নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ভূগোল উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Geography Class 9 | নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ভূগোল উত্তর

ভারতের উত্তর সমভূমির একটি বিবরণ দাও।

উত্তর:

উত্তর সমভূমি হল সাম্প্রতিকতম ভূমিরূপ। উত্তরের সমভূমি পলিমাটি দ্বারা গঠিত। উত্তরের সমভূমি তিনটি প্রধান নদী ব্যবস্থার আন্তঃক্রিয়া দ্বারা গঠিত হয়েছে, যথা- সিন্ধু, গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র এবং তাদের উপনদী। এই সমভূমি পলিমাটি দ্বারা গঠিত।

লক্ষ লক্ষ বছর ধরে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত একটি বিশাল অববাহিকায় পলিমাটির জমা এই উর্বর সমভূমি তৈরি করেছে। এটি 7 লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সমতলটি প্রায় 2400 কিমি দীর্ঘ এবং 240 থেকে 320 কিমি প্রশস্ত, এটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ ফিজিওগ্রাফিক বিভাগ। পর্যাপ্ত জল সরবরাহ এবং অনুকূল জলবায়ুর সাথে মিলিত একটি সমৃদ্ধ মাটির আচ্ছাদন সহ, এটি কৃষিগতভাবে ভারতের একটি উত্পাদনশীল অংশ।

উত্তর সমভূমি বিস্তৃতভাবে তিনটি বিভাগে বিভক্ত। উত্তর সমভূমির পশ্চিম অংশকে পাঞ্জাব সমভূমি বলা হয়। সিন্ধু এবং এর উপনদী দ্বারা গঠিত, এই সমভূমির বৃহত্তর অংশ পাকিস্তানে অবস্থিত। সিন্ধু এবং এর উপনদী — ঝিলাম, চেনাব, রাভি, বিয়াস এবং সাতলুজ সবই হিমালয়ে উৎপন্ন। সমতলের এই অংশে দোয়াবদের আধিপত্য। গঙ্গার সমভূমি ঘাগর ও তিস্তা নদীর মধ্যে বিস্তৃত।

এটি উত্তরের রাজ্য হরিয়ানা, দিল্লি, ইউপি, বিহার এবং আংশিকভাবে ঝাড়খন্ড জুড়ে বিস্তৃত। গঙ্গা সমভূমিও এর পূর্ব দিকে বাংলার দিকে বিস্তৃত। আরও পূর্বে আসামে ব্রহ্মপুত্র সমভূমি অবস্থিত। উত্তরের সমভূমিগুলিকে সাধারণত সমতল ভূমি হিসাবে বর্ণনা করা হয় যার ত্রাণে কোন তারতম্য নেই। যাইহোক, এটি ঠিক সত্য নয়।

এই বিস্তীর্ণ সমতলভূমিতেও বিভিন্ন ত্রাণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ত্রাণ বৈশিষ্ট্যের তারতম্য অনুসারে, উত্তর সমভূমিকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়। নদীগুলি পাহাড় থেকে নেমে আসার পর, শিবালিকদের ঢালের সমান্তরালে প্রায় 8 থেকে 16 কিলোমিটার প্রস্থের একটি সরু বেল্টে নুড়ি জমা করে।

এই অঞ্চলটি ভাবর নামে পরিচিত। সব স্রোত বিলীন হয়ে যায় এই ভাবর বলয়। এই বেল্টের দক্ষিণে, স্রোত এবং নদীগুলি পুনঃউত্থিত হয় এবং একটি আর্দ্র, জলাভূমি এবং জলাভূমি তৈরি করে যা তরাই নামে পরিচিত। একসময় এটি ছিল ঘন বনাঞ্চল, বন্যপ্রাণীতে পরিপূর্ণ।

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের সমভূমির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো

ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের সমভূমির মধ্যে পার্থক্য বা ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মধ্যে পার্থক্য

উপকূলের সমভূমিভারতের পূর্ব উপকূলের সমভূমিভারতের পশ্চিম উপকূলের সমভূমি
অবস্থান পূর্ব উপকূলের সমভূমি উপদ্বীপীয় ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূল বরাবর অবস্থান করছে।পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি গুজরাট, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কর্ণাটক, কেরালা এই উপকূলীয় সমভূমির অন্তর্গত। 
বিস্তারপূর্ব উপকূল উড়িষ্যার সুবর্ণরেখা নদী থেকে শুরু করে দক্ষিনে তামিলনাড়ু কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রায় 1500 কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিম উপকূলীয় সমভূমি গুজরাটের কচ্ছের রণ থেকে শুরু করে দক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত প্রায় 1600 কিমি বিস্তৃত। 
প্রশস্ত পূর্ব উপকূল পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় 80-100 কিলোমিটার চওড়া। পশ্চিম উপকূলের সমভূমি প্রায় 50-65 কিমি প্রশস্ত বিশিষ্ট হয়। 
প্রকৃতিপূর্ব উপকূল একপ্রকার সঞ্চয় জনিত উত্থিত উপকূল। পশ্চিম উপকূল একপ্রকার চ্যুতি গঠিত নিমজ্জিত উপকূল। 
ঢাল পূর্ব উপকূলের সমভূমি মৃদু ঢালে সমুদ্রের দিকে নেমে গিয়েছে। পশ্চিম উপকূলের ঢাল অনেক টাই বেশি, এটি খাড়া ভাবে আরব সাগরের দিকে নেমে গেছে।
নদনদীপূর্ব উপকূলের নদী গুলি অধিক দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হওয়ায় মোহনা অঞ্চলে সঞ্চয় কার্যের ফলে বদ্বীপ গঠিত হয়। পশ্চিম উপকূলের নদী গুলি স্বল্প দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট ও খরস্রোতা প্রকৃতির। তাই এই নদী গুলিতে বদ্বীপ দেখা যায় না। 
মৌসুমী বায়ুর প্রভাব ভারতের পূর্ব উপকূলে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ও প্রত্যাবর্তন কারী উত্তর – পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বছরে দুবার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। পশ্চিম উপকূলে কেবলমাত্র দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। 
উচ্চতা পূর্ব উপকূল সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে 200 মিটারের কম উচ্চতা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। পশ্চিম উপকূল সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় 150 থেকে 300 কিমি উচু হয়। 
ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের সমভূমির মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো

তোমার দেশের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো, তোমার দেশের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল, তোমার দেশের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ, তোমার দেশের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার কারণ, ভারতের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করো

ভারতের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ হবার কারণ হলো নিম্নরুপ –

  • ভারতের মতন কোন কৃষিপ্রধান দেশে কোন অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ হবার একটি প্রধান কারণ হলো সেই অঞ্চলে উন্নতমানের চাষাবাদের উপস্থিতি।
  • এখন ভারতবর্ষের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর মাটি দিয়ে গঠিত, যা চাষাবাদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী।
  • উন্নত চাষাবাদ ব্যতীত,আরও অন্যান্য কারণ যেমন – উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, উন্নত পরিষেবা (বিভিন্ন), বড় বড় শহরের উপস্থিতি।
  • এই সকল কারণ মিলিয়েই, উত্তরের সমভূমি অঞ্চল (অর্থাৎ,হরিয়ানা, পাঞ্জাব,উত্তর প্রদেশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম,বিহার ইত্যাদি রাজ্যসমূহ) অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের উত্তরের সমভূমি অঞ্চল ঘনবসতিপূর্ণ হবার কারণ হলো নিম্নরুপ –

বাংলাদেশের উত্তরের সম্ভুমি মূলত নদী বেষ্টিত,যেখানে পলিমাটি আসার কারনে জমির উর্বরতা অনেক বেশি। ফলে ফসল অনেক ভাল হয়।

হিমালয় থেকে কাছে হওয়ায়,মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়,আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ থাকে।

এছাড়া সমুদ্র থেকে দূরে হওয়ায় মিঠা পানির কোন সঙ্কট নেই।

এসব কারনে এ অঞ্চল প্রাকৃতিক কারনেই ঘনবসতিপূর্ণ

বায়ুর সঞ্চয় এর ফলে গঠিত সমভূমি কে কি বলে

প্রবল বায়ু প্রবাহের প্রভাবে অতি সূক্ষ্ম বালুকনা ( ব্যাস – ০.০৬ মিমির কম) বহু দূরে বাহিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠন করে, তাকে লোয়েস সমভূমি বলে

লোয়েস ভূমির রং হলুদ। গোবি মরুভূমির হলদে রঙের বালু রাশি বহু দূরে চিনের হোয়াংহো অববাহিকায় সঞ্চিত হয়ে লোয়েস সমভূমির সৃষ্টি হয়েছে।

মরু অঞ্চলে বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে নানা প্রকার ভূমিরুপের সৃষ্টি হয়। মরু অঞ্চলে যখন কোন কারণে বায়ুপ্রবাহ বাধা প্রাপ্ত হয়, তখন বায়ুর সঞ্চয় কাজ শুরু হয়, এর ফলে নানা ধরণের সঞ্চয় জাত ভূমিরূপ গঠিত হয়। বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে সাধারণত দুই রকমের ভূমিরূপ গঠিত হয় – ১) বালিয়াড়ি,   ২) লোয়েশ সমভূমি

উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি, উত্তর আমেরিকার প্রেইরি সমভূমি দুগ্ধশিল্পে উন্নত কেন?​

উত্তর: উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগের সমভূমি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে প্রেইরি তৃণভূমি অবস্থান করছে। এই সমভূমির অন্তর্গত হ্রদ অঞ্চলের পার্শ্ববর্তী এলাকা গুলিতে দুধ, দুগ্ধজাত দ্রব্য, গবাদি পশু পালন, দুগ্ধ জাতীয় দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য উন্নত মানের হিমাগার- এগুলি নিয়ে উন্নত দুগ্ধ শিল্প গড়ে উঠেছে। দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদনে খ্যাতির জন্য হ্রদ সংলগ্ন উইসকনসিন প্রদেশকে ‘ডেয়ারি রাজ্য’ বলা হয়।

যে সকল কারন এই অঞ্চলটিতে দুধ ও দুগ্ধ শিল্পের উন্নতি ঘটেছে, সেগুলি হল –

  • পশুপালন: হ্রদ অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে অধিক দুগ্ধ প্রদানকারী জার্সি গরু ও কোন কোন স্থানে মেষও পালন করা হয়।
  • কৃষিকাজ: এই অঞ্চল কৃষিকাজে বেশ উন্নত। হ্রদ অঞ্চলের দক্ষিণ দিকে বিখ্যাত ভুট্টা বলয় এ পশুখাদ্য হিসেবে ভুট্টা এবং ভুট্টা বলয় এর উত্তরাংশে তৃণভূমিতে হে, ক্লোভার প্রভৃতি ঘাস পশুখাদ্য হিসেবে চাষ করা হয়।
  • পর্যাপ্ত জল: হ্রদ অঞ্চলের পর্যাপ্ত জল পশুদের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা মেটায়।
  • অবাধ পশুচারণ: বিস্তীর্ণ সমভূমি অঞ্চলের তৃণভূমিতে পশুদের অবাধ বিচরণের সুবিধা রয়েছে।
  • উন্নত সংরক্ষণ ব্যবস্থা: এই অঞ্চলের শীতল জলবায়ুর জন্য এবং উন্নত মানের হিমাগার থাকার জন্য দুধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য সংরক্ষণের সুবিধা আছে।

পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসবাস করেন”-ভৌগোলিক কারণ ব্যাখ্যা করো।

পৃথিবীতে পাহাড়, পর্বত, মালভূমি এবং সমভূমি এই চার প্রকার ভূমিরূপ দেখতে পাওয়া যায়। এই ভূমিরূপ গুলির মধ্যে সমভূমি অঞ্চলে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ বসবাস করে। এর কারণ গুলি হল-

  • কৃষিকাজের সুবিধা: পলিমাটি ও দোআঁশ মাটি সমৃদ্ধ সমভূমি অঞ্চল অত্যন্ত উর্বর হওয়ার জন্য কৃষিকাজে উন্নত। এই কারণে সমভূমি অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ। যেমন- গাঙ্গেয় সমভূমিতে ধান, পাট প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে উৎপাদিত হয়।
  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা: সড়কপথ, রেলপথ, বিমানবন্দর নির্মাণ কার্য সমভূমি অঞ্চলে সুন্দর ভাবে করা যায়। এই সকল উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সমভূমি অঞ্চলে প্রচুর মানুষ বসবাস করে।
  • জলের প্রাপ্যতা: নদী, খাল, বিল , পুকুর, জলাশয় প্রভৃতি সমভূমি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এই জল কৃষিকাজ, শিল্প, পানীয় হিসেবে, দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে। এই কারণে মানুষ সমভূমি অঞ্চলে বসতি স্থাপন করে।
  • জলবায়ু: পার্বত্য অঞ্চল এবং মালভূমি অঞ্চলের তুলনায় সমভূমি অঞ্চলের জলবায়ু মনোরম প্রকৃতির। এখানে কোমল মৃত্তিকা যুক্ত স্থানে উষ্ণতার চরমভাব যেমন লক্ষ্য করা যায় না, তেমনই জলভাগ বেশি থাকায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণও যথেষ্ট বেশি হয়। এই কারণগুলোর জন্য সমভূমি অঞ্চলে অধিক জনবসতি দেখা যায়।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি শিক্ষাবিদ্যা স্ক্যানার

পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি শিক্ষাবিদ্যা স্ক্যানার

FAQ | সমভূমি

Q1. সমভূমি কাকে বলে

Ans – সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অল্প উঁচু (300 মিটারের মধ্যে) বিস্তৃত সমতলভূমি বা সামান্য ঢেউখেলানাে নীচু ভূমিভাগকে সমভূমি বলে। উদাহরণ : নদী অববাহিকা ও সমুদ্র উপকূল অঞলে সমভূমি গড়ে ওঠে। সাইবেরিয়া সমভূমি পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমি।

Q2. লোয়েস সমভূমি কাকে বলে

Ans – হলুদ ও ধূসর বর্ণের অতি সূক্ষ্ম খনিজ সমৃদ্ধ পলি ও বালুকণার সঞ্চয়কে লোয়েস বলে। বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে লোয়েস একস্থান থেকে অন্যস্থানে বাহিত হয়ে সঞ্চিত হয়। লোয়েস সঞ্চয়ের ফলে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে লোয়েস সমভূমি বলে।

Q3. পৃথিবীর বৃহত্তম সমভূমির নাম কি

Ans – রাশিয়ান জাপাদনো-সিবিরস্কায়া রাভনিনা সমভূমি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অঞ্চল, মধ্য রাশিয়া। এটি পশ্চিমে উরাল পর্বতমালা এবং পূর্বে ইয়েনিসেই নদী উপত্যকার মধ্যে প্রায় 1,200,000 বর্গ মাইল (3,000,000 বর্গ কিমি) এলাকা দখল করে আছে।

Q4. জাপানের দুটি সমভূমির নাম

Ans – জাপানের ভূ – প্রকৃতি পর্বতসঙ্কুল। প্রায় 75 শতাংশ পর্বত এবং বাকি 25 শতাংশ সমভূমি।
এই সমভূমির মধ্যে কান্তো সমভূমিই বৃহত্তম। 45 শতাংশই এর মধ্যেই পড়ে। এর মধ্যে পড়ে তোচিগির কিয়দংশ, ইবারাকি, গুনমা, সাইতামা, চিবা, টোকিও এবং কানাগাবা শহরগুলো।
তাছাড়া আছে, 1. এচিগো সমভূমি, এতে পড়ে নিগাতা শহর, 2. ইশিকারি সমভূমি (হোক্কাইডো এর অন্তর্গত। ) 3 . নোবি সমভূমি, (আইচি এবং গিফি শহর সমেত।)। ইত্যাদি।

Q5. প্লাবন সমভূমি কাকে বলে

Ans – বর্ষাকালে বন্যার জল স্বাভাবিক বাঁধ অতিক্রম করে বিস্তীর্ণ এলাকাকে প্লাবিত করে। বন্যার জল অপসারিত হলে প্লাবিত অঞ্চলে পলি জমা হয়ে যে সমভূমির সৃষ্টি হয় তাকে প্লাবন সমভূমি বলে।
প্লাবন বা বন্যা শেষে নদীর দু পাশের ভুমিতে খুব পুরু স্তর কাদা,পলি জমে যে বিস্তৃত সমভুমির সৃষ্টি হয় তাকে প্লাবন সমভূমি বলে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।