সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

সপ্তম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর

আলোর প্রতিফলন এর সূত্র

  • প্রথম সূত্র: আপতিত রশ্মি,প্রতিসৃত রশ্মি এবং আপাতন বিন্দুতে বিভেদতলের উপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে অবস্থান করে।
  • দ্বিতীয় সূত্র: একজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং নির্দিষ্ট বর্ণের আলোক রশ্মির ক্ষেত্রে আপতন কোণের sine এবং প্রতিসরণ কোণের sine এর অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক।একে স্নেলের সূত্রও বলে।

আলোর প্রতিফলনের সূত্র ব্যাখ্যা

আলো কোনো স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোন মাধ্যমে বাধা পেলে দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমাণ আলোক রশ্মি আগের মাধ্যমে ফিরে আসে, এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে। অথবা আলোক উৎস থেকে আপতিত রশ্মি কোন তলে বা পৃষ্ঠে বাধা পেলে কিছু আলো পুনরায় আগের মাধ্যমে ফিরে আসে, এ ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে।

মনে করি, AO রশ্মি M1M2 দর্পণের O বিন্দুতে আপতিত হয়ে OC রশ্মিরূপে প্রতিফলিত হয়ছে। M1M2 দর্পণের O বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্ব ON হলে প্রথম সুত্রানুসারে AO, OC এবং ON একই সমতলে থাকে এবং দ্বিতীয় সূত্রানুসারে, আপতন কোণ = প্রতিফলন কোণ বা <AON = <CON । অর্থাৎ, i = r

কোনো আলোক রশ্মি সমতল দর্পণে লম্বভাবে আপতিত হলে ঐ রশ্মির আপতন কোণ শূন্য হয়। ফলে ঐ রশ্মির প্রতিফলন কোণও শূন্য হয়। অর্থাৎ, প্রতিফলিত আলোকরশ্মি একই লম্বরেখা বরাবর প্রথম মাধ্যমে ফিরে যায়।

আলোর বিক্ষেপণ কাকে বলে, আলোর বিক্ষেপন কাকে বলে

বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় অনু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সূর্যালোক শোষণ করে এবং শোষিত আলোকশক্তিকে চতুর্দিকে বিস্তার ঘটায় , এই পদ্ধতিতে আলোর চারিদিকে বিস্তৃত হওয়াকেই আলোর বিক্ষেপন বলে।

কোন কণিকার ওপর আলো পড়লে সেই কণিকা আলোকে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়, যাকে আলোর বিক্ষেপণ বলে। যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত কম, সেই আলোর বিক্ষেপণ তত বেশি হয়। আলোর বিক্ষেপণ এর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের চতুর্ঘাতের ব্যস্তানুপাতিক। নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, তাই আকাশে এই আলোর বিক্ষেপণ বেশি হয় এবং আকাশ নীল দেখায়।

আলোর প্রধান ধর্ম কয়টি

বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত বিভিন্ন গ্যাসীয় অনু অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট সূর্যালোক শোষণ করে এবং শোষিত আলোকশক্তিকে চতুর্দিকে বিস্তার ঘটায় , এই পদ্ধতিতে আলোর চারিদিকে বিস্তৃত হওয়াকেই আলোর বিক্ষেপন বলে।

আলোর বিচ্ছুরণ কাকে বলে, আলোর বিচ্ছুরণ বলতে কী বোঝো

প্রিজম বা প্রিজমের মত কোন স্বচ্ছ মাধ্যম দিয়ে যৌগিক বর্ণের আলো (সাদা আলো) প্রতিসরণের ফলে তা বিশিষ্ট হয়ে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন বর্ণের আলোর পটিতে বিভক্ত হয়ে যায়। একে বলা হয় আলোর বিচ্ছুরণ।

আলোর বিচ্ছুরণ এর কারণ কি

সাদা আলো বা যৌগিক আলো হলো বিভিন্ন পৃথক পৃথক বর্ণের সমাহার (বেগুনি, নীল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল)।

এই প্রতিটি বর্ণের প্রতিসরাঙ্ক আলাদা হওয়ায় এগুলি মাধ্যমের মধ্যে দিয়ে আলাদা আলাদা গতিবেগ নিয়ে চলে। তাই প্রিজম বা ওরকম কোন স্বচ্ছ মাধ্যম দ্বারা প্রতিসরণের পর আলাদা আলাদা বর্ণের আলাদা আলাদা চ্যুতি ঘটে। একারণেই বিচ্ছুরণ ঘটে।

আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ দাও

প্রিজমের মধ্যে দিয়ে যৌগিক আলোর সাতটি মৌলিক বর্ণের আলোয় বিচ্ছুরিত হওয়ার ঘটনাকে বলা হয় কৃত্রিম বিচ্ছুরণ। রামধনু বা রংধনু হল আলোর বিচ্ছুরণের একটি প্রাকৃতিক উদাহরণ।

কোন মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না

সাদা কিংবা কোনো বহুবর্ণী রশ্মিগুচ্ছের বিভিন্ন বর্ণে বিভাজিত হওয়ার ঘটনাকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে । স্যার আইজ্যাক নিউটন আলোর বিচ্ছুরণ আবিষ্কার করেন । তিনি দেখতে পান যে, সূর্য রশ্মি (সাদা আলো) কাচের প্রিজমের ভিতর দিয়ে গেলে সাতটি বিভিন্ন বর্ণের রশ্মিতে বিভক্ত হয়ে পড়ে ।

শূন্য মাধ্যমে সব বর্ণের আলো সমান বেগে চলার ফলে আলোকরশ্মির কোনো প্রকার চ্যুতি ঘটে না । তাই শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না ।

স্নেলের সূত্রের সাহায্যে আলোর বিচ্ছুরণ

স্নেলের সূত্র অনুসারে ( sin i ) / (sin r) =  μ
বা, sin i =  μ sin r যেখানে  μ একটি ধনাত্মক রাশি।
এখন আপাতন কোন i = 0° হলে,  μ. sin r = 0
বা, sin r = 0 (যেহেতু  μ ≠ 0)
অতএব, r = 0
অর্থাৎ, কোন মাধ্যম থেকে আগত আলোকরশ্মি দ্বিতীয় কোন মাধ্যমের তলের উপর লম্বভাবে আপতিত হলে ওই রশ্মি সোজাসুজিভাবে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রতিসৃত হবে।

আলোর শোষণ কাকে বলে

সাধারণত দর্পণ এর ক্ষেত্রে আলো প্রতিফলিত হয় অর্থাৎ সেখানে আলো আপতিত হওয়ার পর আলোর বিকিরন হয়, তাছাড়া লেন্স সহ অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে সামান্য কিছু আলোর বিকিরণ ব্যতিত আলো প্রতিসরণ হয় অর্থাৎ আলো ভেদ করে চলে যায়।

কিন্ত কৃষ্ণ বস্তুর ক্ষেত্রে আলোর কোন অংশই বিকিরণ বা প্রতিসরণ না হয়ে সম্পূর্ণ অংশই কৃষ্ণ বস্তুর অভ্যন্তরে শোষিত হয়ে যায়, একেই বলে আলোর শোষণ বলে। আর এই ঘটনা সর্বপ্রথম স্টিফেন হকিংস প্রত্যাক্ষ করেন এবং পরবর্তিতে এই থিওরিকে হকিং থিওরি বলে আখ্যায়ীত করা হয়। 

বিভিন্ন মাধ্যমে আলোর বেগ ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায়, বিভিন্ন মাধ্যমে আলোর বেগ ভিন্ন ভিন্ন হওয়ার মাধ্যমগুলোর

আলোকরশ্মি বিভেদ তলের যে বিন্দুতে আপতিত হয়ে দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করে সে বিন্দুকে আপতন বিন্দু বলে। আপতন বিন্দুতে বিভেদ তলের উপর অঙ্কিত লম্বকে অভিলম্ব বলে। আলোকরশ্মি আলোর সাপেক্ষে হালকা মাধ্যম (বায়ু) থেকে আলোর সাপেক্ষে ঘন মাধ্যম (পানি) এ প্রবেশ করলে অভিলম্বের দিকে সরে যায়, আবার ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশ করলে অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়।

আলোর বেগ পরিমাপ করেন কে

আলোর বেগ পরিমাপ করেন ড্যানিশ জোতির্বিজ্ঞানী Ole Roemer ১৬৭৬ সালে।

কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম, কোন বর্ণের আলোর চ্যুতি সবচেয়ে কম, কোন রংয়ের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ছোট

কোনো তরঙ্গের পরপর দুটি, একই দশা সম্পন্ন কণার মধ্যকার দূরত্বকে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বলা হয়।

বেগুনি আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে কম।

কোন আলোর বিক্ষেপণ সবচেয়ে বেশি, কোন আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি, কোন আলোর সংবেদনশীলতা বেশি, কোন আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি, কোন বর্ণের আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি

কাচের মধ্যে লাল বর্ণের আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি। দৃশ্যমান আলোকরশ্মির মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি ।

আলোর প্রতিসরণের কারণ কোনটি

আলোক রশ্মি যখন এক মাধ্যম থেকে অন্য আরেকটি স্বচ্ছ মাধ্যমের উপর তীর্যকভাবে আপতিত হয়, তখন দুই মাধ্যমের বিভেদ তলে ওই রশ্মির অভিমুখের পরিবর্তন হয়। দ্বিতীয় মাধ্যমে আলোর রশ্মির এই রকম দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

আলোর প্রতিসরনের কারন হল আলোর গতিবেগ। যখন আলো ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে কিম্বা লঘু থেকে ঘন মাধ্যমে যায়, তখন দুই মাধ্যমের আলোর গতিবেগ আলাদা হয়।

আলোর প্রতিসরণ ব্যাখ্যা করতে পারবে

আলোর প্রতিসরণ বোঝার জন্য প্রতিসরণাঙ্ক বলে একটা রাশি ব্যবহার করা হয়। আমরা জানি, শূন্য স্থানে আলোর বেগ 2.99×1082.99×108 m/s, এবং এটি যখন কোনো মাধ্যমের ভেতর দিয়ে যায় তখন এই বেগটি কমে যায়। একটি মাধ্যমে আলোর বেগ কত গুণ কমে যায় সেটাই হচ্ছে এই মাধ্যমটার প্রতিসরণাঙ্ক।

অর্থাৎ শূন্য স্থানে আলোর বেগ পানিতে আলোর বেগ থেকে 1.33 গুণ বেশি। 

ফাইবার অপটিক ক্যাবলের কাচের তন্তুর প্রতিসরণাঙ্ক 1.5, কাজেই ফাইবারের ভেতর দিয়ে আলোর বেগ 

ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে আলোর প্রতিসরণাঙ্ক

শূন্য মাধ্যম             1.00
ৰাতাস         1.00029
পানি            1.33
সাধারণ কাচ           1.52
হীরা            2.42

প্রতিসরণাঙ্ক একটি সংখ্যা এবং এর কোনো একক নেই। যেহেতু আলোর সর্বোচ্চ বেগ, কাজেই η এর মান সবসময়ই 1 থেকে বেশি। টেবিলে কিছু পদার্থের প্রতিসরণাঙ্ক দেওয়া হয়েছে। শূন্য মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই η এর মান হবে 1, বাতাসের প্রতিসরণাঙ্ক 1.00029, এটি 1 এর এত কাছাকাছি যে আমরা এটাকে 1 ধরেই হিসাব করব। 

এখানে উল্লেখ্য, কোনো মাধ্যমের প্রতিসরণাঙ্ক বলতে হলে সেটি কোন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আলোতে মাপা হয়েছে সেটি বলে দিতে হয়। কারণ আলোর প্রতিসরণাঙ্ক আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে।

কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক আলোর বেগের উপর কিভাবে নির্ভর করে

কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক আলোর বেগের উপর নিম্নলিখিত উপায় নির্ভরশীল হয়ে থাকে –

  • গাণিতিকভাবে পর্যালোচনা করলে কোন মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক হলো একটি অনুপাত এবং এই অনুপাতের উপাদানগুলি হলো শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ, সেই মাধ্যমে আলোর বেগ।
  • এখন শূন্য মাধ্যমে, আলোর বেগ কমবেশী সবক্ষেত্রেই সমান হয়ে থাকে কেবল কোন প্রদত্ত মাধ্যমে আলোর বেগের বিভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়।
  • যেহেতু, প্রদত্ত মাধ্যমে আলোর বেগ অনুপাতের নীচের অংশে থাকে, সেই কারণে প্রদত্ত মাধ্যমের প্রতিসরাঙ্ক সেই মাধ্যমের মধ্যে আলোর গতিবেগের ব্যাস্তানুপাতিক হয়ে থাকে।

যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন, যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না, যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটা হল, যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হল,
যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হলো, যেক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন, যেক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না, যেক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হলো

যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হল আয়না।

আলোর বেগ কত, শূন্য মাধ্যমে আলোর গতিবেগ কত

শুন্য মাধ্যমে আলোর বেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার।SI এককের সংজ্ঞা অনুসারে আলোর দ্রুতি প্রতি সেকেন্ডে ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ মিটার ।

শূন্য মাধ্যমে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না কেন, শূন্যস্থানে আলোর বিচ্ছুরণ হয় না কেন

শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ সেকেন্ডে 2.99 লক্ষ কিলোমিটার। আমাদের দৈনন্দিন জীবণে আমরা সেকেন্ডে 3 লক্ষ কিলোমিটার বেগ ধরে নেই। এতে তেমন কোনো সমস্যা হয় না। যাই হোক,আমরা এক্ষেত্রে ধরে নেই, আলোর বেগ সেকেন্ডে 3 লক্ষ কিলোমিটার। শূন্য মাধ্যমেই আলোর বেগ সবচেয়ে বেশি। আলোক রশ্মি শূন্য মাধ্যম থেকে কোনো মাধ্যমে প্রবেশ করলে আলোর বেগ কমে যায়। শূন্য মাধ্যম থেকে সেই মাধ্যমে আলোর বেগ যতগুণ কমে যায় সেটার পরিমাণই হচ্ছে শূন্য মাধ্যমের সাপেক্ষে সেই মাধ্যমের প্রতিসরণাঙ্ক।

ধরি, শূন্য মাধ্যম= a, অপর একটি মাধ্যম= b ।

তাহলে উপরের শর্তানুযায়ী,

aηb= ca/ cb

অর্থাৎ, ηb/ηa = ca/ cb

আমাদের জানামতে, শূন্য মাধ্যমের ( a মাধ্যমের) প্রতিসরণাঙ্ক 1

∴ ηb= ca/ cb

এই সুত্র ব্যবহার করে কোনো মাধ্যমের প্রতিসরণাঙ্ক নির্ণয় করা যায়।

সালোকসংশ্লেষণে আলোর ভূমিকা, সালোকসংশ্লেষণে সূর্যের আলোর রাসায়নিক শক্তিতে পরিণত করার কর্মদক্ষতা

প্রকৃতপক্ষে, যে কোনও ক্ষেত্রেই, গাছপালা সমস্ত আগত সূর্যালোক ব্যবহার করে না (শ্বসন, প্রতিফলন, আলোক বাধা এবং আলোক স্যাচুরেশনের কারণে) এবং সমস্ত সংগ্রহ করা শক্তিকে বায়োমাসে রূপান্তরিত করে না, যা 3%-6 %  এর সাধারণ সালোকসংশ্লেষণ দক্ষতা নিয়ে আসে। % মোট সৌর বিকিরণ উপর ভিত্তি করে।

মানুষের দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কত

দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিসর ৩৮০-৭৬০ ন্যানোমিটার। দৃশ্যমান আলো বলতে আমরা বুঝি বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল।

  • বেগুনী আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৩৮০-৪৫০ ন্যানোমিটার
  • নীল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪৫১-৪৭৫ ন্যানোমিটার
  • আসমানী আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪৭৬-৪৯৫ ন্যানোমিটার
  • সবুজ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪৯৬-৫৭০ ন্যানোমিটার
  • হলুদ আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৫৭১-৫৯০ ন্যানোমিটার
  • কমলা আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৫৯১-৬২০ ন্যানোমিটার
  • লাল আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৬২১-৭৬০ ন্যানোমিটার
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ভূতবিজ্ঞান হে পরীবেশ পরীচ্যা ক্লাস 9

মধ্য শিক্ষা পরিষদ বা ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (ডব্লিউবিবিএসই) দ্বারা নির্ধারিত শারীরিক বিজ্ঞান এবং পরিবেশের ক্লাস নাইন সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে সান্ত্রা পাবলিকেশনের পাঠ্যপুস্তক সিরিজের খাঁটি বাংলা সংস্করণ পাঠ্যপুস্তক।.

FAQ’s | আলোর প্রতিসরণ সৃজনশীল প্রশ্ন

Q1. আলোর গতি ও বেতার তরঙ্গের গতি

Ans – আলোর গতি ও বেতার তরঙ্গের গতি সমান

Q2. আলোর বেগ পরিমাপ করেন কে

Ans – ১৬৭৫ সালে কোপেন হেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওলফ রোমার প্যারিসে কাজ করার সময় বৃহস্পতি গ্রহের একটি উপগ্রহের গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে সর্বপ্রথম আলোর বেগ নির্ণয় করেন।

Q3. যেক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হলো

Ans – যেক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হলো আয়না।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।