মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও বিজ্ঞান পাট 3

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

পাতা, গাছের পাতা উপকারিতা | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও বিজ্ঞান পাট 3

প্রশ্নপত্র

নিম পাতা খেলে কি উপকারিতা, নিম পাতা খেলে কি উপকারিতা পাওয়া যায়, নিম পাতার উপকারিতা, নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

খোস পাচড়া বা চুলকানি

নিম পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুড়া করে সরিষার তেলের সাথে মিষিয়ে চুলকানিতে লাগালে যাদুর মতো কাজ হয়। নিম পাতার সাথে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর আরোগ্য হয়।

কৃমিনাশক

পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যকাশে হয়ে যায়। বাচ্ছাদের পেটে কৃমি নির্মূল করতে নিমের পাতার জুড়ি নেই। শিশুরাই বেশি কৃমি আক্রান্তের শিকার হয়। এ জন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুড়া দিন ৩ বার সামান্য গরম জল সহ খেতে হবে। আবার ৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হব। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।

ত্বক

বহুদি ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন।

বড় ডিশে ফ্যানের বাতোসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির জল একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়া বিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুল্কানি ভাব হয়, নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে।

নিয়মিত নিমপাতার সাথে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে। নিমপাতা সিদ্ধ জল গোসলের জলর সাথে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন এবং চুল্কানি আছে তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়।

দাতের রোগ

দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দন্ত রোগ থেকেও। কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভাল থাকে। নিম পাতার নির্যাস জলতে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায় এবং বুকে কফ জমে গেলে নিম পাতা বেটে এর ৩০ ফোঁটা রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।

রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে

নিম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার ভাবে কাজ করে। নিমের পাতা রক্তের সুগার লেভেল কমতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্ত নালীকে প্রসারিত করে রক্ত সংবহন উন্নত করে। ভালো ফল পেতে নিমের কচি পাতার রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। সকালে খালি পেটে ৫টি গোলমরিচ ও ১০টি নিম পাতা বেটে খেলে তা ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে।

চুল

উজ্জ্বল,সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিম পাতার অবদান অপরিসীম। চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়।চুলে প্রতি সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টারমত রাখুন। এবার ১ ঘন্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

দেখবেন চুল পড়া কমার সাথে সাথে চুল নরম ও কোমল হবে। মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপার শেম্পু করুন আর অধিকারী হোন ঝলমলে সুন্দর চুলের। এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা অপেক্ষা করারপর শ্যাম্পু করুন।

উকুন বিনাশে

নিমের ব্যাবহারে উকুনের সমস্যা দূর হয়। নিমের পেস্ট তৈরি করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন, তারপর মাথা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এবং উকুনের চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়ান। সপ্তাহে ২-৩ বার ২ মাস এভাবে করুন। উকুন দূর হবে।

খুশকি বিনাশে

নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। খুশকির চিকিৎসায় নিমের ব্যাকটেরিয়া নাশক ও ছত্রাক নাশক উপাদানের জন্য খুশকির চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম মাথার তালুর শুষ্কতা ও চুলকানি দূর করে। চার কাপ জলতে এক মুঠো নিমের পাতা দিয়ে গরম করতে হবে যতক্ষণ না জলটা সবুজ বর্ণ ধারণ করে এই জল ঠান্ডা হলে চুল শ্যাম্পু করার পর এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।নিমের জল কন্ডিশনারের মত কাজ করবে। সপ্তাহে ২-৩বার ব্যবহার করুন যতদিন না খুশকি দূর হয়।

ওজন কমাতে

যদি আপনি ওজন কমাতে চান বিশেষ করে পেটের তাহলে নিমের ফুলের জুস খেতে হবে আপনাকে। নিম ফুল মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে শরীরের চর্বি ভাংতে সাহায্য করে।একমুঠো নিম ফুল চূর্ণ করে নিয়ে এর সাথে এক চামুচ মধু এবং আধা চামুচ লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশান। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এই মিশ্রণটি পান করুন। দেখবেন কাজ হবে।

রক্ত পরিষ্কার করে

নিমপাতার রস রক্ত পরিষ্কার করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এছাড়াও রক্তচলাচল বাড়িয়ে হৃৎপিণ্ডের গতি স্বাভাবিক রাখে। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও নিমের জুড়ি নেই।

ঠান্ডাজনিত বুকের ব্যথা

অনেক সময় বুকে কফ জমে বুক ব্যথা করে। এ জন্য ৩০ ফোটা নিম পাতার রস সামান্য গরম জলতে মিশিয়ে দিতে ৩/৪ বার খেলে বুকের ব্যথা কমবে। গর্ভবতীদের জন্য ঔষধটি নিষেধ।

পোকা-মাকড়ের কামড়

পোকা মাকড় কামড় দিলে বা হুল ফোঁটালে নিমের মূলের ছাল বা পাতা বেটে ক্ষত স্থানে লাগালে ব্যথা উপশম হবে।

জন্ডিস

জন্ডিস হলে প্রতিদিন সকালে নিম পাতার রস একটু মধু মিশিয়ে খালি পেটে খেতে হবে। ২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু মধুর সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়। জন্ডিস হলে এক চামচ রসের সাথে একটু মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খান। পুরোপুরি নিরাময় হতে এক সপ্তাহ চালিয়ে যেতে হবে।

ভাইরাস রোগ

ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাল রোগ নিরাময়ে নিম ব্যবহৃত হয়। নিমপাতার রস ভাইরাস নির্মূল করে। আগে চিকেন পক্স, হাম ও অন্য চর্মরোগ হলে নিমপাতা বাটা লাগানো হতো। এছাড়াও নিমপাতা জলতে সিদ্ধ করে সে জল দিয়ে স্নান করলে ত্বকের জ্বালাপোড়া ও চুলকানি দূর হয়।

ম্যালেরিয়া

গ্যাডোনিন উপাদান সমৃদ্ধ নিম ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও নিমপাতা সিদ্ধ জল ঠাণ্ডা করে স্প্রে বোতলে রাখুন। প্রতিদিন ঘরে স্প্রে করলে মশার উপদ্রব কমে যাবে।

বাত

নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাতের ব্যথা সারাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথায় নিমের তেলের ম্যাসাজও বেশ উপকারী। নিমপাতা, নিমের বীজ ও বাকল বাতের ব্যথা সারাতে ওষুধ হিসেবে কাজ করে। বাতের ব্যথায় নিমের তেলের ম্যাসাজও বেশ উপকারী।

চোখ

চোখে চুলকানি হলে নিমপাতা জলতে দশ মিনিট সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করে নিন। চোখে সেই জলর ঝাপটা দিন। আরামবোধ করবেন।

ব্রণ দূর করতে

নিমপাতার গুঁড়ো জলতে মিশিয়ে মুখ ধুতে পারেন। এতে ব্রণ দূর হবে এবং ব্রণ থেকে তৈরি জ্বালাপোড়া ভাবও দূর হবে। এটা ব্রণ দূর করার একটি কার্যকর পদ্ধতি।

ছত্রাকের ইনফেকশন দূর করতে

যদি আপনার পায়ে কোন ফাঙ্গাল ইনফেকশন থাকে নিম ব্যবহার করুন। নিমে নিম্বিডল এবং জেডুনিন আছে যা ফাঙ্গাস ধ্বংস করতে পারে। নিম পাতার পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে নিরাময় লাভ করা যায়। আক্রান্ত স্থানে কয়েক ফোঁটা নিমের তেল দিনে তিনবার লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

ক্ষত নিরাময়ে

হয়তো চিন্তা করছেন নিম কীভাবে ক্ষত দূর করবে? হ্যাঁ, নিমপাতা ক্ষত নিরাময়েও বেশ উপকারী। নিমপাতা বেটে ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখতে পারেন। এর অ্যান্টিমাক্রোবাইয়াল উপাদান ক্ষত নিরাময়ে দ্রুত কাজ করবে।

অজীর্ণ

অনেকদিন ধরে পেটে অসুখ? পাতলা পায়খানা হলে ৩০ ফোটা নিম পাতার রস, এক কাপ জলর ৪/১ ভাগ জলর সঙ্গে মিশিয়ে সকাল-বিকাল খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে।

অ্যালার্জি

অ্যালার্জির সমস্যায় নিম পাতা ফুটিয়ে স্নান করুন। অ্যালার্জি যাবে ১০০ হাত দূরে। তাছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিম পাতা একসাথে বেঁটে শরীরে লাগান। অ্যালার্জি কমবেই।

একজিমা

একজিমা, ফোড়া অথবা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে নিম খুব কার্যকর। ত্বকের যেসব জায়গায় এ ধরনের সমস্যা রয়েছে সেখানে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন।

আলসার চিকিৎসায় নিমের উপকারিতা –

আলসার এর মত মারণ রোগের হাত থেকে নিরাময় দিতে নিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নিম পাতা ব্যবহারের ফলে আলসারের মত রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। যদি প্রতিনিয়ত সকাল বেলায় খালি পেটে নিম গাছের ছাল গুঁড়ো করে পরিমাণ মতো জলের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া খান, তাহলে আলসারের মত সমস্যা থেকে সমাধান পাবেন। নিম পাতা ব্যবহারের ফলে গ্যাস্ট্রিক বা গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।

ক্যান্সার প্রতিরোধে নিম –

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে নিম খুবই উপকারী একটি উপাদান। নিম পাতায় উপস্থিত রয়েছে স্যাকারাইডস এবং লিওমনোয়েডস নামক উপাদান, যা মানব শরীরে ক্যান্সার উৎপন্নকারী কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিনিয়ত নিমপাতা বা নিম পাতার নির্যাস সেবনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, নিম পাতার নির্যাস প্রস্টেট ক্যান্সারের কোষ গুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম। তাই প্রতিনিয়ত নিয়ম করে নিম পাতা বা নিম পাতার নির্যাস সেবন করা প্রয়োজন

কুষ্ঠ রোগ থেকে মুক্তি দিতে

আগেকার সময়ে যদি কোনো মানুষের কুষ্ঠ রোগ হত, তাহলে তাকে সমাজ থেকে বহিস্কৃত করে, নির্জন একটি স্থানে রেখে দেয়া হতো। তার কারণ, কুষ্ঠ রোগ হলো একটি স্পর্শ-জনিত রোগ। আর সেই কারণেই কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে কেউ যেতে চাইনা। যার ফলে কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীর সঠিক চিকিৎসা পর্যন্ত হতো না। কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হত। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, নিম গাছের ফল দিয়ে তৈরি তেল কুষ্ঠ রোগের ঔষধ রূপে ব্যবহার করা হয়। তবে নিমের তেল অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে বিষাক্ত প্রভাব হতে পারে। যার কারণে নিমের তেল ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।

ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে

ম্যালেরিয়া রোগের এক অন্যতম ঔষধ হল নিম। এই রোগ প্রধানত স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ছড়ায়। ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পরে। ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু বহনকারী ব্যাকটেরিয়া গুলিকে মেরে ফেলতে সক্ষম নিম। কারণ নিমে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ম্যালেরিয়া উপাদান, যা ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে যে ধরনের ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেই সকল ঔষধে নিমের ব্যবহার করা হয়। নিম পাতা ম্যালেরিয়া রোগের এক প্রধান ঔষধ হিসেবেও জানা যায়।

নিম পাতার পুষ্টিগুন ও উপাদান

প্রোটিন২.৪৮ গ্রাম
ফাইবার৬.৭৭ গ্রাম
আয়রন৫.৯৮ মিলি গ্রাম
ক্যালোরি৪৫ মিলি গ্রাম
ফ্যাট০.০০৩ গ্রাম
ফসফরাস২৩ মিলি গ্রাম
ক্যালসিয়াম১৭৫.৫ মিলি গ্রাম
সোডিয়াম২৫.২৭ মিলি গ্রাম
পটাশিয়াম৮৮.৯ মিলি গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম৪৪.৪৫ মিলি গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট৮.১ গ্রাম

নিম পাতার অপকারিতা

প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন ভালো দিক থাকে, তেমনই তার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে। সেই অনুযায়ী নিমের ভালো দিক এর পাশাপাশি বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা খাওয়ার ফলে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে,তা নিন্মে তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। তো চলুন এক নজরে দেখে নিন নিম পাতার অপকারিতা গুলি –

  • কিছু কিছু সময় নিম বন্ধ্যাত্বের কারণ হতে পারে। যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা সেবন করা উচিত নয়।
  • যে কোন প্রকার অপারেশনের অন্তত দুই সপ্তাহ আগে থেকে নিম পাতা খাওয়া এবং নিম ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।
  • গর্ভবতী অবস্থায় মহিলাদের নিম পাতা খাওয়া কোনমতেই উচিত নয়। কারণ গর্ভবতী অবস্থায় নিম পাতা খেলে গর্ভপাত হওয়ার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
  • যে সকল মানুষের নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য নিম পাতা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। কারণ নিম পাতা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
  • হেতুক ক্লান্তির কারণ: আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের অল্পতেই ক্লান্তি বা দুর্বলতার শিকার হওয়ার অভ্যেস আছে, তাদের জন্য নিম বা নিমের তৈরী কোনো উপকরণ সেবন করা উচিত না কারণ নিমে এই ধরণের অসুস্থতা বাড়িয়ে দেওয়ার শঙ্কা থাকে।
  • অতিরিক্ত পরিমাণে নিম পাতা সেবনের ফলে উপকারের বদল অপকার হতে পারে। সেই কারণে নিয়ম করে  পরিমাণ মতো নিম পাতা খাওয়া উচিত।

পাথর কুচির পাতার উপকারিতা, পাথরকুচি পাতার উপকারিতা

যেসব ঔষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে তার মধ্য পাথরকুচি অন্যতম। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে।

  • মেহ : সর্দিজনিত কারণে শরীরের নানা স্থানে ফোঁড়া দেখা দেয়। সে কারণে ব্যথা হয়, যাকে মেহ বলে। এ ক্ষেত্রে পাথরকুচি পাতার রস এক চামচ করে সকাল-বিকেল এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • সর্দি : যে সর্দি পুরনো হয়ে গেছে সে ক্ষেত্রে এটি বিশেষ উপযোগী। কফ বিকারে পাথরকুচি পাতা রস করে সেটা একটু গরম করতে হবে এবং গরম অবস্থায় তার সঙ্গে একটু সোহাগার খৈ মেশাতে হবে। ৩ চা চামচের সঙ্গে ২৫০ মিলিগ্রাম যেন হয়। তা থেকে ২ চা চামচ নিয়ে সকাল-বিকেলে দু’বার খেতে হবে। এর দ্বারা পুরনো সর্দি সেরে যাবে ও সর্বদা কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
  • কাটা বা থেঁতলে যাওয়া : টাটকা পাতা পরিমাণমতো হালকা তাপে গরম করে কাটা বা থেঁতলে যাওয়া স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায়।
  • রক্তপিত্ত : পিত্তজনিত ব্যথায় রক্তক্ষরণ হলে দু’বেলা এক চা চামচ পাথরকুচি পাতার রস দু’দিন খেলে সেরে যাবে।
  • পেট ফাঁপা : পেট ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব আটকে থাকা, আধোবায়ু, সরছে না, সে ক্ষেত্রে একটু চিনির সঙ্গে এক বা দুই চা চামচ পাথরকুচি পাতার রস গরম করে সিকি কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। এর দ্বারা মূত্র সরল হবে, আধোবায়ুরও নিঃসরণ হবে, ফাঁপাটাও কমে যাবে।
  • শিশুদের পেটব্যথা: শিশুর পেটব্যথা হলে ৩০-৬০ ফোঁটা পাথরকুচি পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়। তবে পেটব্যথা নিশ্চিত হতে হবে।
  • মৃগী রোগী :রোগাক্রান্ত সময়ে পাথরকুচি পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
  • শরীর জ্বালাপোড়া : দু’চামচ পাথরকুচি পাতার রস আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দু’বেলা সেবনে শরীরের জ্বালাপোড়া দূর হয়।
  • কিডনির পাথর অপসারণ : পাথরকুচি পাতা কিডনি ও গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দু’বার ২ থেকে ৩টি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খেতে হবে।
  • জন্ডিস নিরাময় : লিভারের যে কোনো সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর রস অনেক উপকারী।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও মূত্রথলির সমস্যা থেকে পাথরকুচি পাতা মুক্তি দেয়।
  • পাইলস ও অর্শ রোগ: পাথরকুচি পাতার রসের সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • কলেরা, ডায়রিয়া বা রক্ত আমাশয় রোগ সারাতে পাথরকুচি পাতার জুড়ি নেই। ৩ মি.লি. পাথরকুচি পাতার জুসের সঙ্গে ৩ গ্রাম জিরা ও ৬ গ্রাম ঘি মিশিয়ে কয়েক দিন পর্যন্ত খেলে এসব রোগ থেকে উপকার পাওয়া যায়।
  • ত্বকের যত্ন : পাথরকুচি পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সঙ্গে সঙ্গে এর মধ্যে জ্বালাপোড়া কমানোর ক্ষমতা থাকে। যারা ত্বক সম্পর্কে অনেক সচেতন তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
  • বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এ পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

পান পাতার উপকারিতা

স্বাস্থ্য সমস্যায় পান পাতার ব্যবহার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। পানের রসে মধ্যে থাকা সুপুরি,  চুন, লবঙ্গ,  গুলকন্দ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

  • মাউথ ফ্রেশনার : পান পাতা খাওয়ার ফলে যে রস উৎপাদন হয় তা আমাদের দাঁত আর মাড়ি সুস্থ রাখে | এছাড়াও পান পাতার রস আমাদের মুখের ভেতরটা পরিষ্কার রাখে। এমনকী মুখের মধ্যে রক্তপাতও বন্ধ করে। পান বেটে তার রস এক কাপ হাল্কা গরম পানিতে মিশিয়ে রোজ সকালে তা দিয়ে গর্গর করুন। কয়েকদিনর মধ্যেই তফাত দেখতে পাবেন।
  • নাক থেকে রক্ত পড়া থামায় : অনেক সময় সান স্ট্রোক হওয়ার ফলে নাক দিয়ে রক্ত পড়ে । এটা বন্ধ করতে একটা পান পাতা পাকিয়ে তা নাকের মধ্যে গুঁজে দিন। মাথা পিছনের দিকে হেলিয়ে রাখেতে হবে | কিছুক্ষণের মধ্যেই রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে । আসলে পান পাতা খুব তাড়াতাড়ি রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দিতে পারে ।
  • কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে : পান পাতার আরো একটা বড় বেনিফিট হল এটা কানের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে । কয়েক ফোঁটা পানের রস আর কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে কানের মধ্যে দিলে ব্যথা কমে যাবে । তবে এই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই ভালো ।
  • অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন : ছোটখাটো কাটা ছেড়ায় পান পাতা বেটে লাগিয়ে দিতে পারেন | এছাড়াও যাদের আর্থারাইটিস আছে তাদের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে পান পাতা ।
  • ডিওডোরেন্টের কাজ করে : বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তাহলে নিজেই পরীক্ষা করে দেখুন । স্নান করার পানিতে কিছুটা পান পাতার রস মিশিয়ে নিন । এই জল দিয়ে চান করলে সারাদিন ফ্রেশ লাগবে ।এছাড়াও ঘাম কম হবে । পান পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে সেই পানি পান করলে ঘামের গন্ধ কমবে । এমনকী মহিলাদের মেনস্ট্রুয়েশন স্মেল ও কমবে ।
  • প্রস্রাব করতে সাহায্য করে : বিশেষত কিডনির রোগ আছে যাদের তাদের প্রস্রাব করতে কষ্ট হয় । এই কষ্ট কমাতে সাহায্য করে পান পাতা । শরীর থেকে দ্রুত পানি বের করে দেওয়ার ক্ষমতা আছে পান পাতার | দুধের সঙ্গে পান বেটে খেলে এই ব্যাপারে সাহায্য পাবেন ।
  • ভ্যাজাইনাল হাইজিন ঠিক রাখে : ভ্যাজাইনাল বার্থের পর তাজা পান পাতা ভ্যাজাইনাকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে । এছাড়াও ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ বা ভ্যাজাইনাল ইচিং ও সারিয়ে দেয়।
  • ত্বকের জন্য ভালো : খুব কম লোকেই জানে পানে যে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি আছে তা পিম্পল‚ অ্যাকনে সহজেই সারিয়ে তোলে । এছাড়াও বিভিন্ন স্কিন অ্যালার্জি‚ ফুসকুড়ি‚ কালো ছোপ‚ সান বার্ন সারিয়ে দেয় | এর জন্য কয়েকটা তাজা পান পাতা আর কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে লাগাতে হবে ।
  • মাথা ব্যথা কমায় : গরমের কারণে মাথা ব্যথা করলে কপালে কয়েকটা পান পাতা রাখুন । এছাড়াও পান পাতার রস লাগালে তাড়াতাড়ি মাথা ব্যথা কমে যায় ।
  • অ্যান্টি ফাংগাল : শরীরের যে সব অংশে ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা আছে‚ যেমন পায়ের আঙুল‚ প্রভৃতি সেই সব জায়গায় পানপাতার রস লাগান । কয়েকদিনের মধ্যে ইনফেকশন সেরে যাবে ।
  • সতর্কতা বাড়ায় : ইদানিং কি লেথার্জিক লাগছে? তাহলে মধুর সঙ্গে পান পাতা বেটে খান । এতে এনার্জি তো ফিরে পাবেনই একই সঙ্গে মেন্টাল ফাংশানিংও জোরদার হবে ।
  • সর্দি কমায় : বুকে সর্দি জমে গেলে সরিষার তেল আর পান পাতা ভালো করে গরম করে বুকে লাগাতে হবে । এছাড়াও ঠান্ডা লেগে সর্দি হলে পান পাতা‚ এলাচ‚ লবঙ্গ একসঙ্গে ফুটিয়ে গাঢ় করে খেতে হবে ।
  • হজমশক্তি বাড়ায় : সাধারণত খাওয়ার পর পান খাওয়া হয় । এটা করা হয় কারণ পান হজম করতে সাহায্য করে । গ্যাস‚ অম্বলও কমায় | এছাড়াও যাদের কনস্টিপেশনের সমস্যা আছে তাদের জন্যেও উপকারী । পেট খারাপ হলে পেটে যে ব্যথা করে অনেকসময় তাও কমাতে সাহায্য করে ।
  • মেটাবলিজম বাড়ায় : নিয়মিত পান খেলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে । এর ফলে ব্লাড সার্কুলেশন বেড়ে যায় । যা বিভিন্ন প্রটিন‚ ভিটামিন‚ মিনারেল অ্যাবজর্ব করতে সাহায্য করতে ।
  • খিদে বাড়ায় : পেটের পিএইচ লেভেল ঠিক করতে সাহায্য করে পানের রস । এর ফলে পেটে বায়ু হয় না এছাড়াও পেট ফাঁপা কমায় । পান পাতা শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে । এর ফলে খিদে বাড়ে ।
  • ক্ষত নিরাময়ে: পান পাতায় আছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল রাসায়নিক। তাই পান পাতা বেটে ক্ষতস্থানে দিলে দ্রুত ক্ষত নিরাময় হয়। পান পাতা ব্যবহার করলে সংক্রমণের ভয়ো থাকে না। পানের বেদনানাশক গুণ থাকায় ব্যথা হতে মুক্তি মেলে।
  • গলা খুসখুস কমাতে: গলা খুসখুস করলে পান পাতার ৫ মিলিলিটার রস এক গ্লাস গরম পানিতে মিশিয়ে আস্তে আস্তে খান। আরাম পাবেন। বিখ্যাত অনেক গায়ক গলা ভাল রাখতে এই সূত্র ব্যবহার করেন।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

সহজ পরিবার আয়ুর্বেদিক চিকিত্সা (বাংলা)

আয়ুর্বেদ খুব প্রাচীন। আয়ুর্বেদ ওষুধের সঠিক প্রয়োগের সাথে, অনেক কঠিন রাগগুলি সহজেই নিরাময় করা হয়। এই পাঠ্যে, বিভিন্ন রাগগুলিতে উদ্ভিদের গুণাবলী, বর্ণিত ব্যবহারের নিয়মগুলি এটির সাথে রয়েছে, চিত্রটি। ফলস্বরূপ, পাঠ্যের গাছগুলি সনাক্ত করা খুব কঠিন হবে না। এটি কোন গাছগুলি, কোন ভেষজগুলি কোন ক্রোধে ব্যবহৃত হবে তাও বর্ণনা করে। আশা করি, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পাঠকরা অবশ্যই এই বইটি থেকে উপকৃত হবেন

ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধরণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও ওষুধ ও চিকিৎসার অঙ্গ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।

FAQ | পাতার উপকারিতা

Q1. কারি পাতার উপকারিতা

Ans – কারি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই।

তাজা সবুজ কারি পাতা কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার পরিমান ঠিক রাখে। লিভারের জন্য কারি পাতা বেশ উপকারি। এবং হজমেও সহায়তা করে।

পিত্তজনিত বমির প্রতিকার হিসাবে কারিপাতা ব্যবহার হতে পারে। পাতা সেদ্ধ করা জল পান করলে এই বমিভাব দূর হয়।

Q2. জবা ফুলের পাতার উপকারিতা

Ans – জবা ফুল  রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর করে, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা শরীরে রক্তের অভাব পূরণ করে।

Q3. তেজ পাতার উপকারিতা

Ans তেজ পাতার উপকারিতা প্রচুর।
ত্বকের জন্য উপকারী – ত্বক তৈরি ও উন্নত করতে তেজপাতা উপকারী। এজন্য তেজপাতা সৌন্দর্য পণ্য এবং সাবানগুলিতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যাকটেরিয়ার বৈশিষ্ট্যযুক্ত হওয়ায় এটি ত্বক থেকে ময়লা অপসারণে সহায়তা করে। তেজপাতার  ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বককে মশার ও পোকার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।

কোলেস্টেরলের জন্য উপকারী – তেজ পাতা কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে বেশি উপকারী। কিছু গবেষণা অনুসারে, তেজপাতা নিষ্কাশন ব্যবহার কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক করতে পারে। ভাল কোলেস্টেরল প্রচারিত হয় এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস হয় । আপনারা জানেন যে সাধারণ কোলেস্টেরলের কারণে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। কোলেস্টেরল বর্ধিত হওয়ার সরাসরি হৃদয়ের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে।

চুলের জন্য উপকারী – ত্বকযুক্ত চুলের স্বাস্থ্যের জন্য তেজ পাতা উপকারী। এটি চুলের শিকড়কে শক্তিশালী করে এবং চুল ভাঙ্গা রোধ করে। এটিতে অ্যান্টি ফাঙ্গাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা চুলকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। আপনি যদি চুলকে মজবুত করতে চান তবে আপনি তেজপাতা ব্যবহার করতে পারেন।

Q4. চালতা পাতার উপকারিতা

Ans – চালতা পাতার উপকারিতা প্রচুর।
> চালতা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’-এর ভালো উত্‍স।
> চালতা পেটের নানা অসুখ প্রতিরোধে সহায়তা করে। ডায়রিয়া সারাতে কাঁচা চালতার রসের তুলনা নেই।
> রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে চালতা।
> ঠাণ্ডা ও কাশির জন্য পাকা চালতার রসের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
> কিডনির নানা রোগ প্রতিরোধেও সহায়তা করে চালতা।
> প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকায় এই ফল স্কার্ভি ও লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে।
> নিয়মিত এই ফলটি খেলে হার্টের বিভিন্ন অসুখের ঝুঁকি কমে।

Q5. কালমেঘ পাতার উপকারিতা

Ans – কালমেঘ পাতার উপকারিতা প্রচুর।
১| লিভারের সমস্যায়: লিভারের সমস্যায় যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের জন্য় অবর্থ ওষুধ কালমেঘ পাতার রস। এটিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং হেপাটোপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। লিভারের কোষের ক্ষয়ক্ষতি রোধে কালমেঘ পাতার রস কার্যকরূ। এটি দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস বি ভাইরাল সংক্রমণের জন্য়ও কার্যকর হতে পারে। লিভার সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যার সমাধানে প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে এটি।

২| ইনফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলায়: ইলফ্লুয়েঞ্জা মোকাবিলাতেও কালমেঘ পাতার উপকারিতা প্রচুর। কালমেঘের এন্ড্রোগ্রাফোলাইডে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস প্রতিরোধ করে। এটি ফুসফুসের কার্যকারিতা বৃদ্ধির অন্যতম সহায়ক।

৩| সাইনাস নিরাময়ে: সাইনাসের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, সাইনাসের ব্যথায় যাঁরা কাবু, তাঁদের ক্ষেত্রেও কালমেঘ পাতা ওষুধের মতো কাজ করে। এটি এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ইমিউনোমোডুলেটিরি বৈশিষ্ট্যর জন্য ব্যথার উপশম হয় (Health Benefits of Kalmegh Pata In Bengali)। কালমেঘ (Kalmegh Pata) সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।