মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও ভূগোল সপ্তম শ্রেণি

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও ভূগোল Part 5

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও ভূগোল সপ্তম শ্রেণি

বৃষ্টিপাত, বৃষ্টিপাত কি?

উত্তর: সূর্যের তাপ পানিকে বাষ্পে পরিণত করে। এই বাষ্প শীতল হয়ে ঘনীভূত হয়ে মেঘে পরিণত হয়। এটি তখন বৃষ্টি, তুষার বা ঝিরঝির আকারে পৃথিবীর পৃষ্ঠে পড়তে পারে। বৃষ্টি, তুষার বা ঝিরঝির আকারে পানি পৃথিবীর পৃষ্ঠে ফিরে আসার এই ঘটনাকে বৃষ্টিপাত বলে।

প্রবল বৃষ্টিপাত অর্থ

প্রবল বৃষ্টি, মুষলধারা, অঝোরধারা, ঘোরবর্ষণ, অবিরাম বৃষ্টিপাত, উতলধারা, ঝমঝমে বৃষ্টি।

জলচক্র কি?

উত্তর: যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পানি ক্রমাগত তার রূপ পরিবর্তন করে এবং মহাসাগর, বায়ুমণ্ডল এবং ভূমির মধ্যে সঞ্চালিত হয় তাকে জলচক্র বলে।

তরঙ্গের উচ্চতাকে প্রভাবিত করার কারণগুলি কী কী?

উত্তর: তরঙ্গের উচ্চতাকে প্রভাবিত করার কারণগুলি নিম্নরূপ:

  • বাতাসের গতি
  • ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত বা পানির নিচে ভূমিধস

কোন বিষয়গুলো সমুদ্রের পানির চলাচলকে প্রভাবিত করে?

উত্তর: সমুদ্রের পানির গতিবিধিকে প্রভাবিত করে এমন কারণগুলি নিম্নরূপ:

  • তাপমাত্রা
  • সূর্য ও চাঁদের মহাকর্ষীয় টান
  • উষ্ণ এবং ঠান্ডা স্রোত
  • বায়ু

জোয়ার কি এবং কিভাবে তারা সৃষ্ট হয়?

উত্তর: দিনে দুবার সমুদ্রের পানির ছন্দবদ্ধ উত্থান ও পতনকে জোয়ার বলে। পৃথিবীর পৃষ্ঠে সূর্য এবং চাঁদ দ্বারা প্রবাহিত মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে জোয়ারের সৃষ্টি হয়।

সমুদ্রের স্রোত কি?

উত্তরঃ সমুদ্রপৃষ্ঠের উপর দিয়ে প্রতিনিয়ত নির্দিষ্ট দিকে প্রবাহিত পানির স্রোতকে মহাসাগরীয় স্রোত বলে। সমুদ্রের স্রোত উষ্ণ বা ঠান্ডা হতে পারে।

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও ভূগোল Part 6

কোন দুটি বিষয়ের উপর গাছপালা বৃদ্ধি বেশিরভাগ নির্ভর করে?

উত্তর: গাছপালা বৃদ্ধি দুটি কারণের উপর নির্ভর করে: তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা।

প্রাকৃতিক উদ্ভিদের তিনটি বিস্তৃত শ্রেণী কোনটি?

উত্তর: প্রাকৃতিক গাছপালা তিনটি শ্রেণীতে বিভক্ত:

  • বন- যেখানে বৃষ্টিপাত এবং তাপমাত্রা উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্য প্রচুর
  • তৃণভূমি- মাঝারি বৃষ্টিপাতের অঞ্চলে জন্মে এমন উদ্ভিদ
  • গুল্ম- শুষ্ক অঞ্চলে জন্মে এমন উদ্ভিদ

গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ বনে সাধারণত পাওয়া দুটি শক্ত কাঠের গাছের নাম বল।

উত্তর: গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ বনে সাধারণত দুটি শক্ত কাঠের গাছ পাওয়া যায় রোজউড এবং মেহগনি।

পৃথিবীর কোন অংশে ক্রান্তীয় পর্ণমোচী বন পাওয়া যায়?

উত্তর: গ্রীষ্মমন্ডলীয় পর্ণমোচী বন, মৌসুমী বন নামেও পরিচিত, এমন অঞ্চলে পাওয়া যায় যেগুলি ঋতু পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। এই অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে ভারত, উত্তর অস্ট্রেলিয়া এবং আমেরিকা।

কোন আবহাওয়ায় সাইট্রাস ফল চাষ করা হয়?

উত্তর: গরম, শুষ্ক গ্রীষ্ম এবং হালকা বৃষ্টির শীতের জন্য চিহ্নিত অঞ্চলে সাইট্রাস ফল জন্মে। এই সাইট্রাস ফলের মধ্যে রয়েছে কমলালেবু, ডুমুর, জলপাই এবং আঙ্গুর।

শঙ্কুযুক্ত বনের ব্যবহার উল্লেখ কর।

উত্তর: শঙ্কুযুক্ত বনে জন্মানো নরম কাঠের চিরহরিৎ গাছ ম্যাচবক্স এবং প্যাকিং বাক্স তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এগুলি সজ্জা তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়, যা কাগজ এবং নিউজপ্রিন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

পৃথিবীর কোন অঞ্চলে মৌসুমী তৃণভূমি পাওয়া যায়?

উত্তর: মৌসুমী তৃণভূমিগুলি মধ্য অক্ষাংশ

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও ভূগোল Chapter 6

মস এবং লাইকেন পাওয়া যায়:

(a) মরুভূমির গাছপালা

(b) গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ বন

(c) তুন্দ্রা গাছপালা

উত্তরঃ গ

কাঁটাযুক্ত ঝোপ পাওয়া যায়:

(a) উষ্ণ এবং আর্দ্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ু

(b) উষ্ণ এবং শুষ্ক মরুভূমির জলবায়ু

(c) ঠান্ডা মেরু জলবায়ু

উত্তরঃ খ

গ্রীষ্মমন্ডলীয় চিরহরিৎ বনে, একটি সাধারণ প্রাণী হল:

(a) একটি বানর

(b) জিরাফ

(গ) উট

উত্তরঃ ক

শঙ্কুযুক্ত বনের একটি গুরুত্বপূর্ণ জাত হল:

(a) রোজউড

(b) পাইন

(c) সেগুন

উত্তরঃ খ

স্টেপ তৃণভূমি পাওয়া যায়

(a) দক্ষিণ আফ্রিকা

(b) অস্ট্রেলিয়া

(c) মধ্য এশিয়া

উত্তরঃ গ

শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত

জলীয় বাষ্প পূর্ন আর্দ্র বায়ু কোন উঁচু পর্বতে বাঁধা পেয়ে পর্বতের গাঁ বেয়ে ওপরে উঠে ওপরের শীতল বায়ুর সংস্পর্শে এসে ঘনীভূত পর্বতের প্রতিবাত ঢালে যে বৃষ্টিপাত ঘটায় তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে। এই ধরণের বৃষ্টিপাত সৃষ্টিতে শৈল অর্থাৎ পর্বত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে বলে। একে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলা হয়ে থাকে।

চিত্রসহ শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের বিবরণ দাও

‘শৈল’ শব্দের অর্থ ‘পর্বত’ এবং ‘উৎক্ষেপ’-এর অর্থ ‘উপরে ওঠা’। সাধারণ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বতে বাধা পেয়ে উপরে উঠে ঘনীভূত হয়ে যে বৃষ্টিপাত ঘটায়, তাকে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত বলে।

সৃষ্টির পরিবেশ : সমুদ্র নিকটবর্তী সুউচ্চ পর্বতের অবস্থান, ও সমকোণে প্রবল জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু পর্বত দ্বারা বাধা পেয়ে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টির পরিবেশ সৃষ্টি করে।

পদ্ধতি : সমুদ্র থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু তার প্রবাহপথে আড়াআড়িভাবে অবস্থিত কোনো পর্বতে বাধা পেলে ঢুকা বায়ু পর্বতের গা বেয়ে উপরে উঠে যায়।ঊর্ধ্বগামী এই বায়ু প্রসারিত ও শীতল হতে থাকে এবং বায়ুস্থিত জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয়। এই জলকণাগুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে ক্রমশ বড়ো হতে থাকে এবং পর্বতের যে ঢাল বেয়ে বায়ু উপরে উঠে এসেছে, সেই প্রতিবাত ঢালে (Windward Side) প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। পর্বত অতিক্রম করে এই বায়ু যখন বিপরীত ঢাল অর্থাৎ, অনুবাত ঢালে (Leeward Side) এসে পৌঁছায় তখন তাতে আর জলীয় বাষ্প থাকে না। তা ছাড়া নীচের দিকে নামতে থাকায় বায়ু ক্রমশ উগ্ন হতে থাকে, ফলে, ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই এই ঢালে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। একে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল (Rainshadow Region) বলে।

উদাহরণ : 1. ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি পাহাড়ের প্রতিবাত ঢালে অবস্থিত চেরাপুঞ্জির মৌসিনরামে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধা পেয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত ঘটায়। কিন্তু শিলং বিপরীত পাশে থাকায় সেখানে বৃষ্টিপাত কম হয়। 2.দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আরবসাগরীয় শাখা পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিম ঢালে বাধা পেয়ে প্রচুর শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত পরিচলন ঘটায়, কিন্তু পূর্ব ঢালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে।

জলপ্রবাহ বৃষ্টিপাত ভৌমজল ও বাস্পীভবন

জলপ্রবাহ, বৃষ্টিপাত, ভৌমজল ও বাস্পীভবন এদের সঠিক ক্রমে লিখলে যে প্রবাহপথটি তৈরী হবে, তা হলাে—

জলপ্রবাহ –) বাস্পীভবন — বৃষ্টিপতি ভৌমজল জলপ্রবাহ/বাস্পীভবন ভৌমজল » বৃষ্টিপতি → জলপ্রবাহ → ভৌমজল/বৃষ্টিপাত – বাষ্পীভবন→ বাষ্পীভবন → ভৌমজল → বৃষ্টিপাত → জলপ্রবাহ/ভৌমজল — বৃষ্টিপাত – ভৌমজলভৌমজল » জলপ্রবাহ — বাস্পীভবন​

পরিচলন বৃষ্টিপাত

পৃথিবীর যে সব অঞ্চলে জলভাগের পরিমান বেশি, সেই সব অঞ্চলে দিনের বেলায় প্রখর সূর্যতাপে জলীয় বাষ্প পূর্ন বায়ু পরিচলন পদ্ধতিতে হালকা হয়ে ওপরে উঠে প্রসারিত ও শীতল প্রথমে মেঘ এবং পরে বৃষ্টিরূপে নিচে নেমে আসে । এই ধরণের বৃষ্টিপাত কে পরিচলন বৃষ্টিপাত বলা হয়।

করমন্ডল উপকূলে বছরে দুবার বৃষ্টিপাত হয়

করমন্ডল উপকূলে দুবার বৃষ্টিপাত হয় কারণ —

  • (i) গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু পশ্চিমঘাট পর্বত অতিক্রম করে পশ্চিমঘাট পর্বতের অনুবাত ঢালে অবস্থিত তামিলনাড়ুর করমণ্ডল উপকূলে সামান্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত ঘটায়।
  • (ii) আবার শীতকালের শুরুতে অক্টোবর ও নভেম্বর প্রত্যাবর্তনকারী উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর কিছু অংশ বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে আসার সময় জলীয় বাষ্প সংগ্রহ করে তামিলনাড়ুর দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত করমন্ডল উপকূলে শীতকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটায়। যার ফলে কোনো কোনো বছর এই শীতকালীন বৃষ্টিপাতের ফলে তামিলনাড়ুতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

বিশ্ব ও ভারতীয় ভূগোল

এটি ভলিউম 1 এই বইটি বাংলা সংস্করণ। প্রতিযোগিতামূলক সরকারের জন্য এই ভূগোল বইটি সেরা।

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও ভূগোল 2021

মেরু অঞ্চলের প্রাণীদের পুরু পশম এবং পুরু চামড়া থাকে। কারণ দেখাও

উত্তর: মেরু অঞ্চলের প্রাণীদের ঘন পশম এবং চামড়া থাকে, যাতে ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করা যায়। শীতল আবহাওয়ার কারণে এই অঞ্চলে প্রাকৃতিক গাছপালা সীমিত।

গ্রীষ্মমন্ডলীয় পর্ণমোচী গাছ শুষ্ক মৌসুমে তাদের পাতা ঝরায়। কারণ দেখাও

উত্তর: গ্রীষ্মমন্ডলীয় পর্ণমোচী বন ভারতের বিশাল অংশে, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অংশে এবং আমেরিকায় পাওয়া যায়। এই ধরনের এলাকায় ঋতু পরিবর্তনের সম্মুখীন হয় এবং তাই গ্রীষ্মমন্ডলীয় পর্ণমোচী গাছগুলি শুষ্ক মৌসুমে জল সংরক্ষণের জন্য তাদের পাতা ফেলে দেয়।

গাছপালার ধরন এবং পুরুত্ব স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়। কারণ দেখাও

উত্তর: জলবায়ু অবস্থা, ভূমিরূপ, তাপমাত্রা ও আর্দ্রতার পরিবর্তনের কারণে গাছপালার ধরন ও পুরুত্ব স্থানে স্থানে পরিবর্তিত হয়। বিভিন্ন ধরণের গাছপালা এবং প্রাণী বিভিন্ন ধরণের উদ্ভিদে বেঁচে থাকতে পারে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | পৃথিবীর

Q1. পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব

Ans – পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব প্রায় ১৪৯.৬ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ১৫ কোটি কিলোমিটার। তবে এই দূরত্ব সবসময় একই থাকে না।

অনুসূর অবস্থানে পৃথিবী সূর্য থেকে ১৪.৭ কোটি কিলোমিটার দূরে থাকে।আর অপসূর অবস্থানে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫.২ কোটি কিলোমিটারে।

Q2. চাঁদ পৃথিবী থেকে কত গুন বড়

Ans – পৃথিবী চাঁদের চেয়ে প্রায় ৫০ গুন বড়।

Q3. সূর্য পৃথিবী থেকে কত গুন বড়

Ans – ব্যাসার্ধের বিচারে, পৃথিবী থেকে সূর্যের পরিমাণ প্রায় ১০৯ গুণ বেশি। সূর্যের ব্যাস প্রায় ৮৬৪,৯৪৮ মাইল এবং পৃথিবীর ব্যাস মাত্র ৭,৯২৬ মাইল। ভর হিসাবে, সূর্যের ওজন পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ৩৩৩,০০০ গুণ বেশি।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।