গ্রহ কাকে বলে, উপগ্রহ কাকে বলে, বামন গ্রহ কাকে বলে, নীল গ্রহ কাকে বলে, কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

গ্রহ কাকে বলে

সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিভ্রমণকারী জ্যোতিষ্ককে গ্রহ বলে ।

যে সব জ্যোতিষ্ক নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে সূর্যের চারিদিকে পরিভ্রমণ করে, তাদের গ্রহ বলা হয়। জ্যোতিষ্কের নিজস্ব আলো নেই। জ্যোতিষ্ক গুলি সূর্যের আলোয় আলোকিত হয়।

এক কথায় বলতে গেলে যেসব জ্যোতিষ্ক সূর্যের চারদিকে ঘুরে তাদেরকে গ্রহ বলে।

মহাকাশে কতগুলো জ্যোতিস্ক সূর্যকে ঘিরে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পথে পরিক্রমণ করে। এই সব জ্যোতিস্কের নিজেদের কোন আলো বা তাপ নেই। সূর্যের মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এরা সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এরা সূর্য থেকে আলো, তাপ পায় ও প্রয়োজনীয় শক্তি পায়। এরা তারার মতো মিটমিট করে জ্বলে না। এসব জ্যোতিস্ককে গ্রহ বলে।

আমাদের সৌরজগৎ এ গ্রহের সংখ্যা মোট আটটি। অর্থাৎ সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে আটটি গ্রহ। একটা সময় পর্যন্ত প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে ধরা হলেও প্লুটোকে এখন বামন গ্রহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী গ্রহগুলোর অবস্থান হলো- বুধ (Mercury), শুক্র (Venus), পৃথিবী (Earth), মঙ্গল (Mars), বৃহস্পতি (Jupiter), শনি (Saturn), ইউরেনাস (Uranus) এবং নেপচুন (Neptune)।

বামন গ্রহ কাকে বলে

একটি বামন গ্রহ হল এমন একটি গ্রহীয়-ভরযুক্ত বস্তু যা গ্রহগুলির মতো মহাকাশে সেটির অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে না, আবার যা একটি প্রাকৃতিক উপগ্রহও নয়। অর্থাৎ, বামন গ্রহগুলি সূর্যকে প্রত্যক্ষভাবে প্রদক্ষিণ করে এবং নির্দিষ্ট আকার পাওয়ার জন্য এগুলির ভর যথেষ্টই রয়েছে। সৌরজগতে এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত এমন ৫টি বামন গ্রহ রয়েছে।

চাঁদের থেকেও ছােটো যে-সমস্ত গ্রহ নিজের কক্ষপথে কোনাে মহাজাগতিক বস্তু এলে, তাকে সরিয়ে দিতে পারে না, সেই সমস্ত গ্রহকে বামন গ্রহ বলা হয়। যেমন প্লুটো।

বর্তমানে সৌরজগতের পাঁচটি বামন গ্রহ আছে। যথা- সেরেস, প্লুটো, হাউমিয়া, মেকমেক এবং এরিস। পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের অন্যান্য সকল গ্রহ, এবং, উপগ্রহের নাম গ্রিক যা রোমনি দেবতার নাম হতে নেওয়া হয়েছে।

নীল গ্রহ কাকে বলে, পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলা হয় কেন

পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলা হয়। কারণ এর ৩ ভাগ জল তাই এটি বাইরে দিয়ে নীল দেখায় তাই একে নীল গ্রহ বলে।

পৃথিবীর আকাশ নীল। পৃথিবীতে বায়ুম-ল আছে। বায়ুমন্ডলের বিশেষ এক স্তরে সূর্যের নীল রঙ ছড়িয়ে পড়ে।

আমরা জানি, সূর্যের সাদা আলো সাতটি রঙের আলোর মিশ্রণে সৃষ্টি। এগুলো হলো বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল।

সূর্যের ওই বিশেষ স্তরে সূর্যের সাদা আলো ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নীল আলো বিচ্ছুরিত হয়। ওই এলাকাকে তাই পৃথিবীতে বসে নীল দেখায়। তাই আমরা ভাবি আকাশ নীল।

পৃথিবীর বাইরে মহাশূন্য থেকে পৃথিবীকে দেখলে এর আকাশটাকেই আগেই দেখা যায়। একে দেখে মনে হয় নীল রঙের গোলক। তাই পৃথিবীকে নীল গ্রহ বলে।

সবুজ গ্রহ কাকে বলে

ইউরেনাস গ্রহের আবহমন্ডলে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ অধিক হওয়াই একে সবুজ গ্রহ বলা হয়।

কারন, ইউরেনাস গ্রহের বায়ুতে প্রচুর পরিমান মিথেন গ্যাস থাকে । তাই ইউরেনাসকে সবুজ গ্রহ বলা হয় ।

লাল গ্রহ কাকে বলে

মঙ্গল গ্রহ হল সৌরজগতের লাল গ্রহ। বৃহস্পতি’ গ্রহকে বৃহত্তম গ্রহ ও গ্রহ রাজ বলা হয় । ক্ষুদ্রতম, সূর্যের নিকটতম ও দ্রুততম গ্রহ বলা হয় – ‘বুধ’গ্রহকে । দ্বিতীয় বৃহত্তম ও হাজার বলয়ের গ্রহ বলা হয় শনি গ্রহকে।

আগে মানুষ মনে করত যে গ্রহ-নক্ষত্র তাদের জীবনধারা পরিবর্তনের জন্য দায়ী। গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর কারনেই পৃথিবীতে সব কিছু হচ্ছে। এক একটি গ্রহকে এক একটি দেবতা মানা হত। সেখান থেকে মঙ্গল গ্রহকে লাল রঙের দেখে রোমানদের যুদ্ধের দেবতার (Mars) নামে এর নামকরন করা হল। ধারনা করা হত এই লালরঙ হল দেবতার রাগ বা হিংস্রতা।

সৌরজগৎ সৃষ্টির সময় পৃথিবীর মত মঙ্গল গ্রহেও লোহা পতিত হয়। পৃথিবীর লোহা এর কেন্দ্রে চলে যেতে পারলেও মঙ্গল আকারে অনেকটা ছোট হওয়ায় এর লোহা কেন্দ্রে যাওয়ার পরও পৃষ্ঠে থেকে যায়। এ জন্য কিছু কিছু যায়গায় কালো দেখা যায়।

মঙ্গল গ্রহেও বায়ুমন্ডল রয়েছে। এই বায়ুমন্ডল পৃথিবীর থেকে পুরোপুরি ভিন্ন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস(৯৫.৩২%), নাইট্রোজেন(১.৯%), আর্গন(১.৬%), অক্সিজেন(০.১৩%) ও কার্বন মোনঅক্সাইড(০.০৮%)। পৃষ্ঠের প্রচুর পরিমাণ লোহা বায়ুমন্ডলের সরাসরি সংস্পর্শে থাকায় এটি অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে।

উপগ্রহ কাকে বলে, উপগ্রহ কি

কিছু কিছু জ্যোতিস্ক সূর্যকে নয় বরং কোন গ্রহকে ঘিরে আবর্তিত হয়, এদের উপগ্রহ বা চাঁদ বলা হয়। গ্রহের মহাকর্ষ বলে প্রভাবে এরা গ্রহকে কেন্দ্র করে ঘোরে। এদের নিজস্ব কোন আলো বা তাপ নেই। গ্রহগুলোর মতো এরাও সূর্য বা নক্ষত্র থেকে আলো বা তাপ পায়। চাঁদ পৃথিবী গ্রহের একমাত্র উপগ্রহ। সব গ্রহেরই যে উপগ্রহ থাকে, ব্যাপারটি এমন নয়। আমাদের সৌরজগতের বুধ ও শুক্র গ্রহের কোন উপগ্রহ নেই। তবে বিজ্ঞান যতই উন্নত হচ্ছে নতুন নতুন উপগ্রহ আবিস্কারের সংখ্যাও সেই সাথে বাড়ছে।

যে সব বস্তু বা জ্যোতিষ্ক গ্রহের চারদিকে ঘুরে , তাদেরকে উপগ্রহ বলে। যেসব উপগ্রহ প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট তাদেরকে স্বাভাবিক উপগ্রহ বলে। যেমন- চন্দ্র প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্টি হয়েছে।

এটি পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। অতএব চন্দ্র বা চাঁদ পৃথিবীর একটি স্বাভাবিক উপগ্রহ। তেমনি অন্যান্য গ্রহেরও স্বাভাবিক উপগ্রহ রয়েছে।

যে ভূ-উপগ্রহের পর্যায়কাল 24 ঘণ্টা তার কক্ষপথকে পার্কিং কক্ষপথ বলে।

কৃত্রিম উপগ্রহ কাকে বলে

আদম্য কৌতুহলী মানুষ নিজেদের প্রয়োজনের বানিয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহ। মানুষের তৈরি এই সব উপগ্রহ পৃথিবীর মহাকর্ষ বলকে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে। মানুষের তৈরি এই সব উপগ্রহকেই কৃত্রিম উপগ্রহ বলে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান, গোয়েন্দা নজরদারি, খনিজ সম্পদের সন্ধান, ইন্টারনেট ব্যবহার, পরিবেশ দূষণ নির্ণয় এমন অনেক কাজেই কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার করা হয়।

বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে সাথে মানুষের কল্যাণে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর প্রয়োগেরও অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। গত কয়েক দশকে এর অগ্রগতি বিস্ময়কর প্রভাব ফেলেছে মানুষের বুদ্ধিদীপ্ত কাজ-কর্মে ।

মানুষ দূর-দূরান্তে মুহূর্তের মধ্যে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হয়েছে । কৃত্রিম উপগ্রহ হলো এমনই আশ্চর্যের জিনিস যার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ স্থাপনসহ মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ উপগ্রহ সম্পর্কে নানাবিধ তথ্য , বিভিন্ন স্থানের চিত্র ধারণ, আবহাওয়ার পূর্বাভাষসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে পারি।

কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবহার

১। টেলিফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আন্ত মহাদেশীয় যোগাযোগ স্থাপনে ব্যবহৃত হয়।
২। আবহাওয়ার পূর্বাভাষ পাওয়া যায়।
৩। পৃথিবীর আকার সম্পর্কিত ভূ-জরিপ কাজে ব্যবহৃত হয়।
৪। সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করতে ব্যবহূত হয়।
৫। ভূ-পৃষ্ঠের বিভিন্ন অঞ্চল বেতার ও টেলিভিশনের রিলে স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৬। উর্ধ্বাকাশের বিভিন্ন বিকিরণ ও তার প্রভাব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।
৭। প্রতিরক্ষামূলক বিভিন্ন সামরিক কাজে ব্যবহৃত হয়।
৮। খেলাধুলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ধারণ ও প্রেরণে ব্যবহৃত হয়।
৯। গ্রহ নক্ষত্রের গঠন সম্পর্কে গবেষণার কাজে ব্যবহূত হয়।
১০। মহাজাগতিক রশ্মিসহ বিভিন্ন রশ্মির উৎসসহ নানাবিধ গবেষণা করতে ব্যবহূত হয়।

জিওস্টেশনারি উপগ্রহ কি, ভূসমলয় উপগ্রহ কি

পৃথিবীর উপর অবস্থিত কোনো স্থানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পৃথিবীর আবর্তন গতির সাথে সমান গতিতে যে সকল কৃত্রিম উপগ্রহগুলি পৃথিবীর চারিদিকে পরিক্রমণ করে , তাদের ভূসমলয় উপগ্রহ বা জিওস্টেশনারি উপগ্রহ (Geostationary Satellite) বলে ।

উদাহরণঃ ভারতের ইনস্যাট সিরিজের স্যাটেলাইট, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের GOES, জাপানের GMS প্রভৃতি ।

বৈশিষ্ট্যঃ ভূসমলয় উপগ্রহ – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ –

  • পৃথিবীর নিরক্ষীয় তল বরাবর এগুলি অবস্থান করে ।
  • এগুলি মোটামুটিভাবে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করে ।
  • পৃথিবীর পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তনের সাথে সাথে সমলয়ে এরাও আবর্তিত হয় ।
  • অনেক উপরে অবস্থানজনিত সুবিধার কারণে এরা পৃথিবীর প্রায় অর্ধাংশেরও সম্পূর্ণ চিত্র সংগ্রহ করতে সক্ষম ।
  • এই উপগ্রহগুলি যোগাযোগ ও আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
  • একই জায়গায় অবস্থান করে বলে এরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রচুর চিত্র তুলতে সক্ষম ।

গুরুত্ব

ভূসমলয় উপগ্রহ বা জিওস্টেশনারি উপগ্রহগুলি আধুনিক পৃথিবীর তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে এবং তা বিশেষ করে পরিবহণ – যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আবহাওয়া বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে । কারণ উপগ্রহগুলি বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রচুর চিত্র তুলে পাঠাতে পারে । তাই এদের Information Satellite ও বলে ।

সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্রহ কোনটি

আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্রহ টি হলো Ganymede , এটি বৃহস্পতির উপগ্রহ। এর ব্যাস রেখা হলো ৫২৬৮ কিলোমিটার ।

সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির রয়েছে ৬৭টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ। এগুলোর ৫১টি আকারে বেশ ছোট। এর মধ্যে চারটি বেশ বড়। এগুলো হলো আয়ো, ইউরোপা, ক্যালিস্টো ও গ্যানিমেড। এ উপগ্রহগুলোকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়ে থাকে।

১৬০৯ থেকে ১৬১০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি এগুলো আবিষ্কার করেন। তাঁর নামানুসারেই এগুলোকে গ্যালিলীয় উপগ্রহ বলা হয়। বৃহস্পতির এ উপগ্রহগুলোর মধ্যে গ্যানিমেড সবচেয়ে বড়। শুধু বৃহস্পতিই নয়, আমাদের সৌরজগতে যত প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে, গ্যানিমেড তার মধ্যে সবচেয়ে বড়।

আকারে বুধ গ্রহের চেয়ে বেশ বড় এ উপগ্রহটি বৃহস্পতির চারদিকে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় প্রায় সাত দিন। গ্যানিমেড যদি বৃহস্পতিকে কেন্দ্র না করে সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরত, তবে একে অবশ্যই গ্রহের মর্যাদা দেওয়া হতো। উপগ্রহগুলোর মধ্যে গ্যানিমেডের ভরই সবচেয়ে বেশি, চাঁদের চেয়ে যা প্রায় ২.০২ গুণ বেশি। প্রায় সমপরিমাণ সিলিকেট জাতীয় শিলা ও বরফ দিয়ে এ উপগ্রহটি গঠিত। গ্যানিমেডের পৃষ্ঠের ২০০ কিলোমিটার নিচে বিপুল পরিমাণ লবণাক্ত পানি রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

মূলত এর তিনটি স্তর রয়েছে। এ ছাড়া গ্যানিমেডই সৌরজগতের একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ, যার নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র রয়েছে। সৌরজগতের বেশির ভাগ উপগ্রহের মতোই গ্যানিমেডেরও তার নিজ গ্রহ বৃহস্পতি থেকে সব সময় একদিকই দেখা যায়। ১৯৯৬ সালে হাব্ল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্যানিমেডের বায়ুমণ্ডলে খুব পাতলা একটি অক্সিজেনের স্তরের সন্ধান পান। তবে পরিমাণে সেটি এতই সামান্য যে তাতে জীবনধারণ অসম্ভব। গ্যানিমেডের কিছু অংশ একবারে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এ অংশটাকেই বেশি প্রাচীন বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীরা।

ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহের নাম কি

ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ হল আর্যভট্ট।

প্রাচীন ভারতের মহান গণিতজ্ঞ আর্যভট্টের(aryabhata) নাম অনুসারে এই উপগ্রহের নাম রাখা হয়েছিল।১৯৭২ সালে বিজ্ঞানীদের মধ্যে এই উপগ্রহ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।অবশেষে ১৯৭৫ সালের ১৯ এপ্রিল কাপুষ্টিন ইয়ার থেকে কসমস-৩ এম লঞ্চ ভেইকেলের মাধ্যমে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন অর্থাৎ বর্তমান রাশিয়ার সাহায্যে উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উপগ্রহটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা অর্থাৎ ইসরোর মহাকাশবিদ্যা সংক্রান্ত গবেষণার কাজ চালানোর জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। উপগ্রহটি রাশিয়ার সাহায্য নিয়ে উৎক্ষেপণ করা হলেও এর প্রধান দায়িত্ব ইসরোর উপর ছিল।

এই উপগ্রহের ভর ছিল ৩৬০ কিলোগ্রাম এবং ক্ষমতা ৪৬ ওয়াট। আর্যভট্ট স্যাটেলাইটটি ৫ বছর ১১ মাস সক্রিয় ছিল এবং ১৯৮১ সালের মার্চ মাসে এর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পুরনো পোস্টাল স্ট্যাম্পে আর্যভট্ট স্যাটেলাইটের ছবি ছিল,এমনকি পুরোনো দু টাকার নোটেও আর্যভট্ট স্যাটেলাইটের ছবি ছিল।

এই অভিযানের পর থেকেই মহাকাশের প্রতি ইসরো(ISRO) তথা সমগ্র ভারতবাসীর আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।অর্থাৎ এরপর থেকেই মহাকাশে ইসরোর পদার্পণ এর যাত্রা শুরু হয়।

উপগ্রহ চিত্র কাকে বলে

দুর সংবেদন ব্যবস্থায় উপগ্রহের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে পৃথিবী পৃষ্ঠের যে আলোকচিত্র তৈরি করা হয় তাকে উপগ্রহ চিত্র বলা হয়।

পৃথিবী প্রদক্ষিণকারী কৃত্রিম উপগ্রহে সংস্থাপিত সেন্সরের সাহায্যে গৃহীত ভূপৃষ্ঠের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক দৃশ্যপটের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে যে আলোক চিত্র প্রস্তুত করা হয়, তাকে উপগ্রহ চিত্র বলে। উপগ্রহ চিত্র তৈরীর সময় প্রতিফলিত সূর্য রশ্মি ব্যবহৃত হয়, যা তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণ রূপে উপগ্রহের সংস্থাপিত সেন্সরে ধরা পড়ে।

উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম একক কি

উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম একক পিক্সেল।

পিক্সেল (ইংরেজি: Pixel) বলতে কোন গ্রাফিক ছবির ক্ষুদ্রতম অংশ বা বিন্দুকে বোঝায়। পিক্সেলের হিসাব থেকে ছবি বিষয়ক যাবতীয় কাজ করা হয়। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত ডিজিটাল ক্যামেরার কারণে এই পিক্সেল শব্দটি খুব বেশি উচ্চারন হচ্ছে ।

উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য

উপগ্রহ চিত্রের বৈশিষ্ট্য গুলি হল:

১)প্রকৃতি – উপগ্রহ চিত্র হল কৃত্রিম উপগ্রহে সংস্থাপিত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সেন্সরের সাহায্যে গৃহীত ভূপৃষ্ঠের অংশ বিশেষের ডিজিটাল পরিসংখ্যান, যা ভূপৃষ্ঠের বস্তুগুলিকে স্পর্শ না করে দূর সংবেদনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।

২)পিক্সেল – উপগ্রহ চিত্রের ক্ষুদ্রতম উপাদান হলো পিক্সেল। এই পিক্সেল উপগ্রহ চিত্রে ভূপৃষ্ঠের নির্দিষ্ট অংশকে উপস্থাপন করে। পিক্সেল সংখ্যা বেশি হলে উপগ্রহ চিত্র পরিষ্কার ও উচ্চমানের হয়।

৩)সেন্সর ব্যান্ড – ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন বস্তু থেকে বিকিরিত তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গের নির্দিষ্ট অংশ উপগ্রহে সংস্থাপিত সেন্সরের যে ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশে লিপিবদ্ধ হয়, তাকে সেন্সর ব্যান্ড বলে। উপগ্রহ চিত্র গ্রহণ কালে প্রয়োজন মত এই সেন্সর ব্যান্ড ব্যবহৃত হয়।

৪)অ্যানোটেশন লাইন- উপগ্রহ চিত্রের ওপরে দুটি ও নিচে একটি অ্যানোটেশান লাইন থাকে। এই অ্যানোটেশন লাইনে উপগ্রহের নাম, উপগ্রহ চিত্রের ধরন, উপগ্রহ চিত্র সংগ্রহ ও প্রস্তুতের স্থান, তারিখ ও সময়, সেন্সর বিবরণ,ডেটা প্রস্তুতকারী সংস্থা ইত্যাদি তথ্য উল্লেখ থাকে।

৫)ছদ্ম রঙ- রাত্রে ভূপৃষ্ঠের বস্তুগুলি প্রকাশ করার সময় প্রকৃত রঙের পরিবর্তে ছদ্ম রং ব্যবহার করা হয়। যেমন-স্বাভাবিক উদ্ভিদ প্রকাশের ক্ষেত্রে লাল, পতিত জমি প্রকাশের ক্ষেত্রে সবুজ রঙ ব্যবহার করা হয়।

গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য

গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য গুলি নিম্নরূপ 一

গ্রহউপগ্রহ
যে সকল জ্যোতিষ্কের তাপ ও আলো নেই এবং মহাকর্ষ বলের প্রভাবে এরা সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয় তাদেরকে গ্রহ বলে। যেমন: পৃথিবী একটি গ্রহ। পৃথিবী একটি গ্রহ যা নক্ষত্র সূর্যের চারিদিকে ঘুরে।গ্রহ সবসময় নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরে আর উপগ্রহ ঘুরে গ্রহের চারপাশে। যেমন, আমাদের সৌর মন্ডলে সূর্যের চারপাশে আমাদের পৃথিবী ঘুরছে তেমনি আমাদের একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ ঘুরছে পৃথিবীর চারপাশে ।
গ্রহ উপগ্রহের চেয়ে বড় হয়। পক্ষান্তরে, আকাশে যেসব বস্তু গ্রহের চারপাশে ঘুরে বেড়ায়, তারা হলো উপগ্রহ। পৃথিবী একটা গ্রহ।পৃথিবীকে ঘিরে যদি কেউ ঘোরে তাহলে সে পৃথিবীর উপগ্রহ। যেমন: চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে বেড়ায়। সেজন্য চাঁদ পৃথিবীর উপগ্রহ
গ্রহ গুলো উপগ্র্রহের তুলনায় আকারে বড় হয়উপগ্রহ গ্রহের তুলনায় আকারে ছোট হয় ।
গ্রহকে বাদ দিয়ে উপগ্রহের অস্তিত্ব সম্ভব নয় ।উপগ্রহকে বাদ দিয়ে গ্রহের অস্তিত্ব সম্ভব
গ্রহগুলি নির্দিষ্ট কক্ষে থেকে সূর্যের চারদিকে পরিক্রমণ করে।উপগ্রহগুলি নির্দিষ্ট কক্ষে থেকে গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে।
গ্রহ ও উপগ্রহের মধ্যে পার্থক্য

পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ কোনটি, পৃথিবীর নিকটতম গ্রহের নাম কি

পৃথিবীর দুটি প্রতিবেশী গ্রহ হচ্ছে শুক্র ও মঙ্গল। এরমধ্যে শুক্র গ্রহের দূরত্ব ৪.৩ কোটি কিলোমিটার এবং মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব ৭.৮ কোটি কিলোমিটার। অতএব পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র।

পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ – শুক্র সূর্যের নিকটতম গ্রহ হল বুধ লাল গ্রহ – মঙ্গল।

সূর্য সমলয় উপগ্রহ কাকে বলে

উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু কক্ষপথে সূর্যের সাথে আপাত কৌণিক সামঞ্জস্য রেখে যে সকল কৃত্রিম উপগ্রহগুলি পৃথিবীকে পরিক্রমণ করে চলেছে , তাদের সূর্যসমলয় উপগ্রহ বা সানসিনক্রোনাস উপগ্রহ ( Sun- Synchronous Satellite ) বলে ।

উদাহরণঃ ভারতের IRS সিরিজের স্যাটেলাইট , ফ্রান্সের SPOT , আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের LANDSAT সিরিজের স্যাটেলাইট প্রভৃতি ।

বৈশিষ্ট্যঃ সূর্যসমলয় উপগ্রহ – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ

  • পৃথিবীর দুই মেরু তল বরাবর এগুলি অবস্থান করে ।
  • এগুলি মোটামুটিভাবে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৭০০ – ১০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করে ।
  • পৃথিবীর দুই মেরুর নিকটবর্তী অঞ্চল বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণে এরা প্রদক্ষিণ করে ।
  • এরা পৃথিবীর প্রতিটি অক্ষরেখাকে প্রায় একই স্থানীয় সময়ে অতিক্রম করে ।
  • এই উপগ্রহগুলি ভূসম্পদ জরিপ ও সমীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে বেশী ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।
  • এরা দিনে প্রায় গড়ে ১৪ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে ।

গুরুত্বঃ সূর্যসমলয় উপগ্রহ বা সানসিনক্রোনাস উপগ্রহগুলি আধুনিক পৃথিবীর তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে এবং তা বিশেষ করে ভূসম্পদ জরিপ ও সমীক্ষাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে । কারণ উপগ্রহগুলি বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সম্পদসংক্রান্ত প্রচুর চিত্র তুলে পাঠাতে পারে । তাই এদের Resource Monitoring Satellite ও বলে ।

শনি গ্রহের সন্ধানে গেছে কে

ক্যাসিনি মহাকাশযান শনি গ্রহ অন্বেষণ করতে গিয়েছিল।

গ্রহের মহাকাশ গবেষণার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মিশনগুলির মধ্যে একটি হল শনি গ্রহে ক্যাসিনি মিশন। ক্যাসিনি হল একটি অত্যাধুনিক রোবোটিক মহাকাশযান যা রিংযুক্ত গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে এবং শনি সিস্টেম নিয়ে বিশদভাবে গবেষণা করে।

এটি নাসা, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এবং ইতালীয় মহাকাশ সংস্থার একটি সমবায় প্রকল্প। এছাড়াও, ক্যাসিনি দ্বারা পরিচালিত একটি অনুসন্ধান, হাইজেনস, 2005 সালের জানুয়ারিতে শনির বৃহত্তম চাঁদ টাইটানে প্যারাশুটিং করার পরে নাটকীয়ভাবে ফিরে আসে।

জুন 2008 সালে, ক্যাসিনি শনি গ্রহের তদন্তের জন্য তার চার বছরের প্রাথমিক মিশন শেষ করে। প্রথম এক্সটেনশন, যা ক্যাসিনি ইকুইনক্স মিশন নামে পরিচিত, সেপ্টেম্বর 2010 সালে অনুসরণ করা হয়।

ক্যাসিনি সলস্টিস মিশন নামে পরিচিত একটি দ্বিতীয় এক্সটেনশনে, মহাকাশযানটি এখন ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং আকর্ষণীয় নতুন আবিষ্কার তৈরি করছে।

গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য

গ্রহ হচ্ছে জ্যোতি বিজ্ঞানের মহাবিশ্বের এমন একটি বস্তু যেখানে কেবলমাত্র মহাকর্ষ বলের প্রভাবে গোলাকার রূপ ধারণ করে। গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য নিচে দেখানো হলো-

গ্রহনক্ষত্র
মহাবিশ্বে সৃষ্টির সময় অসংখ্য ধূলিকণা ও গ্যাসের মহাজাগতিক মেঘ বা ণীহারিকা থেকে প্র্রকাণ্ড আকারের জ্বলন্ত নক্ষত্রের সৃষ্টি।নক্ষত্র সৃষ্টির পর মহাবিস্ফোরনের ফলে নক্ষত্র থেকে বিভিন্ন গ্রহের সৃষ্টি হয়।
গ্রহদের নিজস্ব আলো ও তাপ নেই, এরা নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত ও উত্তপ্ত হয়।নক্ষত্রদের নিজস্ব আলোও তাপ রয়েছে। নক্ষত্রগুলি নিউক্লিয় ভিভাজনের মাধ্যমে আলো ও তাপের সৃষ্টি করে।
নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয় বিধায় গ্রহের আলো স্থির।নক্ষত্র আকাশে মিটমিট করে জ্বলে। 
গ্রহ গুলো অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র এবং শীতল।নক্ষত্র গুলো হয় আকারে বৃহৎ এবং জ্বলন্ত গ্যাসীয় পিণ্ড । 
গ্রহগুলো নক্ষত্রের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে থাকে। ফলে তাদের দূরত্বের বৃদ্ধি ঘটে।নক্ষত্রগুলো স্থির থাকে। ফলে নক্ষত্রদের পারস্পারিক দূরত্ব সব সময় একই থাকে।
গ্রহগুলোর নিজস্ব কক্ষপথের পরিধি তুলনামুলকভাবে অনেক ছোট।নক্ষত্রগুলোর নিজস্ব কক্ষপথের পরিধি বিশাল হয়ে থাকে । 
গ্রহ ও নক্ষত্রের মধ্যে পার্থক্য
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | গ্রহ, উপগ্রহ

Q1. প্রাকৃতিক উপগ্রহ কাকে বলে

Ans – গ্রহকে কেন্দ্র করে যা আবর্তন করে তাকে উপগ্রহ বলে এদের মধ্যে যেটি প্রাকৃতিক তাকে প্রাকৃতিক উপগ্রহ বলে। বর্তমানে বৃহস্পতি গ্রহের অন্তত ৭৯ টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে যার ফলে বৃহস্পতি গ্রহ সৌরজগতের সব গ্রহগুলোর মধ্যে উপগ্রহের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। 

Q2. কোন গ্রহের বলয় আছে

Ans – সবচেয়ে স্পষ্ট ও দর্শনীয় বলয় রয়েছে সৌর জগতের শনি গ্রহের চারপাশে। এছাড়াও সৌর জগতের অন্য তিনটি গ্যাসীয় দৈত্যের (বৃহস্পতি, ইউরেনাস ও নেপচুন) চারপাশে বলয় রয়েছে।

Q3. পৃথিবী কি গ্রহ না উপগ্রহ

Ans – পৃথিবী গ্রহ, পৃথিবী সূর্য থেকে দূরত্ব অনুযায়ী তৃতীয়, সর্বাপেক্ষা অধিক ঘনত্বযুক্ত এবং সৌরজগতের আটটি গ্রহের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।