চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

চর্যাপদ, চর্যাপদ কাকে বলে, চর্যাপদ কাক বোলে, চর্যাপদ মানে কি, চর্যাপদ কী

উত্তর: চর্যাপদের মূল নাম চর্যাচর্যবিনিশ্চয়। চর্য অর্থ আচরণীয় অচর্য অর্থ অআচরণীয় বিনিশ্চয় অর্থ নির্ণয়। এটা হাজার বছর আগের বোদ্ধাদের রচিত গান ও কবিতা মালা।যাতে সমাজের বাস্তবচিত্র ফুটে উঠেছে

চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম সাহিত্যিক নিদর্শন। খ্রিষ্টিয় দশম শতকে বৌদ্ধ সাধকদের রচিত সন্ধ্যা ভাষায় লেখা এই বইটিতে মোট ৫১টি পদ ছিল তবে বর্তমানে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগারে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী যে মূল পুঁথিটি পেয়েছিলেন তাতে কেবল সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে।

বাংলা ভাষায় রচিত প্রাচীন যুগে প্রাচীনতম গ্রন্থটির নাম চর্যাপদ। গ্রন্থটির মূলনাম অজ্ঞাত তবে চর্যার টীকাকার মুনিদত্তের টিকা বা ভাষ্যরচনা থেকে পাওয়া অনুমিত শিরোনাম যথাক্রমে ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’ ও ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’। 

আসল নাম যাই হোক, বাংলায় তা ‘চর্যাপদ’ কিম্বা ‘চর্যাগীতি’-এই দুটি নামেই প্রচলিত। অধ্যাপক মণীন্দ্রমোহন বসু, রচিত ‘চর্যাপদ’ ও ড. সুকুমার সেন-রচিত ‘চর্যাগীতি’ এর প্রমাণ।

চর্যাপদের বিষয়বস্তু

প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের প্রধান বিষয় ছিল ধর্ম। চর্যাপদ বৌদ্ধ সহজিয়া সাধন সংগীত। বাস্তব জীবনের জরামরণ ও পুনর্জন্মের বিষচক্র পার হয়ে নির্বাণ লাভই বৌদ্ধ ধর্মের মূলমন্ত্র। তবে সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে পদকর্তা নানারকম গুঢ় তান্ত্রিক আচার আচরণের উল্লেখ করেছে, যা অবলম্বন করলেই সাধক অতি সহজেই নির্বাণে পৌঁছে যেতে পারেন। বৌদ্ধ সাধক বা সিদ্ধাচার্যগণ “কায়াসাধনা” বা সহজিয়া সাধন পদ্ধতির সেই সমস্ত গভীর গূঢ় তত্ত্বকথা ও সাধন প্রণালী সাংকেতিক ভাষার সাহায্যে কবিতায় প্রকাশ করতেন। সেই সমস্ত পদই বাংলা সাহিত্যে চর্যাপদ নামে পরিচিত। অর্থাৎ বৌদ্ধ ধর্ম তত্ত্ব দর্শন ও সহজিয়া সাধন প্রণালীই চর্যাপদ এর মুখ্য বিষয়। তবে তত্ত্ব কথাই প্রধান বিষয় হলেও কবিগণ অল্পবিস্তর প্রতিভার ও পরিচয় দিয়েছেন। ভাষা, ছন্দ,রূপ নির্মিতিতে অসাধারণ এই পদগুলিতে নানা বিচিত্র রূপক, প্রতীক ও চিত্রকল্পের সাহায্যে বৌদ্ধধর্ম, দর্শন তত্ত্ব ও সাধন প্রণালী আভাসিত হয়েছে। সর্বোপরি চর্যাপদে তৎকালীন সাধারণ বাঙালির প্রতিদিনের ধূলিমলিন জীবনচিত্র, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার টুকরো টুকরো রেখাচিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে।

চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন, চর্যাপদ কে কত সালে আবিষ্কার করে, চর্যাপদের পুঁথি কে আবিষ্কার করেন, চর্যাপদ কে কত সালে কোথা থেকে আবিষ্কার করেন, চর্যাপদ এর পুথি কে আবিষ্কার করেন, কে কবে কোথা থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন, চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন কত সালে, চর্যাপদের পুঁথি টি আবিষ্কার করেন, কে কবে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন, চর্যাপদ কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়, চর্যাপদের প্রাপ্তিস্থান, চর্যাপদের আবিষ্কার সাল, চর্যাপদ কত সালে আবিষ্কৃত হয়, চর্যাপদ কে আবিষ্কার, চর্যাপদের প্রাপ্তিস্থান কোথায়, চর্যাপদ কোথায় পাওয়া যায়, চর্যাপদের পান্ডুলিপি কোথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, চর্যাপদের মূল আবিষ্কারক কে, চর্যাপদ কোথায় আবিষ্কৃত হয়

উত্তর: ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (ভট্টাচার্য) চর্যাপদের পুঁথির সন্ধান পান। তবে ”চর্যাগীতি কোষ’, কৃষ্ণাচার্যের ‘দোহাকোষ’, সরহবজ্রের ‘দোহাকোষ’ ও ‘ডাকার্ণব’ পুঁথিকে একত্র করে ১৯১৬ সালে হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় ‘বৌদ্ধগান ও দোহা’ এই শিরোনামে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ’ কলকাতা থেকে প্রকাশ করেন।

মূলত ১৮৮২ সালে রাজা রাজেন্দ্র লাল মিত্র Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে চর্যাপদের অস্তিত্বের কথা বলেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আর সেই সূত্র ধরে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ আবিষ্কারে উদ্দীপ্ত হন। ১৮৯৭ সালে বৌদ্ধ লোকাচার সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি প্রথমবার নেপাল ভ্রমণ করেন। ১৮৯৮ সালের তার দ্বিতীয়বার নেপাল ভ্রমণের সময় তিনি কিছু বৌদ্ধ ধর্মীয় পুঁথিপত্র সংগ্রহ করেন।

চর্যাপদের অপর নাম কি

উত্তর: চর্যাপদের অপর নাম চর্য্যাচর্য্যাবিনিশ্চয় বা চর্যাগীতি। চর্যাপদ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। প্রথম প্রকাশের সময় এর নাম ছিল “হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা।” চর্যাপদে মোট ৫১টি পদ রয়েছে।

সবচেয়ে বেশি চর্যাপদ পাওয়া গেছে কোন কবির

উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদ এর সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন কাহ্নপা । তার পদের সংখ্যা ১৩ টি । লুইপা ২ টি ,ভুদুকুপা ৮ টি ,শবরপা ২ টি পদ রচনা করেন ।

প্রায় কত বছর আগে চর্যাপদ রচিত হয়েছিল

উত্তর: চর্যার রচনার সময়কাল নিয়েও ইতিহাস গবেষকদের মধ্যে মতবিরোধ আছে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও প্রবোধচন্দ্র বাগচীর মতে চর্যার পদগুলি খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত। কিন্তু ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও রাহুল সাংকৃত্যায়ন এই সময়কালকে আরও ২০০ বছর পিছিয়ে দিয়ে চর্যার রচনাকাল খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী বলে মতপ্রকাশ করেছেন।

চর্যাপদের আদি কবি কে, চর্যাপদের আদি নাম কি

উত্তর: চর্যাপদ এর রচয়িতা হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বলেছেন চর্যাপদের আদি কবি লুইপা।

ব্স্তান – ‘গ্যুর গ্রন্থে লুই পাকে শ্রীভগবদ অভিসময়, বজ্রসত্ত্ব সাধনা, তত্ত্বস্বভাব দোহাকোষ গীতিকা দৃষ্টি নাম, শ্রীচক্রসম্বর অভিসময় টীকা এবং বুদ্ধদয়া গ্রন্থের রচয়িতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি অতীশ দীপঙ্করের সাথে অভিসময় বিভঙ্গ রচনা করেছিলেন। চর্যাপদের প্রথম এবং ঊনত্রিশতম পদ লুই পার রচনা।

চর্যাপদের বাঙালি কবি কে

উত্তর: চর্যাপদের কবি ভুসুকুপা নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন। চর্যাগীতি রচনার সংখ্যাধিক্যে দ্বিতীয় স্থানের অধিকারী হলেন ভুসুকুপা।

তার রচিত পদের সংখ্যা হলো – ৮ টি।

চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত হয়, চর্যাপদ রচিত হয় কোন ভাষায়, চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত, চর্যাপদ রচিত হয়েছে কোন ভাষায়, চর্যাপদ কোন ভাষায় লেখা, চর্যাপদ কোন ভাষায় রচিত হয়েছে বলে জানা যায়

উত্তর: চর্যাপদের ভাষা বাংলা কি-না সে বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল পরবর্তীকালে যার অবসান হয়েছে। এটি সৃজ্যমান বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। চর্যাপদের রচয়িতা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ সংস্কৃতে পারদর্শী হলেও তাঁরা তৎকালীন অপরিণত বাংলাতেই পদগুলি রচনা করেছিলেন। চর্যাপদের ভাষা বাংলা ভাষার অদ্যাবধি আবিষ্কৃত আদিতম রূপ। এই ভাষা সম্প্রদায় বিশেষের সাধন-সঙ্গীতের ভাষা বিধায় অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য; যদিও এতে উল্লিখিত ছন্দ ও রাগ-রাগিনী পরবর্তীকালের বাঙালি কবিদের পথনির্দেশিকারূপে কাজ করে। তবে প্রাচীন কবিদের মতে এটিতে সন্ধ্যা বা আলোআঁধারি ভাষা ব্যবহার করা হয় সেইসাথে গদ্য ছন্দ ব্যবহৃত হয় ।

চর্যাপদের ভাষাকে সন্ধ্যা ভাষা বলা হয় কেন, চর্যাপদের সন্ধ্যাভাষা, চর্যাপদের ভাষাকে সন্ধ্যা ভাষা, চর্যাপদের ভাষাকে সন্ধ্যা ভাষা বলা হয় কেন

উত্তর: চর্যা শব্দের অর্থ জীবন ধারণের পদ্ধতি। পদ শব্দের অর্থ চরণ বা পা। তাহলে, জীবন ধারণের পদ্ধতি যে কবিতার চরণে লেখা, তারই নাম চর্যাপদ বাংলাভাষার চর্চাপদ।

চর্চাপদ বা চর্যাপদ বাংলাভাষার প্রাচীনতম পদসংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। এই ভাষা নব্য ভারতীয় সংস্কৃত ভাষার চাইতেও প্রাচীন। খ্রীস্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে লিপিবদ্ধ করা হয়। এই গীতি পদাবলীর রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।

1907 সালে ইংরেজ শাসনাধীনে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপালের রাজার পাঠাগার থেকে এই পুঁথি আবিষ্কার করেন। এই চর্যাপদের জন্য 23 জন পদকার 47 টি পদ পেয়েছেন।

এই চর্যাপদের ভাষা অবিমিশ্রিত বাংলাভাষার নয়। এই চর্যাপদে আসাম, বিহার ও উড়িষ্যার ভাষার প্রভাব রয়েছে। তবে, ‘বঙ্গাল দেশ’, ‘পঁউয়া খাল’ অর্থাৎ পদ্মানদী, ‘বাঙ্গালি ভইলি’ ইত্যাদির উল্লেখ থাকায় অন্যান্য রাজ্য দাবী করলেও এটি বাংলাভাষার, এটিই অগ্রগণ্য।

চর্যাপদকে সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ রহস্যময় বা হেঁয়ালির ভাষায় লিখেছেন। তাতে সাধারণের কাছে সহজবোধ্য নয়, তাই চর্যাপদ হল সন্ধ্যাভাষা। অর্থাৎ, যে ভাষা:

  • (1) রহস্যময় ও জটিল এবং হেঁয়ালিতে পূর্ণ।
  • (2) যা বোধগম্য হতে বিলম্ব বা দেরী হয়, এবং
  • (3) যার সম্যক ধারণা জন্মাতে ধ্যানের বা সাধনার ন্রয়োজন হয়; তাই হল সন্ধ্যা ভাষা। তাই চর্যাপদ হল সন্ধ্যাভাষা।

চর্যাপদ কোন যুগে রচিত, চর্যাপদ কত সালে রচিত হয়, চর্যাপদ কোন যুগের কাব্য

উত্তর: চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম পদ সংকলন তথা সাহিত্য নিদর্শন। নব্য ভারতীয় আর্যভাষারও প্রাচীনতর রচনা এটি।খ্রিষ্টীয় অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ।

বৌদ্ধ ধর্মের গূঢ় অর্থ সাংকেতিক রূপের আশ্রয়ে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই তাঁরা পদগুলো রচনা করেছিলেন। বাংলা সাধন সংগীত শাখাটির সূত্রপাতও হয়েছিলো এই চর্যাপদ থেকেই। সে বিবেচনায় এটি একটি ধর্মগ্রন্থজাতীয় রচনা।

একই সঙ্গে সমকালীন বাংলার সামাজিক ও প্রাকৃতিক চিত্রাবলি এই পদগুলোতে উজ্জ্বল। এর সাহিত্যগুণ এখনও চিত্তাকর্ষক। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুঁথি উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের সঙ্গে বাংলা ভাষার অনস্বীকার্য যোগসূত্র বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ প্রতিষ্ঠিত করেন। চর্যাপদের প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ।

নব চর্যাপদ কাকে বলে, নতুন চর্যাপদ কে আবিষ্কার করেন

উত্তর: নতুন চর্যাপদে সংকলিত মূলত বজ্রযানী দেবদেবীর আরাধনার গীত। এসব পদে তান্ত্রিক নানা দেবদেবীর রূপসৌন্দর্য, মুখ ও বাহুর বর্ণনা, তাঁদের আসন, মুদ্রা ও দেহভঙ্গি, তাঁদের আভরণ ও আয়ুধ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য ও বর্ণনা আছে। 2017 সালে বাংলা একাডেমী বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয়।

চর্যাপদ আবিষ্কারের ইতিহাস

  • ১৯০৭ নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ পুঁথিটি আবিষ্কার করেন, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়।
  • ১৯২০ রাহুল সাংকৃত্যায়ন এ বছর থেকে পরবর্তী এক দশকে কয়েকবার তিব্বত সফর করে সেখান থেকে ২০টি চর্যাগীতি সংগ্রহ করতে সমর্থ হন। ১৯৫৪ সালে সেগুলো এলাহাবাদ থেকে প্রকাশিত হয়।
  • ১৯৩৮ প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি ভাষায় চর্যাপদ আবিষ্কার করেন এবং তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জার্নালে প্রকাশ করেন।
  • ১৯৬৩ শশীভূষণ দাশগুপ্ত এ বছর নেপাল ও তরাই অঞ্চল থেকে ২৫০টি পদ আবিষ্কার ও সংগ্রহ করেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে চর্যাপদগুলো ১৯৮৮ সালে অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়।
  • ১৯৭৭ নীলরতন সেন নেপালের রাজদরবার থেকে মূল নিদর্শনের আলোকচিত্র ধারণ করেন, যার সচিত্র সংস্করণ চর্যাগীতিকোষ নামে সিমলা থেকে প্রকাশিত হয়।
  • ২০১৮ সালে সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ নতুন চর্যাপদ নামে ৩৩৫টি পদের একটি সংগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকা থেকে।

কোন রাজবংশের আমলে চর্যাপদ রচনা শুরু হয়

উত্তর: চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ । বাংলার পাল বংশের রাজারা ছিলেন বৌদ্ধ । আর তাই তাদের আমলেই চর্যাগীতিকাগুলোর বিকাশ ঘটে।

চর্যাপদের প্রকাশনা সংস্থার নাম

উত্তর: কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায়। নতুন চর্যাপদ 2017 সালে বাংলা একাডেমী বইমেলায় বইটি প্রকাশিত হয়।

চর্যাপদ কে সম্পাদনা করেন

উত্তর: বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ কর্তৃক প্রকাশিত চর্যাপদ সম্পাদনা করেন শ্রী হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (৬ ডিসেম্বর, ১৮৫৩ – ১৭ নভেম্বর, ১৯৩১) ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি ভারততত্ত্ববিদ, সংস্কৃত বিশারদ, সংরক্ষণবিদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা। তার আসল নাম ছিল হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য।

তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন চর্যাপদের আবিষ্কর্তা। তিনি সন্ধ্যাকর নন্দী রচিত রামচরিতম্ বা রামচরিতমানস পুঁথির সংগ্রাহক।

চর্যাপদ কি অসমীয়া, চর্যাপদ অসমীয়া, চর্যাপদ অসমীয়া প্রকৃতি জগত

উত্তর: লুইপা কামরূপের বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি দুটি চর্যা রচনা করেছিলেন। আরেকজন কবি সরহপা বর্তমান গুয়াহাটির কাছাকাছি রাণী নামে একটি জায়গার অধিবাসী ছিলেন বলে শোনা যায়। অসমীয়াদের সাথে কিছু ঘনিষ্ঠতা হল

না বোধক শব্দ – অসমীয়াতে না বোধক শব্দ ক্রিয়াপদের আগে চলে আসে: না যাই (২, ৫, ২০, ২৯ নং); না জীবামী (৪ নং); না ছদা, না জানি, না ডিসা (৬ নং)। ১৫ নং চর্যায় এরকম ৯টি রূপ রয়েছে।

বর্তমান কৃদন্ত (প্রেসেন্ট পারটিসিপল) – বৈষ্ণব যুগে অসমীয় ভাষায় -ante প্রত্যয় ব্যবহৃত হত যেমন – jvante (বেঁচে থাকার সময়, ২২ নং); sunante (শোনার সময়, ৩০ নং) ইত্যাদি।

অসমাপিকা ক্রিয়া – -i এবং -iya প্রত্যয় যথাক্রমে আধুনিক ও পুরাতন অসমীয়াতে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, চর্যাপদেও তা লক্ষ্য করা যায়: kari (৩, ৩৮ নং); cumbi (৪ নং); maria (১১ নং); laia (২৮ নং) ইত্যাদি।

সাধারণ বর্তমান ক্রিয়া রূপ – অসমীয়া ভাষায় প্রত্যয় -ai দেখা যায়, তা চর্যাপদেও পাওয়া যায় – bhanai (১); tarai (৫); pivai (৬)।

ভবিষ্যত – প্রত্যয় -iva অসমীয় ভাষার মত চর্যাপদেও দেখা যায়: haiba (৫); kariba (৭)।

নাম বিভক্তি – অসমীয়া ভাষার নাম বিভক্তি -e (এ) কেস শেষ হবে ই : কুম্ভিরে খা, কোর নীলা (২)।

তৃতীয়া বিভক্তি – অসমীয় ভাষার বিভক্তি -e এবং -era চর্যাপদেও দেখা যায়: uju bate gela (১৫); kuthare chijaa (৪৫)।

চর্যাপদগুলির শব্দভাণ্ডারে কিছু অ-তৎসম শব্দ পাওয়া যায় যেগুলো এখন অসমীয় শব্দভাণ্ডারের অন্তর্গত, যেমন dala (১), thira kari (৩, ৩৮), tai (৪), uju (১৫), caka (১৪) ইত্যাদি।

চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ কে করেন, চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদক কে, চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ কে করেন, চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ কে আবিষ্কার করেন

উত্তর: চর্যার অর্থ জানা যায় মুনিদত্তের ‘নির্মল গিরাটীকা’ থেকে। এই টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র বা চন্দ্রকীর্তি। টীকাটি আবিষ্কার করেন প্রবোধচন্দ্র বাগচী।

চর্যাপদের প্রবাদ বাক্য

উত্তর: চর্যাপদে প্রবাদ বাক্য রয়েছে ৬ টি।এগুলো হল-

  • আপণা মাংসে হরিণা বৈরী
  • দুহিল দুধু কি বেন্টে সামায়
  • হাতের কাঙ্কণ মা লোউ দাপন
  • হাড়ীত ভাত নাহি নিতি আবেশী
  • বর সুন গোহালী কি মো দুঠ্য বলংদেঁ
  • আন চাহন্তে আন বিনধা

চর্যাপদের ভাষা বৈশিষ্ট্য

উত্তর: চর্যাপদের ভাষা বাংলা কি-না সে বিষয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল পরবর্তীকালে যার অবসান হয়েছে। এটি সৃজ্যমান বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। চর্যাপদের রচয়িতা বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ সংস্কৃতে পারদর্শী হলেও তাঁরা তৎকালীন অপরিণত বাংলাতেই পদগুলি রচনা করেছিলেন। চর্যাপদের ভাষা বাংলা ভাষার অদ্যাবধি আবিষ্কৃত আদিতম রূপ। এই ভাষা সম্প্রদায় বিশেষের সাধন-সঙ্গীতের ভাষা বিধায় অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য; যদিও এতে উল্লিখিত ছন্দ ও রাগ-রাগিনী পরবর্তীকালের বাঙালি কবিদের পথনির্দেশিকারূপে কাজ করে। তবে প্রাচীন কবিদের মতে এটিতে সন্ধ্যা বা আলোআঁধারি ভাষা ব্যবহার করা হয় সেইসাথে গদ্য ছন্দ ব্যবহৃত হয় ।

চর্যা পদসংগ্রহ প্রকাশিত হবার পর চর্যার ভাষা নিয়ে যেমন প্রচুর গবেষণা হয়েছে, তেমনি ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের বিদ্বজ্জনেরা এই ভাষার উপর নিজ নিজ মাতৃভাষার অধিকার দাবি করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। চর্যার পদগুলো বিভিন্ন অঞ্চলের কবিদের দ্বারা লিখিত, এবং এটা স্বাভাবিক যে তাদের লেখায় তাদের নিজেদের অঞ্চলের ভাষারূপ বা উপভাষার প্রভাবই পাওয়া যাবে। বিভিন্ন পণ্ডিত চর্যাপদের ভাষার সাথে অসমীয়া, ওড়িয়া, বাংলা ও মৈথিলী ভাষার সাদৃশ্য লক্ষ্য করেছেন। সমসাময়িক ঝাড়খণ্ডী ভাষা গবেষকগণ মনে করেন, চর্যাপদের নিকটতম ভাষা হলো কুুড়মালি ভাষা

নতুন চর্যাপদ সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ

উত্তর: নতুন চর্যাপদে সংকলিত চর্যাগুলো কালিক পরিবর্তনের চিহ্ন সংবলিত। এসব চর্যাপদ নিয়ে নিত্যনতুন গবেষণার নতুন নতুন দিগন্ত আমাদের সামনে উন্মোচিত। চর্যাপদগুলোর প্রতিটির রচনাকাল নির্ণয়, অজ্ঞাত রচয়িতার পরিচয় উদ্ঘাটন, চর্যার ভাষার বিবর্তন নিয়ে যেমন গবেষণা হতে পারে, তেমনি বৌদ্ধধর্মের তন্ত্রযান, বজ্রযান ও বৌদ্ধ দেবদেবী নিয়েও গবেষণা নতুন মাত্রা পাবে বলে ধারণা করা চলে।

ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ প্রায় আট বছর ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে সচেষ্ট ছিলেন নতুন চর্যাপদ সংগ্রহ, সেগুলোর পাঠ ও পাঠান্তর নির্ণয় এবং সম্পাদনা ও চর্যাপদ-সংক্রান্ত সমস্তকাজ পর্যালোচনায়। তাঁরই অসামান্য ফসল নতুন চর্যাপদ নামের এই মহাগ্রন্থ। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ওরিজিন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব বেঙ্গলি ল্যাংগুয়েজ প্রণয়নে এবং মুহম্মদ শহীদুলস্নাহ বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান সম্পাদনায় যে-ধরনের নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন ড. শাহেদের নতুন চর্যাপদ সেগুলোর সঙ্গে তুলনীয়। আশা করি, ড. শাহেদ তাঁদের মতোই স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এ-অসাধারণ কাজের জন্য। চর্যাপদ সংগ্রহ, সংকলন, সম্পাদনা ও গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞানগর্ভ ও শ্রমঘন এ-কাজ যে মাইলফলক হয়ে থাকবে তাতে সন্দেহ নেই।

চর্যাপদের টীকাকারের নাম কি, চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকারের নাম কী, চর্যাপদ এর সংস্কৃত টীকাকারের নাম কি, চর্যাপদের টীকাকারের নাম, চর্যাপদের টিকাকার কে, চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকারের নাম কি, চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকার কে, চর্যাপদের সংস্কৃত টীকাকারের নাম কী

উত্তর: চর্যাপদের টীকাকারের নাম হলো ‘মুনিদত্ত’। উল্লেখ্য, ‘প্রবোধচন্দ্র বাগচী’ হলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম পণ্ডিত, সাহিত্য গবেষক এবং ‘শিক্ষাবিদ’। আর হরপ্রসাদ শাস্ত্রী হলেন চর্যাপদের আবিষ্কারক।

চর্যাপদের আদি কবি কে, চর্যাপদের আদি কবি কে

উত্তর: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নিদর্শন হল চর্যাপদ। চর্যাপদে 23, মতান্তরে 24 জন কবি ছিলেন। চর্যাপদের প্রথম পদটি লুইপা রচনা করেন। সেই হিসেবে তাকেই চর্যাপদের আদি কবি বলা হয়। তবে চর্যাপদের কবিদের মধ্যে সর্বাধিক পদ রচনা করেন কাহ্ননপা। তিনি মোট 13 টি পদ রচনা করেন। উল্লেখ্য ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের প্রাচীনতম কবি হলেন শবরপা।

মুনিদত্তের মতে চর্যাপদের নাম, মুনিদত্ত চর্যাপদ কোন ভাষায় ব্যাখ্যা করেন

উত্তর: মুনিদত্তের মতে চর্যাপদের নাম আশ্চর্যচর্যাচয়, মুনিদত্ত চর্যাপদের টীকা লিখেছিলেন সংস্কৃত ভাষায়।

চর্যাপদের ছন্দ, চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত, চর্যাপদ কোন ছন্দে লেখা

উত্তর: চর্যাপদের ভাষা মূলত প্রাচীন বাংলা। এর পদগুলাে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভব নয়। কার ও মতে, চর্যাপদ চার মাত্রার চালভিত্তিক ষোল মাত্রার পাদাকুলক ছন্দ, কারও মতে, পজঝটিকা ছন্দ, কারও মতে, অপভ্রংশ – অবহটঠ রচনায় ব্যবহৃত ছন্দের অনুকরণ। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদের পদগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা। মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও মাত্রাবৃত্তের বর্তমান সুনির্দিষ্ট গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।

চর্যাপদের পদকর্তা সংখ্যা কত, চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা কত, চর্যাপদের পদকর্তা কতজন, চর্যাপদে মোট কতটি পদ পাওয়া গেছে, চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা কত

উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মোট ৪৬টি পূর্ণাঙ্গ ও একটি খণ্ডিত পদ পেয়েছিলেন। পুঁথিটির মধ্যে কয়েকটি পাতা ছেঁড়া ছিল। প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার যে তিব্বতি অনুবাদ সংগ্রহ করেন তাতে আরও চারটি পদের অনুবাদসহ ওই খণ্ডপদটির অনুবাদও পাওয়া যায়। মূল পুঁথির পদের সংখ্যা ছিল ৫১। মূল তিব্বতি অনুবাদের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মূল পুঁথির নাম চর্যাগীতিকোষ এবং এতে ১০০টি পদ ছিল।

চর্যাপদ যে বাংলা ভাষায় রচিত এটি প্রথম কে প্রমাণ করেন, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত এটি প্রথম কে প্রমাণ করেন

উত্তর: ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তার গবেষণাগ্রন্থ ′Origin and Development of the Bengali Language′ – এর মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে চর্যাপদের ভাষা বাংলা।

চর্যাপদের ইংরেজি অনুবাদক কে, চর্যাপদ ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কে

উত্তর: চর্যাপদের ইংরেজি অনুবাদ Mystic poetry of Bangladesh (হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ)

চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ কবি বলা হয় কাকে

উত্তর: চর্যাপদের শ্রেষ্ঠ কবি শবরপা

চর্যাপদের নারী কবি কে, চর্যাপদের মহিলা কবি কে, চর্যাপদের প্রথম মহিলা কবির নাম কি

উত্তর: কুক্কুরীপা চর্যাপদের একজন কবি ছিলেন। তিনি খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে চর্যাপদ রচনা করেন। ‍তিনি তিব্বতের কাছাকাছি কোন এক অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। অনেকে কুক্কুরীপাকে চর্যাপদের একজন মহিলা কবি হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন।

চর্যাপদ কিসের সংকলন, চর্যাপদ মূলত কিসের সংকলন

উত্তর: চর্যাপদ মূলত প্রাচীনতম পদের সংকলন। সাংকেতিক পদ্ধতিতে বৌদ্ধ সিদ্ধার্যগণ চর্যাপদের গীতিপদাবলি রচনা করেছিলেন। চর্যাপদ একটি গীতি সংকলন। এতে মোট ২৩ জন কবির মোট সাড়ে ছেচল্লিশটি পদ পাওয়া গেছে।

চর্যাপদ টিকা, টিকা চর্যাপদ

উত্তর: পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে নেপাল রাজদরবারে পুঁথির সন্ধানে গিয়ে সেখানকার গ্রন্থাগার হতে অন্যান্য সমধর্মী পুঁথির সাথে ‘চর্যাপদ’র পুঁথি আবিষ্কার করেন।

১৩২৩ বঙ্গাব্দে অর্থাৎ ১৯১৬ সালে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে “হাজার বছরের পুরনো বাংলা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা” এই নামে সুসম্পাদিত করে প্রকাশ করেন।

এই চর্যাপদের পুঁথিতে মোট পঞ্চাশটি পদ ছিল যার মধ্যে মোট সাড়ে ছেচল্লিশ টি পদ পাওয়া গেছে, পরে এর তিব্বতি অনুবাদে বাকি সাড়ে তিনটির হদিশ মিলেছে। প্রত্যেক পদের শেষে পদকর্তর নাম দেওয়া আছে। পদকর্তদের মধ্যে লুইপাদ, ভুসুকুপাদ, কাহ্নপাদ প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এদের নামগুলি সবই ছদ্মনাম, এনারা সহজিয়া বৌদ্ধধর্মের সাধক ছিলেন।

এর ভাষাতত্ত্ব আলোচনা করে সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, মহম্মদ শহীদুল্লাহ এর মত পণ্ডিতেরা মনে করেন এর রচনাকাল দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে হওয়াই সম্ভব। ভাষা থেকেও বোঝা যায় যে দশম শতাব্দীর দিকে বা তার সামান্য পূর্বে, যখন মাগধী ভাষার খোলস ছেড়ে বাংলা ভাষা সবেমাত্র ভূমিষ্ঠ হয়েছিল তখন, সেই সদ্যোজাত ভাষায় সাধকগণ পদগুলি রচনা করেছিলেন।

এতক্ষণ অনেক গৌরচন্দ্রিকা করল চর্যাপদের ইতিহাস নিয়ে। এবার আসা যাক মূল প্রশ্নের উত্তরে।

এই চর্যার ভাষা বাংলা হলেও সহজিয়া সাধকগণ একটি দুর্বোধ্য রহস্যময় ভাষায় এই পদগুলি রচনা করেছিলেন। এর অনেক পদ এর অর্থ আপাতদৃষ্টিতে একরকম হলেও এগুলোর গুঢ় অর্থ ও আছে। অনেকটা হেঁয়ালি যেন। তাই এই হেঁয়ালি ভাষার নাম সন্ধ্যা ভাষা – যার অর্থ, যে ভাষা রহস্যময় এবং যা বুঝতে বিলম্ব হয় অথবা, যার অর্থ সম্যক্ ধ্যানের দ্বারা বুঝতে হয়, তা সন্ধ্যাভাষা।

অন্য সম্প্রদায়ের যাঁরা সহজিয়া সাধকদের প্রতি সুপ্রসন্ন ছিলেন না তাঁদের রক্তচক্ষু থেকে এই গুঢ় ধর্মাচার আড়াল করে রাখার জন্য সহজিয়া সাধকগণ এইরকম ” সন্ধ্যাভাষা”র ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন।

এই পদগুলোতে শুধু যে নিজেদের সাধনভজনের তত্তকথা আছে তাই না, এর মাধ্যমে তৎকালীন সাধারণ বাঙালির প্রতিদিনের ধুলিমলিন জীবনচিত্র ও ফুটে উঠেছে।

একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।

“টালত ঘর মোর নাহি পরিবেষী।

হাঁড়িত ভাত নাহি নিতি আবেশী।।”

আপাত দৃষ্টিতে এর অর্থ ” পাহাড়ের টিলায় আমার ঘর কোনো প্রতিবেশী নেই। হাঁড়িতে ভাত নেই, কিন্তু নিত্যই অতিথি আসে”

অর্থাৎ এখানে কোনো এক দরিদ্র গৃহস্থের সংসারের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এটি প্রতীকী। আর এই প্রতীকের মাধ্যমে তত্ত্বকথা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

টিলার উপরে আমার ঘর, কোনো প্রতিবেশী নেই – অর্থাৎ চেতনার শীর্ষদেশে উঠেছি, এখন আমার চারদিকের মায়ার জগৎ আর নেই, সংসার চেতনা ও বিনাশ পেয়েছে।

এভাবে পদগুলোতে সন্ধ্যাভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে সাধকগণ তাদের সাধনকথা ফুটিয়ে তুলেছেন।

আর এভাবেই ভাষাতত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, দার্শনিকতা এবং আদি বাংলার সাহিত্যের সার্থক দৃষ্টান্ত হিসেবে “চর্যাচর্য বিনিশ্চয়” বা চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে।

চর্যাপদে প্রতিফলিত বাংলার ব্রাত্য জীবন কথার পরিচয় দাও, চর্যাপদের সমাজচিত্র

উত্তর: সাহিত্য যদি জীবন ও সমাজের দর্পণ হয়ে থাকে তাহলে ‘চর্যাপদ’ যে সেই জীবন ও সমাজের বাস্তব চিত্রের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করবে তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। তবে চর্যাপদের উদ্দেশ্য একটি বিশেষ ধর্মীয় আচরণ সম্বন্ধে ইঙ্গিত দেওয়া হলেও, সেই ইঙ্গিত প্রসঙ্গে সিদ্ধাচার্যরা লৌকিক জীবনের যে ছবি এঁকেছেন তা জীবন রসিক কাব্য পাঠক এবং ঐতিহাসিকের কাছে মহামূল্যবান চিত্তাকর্ষক সামগ্রী। যে জীবনের কথা এবং ছবি চর্যাপদের বিভিন্ন কবিতায় বিবৃত তাতে বিলাস বাসনাসক্ত, ভোগকামী, ঐশ্বর্যদাম্ভিক রাজা-উজীরের কথা নেই, আছে সেকালের ছোট বড় সাধারণ লোকের প্রতিদিনের জীবনযাত্রার ও দৈনন্দিন আচরণের সরল সুন্দর সহজ স্বচ্ছ বর্ণনা। সেখানে না আছে কোনও বিশেষ ধরনের সাহিত্যিক রীতি মেনে চলার প্রবণতা, না আছে কোনও আয়াস এই কষ্টকল্পনাহীন, আয়াসহীন, সাবলীল বর্ণনা অন্যত্র খুঁজে পাওয়া রীতিমত কঠিন। এই বর্ণনায় সেকালের সাধারণ লোকের জীবন ও জীবিকা, শ্রম ও বিশ্রাম, কাজ ও আনন্দ, পূজো-আর্চা ক্রিয়া কর্ম, গৃহস্থের পারিবারিক জীবন, বস্ত্র অলঙ্কার, দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত খাদ্য ও বাসন পত্র, অপরাধ ও বিচার পদ্ধতি, সঙ্গীত ও সঙ্গীতের উপকরণ—ইত্যাদি বহু বিষয়ের শিল্প সম্মত বিবরণ আমরা পেয়ে থাকি।

প্রথমেই সাধারণ লোকের জীবন জীবিকার কথা ধরা যেতে পারে। বেশিরভাগ চর্যাগীতিতেই ডোম-ডোমনী, শবর-শবরী, নিষাদ ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে। আর্থিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে এদের বিপর্যস্ত, অবহেলিত অবস্থা বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। মনে হয় রাজশক্তির বিরূপতায় অভাজন এইসব অস্তেবাসীদের সামাজিক অর্থনৈতিক মর্যাদা বলতে কিছুই ছিল না। এরা যে অস্পৃশ্য ছিল, উচ্চ বর্ণের ছোঁয়া বাঁচিয়ে দূরে এদের বাসস্থান নির্দিষ্ট ছিল তার ইঙ্গিত বিভিন্ন চর্যায় প্রকটিত। যেমন নগর বাহির ডোম্বি তোহোরি কুড়িআ (১০), উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসহি সবরি বালী (২৮), টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী (৩৩) ইত্যাদি চর্যা এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু উচ্চবর্ণের ‘নাগরিকেরা’ মাঝে মাঝে গোপনে এই সব অন্ত্যজ রমণীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতেন। কিন্তু তার জন্যে সমাজে কোনও শাস্তির ব্যবস্থা ছিল বলে মনে হয় না বরং মাঝে মাঝে দেখা যায়, যৌবনের উন্মত্ত আবেগে সেই নাগরিক উচ্চারণ করতো ‘আলো ডোম্বি তোত্র সম করিবে ম সাঙ্গ’ (৩) অর্থাৎ ডোম্বি তোকে আমি সাঙ্গা করবো। মধুরাতে মুগ্ধ হৃদয়ে দেহকে স্বর্গ মানার এমন চাটুবাণীতে অশিক্ষিত পটু নারীর কোন বিশ্বাস নেই। স্বভাবতই নীরবতা এ আর্তির একমাত্র উত্তর। এরপর তাই শোনা যায় পুরুষের সদম্ভ উচ্চারণঃ ‘মারমি ডোম্বি লোম পরাণ’-(১০)।

কিন্তু অন্তহীন দারিদ্রের মধ্যে দিন কাটাতে হয় এই অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষদের। এদের জাতিগত বৃত্তি বলতে তাঁত বোনা, চাঙারী তৈরি করা, নৌকা বাওয়া। অনেক সময় হাঁড়িতে ভাত থাকে না, তবু বাড়িতে নিত্য অতিথি সমাগম—’হাড়ীত ভাত নাঁহি নিতি আবেসী— কিন্তু সংসার দিন দিন বেড়েই চলেছে। কপালের এমন ফের দোয়া দুধ যেন বাঁটেই ফিরে যাচ্ছে-(৩৩)। বিত্তবৈভবের কোনও চিহ্ন নেই, সাজ পোষাকের মধ্যে ময়ূর পুচ্ছের পরিধান, গলায় গুঞ্জা ফুলের মালা (২৮)। জীবনযাত্রার উপাদান হিসাবে যে সমস্ত বস্তুর পরিচয় মেলে তা নিতান্তই সাধারণ, হাঁড়ি, পিঠা, ঘড়া, গাড়ু ইত্যাদি। অলঙ্কার হিসাবে সোনা রূপার ব্যবহার এরা করতো বলে মনে হয় না—’সোনা ত রূঅ মোর কিম্পি ন থাকি। উনিঅ পরিবারে মহা নেহে থাকিউ’ (৪৯)। আর বিত্ত বৈভব বা ‘আসবে কোথা থেকে? জীবিকার মধ্যে তো— তাঁত বোনা, ঝুড়ি বানানো, তুলো ধোনা, নৌকা বওয়া কখনো বা মাছ ধরা, তাছাড়া যদিও বা কখনো মদ চোয়ানো, (৩) কিংবা নটবৃত্তি (১০) করে জীবন ধারণ করতে হত তবুও এ সমস্ত তো সামাজিক সম্মানের ক্ষেত্রে অনুকূল ছিল বলে মনে সমীচীন নয়।

সাধারণ আর পাঁচটা মানুষের মতো সন্তান পরিবার নিয়ে সুখে বেঁচে থাকার কামনা এদের মধ্যে প্রবল থাকলেও সত্যকার সুখ এদের কপালে জুটতো কিনা সন্দেহ জাগে। সুখতো দূরের কথা, শান্তিও দূর অন্ত। ছোটোখাটো চুরি ডাকাতি নিত্য লেগেই থাকতো— ‘কানেট চৌরি নিল অধরাতি’ (২), এর থেকে রেহাই পেতে তালা-চাবির ব্যবহার থাকলেও নিস্তার ছিল না। শেষ পর্যন্ত থানা কাছারি বা কোটালের শরণাপন্ন হতে হতো। কিন্তু হাঁক পেড়ে যখন ডাকাতি হতো, যখন নির্দয় লুঠেরা এসে দেশ লুটতো, এমনকি ঘরের বৌকেও ধরে নিয়ে যেত, তখন বাঁচা ও মরা সমান। পরম দুঃখে এই সমস্ত নির্যাতিতেরা উচ্চারণ করতো—‘আপনে নাহি মো কাহেরি সঙ্কা। তা মহা মুদেরি টুটি গেলি কংখা।”(৩৭) অথবা আমার ঘরের গৃহিণী চতুষ্কোটি ভাণ্ডার সব লুটে নিয়েছে, আমার বাঁচায় মরায় কি পার্থক্য! — “জীবস্তে মঅলেঁ নাহি বিশেষণ।” (৪৯) এছাড়া ২০ সংখ্যক পদে এক হতভাগ্য অশিক্ষিত গ্রাম্য নারীর মর্মান্তিক দুঃখের কথা এইভাবে বর্ণিত হয়েছে—‘বাসনার পুঁটুলি আমার নাড়ি ছেঁড়া ধন এই প্রথম প্রসব, মাগো, আঁতুড় কোথায় পাই ? ভাতার আমার বিবাগী, বাপ ও কবে মরে গেছে, আমার নিরাশার শেষ কোথায়! যা চাই তাই কি পাওয়া যায়! এ নব যৌবন আমার ব্যর্থ! (২০)”

জীবন যতই যন্ত্রণাদায়ক হোক, বেঁচে থাকা যত কঠিনই হোক, তবু তো সহজে মৃত্যু নয়। তাই অন্তহীন দুঃখের মধ্যেও মানুষ সুখের চিন্তা করে। মনে মনে কল্পনা করে সুখী জীবনের ছবি। ২৮সংখ্যক পদে তেমনি একটি সুখী দাম্পত্য প্রেমের ছবি ফুটে উঠেছে—“নানা তরুবর মুকুলিত— আকাশ ছোঁয়া তাদের ডাল। শবর ত্রিধাতুর খাট পেতে মহাসুখে শয্যা বিছিয়েছে। কর্পূর বাসিত পান খেয়ে নৈরামনি শবরীর কণ্ঠাশ্লিষ্ট হয়ে প্রেমে রাত পোয়ালো। ৫০ সংখ্যক পদে পাই—বৃক্ষান্তরালে উঁচু টিলায় শান্তিপূর্ণ ঘর। কণ্ঠাশ্লিষ্ট প্রেমময়ী গৃহিণী ; ধান পেকেছে, অন্নের অভাব এবার মিটবে। সুখের জন্য আর কি চাই? তবে পরিবারে কেবলমাত্র স্বামী-স্ত্রীই মুখ্য নয়, সেখানে থাকতো শাশুড়ী, ননদী, শালী সবাই। এছাড়া বাদ্য যোগে বিবাহযাত্রা, যৌতুক প্রথা, নারীদের বাসরজাগা, সবই ছিল। ছিল অবসর বিনোদনের জন্য দাবাখেলা (১২), বীণা বাদন (১৭), নারী পুরুষের মিলিত নাচ (১০-১৭), অভিনয়, বারুণী সেবন ইত্যাদি। যদিও এসবের স্পষ্ট বর্ণনা তেমন কোথাও নেই তবুও দুঃখ দারিদ্র পীড়িত সাধারণ মানুষের মধ্যে দুঃখ ভুলে থাকার উপায় হিসাবে এই সমস্ত মেনে নেবে তাতে আর আশ্চর্য কি?

তবে জীবন যত দুঃখ কিংবা সুখেরই হোক, ‘চিতাতেই সব শেষ’। মানুষের যেমন জন্ম আছে, মৃত্যুও অবশ্যম্ভাবী। তাই মানুষের মৃত্যুর পর সৎকারের ব্যবস্থাও সব সমাজেই প্রচলিত ছিল। এমনই একটি চিত্র চর্যাপদের ৫০ সংখ্যক পদে পাই –

চারিবাসে তা ভলা রেঁ দিআঁ চঞ্চালি।

তঁহি তোলি শবরো (দা) হ কত্রলা কান্দশ সগুন শিআলি ৷৷

মারিল ভবমত্তারে দহাদিহে দিধলি বলী।

হের সে শবরো নিবেবস ভাঙ্গলা ফিটিলি শবরালী।।

“চারিবাস (খাট, বালি) গড়া হল বাঁশের চেঁচারি দিয়ে, তাতে তুলে শবরকে দাহ করা হল ; কাঁদলো শকুন শিয়াল, দশদিকে পিণ্ড দেওয়া হল। শবর নির্মূল হল। শবরালি ঘুচে গেল।”—তাই বলতে হয়, চর্যাপদে প্রাপ্ত দৈনন্দিন জীবনে প্রত্যক্ষ লৌকিক রূপের জগতের উপাদানগুলি সিদ্ধাচার্যদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রকাশ পেয়েছে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

চর্যাপদ ছাড়া প্রাচীন বাংলা ভাষার অপর একটি নিদর্শনের উল্লেখ করো

উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তার সম্পাদিত হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা বৌদ্ধ গান ও দোহা গ্রন্থের ভূমিকায় চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, সরহপাদ ও কৃষ্ণাচার্যের দোহা এবং ডাকার্ণব-কে সম্পূর্ণ প্রাচীন বাংলার নিদর্শন বলে দাবি করেছেন।

চর্যাপদ অতীন্দ্র মজুমদার, চর্যাপদ বই pdf, চর্যাপদ বই pdf download, চর্যাপদ pdf free download, চর্যাপদ পিডিএফ, চর্যাপদ ডাউনলোড, চর্যাপদ কবিতা pdf

চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর, চর্যাপদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর Class 11

চর্যা শব্দের অর্থ কি?

উত্তর: আচরণ।

‘চর্য্যাচর্যবিনিশ্চয়’নামটি দিয়েছিলেন কে?

উত্তর: হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।

চর্যাপদের প্রতিপাদ্য বিষয় কি?

উত্তর: বৌদ্ধ সহজিয়াদের সাধন সঙ্গীত।

চর্যাপদ রচিত হয় কোন আমলে?

উত্তর: পাল আমলে।

চর্যাপদ রচিত হয় কত সনে?

উত্তর:

  • শহীদুল্লাহর মতে ৬৫০-১২০০ খ্রীঃ;
  • সুনীতিকুমারের মতে ৯৫০-১২০০ খ্রীঃ

চর্যাপদের বয়স আনুমানিক কত বছর?

উত্তর: ১০০০ বছর।

চর্যাপদ আবিষ্কারের সূত্র কি?

উত্তর: ১৮৮২ সালে প্রকাশিত রাজেন্দ্রলাল মিত্রের “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থের সূত্র ধরে চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়।

চৌথুপির চর্যাপদ

চর্যাপদ ভাষা পথ রূপান্তর

চর্যাপদ ভাষা পথ রূপান্তর

চর্যাপদ প্রশ্ন উত্তর

চর্যাপদ আবিষ্কারের সূত্র কি?
উত্তর: ১৮৮২ সালে প্রকাশিত রাজেন্দ্রলাল মিত্রের “Sanskrit Buddhist Literature in Nepal” গ্রন্থের সূত্র ধরে চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।