কিভাবে একটি প্রসেসর দ্বারা পঠন এবং লেখা অপারেশন সঞ্চালিত হয়? ব্যাখ্যা

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক | কম্পিউটার | Computer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

কিভাবে একটি প্রসেসর দ্বারা পঠন এবং লেখা অপারেশন সঞ্চালিত হয়? ব্যাখ্যা

উত্তর:

(i) সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের (CPU) একটি মেমরি ডেটা রেজিস্টার (MDR) এবং একটি মেমরি অ্যাড্রেস রেজিস্টার (MAR) রয়েছে।

(ii) মেমরি ডেটা রেজিস্টার (MDR) মেমরি এবং CPU-এর মধ্যে স্থানান্তরিত ডেটা রাখে। প্রোগ্রাম কাউন্টার (পিসি) হল CPU-তে একটি বিশেষ নিবন্ধন যা কার্যকর করার জন্য পরবর্তী নির্দেশের ঠিকানা সর্বদা রাখে।

(iii) একটি বাস একটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলির মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত তারের একটি সংগ্রহ।

(iv) ঠিকানা বাস একটি মেমরি অবস্থান নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়. একটি ডিকোডার, একটি ডিজিটাল সার্কিট নির্দিষ্ট মেমরি অবস্থান নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয় যেখানে শব্দটি অবস্থিত হতে পারে।

(v) রিড অপারেশন মেমরি থেকে ডেটা নিয়ে আসে এবং MDR-এ স্থানান্তর করে। একটি একক নিয়ন্ত্রণ রেখা 1 বা O ব্যবহার করে রিড রাইটের মতো দুটি ক্রিয়াকলাপ সম্পাদন করে।

(vi) এছাড়াও, রাইট অপারেশন এমডিআর থেকে মেমরিতে ডেটা স্থানান্তর করে।

(vii) মেমরি ডেটা রেজিস্টার (MDR) এর মতো RAM-এর শব্দের আকার (বিট সংখ্যা)।

(viii) নিয়ন্ত্রণের (পড়ুন বা লিখুন) উপর ভিত্তি করে MDR থেকে শব্দে বা MDR-এ শব্দ স্থানান্তর করার জন্য ডেটা বাসে আটটি সমান্তরাল তার রয়েছে।

(ix) এই কন্ট্রোল লাইনটিকে R/W হিসাবে লেবেল করা হয়েছে, যা 1 মানে READ অপারেশন এবং 0 মানে WRITE অপারেশন হয়ে যায়। READ অপারেশনের আগে MDR এবং Word এর বিষয়বস্তু। এছাড়াও চিত্রটি READ অপারেশনের পরে MDR এবং Word এর বিষয়বস্তু দেখায়।

(x) রিড অপারেশন মেমরি শব্দ থেকে ডেটা রেজিস্টারে ডেটা (বিট) স্থানান্তর করে। লেখার কাজটি মেমরি ডেটা রেজিস্টার থেকে শব্দে ডেটা (বিট) স্থানান্তর করে।

প্রসেসর, প্রসেসর কি, কম্পিউটার প্রসেসর সম্পর্কে লিখ, প্রসেসর বলতে কি বুঝ

প্রসেসর হলো কম্পিউটারের অন্যতম প্রধান হার্ডওয়্যার। মূলত একে CPU = Central Processing Unit (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) বলে। প্রকৃত অর্থে মাইক্রো প্রসেসর একটি সয়ংসম্পন্ন এবং প্রোগ্রামেবল গানিতিক ইন্জিন। যা ইন্সটকশনের মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় অপারেশন নিয়ন্ত্রণ এবং সম্পাদন করে। অর্থাৎ আমরা যখন কম্পিউটার চালানোর সময় বিভিন্ন কমান্ড দিয়ে থাকি, সেগুলোকে প্রসেসর প্রসেসিং করে আমাদের ডিসপ্লেতে শো করে।

প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো

  • intel এবং
  • AMD.

তবে আমাদের দেশে intel প্রসেসরের জনপ্রিয়তা একটু বেশি। intel এবং AMD এর মধ্যে পার্থক্য এবং এই দুইটা প্রসেসর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত পরে আরেকটি আর্টিকেলে আলোচনা করবো।

যাই হোক এখন তাহলে মূল টপিকে ফিরে আসি।

আমরা যখন কোন প্রসেসর বাছাই করবো, তখন যে বিষয় গুলোর উপর ফোকাস করা উচিৎ, সেগুলো হলো-

  • CLOCK SPEED – ক্লক স্পিড।
  • NUMBER OF CORES – নাম্বার অফ কোর।
  • CACHE MEMORY – ক্যাশ মেমোরি।
  • FSB – এফ এস বি।

প্রথমে আসি ক্লক স্পিড বিষয়ে। “ক্লক স্পিড” এটাকে গিগাহার্জ ও বলা হয়।

প্রতিটা প্রসেসরের গায়ে এটা লিখা থাকে যেমন-

  • 3.00 GHz
  • 3.4 GHz
  • 4.00 GHz ইত্যাদি।

ক্লকস্পিড বা গিগাহার্জ এটা কি?

সহজ ভাষায় আপনার কম্পিউটার কত দ্রুত হিসাব করতে পারে তা নির্ধারণ করে। অর্থাৎ প্রসেসর প্রতি সেকেন্ড কতগুলো ক্যালকুলেশন করতে পারে তা মাপার জন্য ক্লক স্পিড ব্যবহার করা হয়।

NUMBER OF CORE – নাম্বার অফ কোর কি?

Suppose, আমাদের দুটি হাত আছে, আমরা আমাদের দুই হাত দিয়ে একসাথে দুটি কাজ করতে পারি। এখন ধরুন আমাদের যদি চারটা বা পাঁচটা হাত থাকতো, তাহলে ঠিক ঐ পরিমাণ কাজ আমরা একসাথে করতে পারতাম। NUMBER OF CORE – নাম্বার অফ কোর মূলত এভাবেই কাজ করে থাকে। তার মানে প্রসেসরের কোর যত বেশি থাকবে সেই প্রসেসরটি তত বেশি কার্যক্ষমতা সম্পন্ন হবে।

প্রসেসরের NUMBER OF CORE: – নাম্বার অফ কোর- এরও আবার প্রকারভেদ আছে। ফর এক্সাম্পল- আমরা যখন মার্কেটে কোন স্মার্টফোন কিনতে যাই, তখন সবার প্রথম আমরা ফোনের কনফিগারেশন গুলো দেখি।

একই ভাবে আমরা যদি প্রসেসরের দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখবো সেখানে-

  • Dual Core – ডুয়াল কোর
  • Quad Core – কোয়াড কোর
  • Hexa Core – হেক্সা কোর
  • Octa Core – অকটা কোর
  • Deca Core – ডেকা কোর এই জিনিস গুলো লেখা থাকে।

এখন প্রশ্ন হতে পারে এগুলো কি?

Dual Core হলো দুটি কোর, অর্থাৎ Dual Core কোর প্রসেসরে দুটি প্রসেসিং ইউনিট থাকে। ঠিক তেমনি- * Quad Core = চারটি * Hexa Core = ছয়টি * Octa Core = আটটি * Deca Core = দশটি প্রসেসিং ইউনিট থাকে।

প্রসেসর যন্ত্রের ভাগ গুলি কি কি

এর প্রধানত দুটো অংশ

  • ১। এরাথমেটিকাল লজিকাল ইউনিট- ইয়াথামেটিকাল, লজিকাল আর সিদ্ধান্তের কাজ করে থাকে।
  • ২। কনট্রোল ইউনিট- প্রসেসরের সমস্ত কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

বর্তমানে এতে থাকছে এড্রেস জেনারেট ইউনিট- সিপিইউ যে সব কাজে প্রধান মেমোরি ব্যবহার করছে সেইসব এড্রেস হিসাব করছে।

  • ৩। মেমোরি ম্যানেজমেন্টা ইউনিট- মেমোরি ভাগ করে দেওয়া আর নিরাপ্ততার কাজ করে।
  • ৪। সিপিইউর সময় বাচানোর জন্যে ক্যাস মেমোরি। ইত্যাদি

প্রসেসর এর কাজ কি

Processor কম্পিউটারে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশাবলী Ram থেকে নেয় এবং তা প্রসেসিং করে আউটপুট দেয়। কম্পিউটার বা মোবাইলের প্রসেসর যত শক্তিশালী হবে সেই ডিভাইস গুলি তত দ্রুত তার কার্য সম্পাদন করতে পারবে। কম্পিউটার প্রসেসর data processing এর জন্য 3 টি মৌলিক ধাপ অবলম্বন করে।

1. ফেচ | Fetch

কম্পিউটার processing এর প্রথম ধাপ হলো Fetch । Main memory (যেমন ram) থেকে নির্দেশাবলী নিয়ে আসে এবং সেগুলোকে কার্যকর করে।

2. ডিকোড | Decode

Fetch এর পরবর্তী প্রক্রিয়া হল decode যেখানে নির্দেশনাগুলো converted হয় যাতে সিপিইউ ভালোভাবে বুঝতে পারে এরপর সিপিইউ এর বিভিন্ন অংশে প্রেরণ করে যাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া যায়।

3. এক্সেকিউট | Execute

Decode করা নির্দেশাবলী গুলি কার্যকর করা হয়। Decode করা instruction গুলি আউটপুট ডিভাইস এ দেওয়া হয় এবং আমরা সেটের আউটপুট দেখতে পাই।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

নতুন আধুনিক কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ক্লাস 12

চিন্ময় গুহ | আশুতোষ পাল (লেখক)

FAQ | কম্পিউটার

Q. প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে কোন প্রতিষ্ঠান

Ans – ইন্টেল ১৯৭২ সালে নিয়ে আসে ৮-বিটের এক উন্নত ও শক্তিশালী মাইক্রোপ্রসেসর যার নাম ছিলো ইন্টেল-৮০০৮, একে পরে পুনর্গঠন করে রুপ দেওয়া হয় ৮০৮৮ নামে।

মাইক্রোপ্রসেসর বা ‘অণুপ্রক্রিয়াজাতকারক’ বলতে এক শ্রেণির অতিক্ষুদ্র ইলেকট্রনীয় যন্ত্র বা যন্ত্রালশকে বোঝায়, যেটি ডিজিটাল কম্পিউটার তথা ইলেকট্রনীয় গণকযন্ত্রের কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াজাতকরণ অংশের কাজগুলি সম্পাদন করার প্রয়োজনীয় গাণিতিক, যুক্তিভিত্তিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক ইলেকট্রনীয় বর্তনী ধারণ করে রাখে। ১৯৭২ সালে সর্বপ্রথম কম্পিউটারে ব্যবহৃত হয়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।