সুয়েজ খাল কোথায় অবস্থিত, সুয়েজ খাল কে খনন করেন, সুয়েজ খাল খননের ফলে কী সুবিধা হয়েছে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সুয়েজ খাল কোথায় অবস্থিত

সুয়েজ খাল কোথায় অবস্থিত জানতে ইচ্ছে করছে নিশ্চই আপনার। সুয়েজ খাল মিশরের সীনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত একটি কৃত্তিম খাল। এটি ভুমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে সংযুক্ত করেছে। উত্তরে ইউরোপ থেকে দক্ষিনে এশিয়া উভয় প্রান্তে পন্যপরিবহনে এটি জলপথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

প্রথম যখন সুয়েজ খাল খনন করা হয় তখন এটি ছিল ১৬৪ মিটার দীর্ঘ আর গভীরতা ছিল ৮ মিটার মাত্র। পরবর্তীতে সংস্কার করে ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী এটি ১৯০.৩ মিটার দীর্ঘ এবং গভীরতা ২৪ মিটার। সবচেয়ে সরু স্থানেও এটি ২০৫ মিটার চওড়া। এটি এক লেন বিশিষ্ট খাল হলেও এতে ২টি বাইপাসের ব্যবস্থা রয়েছে, বাল্লাহ বাইপাস এবং গ্রেট বিটার লেক। সমুদ্রের পানি অবাধে এর মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

সুয়েজ ক্যানেলের মালিকানা এবং পরিচালনার দায়িত্বে আছে মিশরের সুয়েজ ক্যানেল অথরিটি। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী সুয়েজ খাল শান্তিকালীন কিংবা যুদ্ধকালীন যেকোন সময় যেকোন দেশের পতাকাবাহী জাহাজের জন্য সবসময় খোলা থাকবে। দীর্ঘ ১০ বছর নির্মাণ কাজের পর ১৮৬৯ সালের ২৫ এপ্রিল এর কাজ শেষ হলে একই বছর ১৭ নভেম্বর জাহাজ চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হয়।

প্রায় ২৫ হাজার জাহাজ এই নৌপথ প্রতিবছর ব্যবহার করে থাকে যা থেকে মিশর আয় করে ৪৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সাল নাগাত এই আয় দাড়াবে ১৩.২২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সুয়েজ খাল জাতীয়করণ

সুয়েজ খাল মিশরের রাষ্ট্রপ্রধান নাসের 1956 খ্রিস্টাব্দে জাতীয়করণ করেন। এটি লোহিত সাগরের সাথে ভূমধ্যসাগরের সংযোগকারী খাল। 1869 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি ইঞ্জিনিয়াররা এই খালটি সর্ব সাধারণের ব্যবহারের জন্য নির্মাণ করে।

সুয়েজ খাল মিসরের মূল ভূখণ্ড থেকে দেশটির সিনাই উপদ্বীপকে পৃথক করেছে। আর সংযুক্ত করেছে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে। এটির নির্মাণকাল ১৮৫৯ – ১৮৬৯ পর্যন্ত। আর এটি মিসর সরকার ১৯৫৬ সালে জাতীয়করণ করে। মিসর সরকার সুয়েজখালের সমান্তরালে আরো একটি খাল উদ্ধোধন করেছে।

সুয়েজ খাল কে খনন করেন

কথিত আছে মিশরের অধিপতি ফারাও নেকো স্বপ্নে নীল নদ থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত দীর্ঘ্য একটি খাল খনন করার দৈববাণী পেয়েছিলেন। এরপর তিনি লক্ষাধিক দাস নিয়ে খাল কাটা শুরু করেন।

খ্রিস্টপূর্ব ১৮৯৭ থেকে ১৮৩৯ সালের মধ্যবর্তী সময়ে এই খাল খননের কাজ প্রথম শুরু করেন ফারাও রাজা দ্বিতীয় নিকো, কাজ শুরুর পর তিনি স্বপ্নে দেখেন এই খাল মিশরের জন্য বিপদ বয়ে আনবে তাই তিনি এর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। ষোলশ শতকের দিকে তুরকি প্রধানমন্ত্রী মুহম্মদ পাশা (১৫৬৫-১৫৭৯) সেয়েজ খাল খননের চিন্তা করেন। কিন্তু মিশরীয়দের কুসংস্কার, ব্যয় বহনে অস্বীকৃতি এবং প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি হবার কারনে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়না।

এরপর ১৭৯৮ সালে লেপোলিয়ন বনাপারট মিশর অভিযানে আসার পর ভুমধ্যসাগরকে লোহিত  সাগরের সাথে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন কিন্তু দুই সাগরের পানির উচ্চতার পার্থক্য ১০ মিটার হওয়ার কারনে তিনি এই চিন্তা বাদ দেন।আধুনিক সুয়েজ খাল খননের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ফরাসি প্রকৌশলী ফারদিনান্দ দি লেসেন্স।  ১৮৫৪ সালে বিভিন্ন দেশের প্রকৌশলীরা মিলে এর নকশা তৈরি করেন। সায়িদ পাশা ছিলেন তাখন মিশরের ক্ষমতায়। মিসর ও সুদানের শাসক মিলে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম সুয়েজ চ্যানেল কোম্পানি গঠন করেন এবং অবশেষে  খালের খনন কাজের যাত্রা শুরু হয় ১৮৫৯ সালের ২৫ এপ্রিল।

সুয়েজ খাল সংযুক্ত করেছে

সুয়েজ খাল মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত একটি কৃত্তিম সামুদ্রিক খাল।

এটি ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করেছে। দশ বছর ধরে খননের পর পথটি ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়।

উত্তরে ইউরোপ থেকে দক্ষিণে এশিয়া, উভয়প্রান্তে পণ্যপরিবহনে সুয়েজ খাল একটি জলপথ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, এতে করে সম্পূর্ণ আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে আসতে হয়না। খালটি উন্মুক্ত হবার পূর্বে, কখনো কখনো পণ্য জাহাজ থেকে নামিয়ে মিশরের স্থলপথ অতিক্রম করে, ভূমধ্যসাগর হতে লোহিত সাগরে এবং লোহিত সাগর হতে ভূমধ্যসাগরে অপেক্ষমাণ জাহাজে পারাপার করা হত।

সুয়েজ খালের গুরুত্ব

সুয়েজ খাল নির্মাণের আগে ইউরোপ থেকে দক্ষিন এশিয়া আসতে হলে কোন জাহাজকে গোটা আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে আসতে হত। এতে জাহাজ কম্পানিকে গুনতে হত মোটা অংকের টাকা, সময় লাগত ৪০-৫০ দিন। সেখানে সুয়েজ খাল দিয়ে আসার পর মাত্র ২০ দিনেই এই দুরুত্ব অতিক্রম করা সম্ভব হয়।

পৃথিবীর সুমদ্র বানিজ্যের ৫ ভাগ জাহাজ এই সুয়েজ খাল ব্যবহার করে। প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার জাহাজ সুয়েজ খাল দিয়ে যাতায়াত করে থাকে।

নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি মেনে বিশ্বের যেকোন জাহাজ এই খাল দিয়ে যাতায়াত করতে পারে। আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধ কিংবা শান্তি যেকোন পরিস্থিতিতেই এই খাল সবার জন্য উম্মুক্ত।

সুয়েজ খাল খননের ফলে কী সুবিধা হয়েছে, সুয়েজ খাল খননের ফলে কী সুবিধা হয়েছে ?

সুয়েজ খাল – এর সুবিধা / গুরুত্বগুলি হল নিম্নরূপ

  1. এই খালটি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করেছে ।
  2. সুয়েজ খালের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় ২০% পণ্যদ্রব্য পরিবাহিত হয়, যে কারণে এর বাণিজ্যিক গুরুত্ব অপরিসীম ।
  3. প্রাচ্যের দেশগুলি থেকে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার কৃষিদ্রব্য এবং খনিজ দ্রব্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে বিভিন্ন প্রকার শিল্পজাত দ্রব্য ও যন্ত্রপাতি আমদানি করা হয় । শুধুমাত্র পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেই নয়, যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রেও এর গুরুত্ব তাৎপর্যপূর্ণ ।
  4. সুয়েজ খালের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া ও রোমানিয়া অঞ্চলের খনিজ তেল বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হয় ।
  5. পশ্চিম ইউরোপের কয়লা ও মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ তেল এই খালপথে চলাচলকারী জাহাজগুলির জ্বালানি হিসাবে সরবরাহ করা হয় ।
  6. নিকটবর্তী অঞ্চল জনবহুল ও উন্নত এবং বন্দরের সংখ্যাও যথেষ্ট বেশী, যা নৌ-চলাচল ও মেরামতিসহ অন্যান্য প্রয়োজনের জন্য সহায়ক ।

অসুবিধা

সুয়েজ খাল – এর অসুবিধাগুলি হল নিম্নরূপ

  1. এই খালপথে শুল্কের হার অত্যন্ত বেশী ।
  2. সংকীর্ণ হওয়ায় বড় বড় জাহাজ চলাচলে অসুবিধা হয় ।।
  3. মাত্র ১৬৬ কিমি পথ অতিক্রম করতে প্রায় ১০-১২ ঘন্টা সময় লেগে যায় ।
  4. এই অঞ্চলের জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য এই খালপথে জাহাজ চলাচল প্রায়শই অসুবিধাজনক হয়ে পড়ে ।

সুয়েজ খালের ইতিহাস

মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত সুয়েজ খাল মনুষ্য নির্মিত একটি কৃত্রিম খাল। এই খালটি ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মাঝে সংযোগ স্থাপন করেছে। বিস্তীর্ন বালুর মরুভূমি খনন করে তৈরি করা হয়েছে বর্তমান বিশ্ববানিজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ পথটি। ধারণা করা হয়, সমুদ্র বানিজ্যর প্রায় ১০ শতাংশ পরিচালিত হয় এই খাল দিয়ে।

এশিয়ার সাথে ইউরোপের যোগাযোগ সহজতর করার জন্যই খনন করা হয় সুয়েজ খাল। একসময় ইউরোপ থেকে এশিয়া যাওয়ার জন্য আফ্রিকার উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে যেতে হত। এতে করে সমুদ্রপথে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ বেশি পাড়ি দিতে হয় জাহাজগুলোতে। সুতরাং, বুঝাই যাচ্ছে এই খাল যাতায়াতের এক নতুন ‍দিগন্ত উন্মোচন করেছে। সময়ের সাথে সাথে পন্য পরিবহণেও বিপুল পরিমান অর্থের সঞ্চয় হয় এই পথ দিয়ে যাতায়াতের কারণে। 

ষোলশ শতকের দিকে তুরকি প্রধানমন্ত্রী মুহম্মদ পাশা (১৫৬৫-১৫৭৯) সেয়েজ খাল খননের চিন্তা করেন। কিন্তু মিশরীয়দের কুসংস্কার, ব্যয় বহনে অস্বীকৃতি এবং প্রকল্প দীর্ঘমেয়াদি হবার কারনে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়না।

এরপর ১৭৯৮ সালে লেপোলিয়ন বনাপারট মিশর অভিযানে আসার পর ভুমধ্যসাগরকে লোহিত  সাগরের সাথে যুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন কিন্তু দুই সাগরের পানির উচ্চতার পার্থক্য ১০ মিটার হওয়ার কারনে তিনি এই চিন্তা বাদ দেন।

আধুনিক সুয়েজ খাল খননের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন ফরাসি প্রকৌশলী ফারদিনান্দ দি লেসেন্স।  ১৮৫৪ সালে বিভিন্ন দেশের প্রকৌশলীরা মিলে এর নকশা তৈরি করেন। সায়িদ পাশা ছিলেন তাখন মিশরের ক্ষমতায়।

মিসর ও সুদানের শাসক মিলে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম সুয়েজ চ্যানেল কোম্পানি গঠন করেন এবং অবশেষে  খালের খনন কাজের যাত্রা শুরু হয় ১৮৫৯ সালের ২৫ এপ্রিল।

সুউয়েজ খাল নির্মাণে ১.৫ মিলিয়ন শ্রমিক নিয়োজিত ছিল এবং এদের মধ্যে লক্ষাধিক শ্রমিক নির্মাণকালে নিহত হয়। ১৮৭৫ সালে মিশর অর্থনৈতিকভাবে সংকটে পরলে ব্রিটিশরা এতে বিনিয়োগ করে এর নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয় এবং নিরাপত্তার বিভিন্ন অজুহাতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈন্য নিয়োগ করে। ১৯৩৬ সালে মিশর স্বাধীন হবার পরও তা অব্যাহত থাকে এবং ১৯৫৬ সালের ১৩ই জুলাই পর্যন্ত তা বহাল থাকে।

মিশর ১৯৫৬ সালে সুয়েল খালকে জাতীয়করণ করে। এর মালিকানা ও পরিচালনার দায়িত্ব মিসরের সুয়েজ ক্যানেল অথরিটির ওপর ন্যাস্ত। ‌আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, সুয়েজ খাল শান্তিকালীন অথবা যুদ্ধকালীন সব সময়েই যে কোন দেশের পতাকাবাহী বাণিজ্যিক বা যুদ্ধ জাহাজের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

সুয়েজ খালের ম্যাপ, সুয়েজ খালের মানচিত্র

ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মধ্যে সংযোগকারী একটি কৃত্রিম খাল। মূলত মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত। এই প্রণালী দ্বারা আফ্রিকার মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক মিশর হয়ে গেছে। এর ভৌগোলিক অবস্থান ৩০°৪২’১৮” উত্তর ৩২°২০’৩৯” পূর্ব।

মূলত বাণিজ্যিক সুবিধার জন্য এই খাল খনন করা হয়েছে। এই খাল খননের আগে সাগর পথে জাহাজে ইউরোপ থেকে দক্ষিণ এশিয়া আসতে হলে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে আসতে হতো। এর ফলে মালামাল পরিবহনে বহু সময় ব্যয় হতো। সেই সাথে পরিবহন খরচও বেড়ে যেতো অনেক।

সুয়েজ খাল ও পানামা খালের মধ্যে পার্থক্য

  • সুয়েজ খাল হল একটি সমুদ্রপৃষ্ঠ যা মরুভূমির মধ্য দিয়ে কেটে ফেলা হয় এবং বালি ড্রেজিংয়ের ক্রমাগত রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা রয়েছে।
  • পানামা খাল হল পার্বত্য গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের মধ্য দিয়ে একটি কাটা যেখানে পাহাড়ের উপরে জাহাজ ওঠার জন্য তালার প্রয়োজন হয়। পানামায় উচ্চ বার্ষিক বৃষ্টিপাতের কারণে হ্রদটি সম্ভব।
  • সুয়েজ খালকে সাধারণত পানামা খালের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় তাদের মধ্য দিয়ে যাওয়া জাহাজের সংখ্যার দিক থেকে। সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, সুয়েজ খালটি প্রতিদিন গড়ে প্রায় 50টি জাহাজ যাতায়াত করে।
  • যখন পানামা খাল প্রতিদিন প্রায় 35টি জাহাজ দেখে। উভয় খাল সব ধরণের জাহাজ দ্বারা ভ্রমণ করা যেতে পারে, তবে সেখানে রয়েছে জাহাজের আকার এবং ওজনের উপর ভিত্তি করে কিছু বিধিনিষেধ।
  • সুয়েজ খালের সর্বোচ্চ খসড়া 66 ফুট (20 মিটার) এবং সর্বাধিক প্রস্থ 224 ফুট (68 মিটার)।
  • যেখানে পানামা খালের সর্বোচ্চ 50 ফুট (15.2 মিটার) এবং সর্বোচ্চ 106 ফুট (32.3) প্রস্থ রয়েছে মিটার)। তাই বড় জাহাজ পানামা খাল দিয়ে যেতে পারবে না।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | সুয়েজ খাল

Q1. মিশর সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করেছিল কত সালে

Ans – সুয়েজ খাল মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত একটি কৃত্তিম সামুদ্রিক খাল। এটি ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করেছে। সুয়েজ খালের মালিকানা ও পরিচালনা মিসরের সুয়েজ ক্যানেল অথরিটির ওপর ন্যাস্ত। ‌আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, সুয়েজ খাল শান্তিকালীন সময় অথবা যুদ্ধকালীন সময় – সব সময়েই যে কোন দেশের পতাকাবাহী বাণিজ্যিক বা যুদ্ধ জাহাজের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

Q2. সুয়েজ খাল কোন দেশে অবস্থিত

Ans – সুয়েজ খাল মিশরের সিনাই উপদ্বীপের পশ্চিমে অবস্থিত একটি কৃত্তিম সামুদ্রিক খাল। এটি ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করেছে।

Q3. সুয়েজ খালের দৈর্ঘ্য কত

Ans – শুরুতে এর দৈর্ঘ্য ছিল ১৬৪ কিলোমিটার এবং গভীরতা ছিল ৮ মিটার। বেশ কিছু সংস্কার ও সম্প্রসারণের পর ২০১০ সালের হিসাব মতে এর দৈর্ঘ্য ১৯০.৩ কিলোমিটার, গভীরতা ২৪ মিটার এবং সর্বনিম্ন সরু স্থানে এর প্রস্থ ২০৫ মিটার ।খালটি মিশরের সুয়েজ ক্যানেল অথোরিটির মালিকানাধীন।

Q4. সুয়েজ খাল কোন বছর চালু হয়

Ans – ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকালীন সুয়েল খাল খনন শুরু হয় ২৪ এপ্রিল ১৮৫৯। এটি প্রথম চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৮৬৯ সালের ১৭ নভেম্বর মিশর এ খালটি জাতীয়করণ করে ২৬ জুলাই ১৯৫৬ ।

Q5. সুয়েজ খাল কত সালে চালু হয়

Ans – ১৮৫৮ সালে ফার্দিনান্দ দে লেসেপস খালটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে সুয়েজ খাল কোম্পানি গঠন করেন। ১৮৫৯ থেকে ১৮৬৯ সাল পর্যন্ত খালটির নির্মাণ কাজ চলে। ১৭ নভেম্বর ১৮৬৯ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে খোলে দেওয়া হয়।

Q6. সুয়েজ খাল কোন দুটি সাগরকে যুক্ত করেছে

Ans – এটি ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করেছে।

Q7. সুয়েজ খাল কোন দুটি মহাদেশকে পৃথক করেছে

Ans – এটি সুয়েজের ইস্তমাসের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরকে লোহিত সাগরের সাথে যুক্ত করেছে এবং আফ্রিকা ও এশিয়াকে বিভক্ত করেছে।

Q8. সুয়েজ খাল কেন খনন করা হয়, সুয়েজ খাল খননের উদ্দেশ্য কি ছিল

Ans – যখন সুয়েজ খাল ছিল না তখন ইউরোপের কোন জাহাজকে ভূমধ্যসাগর থেকে পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ উত্তমাশা অন্তরীপ পাড়ি দিয়ে আরব সাগর হয়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরে যেতে হতো। এর ফলে জাহাজগুলোকে জ্বালানি খরচ বাবদ গুনতে হতো মোটা অঙ্কের টাকা। আর ভারত মহাসাগর থেকে ইউরোপের দেশসমূহে যেতে সময় নিত ৪০-৫০ দিন।

এ খাল খননের ফলে ইউরোপ ও ভারতের দূরত্ব প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার কমে গিয়েছে। এখন এই রুটে ইউরোপ থেকে ভারতে যেতে মাত্র ২০ দিন সময় লাগে।

বর্তমানে বিশ্বের মোট সমুদ্র বাণিজ্যের পাঁচ শতাংশ ঘটে এই খাল দিয়ে।
বর্তমানে সুয়েজ খালের সাথে আরো ৩৫ কিলোমিটার বাইপাস খনন করা হয়েছে, যার ফলে সুয়েজ খালে প্রবেশের জন্য জাহাজকে এখন ১৮ ঘন্টার বদলে ১১ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০২৩ সালের মধ্যে এই সুয়েজ খাল দিয়ে দৈনিক ৯৭ টি জাহাজ চলাচল করতে পারবে। এর ফলে মিশরের অর্থনীতিতে যোগ হবে ১৩২০ কোটি ডলার।

Q9. সুয়েজ খাল খনন করে কোন দেশ

Ans – সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ (SCA) হল একটি মিশরীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কর্তৃপক্ষ যা সুয়েজ খালের মালিক, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ করে।

Q10. বাংলার সুয়েজ খাল বলা হয় কোন নদীকে

Ans – বাংলার সুয়েজ খাল বলা হয় গাবখান চ্যানেলকে। এটি ঝালকাঠি জেলায় অবস্থিত। গাবখান চ্যানেলটি বাংলাদেশের একমাত্র কৃত্রিম নৌপথ যা বাংলার সুয়েজখাল নামে পরিচিত।

সন্ধ্যা ও সুগন্ধা নদীর সংযোগ কারি কৃত্রিম খালটি ১৮ কিমি দৈর্ঘ্য। চ্যানেলের দু’পাশে রয়েছে সবুজের সমারোহ। দেশে যতগুলো নৌ চ্যানেল আছে, সৌন্দর্যের দিক থেকে গাবখান চ্যানেল অন্যতম। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এ নৌপথের সৌন্দর্যটুকু মুগ্ধতা অসীম।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।