নিম্নলিখিত কোনটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রাক্তন অবস্থান নয়?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

নিম্নলিখিত কোনটি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের প্রাক্তন অবস্থান নয়?

[ক] বাড়ির বাগান
[খ] বীজ ব্যাংক
[গ] বোটানিক্যাল গার্ডেন
[D] সামুদ্রিক জাতীয় উদ্যান

সঠিক উত্তর: D [মেরিন ন্যাশনাল পার্ক]

মন্তব্য: ইন সিটু কনজারভেশন মানে বাস্তুতন্ত্র এবং প্রাকৃতিক আবাসস্থলের সংরক্ষণ এবং প্রজাতির কার্যকর জনগোষ্ঠীর রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধার তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে এবং গৃহপালিত বা চাষকৃত প্রজাতির ক্ষেত্রে, আশেপাশে যেখানে তারা তাদের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যগুলি গড়ে তুলেছে।

  • এক্স সিটু কনজারভেশন মানে জৈবিক বৈচিত্র্যের উপাদানগুলিকে তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থলের বাইরে সংরক্ষণ করা।
  • ইন সিটু কনজারভেশনের উদাহরণ: জাতীয় উদ্যান, বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ, জিন অভয়ারণ্য।
  • এক্স সিটু কনজারভেশনের উদাহরণ: ক্যাপটিভ ব্রিডিং, জিন ব্যাঙ্ক, সিড ব্যাঙ্ক, চিড়িয়াখানা, অ্যাকোয়ারিয়া, ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন, ক্রিওপ্রেজারভেশন, টিস্যু কালচার।

শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন

উত্তর: বোটানিক্যাল গার্ডেন হল এমন কোন বাগান যেখান অগণ্য গাছপালার সংরক্ষণ, বংশবৃদ্ধি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা আছে। ২৭৩ একর জুড়ে বর্তমান যে ভারতের বৃহত্তম আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস বোটানিকাল গার্ডেন শিবপুরে অবস্হিত তার পূর্বে রয়াল বোটানিক্যাল গার্ডেন বা ক্যালকাটা বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেও পরিচিত ছিল।

গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে, হাওড়া জেলার শিবপুরে অবস্হিত আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস বোটানিকাল গার্ডেন কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। একসময় প্রায় ৩০০ একর জমিতে এর বিস্তৃতি ছিল এবং বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহৎ বোটানিকাল গার্ডেন রূপে পরিচিতি ছিল বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি অবধি। ভারত সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের অধীন বোটানিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া এর তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে।

বর্তমানে ২৭৩ একর জুড়ে থাকা এই বাগানের ১৩৭৭টি প্রজাতির ১৪১২২টি গাছ ফুসফুসের মত কাজ করে এই ভূখন্ডে। গোটা বাগানটি ২৫টি ভাগে বিভক্ত যাদের নামগুলো বিভিন্ন মহাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নামে।

২৪টি জলাশয় রয়েছে গোটা বাগানে ছড়িয়ে যারা নিজেদের মধ্যে তো সংযুক্ত বটেই, এমনকি হুগলী নদীর সাথে তাদের যোগ রয়েছে স্লুইস গেটের মাধ্যমে।ভারতের অর্থনীতিতে এই বাগান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে চা, পাট, রাবার, মেহগনি, সিঙ্কোনার মত বাণিজ্যিক বিভিন্ন গাছের প্রবর্তনে সাহায্য করে। এছাড়াও এখানে রয়েছে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন উদ্ভিদের সমাহার।

তাছাড়াও বিভিন্ন দুর্লভ ও বিপন্ন প্রজাতির গাছও আছে এখানে। কলকাতা থেকে সড়কপথে সহজ গন্তব্য হওয়ায় এখানে হাজার হাজার পর্যটক আসেন।সেপ্টেম্বার থেকে মার্চ হল এখানে আসার প্রকৃত সময়, যখন আবহাওয়া থাকে মনোরম, গরম থাকে না।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় যে জিনিসটি শিবপুরের বোটানিকাল গার্ডেনের তা হল সেই বিখ্যাত “Great Banyan Tree.”। এই বিশাল বটগাছ (Ficus benghalensis) এই বাগানের থেকেও পুরানো এবং এর বয়স ২৫৫ বছরের ওপর মনে করা হয়। “চলমান বৃক্ষ” বলে বিখ্যাত এই গাছ উদ্ভিদ জগতের এক জীবন্ত বিস্ময় এই গাছ গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিয়েছে তার বিশাল বড় ছত্রছায়ার কারণে আর সবথেকে বড় পরিধির জন্য।

এমনটা মনে করা হয় যে এই গাছ তৈরি হয়েছিল পাখির মলে থাকা বীজ থেকে এবং একটি খেজুর গাছের ওপর বেড়ে উঠেছিল, একসময় এই বটগাছের শিকড়গুলি ওই খেজুর গাছটিকে মেরে ফেলে। এই বিশাল বটগাছ ১৮,৯১৭ বর্গমিটার (১.৮৯ একর) এলাকা জুড়ে রয়েছে এবং ৪০৩৩ টিরও বেশি শিকড় আছে এর। এই গাছ যে পাতা ও ডালপালার বিস্তার করেছে তার পরিধি ৪৫০ মিটার যা এই গাছটাকে একটা ছোটখাটো অরণ্যের রূপ দিয়েছে।

এই গাছ ছাড়াও এখানে রয়েছে কতরকমের পামজাতীয় গাছ, স্ক্রু পাইন, বোগানভেলিয়া, জুঁই, ক্যাকটাস ও বাঁশজাতীয় গাছ। জায়ান্ট ওয়াটার লিলি (Victoria amazonica), বাওবাব গাছ (Adansonia digitata), ভেনেজুয়েলান গোলাপ (Brownea sp.), ব্রেডফ্রুট গাছ (Artocarpus communis), ক্যানন বল গাছ (Couroupita guianensis), ম্যাড ট্রি (Pterigota alata var. irregularis), ডাবল কোকোনাট পাম ট্রি (Lodoicea maldivica), আফ্রিকান সসেজ ট্রি (Kigelia pinnata), রসগোল্লা গাছ (Chrysohyllum cainito), ফুল গাছের রাণী (Amherstia nobilis)- এমন কিছু গর্ব করার মত সম্পদ এখানে রয়েছে।

গাছপালার পাশাপাশি নানারকমের প্রাণীর বাস এখানে। বিভিন্ন পতঙ্গ, সরীসৃপ, পাখি, উভচর ও স্তন্যপায়ীর আবাস এই বোটানিকাল গার্ডেন। এখানে যারা আসেন তাদের চোখে শেয়াল, বেজি, বিভিন্ন বিষাক্ত ও বিষহীন সাপ, কচ্ছপ নজরে পড়ে। কিছু উল্লেখযোগ্য পাখির প্রজাতি হল রোজ রিঙড্ প্যারাকীট, হাঁড়িচাচা (রুফাস ট্রিপাই), বেনে বৌ (ব্ল্যাক হুডেড ওরিওল), পরিযায়ী পাহাড়ি ময়না, কাঠঠোকরা, বসন্তবৌরি, ছাতারে, বী ইটার, জ্যাকানা, জঙ্গল আওলেট (প্যাঁচা), শিকরা, বুটেড ঈগল, হনি বেজার্ড প্রভৃতি।

শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কে প্রতিষ্ঠা করেন, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কে প্রতিষ্ঠিত হয়, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কে তৈরি করেন, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কে তৈরি করে, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কেন প্রতিষ্ঠিত হয়, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন এর প্রতিষ্ঠাতা কে, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কে কবে প্রতিষ্ঠা করেন, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কে তৈরী করেন, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কেন কখন নির্মিত হয়, শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন কেন ও কখন নির্মিত হয়

উত্তর: ভারতের উদ্ভিজ সম্পদের প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৭৮৬ সালে হুগলি নদীর পাশে শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন শিবপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় কর্নেল আলেকজান্ডার কিড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বোটানিক্যাল গার্ডেন, দেশজ উদ্ভিদ সংগ্রহের জন্য এবং বিদেশী উদ্ভিদের এখানকার জলবায়ুর সাথে অভ্যস্ত করার জন্য গঠিত হয়েছিল।

শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের বর্তমান নাম কি

উত্তর: আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুকে মনে রেখে ২০০৯ সালে এই উদ্যানটির নামকরণ করা হয় আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেন৷

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

এনভায়রনমেন্টাল ইকোলজি, জৈব-বৈচিত্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

সুপরিচিত লেখক ডঃ রবি ব্র-এর পরিবেশগত বাস্তুশাস্ত্র, জীব-বৈচিত্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রতিযোগিতামূলক বই থেকে একটি স্ট্যান্ডআউট। অগ্রহারি, যিনি গত 19 বছর ধরে UPSC এবং রাজ্য পরিষেবা পরীক্ষায় এই ধরনের সুপরিচিত সফল প্রার্থীদের শিখিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন এবং অনুপ্রাণিত করেছেন।

FAQ | বোটানিক্যাল গার্ডেন

Q1. পৃথিবীর বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন

Ans – বিশ্বের বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন ইংল্যান্ডে অবস্থিত ৷

Q2. ভারতের বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন কোনটি

Ans – ভারতের বৃহত্তম বোটানিক্যাল গার্ডেন হল আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোটানিক্যাল গার্ডেন, পূর্ব নাম : ইন্ডিয়ান বোটানিক্যাল গার্ডেন,কোম্পানি গার্ডেন। ইহা হাওড়ার শিবপুরে অবস্থিত।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।