ই-লার্নিং কি? ই-লার্নিং-এর যেকোনো দুটি গুণ ব্যাখ্যা কর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক | কম্পিউটার | Computer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

ই-লার্নিং কি? ই-লার্নিং-এর যেকোনো দুটি গুণ ব্যাখ্যা কর

উত্তর: লার্নিংকে একটি শেখার পদ্ধতি হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা ইলেকট্রনিক সংস্থানগুলি প্রধানত কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এটি প্রথাগত শ্রেণীকক্ষ থেকে শুরু করে অনলাইন স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মৌলিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করে এমন সবকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে।

গুণ :-

যেহেতু ই-লার্নিং-এ শিক্ষকরা শেখানোর জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, তাই এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী যে কোনো সময় যে কোনো জায়গায় শিখতে পারে ফলে অনেক সময় এবং অর্থ সাশ্রয় হয়।

ই লার্নিং বলতে কি বুঝ, ই লার্নিং এর প্রকৃতি, ই-লার্নিং এর গুরুত্ব

উত্তর: ই-লার্নিং এর অর্থ হলো ইন্টারনেট থেকে শিক্ষা নেয়া। অর্থাৎ আমরা যদি ইন্টারনেট থেকে কোনো কিছু শিখে থাকি তাহলে সেটাই ই-লার্নিং। ই-লার্নিং এর ক্ষেত্রে ‘ই’ অর্থ ‘ইলেক্ট্রনিক’ বুঝায় অর্থাৎ বৈদ্যুতিক শিক্ষা বা ইলেকট্রনিক শিক্ষা। এ শিক্ষাটি মূলত অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন ধরনের কোর্স দেওয়া থাকে, আপনি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক লার্নিং ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এলিয়ট মাইসি ১৯৯৯ সালে “eLearning” শব্দটি তৈরি করেছিলেন, পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে কম্পিউটারের সূচনার ব্যপকতা এবং সময়ের পালাক্রমে স্মার্টফোন, ট্যাবলেই ইত্যাদি সহজলভ্য হওয়ার ফলে ই-লার্নিং বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয় এবং মানুষ এটিকে সহজেই গ্রহণযোগ্য করে তুলে।

ই লার্নিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

উত্তর: এ ব্যবস্থার সবচেয়ে সুবিধাজনক দিক হলো, নিজের ঘরে বসেই ক্লাশ করা, অভীক্ষার মুখোমুখি হওয়া এবং সনদপত্র অর্জন করা খুব সহজেই সম্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে এখন লিন্ডা, কোর্সেরা, ইউডেমি, ইউডাসিটির মত ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মের সুখ্যাতির কথা মানুষের মুখে মুখে ফিরছে।

বর্তমান সময়ে e-learning এর জনপ্রিয়তা খুব বেশি। মানুষ এখন তার বাসায় বসে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক কোর্স এবং দক্ষতামূলক কোর্স করতে পারে।

  1. এটি অনলাইনে কোর্স সরবরাহ করার একটি খুব দক্ষ উপায়। যেখানে আপনি সহজেই রেজিস্টার ও অন্যান্য নিয়ম-কানুন সরবরাহ করে অনলাইনে কোর্স করতে পারবেন।
  2. শারীরিক শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন নেই, অনলাইনে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ক্লাস করার সুযোগ।
  3. যারা চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ই-লার্নিং ভিত্তিক কোর্স।
  4. আপনার ব্যয় হ্রাস করতে আপনি চাইলে ই-লার্নিং কোর্স ব্যবহার করতে পারেন।
  5. অনেকেই আছেন সময়ের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় ডিগ্রীটি অর্জন করতে পারছেন কিন্তু e-learning ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো সময় আপনার ক্লাস করতে পারবেন নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুযায়ী।
  6. ই-লার্নিংয়ের মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে থাকাকালীন সময়ে বা বাসে চড়ার সময় যে কোনও জায়গা থেকে, বাড়ি থেকে আপনার প্রতিদিনের ক্লাস করতে পারবেন।
  7. বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে শিখতে/ কোর্স করতে পারবেন, ই-লার্নিং আপনাকে বিশ্বের যে কোনও কোণায় অবস্থিত যে কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে শেখার সুযোগ দেয়।
  8. ই-লার্নিং শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের অডিও এবং ভিডিও রেকর্ড করতে দেয় যা পরীক্ষামূলক পরীক্ষণ, পাঠ, বক্তৃতা এবং অন্যান্য স্কুল কাজের জন্য নিখুঁত।
  9. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে অনলাইন পরীক্ষা নেওয়া, নিবন্ধগুলি পড়তে এবং ভিডিও দেখার সুযোগ দেয়।
  10. আলোচনা বোর্ড এবং আড্ডার মাধ্যমে, আপনি অনলাইনে সবার সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং যদি কোনো পাঠ্য বিষয়ে সমস্যা থাকে তবে আপনার সন্দেহগুলিও আপনার কোর্স এক্সপার্টদের সাথে শেয়ার করে সমাধান করতে পারবেন।

ই-লার্নিং বাস্তবায়নে ক্ষেত্রে অসুবিধা সমূহ:

১. দারিদ্রতা:

আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ বিশেষ করে যারা গ্রামে বসবাস করে তারা অনেকেই দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে।

ইলেকট্রনিক ডিভাইস ক্রয় করার মত বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পাঠ কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো সেই পরিমাণ অর্থ তাদের কাছে থাকে না। তাই দারিদ্রতা ই-লার্নিং বাস্তবায়নে একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

২. সচেতনতা সৃষ্টি:

আমাদের দেশে এখনো অনেক মানুষ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাট গ্রহণের ব্যাপারে সচেতন নয়।

সরকারের পক্ষ থেকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাঠদান পদ্ধতি বাস্তবায়ন করার জন্য জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি একটি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে। দেশের বেশির ভাগ মানুষকে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে পাঠদান সম্পর্কে অবগত এবং এর সুবিধা বোঝানো অনেক কষ্টকর বিষয়।

৩. সুবিধার অভাব:

ই-লার্নিং বাস্তবায়নে যে সকল সুবিধা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সে সকল সুবিধা অনেক অভাব রয়েছে আমাদের দেশে। যেমন সকলের নিকট ইন্টারনেট এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইস স্বল্পমূল্যে পৌঁছে দেওয়া একটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। ‌

৪. পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি:

ই-লার্নিং এর জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পর্যাপ্ত রিসোর্স যা আমাদের দেশে এখনো পর্যন্ত তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আমাদের দেশে খুব কম পরিমাণে ই-লার্নিং এর উপকরণ তৈরি হয়। তাই এ লার্নিং কার্যক্রমকে আরো বেগবান করার জন্য পর্যাপ্ত রিসোর্স তৈরি করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

৫. শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করণ:

দেশের সকল শিক্ষককে ই-লার্নিং এর পদ্ধতিতে প্রশিক্ষিত করণ ই-লার্নিং বাস্তবায়নের জন্য অত্যাবশ্যক। একজন শিক্ষক ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে পাঠদান করতে না পারলে কোনভাবেই ইরানি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। তাই দেশের সকল স্তরের শিক্ষককে একসাথে ইরানি কার্যক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা বা ব্যবহার করা পদ্ধতি শেখানো একটা চ্যালেঞ্জ।

৬. স্বল্পমূল্যে প্রযুক্তি পণ্য সরবরাহ:

প্রযুক্তি পণ্য সমুহের দাম অনেক বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রযুক্তি পণ্য ব্যবহার করে ইরানি কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া কঠিন বিষয়।

তাই সরকারের পক্ষে সকল মানুষের কাছে ই-লার্নিং এর প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রযুক্তি পণ্য সমুহের দাম কমানো এবং ক্রয়সীমার মধ্যে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

ইন্টারনেট এর বাংলা অর্থ কি

উত্তর: Internet এর বাংলা অর্থ আন্তর্জাল। আন্তর্জাল বা ইন্টারনেট (ইংরেজি : Internet ইন্টার্নেট্ ) হল সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ড্যাটা আদান-প্রদান করা হয়।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

চিন্ময় গুহ | আশুতোষ পাল (লেখক)

কম্পিউটার কাকে বলে

কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক বর্তনী ও যান্ত্রিক সরঞ্জামের সমন্বয়ে সংগঠিত প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা ডেটা গ্রহণ করে, প্রক্রিয়াকরণ করে, ফলাফল সংরক্ষণ করে এবং প্রয়োজনে ফলাফল প্রদান করে।

অর্থাৎ কম্পিউটার এমন এক ধরনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা ইনপুট হার্ডওয়্যারের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডেটাসমূহ কেন্দ্রিয় প্রক্রিয়াকরণ অংশের সাহায্যে প্রক্রিয়াকরণ করে আউটপুট হার্ডওয়্যারসমূহের মাধ্যমে ফলাফল প্রদান করে থাকে।

অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুসারে, ‘কম্পিউটার হলো হিসাব-নিকাশ করা অথবা অন্য কোনো যন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করার ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যা তথ্য সংরক্ষণ, বিশ্লেষণ এবং উৎপাদন করে।’ (Electronic device for storing, analysing and producing information for making calculations, or controlling machines.)

আসলে কম্পিউটার হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিকস যন্ত্র, যা সংরক্ষিত প্রোগ্রামের সাহায্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।