ইলিয়াসের অতিথিবৎসলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলাে।’—কার কথা বলা হয়েছে? সে কী করেছিল? ইলিয়াসের জীবনে তার কী প্রভাব পড়েছিল?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Model Activity Task Bengali Part 8 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 9 বাংলা | রাধারানী

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

ইলিয়াসের অতিথিবৎসলতার কথা স্মরণ করে তার খুব দুঃখ হলাে।’—কার কথা বলা হয়েছে? সে কী করেছিল? ইলিয়াসের জীবনে তার কী প্রভাব পড়েছিল?

উত্তর: ইলিয়াস’ গল্পে উল্লিখিত অংশে ইলিয়াসের প্রতিবেশী মহম্মদ শার কথা বলা হয়েছে।

মহম্মদ শা নিজে ধনী না হলেও তার অভাব ছিল না। সে ছিল খুব ভালাে লােক। তাই ইলিয়াসের দুরবস্থায় তার খুব দুঃখ হয় এবং সে ইলিয়াস ও তার স্ত্রীকে নিজের বাড়িতে এসে থাকতে বলে। এর বিনিময়ে ঠিক হয় ইলিয়াস তার ক্ষমতা অনুযায়ী গরমকালে তরমুজ খেতে কাজ করবে। আরশীতকালে গােরু-ঘােড়াদের খাওয়াবে।

তার স্ত্রী শাম-শেমাগি ঘােটকীগুলাের দুধ দুইবে এবং কুমিস তৈরি করবে। মহম্মদ শা তাদের দুজনেরই খাওয়াপরার দায়িত্ব নেয়। এ ছাড়াও যদি কিছু লাগে তা দিতে প্রতিশ্রুত হয় ৷

ইলিয়াস এই উদারতার জন্য মহম্মদ শা-কে ধন্যবাদ দিয়েছিল| ভাড়াটে মজুরের মতাে কাজ করতে গিয়ে প্রথমদিকে তাদের খুবই কষ্ট হত, কিন্তু ক্ৰমে সবই সহ্য হয়ে গেল। যত পারত কাজ করত, আর মহম্মদ শার বাড়িতে থাকত।

একদিন নিজেরা মনিব ছিল বলে তারা সব কাজই ভালােভাবে করতে পারত। কিন্তু তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ যে, অর্থ-সম্পত্তিই সুখের ভিত্তি নয়—তা ইলিয়াস ও তার স্ত্রী উপলব্ধি করে। কাজের বাইরে ফঁাকা সময়টা তারা গল্প করার বা ভাবার কাজে লাগাতে পারে। আগের থেকে অনেক দুশ্চিন্তামুক্ত এই জীবনেই তারা প্রকৃত সুখ খুঁজে পায় ৷

রাধারানী গল্পের প্রশ্ন উত্তর

রাধারাণী কোথায় গিয়েছিল?

উত্তর: রাধারাণী মাহেশে রথের মেলায় গিয়েছিল।

বিধবা হাইকোর্টে হারিল |” এখানে কোন মামলার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: জ্ঞাতির সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে রাধারাণীর মায়ের যে মামলা হয়েছিল এখানে সেই মামলায় কথাই বলা হয়েছে |

হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে রাধারাণীদের কী অবস্থা হয়েছিল?

উত্তর: হাইকোর্টে মামলায় হেরে যাওয়ার ফলে ডিক্রি জারি করে রাধারাণীদের বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছিল।

হাইকোর্টে হেরে যাওয়ার পরে রাধারাণীদের দিন কীভাবে কাটত?

উত্তর: হাইকোর্টে হেরে গিয়ে বাড়ি থেকে উৎখাত হয়ে রাধারাণীর মা কুটিরে থাকেন এবং দৈহিক পরিশ্রমে কোনোরকমে তাদের দিন কাটে।

“সুতরাং আর আহার চলে না”-এই না চলার কারণ কী বলে তোমার মনে হয়?

উত্তর: রাধারাণীর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে খাবার জোগাড়ের অবস্থা আর থাকে না।

‘রাধারাণী‘ গল্পে কোন্ মাসের উল্লেখ আছে?

উত্তর: রাধারাণী’ গল্পে শ্রাবণ মাসের উল্লেখ আছে।

রাধারাণী মায়ের পথ্যের জন্য কী করেছিল?

উত্তর: মায়ের পথ্য সংগ্রহের জন্য রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে রথের মেলায় বিক্রি করতে গিয়েছিল।

রাধারাণী একা রথের মেলায় গিয়েছিল কেন?

উত্তর: রাধারাণী বনফুলের মালা বিক্রি করে মার পথ্য সংগ্রহ করবে বলে মাহেশের রথের মেলায় গিয়েছিল।

“রথের হাট শীঘ্র ভাঙিয়া গেল|–কেন?

উত্তর:রথের হাট প্রবল বৃষ্টির কারণে শীঘ্রই ভেঙে গিয়েছিল।

“মালা কেহ কিনিল না” —মালা না কেনার কারণ কী ছিল?

উত্তর: রথের দড়ির টান অর্ধেক হতে না হতেই প্রবল বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে গেলে মালা কেনার লোক থাকে না।

“এক্ষণে উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিল।‘—কোন সময়ের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর: অন্ধকারে বাড়ি ফেরার সময় কোনো একজন রাধারাণীর ঘাড়ের উপরে পড়ায় রাধারাণী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে ওঠে।।

“রাধারাণী রোদন বন্ধ করিয়া বলিল…”-রাধারাণী কী বলেছিল?

উত্তর: রাধারাণী কান্না বন্ধ করে বলেছিল সে দুঃখী লোকের মেয়ে এবং তার মা ছাড়া কেউই নেই।

“রাধারাণী বড়ো বালিকা।‘–কীভাবে এই ধারণা হয়েছিল?

উত্তর: পথিক প্রথমে রাধারাণীর গলার আওয়াজে এবং পরে তার হাতের ছোঁয়ায় বুঝতে পারেন রাধারাণী খুবই ছোটো একটি মেয়ে।

রাধারাণীকে বয়স জিজ্ঞাসা করলে সে কত বলেছিল?

উত্তর: রাধারাণী প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছিল যে, তার বয়স দশ-এগারো বছর।

রাধারানী গল্পের বিষয়বস্তু, রাধারানী গল্পের সারাংশ

রাধারাণী বড়ো ঘরের সন্তান, একসময় তাদের আর্থিক প্রাচুর্য ছিল। ভাগ্যের ফেরে এমন দুরবস্থার মধ্যে পরেও সে কিন্তু আজন্মলালিত মূল্যবোধ হারায়নি, হারায়নি তার মায়ের শিক্ষা। রাধারাণীর মা এবং রাধারাণী উভয়ের মধ্যেই লোভহীনতা, সততা, এবং সামাজিক সৌজন্যবোধ এই গুণগুলির প্রকাশ দেখতে পাই।

রাধারানী গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর

রাধারানী বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা রাধারাণী’ কাহিনি অবলম্বনে রাধারাণী চরিত্র আলোচনা কর।

উত্তরঃ সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘রাধারাণী’ কাহিনির প্রধান চরিত্র রাধারাণী। রাধারাণী এগারো বছর বয়সের বালিকা। তার বিধবা মায়ের একমাত্র কন্যাসন্তান। সে অত্যন্ত বাস্তববাদী। সে নিজমুখে রুক্মিণীকুমারকে পরিচয় দিয়েছে ‘আমি দুঃখীলোকের মেয়ে বলে। প্রকৃতপক্ষে সে ধনী ও সুখী পরিবারের মেয়ে ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে তারা সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব কুটিরবাসী হয়েছে। তাই বুদ্ধিমতী বালিকা রাধারাণী বনফুল তুলে মালা গেঁথে একা রথের মেলায় গেছে মালা বিক্রি করে সেই পয়সায় মায়ের পথ্যের ব্যবস্থা করতে। বালিকার এই উপস্থিত বুদ্ধি, সাহস ও মায়ের প্রতি মমত্বের তুলনা হয় না।

রাধারাণী অপরিচিত মানুষটির কাছে কোনো কথা গোপন করেনি। তার সত্যবাদিতা ও সারল্য প্রশংসনীয়। সে সৎ মনোভাবের বালিকা। ফুলের মালার ন্যায্য মূল্যই সে চায়। সেজন্য পয়সা না টাকা তা নিয়ে তার সংশয় মেটানোর জন্য লোকটিকে নানাভাবে প্রশ্ন করেছে। এমনকি আলো জ্বেলে টাকা দেখার পরে টাকা ফেরত দিতে গিয়ে সে যখন দেখে লোকটি চলে গেছে তখন টাকা ফেরত দিতে না পারায় সে সংশয় অনুভব করে। মালা বিক্রি করে সেই মূল্যে বাবদ দানের টাকা খরচ করেছে, কিন্তু ঘরে পড়ে থাকা নোটে মালিকের নাম লেখা থাকা স্বত্তেও তা সে খরচ করতে পারে না। সে আসলে লোভী নয়।তার মায়ের এসব শিক্ষা ও পরামর্শ রাধারাণীর জীবনে পরম সম্পদ।

তোমার বাড়ি কোথায় রাধারানী এই প্রশ্নের উত্তরে কি বলেছিল

উত্তর- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত রাধারানী গল্প অবলম্বনে আগন্তুক শ্রী রক্ষিণীকুমার রায় রাধারানী থেকে তার বাড়ির ঠিকানা জানতে চাইলে রাধারানী জানিয়েছিল তার বাড়ি শ্রীরামপুরে।

রাধারানী উপন্যাস pdf

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

আশীর্বাদ গল্পের প্রশ্ন উত্তর

Q1. দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি কী আকর্ষণ করত?

উত্তর। রূপকথা, উপকথা এবং লােককথার গল্প দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করত।

Q2. তিনি শিশুসাহিত্যের কোন পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন?

উত্তর। তিনি বঙ্গীয় শিশু সাহিত্য পরিষদ থেকে ভুবনেশ্বরী পদকে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

Q3. পিপড়ে কোথায় আশ্রয় নিয়েছিল ?

উত্তর। বন্যার সময় পিপড়ে একটি ঘাসের পাতার নীচে আত্মরক্ষার্থে আশ্রয় নিয়েছিল।

Q4. বৃষ্টির সময়ে গাছের পাতা কাঁপছিল কেন ?

উত্তর। বৃষ্টির প্রবল ঝাপটায় গাছের পাতারা নিজেদের সামলাতে না পেরে কাপছিল।

Q5. পিপড়ে নিজেকে বাঁচাবার জন্য কী করল?

উত্তর। নিজেকে বাঁচাবার জন্য পিপড়ে ঘাসের পাতার শিরা আঁকড়ে ধরে ঝুলে থাকল।

Q6. “বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল পিপড়ের।” কেন এমন হল?

উত্তর। পিপড়ে জলবৃষ্টির কাছ থেকে শুনল যে শরৎকাল এলে ঘাস থেকেই কাশফুল ফোটে। তাই পিঁপড়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করল এবং তার বুক ভেঙে নিশ্বাস পড়ল।

Q7. “শরতের আশীর্বাদ তােমাদেরও উপরে পরুক।”—কে এমনটি কামনা করেছিল?

উত্তর। শরতের আকাশে মেঘ কেটে গেলে সূর্য কামনা করেছিল যেন শরতের আশীর্বাদ সকলের উপর ঝরে পড়ে।

Q8. পিপড়েৰ বাসস্থান সম্পর্কে অনধিক তিনটি বাক্যে লেখাে

উত্তর। পিপড়ের বাসস্থান মাটির নীচে গর্তের মধ্যে। সারাদিন ধরে তার কাজ হল খাদ্য সংগ্রহ করা তাই সে সর্বদা ব্যস্ত। দিনের শেষে তারা তাদের মাটির গর্তে ফিরে যায়। তারা ভাবে মাটিটা তাদের আর বাকি পৃথিবী অন্য প্রাণীর।

Q9. পাতা গাছের কী প্রয়ােজনে লাগে?

উত্তর। পাতা গাছের একটি প্রয়ােজনীয় অঙ্গ। সূর্যের আলােকে ধরে খাদ্য তৈরির কাজে এবং সালােকসংশ্লেষের জন্য পাতার প্রয়ােজন হয়।

Q10. প্রকৃতির বুকে শরতের আশীর্বাদ কীভাবে ঝরে পড়ে ?

উত্তর। ঋতুচক্রের আবর্তনে স্বাভাবিক নিয়মে বর্ষার পর আসে শরৎ। শরতে বর্ষার ঘাস কাশবন হয়ে হাসি ছড়ায়। তাই শরতের আগমন বর্ষার বিদায়বার্তা ঘােষণা করবে। সূর্য আবার হাসবে এবং প্রকৃতিতে আর বৃষ্টির উপদ্রব থাকবে না।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।