মানবাধিকার কি
মানবাধিকার বলতে বোঝায় প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অতি আবশ্যিক সেই সকল সুযোগ-সুবিধা যেগুলি জন্মসূত্রে প্রাকৃতিক ভাবে মানুষ অর্জন করে..। সাধারণত অধিকার বলতে বোঝায় রাষ্ট্রীয় আইন কর্তৃক স্বীকৃত এবং সংরক্ষিত কিছু সুযোগ সুবিধা.., কিন্তু মানবাধিকার হলো সেই সকল সর্বজনীন মানবিক অধিকার যেগুলি সীমিত ও সংকীর্ণ রাষ্ট্রীয় অধিকারের থেকে অনেক ব্যাপক এবং সুস্থ স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য একান্ত অপরিহার্য।
ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখতে পাই বহু সংগ্রামের মাধ্যমে ধীরে ধীরে জনগণ মানবাধিকার অর্জন করেছে..। যেমন ইংল্যান্ডে গৃহীত ১২১৫ সালে ম্যাগনাকার্টা, ১৬২৭ সালে পিটিশন অব রাইটস্, এবং ১৬৮৮ সালে বিল অফ রাইটস্, আমেরিকাতে গৃহীত ১৭৮৭ সালের বিল অফ রাইটস্, ১৭৯১ সালে ফ্রান্সে গৃহীত ডিক্লারেশন অফ দা রাইট অফ ম্যান এন্ড সিটিজেন ইত্যাদি সনদগুলি মানবাধিকার অর্জনের ইতিহাসে বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ইউনাইটেড নেশনস্ অর্গানাইজেশন ১৯৪৮ সালের ১০ই ডিসেম্বর মানবাধিকারের বিশ্বজনীন ঘোষণাপত্রটি ( Universal Declaration of Human Rights ) গ্রহণ করে। ইউ.এন.ও এর প্রতিটি স্বাধীন সদস্য রাষ্ট্র এই ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করে এবং ঘোষণাপত্রে লিপিবদ্ধ মানবাধিকার গুলি নিজের রাষ্ট্রের নাগরিকদের দেবার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়..। ১০ই ডিসেম্বর দিনটি বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালিত হয়।
বর্তমানে অধিকাংশ স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের আওতাভুক্ত করে মানবাধিকার গুলি সংরক্ষন করেছে..। ভারতের উদাহরণ দিলে বলা যায় ভারতের সংবিধানে তৃতীয় অধ্যায়ে উল্লেখিত সকল মৌলিক অধিকারই মানবাধিকার এর অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য অধিকাংশ রাষ্ট্রে মানবাধিকার কমিশন গঠিত হয়েছে।
UNO ২০১৫ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা রেখে সারা বিশ্বে মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেটি হল sustainable development goals বা স্থিতিশীল উন্নয়ন লক্ষ্য, এখানে ১৭ টি বিষয়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে..। বিষয়গুলি নিচের চিত্রে উল্লেখিত।
মানবাধিকার কাকে বলে
মানুষের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকারকে বলা হয় মানবাধিকার।
সংজ্ঞা ২:
মানুষ তার ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও আত্মোপলব্ধির জন্য জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে যে ধরণের সমসুযোগ-সুবিধা প্রত্যাশা করতে পারে কিংবা দাবী করতে পারে সেগুলোই মানবাধিকার।
সংজ্ঞা ৩:
মানুষ হিসেবে একজন ব্যক্তি যে সম্মান, অধিকার, শ্রদ্ধা ও নিরাপত্তা প্রাপ্ত হবার অধিকার রাখে, তাদেরকেই Human rights বা মানবাধিকার বলা হয়।
মানবাধিকার, জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত ও স্বীকৃত অধিকারসমূহ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। ফলে নাগরিক অধিকার এবং মানবাধিকার দুইটি পৃথক বিষয়, বৈশিষ্ট্য-স্বরূপ এর দিক থেকেও এরা আলাদা।রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলে সীমিত, স্ব রাষ্ট্রের অন্তর্গত নাগরিকদের অধিকার। অপরপক্ষে সমাজ, রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল অর্থাৎ বৈশ্বিক ও সার্বজনীনভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার।
মানবাধিকারের গুরুত্ব, মানবাধিকারের প্রয়োজনীয়তা
মানুষের জীবনকে ভালো ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য মানবাধিকারগুলো। এজন্য মানুষের জীবনে মানবাধিকারের প্রয়োজন এবং গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে।
মানবাধিকারের পাঁচটি প্রয়োজনীয়তা হলো :
- স্বাধীন এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকা এবং জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে সহায়তা প্রদান করে।
- মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
- পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছ থেকে মানুষ এসব অধিকার প্রাপ্ত হয়ে থাকে।
- শিক্ষার সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে, সমাজে যোগ্যতা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।
- মানুষের মাঝে সম্প্রীতি তৈরির মাহ্যমে, সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
মানবাধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা
মানুষ পৃথিবীতে স্বাধীনভাবে মানবিক মর্যাদাসহ বেঁচে থাকার জন্যে এবং তাঁর স্বাভাবিক গুণাবলী ও বৃত্তির প্রকাশ ঘটাতে প্রয়োজনীয় অধিকারগুলোকেই বলা হয় মানবাধিকার। মানুষের এ অধিকারগুলো বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই মানবাধিকার ঘোষিত হয়। একে বলা হয়, মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র ”।
মানবাধিকারের বিশ্বজনীন ঘোষণা সত্ত্বেও প্রায়ই আমাদের মানবাধিকার ক্ষুণ হয়। রেডিও, টেলিভিশন ও সাংবাদপত্রের পাতায় আমরা এরকম ঘটনা প্রায়ই শুনি ও দেখি। আমাদের দেশে এ রকম কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো- শিশুশ্রম, নারী ও শিশু পাচার, এসিড নিক্ষেপ, সড়ক দুর্ঘটনা, সাম্প্রদায়িকতা, ও যৌতুকের কারণে অত্যাচার ইত্যাদি।
উল্লেখিত মানবাধিকার বিরোধী কাজ সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে এবং প্রতিকার করার জন্যে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ আবশ্যক। এ ক্ষেত্রে পুলিশ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক। আইনের প্রয়োগিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার নিশ্চিত করার কাজটি যেমন পুলিশ বিভাগকে করতে হচ্ছে তেমনি এই বিষয়ে জনমত তথা গণসচেতনতা তৈরির দায়িত্ব প্রধানত গণমাধ্যমের।
গণপ্রজাতন্ত্রী সংবিধানে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছে। এই সকল সাংবিধানিক লক্ষ্য অর্জনের জন্যেই মূলত পুলিশ ও গণমাধ্যম তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। রাষ্ট্রের স্বার্থে, সমাজ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করায় মূলত পুলিশ ও গণমাধ্যমের দায়িত্ব।
মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণে পুলিশ ও গণমাধ্যমের সমন্বয় আবশ্যক। এতে রাষ্ট্র, সমাজ এবং জনগণ অধিক সেবা ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখি তাহলে দেখতে পাব যে, গণতন্ত্র প্রচলিত আছে এইরূপ সকল দেশেই পুলিশ ও গণমাধ্যম সমূহের মধ্যে সৌহার্দ্যরে সম্পর্ক ও সমন্বয় বিদ্যমান রয়েছে। ফলে এই সকল প্রতিষ্ঠানের সাথে সেখানের জনগণেরও সু-সম্পর্ক বিরাজমান।
ফলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, আইনের প্রয়োগ এবং জনস্বার্থে যে কোনো কার্যক্রম পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে তারা পালন করেন। তাই সেখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিরাপদ থাকে। পুলিশ ও গণমাধ্যমসমূহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে দেশ ও জনগণের কল্যাণে দায়িত্ব পালন করছেন, তবে তাদের মধ্যে আরো অধিক সমন্বয় থাকা আবশ্যক। কারণ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে বিভিন্ন সুবিধা লাভ করা সম্ভব। মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণে পুলিশ ও গণমাধ্যমসমূহের কার্যক্রমে সমন্বয় খুবই প্রয়োজন।
তবে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান দুটিকে আরো কতিপয় সাধারণ শর্ত পালন করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। দেশে সুদৃঢ় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পুলিশ ও গণমাধ্যমের কার্যক্রমে সমন্বয় থাকা বাঞ্চনীয়। মানবাধিকার উন্নয়ন ও সংরক্ষণে পুলিশ বাহিনী ও গণমাধ্যমকে সর্বদা নিরপেক্ষ, সততা ও নিষ্ঠার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস কবে
মানবাধিকার দিবস পালিত হয় ১০ ডিসেম্বর।
মানবাধিকার দিবস জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১০ ডিসেম্বর, ১৯৪৮ সাল থেকে দিবসটি উদযাপন করা হয়। এছাড়াও, ‘সার্বজনীন মানব অধিকার সংক্রান্ত ঘোষণাকে’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ তারিখকে নির্ধারণ করা হয়। সার্বজনীন মানব অধিকার ঘোষণা ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী নবরূপে সৃষ্ট জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ অর্জন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কি
NHRC এর পুরো কথাটির অর্থ হল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এটি একটি অ-সাংবিধানিক সংস্থা যা দেশে মানবাধিকার সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য একটি প্রহরী হিসাবে কাজ করে। জাতিসংঘের মতে, প্রতিটি ব্যক্তির কয়েকটি নির্দিষ্ট অধিকার নিশ্চিত করা উচিত, যেমন জীবনের অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, সমতার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, দাসত্ব থেকে স্বাধীনতা ইত্যাদি। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এই অধিকারগুলিকে রক্ষা করার জন্য একই ক্ষেত্রে কাজ করে। NHRC-এর সদর দফতর নয়াদিল্লিতে এবং 2018-সালের 12ই অক্টোবর এর 25তম বার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
- NHRC মানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এই কমিশনটি ভারত সরকার কর্তৃক মানবাধিকার আইন, 1993-এর অধীনে একটি উত্কর্ষ মানব জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি অধিকার সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার মধ্যে স্বাধীনতা ও সমতার অধিকার, দাসত্ব থেকে মুক্তি, বাক স্বাধীনতা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- পৃথিবীতে উপস্থিত প্রতিটি ব্যক্তির একটি নির্দিষ্ট মর্যাদা রয়েছে এবং মর্যাদার সাথে বসবাস করার অনুমতি রয়েছে। তাই, মানব জীবনের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য, তাদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের জন্য একটি মানসম্পন্ন জীবন প্রদানের জন্য NHRC প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
- এই অধিকারগুলি ভারতীয় সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং ভারতের উচ্চ আদালতগুলিও এগুলি জারি করে৷
- NHRC-এর অনুরূপ, মানবাধিকারের প্যারিস নীতিও 1991 সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। NHRC এটি মেনে চলছে। এই বিষয়টি 1993 সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।
অধিকার ও মানবাধিকারের মধ্যে পার্থক্য
কোন দেশের সংবিধানে লিপিবব্ধ করা হয় এবং সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দ্বারা সংরক্ষণ করা হয় তখন তাকে মৌলিক অধিকার বলা হয়। মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরূপ-
১। সংজ্ঞাগত পার্থক্য: সকল মৌলিক অধিকারই মানব অধিকার, সকল মানব অধিকার মৌলিক অধিকার নয়। কেবল মাত্র ঐ সকল অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলা হয় কোন দেশের সংবিধানে লিপিবদ্ধ হয়।
২। মানবাধিকারের ক্ষেত্র ব্যাপক। অন্যদিকে, মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্র সংক্রিণ।
৩। মৌলিক অধিকারের উৎস হল সংবিধান । অন্যদিকে, মানবাধিকারের উৎস হল আন্তজার্তিক আইন।
৪। মৌলিক অধিকার নির্দিষ্ট দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যেমন বাংলাদেশের ১৮টি মৌলিক অধিকার। অন্যদিকে, মানবাধিকার নির্দিষ্ট দেশের সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।
৫। মৌলিক অধিকারগুলি দেশের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত। অন্যদিকে, মানবাধিকার সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত নয়।
৬। মৌলিক অধিকার সংবিধানিক নিশ্চয়তা দ্বারা স্বীকৃত। অন্যদিকে, মানবাধিকার এরূপ স্বীকৃত নয়।
৭। মানবাধিকার পৃথিবীর প্রত্যেকের কাছে সমানভাবে প্রযোজ্য। অন্যদিকে, মৌলিক অধিকারগুলো শুধুমাত্র তার নিজ দেশের নাগরিকদের জন্য স্বীকৃত।
৮। মৌলিক অধিকারের উৎস মূলতঃ কোনো দেশের সংবিধান। অর্থাৎ কোনো মানবাধিকার যখন সংবিধানে স্থান পায় তখন তাকে মৌলিক অধিকার বলে। অন্যদিকে, মানবাধিকারের উৎস হলো আন্তর্জাতিক আইনের বিভিন্ন বিষয়।
৯। মৌলিক অধিকার হল সেইসব অধিকার, যা সার্বভৌম রাষ্ট্রের সংবিধানে সন্নিবেশিত ও বলবৎযোগ্য। রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলের মাঝেই মৌলিক অধিকার উপভোগযোগ্য।
অপরদিকে মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত, গৃহীত এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উপভোগযোগ্য।
১০। মৌলিক অধিকার সমূহ সংবিধানকর্তৃক গৃহীত হওয়ার ফলে এ অধিকারগুলো সুস্পষ্ট এবং অধিকতর দৃঢ়তার সাথে বলবৎযোগ্য হয়ে থাকে।
তবে, মানবাধিকারগুলো সুস্পষ্ট হলেও দৃঢ়তার সাথে বলবৎযোগ্য নয়। কোন নাগরিক তার রাষ্ট্র কর্তৃক নিগৃহীত হলে, সেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা সম্ভব হলেও তাকে বিরত করা সবসময় সম্ভব হয় না।
মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকারের মাঝে এসব পার্থক্য থাকলেও এরা একে অপরকে প্রভাবিত করে। মূলত মৌলিক অধিকারের ধারণা থেকেই মানবাধিকারের সৃষ্টি হয়েছে। একইভাবে, মানবাধিকারসমূহ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরে মানুষের মাঝে মৌলিক অধিকারের প্রত্যাশাকে বেগবান করে তোলে। এজন্য মৌলিক অধিকার এবং মানবাধিকার একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | মানবাধিকার
Q1. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস কবে পালিত হয়
Ans – মানবাধিকার দিবস জাতিসংঘের নির্দেশনায় বিশ্বের সকল দেশে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর পালিত হয়।
Q2. মানবাধিকার রক্ষায় জাতিসংঘের ভূমিকা
Ans – জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, মাঝে মাঝে, গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে, প্রায়ই সংঘাতপূর্ণ এলাকায়।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।