WBBSE Science Class 6, Plant, উদ্ভিদ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান
- WBBSE Science Class 6, Plant, উদ্ভিদ | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান
- পাতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার করে যে উদ্ভিদ সেটি হল
- প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে দু’টি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো
- বিপন্ন উদ্ভিদের তালিকা
- বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে
- বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ নাম
- ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ
- ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো
- ভারতীয় উদ্ভিদ বিদ্যার জনক কে
- ভারতের মরু অঞ্চলে কোন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ দেখা যায়, ভারতের মরু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কি নামে পরিচিত
- ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ, ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ তালিকা
- ভেষজ উদ্ভিদ, ভেষজ উদ্ভিদ কাকে বলে
- ভেষজ উদ্ভিদের গুরুত্ব কি?
- ভেষজ উদ্ভিদের সংরক্ষণ
- রূপান্তরিত অর্ধবায়বীয় কান্ড দেখা যায় যে উদ্ভিদে সেটি হলো
- লবণাম্বু উদ্ভিদের অভিযোজন গত বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো
- লবণাম্বু উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য
- FAQ | বংশবিস্তার
পাতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার করে যে উদ্ভিদ সেটি হল
পাথরকুচি, পাতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার করে।
প্রাণীরা উদ্ভিদের ওপর নির্ভর করে দু’টি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো
উত্তর: ১) প্রাণী দের বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় অক্সিজেন উদ্ভিদের কাছ থেকেই পায় ।
২) বিভিন্ন উদ্ভিদ থেকে যেমন সিঙ্কোনা, সর্পগন্ধা, তুলসী, বাসক গাছের বিভিন্ন অংশ থেকে নানান রকম ঔষধি দ্রব্য তৈরি হয় ।
বিপন্ন উদ্ভিদের তালিকা
বিপন্ন প্রজাতি হল এমন একটি প্রজাতি যাদের অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন দ্বারা শ্রেণিবদ্ধ করা (আইইউসিএন) লাল তালিকাভুক্ত বিপন্ন (ইএন) হল আইইউসিএন এর পরিকল্পনায় বন্য জনসংখ্যার জন্য দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুতর সংরক্ষণ অবস্থা।
এর আগে আছে মহা বিপন্ন (সিআর) অবস্থা। ২০১২ সালে, আইইউসিএন লাল তালিকায় বিশ্বব্যাপী বিপন্ন হিসাবে ৩,০৭৯ প্রাণী এবং ২,৬৫৫ উদ্ভিদ প্রজাতিকে বিপন্ন (ইএন) তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে এই পরিসংখ্যানটি ছিল যথাক্রমে ১,১০২ এবং ১,১৯৭।
অনেক দেশেই আইন আছে, যা সংরক্ষণ-নির্ভরশীল প্রজাতিকে রক্ষা করে: উদাহরণ স্বরূপ, শিকারে নিষেধাজ্ঞা, ভূমি উন্নয়ন সীমাবদ্ধ করা বা সুরক্ষিত অঞ্চল তৈরি করা। প্রাণীগনণার মাধ্যমে পাওয়া জীবের তালিকা থেকে প্রাণীসংখ্যার উপাত্ত, প্রবণতা এবং প্রজাতির সংরক্ষণের স্থিতি পাওয়া যায়।
ভারতে কিছু বিপন্ন উদ্ভিদ প্রজাতি
- মালাবার লিলি: ফাউন্ডেশন তামিলনাড়ুতে, এর বোটানিকাল নাম ক্লোরোফাইম মালাব্যারিকাম।
- মুসলি: তামিলনাড়ুতে পাওয়া যায়, এর বোটানিকাল নাম ক্লোরোফাইটাম টিউরোসাম।
- মালাপুরুম: কেরালার ফাউন্ডেশন এবং তামিলনাড়ু, এর উদ্ভিদ নাম।
- জেমিকন্দ: গুজরাট এবং রাজস্থানে পাওয়া যায়, এর বোটানিকাল নাম সেরপেগিয়া।
- এবনি ট্রি: ফাউন্ডেশন কর্ণাটকের, এর বোটানিকাল নামটি ডায়োস্পাইরোস ব্রেডিবিকা।
- পাখির পা: গুজরাটে ফাউন্ডেশন, এর বোটানিকাল নামটি প্রচুর কর্নকুলাটাস।
- আসাম ক্যাটকিন: ফাউন্ডেশন অরুণাচল প্রদেশের, এর উদ্ভিদ নামটি একটি অ্যানমেন্টক্সাস আসামিকা।
বিরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ কাকে বলে
যেসব উদ্ভিদের কান্ড খুব নরম , সরস ও কাষ্ঠহীন , আকারে ছােটো এবং সাধারণত শাখাবিহীন অথবা স্বল্প সংখ্যক শাখাযুক্ত হয় তাদের বীরুৎ জাতীয় উদ্ভিদ বলে । এরা জলজ বা স্থলজ উদ্ভিদ হতে পারে ।
বিরুৎ উদ্ভিদের উদাহরণ হলো: ধান, সরিষা, মরিচ, লাউ, কুমড়া, পুঁই শাক ঘাস, কচু ইত্যাদি।
বিরুৎ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য সমূহ
- বিরুৎ উদ্ভিদ আকারে ছোট হয়।
- এদের কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা নরম হয়।
- এদের শেকড় মাটির গভীরে যায় না।
- বিরুৎ উদ্ভিদ হলো: মরিচ গাছ, লাউ গাছ, ধান, সরিষা, ইত্যাদি।
বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ নাম
যেসব উদ্ভিদের প্রধান কাণ্ড দীর্ঘ, মোটা ও শক্ত হয় এবং যাদের শেকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে সেগুলোকে বৃক্ষ বলে। যেমন: আম, কাঁঠাল, বেল ইত্যাদি। বৃক্ষের কাণ্ড থেকে শাখা-প্রশাখা এবং পাতা হয়।
সকল বৃক্ষ বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। কিছু কিছু বৃক্ষ কয়েক দশক, এমনকি কয়েকশো বছরও বাঁচে। অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে বৃক্ষের উচ্চতা বেশি হয়, এদের কাণ্ড দীর্ঘ ও মোটা হয়। গাছ তাদের পাতাগুলি দিয়ে সালোকসংশ্লেষণের জন্য আলো সংগ্রহ করে, এই প্রক্রিয়া গাছ তাদের জন্য “খাদ্য” তৈরি করে।
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ
বীজ ফলের মধ্যে থাকলে না সেটিকে ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ বলা হয় ।
ব্যক্তবীজী ও গুপ্তবীজী উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য | Differences between Angiosperm and Gymnosperm
ব্যক্তবীজী | গুপ্তবীজী |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ সাধারণত বীরুৎজাতীয় হয় না। এরা প্রধানত বৃক্ষ জাতীয়। | অধিকাংশ গুপ্তবীজী উদ্ভিদ বীরুৎজাতীয়। |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদ একলিঙ্গ প্রকৃতির এবং এরা মনোসিয়াস কিংবা ডায়োসিয়াস প্রকৃতির হতে পারে। | গুপ্তবীজী উদ্ভিদ একলিঙ্গ এবং উভলিঙ্গ প্রকৃতির এবং মনোসিয়াস কিংবা ডায়োসিয়াস প্রকৃতির হতে পারে। |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদরা সাধারণত বহুবর্ষজীবী। | গুপ্তবীজী উদ্ভিদের একবর্ষজীবী , দ্বিবর্ষজীবী এবং বহুবর্ষজীবী প্রকৃতির হতে পারে। |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের ক্ষেত্রে অঙ্গজ জনন বিরল। | গুপ্তবীজী উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন খুবই সাধারণ ঘটনা। |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের জননাঙ্গে সৌন্দর্যবর্ধক অঙ্গ যেমন – বৃত্তি দলমন্ডল প্রভৃতি উপস্থিত থাকেনা। | গুপ্তবীজী উদ্ভিদের জননাঙ্গে বৃত্তি , দলমন্ডল প্রভৃতি সৌন্দর্যবর্ধক অঙ্গ উপস্থিত থাকে। |
পুং লিঙ্গধর উদ্ভিদের প্রোথ্যালিয়াল কোশ উপস্থিত থাকে। | পুং লিঙ্গধর উদ্ভিদের প্রোথ্যালিয়াল কোশ উপস্থিত থাকে না। |
এই জাতীয় উদ্ভিদের পরাগযোগ প্রক্রিয়া প্রধানত বায়ু দ্বারা সম্পন্ন হয় অর্থাৎ এরা বায়ুপরাগী। | গুপ্তবীজী উদ্ভিদের পরাগযোগ বায়ু , জল , পতঙ্গ , প্রাণী প্রভৃতি দ্বারা সম্পন্ন হয়। |
ডিম্বক উন্মুক্ত অবস্থায় থাকে এবং গর্ভ পত্র দ্বারা আবৃত থাকে না। | ডিম্বক উন্মুক্ত অবস্থায় থাকেনা গর্ভপত্র দ্বারা আবৃত থাকে। |
পরাগযোগের সময় পরাগরেণু সরাসরি ডিম্বকের মাইক্রোপাইল প্রান্তে এসে পড়ে। | পরাগযোগের সময় পরাগরেণু গর্ভমুন্ডে আপতিত হয় এবং অঙ্কুরিত হয়ে প্রানালীকার সৃষ্টি করে । এই পরাগ নালিকা গর্ভদন্ডের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়। |
সস্য কলা নিষেকের পূর্বে গঠিত হয়। | সস্য কলা নিষেকের পূর্বে গঠিত হয়। |
দ্বিনিষেক ঘটে না। | দ্বিনিষেক ঘটে। |
স্ত্রীধানী বা আর্কিগোনিয়াম স্ত্রী লিঙ্গধর উদ্ভিদে উপস্থিত। | স্ত্রীধানী বা আর্কিগোনিয়াম স্ত্রী লিঙ্গধর উদ্ভিদে গঠিত হয় না। |
সস্য কলা হ্যাপলয়েড (n ) প্রকৃতির। | সস্য কলা ট্রিপলয়েড (3n ) প্রকৃতির। |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের ফ্লোয়েমে সঙ্গীকোশ থাকে না। | গুপ্তবীজী উদ্ভিদের ফ্লোয়েমে সঙ্গীকোশ থাকে। |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের জাইলেমে ট্রাকিয়া বা ভেসল অনুপস্থিত। | জাইলেমে ট্রাকিয়া বা ভেসল উপস্থিত। |
ক্লিভেজ পলিএম্ব্রায়োনি ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের এমব্রিয়োজেনেসিসের গুরুত্ব পূর্ণ বৈশিষ্ট্য। | ক্লিভেজ পলিএম্ব্রায়োনি লক্ষ করা যায় না । |
ব্যক্তবীজী উদ্ভিদের দুটি শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো
- (1) এই প্রকার উদ্ভিদ দীর্ঘ কাষ্ঠল চিরহরিৎ বৃক্ষ জাতীয় হয়
- (2)এদের ফল গঠিত হয় না।বীজগুলি নগ্ন প্রকৃতির। তাই এদের ব্যক্তবীজী বলে।
- (3)বীজে একাধিক বীজপএ থাকে।নিডোব্লাস্ট কোশ -নিডারিয়া।কোম্বপ্লেট-টিনোফোরা।
ভারতীয় উদ্ভিদ বিদ্যার জনক কে
উইলিয়াম রক্সবার্গ ভারতীয় উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সমধিক পরিচিত।
ভারতের মরু অঞ্চলে কোন ধরনের স্বাভাবিক উদ্ভিদ দেখা যায়, ভারতের মরু অঞ্চলের স্বাভাবিক উদ্ভিদ কি নামে পরিচিত
উত্তর: ভারতে মরু অঞ্চলে ক্যাকটাস, ফনীমনসা, বাবলা, খেজুর, কাঁটাঝোপ ও বিভিন্ন ঘাস জন্মায়।
ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ, ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ তালিকা
- ভারতের মোট অরণ্যের পরিমান 692027 বর্গ কিলোমিটার (21.23%)
- 21.23% এর মধ্যে খোলা অরণ্য হল 8.99%,মাঝারি ঘন অরণ্য হল -৯.৭০ এবং খুব ঘন অরণ্য হল-2.54%
- উত্তর -পূর্ব ভারতে দেশের অরণ্য আচ্ছাদনের এক চতুর্থাংশ থাকলেও ঝুম চাষের জন্য 549 বর্গ কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
শ্রেণী বিভাগ | অরণ্যের পরিমান % | মোট আয়তন % | উদ্ভিদের নাম |
ক্রান্তীয় আদ্র চিরহরিৎ | 2.92 | 8 | ধুপ,দেওদার,বাঁশ |
ক্রান্তীয় উপ চিরহরিৎ | 13.79 | 4.1 | শাল,সেগুন,বাদাম,মহুয়া,শিমূল,আমলকি |
ক্রান্তীয় আদ্র পর্ণমোচী | 19.73 | 37.0(সর্বাধিক) | ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ |
উপকূলীয় ও জলাভূমি | 0.69 | 0.6 | নিম,গামার ,জাম |
ক্রান্তীয় শুস্ক চিরহরিৎ | 0.13 | 0.2 | সেগুন,শাল,খয়ের |
ক্রান্তীয় শুস্ক পর্ণমোচী | 41.87(সর্বাধিক) | 28.6 | খেজুর,পলাশ,বাবলা |
ক্রান্তীয় কাঁটাঝোপ | 2.25 | 2.6 | ওক,বাদাম,পাইন |
উপক্রান্তীয় বৃহৎপত্র | 2.69 | 0.4 | চির /ছিল |
উপক্রান্তীয় পাইন | 2.63 | 6.6 | অলিভ,আকাসিয়া |
উপক্রান্তীয় শুস্ক চিরহরিৎ | 0.03 | 2.5 | বার্চ,দেওদার,ওক হেমলক |
পার্বত্য আদ্র নাতিশীতোষ্ণ | 0.69 | 3.6 | বার্চ,দেওদার,ওক হেমলক |
হিমালয়ের আদ্র নাতিশীতোষ্ণ | 4.12 | 3.4 | পাইন,ফার,স্প্রুস ,সিডার |
হিমালয়ের শুস্ক নাতিশীতোষ্ণ | 0.84 | 0.3 | স্যাপোল,ওক |
আল্পীয় | 2.55 | 2.1 | ফার,রডোডেনড্রন |
মোট | 100 | 100 |
ভেষজ উদ্ভিদ, ভেষজ উদ্ভিদ কাকে বলে
ভেষজ উদ্ভিদ (Herb) হলো এমন গাছ যা সাধারণত খাদ্য, স্বাদবৃদ্ধি, ঔষধ অথবা সুগন্ধের জন্য ব্যবহৃত হয়।
রান্না করতে ভেষজ উদ্ভিদ থেকে মশলা উৎপাদন করা হয়। সাধারণত গাছের সতেজ অথবা শুকনো পাতা আর ফুলের অংশ এই কাজে ব্যবহার করা হয়। গাছের বীজ, ফল, বাকল এবং শিকড় থেকে মশলা তৈরি হয়।
ভেষজ উদ্ভিদের গুরুত্ব কি?
ভেষজ উদ্ভিদ বাতাসে বিরাজমান বিভিন্ন রোগ জীবাণুকে প্রাকৃতিকভাবে বিনষ্ট করতে সক্ষম। তাই অধিকহারে ভেষজ উদ্ভিদের চাষ আমাদের ক্রমশ দূষিত হয়ে পড়া পরিবেশ বিশুদ্ধকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। অধিকাংশ ভেষজ উদ্ভিদ চাষে কৃত্রিম কীটনাশক ও সার প্রয়োজন হয় না।
ভেষজ উদ্ভিদ নানা কাজে লাগে যেমন- রান্নায়, ঔষধ তৈরিতে, এবং কখন কখন ধর্মীয় আচার-আচরণ পালনে। ঔষধ তৈরিতে ব্যবহৃত উদ্ভিদগুলোকে ভেষজ উদ্ভিদ বলা হয়। যেক্ষেত্রে যাই বলা হোক না কেন ওই উদ্ভিদের নাম দ্বারা তার পাতা, ফুল, ফল, শিকড়, বীজ, ছাল-বাকল, কষ, ফলের খোসা সবকিছুকেই নির্দেশ করা হয়।
ভেষজ উদ্ভিদের সংরক্ষণ
কবিরাজি, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও অ্যালোপেথিক ওষুধ তৈরিতে ভেসজ উদ্ভিদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে সারা দেশের মতো এক সময়ের ভেষজ গাছ-গাছড়া সমৃদ্ধ ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে উজাড় হয়ে যাচ্ছে মূল্যবান ও উপকারী সব ভেষজ উদ্ভিদ।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ঊর্ধ্বগতি, ইটভাটায় জ্বালানি কাঠ ব্যবহার, নতুন স্থাপনা নির্মাণসহ নানা কারণে ঝোপঝাড় পরিস্কার, গাছপালা কাটা ও আবহাওয়ার বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে এ অঞ্চলের বন্য প্রাণীকূল যেমন বিলুপ্ত হয়েছে, তেমন উপকারী সব গাছ-গাছড়াও উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বৃক্ষ, গুল্ম, বিরুৎ সবই হারিয়ে যাচ্ছে কোথাও দ্রুত, কোথাও ধীরে ধীরে। এর ফলে কবিরাজি চিকিৎসাও পড়েছে মহা সঙ্কটে।
উদ্ভিদ ও কৃষি বিশ্লেষক মহল মনে করেন, পরিচর্যা ও ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বসতবাড়ির আঙিনায়, খোলা জায়গায়, পতিত জমিতে এমনকি রাস্তার দুধারে ভেষজ উদ্ভিদের চারা রোপণ করে এ মহামূল্যবান সম্পদ রক্ষা করা যেতে পারে।
রূপান্তরিত অর্ধবায়বীয় কান্ড দেখা যায় যে উদ্ভিদে সেটি হলো
কচুরিপানাতে রূপান্তরিত অর্ধবায়বীয় কান্ড দেখা যায়।
লবণাম্বু উদ্ভিদের অভিযোজন গত বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো
সাধারণত লবণাক্ত মাটিতে ম্যানগ্রোভ জাতীয় উদ্ভিদ জন্মায়। এরা চিরহরিৎ শ্রেণির উদ্ভিদ। এদের অভিযােজনগত বৈশিষ্ট্য হল一
- লবণাক্ত মাটি থেকে জল শােষণ করা কঠিন। কিন্তু এসব উদ্ভিদের কোশপ্রাচীর পুরু ও শক্ত থাকায় আস্রবণ চাপ (Osmotic Pressure) বেশিমাত্রায় সহ্য করতে পারে এবং তাই জলশােষণ ক্ষমতাও বেশি।
- পত্ররন্ধের সংখ্যা কম হয় এবং শারীরবৃত্তীয় শুষ্ক মাটিতে জন্মায় বলে জলের অভাবকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাস মাচনের হার কমিয়ে দেয়।
- উদ্ভিদের পাতাগুলি তৈলাক্ত ও মসৃণ। পাতায় প্যালিসেড কলার গঠন সুস্পষ্ট। পাতার জলধারণ ক্ষমতা অধিক।
- মাটির মধ্যে বায়ু প্রায় থাকে না বলে শ্বসনের সহায়ক। বহু সংখ্যক শ্বাসমূল মাটির ওপর সােজাভাবে অবস্থান করে।
- জোয়ারভাটার প্রভাবে স্থানচ্যুতি রােধ করার জন্য ও কাদামাটিতে গাছগুলি যাতে সােজা হয়ে অবস্থান করতে পারে সেজন্য কাণ্ড থেকে স্তম্ভমূল ও ঠেসমূল উৎপন্ন হয়।
- লবণাক্ত মৃত্তিকায় অঙ্কুরােদগম প্রায় হয় না। উদ্ভিদ ফলের মধ্যেই অকুরােদ্গম ঘটিয়ে সেটিকে কর্দমাক্ত মৃত্তিকায় নিক্ষেপ করে। এই প্রক্রিয়া জরায়ুজ অঙ্কুরােদগম নামে পরিচিত। বীজকে কাদামাটিতে ডুবে যাওয়া বা জলের স্রোতে ভেসে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে উদ্ভিদ জরায়ুজ অঙ্কুরােদ্গম ঘটায়।
- গাছ খুব দ্রুত বড়াে হয়ে অভিযােজন ঘটায়। এসব গাছ দিনে কয়েক সেমি বৃদ্ধি পায়।
লবণাম্বু উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য
লবণাম্বু উদ্ভিদ এক বিশেষ প্রজাতির উদ্ভিদ। এর বিশেষ কতকগুলি বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন一
- উয়তা ও বৃষ্টিপাতের যথেষ্ট তারতম্যের সঙ্গে অভিযােজন ঘটিয়ে অতিরিক্ত লবণাক্ত মাটিতে এরূপ উদ্ভিদ বাঁচতে পারে।
- এই উদ্ভিদ চিরসবুজ থাকে।
- এই উদ্ভিদ সাধারণত কাষ্ঠল জাতীয় হয়।
- এদের মূলগুলি শাখাপ্রশাখায় বিন্যস্ত থাকে এবং মাটিতে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য কতকগুলি ঠেসমূলরূপে কাজ করে।
- বীজের অঙ্কুরােদগম মাটির বদলে গাছে থাকাকালীন ফলের মধ্যেই হয়, যাকে জরায়ুজ অঙ্কুরােদগম বলে।
- গাছের পাতা পাতলা, ছােটো ও চামড়ার মতাে শক্ত হয় এবং পাতা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সঞ্চয় করে রাখে।
- লবণাক্ত মাটিতে গাছের উপযােগী অক্সিজেনের অভাব ঘটে। তাই বাতাস থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেওয়ার জন্য লবণাম্বু উদ্ভিদের শ্বাসমূল থাকে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আরো বিশদে পড়তে
পশ্চিমবঙ্গ বোর্ড WBBSE-এর ছাত্রদের জন্য ক্লাস 9 লাইফ সায়েন্স নোট এবং রেফারেন্স বই তাদের সহজে প্রস্তুত করতে এই বইটি বাংলা মাধ্যমের ছাত্রদের জন্য
FAQ | বংশবিস্তার
Q1. উদ্ভিদের অঙ্গজ বংশবিস্তার কাকে বলে
Ans – প্রকৃত বীজ ব্যতীত গাছের কোন অঙ্গ যেমন মূল, কান্ড, শাখা, পাতা দিয়ে যখন বংশবিস্তার করা হয় তখন তাকে উদ্ভিদের অঙ্গজ বংশবিস্তার বলে।
Q2. অঙ্গজ বংশবিস্তার কাকে বলে
Ans – যে জনন পদ্ধতিতে জীবদেহের কোনো অঙ্গ বা অঙ্গাংশ জনিতৃ জীবদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অপত্য জীব সৃষ্টি করে তাকে অঙ্গজ জনন বলে।
Q3. কোরকের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে কোন প্রাণী
Ans – ইস্ট, কোরকের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে।
Q4. কচুরিপানা কিসের সাহায্যে বংশবিস্তার করে
Ans – পৃথিবীর দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে অন্যতম হল কচুরিপানা। আমাদের দেশের প্রায় সব জলাশয়ে এই আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায়। ধারনা করা হয় অ্যামাজন বেসিন, দক্ষিণ আমেরিকায় এর উৎপত্তি।
কচুরিপানা সাধারনতঃ দু’ভাবে তার বংশ বিস্তার করে বা বৃদ্ধি পায়। যথাঃ যৌন ও অযৌন প্রজনন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।