Model Activity Task Class 9 Life Science Part 6 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Life Science Class 9, Tissue | Model Activity Task Class 9 Life Science Part 6

Table of Contents

প্রাণী কোষ, প্রানী কোষ, প্রাণী কোষ কাকে বলে

জীবদেহের গঠন ও কাজের একককে কোষ বলে। অর্থাৎ প্রাণী দেহ যা দিয়ে গঠিত হয় তাই প্রাণীকোষ।

  • প্রতিটি জীবের সূচনা হয় একটিমাত্র কোষ থেকে এবং পূর্ববর্তী কোষ থেকেই নতুন কোষের সৃষ্টি হয়। এই তত্ত্বটি কোষ মতবাদ বা cell theory নামে পরিচিত যা প্রদান করেন প্রাণিবিজ্ঞানী সোয়ান (Theodor Schwann) এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানী স্লেইডেন (M.J. Schleiden)।
  • প্রতিটি জীবদেহ এক বা একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত এবং প্রতিটি কোষ এককভাবে কাজ করতে পারে।
  • পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম কোষ হচ্ছে- মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম (Mycoplasma gallisepticum) এবং মাইকোপ্লাজমা লেডলয়ি (Mycoplasma laidlawii) নামক এককোষী জীবাণু যা ব্যাকটেরিয়া সদৃশ। এদের ব্যাস মাত্র ০.১ মাইক্রন।
  • পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাণী কোষ হচ্ছে- উটপাখির ডিম, খোসাসহ যার আয়তন ১৭০ মিমি x ১২৫ মিমি।
  • মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ হচ্ছে স্নায়ুকোষ যা দৈর্ঘ্যে প্রায় ১ মিটার হয়ে থাকে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষ মানুষের দেহে (৮০ কেজি ওজনের) কোষের সংখ্যা প্রায় দশ লক্ষ কোটি।
  • প্রাণী কোষ বিভিন্ন আকার ও আকৃতির হয়ে থাকে। যেমন- ডিম্বাণু প্রায় গোলাকার বা ডিম্বাকার, শুক্রাণু লেজ বিশিষ্ট, পেশীকোষ লম্বা, যকৃত-কোষ বহুভূজাকার, স্নায়ুকোষ সরু ও শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট।

প্রাণী কোষ বিভাজনে সেন্ট্রোজোম এর গুরুত্ব, প্রাণী কোষের বিভাজনের সেন্ট্রোজোম এর গুরুত্ব, প্রাণী কোষের বিভাজনের সেন্ট্রোজোম এর গুরুত্ব নির্ধারণ করো

প্রাণীকোশের বিভাজনে সেন্টোজোমের গুরুত্ব হল নিম্নলিখিত-

  • মূলত সকল প্রাণী কোষ এবং কিছু উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজম তরলের মধ্যে নিউক্লিয়াসের পাশে অবস্থিত পর্দাবিহীন তারকা আকৃতির কোষীয় অঙ্গাণুকে সেন্ট্রোজোম বলে। এটি মূলত প্রাণী কোষ বিভাজন কালে বেমতন্তু গঠন করে।
  • মাইটোসিস কোষ বিভাজনের সময় সেন্ট্রোজোম দ্বয় থেকে টিউবিউলিন নামক প্রোটিন এর সাহায্যে প্রলম্বিত মাইক্রোটিউবিউল উৎপন্ন হয় । এবং তা মাইটোটিক স্পিন্ডেল গঠন করে। যার দ্বারা বিভাজিত ক্রোমোজোমগুলি কোষের মেরুতে গমন করে।
  • কোষ বিভাজনের শেষ পর্যায়ে ক্রোমোজোমের প্রন্তীয় গমনে সেন্ট্রোজোম সাহায্য করে।

প্রাণী কোষের কোন অঙ্গাণু কোষ বিভাজন কালে বেম গঠন করে

উদ্ভিদকোষের কোষ বিভাজনকালে বেম গঠন করে সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত মাইক্রোটিউবিউল।

মাইক্রোটিউবিউল কোষীয় সাইটোস্কেলিটন এর অংশবিশেষ যা উদ্ভিদ কোষের বেম গঠন করে। মাইক্রোটিউবিউল নির্মিতব্য ক্রোমোজোমকে দুই মেরুতে নিয়ে যায়। ফলে কোষ বিভাজনে উৎপন্ন অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা ও DNA এর পরিমাণ মাতৃকোষের সমান থাকে।

মাইক্রোটিউবিউল কি, মাইক্রোটিউবিউল কাকে বলে

মাইক্রোটিউবুলগুলি কোষ জুড়ে বিস্তৃত হয় যা এটিকে সঠিক আকার দেয় এবং অর্গানেলগুলিকে যথাস্থানে রাখে। এগুলি সাইটোস্কেলটনের বৃহত্তম কাঠামো এবং প্রায় 24 এনএম পুরু। তারা কোষের চলাচল, কোষ বিভাজন এবং কোষের মধ্যে পদার্থ পরিবহনের সুবিধা দেয়। তারা মাইটোসিস প্রক্রিয়ার সময় এবং লোকোমোশনের সময় ক্রোমোজোমের বিভাজনের সাথে জড়িত।

প্রাণী কোষের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র, প্রাণী কোষের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অংকন করো, প্রাণী কোষের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করে তার বিভিন্ন অংশ, প্রাণী কোষের চিত্র অঙ্কন করো, প্রাণী কোষের ছবি

প্রাণী কোষের একটি পরিচ্ছন্ন চিত্র

প্রোক্যারিওটিক কোষ কাকে বলে

উত্তর: যেসব কোষে আদর্শ এবং সংগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না, কোষে পর্দাঘেরা কোষ অঙ্গাণু থাকে না, ক্রোমোজোম গঠিত হয় না, তাদের আদি কোষ বা প্রোক্যারিওটিক কোষ বলে। ব্যাকটেরিয়া নীলাভ সবুজ শৈবাল ইত্যাদি প্রোক্যারিওটিক কোষের উদাহরণ।

প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষের পার্থক্য

নিউক্লিয়াসের সংগঠনের উপর ভিত্তি করে কোষ দুই প্রকার যথা- প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic cell) এবং ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic cell)।

প্রোক্যারিওটিক কোষ (Prokaryotic cell)ইউক্যারিওটিক কোষ (Eukaryotic cell)
নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয় অর্থাৎ নিউক্লিয়ার পর্দা বা মেমব্রেন এবং নিউক্লিওলাস অনুপস্থিতসুগঠিত নিউক্লিয়াস বিশিষ্ট কোষ অর্থাৎ এদের নিউক্লিয়ার পর্দা বা মেমব্রেন এবং নিউক্লিওলাস থাকে
ক্রোমোজোমে ক্ষারীয় হিস্টোন অনুপস্থিতক্রোমোজোমে ক্ষারীয় হিস্টোন থাকে
সাইটোপ্লাজমে এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, গলগি বস্তু, মাইটোকন্ড্রিয়া, লাইসোজোম ইত্যাদি অনুপস্থিতসাইটোপ্লাজমে এন্ডোপ্লাজমিক জালিকা, গলগি বস্তু, মাইটোকন্ড্রিয়া, লাইসোজোম ইত্যাদি থাকে
ক্লোরোপ্লাস্টিড অনুপস্থিত কিন্তু থাইলাকয়েড উপস্থিতক্লোরোপ্লাস্টিড উপস্থিত। ক্লোরোপ্লাস্টিডের অভ্যন্তরে থাইলায়েড থাকে
শ্বাসক্রিয়ার প্রয়োজনীয় উৎসেচক প্লাজমাপর্দায় থাকেশ্বাসক্রিয়ার প্রয়োজনীয় উৎসেচক মাইটোকন্ড্রিয়ায় থাকে
অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়মাইটোসিস ও মিয়োসিস পদ্ধতিতে বিভাজিত হয়
যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, নীলাভ-সবুজ শৈবাল, মাইকোপ্লাজমা ইত্যাদিপ্রোটোজোয়া, শৈবাল (নীলাভ-সবুজ শৈবাল ব্যতীত), উঁচুশ্রেণীর উদ্ভিদ ও মেটাজোয়া
নিউক্লিয়াসটি আদি প্রকৃতির যা নিউক্লিয় পর্দা নিউক্লিওলাস এবং নিউক্লিয় জালক বিহীন। এটি কেবল DNA দিয়ে গঠিত।নিউক্লিয়াস টি আদর্শ প্রকৃতির যা নিউক্লিয় পর্দা নিউক্লিওলাস নিউক্লিয় রস এবং নিউক্লিয় জালক নিয়ে গঠিত।
আদি কোষে পর্দাঘেরা কোন কোষ অঙ্গাণু থাকে না।এই কোষে পর্দাঘেরা কোষ অঙ্গাণু থাকে।
4. রাইবোজোম 70S প্রকৃতির এবং ক্ষুদ্ররাইবোজোম 80S প্রকৃতির এবং বড়।
5. শ্বসন উৎসেচক সাইটোপ্লাজম এবা প্লাজমা পর্দার অন্তগাত্রে থাকে।শ্বসন উৎসেচক সাইটোপ্লাজম এবং মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যে থাকে
ক্রোমোজোম সাধারণত থাকে না।নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমোজোম থাকে।
কোষ বিভাজন অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে ঘটে।কোষ বিভাজন মাইটোসিস এবং মিয়োসিস পদ্ধতিতে ঘটে।
ভ্যাকুওল সাধারণত থাকেনা।উদ্ভিদ কোষে থাকে ,প্রাণী কোষে সাধারণত থাকে না।
DNA প্রোটিনের সঙ্গে সংযুক্ত ভাবে থাকে না অর্থাৎ নগ্ন প্রকৃতির।DNA প্রোটিনের সঙ্গে সংযুক্ত ভাবে থাকে।
কোষ প্রাচীর থাকে, যার মুখ্য উপাদান হলো মিউকোপেপটাইড বা পেপটাইডোগ্লাইক্যান।উদ্ভিদ কোষের কোষ প্রাচীর থাকে যার মুখ্য উপাদান সেলুলোজ, প্রাণী কোষে কোষ প্রাচীর থাকেনা।
প্রোক্যারিওটিক ও ইউক্যারিওটিক কোষের পার্থক্য

মিয়োসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে, মাইটোসিস কাকে বলে

মিয়োসিস (Meiosis) হলো জনন মাতৃকোষের বিভাজন পদ্ধতি। যে কোষ বিভাজন প্রক্রিয়ায় মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস দুবার এবং ক্রোমোজোম একবার বিভক্ত হয় ফলে অপত্য কোষে ক্রোমোজোমের সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোমের তুলনায় অর্ধেক হয়ে যায়, তাকে মিয়োসিস বলে। একে হ্রাসমূলক কোষ বিভাজনও বলা হয়। মিয়োসিস কোষ বিভাজনকে দুটি পর্বে ভাগ করা হয়৷ যথা– মিয়োসিস-১ এবং মিয়োসিস-২।

মিয়োসিস কোষ বিভাজনের কারণে বংশানুক্রমে ক্রোমোজোমের সংখ্যা ধ্রুব থাকে।

মিয়োসিস কোষ বিভাজনের বৈশিষ্ট্য | Characteristics of Meiosis cell division

  • এটি জীবের জনন মাতৃকোষে ঘটে থাকে।
  • মাতৃকোষটি বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়।
  • অপত্য কোষে ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোসোম সংখ্যার অর্ধেক হয়।
  • এ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অপত্য কোষ জনন কোষ হিসেবে জীবের যৌন জননে অংশ নেয়।
  • মিয়োসিসে নিউক্লিয়াস দুবার এবং ক্রোমোসোম একবার বিভক্ত হয়।

মাইটোসিস কে সমবিভাজন বলে কেন

মাইটোসিসকে সদৃশ বিভাজন বা সমবিভাজন বলার কারণ কী? অপত্য কোষের ক্রোমসোম সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমসোম সংখ্যার সমান হয়ে থাকে এবং অপত্য কোষ বৃদ্ধি পেয়ে মাতৃকোষের সমান আয়তনের হয়- তাই মাইটোসিসকে সদৃশ বিভাজন বা সমবিভাজন বলে।

মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য লেখ

মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য গুলি হলো :-

  • এ প্রক্রিয়ায় প্রতিটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বিভাবে তথা অনুদৈর্ঘ্যে দুটি ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয়।
  • প্রতিটি ক্রোমাটিড তথা অপত্য ক্রোমোজোম তার নিকটস্থ মেরুতে পৌঁছে দুটি অপত্য নিউক্লিয়াসের সৃষ্টি করে। কাজেই দুটি অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান থাকে।
  • অপত্য কোষগুলো মাতৃকোষের সমগুণ সম্পন্ন হয়, কারণ জীবের বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রক জিনসমূহ বহনকারী ক্রোমোজোমগুলোর প্রতিটি লম্বালম্বিভাবে বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষের নিউক্লিয়াসে যায়।
  • অপত্য কোষের ক্রোমোজোম (Chromosome) সংখ্যা মাতৃকোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা সমান থাকে।
  • অপত্য কোষ বৃদ্ধি পেয়ে মাতৃকোষের সমান আয়তনের হয়।

অ্যামাইটোসিস এর অপর নাম কি

অ্যামাইটোসিস হল জীবদেহের এক ধরনের কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া, যা প্রধানত নিম্ন শ্রেনির জীবে (যেমন- এক কোষী প্রাণী – ব্যাক্টেরিয়া, ইস্ট, অ্যামিবা ইত্যাদি) দেখা যায়। একে ক্যারিওস্টেনোসিস বা প্রত্যক্ষ কোষ বিভাজনও বলা হয়।

অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন কাকে বলে, অ্যামাইটোসিস কাকে বলে

যে কোষ বিভাজনের ফলে মাতৃকোষের নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম সরাসরি বিভক্ত হয়ে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজন বলে। ধন্যবাদ। যে প্রক্রিয়ায় কোনও মাতৃকোশের নিউক্লিয়াসটি সরাসরি বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্যকোশ সৃষ্টি করে, তাকেই অ্যামাইটোসিস বলে। এই প্রক্রিয়া ঈস্ট, ব্যাকটিরিয়া ইত্যাদি জীবে দেখা যায়।

অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের দুটি গুরুত্ব লেখ, অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব, অ্যামাইটোসিস এর গুরুত্ব

অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের দুটি গুরুত্ব গুলি হলো :-

  • অ্যামাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে নিম্ন শ্রেণির জীব তার সংখ্যা বৃদ্ধি করে যেমন অ্যামিবা,ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি।
  • কোন জটিল প্রক্রিয়া ছাড়াই এই কোষ বিভাজন ঘটে বলে নিম্ন শ্রেণীর জীবের বৃদ্ধি ও বংশগতি তে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
  • নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম ও সাইটোপ্লাজম সংরক্ষিত হওয়ায় অপত্য কোষ এর গুনাগুন মাতৃকোষের সমান হয় ফলে সৃষ্ট অপত্য কোষে বংশগতির ধারা রক্ষিত হয়।

মাইটোসিস ও মিয়োসিসের পার্থক্য

মাইটোসিসমিয়োসিসের
মাইটোসিস কোষ বিভাজন জীবদেহের মাইটোসিসমিয়োসিস জীবের জনন মাতৃকোষে ঘটে।
কোষ বিভাজনের মাতৃকোষ অপত্য কোষের ক্রোমোজোম সংখ্যা একই থাকে। এই কারণে মাইটোসিস কে সমবিভাজন বলে।মিয়োসিসে মাতৃকোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা অপত্য কোষে অর্ধেক হয়ে যায়। তাই মিয়োসিসকে রাস বিভাজন বলে।
মাইটোসিস কোষ বিভাজনে একটি মাতৃকোষ থেকে দুইটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়।মিয়োসিস কোষ বিভাজনে একটি মাতৃকোষ থেকে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয়।
মাইটোসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে 2 টি অপত্য কোষের সৃষ্টি করে।মিয়োসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে চারটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে।
মাইটোসিস কে সমীকরণিক কোষ বিভাজন বলা হয়মিয়োসিস কে হ্রাসমূলক কোষ বিভাজন বলে।
মাইটোসিস ও মিয়োসিসের পার্থক্য

মাইটোসিস কোষ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশা তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখ

মাইটোসিস কোষ বিভাজনের সর্বাপেক্ষা স্বল্পস্থায়ী দশা হল অ্যানাফেজ দশা। এই দশার বৈশিষ্ট্য গুলি হল :

  • এই দশায় ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ার গুলি সমান দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এই দশায় অপত্য ক্রোমোজোম গঠিত হয়।
  • এই দশায় অপত্য ক্রোমোজোম গুলি অর্ধেক বিষুব অঞ্চল থেকে বেমের দুটি বিপরীত মেরুর দিকে যাত্রা শুরু করে যা অ্যানাফেজীয় চলন নামে পরিচিত।
  • এই দশায় অপত্য ক্রোমোজোম গুলি পৃথক হওয়ায় ক্রোমোজোমের মাঝের তন্তু গুলিকে ইন্টারজোনাল তন্তু বলে।
  • এই দশার শেষে অপত্য ক্রোমোজোম গুলি ইংরেজি অক্ষর V (মেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম), L (সাবমেটাসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম) , J (অ্যাক্রসেন্ত্রিক ক্রোমোজোম) , I (টেলসেন্ট্রিক ক্রোমোজোম) এর মত দেখায়।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়তে

ক্লাস 9 জীবন বিজ্ঞান জীবন বিজ্ঞান নোট রেফারেন্স বই WBBSE




পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য



FAQ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক উত্তর

মাইটোসিস কোষ বিভাজনের গুরুত্ব

মাইটোসিস কোষ বিভাজনে প্রকৃত কোষের নিউক্লিয়াস ও ক্রোমোসোম উভয় একবার বিভাজিত হয়।

বহুকোষী জীবে জাইগোট নামের 1টি মাত্র কোষের মাইটোসিস বিভাজের মাধ্যমে বহুকোষী জীব দেহ গঠিত হয়।

আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে এই মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে।
জননাঙ্গ সৃষ্টি হয় মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে।

আপনার শরীরে কোথাও কেটে গেলে সেই ক্ষত স্থান পূরণ করে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে।

কোষের স্বাভাবিক আকার, আয়ত, আকৃত ঠিক রাখে এই কোষ বিভাজনের মাধ্যমে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।