মানবজীবনে সমভূমির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ সমভূমিকে উপলক্ষ্য করেই মানব জীবনের অধিকাংশ কর্মতৎপরতা পরিচালিত হয়ে থাকে। নিম্নে মানবজীবনের ওপর সমভূমির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব আলোকিত হল

  1. নৌ পরিবহনে সমভূমির প্রভাব: পৃথিবীর অধিকাংশ নদীগুলির বেশিরভাগ অংশই সমভূমির ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীগুলি যোগাযোগের প্রকৃষ্ট মাধ্যম হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সমভূমি অঞ্চলে পরিবহনে নদী সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ এবং কম খরচের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয় বলে অন্যান্য যে-কোনো মাধ্যমের চেয়ে নদী পথে অধিক পণ্য পরিবাহিত হয়। 
  2. স্থল পরিবহনে সমভূমির গুরুত্ব: যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলিও সমভূমিতে সহজেই গড়ে তোলা যায়। ফলে স্থল পরিবহনে সমভূমি সর্বাধিক উন্নত ।
  3. সহজ জলসেচ ব্যবস্থা: সমভূমি অঞ্চলে সহজেই খাল কেটে পুকুর খনন করে, জলাশয় নির্মাণ করে, এমনকী কূপ ও নলকূপ বসিয়ে জলসেচ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
  4. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কৃষি অঞ্চল: সমভূমির অধিকাংশ এলাকা উর্বর, পলিগঠিত এবং সমতল প্রকৃতির হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে ফসল উৎপাদিত হয়ে থাকে। এজন্য সমভূমিগুলি হল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কৃষি অঞ্চল।
  5. ঘনবসতিপূর্ণ: মানুষের বসবাসের এবং জীবিকা অর্জনের সব রকম অনুকূল ভৌগোলিক পরিবেশ বর্তমান বলে সমভূমিগুলি ঘনবসতিপূর্ণ এবং মনুষ্যবসতির সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসাবে বিবেচিত। পৃথিবীর 90% লোক সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করে থাকে।
  6. উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা: ভূমি সমতল বলে এখানে পরিবহন ব্যবস্থাও উন্নত। রেলপথ ও সড়কপথেই কেবল সমভূমি উন্নত নয়, পাতাল রেল, নদীপথ প্রভৃতিতেও এগিয়ে।
  7. শিল্প স্থাপন: কৃষিজ কাঁচামাল, উন্নত পরিবহন ব্যবস্থা, সমতলভূমি, ঘন জনবসতি প্রভৃতি কারণে সমভূমি অঞ্চলে শিল্প গড়ে উঠতে সুবিধা হয় ।
  8. অলসতা: সহজে জীবিকা অর্জন করা যায় বলে সমভূমি অঞ্চলের অধিবাসীরা শ্রমবিমুখ ও অলস প্রকৃতির হয়ে থাকে।
  9. জলসেচ: সমভূমি অঞ্চলে নদী থেকে খাল খনন করা, কূপ ও নলকূপের মাধ্যমে সহজেই জলসেচ ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।
  10. শহর-নগর পত্তন: শিল্প ও ব্যাবসাবাণিজ্যের কেন্দ্র, প্রশাসনিক কেন্দ্র, শিক্ষাকেন্দ্র, যোগাযোগ কেন্দ্র প্রভৃতিকে ভিত্তি করে সমভূমি অঞ্চলে বড়ো বড়ো শহর ও নগর গড়ে ওঠে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | সমভূমি

Q1. সমভূমি কি

Ans – সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে প্রায় সমউচ্চতাবিশিষ্ট বিস্তীর্ণ এবং মৃদু ঢালবিশিষ্ট বিস্তৃত প্রান্তরকে সমভূমি বলে। সমভূমি সমুদ্র সমতলের চেয়ে সামান্য উচুঁ হয়। পৃথিবীর মোট ভূমিরূপের শতকরা প্রায় ৩৬ ভাগ সমভূমি। 

Q2. ভারতের কোন সমভূমি অঞ্চলে উষ্ণতার প্রসর সবচেয়ে বেশি

Ans – গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সমভূমি উষ্ণতার প্রসর সবচেয়ে বেশি।

Q3. লোয়েস সমভূমি কোথায় দেখা যায়

Ans – উত্তর চীনের হোয়াংহো নদী অববাহিকার মধ্যভাগে।

Q4. ভারতের বৃহত্তম সমভূমির নাম কি

Ans – ভারতের বৃহত্তম সমভূমির নাম গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র সমভূমি।

Q5. পৃথিবীর বৃহত্তম ব-দ্বীপ সমভূমি কোনটি

Ans – গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (বঙ্গীয় ব-দ্বীপ বা সুন্দরবন ব-দ্বীপ, ইংরেজি: Ganges Delta বা, Bengal Delta) দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ব-দ্বীপ যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ভিত্তিক ব-দ্বীপ।

Q6. উচ্চ গঙ্গা সমভূমির জলাভূমির মাটি কে কি বলে

Ans – উচ্চ গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলের জলাভূমির মৃত্তিকাকে ধাঙ্কার বলে।

Q7. গভীর সমুদ্রের সমভূমির গড় গভীরতা কত

Ans – সাগরের তলদেশে মহীসোপান, মহীঢালের পরবর্তী বিস্তীর্ণ প্রায় সমতল অংশকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে । গভীর সমুদ্রের সমভূমির গড় গভীরতা ৪,০০০-৬,০০০ মিটার গভীর।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।