হড়পা বান কি, হড়পা বান কাকে বলে, হড়পা বান কেন হয়

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

হড়পা বান কি

অতিমাত্রায় বৃষ্টির প্রভাবে পাহাড়ি এলাকায় হঠাৎ প্রবল জলের স্রোতের সঙ্গে পাথরের চাঁই নদীপথে সমতলের দিকে ধাবিত হয়। একেই হড়পা বান বলে।

হড়পা বান এক ধরনের দুর্বিপাক বা বিপর্যয়, যা আকস্মিকভাবে পরিবেশে উপস্থিত হয়। হড়পা বান হল স্বল্প এলাকা জুড়ে সংঘটিত দ্রুত গতির বন্যা। সাধারণ বন্যার (regular flood) সঙ্গে হড়পা বানের পার্থক্য কেবল সময়ের পরিসরে (time scale)। সাধারণ কন্যা যেখানে দীর্ঘ সময় জুড়ে বিরাজ করে, সেখানে হড়পা বানের স্থায়িত্ব খুবই কম এবং দ্রুত গতিতে ঘটে থাকে। স্বল্প স্থান জুড়ে মাত্রাতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে মাত্র 6 ঘণ্টার (Six hours between rainfall and the onset of flooding) মধ্যেই হড়পা যান উপস্থিত হয় ।

প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে হড়পা বানের স্থান বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সমগ্র পৃথিবীব্যাপী ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন এবং বিশ্ব-উন্নায়ন জনিত কারণে জলবায়ুর পরিবর্তনের জন্য হড়পা বানের উপস্থিতির সংখ্যাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ জলচক্রের (hydrological cycle) মধ্যেও অস্বাভাবিক পরিবর্তন হড়পাবানের ওপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে ।

হড়পা বান কাকে বলে

মার্কিন আবহাওয়া সংস্থা ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস অনুযায়ী, বৃষ্টিপাতের ফলে ৬ ঘণ্টারও কম সময়ে বন্যার সৃষ্টি হলে তাকে হড়পা বান বলে।

সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে অতধিক বৃষ্টি বা হিমবাহ সৃষ্ট হ্রদের জলে আচমকা বাঁধ ফেটে বন্যার সৃষ্টি হলে, তাকে হড়পা বান বা Flash Flood বলে।

মাঝে মাঝে পার্বত্য অঞ্চলে কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে হঠাৎ প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হলে তার থেকে যে আচমকা বন্যার সৃষ্টি হয় তাকে হড়পা বান বলে।

হড়পা বান হল একটি প্রকারের বন্যা যা অতিরিক্ত জল সৃষ্টি হলে ঘটে। উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে অতিধিক বৃষ্টি বা হিমবাহ সৃষ্টি হ্রদের জলে আচমকা বাঁধ ফেটে বন্যার সৃষ্টি হলে, তাকে হড়পা বান বা (Flash Flood) বলে।

হড়পা বান বলতে কী বোঝো

হড়কাবান, হড়পা বান হলো প্লাবনভূমি, নদী, শুষ্ক হ্রদ ও অবনমিত ভূমি ইত্যাদির মতো নিম্নাঞ্চলে ঘটা আকস্মিক বন্যা। এটি প্রচণ্ড বজ্রঝড়, হারিকেন, বা গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড়ের সাথে যুক্ত ভারী বৃষ্টি বা বরফের পাত বা তুষারক্ষেত্রের উপর দিয়ে প্রবাহিত বরফ বা তুষার থেকে গলিত পানির কারণে হতে পারে।

প্রাকৃতিক বরফ বা ভূমিধসের কারণে সৃষ্ট বাঁধ, অথবা মানবসৃষ্ট বাঁধের মতো অবকাঠামো ভেঙে যাওয়ার কারণেও হড়কাবান হতে পারে; যেমনটি ১৮৮৯ সালে জনসটাউন বন্যার সময় ঘটেছিলো। বৃষ্টিপাতের পর ছয় ঘন্টার কম সময়সীমার মধ্যে বন্যার সূত্রপাত হলে সেটিকে হড়কাবান, অন্যথায় সাধারণ বন্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

হড়কাবান প্রায়শই খরার পরে সম্প্রতি বৃষ্টিপাত হয়েছে এমন শুষ্ক অঞ্চলে ঘটে, তবে সেটি বৃষ্টিপতিত এলাকা থেকে নিচের দিকে, এমনকি উৎস থেকে অনেক মাইল দূরেও দেখা যেতে পারে। আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি হিমবাহ থাকলে অগ্ন্যুৎপাতের কারণে তীব্র তাপে বরফ গলার ফলেও সংলগ্ন এলাকায় হড়কাবান হতে পারে।

হারিকেন ও অন্যান্য ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের পর ব্যাপক বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বরফের বাঁধের আকস্মিক গলিত প্রভাবের কারণেও হড়কাবান হতে পারে। মানবীয় ক্রিয়াকলাপও হড়কাবানের কারণ হতে পারে। বাঁধ ভাঙার কারণে প্রচুর পরিমাণে পানি নির্গত হলে, যাত্রাপথের সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।

হড়পা বানের বৈশিষ্ট্যসমূহ

1. হড়পা বান ও উদকবিদ্যা | Flash flood and Hydrology

 হড়পা বানের সঙ্গে উদকবিদ্যা বা জলবিদ্যার (Hydrology) ঘনিষ্ট সম্পর্ক লক্ষ করা যায়। হড়পা বানের পদ্ধতির বিশ্লেষণ উদকবিদ্যায় অসম্ভব মাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণ। যে এলাকায় হড়পা বান সংঘটিত হয়, সেই এলাকার উদকগত পরিবেশ (hydrological behaviour) সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয় ।

2. উচ্চমাত্রায় সুতীব্র বৃষ্টিপাত | High-intensity rainfall)

হড়পা বানের সঙ্গে উচ্চমাত্রার সুতীব্র বৃষ্টিপাত গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। স্থানীয়ভাবে পরিচলন প্রক্রিয়ায় (mainly of convective origin that occur locally) সৃষ্ট ভারী বর্ষণ হড়পা বানকে ত্বরান্বিত করে। সাধারণ বন্যার সময়ে পৃষ্ঠপ্রবাহের (Surface runoff) যে গতিবেগ লক্ষ করা যায়, তার তুলনায় হড়পা বানের সময়ে সৃষ্ট পৃষ্ঠপ্রবাহের গতিবেগ কয়েক গুণ বেশি হয়। ধারণ অববাহিকায় মৃত্তিকার গুণাগুণ, শিলালক্ষণজনিত বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর হড়পা বানের ভয়াবহতা করে ।

3. স্থানিক ও সময় পরিসর | Specials and Temporal Scales

হড়পা বানের স্থানিক পরিসর অত্যন্ত কম। সময়ের পরিসরও স্বাভাবিক বন্যার তুলনায় অনেকটাই কম, অর্থাৎ হড়পা বানের স্থায়িত্ব একেবারেই কম। বান চলাকালীন জলপ্রবাহের গতিবেগ পরিমাপ করা বেশ দুরূহ কাজ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়না। ইউরোপে শেষ দু’দশকে (20 বছর) প্রায় 25টি হড়পা বান পর্যবেক্ষণ করে, মাত্র কয়েকটির ক্ষেত্রে সঠিকভাবে জলের গতিবেগ পরিমাপ করা সম্ভব হয়েছে |

4. দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া | Hazardous Weather

 হড়পা বানের সঙ্গে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ওতপ্রোতভাবে সম্পর্কযুক্ত। প্রবল বর্ষণ বা ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে বজ্রঝঞ্ঝাও যুক্ত থাকে। পার্বত্য অঞ্চলের বরফ-গলন ও প্রবল দমকা বাতাস সমগ্র আবহাওয়ার পরিস্থিতিকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে (National Weather Service, 2017 ।

হড়পা বানের কারণসমূহ, হড়পা বান কেন হয়

1. মেঘ বিস্ফোরণ | Cloud Burst

মেঘ বিস্ফোরণের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে অত্যধিক মাত্রায় বৃষ্টিপাত হলে হড়পা বানের উৎপত্তি হয়। বৃষ্টিপাতের তীব্রতার ওপর এই বানের ভয়াবহতা নির্ভরশীল। ঘণ্টায় 100 মিলিমিটার বা তারও বেশি বৃষ্টিপাত হলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি সক্রিয়তার প্রভাবে হিমালয় অঞ্চল ও পশ্চিমঘাট অঞ্চলে প্রবল মাত্রায় শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাতের মাধ্যমেও হড়পা বানের উপস্থিতি লক্ষণীয় হয়। সমভূমি অঞ্চলে সংঘটিত হলেও, তবে তা সংখ্যায় অনেক কম (Jain, et al. 2013) |

মৌসুমির দীর্ঘায়িত নিম্নচাপ বা মৌসুমি বায়ুর ট্রাফ (Monsoon trough) এবং মৌসুমি ডিপ্রেসন (Monsoon depres sion) মেঘ বিস্ফোরণের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করে থাকে। এর ফলে প্রবল বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয়। বৃষ্টির জল যখন অল্প স্থানের ওপর দিয়ে পৃষ্ঠ প্রবাহ বা উপপৃষ্ঠ প্রবাহ হিসাবে নিষ্কাশিত হয় (When the rainfalls in an area with limited surface and sub-surface drainage), তখনই হড়পা বানের আবির্ভাব ঘটে।

আবার যখন খাড়াই ঢাল বরাবর অতি সংকীর্ণ খাতের মধ্য দিয়ে এই জল প্রবাহিত হয় তখন বিধ্বংসীরূপে স্থানীয়ভাবে হড়পা বানের সৃষ্টি হয় (Shrestha, Sale & Karim, 2008)| 2013 খ্রিস্টাব্দে 16-17 জুন মাত্র 24 ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে 376 মিমি বৃষ্টিপাত হয় (দেরাদুনে রেকর্ড হয়। দেরাদুনে জুন মাসে যেখানে গড় বৃষ্টি 210 মিমি, সেখানে জুলাই ও আগস্ট মাসে ওই বছর 600 মিমির বেশি বৃষ্টিপাত হয়, যার পরিণতিতে উত্তরাখণ্ডে হড়পা বানের উৎপত্তি (Jain, et al., 2013) |

উদাহরণ : 2012 খ্রিস্টাব্দে উত্তরকাশী অঞ্চলে যে বিধ্বংসী হড়পা বানের আবির্ভাব ঘটে তা মূলত মেঘ বিস্ফোরণের মাধ্যমে অত্যধিক মাত্রায় বৃষ্টিপাতের জন্যই হয়ে থাকে। 2004 খ্রিস্টাব্দের 4 মে পাকিস্তানের চিট্রাল-এ (Chitral, Pakistan) বিকেল 5 টার সময় প্রায় 1 ঘণ্টা ধরে প্রবল বজ্রবৃষ্টি সংঘটিত হয় এবং প্রায় 30 মিনিট ধরে শিলাবৃষ্টি (hailstorm) চলতে থাকায় বিধ্বংসী হড়পা বানের উৎপত্তি হয় (ICIMOD, 2010)

2.মারাত্মক ভূমিধস | Severe Landslides

পার্বত্য অঞ্চলে অতিরিক্ত মাত্রায় বৃষ্টিপাতজনিত কারণে যে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়, তার কারণেও হড়পা বান হয়ে থাকে। তবে এই ক্ষেত্রে ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য ও ভূপ্রাকৃতিক অবস্থান হড়পা বানের ভয়াবহতাকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ধসজনিত অবস্করসমূহ যেমন নদীবক্ষে সঞ্চিত হয়ে এক ধরনের বাঁধ তৈরি করে হড়পা বানের পথ প্রসপ্ত করে, তেমনি ধসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে সম্পর্কযুক্ত হিমানী সম্প্রপাত, অবস্কর প্রবাহ, শিলা ও অবস্থার পতন হড়পা বালেতা প্রক্রিয়াকে সরাসরি প্রভাবিত করে থাকে। অতি উন্নত প্রযুক্তি ও উন্নত রিমোট সেন্সিং পদ্ধতিতে বর্তমানে বোঝা যায় পার্বত্য অঞ্চলের অকস্মাৎ ভূমিধস হড়পা বানের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে (Science Reporter, 2013) 

উদাহরণঃ 2004 খ্রিস্টাব্দে অলকানন্দা নদী অববাহিকায় মেঘ বিস্ফোরণের জন্য যে মারাত্মক ভূমিধস নামে, তার প্রভাবে

বিশাল মাপের হড়পা বান আবির্ভূত হয়। 2009 খ্রিস্টাব্দেও এই একই কারণে উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড় জেলাতে মারাত্মক হড়পা বানের সৃষ্টি হয় (Jain, et al., 2013)

3. তুমার ও বরফের গলন | Snow and Ice Melt

সামগ্রিকভাবে ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য পার্বত্য অঞ্চলে তুষার ও বরফের গলন লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া স্থানীয়ভাবেও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে ধারণ অববাহিকার মধ্যে একসঙ্গে অত্যধিক মাত্রায় জলপ্রবাহের সূচনা হয়। হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে সঙ্গে যদি মেঘ বিস্ফোরণজনিত বৃষ্টিপাত এবং সেই সঙ্গে তুষার বা বরফের গলন একসঙ্গে মিলিত হয়ে নদীর মধ্যে উপস্থিত হয়, তখন ওই পরিমাণ জল উপত্যকা ধারণ করতে পারেনা। তাই আকস্মিকভাবে হড়পা বানের মতো ভয়াবহ দুর্যোগের পরিবেশ গড়ে ওঠে।

উদাহরণঃ উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন স্থানে এই কারণেই অনেক ছোটো-বড়ো হড়পা বানের উৎপত্তি হয়।

4. বরফ জট বা বরফ জ্যাম | Ice Jam

সাম্প্রতিককালে বরফ জটজনিত কারণেও হড়পাবান উল্লেখ্যমাত্রায় উপস্থিত হয়। পার্বত্য অঞ্চলে ধারণ অববাহিকার মধ্যে ছোটো ছোটো অনেক নদীর জল প্রচণ্ড শীতলতায় বরফের রূপ ধারণ করে। তাই নদীর মধ্যে স্বাভাবিক জলপ্রবাহের গতি স্ত হয়। প্রবাহপথ অবরুদ্ধ হয় বরফজ্যাম দ্বারা। এমতাবস্থায় মেঘ বিস্ফোরণের মাধ্যমে প্রবল ভারী বৃষ্টিপাত সংঘটিত হলে ওই জল নদী দ্বারা নিষ্কাশিত হতে পারেনা। তাই এই পরিস্থিতিতে হড়পা বানের উৎপত্তি হয়। উদাহরণঃ উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ অঞ্চলে 2013 খ্রিস্টাব্দে ভারী তুষারপাতের (Heavy snowfall) কারণে জুন মাসে মারাত্মক হড়পা বানের সৃষ্টি হয় (Sati & Gahalaut, 2013)।

5. স্থিতিশীল অববাহিকার প্রকৃতি | Nature of Stable basin

পার্বত্য অঞ্চলে ধারণ অববাহিকার মধ্যে বেশ কিছু স্থিতিশীল পরিস্থিতি বা বিষয় বর্তমান, যেগুলির মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হলে হড়পা বানের উৎপত্তি হতে পারে। এই সব বিষয়ের মধ্যে ক্ষেত্রমান (area), ঢাল, আকৃতি, ভূমির ঢালের দিক (aspect) এবং উচ্চতা উল্লেখযোগ্য। অববাহিকার ক্ষেত্রমান হ্রাস, ঢাল বৃদ্ধি, আকৃতি যদি সংকীর্ণ (narrow) হয়, তাহলে অল্প সময়ের মধ্যে মেঘ বিস্ফোরণের মাধ্যমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের দ্বারা।

আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | হড়পা বান

Q1. হড়পা বান কোন জেলায় দেখা যায়

Ans – সমতলে বয়ে যাওয়া নদীর চেয়ে পার্বত্য হিমালয়, পশ্চিমঘাট পর্বতমালা-সহ সকল পার্বত্য অঞ্চলেই হড়পা বান আসার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। সাধারণত এই অঞ্চলগুলিতে একনাগাড়ে বৃষ্টি হলে তার ছয় ঘণ্টার মধ্যে হড়পা বান নেমে আসে।

Q2. হড়পা বান হয়েছে এমন চারটি জায়গার নাম

Ans – আকস্মিক বন্যার জন্য সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল এলাকাগুলি হল পাহাড়ী স্রোত এবং নদী, শহরাঞ্চল, নিচু এলাকা, নিচু ড্রেন এবং কালভার্ট।

Q3. হড়পা বান in English

Ans – হড়পা বানকে Flash Flood বলে।

Q4. পাহাড়ি নদীতে হড়পা বান হয় কেন

Ans – হড়পা বান একেবারে স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক একটা ঘটনা। পাহাড়ের মাথায় প্রবল বৃষ্টি হলে পাহাড়ের কোল বেয়ে হঠাত্‍ই বান নামে। মেঘভাঙা বৃষ্টি হলে ভয়াবহ হয় বানের সেই রূপ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মেঘভাঙা বৃষ্টির মতো চরম ঘটনাও বাড়ছে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।