আল্ট্রাসাউন্ডগুলি শিল্পে এবং চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে কোনটি আল্ট্রাসাউন্ডের অ্যাপ্লিকেশন?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

  1. ধাতব ব্লকগুলিতে ফাটল এবং ত্রুটিগুলি সনাক্ত করুন
  2. ইকোকার্ডিওগ্রাফি
  3. কিডনিতে পাথরের চিকিৎসা
  4. বিজোড় আকৃতির বস্তু পরিষ্কার করা

নীচের কোডগুলি থেকে সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করুন:

[ক] শুধুমাত্র 1 এবং 2
[খ] শুধুমাত্র 1, 2 এবং 3
[গ] শুধুমাত্র 1, 3 এবং 4
[D] 1, 2, 3 এবং 4

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

আল্ট্রাসাউন্ডগুলি শিল্পে এবং চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে কোনটি আল্ট্রাসাউন্ডের অ্যাপ্লিকেশন?

সঠিক উত্তর: D [ 1, 2, 3 এবং 4]
মন্তব্য:
আল্ট্রাসাউন্ড হল উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ। আল্ট্রাসাউন্ডগুলি বাধার উপস্থিতিতেও সুনির্দিষ্ট পথ ধরে ভ্রমণ করতে সক্ষম।

আল্ট্রাসাউন্ডগুলি শিল্পে এবং চিকিৎসা উদ্দেশ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। আল্ট্রাসাউন্ড সাধারণত হার্ড টু নাগালের জায়গায় অবস্থিত অংশগুলি পরিষ্কার করতে ব্যবহৃত হয়, উদাহরণস্বরূপ, সর্পিল টিউব, বিজোড় আকৃতির অংশ, ইলেকট্রনিক উপাদান ইত্যাদি। পরিষ্কার করা বস্তুগুলিকে একটি পরিচ্ছন্ন দ্রবণে স্থাপন করা হয় এবং অতিস্বনক তরঙ্গগুলি দ্রবণে পাঠানো হয়। উচ্চ কম্পাঙ্কের কারণে, ধুলো, গ্রীস এবং ময়লার কণাগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং বেরিয়ে যায়। বস্তুগুলি এইভাবে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করা হয়।

আল্ট্রাসাউন্ড ধাতব ব্লকে ফাটল এবং ত্রুটি সনাক্ত করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। ধাতব উপাদানগুলি সাধারণত বড় কাঠামো যেমন বিল্ডিং, সেতু, মেশিন এবং বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি নির্মাণে ব্যবহৃত হয়। ধাতব ব্লকের ভিতরে ফাটল বা ছিদ্র, যা বাইরে থেকে অদৃশ্য, কাঠামোর শক্তি হ্রাস করে। অতিস্বনক তরঙ্গগুলিকে ধাতব ব্লকের মধ্য দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় এবং প্রেরিত তরঙ্গ সনাক্ত করতে ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়। এমনকি যদি একটি ছোট ত্রুটি থাকে, তবে আল্ট্রাসাউন্ডটি ত্রুটি বা ত্রুটির উপস্থিতি নির্দেশ করে আবার প্রতিফলিত হয়।

দীর্ঘতর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সাধারণ শব্দ এই ধরনের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না কারণ এটি ত্রুটিপূর্ণ অবস্থানের কোণে বাঁকবে এবং ডিটেক্টরে প্রবেশ করবে।

অতিস্বনক তরঙ্গগুলি হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিফলিত হয়ে হৃদয়ের চিত্র তৈরি করে। এই কৌশলটিকে বলা হয় ‘ইকোকার্ডিওগ্রাফি’।

আল্ট্রাসাউন্ড স্ক্যানার একটি যন্ত্র যা মানবদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির ছবি পাওয়ার জন্য অতিস্বনক তরঙ্গ ব্যবহার করে। একজন ডাক্তার রোগীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন লিভার, গলব্লাডার, জরায়ু, কিডনি ইত্যাদির ছবি দিতে পারেন। এটি ডাক্তারকে অস্বাভাবিকতা সনাক্ত করতে সাহায্য করে, যেমন পিত্তথলিতে পাথর এবং কিডনি বা বিভিন্ন অঙ্গে টিউমার। এই কৌশলে অতিস্বনক তরঙ্গগুলি শরীরের টিস্যুগুলির মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে এবং এমন একটি অঞ্চল থেকে প্রতিফলিত হয় যেখানে টিস্যুর ঘনত্বের পরিবর্তন হয়।

কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

“পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে একআঁটি ধনেপাতা। কুচি কুচি করে কেটে পাত্রে রাখতে হবে ধনেপাতা।
পাত্রে কিছুটা পরিষ্কার জল নিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে। ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রাখতে হবে। ফ্রিজে রেখে দেওয়া যেতে পারে ওই বোতল।”

প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল। কিডনির মধ্যে জমে থাকা নুন এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। শুধু কিডনিই নয়। ধনেপাতা মহৌষধ। একআঁটি ধনেপাতায় রয়েছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।

ধনেপাতায় হাজার গুণ। এগজিমা সারায়, বমিভাব কমায়, পেটের গন্ডগোল কমায়, আলসার সারায়, সতেজ হয় শ্বাস-প্রশ্বাস, হজমে সাহায্য করে, ব্লাড প্রেশার কমায়, অ্যানিমিয়া কমায়, ডায়াবেটিসে প্রচুর উপকার মেলে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কনজাংটিভাইটিস থেকে চোখকে রক্ষা করে ধনেপাতা। স্মল পক্স প্রতিরোধ করে ধনেপাতা।

প্রাথমিক চিকিৎসা কাকে বলে

”যেকোনো আকস্মিক দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে হাতের কাছের জিনিস দ্বারা রোগীকে চিকিৎসা করা যাতে ডাক্তার আসার পূর্বে রোগীর অবস্থার অবনতি না ঘটে বা জটিলতা সৃষ্টি না হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বলে।”

কোন দূর্ঘটনায় আহত বা অসুস্থ ব্যাক্তিকে ঘটনাস্থলেই বা এর নিকটবর্তী স্থানে যে চিকিৎসা করা হয় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা বা ফার্স্ট এইড বলা হয় । অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসার সাহায্যে একজন রোগীকে সুস্থ করে তোলাও স্বম্ভব হয়। তাছাড়া রোগীকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়ার আগ মুহূর্ত্ব পর্যন্ত তাকে জীবিত রাখা বা সুস্থ রাখার জন্যেও প্রাথমিক চিকিৎসা (ফার্স্ট এইড) অত্যন্ত জরুরী ।

মহর্ষি দাতব্য চিকিৎসালয় কে প্রতিষ্ঠা করেন

মহর্ষি দাতব্য চিকিৎসালয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে প্রতিষ্ঠা করেন।

আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা

আয়ুর্বেদ চিকিত্‍সা বলতে ভেষজ বা উদ্ভিদের মাধ্যমে যে চিকিত্‍সা দেয়া হয় তাকে বুঝানো হয়। এই চিকিত্‍সা ৫০০০ বছরের পুরাতন। পবিত্র বেদ এর একটি ভাগ – অথর্ববেদ এর যে অংশে চিকিৎসা বিদ্যা বর্ণিত আছে তা-ই আয়ুর্বেদ। আদি যুগে গাছপালার মাধ্যমেই মানুষের রোগের চিকিৎসা করা হতো।

এই চিকিত্‍সা বর্তমানে ‘হারবাল চিকিত্‍সা’ তথা ‘অলটারনেটিভ ট্রিটমেন্ট’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানে এই চিকিত্‍সা বেশি প্রচলিত। পাশাপাশি উন্নত বিশ্বেও এই চিকিত্‍সা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কারণ মর্ডান এলোপ্যাথি অনেক ঔষধেরই side effect বা পার্শ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

আয়ুর্বেদ অনুসারে, তিনটি মৌলিক শক্তি রয়েছে যা একজন ব্যক্তির সুনাম নিয়ন্ত্রণ করে। এইগুলো:

  • বাটা (বাতাস)
  • পিটা (আগুন)
  • কাপা (পৃথিবী)

এই প্রাথমিক শক্তি মন এবং শরীরের জন্য বৈশিষ্ট্য জন্য দায়ী। এই তিনটি শক্তি একটি সুষম অনুপাত আছে উল্লেখযোগ্য।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা

হোমিওপ্যাথি হল একটি ছদ্মবৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি ১৭৯৬ সালে জার্মান চিকিৎসক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান আবিষ্কার করেন। হোমিওপ্যাথ নামে পরিচিত এর চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন যে পদার্থ সুস্থ মানুষের মধ্যে একটি রোগের উপসর্গ সৃষ্টি করে সেই একই পদার্থ অসুস্থ মানুষের মধ্যে একই ধরনের উপসর্গ নিরাময় করতে পারে; এই মতবাদকে বলা হয় সিমিলিয়া সিমিলিবাস কিউরেন্টার, বা “সদৃশ সদৃশকে আরোগ্য করে”।

হোমিওপ্যাথিক ঔষধকে রেমিডি বলা হয় এবং হোমিওপ্যাথিক ডায়োলেশন ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, নির্বাচিত পদার্থ বারবার মিশ্রিত করা হয় যতক্ষণ না চূড়ান্ত পণ্যটি রাসায়নিকভাবে দ্রবণীয় থেকে আলাদা হয়।

১৭৯০ সালে আবিষ্কৃত হ্যানিম্যানর চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হোমিওপ্যাথি । তিনি আরো প্রমাণ করেন যেকোনো ওষুধ সুস্থ মানুষের ওপর যে রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করে তা সৃদশ লক্ষণের রোগীকে আরোগ্য করতে পারে। অর্থাৎ ওষুধের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতার মাধ্যমেই এর রোগ আরোগ্যকারী ক্ষমতা নিহিত। একইভাবে অন্য এক গবেষণায় ৪০ জন মাথা ঘোরা রোগীর ওপর গবেষক ক্লোজেন, বার্গম্যান ও বাটিলি এ রোগীদের লক্ষণানুসারে ককুলাস, কোনিয়াম ও পেট্টোশিয়াম ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করে সফল হন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

সাধারন বিজ্ঞান

লেখক: – Sk. রুহুল আমিন.

FAQ | চিকিৎসা

Q1. মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা

Ans – চা বা কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন মাথা যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চায়ে আদা-লবঙ্গ ও মধু মিশিয়ে খেলে মাথা যন্ত্রণায় আরাম পাওয়া যায়।

Q2. প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা

Ans – প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার মূল কারণ হলো পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করা। পানি আমাদের দেহের বেশীর ভাগ রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত পানি দেহের নানাবিধ রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পর্যাপ্ত পানির অভাবে প্রস্রাবে জ্বলাপোড়া হয়।

Q3. দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

Ans – নারকেল তেলে মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল, উভয় বৈশিষ্ট্যই বিদ্যমান, যা দাদের সংক্রমণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। দাদ ছাড়াও এটি ক্যান্ডিডা এবং অন্যান্য ছত্রাক সংক্রমণের ক্ষেত্রেও কার্যকর।

Q4. আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

Ans – আদা আমাশয় উপশমে অত্যন্ত কার্যকর। প্রথমে শুকনো আদা কুচি করে কেটে নিয়ে পিষতে হবে। তারপর সমপরিমানে জয়ফল, কালো গোলমরিচ এবং জিরা নিন। এক চামচ পরিমাণ এই মিশ্রণটি সাথে দুই চা চামচ সাইলিয়াম ভুসি এবং এক চিমটি শিলা লবণ মেশাতে হবে। এই মিশ্রণটি সকালে বাটার মিল্ক এর সাথে খান, এতে আমাশয় রোগে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যাবে।

Q5. দাউদ এর চিকিৎসা

Ans – নিম পাতা, এই প্রকৃতিক উপাদানটির ভিতরে উপস্থিত অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ দাউদের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ নিম তেল নিয়ে দাউদের উপর বারে বারে লাগাতে হবে। তাহলেই দেখবেন সমস্য়া কমে যেতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত নিম তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়েও লাগালে কিন্তু এক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যায়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।