- এই জীবন কবিতা
- এই জীবন কবিতার বিষয়বস্তু, এই জীবন সারাংশ, এই জীবন কবিতার সারাংশ, এই জীবন কবিতার Summary, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সারাংশ, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় Summary, এই জীবন কবিতা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সারাংশ, এই জীবন কবিতার মূলভাব, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মূলভাব, এই জীবন কবিতার সারমর্ম, এই জীবন কবিতার ব্যাখ্যা
- এই জীবন কবিতার উৎস, এই জীবন কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের
- এই জীবন কবিতার MCQ, এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর MCQ
- এই জীবন কবিতার ছোট প্রশ্ন উত্তর
- এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Class 9, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর, এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯, এই জীবন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর
- এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf, এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ
এই জীবন কবিতা
এই জীবন – কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
বাঁচতে হবে বাঁচার মতন, বাঁচতে-বাঁচতে
এই জীবনটা গোটা একটা জীবন হয়ে
জীবন্ত হোক
আমি কিছুই ছাড়বো না, এই রোদ ও বৃষ্টি
আমাকে দাও ক্ষুধার অন্ন
শুধু যা নয় নিছক অন্ন
আমার চাই সব লাবণ্য
নইলে গোটা দুনিয়া খাবো!
আমাকে কেউ গ্রামে গঞ্জে ভিখারী করে
পালিয়ে যাবে?
আমায় কেউ নিলাম করবে সুতো কলে
কামারশালায়?
আমি কিছুই ছাড়বো না আর, এখন আমার
অন্য খেলা
পদ্মপাতায় ফড়িং যেমন আপনমনে খেলায় মাতে
গোটা জীবন
মানুষ সেজে আসা হলো,
মানুষ হয়েই ফিরে যাবো
বাঁচতে হবে বাঁচার মতন,বাঁচতে-বাঁচতে
এই জীবনটা গোটা একটা জীবন হয়ে
জীবন্ত হোক!
এই জীবন কবিতার বিষয়বস্তু, এই জীবন সারাংশ, এই জীবন কবিতার সারাংশ, এই জীবন কবিতার Summary, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সারাংশ, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় Summary, এই জীবন কবিতা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সারাংশ, এই জীবন কবিতার মূলভাব, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মূলভাব, এই জীবন কবিতার সারমর্ম, এই জীবন কবিতার ব্যাখ্যা
উত্তর: এই জীবন কবিতাটি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখা কাব্যগ্রন্থ দেখা হলো ভালোবাসা বেদনায় এর অংশ বিশেষ, এখানে তিনি জীবন সম্পর্কে এক নতুন ধারনার উল্লেখ করেছেন। জীবন বলতে আমরা কোনো ক্রমে বেঁচে থাকার কথা বুঝি, কিন্তু বাঁচা আর অস্তিত্ব এই দুয়ের মধ্যেকার পার্থক্য আমরা ভুলে যাই, আমাদের ভাবনা হয়
” এই বেশ ভালো আছি “
সত্যি কি ভাল আছি আমরা? এই প্রশ্ন আমাদের মনে আসে বার বার ,
কবি জীবনানন্দের ভাষায় :-
” আনন্দের অন্তর্গত রক্তের মধ্যেও জন্ম নেয় না কোনও বোধ। “
আর এখানেই কবি তার ভাবনার সক্রিয়তা দেখিয়েছেন, বোধহীন বাঁচার বিরুধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন, তার লেখনীর মাধ্যমে তিনি বলতে চেয়েছেন যে অস্তিত্বহিন বেঁচে থাকা অর্থহীন, বাঁচার মত বাঁচতে হবে, আর এই ভাবেই নিজের অস্তিত্ব কে জীবন্ত করে তুলতে হবে, কীট পতঙ্গের মত বাচার নাম জীবন নয়। বেঁচে থাকার জন্য প্রতিবাদ খুব জরুরি। তাই তহ কবি তার ভাষা তে প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন :
” আমাকে কেউ গ্রামে গঞ্জে ভিখারী করে
পালিয়ে যাবে?
আমায় কেউ নিলাম করবে সুতো কলে
কামারশালায়?
আমি কিছুই ছাড়বো না আর, এখন আমার
অন্য খেলা “
বাঁচার মতো বাঁচতে চান কবি, তাঁর কথায় আমাদের জীবনে অস্তিত্তের মধ্যে প্রতিবাদ খুব জরুরি শুধু মাত্র প্রতিবাদের মাধ্যমেই আমরা যে জীবিত তার প্রমান দেওয়া যায়, এই কবিতার মাধ্যমে কবি আমাদের প্রকৃত মানুষের মত বাঁচতে বলেছেন, আর এই ভাবেই জীবন কে জীবন্ত করে তোলার কথা বলেছেন, আর এতাই হল কবির মতে বাঁচার মত বাঁচা।
এই জীবন কবিতার উৎস, এই জীবন কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের
উত্তর: এই জীবন কবিতাটি “দেখা হলো ভালোবাসা বেদনায়” কাব্যগ্রন্থের ।
এই জীবন কবিতার MCQ, এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর MCQ
বাঁচতে হবে–
- বাঁচার মতন
- কোনরকমে
- যুদ্ধ করে।
সঠিক উত্তর: – বাঁচার মতো।
কবি কি ছাড়তে চান না
- রোদ বৃষ্টি
- ঝড় তুফান
- আলো ছায়া।
সঠিক উত্তর: – রোদ বৃষ্টি
গোটা জীবনটাকে – করতে চেয়েছেন
- কবি জীবন্ত
- মরার মত
- দুরন্ত
সঠিক উত্তর: – জীবন্ত।
লেখকের সব – চাই।
- সৌন্দর্য
- লাবণ্য
- লালিত্য
সঠিক উত্তর: – লাবণ্য।
সমস্ত লাবণ্য না পেলে কবি
- রেগে যাবেন
- গোটা দুনিয়া খাবেন
- ছিনিয়ে নেবেন
সঠিক উত্তর: – গোটা দুনিয়া খাবেন।
কবিকে কোথায় নিলাম করার কথা উঠেছে
- সুতো কলে
- চালকলে
- ডালকলে
সঠিক উত্তর: – সুতো কলে।
– সেজে আসা হলো
- পশু
- দানব
- মানুষ
সঠিক উত্তর: – মানুষ সেজে আসা হলো।
কবি চেয়েছেন
- বাসস্থান
- বস্ত্র
- ক্ষুধার অন্ন।
সঠিক উত্তর: – ক্ষুধার অন্ন।
পদ্ম পাতায় খেলা করে
- মৌমাছি
- ভ্রমর
- ফড়িং
সঠিক উত্তর: – ফড়িং।
কবি – হয়ে ফিরে যেতে চান
- মানুষ
- সাপ
- পশু
সঠিক উত্তর: – মানুষ হয়ে।
এই জীবন কবিতার ছোট প্রশ্ন উত্তর
কবি কি কি না ছাড়ার কথা বলেছেন?
উ: কবি রোদ ও বৃষ্টি না ছাড়ার কথা বলেছেন।
কবি কি কি দাবি করেছেন?
উ: খুবই দাবি করেছেন ক্ষুধার অন্ন আর সমস্ত লাবণ্য।
কাঙ্খিত বস্তু না পেলে কবি কি করবেন?
উ: কাঙ্খিত বস্তু না পেলে কবি গোটা দুনিয়া খেয়ে নেবেন।
কবি নিজেকে কোথায় নিলাম হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন?
উ: কবি নিজেকে সুতাকল ও কামারশালায় নিলাম হওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন।
ফড়িং কোথায় খেলা করে?
উ: ফড়িং পদ্ম পাতায় খেলা করে।
কবি এই পৃথিবীতে কি সেজে এসেছেন?
উ: মানুষ সেজে।
কবি কি বেশে ফিরে যেতে চান?
উ: মানবেশে।
কবিকে ভিখারী বানিয়ে কোথায় পালিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে?
উ: গ্রামেগঞ্জে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর Class 9, এই জীবন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর, এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর ক্লাস ৯, এই জীবন কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর
আমি কিছুই ছাড়বো না, এই রোদ ও বৃষ্টি / আমাকে দাও ক্ষুধার অন্ন / শুধু যা নয় নিছক অন্ন / আমার চাই সব লাবণ্য – এই উদ্ধৃতির মধ্যে দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন
উত্তর: এখানে এই শব্দগুলি ও তাদের সংজ্ঞায়নের মধ্য দিয়েই সাধারণত কবিরা জীবনের অনেক অনুভূতি-গুলিকে বোঝানোর চেষ্টা করে থাকেন।
এখানে গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলি হল রোদ, বৃষ্টি ও লাবণ্য। একটু বিস্তৃত করলে রোদ মানে সকালের মৃদু রোদ যেটা অল্পোষ্ণ থেকে ক্রমে যেটা দুঃসহ গরম হয়ে যায় । দীর্ঘকাল অত্যুষ্ণতা থাকলে খরাতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। বৃষ্টি রিমঝিম বৃষ্টি থেকে ভয়াবহ ঝড়ে পরিবর্তিত হয়ে যায় । অনেক সময় আমাদের জীবনে অনেক ভয়াবহ ধ্বংস নিয়ে আসে ।
লাবণ্য কথাটি লবণ থেকে এসেছে । আমার যখন কিছু ভাল রান্না করা কিছু খাই আর তাতে যদি নুন ( লবণ) না থাকে, তার স্বাদ ফিকা-ফিকা স্বাদহীন হয়ে যায় । একটি তরুণী সুন্দরী হতে পারে , কিন্ত তার মধ্যে বিনীত আচরণ ও শীলতা না থাকে , তাকে কেউই পছন্দ করবে না, কেননা তার মধ্যে কোন লাবণ্য নেই।
কবি বলেছেন ” আমি গোটা দুনিয়া খাব ” অর্থাৎ আমি উপরোক্ত সব কিছুর অনুভূতি নেব এবং উপভোগ করব এবং প্রয়োজন হলে কঠোর যাতনা কষ্ট সহ্য করব।অত্যন্ত সহজ সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন থেকে অনেক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হব। কবির এই মহাযাত্রায় কবি জানেন যে তিনি অনেক জায়গাতেই প্রতারিত হবেন , সর্বস্বান্ত হবেন (ভিখারী ইত্যাদি ) এবং এইজন্য মৃতপ্রায় হবেন।
কবি আরও বলেছেন যে ফড়িং যেমন পদ্মপাতায় বসে নিসর্গের শোভা উপভোগ করে, সেই রকম একটা ঘরছাড়া বালকের মত বে-ফিকির নিশ্চিন্ত হয়ে প্রকূতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করবেন।
এই সংঘর্ষময় বাঁচামরার মধ্যেই প্রকৃতির শোভাকে উপভোগরত অবস্থায় তিনি একজন অভিজ্ঞ অনুভূতিপূর্ণ ,জীবন্ত সম্পূর্ণতায় উপনীত হবেন।
বাঁচতে হবে বাঁচার মতো, বাঁঁচতে বাঁচতে/এই জীবনটা গোটা একটা জীবন হয়ে/জীবন্ত হোক” – এই উদ্ধৃতির মধ্যে দিয়ে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন
উত্তর: কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এই উক্তির মধ্যে দিয়ে এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে সমস্যা প্রতি দিন আসে আর প্রত্যেকের জীবনেই আসে আর আমরা সেই সমস্যা গুলোতে আটকে থাকি, যেন সময় থমকে গেছে। কবি এটা বোঝাতে চেয়েছেন যে আমরা প্রতি দিন যে নতুন জীবন পাই সেটাকে উপভোগ করা উচিত ঈশ্বর কে ধন্যবাদ জানানো উচিত। বর্তমানে থেকে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কে উপভোগ করা উচিত। এটাই প্রকৃত অর্থে বেচেঁ থাকা।
এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf, এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন অকুতোভয় ব্যক্তি যার খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরেই ছিল। তাঁর বিরল কাজের একটি অভূতপূর্ব সংকলন- সমন্বিত 5টি উপন্যাস, 25টি গল্প, 9টি স্মৃতিকথা, 2টি ছোট গল্প তাঁর কলম নীললোহিত, 17টি ভ্রমণকাহিনী, 1টি কবিতা, 20টি সমাজের উপর প্রবন্ধ, সাহিত্য খেলা- বিভিন্ন সংরক্ষণাগার থেকে খনন করা.
এই জীবন কবিতার প্রশ্ন উত্তর
কবি এই পৃথিবীতে কি সেজে এসেছেন?
উ: মানুষ সেজে।