দুই রাজ্য ও পাঁচ রাজ্যের শ্রেণীবিভাগের মধ্যে তুলনা আলোচনা কর?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Jiban Bigyan Jiber Srenibibhag | Model Activity Task Class 10 Part 6 Life Science | Question Answer

উপরিউক্ত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান, নিম্ন লিখিত সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আকারে বর্ণনা করা হলো। এই উত্তর গুলি বহুবিকল্প (MCQ), অতিসংক্ষিপ্ত (VSA), ছোট (SA) এবং বড় (LA), সকল প্রশ্নোর ক্ষেত্রে উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

দুই রাজ্য ও পাঁচ রাজ্যের শ্রেণীবিভাগের মধ্যে তুলনা আলোচনা কর?

জগৎ বা রাজ্য হচ্ছে জীববিদ্যার একটি বিশেষ শ্রেণীবিন্যাসবিদ্যার দ্বিতীয় বৃহত্তম ট্যাক্সনমিক ধাপ যা বর্গের উপরে ও পর্বের নিচে অবস্থান করে।

সভ্যতার শুরু থেকে এ পর্যন্ত জীবজগতকে শ্রেণিবিন্যাস করার জন্য বহু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুরুতে শ্রেণিবিন্যাসের ভিত্তি বিজ্ঞানসম্মত ছিল না। তখন শ্রেণিবিন্যাস ছিল মূলত আমাদের প্রয়োজন ভিত্তিক। যেমনঃ খাদ্য, আশ্রয় এবং পোষাকের জন্য। নিউটন সর্বপ্রথম কিছুটা বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তির উপর শ্রেণীবিন্যাস করার উদ্যোগ নেন। তিনি কিছু সাধারণ অঙ্গসংস্থানগত (morphological) বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে উদ্ভিদদের তিনটি বিভাগে ভাগ করেন – বৃক্ষ (trees), গুল্ম (shrubs) এবং লতা (herbs)। তিনি প্রাণীদের দুটি বিভাগে ভাগ করেন – লাল রক্তযুক্ত প্রাণী এবং লাল রক্তবিহীন প্রাণী।

ক্যরোলাস লিনিয়াসের সময়ে উদ্ভিদ জগৎ এবং প্রাণী জগৎ – এই দুই রাজ্যের শ্রেণিবিন্যাস গঠিত হয়। এই দুই রাজ্যের শ্রেণিবিন্যাস বিংশ শতক পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু, এই দুই রাজ্যের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি প্রোক্যারিওট এবং ইউক্যারিওটদের, এককোষী এবং বহুকোষীদের, সালোকসংশ্লেষকারী (সবুজ শৈবাল) এবং ক্লোরোফিলবিহীন পরভোজী (ছত্রাক) জীবদের পৃথক করেনি। জীবজগতকে উদ্ভিদ রাজ্যে এবং প্রাণী রাজ্যে শ্রেণিবিন্যাস খুব সরলভাবে করা হয়েছিল এবং বুঝতেও সহজ ছিল। কিন্তু, বিপুল সংখ্যক জীব উদ্ভিদ বা প্রাণী রাজ্যের একটার মধ্যেও পড়ছিল না। তাই, দীর্ঘকাল যাবৎ ব্যবহৃত হওয়া দুই রাজ্যের শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি অপর্যাপ্ত বলে পরিগণিত হল। জীব জগতকে পাঁচটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে ৷ যথাঃ

  • মনেরা
  • প্রোটিস্টা
  • ছত্রাক
  • প্লান্টি
  • অ্যানিম্যালিয়া

অবশ্যই প্লান্টি।জীবজগৎ কে যে পাঁচটি রাজ্যে বিভক্ত করা হয়েছে সেগুলো হলো ১।মনেরা ২। প্রোটিস্টা ৩। ফানজাই ৪। প্লান্টি ৫। অ্যানিমেলিয়া।এর মধ্যে ক্রমানুসারে একটা রাজ্য থেকে আরেকটা বেশি উন্নত।যেমন – মনেরা থেকে প্রোটিস্টা বেশি উন্নত। আবার প্রোটিস্টা থেকে ফানজাই বেশি উন্নত। আর মনেরা থেকে প্লান্টি হলে তো কথাই নেই। অবশ্যই প্লান্টি উন্নত।

দুই রাজ্য ও পাঁচ রাজ্যের শ্রেণীবিভাগের মধ্যে তুলনা আলোচনা কর?

দুই রাজ্য ব্যবস্থাপাঁচ রাজ্য ব্যবস্থা
এটি ক্যারোলাস লিনিয়াস দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল এটি 1969 সালেরবার্ট হুইটেকার দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল। 1751 সালে।
জীব দুটিতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়জীবগুলিকে পাঁচটি রাজ্যে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়
এটি পুষ্টি এবং গতিশীলতার উপর ভিত্তি করে।এটি পুষ্টি এবং গতিশীলতার উপর ভিত্তি করে।
এটি কোষের গঠন, শরীরের জটিলতা, পুষ্টির পদ্ধতি এবং বিবর্তনের উপর ভিত্তি করে।দেহের উপর ভিত্তি করে জীবের মতো জীবের অবস্থান আরও ভালভাবে স্থাপন করা হয়,
দুই রাজ্য ও পাঁচ রাজ্যের শ্রেণীবিভাগের মধ্যে তুলনা
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

নতুন সিলেবাস জীবনবিজ্ঞন 9 ও 10


বইটি ২য় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে। MCQs সম্পূর্ণভাবে অধ্যায়ের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় প্রতিটি অধ্যায়ের সিলেবাসের বিষয়বস্তু MCQs এর আগে উল্লেখ করা হয় সম্পূর্ণ সিলেবাস অনুসরণ করে প্রতিটি মক টেস্টে 55 নম্বর থাকে ভুল উত্তরের জন্য কোনো নেতিবাচক মার্কিং নেই।

প্রোটিস্টা রাজ্যের বৈশিষ্ট্য

বৈশিষ্ট্য এককোষী, আণুবীক্ষণিক প্রাণী। দ্বিবিভাজন বা বহুবিভাজন পদ্ধতিতে শুধু অযৌন জনন সম্পন্ন করে। সাধারণত এককোষী দেহে একটিমাত্র নিউক্লিয়াস থাকে।

প্রোটিস্টা হলো বিভিন্ন ধরনের সরল, ইউক্যারিওট, এককোষী, আণুবীক্ষণিক জীবের শ্রেণি, যাদের ছত্রাক, প্রাণী বা উদ্ভিদ কোনো বিভাগেই ফেলা যায় না। যেমন—অ্যামিবা, প্যারামেসিয়াম।

  • দ্বিবিভাজন বা বহুবিভাজন পদ্ধতিতে শুধু অযৌন জনন সম্পন্ন করে।
  • সাধারণত এককোষী দেহে একটিমাত্র নিউক্লিয়াস থাকে।
  • কোষে ক্রোমাটিন বস্তু নিউক্লিয়ার পর্দা দ্বারা পরিবৃত্ত থাকে।
  • শুধু অন্তঃকোষীয় পরিপাক পদ্ধতি দেখা যায়।
  • সংকোচনশীল গহ্বরের সাহায্যে দেহের অতিরিক্ত জল দেহের বাইরে মুক্ত করে অর্থাৎ দেহে জলের ভারসাম্য বজায় রাখে।

মনেরা ও প্লান্টি রাজ্যের পার্থক্য বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা, মনেরা ও প্লান্টি রাজ্যের পার্থক্য কোষ ও কোষ সংগঠনের প্রকৃতি, মনেরা ও প্লান্টি রাজ্যের পার্থক্য, মনেরা ও প্লান্টি রাজ্যের পার্থক্য লেখ বাংলা, মনেরা ও প্লান্টি পার্থক্য

মনেরা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলো ব্যাকটেরিয়া আর প্লান্টি রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত সকল ধরনের উন্নত সবুজ উদ্ভিদ। যেমন – আমগাছ বা বটগাছ ইত্যাদি। এভাবেও বোঝা যায় প্লান্টি রাজ্যটিই উন্নত।

বৈশিষ্টমোনেরাপ্লান্টি
কোষ ও কোষ সংগঠনের প্রকৃতিমোনেরা পর্বের প্রাণী সরল ,এককোষী ও প্রোক্যারিওটিক কোষ যুক্ত।প্লান্টি পর্বের প্রাণী বহুকোষী ক্লোরোফিল যুক্ত হয়। কোষ প্রোক্যারিওটিক কিংবা ইউক্যারিওটিক হতে পারে।
এই পর্বের প্রাণীদের কোষ প্রাচীর পেপটোগ্লাইক্যান দ্বারা নির্মিত।কোষপ্রাচীর সেলুলোজ নির্মিত।
এই পর্বের প্রাণীদের দেহে পর্দা বেষ্টিত কোষীয় অঙ্গানু থাকে না।কোষে পর্দা বেষ্টিত কোষীয় অঙ্গানু থাকে।
বাস্তুতান্ত্রিক ভুমিকাবাস্তুতন্ত্রে এই পর্বের প্রাণীরা বিয়োজকের ভূমিকা পালন করে।বাস্তুতন্ত্রে অধিকাংশ এই পর্বের জীব উৎপাদকের ভূমিকা পালন করে।

FAQ’s | দুই রাজ্য ও পাঁচ রাজ্যের শ্রেণিবিন্যাস

মনেরা ও প্লান্টি রাজ্যের পার্থক্য বাস্তুতান্ত্রিক ভূমিকা

মোনেরা রাজ্যের জীব বাস্তুতন্ত্রে এই পর্বের প্রাণীরা বিয়োজকের ভূমিকা পালন করে।
প্লান্টি রাজ্যের জীব বাস্তুতন্ত্রে অধিকাংশ এই পর্বের জীব উৎপাদকের ভূমিকা পালন করে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।