জীব কাকে বলে, জড় কাকে বলে, জীব বিজ্ঞানের জনক কে, জীব ও জড়ের পার্থক্য

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

জীব কাকে বলে

যাদের জীবন আছে তাদের জীব বলে। জীবের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি হলো চলন, পুষ্টি, প্রজনন, রেচন, অনুভূতি, শ্বাসপ্রশ্বাস, বৃদ্ধি ও অভিযোজন।

জীববিজ্ঞানের ভাষায় যাদের জীবন আছে তাদের জীব ( ইংরেজি : Organism) বলে। বিস্তারিত ভাবে জীবের সংজ্ঞা হলোঃ যার প্রটোপ্লাজম যুক্ত ও সর্বদা বিপাকীয় কার্যাবলী চলতে থাকে এমন কোষ রয়েছে এবং নানা উপায়ে বংশ বিস্তারে সক্ষম সেই জীব। জীব প্রধানত দুই প্রকার ১। প্রাণী, ২। উ‌দ্ভিদ।

অর্থাৎ, মানুষ, পশু, পাখি এবং গাছপালা হলো জীব। জীবের শরীরের বৃদ্ধি ও পরিবর্তন ঘটে জীব নিজের মতো নতুন জীবের জন্ম দেয়। জীবের মৃত্যুও আছে। জীবের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য জল এবং বায়ুর প্রয়োজন।

জীবের বৈশিষ্ট্য

প্রাণী, উদ্ভিদ, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া এবং প্রোটোকটিস্টি সহ বিভিন্ন ধরনের জীব রয়েছে। জীব জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন শারীরিক সত্তা হিসেবে চরিত্রগতভাবে আলাদা, জীবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিম্নে আলোচনা করা হলো:

(১) চলন/চলার গতি: জীব তাদের জায়গা স্থানান্তর করতে পারে এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। যেমন – কেঁচো বৃত্তাকার এবং অনুদৈর্ঘ্য পেশী ব্যবহার করে মাটি বা পৃষ্ঠতল বরাবর চলাফেরা করে।

(২) খাদ্য গ্রহণ: জীবনধারণ করার জন্য প্রতিটি জীবই খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। অপরদিকে জড় পদার্থ কোন খাদ্য গ্রহণ করে না।

(৩) প্রজনন: জীব নিজেদের মতো একই ধরনের জীব জন্মদান করতে পারে। যা প্রজাতির বেচেঁ থাকার এবং ধারাবাহিকতার জন্য অপরিহার্য।

(৪) বৃদ্ধি: জীব তাদের কোষের সংখ্যা বা আকার বাড়িয়ে স্থায়ীভাবে তাদের আকার বা শুষ্ক ভর বৃদ্ধি করতে পারে। যেমন – কেঁচো ডিম থেকে বের হয় এবং দৈর্ঘ্য এক মিটার বা তারও বেশি বেড়ে যায়।

(৫) রেচন বা মলত্যাগ: বর্জ্য থেকে মুক্তি পাওয়া। অর্থাৎ প্রতিটি জীব বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দেহে সৃষ্টি হওয়া বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়।

(৬) শ্বাস- প্রশ্বাস: সব জীবই জন্মের পর শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করে। জীবের মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে।

(৭) অনুভূতি: অনুভূতি বলতে প্রতিটি জীবের একটি ক্ষমতা বোঝায়, তাহলে উদ্দীপনার প্রতি প্রতিক্রিয়া। অর্থাৎ, আমরা আমাদের শরীরে সুঁচ ফুটালে আমাদের ব্যাথা অনুভব করতে পারি।

(৮) অভিযোজন: জীব নিজেদের পারিপার্শ্বিকতার সাথে নিজেকে সামঞ্জস্য করার ক্ষমতা আছে। জীব নিজেদের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়ে বেঁচে থাকার ক্ষমতাকেই অভিযোজন বলে।

জীব জৈব পদার্থ এবং খনিজ আয়ন যেমন পুষ্টি, গ্রহণ, এবং শোষণ করতে পারে। এই পুষ্টি বৃদ্ধি ও টিসু মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল বা শক্তি ধারণ করে।

জীব কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

জীবদেরকে শ্রেণীকরণবিজ্ঞানের মাধ্যমে বিভিন্ন দলে ভাগ করা হয়েছে যাদের মধ্যে আছে বহুকোষীয় প্রাণী, উদ্ভিদ ও ছত্রাক শ্রেণীর জীব এবং এককোষীয় অণুজীব যেমন প্রোটিস্ট, ব্যাকটেরিয়া এবং আর্কিয়া শ্রেণীর জীব।

সব ধরনের জীব প্রজনন, বৃদ্ধি ও বিকাশ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং উদ্দীপনায় সাড়া দিতে সক্ষম। বহুকোষীয় জীবগুলির দেহ বিকাশলাভের সময় এগুলির কোষগুলির পৃথকীকরণ ঘটে এবং বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য দেহকলা ও অঙ্গের উদ্ভব ঘটে।

জীব দুরকমের। যথা – (১) উদ্ভিদ এবং (২) প্রাণী।

গাছপালা এবং ঘাস হলো উদ্ভিদ এবং মানুষ গরু ছাগল পাখি এরা হলো প্রাণী।

অনুজীব কি, অনুজীব কাকে বলে, অণুজীব কাকে বলে

অণুজীব খালি চোখে দেখা যায় না। এদের নির্দিষ্ট কেন্দ্রিকাযুক্ত কোষ নেই। অণুজীব থেকেই সৃষ্টির শুরুতে জীবনের সূত্রপাত হয়। এদের আদিজীবও বলা হয়। ভাইরাস অণুজীবটির কোনো কোষ নেই। তাই ভাইরাস অকোষীয় অণুজীব। ব্যাকটেরিয়া অণুজীবটি আদিকোষী। এদের সুগঠিত কেন্দ্রিকা নেই। শৈবাল, ছত্রাক অণুজীবগুলো প্রকৃত কোষ। এদের কোষের কেন্দ্রিকা সুগঠিত।

যেসব অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবদের খালি চোখে দেখা যায় না। যাদের দেখতে শক্তিশালী অনুবীক্ষন যন্ত্রের প্রয়োজন হয় তাদের অনুজীব বলে। 

অনুজীব হলো তারাই যাদের খালি চোখে দেখা যায় না। তাদের অধিকাংশের কোষ বিভাজন ঘটে অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায়। যেমন: ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া।

অনুজীবের উদাহরণ

কিছু অনুজীব হলো: mycoplasma, Rickettsia, Prion, Bacteria ইত্যাদি।

অণুজীব জগৎ তিনটি রাজ্যে বিভক্ত। যথা :

  • এক্যারিওটা বা অকোষীয়
  • প্রোক্যারিওটা বা আদিকোষী
  • ইউক্যারিওটা বা প্রকৃত কোষী

অনুজীবের বৈশিষ্ট্য

অনুজীব হল এমন জীব যা খালি চোখে দেখা যায় না। এগুলিকে জীবাণু বা অণুবীক্ষণিক জীব হিসাবেও পরিচিত কারণ এগুলি কেবলমাত্র অনুবীক্ষনিক যন্ত্র দিয়ে দেখা সম্ভব। অনুজীবের আরো কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল:

  • আকার: অনুজীবগুলির আকার খুব ছোট। ব্যাকটেরিয়া সাধারণত 1 থেকে 5 মাইক্রোমিটার লম্বা হয়, ভাইরাস 0.02 থেকে 0.2 মাইক্রোমিটার লম্বা হয়, ছত্রাক 0.5 থেকে 100 মাইক্রোমিটার লম্বা হয়, এবং প্রোটোজোয়া 10 থেকে 100 মাইক্রোমিটার লম্বা হয়।
  • কোষের গঠন: অনুজীবগুলির কোষগুলি ইউক্যারিওটিক বা প্রোকারিওটিক হতে পারে। ইউক্যারিওটিক কোষগুলিতে একটি কোষের নিউক্লিয়াস এবং অন্যান্য অর্গানেল থাকে, যেখানে প্রোকারিওটিক কোষগুলিতে একটি কোষের নিউক্লিয়াস থাকে না।
  • বিপাক: অনুজীবগুলির বিপাক বিভিন্ন হতে পারে। কিছু অনুজীব অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, অন্যরা অক্সিজেন ছাড়াই বেঁচে থাকতে পারে।
  • বৃদ্ধি: অনুজীবগুলি সাধারণত দ্রুত বৃদ্ধি পায়। কিছু অনুজীব মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দ্বিগুণ হতে পারে।
  • প্রজনন: অনুজীবগুলি বিভিন্নভাবে প্রজনন করতে পারে। ব্যাকটেরিয়া সাধারণত বিভাজনের মাধ্যমে প্রজনন করে, ভাইরাস কোষের ভিতরে প্রতিলিপি তৈরি করে, ছত্রাক কোষ বিভাজন, পুনরুৎপাদন, বা বীজের মাধ্যমে প্রজনন করে, এবং প্রোটোজোয়া বিভাজন, পুনরুৎপাদন, বা যৌন প্রজননের মাধ্যমে প্রজনন করে।
  • পরিবেশগত ভূমিকা: অনুজীবগুলি পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা খাদ্য উৎপাদন, পচন, এবং পুষ্টি চক্রের জন্য প্রয়োজনীয়।
  • রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতা: কিছু অনুজীব রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, এবং প্রোটোজোয়া সবই রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
  • ব্যবহার: অনুজীবগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। তারা খাদ্য উৎপাদন, ওষুধ তৈরি, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ, এবং অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

এককোষী জীব কাকে বলে

একটি মাত্র কোশ দিয়ে তৈরি জীব এককোষী জীব। এদের যাবতীয় কার্য এই একটি কোশেই সম্পন্ন হয়।

বহুকোষী জীবদেহে প্রতিটি কার্য করার জন্য আলাদা আলাদা কোশ থাকে।

অ্যামিবা জাতীয় প্রাণীদের শরীরে একটি মাত্র কোষ থাকে। এদের এককোষী জীব বলে।

যে সব জিবদের শরীর একাধিক কোষ দিয়ে তৈরি তাদের বহুকোষী জীব বলে। যেমন পশু, পাখি, বানর, মানুষ ইত্যাদি।

এককোষী জীব হল, সেইসব জীব যেসব জীবের দেহ মাত্ৰ একটি কোষ দ্বারা গঠিত হয়, অন্যদিকে বহুকোষী জীব একাধিক কোষ নিয়ে গঠিত।

এককোষী জীবকে দুটি শ্রেণীতে ভাগ করা যায় : প্ৰাককেন্দ্রিক কোষ ও সুকেন্দ্ৰিক কোষ।

ব্যাকটেরিয়া ও আৰ্কিয়া প্রাককেন্দ্রিক কোষের অন্তর্ভুত। অনেক সুকেন্দ্রিক কোষ বহুকোষী, কিন্তু প্ৰটোজোয়া, এককোষী শৈবাল, এককোষী ছত্রাক আদি এককোষী জীবের অন্তর্ভুত ।

বহুকোষী জীব কাকে বলে

যে সকল জীব একাধিক কোষ দিয়ে গঠিত তাদেরকে বহুকোষী জীব বলে। যেমন: মানুষ, গরু, ছাগল, হাস, মুরগি ইত্যাদি৷

বহুকোষী জীব এক এর অধিক কোষ নিয়ে গঠিত যা এককোষী জীবের বিপরীত।

প্রায় সকল প্রজাতির প্রাণী, স্থলজ উদ্ভিদ এবং অধিকাংশ ছত্রাক ও অনেক শৈবাল বহুকোষী হয়ে থাকে, পক্ষান্তরে ”Dictyostelium” (ডিকটায়োস্টেলিয়াম) গণের স্লাইম মোল্ড এবং সামাজিক অ্যামিবার মত কিছু জীব আংশিক এককোষী এবং আংশিক বহুকোষী হতে পারে।

বিভিন্ন উপায়ে বহুকোষী জীব সৃষ্টি হতে পারে, যেমন – কোষ বিভাজন অথবা অনেকগুলো কোষ একত্রীকরণের মাধ্যমে। অনেকগুলো একইরকম আলাদা জীব একসাথে যুক্ত হয়ে কলোনি সৃষ্টি করার মাধ্যমে কলোনিয়াল জীবের সৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রকৃত বহুকোষী জীব থেকে কলোনিয়াল প্রোটিস্টকে পৃথক করা কঠিন হওয়ায় বলা যায় ধারণা দুইটি স্পষ্ট নয়, তাই কলোনিয়াল প্রোটিস্টকে “মালটিসেলুলার (বহুকোষী)” থেকে “প্লিউরিসেলুলার” বলাটাই বেশি সঙ্গত।

মিথোজীবী কাকে বলে

যখন দুটি জীব পরস্পরের সাহচর্যে বসবাস করে এবং একে অপরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পুষ্টি লাভ করে, তাকে মিথােজীবী বলে। যেমন—শৈবাল ও ছত্রাক মিলে লাইকেন তৈরি করে।

যখন পুষ্টির জন্য, নিরাপত্তা, রোগ বা পরজীবির আক্রমন থেকে বাচার জন্য বা প্রজননেরন জন্য এক জীব অন্য কোনো জীবের সাহচর্যে জীবন ধারণ করে উভয়েই উপকৃত হয়, তাকে মিথোজীবী বা সিমবায়োটিক বলে।

মিথোজীবী পুষ্টি দু রকমের হয়:-

১৷ ব্যতিহারী( Mutualism ) , ২৷ সহভোক্তা ( Commensalism )

১৷ ব্যতিহারী( Mutualism ) – এই রকম পুষ্টিতে দুটি জীব সহাবস্থান করে পরস্পরের সাহায্যে পুষ্টি সম্পন্ন করে, যেমন – লাইকেন।

২৷ সহভোক্তা ( Commensalism ) – এই রকম পুষ্টিতে দুটি জীব সহাবস্থানে থেকেও পরস্পর পৃথক ভাবে পুষ্টি সম্পন্ন করে, যেমন – পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ রাস্না, গজপিপুল ইত্যাদি।

যে পুষ্টি প্রক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন ধরনের জীব পরস্পরের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসবাস করে, তাকে মিথোজীবীয় পুষ্টি বলে।

মিথোজীবিতা কাকে বলে

মিথোজীবিতা যখন একটি জীব পোষক দেহের সঙ্গে সহাবস্থানে থাকার মাধ্যমে একে অন্যের অনিষ্ট বা ক্ষতি না করে উভয়েই একইসঙ্গে পুষ্টি সম্পন্ন করে, তখন তাকে মিথোজীবিতা বলে। একটি মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া হল রাইজোবিয়াম।

জড় কাকে বলে

যে সব বস্তুর প্রান নেই তাদেরকে জড় বলে। অর্থাৎ, নিষ্প্রাণ বস্তুকে জড় পদার্থ বলে   যেমন:  কলম, টেবিল, গাড়ি, বাড়ি ইত্যাদি।

জড় পদার্থের বৈশিষ্ট্য

১। জড়ের আকার বৃদ্ধি হয় না ।

২। এদের খাদ্যের প্রয়োজন হয় না।

৩। বংশবিস্তার করতে পারে না ।

জীব ও জড় কাকে বলে

জীব

যাদের জীবন আছে তাদেরকে জীব বলে। যেমন: মানুষ, গুরু, ছাগল, মাছ, প্রজাপতি, গাছ ইত্যাদি। জীবের শারীরিক বৃদ্ধি ও পরিবর্তন ঘটে। তাছাড়া, জীব নিজেদের মতো নতুন জীবন জন্ম দিয়ে বংশ বিস্তার করতে পারে। জীবের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজন খাদ্য, পানি, ও বায়ু ইত্যাদি।

জড় বস্তু

যাদের জীবন নেই তাদেরকে জড় বলে। যেমন: বই, খাতা, কলম, চেয়ার, টেবিল, গাড়ি, ঘরবাড়ি ইত্যাদি। জড়ের শারীরিক বৃদ্ধি হয় না, এগুলো খাদ্য গ্রহণ করে না, এবং বংশবিস্তার করতে পারে না বা নিজেদের মতো নতুন জীবের জন্ম দিতে পারে না।

জীব ও জড়ের মধ্যে ৫ টি উদাহরণ

জীবের পাঁচটি উদাহরণ:

1. মানুুষ

2. গরু

3. মাছ

4. হরিণ

5. গাছপালা

জড়ের পাঁটি উদাহরণ:

1. চেয়ার

2. টেবিল

3. বাসনপত্র

4. বই

5. কলম

জীব ও জড়ের পার্থক্য, জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য

জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য অনেক কিন্তু যে প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির সাহায্যে জীব ও জড় মধ্যে পার্থক্য করা যায়, তা এখানে উল্লেখ করা হল:-

জীবজড়
জীবের নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন আছে।জড়ের কোন নির্দিষ্ট আকার ও আয়তন থাকেনা।
জীবদেহ প্রােটোপ্লাজম (নিউক্লিয়াস, প্লাজমা পর্দা, সেন্ট্রোজোম, রাইবোজোম ইত্যাদি) সমন্বিত এক বা একাধিক কোষ দ্বারা গঠিত।জড়বস্তু কোষ দ্বারা গঠিত নয় এবং এদের দেহে প্রোটোপ্লাজমেরও অস্তিত্ব নেই।
জীবেরা ইচ্ছেমত দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়চাড়া করতে পারে এবং স্থান পরিবর্তনে সক্ষম।জড়ের স্বেচ্ছায় চলনশক্তি নেই এবং এরা স্থান পরিবর্তনে অক্ষম।
জীবদেহে পুষ্টি, স্বসন, রেচন ইত্যাদি নানান বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয়।জড়ের দেহে কোন বিপাক ক্রিয়া সম্পন্ন হয় না।
জীবদেহে বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়।জড়-দেহে কোন বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয় না।
জীবেরা বহিঃ-উত্তেজনায় সাড়া দেয়, অর্থাৎ জীবের চেতনা আছে।জড় উত্তেজনায় সাড়া দেয় না অর্থাৎ জড়ের চেতনা নেই।
জীব বংশবিস্তারে সক্ষম।জড় বংশবিস্তারে অক্ষম।
জীবদের সমন্ত শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াগুলি একটি নির্দিষ্ট ছন্দে বা নিয়মে ধারাবাহিকভাবে ঘটে, অর্থাৎ ছন্দোবদ্ধতা জীবের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যজড়ের ছন্দোবদ্ধতা নেই।
জীবদেহে পরিব্যক্তি, অভিব্যক্তি এবং অভিযােজন পরিলক্ষিত হয়।জড়ের পরিব্যক্তি, অভিব্যক্তি এবং অভিযােজন পরিলক্ষিত হয় না।
জীবের জন্ম-মৃত্যু ও বার্ধক্য দেখা যায়।জড়ের জন্ম-মৃত্যু ও বার্ধক্য দেখা যায় না।
জীবদেহে প্রাকৃতিক বৃদ্ধি ঘটে।জড়ের প্রাকৃতিক বৃদ্ধি হয় না।
জীব ও জড়ের মধ্যে পার্থক্য

জীব বিজ্ঞানের জনক কে

এরিস্টটলকে জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়, যিনি উদ্ভিদ ও প্রাণীর জীবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশ্বের মধ্যে প্রথম তার মতামত প্রকাশ করেছিলেন। এছাড়াও, তাকে জীববিজ্ঞানের একটি শাখা প্রাণীবিদ্যার জনকও বলা হয়। তিনি প্লেটোর শিষ্য এবং আলেকজান্ডারের শিক্ষকও ছিলেন।

এরিস্টটল

  • জন্ম: 384 খ্রিস্টপূর্বাব্দ
  • মৃত্যু: ৩২২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
  • পুরো নাম: এরিস্টটল
  • জাতীয়তা: গ্রীক
  • ক্ষেত্র: জীববিজ্ঞান, পদার্থবিদ্যা, কবিতা, নাটক, সঙ্গীত, আধ্যাত্মিকতা, যুক্তিবিদ্যা, নীতিশাস্ত্র, রাষ্ট্রবিজ্ঞান

খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতাব্দীতে, এরিস্টটল বন্যপ্রাণীতে পরিপূর্ণ লেসভোসে ভ্রমণ করেন, সেখানে তিনি যা খুঁজে পান এবং পর্যবেক্ষণ করেন তা বিজ্ঞানের একটি নতুন শাখার (জীববিজ্ঞান) জন্ম দেয়।

এরিস্টটলকে জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয় কেন

এরিস্টটলকে “জীববিজ্ঞানের জনক” বলা হয় কারণ তিনি প্রাকৃতিক জগতকে ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করেছেন এবং বৈজ্ঞানিক অন্তর্দৃষ্টি এবং পদ্ধতিগত পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করে এটিকে ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপের জন্য দায়ী করার পরিবর্তে এর উত্স অনুসন্ধান করেছেন। তিনিই প্রথম প্রাণীদের মধ্যে সম্পর্ক উন্মোচন করেন এবং শ্রেণিবিন্যাসের একটি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।

জীববিজ্ঞানের 10 জন সেরা বিজ্ঞানী

  • এরিস্টটল (384-322 BC): জীবিত জিনিসের শ্রেণীবিভাগকারী
  • গ্যালেন (129-161 AD): প্রাথমিক ওষুধের পরীক্ষা
  • অ্যান্টোইন ভ্যান লিউয়েনহোক (1632-1723): মাইক্রোবায়োলজি
  • কার্ল লিনিয়াস (1707-1775): আধুনিক শ্রেণীবিন্যাস
  • চার্লস ডারউইন (1809-1882): বিবর্তন তত্ত্ব
  • গ্রেগর মেন্ডেল (1822-1884): আধুনিক জেনেটিক্স
  • বারবারা ম্যাকক্লিনটক (1902-1992): জাম্পিং জিন
  • ওয়াটসন (1928-) এবং ক্রিক (1916-2004): DNA গঠন
  • জেন গুডাল (1934-): শিম্পাঞ্জিদের বোঝা
  • উইলমুট (1944-) এবং ক্যাম্পবেল (1954-2012): একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর ক্লোনিং
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | জীব

Q1. আদিকোষী জীব কাকে বলে

Ans – যেসব কোষের নিউক্লিয়াস সুগঠিত নয় তাকে আদিকোষ বলে। ব্যাকটেরিয়ার কোষে কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস থাকে না বলে একে আদিকোষী জীব বলা হয়।

Q2. একটি বস্তুর জড়তার পরিমাপ কি

Ans – ভর হল বস্তুর জড়তা পরিমাপের একক। ভর হল একটি ভৌত বস্তুতে পদার্থের পরিমাণ।

Q3. জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু হল

Ans – ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু বলে

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।