- মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 8, মানুষের খাদ্য
- খাদ্য কাকে বলে
- খাদ্য জাল কি, খাদ্য জাল কাকে বলে, খাদ্য জালিকা কি, খাদ্য জালিকা কাকে বলে
- খাদ্য শৃংখল, খাদ্য শৃঙ্খল, খাদ্য শৃংখল কাকে বলে
- খাদ্য পিরামিড, খাদ্য পিরামিড কাকে বলে
- খাদ্য তন্তু কাকে বলে
- খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্য জালের মধ্যে পার্থক্য, খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্যজাল এর মধ্যে পার্থক্য
- সংশ্লেষিত খাদ্য কাকে বলে
- খাদ্যের শারীরবৃত্তীয় শক্তিমূল্য কাকে বলে
- কোন খাদ্যে শর্করা জাতীয় খাদ্যের প্রাধান্য আছে
- FAQ | খাদ্য শৃঙ্খল
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 6 পরিবেশ ও বিজ্ঞান Part 8, মানুষের খাদ্য
খাদ্য কাকে বলে
যে সমস্ত আহার্য সামগ্রিক গ্রহণের মাধ্যমে জীব দেহের পুষ্টি, বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণ ঘটে এবং প্রয়োজনীয় তাপ শক্তির যোগান পাওয়া যায় তাকে খাদ্য (Food) বলে।
খাদ্যের সংজ্ঞা
মানুষ বা প্রাণি যা খায় তাই খাদ্য নয়। খাদ্য হচ্ছে যেসব বস্তু বা দ্রব্য যা আহার করলে, আহার্য বস্তু হজম হয়ে বিশোষিত হবে এবং বিশোষণের পর রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনমত কাজে লাগবে। দেহের বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ, রক্ষণাবেক্ষণ, তাপ ও শক্তি উৎপাদন করে, শরীরকে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম রাখবে।
যেমন: চাল, ডাল, মাছ, মাংস, শাক, সবজি, ফলমূল, দুধ, চিনি, পানি ইত্যাদি।
খাদ্য জাল কি, খাদ্য জাল কাকে বলে, খাদ্য জালিকা কি, খাদ্য জালিকা কাকে বলে
বাস্তুতন্ত্র অসংখ্য আন্তঃসম্পর্ক যুক্ত খাদ্য শৃঙ্খল দ্বারা গঠিত।কোন বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির আন্তঃসম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা খাদ্য শৃঙ্খলগুলি বিভিন্ন ভাবে খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে একে অপরের সাথে যুক্ত হলে, পরিবেশে বিভিন্ন খাদ্য শৃঙ্খলে মধ্যে খাদ্যের আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে যে জটিল জালিকার মত অবস্থা সৃষ্টি হয়; তাকে খাদ্যজাল বা খাদ্য জালিকা বা Food Web বলে।
খাদ্য জালিকা টিকা, খাদ্য জালিকা টীকা, খাদ্য জালিকা সম্বন্ধে টীকা, খাদ্য জালিকা, খাদ্য জালিকা সম্পর্কে টীকা, খাদ্য জালিকা সম্বন্ধে একটি টীকা, খাদ্য জালিকা সম্বন্ধে টীকা লেখ, খাদ্য জালিকা সম্পর্কে টিকা
বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা খাদ্যশৃঙ্খলগুলি নানাভাবে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হলে, পরিবেশে বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে খাবারের আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে যে জাল গড়ে ওঠে তাকে খাদ্য জাল বা খাদ্যজালিকা বা ফুড ওয়েব (Food Web) বলে।
খাদ্যজাল সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ হলো খাদ্যশৃঙ্খলের সদস্য প্রাণীদের খাদ্যাভ্যাস গত বৈশিষ্ট্য।কিছু খাদক প্রাণী যখন একই ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে তখন তারা একটি খাদ্যশৃঙ্খলের সদস্য হয়।কিন্তু কিছু প্রাণী যখন অসংখ্য ভিন্ন প্রকৃতির খাদ্য গ্রহণ করে তখন তাদের খাদ্যস্তরও ভিন্ন ভিন্ন হয়।
অর্থাৎ কোন একটি প্রাণী কোন খাদ্যশৃঙ্খলের প্রথম শ্রেণীর খাদক হলেও পৃথক একটি খাদ্যশৃঙ্খলের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শ্রেণীর খাদক হতে পারে। এর ফলে বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন প্রাণী গোষ্ঠীর মধ্যে অসম খাদ্য-খাদক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে একটি জটিল জালিকার মত অবস্থা বা খাদ্যজাল সৃষ্টি হয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,
- কোন একটি তৃণভূমির খাদ্য শৃঙ্খলে ঘাস ঘাসফড়িং কর্তৃক, ঘাসফড়িং গিরগিটি কর্তৃক, গিরগিটি বাজপাখি কর্তৃক ভক্ষিত হয়। আবার অপর একটি খাদ্য শৃঙ্খলে ঘাস ঘাসফড়িং কর্তৃক, ঘাসফড়িং ব্যাঙ কর্তৃক, ব্যাঙ সাপ কর্তৃক এবং সাপ বাজপাখি কর্তৃক ভক্ষিত হয়।
- আবার ঘাসফড়িং এর অনুপস্থিতিতে ঘাস খরগোশ কর্তৃক এবং খরগোশ বাজপাখি কর্তৃক ভক্ষিত হয়ে তৃতীয় একটি খাদ্য শৃঙ্খল গঠন করে।
- আবার ঘাস ইঁদুর কর্তৃক, ইঁদুর সাপ কর্তৃক এবং সাপ বাজপাখি কর্তৃক ভক্ষিত হয়ে আরো একটি খাদ্যশৃঙ্খল গঠন করে।
এই ভাবে দেখা যাচ্ছে তৃণভূমির বাস্তুতন্ত্রে ঘাসকে কেন্দ্র করে মোট চারটি খাদ্য শৃংখল ঘটিত হলো, যা জালের ন্যায় জটিল আকৃতি বা খাদ্যজাল গঠন করেছে।
খাদ্যজালের গুরুত্ব
বাস্তুতন্ত্র তথা সমগ্র জীব মন্ডলের অস্তিত্ব রক্ষার প্রশ্নে খাদ্যজালের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ খাদ্যজালের মাধ্যমে স্বভোজী উদ্ভিদ থেকে খাদ্য ও শক্তি একাধিক পথে ও বহুমুখী ভাবে অন্যান্য জীবে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে সবুজ উদ্ভিদ ব্যতীত অন্যান্য জীবগুলি তাদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও শক্তি পেয়ে থাকে।
খাদ্যজালের মাধ্যমে বাস্তুতন্ত্রে বিভিন্ন জীব গোষ্ঠীর পারস্পরিক আন্তঃসম্পর্কের প্রকৃত স্বরূপ ফুটে ওঠে। এক্ষেত্রে কোন প্রজাতি বিলুপ্ত হলেও অসংখ্য প্রজাতির উপস্থিতির জন্য শক্তি সরবরাহ অক্ষুন্ন থাকে। কিন্তু সমগ্র খাদ্যজাল নষ্ট হলে বাস্তুতন্ত্রের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়ে। তাই পরিবেশের সজীব উপাদানগুলির তথা বাস্তুতন্ত্রের বিভিন্ন সজীব উপাদানগুলির ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে খাদ্যজালের গুরুত্ব অপরিসীম।
খাদ্য শৃংখল, খাদ্য শৃঙ্খল, খাদ্য শৃংখল কাকে বলে
যে প্রক্রিয়ায় খাদ্যশক্তি নীচের পুষ্টি স্তর থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টিস্তর পর্যন্ত অর্থাৎ উৎপাদক থেকে খাদ্যখাদক সম্পর্কীত বিভিন্ন জীবগোষ্ঠীর মধ্যে প্রবাহিত বা স্থানান্তরিত হয়, সেই শৃঙ্খলিত পর্যাক্রমিক শক্তির প্রবাহ বা স্থানান্তরকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে। অন্যভাবে বলা যায় খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ভিত্তিতে উৎপাদক স্তর থেকে ধাপে ধাপে বিভিন্ন জীবগোষ্ঠীর মধ্যে খাদ্য শক্তির ধারাবাহিক প্রবাহকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
খাদ্যশৃঙ্খলের উদাহরন
- জলজ উদ্ভিদ (ফাইটোপ্লাংটন) – পতঙ্গ – মাছ – মানুষ (জলজ বাস্তুতন্ত্র) ও
- উদ্ভিদ – হরিন – বাঘ (অরন্যের বাস্তুতন্ত্র)।
খাদ্য-শৃঙ্খলের, খাদ্য শৃঙ্খল এর ছবি
খাদ্য পিরামিড, খাদ্য পিরামিড কাকে বলে
বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পুষ্টিস্তরের পুষ্টি গঠনকে বা খাদ্যের যোগান ব্যবস্থাকে পরপর ক্রমপর্যায়ে নীচ থেকে উপরের দিকে সাজালে যে পিরামিড শিখর গঠিত হয়, তাকে খাদ্য পিরামিড বা বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিড বলে।
খাদ্য পিরামিডের গঠন
খাদ্য পিরামিডের ভূমিতে অবস্থান করে উৎপাদক জীব তথা সবুজ উদ্ভিদ। এই উৎপাদক স্তরে জীবের সংখ্যা, শক্তির পরিমাণ ও জীবভরের পরিমাণ সবথেকে বেশি থাকে।এরপর খাদ্য পিরামিডের অন্যান্য খাদ্য স্তরগুলিতে তথা প্রথম শ্রেণীর খাদক, দ্বিতীয় শ্রেণীর খাদক, তৃতীয় শ্রেণীর খাদক প্রভৃতি প্রতিটি পুষ্টিস্তরে জীবের সংখ্যা, শক্তির পরিমাণ ও জীবভরের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে এবং সর্বোচ্চ স্তরে জীবের সংখ্যা, শক্তির পরিমাণ ও জীবভরের পরিমাণ সবচেয়ে কম হয়।
এইভাবে বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে খাদ্য-খাদক সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে একটি পিরামিড আকৃতির চিত্র অংকিত হয় বা খাদ্য পিরামিড বা বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিড গঠিত হয়।
বাস্তুতন্ত্রের খাদ্য পিরামিড এর প্রবক্তা কে
1939 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস এলটন সর্বপ্রথম এই খাদ্য পিরামিড বা বাস্তুতান্ত্রিক পিরামিডের ধারণা দেন। চার্লস এলটনেরর নাম অনুসারে খাদ্য পিরামিডকে এলটোনিয়াম পিরামিডও বলা হয়।
খাদ্য তন্তু কাকে বলে
কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাদ্যের যে সমস্ত তন্তুর মতো অংশগুলি উৎসেচকের সাহায্যে পাচিত হয়, অপাচ্য অবস্থায় জলের সঙ্গে নির্গত হয়, তাদের খাদ্যতন্তু বলে । যেমন- সেলুলোজ, লিগনিন, পেকটিন প্রভৃতি।
খাদ্য তন্তু উৎস হল শজনে ডাঁটা, বাঁধাকপি, চাল, আপেল, বীজের খোসা, ওট ইত্যাদি।
খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্য জালের মধ্যে পার্থক্য, খাদ্য শৃঙ্খল ও খাদ্যজাল এর মধ্যে পার্থক্য
খাদ্য শৃঙ্খল | খাদ্যজাল |
---|---|
সূর্যশক্তি খাদ্যের মাধ্যমে এক জীব হতে অপর জীবে স্থানান্তরের ফলে যে শৃঙ্খল গঠিত হয় তাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে। | একটি নির্দিষ্ট পরিবেশে খাদ্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা একাধিক খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতার ভিত্তিতে যে আন্তঃসম্পর্ক গড়ে ওঠে তাকে খাদ্যজাল বলে। |
খাদ্যশৃঙ্খল বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণীর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতাকে প্রকাশ করে। | খাদ্যজাল বিভিন্ন খাদ্যশৃঙ্খলের মধ্যে সম্পর্ক প্রকাশ করে। |
খাদ্যশৃঙ্খল একটি পরিবেশে কয়েকটি খাদ্যশৃঙ্খল থাকতে পারে। | একটি পরিবেশে একটি খাদ্যজাল থাকে। |
সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্যশৃঙ্খলের শুরু। | খাদ্যজালের শুরুর উপাদানটি নির্দিষ্ট নয়। |
খাদ্যশৃঙ্খলে খাদক উৎপাদক, বিয়োজক একসঙ্গে নাও থাকতে পারে। | খাদ্যজালে খাদক, উৎপাদক, বিয়োজক এক সঙ্গে থাকে। |
একটি পরিবেশে কয়েকটি খাদ্যশৃঙ্খল থাকতে পারে। | একটি পরিবেশে একটি খাদ্যজাল থাকে। |
সংশ্লেষিত খাদ্য কাকে বলে
কৃত্রিম খাদ্যকে খাদ্য পদার্থ বা পণ্য হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে না হয়ে কৃত্রিমভাবে উত্পাদিত হয়।
- এগুলি সাধারণত চেহারা, গঠন এবং স্বাদ সহ প্রাকৃতিক খাবারের বৈশিষ্ট্যগুলি অনুকরণ করে এবং সাধারণত নিয়ন্ত্রিত পরীক্ষাগারের অবস্থার অধীনে তৈরি করা হয়।
- কৃত্রিম খাদ্যের উৎপাদন খাদ্য আইটেমগুলির জিনগত ক্রম চিহ্নিত করার উপর নির্ভর করে যা এর বৈশিষ্ট্যগুলি প্রদান করে।
- আগ্রহের ক্রম তারপর ভিট্রোতে পুনরুত্পাদন করা হয় এবং খামির বা ব্যাকটেরিয়াম উপাদানগুলিতে ঢোকানো হয়, যা লক্ষ্য প্রোটিনগুলির প্রতিলিপি তৈরি করে।
- মাংস কিছুটা ভিন্নভাবে উত্পাদিত হয়, প্রাণীর স্টেম কোষের গুণনের উপর নির্ভর করে, যা অন্যান্য কোষের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, অবশেষে কৃত্রিম মাংসের টিস্যু গঠনের প্রতিলিপি করে।
প্রোটিন বাঁচোয়া খাদ্য কাকে বলে কেন
প্রাণিজ প্রোটিন গ্রহন না করেও শুধুমাত্র প্রচুর পরিমাণে শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য খেয়ে মানুষ সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন যাবৎ বেঁচে থাকতে পারে। এই জন্য শ্বেতসার জাতীয় খাদ্যকে প্রোটিন বাঁচোয়া খাদ্য বলা হয়।
- উপাদানঃ কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন সমন্বয়ে প্রোটিন গঠিত। অনেক সময় সালফার এবং ফসফরাসও প্রোটিনে থাকে। প্রোটিন-অণু অসংখ্য অ্যামাইনো অ্যাসিডের সমন্বয়ে গঠিত হয়।
- উৎসঃ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ছানা ইত্যাদিতে প্রাণিজ আমিষ এবং ডাল, সয়াবিন, বীন, গম ইত্যাদিতে উদ্ভিজ্জ আমিষ পাওয়া যায়। প্রানিজ আমিষে অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিডের প্রায় সব গুলিই থাকে বলে প্রাণিজ আমিষকে প্রথম শ্রেণীর আমিষ বা প্রোটিন বলে।
খাদ্যের শারীরবৃত্তীয় শক্তিমূল্য কাকে বলে
মৌলিক শারীরিক ক্যালোরিফিক মান ছাড়াও, শারীরবৃত্তীয় ক্যালোরিফিক মান একটি জীবের শক্তি গ্রহণের জন্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। এটি শারীরবৃত্তীয় ক্যালোরিফিক মানকে বিপাকীয় শক্তি সরবরাহের পরিমাপের জন্য একটি উপযুক্ত হাতিয়ার করে তোলে।
পুষ্টির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শারীরবৃত্তীয় ক্যালোরিফিক মান হল:
- 38,9 kJ/g চর্বি (9,29 kcal/g)
- 17,2 kJ/g প্রোটিন (4,11 kcal/g) (শারীরিক ক্যালোরিফিক মান: 23 kJ/g)
- 17,2 kJ/g কার্বোহাইড্রেট (4,11 kcal/g)
- 29,7 kJ/g ইথানল (অ্যালকোহল) (7,09 kcal/g)
খাদ্য ও পুষ্টি তালিকা
প্রোটিন হল উচ্চ ভর বিশিষ্ট নাইট্রোজেন যুক্ত জটিল যৌগ। এটি কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত। আমাদের শরীরের অস্থি, পেশি থেকে শুরু করে নাক, চুল, দাঁত পর্যন্ত প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
- ডিম:- প্রতিদিন একটি ডিম মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়। একটি ডিমে রয়েছে সাত থেকে আট গ্রাম প্রোটিন।
- পনির:- পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন। দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে পনির অন্যতম। পনিরে প্রোটিনের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে যা হাড় ও দাঁতকে মজবুত রাখে।
- মাছ ও মাংস:- প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে জনপ্রিয় খাবার মাছ ও মাংস। মাছ ও মাংসে রয়েছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন। যা দেহের মাংসপেশি শক্তিশালী করে।
- দুধ:- দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মেটায়। এক কাপ দুধে রয়েছে প্রায় সাত থেকে আট গ্রাম প্রোটিন।
কোন খাদ্যে শর্করা জাতীয় খাদ্যের প্রাধান্য আছে
আমাদের শরীর যেসব খাবার থেকে শক্তি সঞ্চয় করে, তার একটি হচ্ছে শর্করা জাতীয় খাবার। যার মধ্যে রয়েছে স্টার্চ বা শ্বেতসার , চিনি এবং আঁশ।
- আলু, আটা, চাল ও পাস্তার মধ্যে অনেক শ্বেতসার জাতীয় শর্করা রয়েছে।
- কোমল পানীয়, মিষ্টি, প্রক্রিয়াজাত খাবারের ভেতর রয়েছে চিনি।
- শ্বেতসার এবং চিনি, উভয়েই আপনার শরীরের ভেতর চিনি গ্লুকোজে পরিণত হয় আর শক্তি উৎপাদন করে অথবা চর্বিতে পরিণত হয়।
- আরেকটি শর্করা রয়েছে, যাকে বলা হয় পথ্যজাতীয় আঁশ খাবার।
ফলমূল এবং সবজির ভেতর আঁশ রয়েছে। এ ধরণের শর্করা আস্তে আস্তে শক্তি নির্গত করে, যা আমাদের পাকস্থলীর জন্য খুবই ভালো এবং শেষপর্যন্ত সেটি শরীরের ভেতর গিয়ে চর্বিতে পরিণত হয় না।
এমন একটি খাদ্য উপাদান যা থেকে শক্তি পাওয়া যায় না
উত্তর: এমন একটি খাদ্য উপাদান যা থেকে শক্তি পাওয়া যায় না তা হলাে, ভিটামিন।
কোন যুগের মানুষ প্রথম খাদ্য উৎপাদন করতে শিখেছিল
নব্য প্রস্তর যুগে মানুষ প্রথম খাদ্য উৎপাদন করতে শিখেছিল।
বিশ্ব খাদ্য দিবস
১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিসব। ১৯৭৯ সালে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন) ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির তৎকালীন খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. প্যাল রোমানি বিশ্বব্যাপী এই দিনটি উদযাপনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
১৯৮১ সাল থেকে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিষ্ঠার দিনটিতে (১৬ অক্টোবর, ১৯৪৫) দারিদ্র ও ক্ষুধা নিবৃত্তির লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে এই দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | খাদ্য শৃঙ্খল
এমন একটি খাদ্য উপাদান যা থেকে শক্তি পাওয়া যায় না
ভিটামিন থেকে শক্তি পাওয়া যায় না।
খাদ্য শৃংখল কাকে বলে
সূর্যশক্তি খাদ্যের মাধ্যমে এক জীব হতে অপর জীবে স্থানান্তরের ফলে যে শৃঙ্খল গঠিত হয় তাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।