মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

মানবদেহ, মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা

মানবদেহে লিপিড এর গুরুত্ব, মানবদেহে লিপিডের গুরুত্ব, মানবদেহে লিপিডের গুরুত্ব উল্লেখ করো, মানবদেহে লিপিডের গুরুত্ব কি, মানবদেহে লিপিডের গুরুত্ব কি কি, মানবদেহে লিপিডের গুরুত্ব গুলি কি কি, মানবদেহে লিপিডের গুরুত্ব লেখ,
মানবদেহে লিপিডের গুরুত্বগুলি কী কী

শক্তি সঞ্চয়

আমরা যে খাবার খাই তা থেকে অতিরিক্ত শক্তি হজম হয় এবং অ্যাডিপোজ টিস্যু বা ফ্যাট টিস্যুতে একত্রিত হয়। মানবদেহের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির বেশিরভাগই কার্বোহাইড্রেট এবং লিপিড দ্বারা সরবরাহ করা হয়; প্রকৃতপক্ষে, বিশ্রামের সময় ব্যবহৃত শক্তির 30-70% চর্বি থেকে আসে।

যদিও গ্লাইকোজেন শক্তির একটি প্রস্তুত উৎস সরবরাহ করে, লিপিডগুলি প্রাথমিকভাবে শক্তির রিজার্ভ হিসাবে কাজ করে। গ্লাইকোজেন ভারী জলের সামগ্রী সহ বেশ ভারী, এইভাবে শরীর বেশিক্ষণ সংরক্ষণ করতে পারে না। ব্যায়ামের সময় শক্তির জন্য চর্বি ব্যবহার করা হয়, বিশেষ করে গ্লাইকোজেন কমে যাওয়ার পরে। চর্বিগুলি জল ছাড়াই শক্তভাবে একত্রে প্যাক করা হয় এবং একটি কম জায়গায় অনেক বেশি পরিমাণে শক্তি সঞ্চয় করে।

একটি চর্বি গ্রাম শক্তির সাথে ঘন ঘন ঘনীভূত হয় – এতে এক গ্রাম কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি শক্তি থাকে। শরীরের অন্যান্য কোষের বিপরীতে যা সীমিত সরবরাহে চর্বি সঞ্চয় করতে পারে, চর্বি কোষগুলি চর্বি সঞ্চয়ের জন্য বিশেষায়িত এবং আকারে প্রায় অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রসারিত করতে সক্ষম।

নিয়ন্ত্রণ এবং সংকেত

লিপিডগুলি কোষের ঝিল্লির কাঠামোর অংশ যা কোষের ঝিল্লির তরলতা এবং নমনীয়তা বজায় রাখতে সহায়তা করে। Triacylglycerols ধ্রুবক তাপমাত্রা বজায় রাখার লক্ষ্যে শরীরের অভ্যন্তরীণ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের শরীরে পর্যাপ্ত চর্বি নেই তাদের তাড়াতাড়ি ঠান্ডা লাগে। Triacylglycerols এছাড়াও শরীরের হরমোন উত্পাদন এবং নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাডিপোজ টিস্যু লেপটিন হরমোন নিঃসরণ করে, যা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।

প্রজনন ব্যবস্থায়, সঠিক প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ফ্যাটি অ্যাসিড প্রয়োজন; যেসব মহিলার সঠিক পরিমাণের অভাব হয় তাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং বন্ধ্যা হয়ে যেতে পারে। ওমেগা -3 এবং ওমেগা -6 অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি কোলেস্টেরল এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধতে এবং জয়েন্ট, টিস্যু এবং রক্ত ​​প্রবাহে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

স্নায়ু ইমপালস ট্রান্সমিশন, মেমরি স্টোরেজ এবং টিস্যু গঠন বজায় রাখতেও চর্বি গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্কে আরও বিশেষভাবে, লিপিডগুলি গঠন এবং কার্যকারিতায় মস্তিষ্কের কার্যকলাপের কেন্দ্রবিন্দু। তারা স্নায়ু কোষের ঝিল্লি গঠনে সাহায্য করে, নিউরনগুলিকে অন্তরণ করে এবং সমগ্র মস্তিষ্ক জুড়ে বৈদ্যুতিক আবেগের সংকেতকে সহজতর করে।

অন্তরক এবং সুরক্ষা

শরীরের মধ্যে দুই ধরনের চর্বি থাকে- ভিসারাল এবং সাবকিউটেনিয়াস। ভিসারাল ফ্যাট হৃদপিণ্ড, কিডনি এবং লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে ঘিরে থাকে। ত্বকের নিচের চর্বি বা ত্বকের নিচের চর্বি শরীরকে চরম তাপমাত্রা থেকে নিরোধক রাখে এবং অভ্যন্তরীণ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হাত এবং নিতম্বকে প্যাড করে এবং ঘর্ষণ প্রতিরোধ করে, কারণ এই অঞ্চলগুলি ঘন ঘন শক্ত পৃষ্ঠের সংস্পর্শে আসে। বরফ- বা রোলার স্কেটিং, ঘোড়ায় চড়া বা স্নোবোর্ডিং-এর মতো শারীরিকভাবে চাহিদাপূর্ণ ক্রিয়াকলাপগুলিতে জড়িত থাকার সময় এটি শরীরকে অতিরিক্ত প্যাডিংও দেয়।

পরিবহন

চর্বি-দ্রবণীয় পুষ্টিগুণ সুস্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন ধরনের কার্যাবলী প্রদর্শন করে। ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে – চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন – প্রধানত চর্বিযুক্ত খাবারে পাওয়া যায়। চর্বি-দ্রবণীয় পুষ্টির কার্যকর শোষণের জন্য চর্বি প্রয়োজন। চর্বিযুক্ত খাবারের সাথে মিলিত হলে এই ভিটামিনগুলি সর্বোত্তমভাবে শোষিত হয়।

চর্বিগুলি ফাইটোকেমিক্যাল নামে পরিচিত যৌগগুলির জৈব উপলভ্যতা বাড়ায়, যা উদ্ভিদের উপাদান যেমন লাইকোপিন (টমেটোতে পাওয়া যায়) এবং বিটা-ক্যারোটিন (গাজরে পাওয়া যায়)। ফাইটোকেমিক্যালগুলি স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার প্রচার করে বলে বিশ্বাস করা হয়। ফলস্বরূপ, জলপাই তেল বা সালাদ ড্রেসিং সঙ্গে টমেটো খাওয়া লাইকোপিন শোষণ সহজতর হবে। অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি, যেমন অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড, ফ্যাটের উপাদান এবং একটি কোষের বিল্ডিং ব্লক হিসাবে কাজ করে।

মানবদেহে লিপিডের ভূমিকা, মানবদেহে লিপিডের ভূমিকা উল্লেখ করো

উচ্চ শক্তির উৎস

চর্বি-সমৃদ্ধ খাবারে স্বাভাবিকভাবেই উচ্চ ক্যালরির ঘনত্ব থাকে। যেসব খাবারে চর্বি বেশি থাকে সেসব খাবারে প্রোটিন বা কার্বোহাইড্রেট বেশি খাবারের চেয়ে বেশি ক্যালোরি থাকে। ফলস্বরূপ, উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারগুলি শক্তির একটি সুবিধাজনক উত্স। উদাহরণস্বরূপ, 1 গ্রাম চর্বি বা তেল 1 গ্রাম কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিনে পাওয়া 4 ক্যালোরির তুলনায় 9 ক্যালোরি সরবরাহ করে।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপের স্তর এবং পুষ্টির চাহিদার উপর নির্ভর করে, চর্বির প্রয়োজনীয়তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। যখন শক্তির চাহিদা বেশি হয়, তখন শরীর চর্বিগুলির উচ্চ-ক্যালরি ঘনত্বকে স্বাগত জানায়। উদাহরণস্বরূপ, শিশু এবং ক্রমবর্ধমান শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশকে সমর্থন করার জন্য উচ্চ পরিমাণে চর্বি প্রয়োজন। যদি একটি শিশু বা শিশুকে একটি বর্ধিত সময়ের জন্য কম চর্বিযুক্ত খাবার দেওয়া হয়, তবে বৃদ্ধি এবং বিকাশ স্বাভাবিকভাবে অগ্রসর হবে না। উচ্চ-শক্তির চাহিদা সহ অন্যান্য ব্যক্তিরা হলেন ক্রীড়াবিদ, যারা শারীরিকভাবে চাকরির দাবি রাখে এবং যারা অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়।

যখন শরীর কার্বোহাইড্রেট থেকে তার সমস্ত ক্যালোরি ব্যবহার করে (যা মাত্র বিশ মিনিটের ব্যায়ামের পরে ঘটতে পারে), তখন এটি চর্বি ব্যবহার শুরু করে। একজন পেশাদার সাঁতারুকে দীর্ঘ দূরত্বের সাঁতারের চাহিদা মেটাতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য শক্তি ব্যবহার করতে হবে, তাই চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার অর্থ হয়। বিপরীতে, একজন ব্যক্তি যিনি একটি আসীন জীবনধারার নেতৃত্ব দেন তিনি যদি একই চর্বিযুক্ত খাবার খান, তবে তারা সম্ভবত তাদের শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি চর্বিযুক্ত ক্যালোরি পাবেন।

গন্ধ, স্বাদ, টেক্সচার, এবং তৃপ্তি

চর্বিতে দ্রবীভূত যৌগ থাকে যা মুখে জল আনা সুগন্ধ এবং স্বাদে অবদান রাখে। চর্বি খাবারে টেক্সচার যোগ করে এবং বেকড খাবারকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। চর্বি বিভিন্ন খাবারের মসৃণ, ক্রিমি, আর্দ্র, কোমল এবং খসখসে টেক্সচারে অবদান রাখে। ভাজা খাবার স্বাদে লক করে এবং রান্নার সময় কমিয়ে দেয়।

ফ্যাট পুষ্টিতে আরেকটি মূল্যবান ভূমিকা পালন করে। চর্বি তৃপ্তি বা পূর্ণতার অনুভূতিতে অবদান রাখে। কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিনের তুলনায় চর্বি হজম হতে বেশি সময় নেয় কারণ চর্বি পরিপাকতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ধীর গতিতে চলে, এইভাবে সামগ্রিকভাবে পূর্ণতা অনুভব করে। প্রায়শই পূর্ণতার অনুভূতি আসার আগে, লোকেরা চর্বি-সমৃদ্ধ খাবারে অত্যধিক আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে, যা সুস্বাদু স্বাদকে অপ্রতিরোধ্য মনে করে। প্রকৃতপক্ষে, চর্বি-সমৃদ্ধ খাবারগুলিকে আকর্ষণীয় করে তোলে এমন জিনিসগুলি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

মানবদেহের, মানবদেহের ২০৬ টি হাড়ের নাম, মানবদেহের ২০৬ হাড়ের নাম

এই ২০৬ টি হাড়ের মধ্যে অক্ষীয় হাড় ৮০ টি এবং উপাঙ্গীয় হাড় ১২৬টি।

প্রথমেই উপাঙ্গীয় অস্থি দিয়ে শুরু করা যাক।

উর্ধ্ববাহু/হাতঃ ৬০টি

  • হিউমেরাস ১×২
  • রেডিয়াস ১×২
  • আলনা ১×২
  • কার্পাল ৮×২
  • মেটাকার্পাল ৫×২
  • ফ্যালাঞ্জেস ১৪×২

(মোট ৬০ টি)

এই ৮ টি কার্পালের আবার আলাদা আলাদা নাম রয়েছে।

  • She – স্ক্যাফয়েড
  • Looks – লুনেট
  • Too – ট্রাইকুয়েট্রাল
  • Preety – পিসিফর্ম
  • Try – ট্রাপোজিয়াম
  • To – ট্রাপোজয়েড
  • Catch – ক্যাপিটেট
  • Her – হ্যামেট

নিম্নবাহু/ পাঃ

  • ফিমার ১×২
  • টিবিয়া ১×২
  • ফিবুলা ১×২
  • প্যাটেলা ১×২
  • টার্সাল ৭×২
  • মেটা টার্সাল ৫×২
  • ফ্যালাঞ্জেস ১৪×২

(মোট ৬০ টি)

বক্ষ অস্থি চক্রঃ

  • ক্লাভিকল ২ টা
  • স্ক্যাপুলা ২ টা

(মোট ৪ টা)

শ্রোনি অস্থি চক্র/কোমরের অস্থি চক্রঃ

  • ইলিয়াম ১টা
  • ইশ্চিয়াম ১ টা
  • পিউবিস ১ টি

(এই তিনটি অস্থি একত্রে মিলিত হয়ে একটি হিপবোন বা ইনোমিনেট অস্থি গঠন করে।সেই হিসেবে দুই পাশে ২ টি হিপবোন থাকে)

এরপরে অক্ষীয় অস্থি, যা মোট ৮০ টি।

  • করোটি–২৯ টি
  • বক্ষপিঞ্জর–২৫ টি
  • মেরুদন্ড –২৬ টি

করোটি ২৯টি

১.করোটির মধ্যে করোটিকা ৮ টি

মনে রাখার জন্য( ফেনীর P. O. E. T. ফ্রান্সে) ব্যবহার করতে পারি।

  • ফেনীর – স্ফনয়েড ১
  • P – প্যারাইটাল ১ ×২
  • O – অক্সিপিটাল ১
  • E – এমথয়েড ১
  • T- টেম্পোরাল ১×২
  • ফ্রান্সে – ফ্রন্টাল ১

২.মুখমন্ডলে ১৪ টি

মনে রাখার জন্য (ভন্ড মন্দ লোক পালিয়ে মেক্সিকো যায় ইন্ডিয়া না) ব্যবহার করতে পারি।

  • ভন্ড — ভোমার ১
  • মন্দ – ম্যান্ডিবল ১
  • লোক – লাক্রিমাল ১×২
  • পালিয়ে – প্যালেটাইন ১×২
  • মেক্সিকো – ম্যাক্সিলা ১×২
  • যায়- জাইগোম্যাটিক ১×২
  • ইন্ডিয়া — ইনফিরিয়র ন্যাসাল কঙ্কা ১×২
  • না – ন্যাসাল অস্থি ১×২

৩.কর্নাস্থি

  • M – ম্যালিয়াস ১×২
  • I – ইনকাস ১×২
  • S – স্টেপিস ১×২

হাইওয়েড ১টা

বক্ষপিঞ্জরে ২৫ টি

  • পর্শুকা ২৪
  • স্টার্নাম ১

মেরুদণ্ডে ২৬ টি

  • সারভাইকাল ৭ টা
  • থোরাসিক ১২ টা
  • লাম্বার ৫ টা
  • স্যাক্রাম ১ টা
  • কক্সিস ১ টা

এইতো এগুলোই ২০৬ টি হাড়ের নাম।।

মানবদেহের চিত্র

মানবদেহের আয়োডিনের একটি কাজ উল্লেখ করো

উত্তর: আয়োডিন থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে। আয়োডিনের অভাব হলে থাইরয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যায় এবং গলা অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে যায়। একেই গয়টার বা গলগন্ড বলা হয়। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা কমে গিয়ে মহিলাদের বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়াও আয়োডিনের অভাবে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ ও দেখা দিতে পারে।

আয়োডিন আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যদিও বিষয়টিকে আমরা কমই গুরুত্ব দিয়ে থাকি। থাইরয়েড হরমোন এবং হজমের কর্মকাণ্ডের জন্য এটি বিশেষ ভূমিকা রাখে। আয়োডিনের অভাব হলে শারীরিক বৃদ্ধি বা গঠনে বড় ধরণের প্রভাব পড়ে।

মানবদেহের উৎসেচক এর গুরুত্ব উল্লেখ করো

মানবদেহে উৎসেচক এর গুরুত্ব অপরিসীম। কোষের অভ্যন্তরে ঘটে চলা বিভিন্ন জারণ বিজারণ প্রক্রিয়া তে উৎসেচক অংশগ্রহণ করে। যেমন:

  • (i) খাদ্যনালীতে শর্করা জাতীয় খাদ্যের পরিপাক করে অ্যামাইলেজ ও লাইপেজ নামক দুই উৎসেচক।
  • (ii) হাইড্রোজেন পার অক্সাইড কে সাধারন তাপমাত্রায় ভেঙে দেয় ক্যাটালেজ নামক উৎসেচক।
  • (iii) কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন করতে লাগে সাইটোক্রোম অক্সিডেজ উৎসেচক।

এছাড়াও মানুষের লালারসে থাকা বিভিন্ন উৎসেচক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য উপাদান কে ভাঙতে সাহায্য করে।

মানবদেহের করোটি স্নায়ুর সংখ্যা কত, মানুষের করোটিক স্নায়ুর সংখ্যা কত

মানবদেহে ১২ জোড়া করোটিক স্নায়ু রয়েছে ।

করোটিক স্নায়ু(Cranial Nerve) – মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে করোটিকার বিভিন্ন ছিদ্রপথে যে সকল স্নায়ু শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিস্তার লাভ করে তাদেরকে করোটিক স্নায়ু বলে। মানুষের বার জোড়া করোটিক স্নায়ুকে রোমান সংখ্যা(I–XII) দ্বারা চিহ্নিত করা হয় এবং কাজের সাথে মিল রেখে এদের নামকরণ করা হয়েছে।

প্রথম দুই জোড়া স্নায়ু অলফ্যাক্টরি এবং অপটিক অগ্রমস্তিষ্ক থেকে উৎপন্ন, বাকি দশ জোড়া মধ্য মস্তিষ্ক থেকে।  শুধুমাত্র ভেগাস(vagus) স্নায়ু উদর(abdomen) পর্যন্ত বিস্তৃত, বাকিগুলো মাথা(head) এবং ঘার(neck) পর্যন্ত। কাজের প্রকৃতিভেদে এদেরকে তিন ভাগে করা হয়। যেমন- 

  • Sensory বা Afferent Nerve – এরা দেহের সংবেদী অঙ্গ(চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা, ত্বক)  থেকে স্নায়ু উদ্দীপনা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে(Central Nervous System) এ পাঠায়। এদেরকে  সংবেদী, অনুভূতিবাহী, সংজ্ঞাবাহী, অন্তর্বাহী স্নায়ুও বলা হয়। উদাহরণ- অপটিক স্নায়ু। 
  • Motor বা Efferent Nerve –  এরা দেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে উদ্দীপনা বিভিন্ন অঙ্গে পাঠায়।  এদেরকে চেষ্টীয়, বহির্বাহী, আজ্ঞাবাহী স্নায়ুও বলা হয়। উদাহরণ- অকুলোমোটর স্নায়ু। 
  • Mixed Nerve –  এরা সংবেদী(Sensory) এবং চেষ্টীয়(Motor) উভয় ধরনের স্নায়ু নিয়ে গঠিত অর্থাৎ উভয় ধরনের স্নায়ু উদ্দীপনা  বহন করে। উদাহরণ- ভেগাস স্নায়ু।  

12 জোড়া করোটিক স্নায়ুর নাম, মানুষের করোটিক স্নায়ুর সংখ্যা হল

ক্রমিক নংকরোটিক স্নায়ুস্নায়ুর প্রকৃতিকাজ
Iঅলফ্যাক্টরি সংবেদীঘ্রাণ অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌছানো  
IIঅপটিকসংবেদীদর্শন অনুভূতি মস্তিষ্কে পৌছানো   
IIIঅকুলোমোটরচেষ্টীয়অক্ষিগোলকের সঞ্চালন
IVট্রকলিয়ারচেষ্টীয়অক্ষিগোলকের সঞ্চালন
Vট্রাইজেমিনালমিশ্রমুখমণ্ডলীয় অংশের কাজ নিয়ন্ত্রণ 
VIঅ্যাবডুসেন্সচেষ্টীয় অক্ষিগোলকের সঞ্চালন
VIIফেসিয়াল মিশ্রমুখমণ্ডলীয় অংশের কাজ নিয়ন্ত্রণ 
VIIIঅডিটরিসংবেদীশ্রবণ ও দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে 
IXগ্লসোফ্যারিঞ্জিয়াল মিশ্রস্বাদগ্রহণ,  জিহ্বা ও গলবিল অঞ্চলের সঞ্চালন 
Xভেগাসমিশ্রভিসেরাল অঙ্গাণুর কাজ নিয়ন্ত্রণ করে   
XIস্পাইনাল অ্যাক্সেসরিচেষ্টীয়গলবিল, স্বরযন্ত্র, মাথা ও কাঁধের পেশির সঞ্চালন
XIIহাইপোগ্লোসাল চেষ্টীয়জিহ্বার সঞ্চালন
প্রতিটি করোটিক স্নায়ুর নাম, প্রকৃতি ও কাজ

মানবদেহের কোথায় অস্থিসন্ধি দেখা যায়

মানবদেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি মধ্যে উল্লেখযোগ্য অস্থিসন্ধি গুলি হলো : –

  • ঈষৎ সচল অস্থিসন্ধি: এ ধরনের অস্থিসন্ধি সামনে, পেছনে, পাশে সামান্য বাঁকানো বা নাড়ানো যায়। মেরুদণ্ডের অস্থিসন্ধি এর অন্যতম উদাহরণ। মেরুদণ্ড বাঁকা করেই দেখো।
  • সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি: এ ধরনের অস্থিসন্ধিতে অস্থি, তরুণাস্থি, সাইনোভিয়াল ফ্লুইড, লিগামেন্ট বা অস্থিবন্ধনী থাকে। যখন দুটি অস্থি একসঙ্গে মিলিত হয়ে একটি অস্থিসন্ধি গঠন করে, তখন তাকে সরল সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে। দুইয়ের বেশি অস্থি মিলে অস্থিসন্ধি তৈরি হলে তাকে জটিল সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি বলে। অস্থিসন্ধি গঠনের সময় অস্থির বহির্ভাগে তরুণাস্থি থাকে, ফলে অস্থি ঘর্ষণ থেকে রক্ষা পায় এবং ক্ষয় হয় না। আর লিগামেন্ট দ্বারা অস্থিগুলো বন্ধনীর মতো আবদ্ধ অবস্থায় থাকে। অস্থির আবরণকে পেরি অস্টিয়াম বলে। আমাদের হাঁটুর জয়েন্ট সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি।
  • বল ও কোটরসন্ধি: এ ধরনের অস্থিসন্ধিতে একটি অস্থির মাথার গোল অংশের সঙ্গে অন্য অস্থি স্থাপিত হয়। এ ধরনের অস্থিসন্ধি সব দিকেই নাড়ানো যায়। যেমন কাঁধের অস্থিসন্ধি। এটিও এক ধরনের সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি।
  • কবজাসন্ধি: আমাদের বাসায় দরজায় কবজা থাকে। ফলে আমরা দরজাটি খুলতে পারি, আবার বন্ধ করতে পারি। মোদ্দা কথা হলো, দরজা খুলে একপাশে আনতে পারি, তবে দরজা পাল্লার সঙ্গেই আটকানো রাখা অবস্থায়। কবজার মতো বলেই এ ধরনের অস্থিসন্ধিকে কবজাসন্ধি বলে। হাতের আঙুল, কনুই—এগুলো কবজা অস্থিসন্ধি। এটিও এক ধরনের সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধি।

বল ও কোটরসন্ধি পূর্ণ সচল অস্থিসন্ধির মধ্যে অন্যতম। এ ধরনের অস্থিসন্ধি সহজে নাড়াচাড়া করানো যায়। আর সাইনোভিয়াল অস্থিসন্ধিগুলো পূর্ণ সচল হয়ে থাকে।

মানবদেহের কোথায় অচল অস্থিসন্ধি থাকে, মানবদেহের কোথায় অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়

উত্তর: নাম শুনেই বুঝতে পারছ, এটা নাড়াচাড়া করা যায় না। এই অস্থিসন্ধিগুলো অনড়। অস্থিসন্ধি হলেও এরা নড়ে না। যেমন আমাদের করোটিকা অস্থিসন্ধি। মানবদেহের মাথার করোটিতে অচল অস্থিসন্ধি দেখা যায়।

মানবদেহের কোন অঙ্গ সচল থাকলে, মানবদেহের কোন অঙ্গ সচল থাকলে সাধারণত হিট স্ট্রোক হয় না

মানবদেহের ব্রেনের তাপনিয়ন্ত্রক কেন্দ্র সচল থাকলে সাধারণত হিট স্ট্রোক হয় না।

মানবদেহের ক্ষুদ্রতম গ্রন্থির নাম কি

পিনিয়াল গ্রন্থি মানবদেহের সবচেয়ে ছোট গ্রন্থি যার দৈর্ঘ্য প্রায় 5-8 মিমি।

মানবদেহে শব্দ দূষণের একটি প্রভাব উল্লেখ করো

শব্দ দূষণের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ উভয় প্রকার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এটি বিরক্তিকর হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে ক্ষতি করে থাকে। নিম্নে শব্দ দূষণের অন্যতম ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হলো।

  • বধিরতা : কানের স্বাভাবিক ধারণ ক্ষমতা ১-৭৫ ডেসিবল। এর অধিক শব্দ হলে কানের শ্রবণশক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের উচ্চ শব্দ শ্রবণ করলে বধির হয়ে যেতে পারে।
  • স্নায়ুযন্ত্র : শব্দ দূষণের ফলে স্নায়ুযন্ত্রের উপর চাপ পড়ে যা পরবর্তীতে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন- রক্তসংবহন তন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র এবং বিভিন্ন গ্রন্থির উপর প্রভাব ফেলে।
  • রক্তনালীর সংকোচন বৃদ্ধি : অনেক সময় তীব্র শব্দের প্রভাবে রক্তনালীর সংকোচন বৃদ্ধি পায়। ফলে হৃদপিন্ড থেকে নির্গত রক্তের পরিমাণও কমে যায়। এতে হৃদ প্রসারণের চাপ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকলাপও বন্ধ হতে পারে ।
  • শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি : অধিক শব্দ দূষণযুক্ত এলাকায় বসবাস করলে শিশুদের দৈহিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে শিশু বধির হয়ে যেতে পারে এবং মানসিক বিকাশ বিঘ্ন হতে পারে।
  • শ্বাস-প্রশ্বাস : শব্দ দূষণের ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর প্রভাব পড়ে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের হার অস্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে।
  • স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও খিটখিটে মেজাজ : শব্দ দূষণের ফলে মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে এবং মেজাজ খিটখিটে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

উপরিউক্ত প্রভাবগুলো ছাড়াও অধিক মাত্রায় শব্দ দূষণের ফলে ঘুম কমে যাওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, বমিভাব হওয়া, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, পড়ালেখা বিঘ্নিত হওয়া, অস্বস্তিবোধসহ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিঘ্নিত হতে পারে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক স্বাস্থ্য ও শারীর শিক্ষা

মানবদেহের কোন অঙ্গ সচল থাকলে সাধারণত হিট স্ট্রোক হয় না
মানবদেহের ব্রেনের তাপনিয়ন্ত্রক কেন্দ্র সচল থাকলে সাধারণত হিট স্ট্রোক হয় না।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন




আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।