আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

দশম শ্রেণীর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখিত আফ্রিকা কবিতা

উদ্ভ্রান্ত সেই আদিম যুগে
স্রষ্টা যখন নিজের প্রতি অসন্তোষে
নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত,
তাঁর সেই অধৈর্যে ঘন-ঘন মাথা-নাড়ার দিনে
রুদ্র সমুদ্রের বাহু
প্রাচী ধরিত্রীর বুকের থেকে
ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে, আফ্রিকা,
বাঁধলে তোমাকে বনস্পতির নিবিড় পাহারায়
কৃপণ আলোর অন্তঃপুরে।
সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি
সংগ্রহ করছিলে দুর্গমের রহস্য,
চিনছিলে জলস্থল-আকাশের দুর্বোধ সংকেত,
প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু
মন্ত্র জাগাচ্ছিল তোমার চেতনাতীত মনে।
বিদ্রূপ করছিলে ভীষণকে
বিরূপের ছদ্মবেশে,
শঙ্কাকে চাচ্ছিলে হার মানাতে
আপনাকে উগ্র করে বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায়
তাণ্ডবের দুন্দুভিনিনাদে।
হায় ছায়াবৃতা,
কালো ঘোমটার নীচে
অপরিচিত ছিল তোমার মানবরূপ
উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।
এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে
নখ যাদের তীক্ষ্ণ তোমার নেকড়ের চেয়ে,
এল মানুষ-ধরার দল
গর্বে যারা অন্ধ তোমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে।
সভ্যের বর্বর লোভ
নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতা।
তোমার ভাষাহীন ক্রন্দনে বাষ্পাকুল অরণ্যপথে
পঙ্কিল হল ধূলি তোমার রক্তে অশ্রুতে মিশে;
দস্যু-পায়ের কাঁটা-মারা জুতোর তলায়
বীভৎস কাদার পিণ্ড
চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তোমার অপমানিত ইতিহাসে।
সমুদ্রপারে সেই মুহূর্তেই তাদের পাড়ায় পাড়ায়
মন্দিরে বাজছিল পুজোর ঘণ্টা
সকালে সন্ধ্যায়, দয়াময় দেবতার নামে;
শিশুরা খেলছিল মায়ের কোলে;
কবির সংগীতে বেজে উঠছিল

সুন্দরের আরাধনা।
আজ যখন পশ্চিমদিগন্তে
প্রদোষকাল ঝঞ্ঝাবাতাসে রুদ্ধশ্বাস,
যখন গুপ্তগহ্বর থেকে পশুরা বেরিয়ে এল,
অশুভ ধ্বনিতে ঘোষণা করল দিনের অন্তিমকাল,
এসো যুগান্তরের কবি,
আসন্ন সন্ধ্যার শেষ রশ্মিপাতে
দাঁড়াও ওই মানহারা মানবীর দ্বারে,
বলো “ক্ষমা করো’–
হিংস্র প্রলাপের মধ্যে
সেই হোক তোমার সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।

আফ্রিকা কবিতার মূল বিষয়বস্তু

সভ্যতার সেই আদিমযুগে বিশ্বের প্রাচ্য ভূভাগ থেকে আফ্রিকা নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, অন্ধকার গভীর অরণ্যানীতে সে সমাচ্ছন্ন হয়। সেখানকার দুর্গম তমসাময় প্রকৃতির দৃষ্টি-অতীত জাদু সমস্ত শঙ্কাকে হার মানাতে চাইছিল। ছায়াবৃতা আফ্রিকার মানবরূপ বাইরের পৃথিবীর উপেক্ষায় অবজ্ঞায় অজ্ঞাত থেকে গেছে। এমনই সময় (ইউরােপের) সভ্যতাভিমানী বর্বর নেকড়ের দল নির্লজ্জভাবে আফ্রিকাকে শৃঙ্খলিত করবার জন্য এগিয়ে এল।

ফলে দস্যুদের আক্রমণে বীভৎস অত্যাচারে রক্তে-অশুতে মিশে গেল আফ্রিকার মানবতা। ওদিকে (ইউরােপের) পাড়ায় পাড়ায় চলল উৎসব সমারােহ।আজ সেই পশ্চিমাকাশে সেই পশু শক্তিই আবার নতুন করে যখন বেরিয়ে এসেছে, তখন মানহারা এই মানবীর (আফ্রিকার) পাশে দাঁড়িয়ে হিংস্র প্রলাপের মধ্যেও মানবতাবাদী কবি ক্ষমার আহ্বান জানাচ্ছেন। এটিই হােক সভ্যতার শেষ বাণী।

আফ্রিকা কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর

“সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি”- সেখানে বলতে কোন খানের কথা বলা হয়েছে? নিভৃত অবকাশে সে কী করছিল?

উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে ‘সেখানে’ বলতে ‘বনস্পতির নিবিড় পাহারায়’ স্থিত ‘কৃপণ আলোর অন্তঃপুরের’ কথা বলা হয়েছে।

নিভৃত অবকাশে সে অর্থাৎ আফ্রিকা দুর্গমের রহস্য সংগ্রহ করছিল এবং চিনে নিচ্ছিল জলস্থল ও আকাশের দুর্বোধ্য সংকেতগুলি। সেখানে সে ‘বিরূপের ছদ্দবেশে’ ভয়ংকরকে বিদ্রূপ করছিল এবং ‘বিভীষিকার প্রচণ্ড মহিমায়’ নিজেকে উগ্র করে ভয়কে হার মানাতে চাচ্ছিল।

“মন্দিরে বাজছিল পূজার ঘণ্টা” – কোন্ মন্দিরের কথা বলা হয়েছে? সেখানে পূজার ঘণ্টা কেন বেজেছিল?

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয়দের পাড়ায় পাড়ায় যে মন্দির রয়েছে, সেই মন্দিরের কথা বলা হয়েছে।

সাম্রাজ্যবাদীরা আফ্রিকার উপর অমানুষিক অত্যাচার করেছিল কিন্তু তাদের নিজের দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখেছিল। ঔপনিবেশিক প্রভুদের পাড়ায় পাড়ায় মন্দিরে ঘন্টা-ধ্বনি অব্যাহত ছিল। সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় দয়াময় দেবতার নামে পূজার ঘন্টা বাজত।

“নগ্ন করল আপন নির্লজ্জ অমানুষতাকে”- কারা এমন করেছিল? কীভাবে তারা তাদের অমানুষতা প্রকাশ করেছিল?

উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে সভ্যতার মুখোশধারী সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয়দের কথা বলা হয়েছে। আফ্রিকায় এসে তারা তাদের ‘নির্লজ্জ অমানুষতাকে’ উন্মুক্ত করেছিল।

প্রাকৃতিক সম্পদের লোভে সাম্রাজ্যবাদীরা পশুর মতো আফ্রিকার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। একদিকে তারা দুহাত দিয়ে আফ্রিকার সম্পদ লুঠ করেছিল, আরেকদিকে তারা আফ্রিকার মানুষকে অকথ্য নির্যাতন করেছিল। এইভাবে, তারা তাদের অমানুষতা প্রকাশ করেছিল।

“চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তােমার অপমানিত ইতিহাসে।”- কারা কীভারে চিরচিহ্ন দিয়ে গিয়েছিল?

উত্তরঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কবি সংক্ষেপে আফ্রিকার ‘অপমানিত ইতিহাসের’ কথা তুলে ধরেছেন। আগ্রাসনকামী ইউরোপীয়রা আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে চিরচিহ্ন দিয়ে গিয়েছিল।

মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় আফ্রিকা একসময় সভ্য জগতের কাছে অবহেলিত ছিল। কিন্তু কালক্রমে লোভী সাম্রাজ্যবাদীদের চোখ পড়ে আফ্রিকার উপর। তারা সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করে এবং নিরীহ-নিষ্পাপ মানুষকে অত্যাচার করে আফ্রিকার ইতিহাসকে লাঞ্ছিত করেছিল।

“চিরচিহ্ন দিয়ে গেল তােমার অপমানিত ইতিহাসে”–‘ইতিহাস’ কীভাবে অপমানিত হল ?

উত্তরঃ পরাধীনতার গ্লানিতে, মানুষের সম্মানহীনতায় আফ্রিকার ইতিহাস হল অপমানিত। সেই অপমানের চিহ্ন চিরস্থায়ী করে দিয়ে গেছে বর্বর, লােলুপ, হিংস্র ইউরােপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি।

“নতুন সৃষ্টিকে বারবার করছিলেন বিধ্বস্ত”—কে, কেন বিধ্বস্ত করছিলেন?

উত্তরঃ নতুন সৃষ্টি তথা পৃথিবীর প্রতি প্রবল অসন্তোষে স্বয়ং স্রষ্টা বিধাতা তাকে বারবার বিধ্বস্ত, অর্থাৎ ভেঙে-গড়ে দেখছিলেন।

“ছিনিয়ে নিয়ে গেল তােমাকে, আফ্রিকা”—আফ্রিকাকে কে কোথায় ছিনিয়ে নিয়ে গেল?

উত্তরঃ ‘আফ্রিকা’ কবিতায় কবি কল্পনা করেছেন, সৃষ্টির যুগে স্রষ্টা যখন বারবার নিজের সৃষ্টি ভেঙে-চুরে নিখুঁত করে গড়ার চেষ্টায় রত, তখন উত্তাল সমুদ্র প্রাচ্যদেশ থেকে আফ্রিকা মহাদেশের ভূখণ্ডকে আলাদা করে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

“গর্বে যারা অন্ধ তােমার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়ে…” তারা কী করল?

উত্তরঃ বিপুল বিশ্বের গর্বান্ধ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি লােহার হাতকড়ি দিয়ে আফ্রিকার মানুষদের সুকৌশলে শৃঙ্খলিত করল।

“অপরিচিত ছিল তােমার মানবরূপকার মানবরূপ অপরিচিত ছিল ?

উত্তরঃ সভ্যতার উগ্রতা আফ্রিকাকে তেমনভাবে স্পর্শ করেনি বলে তার মানবিকতা বােধের চিরস্নিগ্ধ রূপটি অবশিষ্ট পৃথিবীর কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিল। রহস্যময় জগতের অচেনা সৌন্দর্যের ছায়া যেন সর্বদা ঘিরে থাকে আফ্রিকাকে।

“তােমার ভাষাহীন ক্রন্দনে…” ভাষাহীন ক্রন্দন কার ছিল?

উত্তরঃ নিজস্ব সত্তার রহস্য উন্মােচনে মগ্ন ‘আফ্রিকা’ অকস্মাৎ সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা আক্রান্ত হলে, সে উগত ‘ভাষাহীন ক্রন্দনে’ ভেসে গিয়েছিল।

অপরিচিত ছিল তােমার মানবরূপ/উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে।”—কার মানবরূপ, কাদের কাছে উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে উপেক্ষিত ছিল?

উত্তরঃ প্রশ্নোপ্ত পঙক্তিটিতে আফ্রিকা মহাদেশের মানবরূপ যেন তার অরণ্য- আচ্ছাদিত ‘কালাে ঘােমটার নীচে’ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলির কাছে ‘উপেক্ষার আবিল দৃষ্টিতে অপরিচিত ছিল।

“পঙ্কিল হল ধূলি তােমার রক্তে অশ্রুতে মিশে…”—কীভাবে এমন পরিস্থিতি তৈরি হল?

উত্তরঃ পৃথিবীর বহু সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিজেদের শক্তি ও উপনিবেশ গড়ার লক্ষে স্বাধীন আফ্রিকা মহাদেশের মানুষকে শৃঙ্খলিত করল। বর্বর, অমানুষিক অত্যাচার চালালাে। এভাবেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হল।

‘এসো যুগান্তের কবি,’—কবির ভূমিকাটি কী হবে?

উত্তরঃ যুগাস্তের কবি কল্পিত ভাবমূর্তি। বিশ্বকবির অভিলাষ অনুযায়ী এই কল্পিত কবি আফ্রিকায় অন্ধকার যুগের অবসান ঘটাতে আফ্রিকায় ক্ষমার বাণী প্রচার করবেন। ৫০ ‘যুগান্তের কবি’কে রবীন্দ্রনাথ কোথায় দাঁড়াতে বলেছেন? উত্তর যুগান্তের কল্পিত কবিকে রবীন্দ্রনাথ মানহারা, সাম্রাজ্যবাদীদের দ্বারা লাঞ্ছিত আফ্রিকার দ্বারপ্রান্তে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছেন।

’মানহারা মানবী’ কে?

উত্তরঃ কবি রবীন্দ্রনাথের মানবিক কল্পনায় লুণ্ঠিতা রমণীর মতোই আফ্রিকা লাঞ্ছিত, সর্বহারা। নখ দাঁতসম্পন্ন সাম্রাজ্যবাদীরা তার মানবতাকে লুণ্ঠন করে তাকে মানহারা করেছে।

‘বলো ক্ষমা করো’–কে, কেন এই বাণী উচ্চারণ করবে?

উত্তরঃ কবিকল্পিত ‘যুগান্তের কবি’ সাম্রাজ্যবাদী সভ্য পশুদের হয়ে সর্বহারা, মানবতালুণ্ঠিত, অত্যাচারিত আফ্রিকাবাসীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার জন্য এই বাণী উচ্চারণ করবে।

হিংস্র প্রলাপের মধ্যে – হিংস্র প্রলাপ কী ?

উত্তরঃ সাম্রাজ্যবাদের শেষ কথাই হল দখল, লুণ্ঠন ও পাশবিক অত্যাচার। সুতরাং আফ্রিকা দখলকারী সাম্রাজ্যবাদীদের উগ্র আস্ফালনই হল হিংস্র প্রলাপ।

সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী।’—‘পুণ্যবাণী’টি কী?

উত্তরঃ মানবতার পূজারি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিষ্পাপ কণ্ঠে ‘ক্ষমা করো’ এই বিশুদ্ধ উচ্চারণকেই সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী’ বলে মনে করেছেন |

‘ক্ষমা করো’ উচ্চারণটি সভ্যতার শেষ পুণ্যবাণী হয়ে উঠবে কেন?

উত্তরঃ মানবতাবাদী রবীন্দ্রনাথ জানতেন হিংসা দিয়ে হিংসাকে জয় করা যায় না। তাই ‘ক্ষমা করো’ এই বিশুদ্ধ উচ্চারণটিকে ক্ষমার মহিমা প্রচারে তিনি ‘পুণ্যবাণী’ করে তুলতে চেয়েছেন।

‘কৃপন আলাের অন্তঃপুরে’-কবিতা অনুসারে বক্তব্যটি লেখ।

উত্তরঃ বক্তব্য : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত আফ্রিকা কবিতায় আফ্রিকার ভৌগােলিক, রাজনৈতিক সম্পর্কে মরমি বিশ্লেষণ রয়েছে। বনস্পতির নিবিড় আলিঙ্গনে, অরণ্যের দুর্ভেদ্য আলাে ছায়ায় আবৃত থাকে আফ্রিকা। নিরক্ষীয় জলবায়ুর অন্তর্গত হওয়ার জন্য বৃহৎ পাতা বিশিষ্ট গাছের সৃষ্টি হয় এখানে। অসংখ্য বৃক্ষ ঘন সন্নিবিষ্ট হওয়ায় অতি সামান্য আলােটুকু প্রবেশের অধিকার পায় না। অন্ধকারে আবৃত থাকে আফ্রিকার অধিকাংশ প্রান্তর।

বিদ্রপ করেছিল ভীষণকে অথবা, বিরূপের ছদ্মবেশে কে কিভাবে ভীষণকে বিদ্রুপ করেছিল?

উত্তরঃ ভীষণকে ব্যঙ্গ : আফ্রিকা নামাঙ্কিত কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৃথিবীর অন্য মহাদেশ থেকে বিছিন্ন আফ্রিকাকে ধীরে ধীরে সাবলম্বী হতে দেখেছিলেন। নিভৃত অবকাশে দুর্গমের রহস্য সংগ্রহ করেছিল বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ ভূখণ্ড। চিনেছিল জল, স্থল। আকাশের দুর্বোধ সংকেত। প্রকৃতি তাকে দিয়েছিল অপার রহস্যময়তা। অতীত জাদু মন্ত্র জাগাচ্ছিল আফ্রিকার চেতনাতীত মনে। আফ্রিকার ওপর সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আস্ফালনকে আফ্রিকা নিজেই চিনে নিতে চাইছিল। সেই ভীষণ শক্তিশালী শক্তিকে ব্যঙ্গ করার স্পর্ধা অর্জন করেছিল।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আফ্রিকা কবিতার PDF

দশম শ্রেণির জন্য বাংলা শিক্ষা

দশম শ্রেণির জন্য বাংলা শিক্ষা

আফ্রিকা কবিতার প্রশ্ন উত্তর

“সেখানে নিভৃত অবকাশে তুমি”- সেখানে বলতে কোন খানের কথা বলা হয়েছে? নিভৃত অবকাশে সে কী করছিল?
উত্তরঃ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আফ্রিকা’ কবিতা থেকে নেওয়া উদ্ধৃত অংশে ‘সেখানে’ বলতে ‘বনস্পতির নিবিড় পাহারায়’ স্থিত ‘কৃপণ আলোর অন্তঃপুরের’ কথা বলা হয়েছে।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।