নদী কাকে বলে, পূর্ববর্তী নদী কাকে বলে, পৃথিবীর বৃহত্তম নদী কোনটি, নদ কাকে বলে, নদ ও নদীর পার্থক্য

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

নদী কাকে বলে

ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে ভূমির ঢাল অনুসারে প্রবাহিত যে স্বাভাবিক জলধারা বৃষ্টির জল বা তুষার গলা জলে পুষ্ট হয়ে কোনো সমুদ্রে বা হ্রদে বা অন্য কোনো জলধারায় মিলিত হয়, তাকে নদী বলে। যেমন – গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী ইত্যাদি।

যে জলস্রোত কোনো পর্বত, হ্রদ, প্রস্রবণ ইত্যাদি জলাধার হতে উৎপন্ন ও বিভিন্ন জনপদের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য কোনো জলাশয়ে পতিত হয়, তাকে নদী বলে। যেমন মেঘনা, যমুনা,সুরমা, গঙ্গা, বুড়িগঙ্গা ইত্যাদি নদী।

পূর্ববর্তী নদী কাকে বলে

ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন হলেও কোনো নদী যদি নিম্নক্ষয়ের সাহায্যে সেই অঞ্চলের ভূ-উন্নয়নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তার পূর্বেকার প্রবাহ বজায় রাখতে সক্ষম হয়, তাহলে তাকে পূর্ববর্তী নদী (Antecedent River) বলে ।

উদাহরণঃ সিন্ধু, শতদ্রু, ব্রক্ষ্মপুত্র, গঙ্গা প্রভৃতি নদ-নদীগুলির মস্তকের দিকের অংশ হিমালয় পর্বত উত্থিত হওয়ার আগেই ঐ অঞ্চলে অবস্থিত ছিল । পরবর্তীতে হিমালয় পর্বত উত্থানের পরও ঐ সকল নদ-নদীগুলি নিম্নক্ষয়ের মাধ্যমে ঐ অঞ্চলে নিজেদের প্রবাহ বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে । তাই উক্ত নদ-নদীগুলি পূর্ববর্তী নদীর প্রকৃষ্ট উদাহরণ

বৈশিষ্ট্য

পূর্ববর্তী নদীর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ:-

  • নদীগুলি বয়সে খুবই প্রাচীন হয় ।
  • এদের ক্ষয়কার্য, বহনকার্য ও অবক্ষেপণকার্য করার ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত অনেক বেশী হয় ।
  • এতে জলের পরিমান ও গতিবেগ উভয়ই যথেষ্ট বেশী হয় ।
  • এটি অসংখ্য উপনদীবিশিষ্ট হয় ।
  • এটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসের ক্রমবিবর্তনের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত থাকে ।

পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কি

পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীটি হল আফ্রিকার নীলনদ। এর দৈর্ঘ্য ৬৬৫০ কিলোমিটার। এই নদীটি আফ্রিকার বৃহত্তম হ্রদ ভিক্টোরিয়া থেকে উৎপন্ন হয়েছে এবং আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব দেশগুলির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে উত্তরে ভূমধ্যসাগরে মিলিত হয়েছে।

পৃথিবীর বৃহত্তম নদী কোনটি

বৃহত্তম নদী বলতে বোঝায় সবথেকে বেশি পানি যে নদ বা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়। পৃথিবীর বৃহত্তম নদী হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন। এটি পৃথিবীর প্রশস্ততম নদীও বটে। আমাজন নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২,০৯,০০০ ঘনমিটার পানি আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী হচ্ছে আফ্রিকার কঙ্গো। এটি দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪১,০০০ ঘনমিটার পানি আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী হচ্ছে মেঘনা। এই নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৮,১২৯ ঘনমিটার পানি বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়। মেঘনা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এবং এশিয়ার বৃহত্তম নদী। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী হচ্ছে পদ্মা। এটি দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৫,০০০ ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয়।

দীর্ঘতম নদী বলতে বোঝায় ওই নদ বা নদীকে যা সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী হচ্ছে নীল নদ, যার দৈর্ঘ্য ৬,৮৫৩ কিলোমিটার। এটি আফ্রিকার ১১টি দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত। পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী হচ্ছে আমাজন, যার দৈর্ঘ্য ৬,৪৩৭ কিলোমিটার। এশিয়ার দীর্ঘতম নদী হচ্ছে চীনের চ্যাং জিয়াং। এটি ইয়াংজি নামেও পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য ৬,৩০০ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম। ইউরোপের দীর্ঘতম নদী হচ্ছে রাশিয়ার ভলগা, দৈর্ঘ্য ৩,৫৩১ কিলোমিটার। বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী হচ্ছে সুরমা, দৈর্ঘ্য ৯০০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী পদ্মা, দৈর্ঘ্য ৩৫৬ কিলোমিটার।

আরো পড়তে: গ্রহ কাকে বলে, উপগ্রহ কাকে বলে, বামন গ্রহ কাকে বলে, নীল গ্রহ কাকে বলে, কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে

এশিয়ার বৃহত্তম নদী কোনটি

চীনের ইয়াংজি নদী পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম এবং এশিয়ার বৃহত্তম নদী যার দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার।

নদীটি শুধু চীনা সভ্যতা গড়ে তুলতে নয়, চীনের আর্থ-সামাজিক টেকসই উন্নয়নেও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ইয়াংজি নদীর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। ইয়াংজি নদীর অববাহিকার আয়তন ১৮ লাখ বর্গকিলোমিটার যা চীনের মোট আয়তনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।

চীনের ইয়াংজি নদীর উপর নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প, যা ২০১২ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে যার তখনকার উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ২২,৫০০ মেগাওয়াট, বর্তমানেও ঐ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিশ্বরেকর্ড করে চলেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদীর নাম কি

ভাগীরথী-হুগলী পশ্চিমবঙ্গের প্রধান নদী। মূর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে নবদ্বীপ-মায়াপুর পর্যন্ত ২২০ কিমি বিস্তৃত অংশটি ভাগীরথী নামে পরিচিত। এই অংশে জোয়ারের জল প্রবেশ করে না। এই নদীর দক্ষিণাংশ তথা নবদ্বীপ-মায়াপুর থেকে মোহনা পর্যন্ত প্রায় ২৮০ কিমি বিস্তৃত অংশটির নাম হুগলী।

পৃথিবীর বৃহত্তম নদী দ্বীপ কোনটি

মাজুলি হল বিশ্বের বৃহত্তম নদী দ্বীপ, এটি ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় পলি জমার ফলে গঠিত। মাজুলি হল ভারতের প্রথম দ্বীপ যাকে জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। মাজুলি দ্বীপ আসামে অবস্থিত।

ভারতের বৃহত্তম নদী দ্বীপের নাম মাজুলি। এটি আসাম রাজ্যের ব্রহ্মপুত্র নদীতে অবস্থিত। দ্বীপটি তার অনন্য সংস্কৃতির জন্য পরিচিত এবং এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে মনোনীত হয়েছে। এটি ভারতের প্রথম দ্বীপ যাকে একটি জেলা করা হয়েছে।

ভারতের বৃহত্তম নদী দ্বীপ কোনটি

গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ (বঙ্গীয় ব-দ্বীপ বা সুন্দরবন ব-দ্বীপ, ইংরেজি: Ganges Delta বা, Bengal Delta) দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি ব-দ্বীপ যা বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ নিয়ে গঠিত। এটি পৃথিবীর বৃহত্তম নদী ভিত্তিক ব-দ্বীপ।

দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কি

দক্ষিণ ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম গোদাবরী। দৈর্ঘ্য ১,৪৬৫ কিমি।

মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী, নর্মদা, তাপ্তি, সবরমতি নদী প্রভৃতি নদী দক্ষিণ ভারতের নদ নদীর উদাহরণ।

ভারতের বৃহত্তম নদী কোনটি

গঙ্গা ভারতের বৃহত্তম নদী।

এটি প্রায় 2525 কিমি জুড়ে বিস্তৃত। কৃষ্ণা নদী দক্ষিণ ভারতের 2য় বৃহত্তম নদী। এটি প্রায় 1400 কিমি জুড়ে বিস্তৃত। কাবেরী নদী দক্ষিণ ভারতের গোদাবরী এবং কৃষ্ণা নদীর পরে 3য় বৃহত্তম নদী।

অনুগামী নদী কাকে বলে

সমান্তরাল শিলাস্তরের উপর ভূমিভাগের প্রাথমিক বা প্রারম্ভিক ঢাল অনুসারে প্রবাহিত নদীকে অনুগামী নদী (Consequent Stream) বলে ।

ভারতের অধিকাংশ নদীই এই শ্রেণীর । পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমবাহিনী নদীগুলি যথা বশিষ্ঠি, পয়স্মিনী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য অনুগামী নদী ।

অনুগামী নদী – র বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ

  1. অনুগামী নদী ভূমির প্রাথমিক ঢাল অনুসারে প্রবাহিত হয় ।
  2. দীর্ঘদিন ধরে অনুগামী নদী ক্ষয়কার্য চালিয়ে গৌণ ঢালে পরিনত করে ।
  3. পরবর্তীতে এই গৌণ ঢালের উপর পরবর্তী নদী, বিপরা নদী, পূনর্ভবা নদী প্রভৃতি সৃষ্টি হতে থাকে ।
  4. অনেক সময় আগ্নেয়গিরির ঢাল অনুসারেও এই নদীর সৃষ্টি হয় ।

আদর্শ নদী কাকে বলে

যে নদীর গতিপথে ক্ষয়কার্য্ প্রধান পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি, বহনকার্য প্রধান সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতি এবং সঞ্চয়কার্য প্রধান বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যায়, তাকে আদর্শ নদী বলে।

উদাহরণঃ ভারতের প্রধান নদী গঙ্গা নদী। এই নদীর গতিপথে উপরোক্ত তিনটি অবস্থাই বিদ্যমান তাই তাকে একটি আদর্শ নদী বলা হয়।

যে নদীর উচ, মধ্য ও নিম্ন – এই তিন গতি থাকে, সেই নদীকে আদর্শ নদী বলা হয়। যেমন, গঙ্গা একটি আদর্শ নদী। এই নদীর হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখীর গহ্বর থেকে উৎপত্তি। গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য 2704 কিলোমিটার।

গঙ্গার উচ্চগতি এখানেই আরম্ভ। গভীর গিরিখাত সৃষ্টি করে গঙ্গানদী ভয়ঙ্কর বেগে সমস্ত বাধা-বিপত্তি ভেঙে চুরমার করে প্রবল বেগে ছুটতে শুরু করে। পর্বতে নদীর এই গতিকে উচ্চ গতি বলে। যেহেতু পর্বতে এই গতি, এটাকে পার্বত্য অবস্থাও বলে। হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গার উচ্চ গতি। এই পার্বত্য অবস্থা , অর্থাৎ হিমালয়ের পার্বত্য অবস্থার দৈর্ঘ্য 200 কিলোমিটার, একেবারে হরিদ্বারের হৃষীকেশ পর্যন্ত। এই উচ্চ গতিতে নদী হয় সরু, কিন্তু গভীরতা বেশি । এই অবস্থায় নদীর কাজ শুধুমাত্র ভাঙ্গা ও পরিবহণ।

এই নদীর উভয় দিকেই অনেকগুলি উপনদী আছে।

বামদিকে: রামগঙ্গা, গোমতী, ঘর্ঘরা, গণ্ডক, বারহি, কোশী , মহানন্দা, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি।

ডানদিকে: যমুনা, শোন, কালী, চন্দন, ফল্গু, অজয়, দামোদর, রূপনারায়ণ ইত্যাদি।

নদী অববাহিকা কাকে বলে

নদী অববাহিকা বলতে নদী গোষ্ঠী বোঝায় । প্রধান নদীতে অনেক উপনদী এসে মিশে এবং সেই নদী থেকে অনেক শাখা নদী বের হয় । এই শাখা নদী ও উপনদী মিলিয়ে যে নদী গোষ্ঠী তৈরী হয় তাকে নদী অববাহিকা বলে।

অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে

যেসব নদী কোন দেশ বা মহাদেশের উচ্চভূমি বা পার্বত্য অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়ে ঐ দেশ বা মহাদেশের মধ্যেই কোন হ্রদ, সাগর বা জলাভূমিতে গিয়ে পড়ে এবং সেখান থেকে আর বেরােতে পারে না অথবা মরুভূমিতে গিয়ে শুকিয়ে যায় সেগুলিকে বলে অন্তর্বাহিনী নদী। যেমন – ভারতের লুনি নদী।

নদ কাকে বলে

‘যে জলস্রোত কোনো পর্বত, হ্রদ, প্রস্রবণ ইত্যাদি জলাধার হতে উৎপন্ন ও বিভিন্ন জনপদের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য কোনো জলাশয়ে পতিত হয়, তাকে নদী বলে। যেমন মেঘনা, যমুনা, কুশিয়ারা ইত্যাদি। যখন কোনো নদী হতে কোনো শাখা নদীর সৃষ্টি হয় না, তখন তাকে বলা হয় নদ। যেমন কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্র, নীল নদ ইত্যাদি নদ। সুরমা, গঙ্গা, বুড়িগঙ্গা ইত্যাদি নদী।’

প্রকৃতপক্ষে নদ ও নদীর সঙ্গে শাখা থাকা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দুয়ের মাঝে যা পার্থক্য আছে তা হলো ব্যাকরণগত।

জলধারার এ রকম লিঙ্গ বিভাজন পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে সম্ভবত নেই। একমাত্র উপমহাদেশের সংস্কৃতিতেই জলধারার লিঙ্গ বিভাজন রয়েছে। ভারতীয় চৈতন্যে ব্রহ্মপুত্র নদ, কিন্তু গঙ্গা নদী।

নদ ও নদীর পার্থক্য

নদ ও নদীর সাথে শাখা থাকা না থাকার কোন সম্পর্ক নেই । এই দুয়ের মাঝে যা পার্থক্য আছে তা হল ব্যাকরণগত ।

নদনদী
যে নদীর কোনো শাখা প্রশাখা নেই এবং একস্থান শুরু হয়ে একাধারে বয়ে সাগরে পতিত হয় সেটিই নদ। যেমন, কপোতাক্ষ নদ, নীল নদ।মিষ্টি পানির ধারা বিভিন্ন স্থান যেমন পাহাড়-পর্বত, হ্রদ, ঝড়ণা থেকে উৎপত্তি হয়ে বিভিন্ন অঞ্চল বা জনপদের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কোনো জলাশয়, নদী অথবা সাগরে পতিত হয় তখন সেটিকে নদী বলে। যেমন, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা।
তাই যে সকল ‘নদীর’ নাম পুরুষবাচক অর্থাৎ অ ও উ -কারান্ত তারা ‘নদ’যে সকল ‘নদীর’ নাম নারীবাচক অর্থাৎ আ-কারান্ত বা ঈ , ই-কারান্ত তারা নদী। 
কপোতাক্ষ, ব্রম্মপুত্র, নীল,দামোদর,শংখ, আমাজন, সবই নদের নামযমুনা,পদ্মা,মেঘনা,ভলগা,আত্রাই,ইছামতি,মধুমতি, ভাগিরথী সবই নদীর নাম ।
নদ ও নদীর পার্থক্য
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | নদী

Q1. ভারতের প্রধান নদীর নাম কি

Ans – ভারত মূলত নদনদীর দেশ । পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে ছোট বড় অনেক নদনদী রয়েছে । আঞ্চলিক হিসেবে ভারতের প্রধান নদনদীর বৈচিত্রটা রয়েছে । একেবারে উত্তরের প্রধান নদী সিন্ধু ,উত্তর,উত্তর-পূর্ব ভারতের গঙ্গা, পূর্বের ব্রহ্মপুত্র, পশ্চিমের নর্মদা, তাপি , দক্ষিণের গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী।

Q2. কটক কোন নদীর তীরে অবস্থিত

Ans – কটক শহরের উত্তরে মহানদী নদী এবং এর দক্ষিণে কাঠযোড়ি নদী প্রবাহিত।

Q3. জলদাপাড়া জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কোন নদী বয়ে চলেছে

Ans – জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার আলিপুরদুয়ার মহকুমায় পূর্ব হিমালয়ের পাদদেশে ও তোর্সানদীর পাড়ে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। তোর্সা নদীটি এই ক্রান্তীয় অভয়ারণ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।