ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ কর্তৃক প্রণীত 1791 সালের সংবিধানের যে কোনো পাঁচটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। বা ফ্রান্সের 1791 সালের সংবিধানের যে কোনো পাঁচটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE History, Itihas | Farashi Biplob | Question Answer

ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ কর্তৃক প্রণীত 1791 সালের সংবিধানের যে কোনো পাঁচটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর। বা ফ্রান্সের 1791 সালের সংবিধানের যে কোনো পাঁচটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।

উত্তর: 1791 সালের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য:

  • এটি ফ্রান্সকে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ঘোষণা করে।
  • রাজার ক্ষমতা পৃথক করা হয় এবং নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা এবং বিচার বিভাগকে অর্পণ করা হয়।
  • জাতীয় পরিষদ কর্তৃক প্রণীত আইন।
  • শুধুমাত্র 25 বছরের বেশি বয়সী পুরুষ, যারা একজন শ্রমিকের মজুরির কমপক্ষে 3 দিনের সমান কর প্রদান করেছেন, তারা ভোট দেওয়ার অধিকারী ছিলেন।
  • মানুষকে অনেক অধিকার দেওয়া হয়েছে।
  • একজন নির্বাচক এবং বিধানসভার সদস্য হিসাবে যোগ্যতা অর্জনের জন্য, একজন ব্যক্তিকে করদাতাদের সর্বোচ্চ বন্ধনীর অন্তর্ভুক্ত হতে হবে।

ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থা Pdf

প্রাচীন মিশর ও প্রাচীন ভারতের দাসপ্রথা তুলনামূলক বিবরণ দাও, প্রাচীন মিশর ও প্রাচীন ভারতের দাসপ্রথার তুলনা

প্রাচীন মিশরে ক্রীতদাস প্রথা

উত্তর: বিভিন্ন ভাবে মিশরে দাসদের সংগ্রহ করা হত। যেমন-

  • (i) শত্রুপক্ষের সৈন্যদের পরাজিত ও বন্দি করা।
  • (ii) দরিদ্র পিতামাতাদের নিজের সন্তানদের ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া।
  • (ii) মহাজন কর্তৃক ঋণ পরিশােধে ব্যর্থ ব্যক্তিকে ক্রীতদাস হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া প্রভৃতি উপায়ে মিশরে ক্রীতদাস সৃষ্টি হত।
  • (iv) জন্মসূত্র প্রভৃতি উপায়ে মিশরে ক্রীতদাস সৃষ্টি হত।

মিশরের সমাজে দাসরা রামান সমাজের মতাে ততখানি অবহেলিত ছিল না। তারা মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও কিছু কিছু নাগরিক অধিকারও ভােগ করত। অনেক ক্ষেত্রে সমাজে তাদেরকে সাধারণ স্বাধীন মানুষের পর্যায়ভুক্ত বলে মনে করা হত।

মিশরে অধিকাংশ ক্রীতদাস গৃহের রান্নাবান্না, গৃহ পরিষ্কার, উদ্যান পরিচর্যা খনিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ, ফ্যারাও, অভিজাত ও পুরােহিতদের স্থাবর সম্পত্তিতে কাজ প্রভৃতি করত।

মিশরের ক্রীতদাসরা বেশ কিছু স্বাধীনতা ভোগ করত বলে জানা যায়। অনেক ক্রীতদাসের পক্ষে উচ্চ সরকারি পদলাভ, দাসত্ব থেকে মুক্তিলাভের পর পূর্বতন প্রভুর পরিবারের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কস্থাপন প্রভৃতিও সম্ভব হত।

মিশরের কৃষি, শিল্প ও পরিশ্রমসাধ্য নির্মাণ কাজগুলি। ক্রীতদাসদের দ্বারাই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছিল। ক্রীতদাসদের শ্রমের ফলে মিশরের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে সেদেশের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছিল।

  • (i) নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তার প্রভুর জীবন রক্ষা
  • (ii) ঋণের দায়ে দাসত্ব গ্রহণে বাধ্য কোনাে ক্রীতদাস কর্তৃক ঋণ পরিশােধ
  • (iii) মুক্তিমূল্য প্রদান প্রভৃতি উপায়ে মিশরের দাসরা মুক্তি পেতে পারত।

প্রাচীন ভারতে ক্রীতদাস প্রথা, প্রাচীন ভারতের দাসপ্রথা

ঋগবৈদিক যুগে ‘দস্যু’রা আর্যদের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ‘দাস’-এ পরিণত হত। মৌর্যযুগে যুদ্ধে বন্দি হওয়া, দারিদ্র্য, আত্মবিক্রয়, শাস্তি, জন্মসূত্র প্রভৃতি হল এযুগের দাসত্বের উৎস। গুপ্তযুগেও অপরাধীদের শাস্তি হিসেবে তাদের দাসে পরিণত করা হত। এছাড়াও এযুগে দুর্ভিক্ষের সময় খাদ্যের জন্য কেউ কেউ স্বেচ্ছায় দাসত্ব বরণ করত।

ভারতীয় সমাজে স্বাধীন নাগরিক ও দাসদের মধ্যে ভেদরেখা ছিল অত্যন্ত ক্ষীণ। ভারতীয় দাসরা সেই অর্থে গৃহভৃত্যের সমগােত্রীয় ছিল। ভারতের দাস ব্যবস্থায় অনেক কঠোরতা ও নিষ্ঠুরতা থাকলেও তা রোমের ক্রীতদাসদের প্রতি অমানবিক ব্যবহারের সমতুল ছিল না।

ভারতের দাসরা তাদের প্রভুর পরিবারে গৃহস্থালির কাজ, প্রভুর কৃষিজমিতে ফসল উৎপাদন করত শিল্প কারখানায় শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদনের কাজ প্রভৃতি করত।

কৌটিল্য তাঁর ‘অর্থশাস্ত্রে’ দাসদের কয়েকটি বিশেষ অধিকারের উল্লেখ করেছেন-

  • (i) প্রভুর কোনাে ক্ষতি না করে অর্থ উপার্জন ও সঞ্চয়ের অধিকার এবং
  • (ii) উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তির ভােগ-দখলের অধিকার।

প্রাচীন ভারতে দাসদের সংখ্যা তৎকালীন ভারতীয় শ্রমিকদের সংখ্যার অনুপাতে খুবই কম ছিল। তাই তৎকালীন অর্থনৈতিক উৎপাদনে দাসদের তুলনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকদেরই বেশি অবদান ছিল।

কোনাে কোনাে ক্রীতদাস—

  • (i) তার সঞ্চিত অর্থ প্রভুর হাতে এককালীন প্রদান করলে
  • (ii) সারাজীবন ধরে তার প্রভুর প্রতি গভীর আনুগত্য দেখালে
  • (iii) কোনো সংকট থেকে প্রভুর প্রাণ রক্ষা করলে, প্রভু ক্রীতদাসটির প্রতি সদয় হয়ে তাকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিত।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান ইতিহাস রেফারেন্স – ক্লাস – IX

অল ইন ওয়ান ইতিহাস রেফারেন্স

ক্লাস – 9 এর জন্য.





Q1. প্রাচীন মিশরে ক্রীতদাস প্রথা

Ans – মিশরের সমাজে দাসরা রামান সমাজের মতাে ততখানি অবহেলিত ছিল না। তারা মালিকের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হলেও কিছু কিছু নাগরিক অধিকারও ভােগ করত। অনেক ক্ষেত্রে সমাজে তাদেরকে সাধারণ স্বাধীন মানুষের পর্যায়ভুক্ত বলে মনে করা হত।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।