“পশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি।” –এই সুখের পরিচয় দাও।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Model Activity Task Class 9 Bangla Part 7 | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

“পশ বছর ধরে সুখ খুঁজে খুঁজে এতদিনে পেয়েছি।” –এই সুখের পরিচয় দাও।

উত্তর: লিও তলস্তয় রচিত ‘ইলিয়াস’ গল্পে বৃদ্ধ ইলিয়াস দম্পতি অবশেষে। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যজীবন পেরিয়ে সুখ খুঁজে পেয়েছে |দীর্ঘ পঞশ বছরের দাম্পত্যজীবনের বেশিরভাগ সময়ই তাদের কেটেছে।

প্রাচুর্যে। শাম-শেমাগি এ প্রসঙ্গে বলে, সেই জীবনে নিজেদের জন্য তাদের কোনাে সময় ছিল না। এমনকি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করারও সময় ছিল না |কিন্তু বর্তমানে সর্বহারা হয়ে ভাড়াটে মজুরের কাজ করে তারা প্রকৃত সুখের সন্ধান পেয়েছে|

মনিবের সেবা করার ফঁাকে নিজেদের মধ্যে সুখ-দুঃখের কথা আলােচনা করা কিংবা ভগবানের কাছে প্রার্থনা জানানাের জন্যও যথেষ্ট সময় আছে | অর্থের দুশ্চিন্তাও আর তাদের নেই।

ভ্রমণ সাহিত্য হিসেবে পথে প্রবাসের সার্থকতা, ভ্রমণ সাহিত্য হিসাবে পথে প্রবাসের সার্থকতা, ভ্রমন সাহিত্য হিসেবে পথে প্রবাসের সার্থকতা

উত্তর: বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণ কাহিনি রচয়িতা হিসাবে অন্নদাশংকর রায়ের কথা স্মরণ করা যায়। তাঁর লেখা ‘পথে প্রবাসে’ গ্রন্থটি বাংলা ভ্রমণ সাহিত্যের একটি অনন্য নজির। গ্রন্থটিতে ১৯২৬-১৯২৯ খ্রিস্টাব্দের সমসাময়িক ইউরোপের কথা ভ্রমণের অনুষঙ্গে বিধৃত হয়েছে।

‘পূর্ব কথা’ সহ মোট ২২টি পর্বের (সাধারণ ভাবে ২১টি) বিভক্ত অন্নদাশংকরের ‘পথে প্রবাসে’ গ্রন্থটি। প্রথম মহাযুদ্ধোত্তর ইউরোপই তাঁর বর্ণনার বিষয় পর্যবেক্ষণের বিষয়। ভারতবর্ষীয় প্রসঙ্গও তুলনামূলক প্রক্রিয়ায় ফুটে উঠেছে। বর্ণনীয় বিষয়কে ক্ষণে ক্ষণেই লেখক দার্শনিক সম্বন্ধে সাহিত্যিক ব্যঞ্জনার সমৃদ্ধ করেছেন। উদাহরণ হিসাবে জাহাজে উঠবার মুহূর্তটিকে স্মরণ করা যায়।

“ভারতবর্ষের মাটির উপর থেকে শেষবারের মতো পা তুলে নিলুম আর সদ্যোজাত শিশুর মতো মায়ের সঙ্গে আমার যোগসূত্র এক মুহূর্তে ছিন্ন হয়ে গেল।”

ইউরোপ পৌঁছতে অন্নদাশংকরকে জাহাজে যেতে হয়েছে, আরবসাগর, লোহিত এবং সুয়েজ ক্যানেল হয়ে পৌট সৈয়দ, তারপর ফ্রান্সের দ্বিতীয় শহর মার্সেলসে। মার্সেলস থেকে রেলপথে প্যারিস হয়ে ক্যালে হয়ে ডোভার, ডোভার থেকে লন্ডন। ভ্রমণ পথের দীর্ঘমেয়াদী অভিজ্ঞতা রোমাঞ্চকর বর্ণনার অনুষঙ্গে সঞ্জীবিত। লন্ডনের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের পর্ব লিপিবদ্ধ হয়েছে রসময়তার সঙ্গেই— “লন্ডনের সঙ্গে আমার শুভদৃষ্টি হল গোধূলিলগ্ন হতে না হতেই সে চক্ষু নত করে আঁধারের ঘোমটা টেনে দিলে। প্রথম পরিচয়ের বিস্ময় ব্যাহত হয়ে যখন অধীর হয়ে উঠল তখন মনকে বোঝালাম, এখন এতো আমারই। আবরণ-এর দিনে খুলবো।”

নিসর্গ বর্ণনাও নিতান্ত সাদা-সিধে ভাবে নয়—দৈনন্দিন জীবনচর্যার সংমিশ্রণে এ গ্রন্থে প্রস্ফুটিত— “গাছেরা নতুন দিনের নতুন ফ্যাশান অনুযায়ী সাজ বদলে ফেলেছে, তাদের এই কাঁচা সবুজ রঙের ফ্রকটিকে তারা নানা হলে দেখাচ্ছে, ঘুরে ফিরে দেখাচ্ছে, অর্ধেক খুলে দিচ্ছে।”

ভ্রমণকথা যে উচ্চাঙ্গের সাহিত্য বস্তু হয়ে উঠতে হয় এ বর্ণনা তার প্রমাণ দেয়। বস্তুত ‘পথে ও প্রবাসে’ গ্রন্থটি ভ্রমণ সাহিত্যের এক আদর্শ নিদর্শন। এর ভূমিকা অংশে অন্নদাশংকর জানিয়েছেন— “এ ভ্রমণ বৃত্তান্ত যে একখানি যথার্থ সাহিত্য গ্রন্থ এ বিষয়ে আমার মনে কোনো সন্দেহ নেই এবং আমার বিশ্বাস সাহিত্য রসের রসিক মাত্রেই আমার সঙ্গে এ বিষয়ে একমত।”

আর ভ্রমণে গিয়ে নিজের মনের অবরুদ্ধ আনন্দকে লেখক এভাবেই ব্যক্ত করেছেন— “যে আনন্দ আমি পাচ্ছি সে আনন্দ আর দশজন পাচ্ছে না। যাতে পায় সেই জন্যেই আমি কলম তুলি ধরি। আর সে কলম আপনি আপনাকে চালিয়ে নিয়ে যায় ভ্রমণ কাহিনি আর এমনি করে আমি সৃষ্টির সুখ পাই।”

ভ্রমণ কাহিনি নিয়ে অন্নদাশংকর রায় তেমন করে ভাবেননি। কীভাবে তা রচনা করতে হয় এবং কেমন তার রচনা কৌশল হওয়া আবশ্যক, তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি— “যেমনটি দেখেছি, তেমনটি দেখাতে কৌশল নয়। সকলে সব জিনিস দেখেনা। সকলের চোখে সব জিনিস ধরা পড়ে না। বিশেষ একজনের চোখে বিশেষ বিশেষ একটা দৃশ্য ঘোমটা খুলে মুখ দেখায়। সেইজন্য একই জিনিস একশোজন দেখে থাকলেও একের দেখা অপরের দেখা নয়। এই দর্শন ছাড়া আর কোনো কৌশল আমি তো জানিনে।”

সর্বোপরি এইসব উদ্ধৃতি ভ্রমণ সাহিত্যের রচয়িতা হিসাবে অন্নদাশংকরকে স্বর্ণ শিখরে বসিয়ে রেখেছে।

পথে প্রবাসে নামকরনের অর্থ কি, পথে প্রবাসে ও নির্বাচিত প্রবন্ধ

উত্তর: অন্নদাশঙ্কর রায় অন্যান্য ভ্রমণকাহিনির থেকে পথে প্রবাসে-র স্বাতন্ত্র্য এইখানেই যে, অন্নদাশঙ্করের চোখ শুধু অবলোকন করেই থেমে থাকেনি, তা তাঁর মনকে প্ররোচিত করেছে অনুভবী বিশ্লেষণে। প্রাচ্য পাশ্চাত্যের নিরন্তর তুলনা করে তিনি উপনীত হয়েছেন গভীর দার্শনিক উপলব্ধিতে।­

যখন অন্নদাশঙ্কর লেখেন, ‘পৃথিবী দিন দিন বদলে যাচ্ছে, মানুষ দিন দিন বদলে যাচ্ছে_কিন্তু উন্নতি? প্রগতি? পারফেকশন? তা কোনোদিন ছিলও না, কোনোদিন হবারও নয়়’, তখন আমরা অনুভব করি ইতিহাস সচতেন তো তিনি বটেই, সেই সঙ্গে পরম প্রজ্ঞাময় এক দ্রষ্টাও ।

পথে প্রবাসে গ্রন্থের রচনা কাল

উত্তর: পথে প্রবাসের রচনাকাল ১৯২৭-১৯২৯।

পথে প্রবাসে, পথে প্রবাসে গল্প, পথে প্রবাসে অন্নদাশঙ্কর রায় pdf

পথে প্রবাসে সমালোচনা

উত্তর: পথে-প্রবাসে’ গ্রন্থ একটি সার্থক গ্রন্থ। লেখক নতুন দেশ নতুন সমাজ নতুন মানুষ দেখেছেন, তাদের থেকে নিয়েছেন জীবনের বিচিত্র বাণী, বিচিত্র অনুরাগ। বস্তুত ইয়োরোপে পৌঁছে লেখকের মন কথা কয়ে উঠেছে। সেই কথা গ্যভাষার ঝরণায় অবলীলায় প্রবাহিত হয়েছে।

একটি চলিষ্ণু ও গ্রহিষ্ণু তরুণ মনের নব দেশ আবিষ্কার রূপে ‘পথে প্রবাসে’ গ্ৰন্থকে গ্রহণ করতে পারি, আবার এক অর্থে এটি লেখকেরও আত্ম-আবিষ্কার । এই যুগপৎ আবিষ্কারের বস্তু-বিবরণ নয়, সত্য-বিবরণ ‘পথে প্রবাসে’। আধুনিক ইয়োরোপ ও আধুনিক ভারতবর্ষ, প্রাচীন ইয়োরোপ ও আধুনিক ইয়োরোপ, প্রাচীন ইয়োরোপ ও আধুনিক ভারতবর্ষ : নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখক তাঁর কালের চেহারাটা দেখেছেন ও দেখিয়েছেন।

‘পথে প্রবাসে’র শিল্পরীতিটিও লক্ষণীয়। সূচনার নাটকীয় আকস্মিকতা যেমন উপভোগ্য, সমাপ্তিতে বিরহ-দীর্ণ সুরও তেমন মর্মস্পর্শী । সূচনায় বিচ্ছেদ, সমাপ্তিতে বিরহ — দুয়ে মিলের চেয়ে অমিলই বেশি, কেননা ইতঃমধ্যে নবীন ইয়োরোপের স্পর্শে লেখকের নবজন্ম ঘটে গিয়েছে। সুচনায়— “ভারত- বর্ষের মাটির ওপর থেকে শেষবারের মতো পা তুলে নিলুম আর সদ্যোজাত শিশুর মতো মায়ের সঙ্গে আমার যোগসূত্র এক মুহূর্তে ছিন্ন হয়ে গেল।

একটি পদক্ষেপে যখন সমগ্র ভারতবর্ষের কক্ষচ্যুত হয়ে অনস্ত শূন্যে পা বাড়ালুম তখন যেখান থেকে পা তুলে নিলুম সেই পদ-পরিমাণ ভূমি যেন আামাকে গোটা ভারতবর্ষেরই স্পর্শ-বিরহ অনুভব করিয়ে দিচ্ছিল; প্রিয়জনের আঙুলের ডগাটুকুর স্পর্শ যেমন প্রিয়জনের সকল দেহের সম্পূর্ণ স্পর্শ অনুভব করিয়ে দেয়, এও যেন তেমনি।” আর সমাপ্তিতে—“আমি ভাবি আবার কবে ইউরোপের সঙ্গে মিলিত হব, কথা রাখব। দিনের পর দিন যায়। ইউরোপের স্মৃতি অস্পষ্ট হতে থাকে।

সত্যি কি কোনোকালে ইউরোপে ছিলুম ?” এই স্নেহ-বিচ্ছেদ আর প্রেম-বিরহে মিলে জীবনের সম্পূর্ণতা। অন্নদাশঙ্কর তা আমাদের দিয়েছেন ।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9

শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.

ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | Model Activity Task Class 9 Bangla Part 7

Q1. দেনা পাওনা গল্পের বিষয়বস্তু

Ans – বিশ্বখ্যাত গল্পকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) রচিত ‘দেনাপাওনা’ গল্পের নিরূপমার কাহিনি ও উদ্দীপকের ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, এদের কাহিনি একই সূত্রে গাঁথা যায় না।

‘দেনাপাওনা’ গল্পে দেখা যায়, নিরূপমাকে পারিবারিকভাবেই রায়বাহাদুরের একমাত্র ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়। নিরূপমার শ্বশুরবাড়ি নিরূপমার পরিবারের কাছে দশ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। কিন্তু এত টাকা যৌতুকের ভার বহন করতে পারে না নিরূপমার পরিবার, সময়মত যৌতুকের টাকা শোধ করতে না পারায় নিরূপমাও নিরূপমার পরিবারকে সহ্য করতে হয় অসহনীয় অত্যাচার অবহেলা ও অপমান।

যেসব স্বপ্ন নিয়ে নিরূপমা প্রবেশ করেছিল তার শ্বশুরবাড়িতে, মুহূর্তেই ভেঙে যায় সে স্বপ্নগুলো। আর এই প্রতিকূল পরিবেশে আর মানিয়ে নিতে না পেরে এক কঠিন অসুখে মৃত্যু হয় নিরূপমার।

‘দেনাপাওনা’ গল্পে নিরূপমা ও নিরূপমার পরিবার সমাজের ঘাতক ব্যাধি যৌতুক প্রথার শিকার। আর এরই ফলশ্রুতিতে তাদের সহ্য করতে হয় অপমান ও লাঞ্ছনার বোঝা। আর এই অপমান ও অবহেলার ভার সহ্য করতে না পেরে নিরূপমা একদিন পাড়ি জমায় মৃত্যুর পথে।

অপরদিকে উদ্দীপকে দেখা যায়, বিজুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিজুকে অত্যন্ত আদর যত্ন করে এবং বিজুর মা-বাবার সাথেও সৌহার্দমূলক আচরণ বজায় রাখে। যৌতুক বা অন্য কোনো কুপ্রথার বশীভূত নয় বিজুর শ্বশুরবাড়ি। বিজু তার
শ্বশুরবাড়িতে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করে। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনা ও নিরূপমার কাহিনি একই সূত্রে গাঁথা যায় না।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।