- পদার্থ বিজ্ঞান কাকে বলে
- পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা
- পদার্থ বিজ্ঞানের জনক কে
- আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক কে
- পদার্থ বিজ্ঞান সূত্র
- আর্কিমিডিসের নীতি | Arcitinuedes Principle
- অ্যাভােগাড্রোর সূত্র | Avagadri’s Law
- নিউটনের সূত্রসমূহ (1642-1727) | Newton’s Law
- কুলম্বের সূত্র (1738-1806) | Coulomb’s Law
- স্টিফ্যান্সের সূত্র (1835-1833) | Stefan’s Law
- প্যাস্কালের সূত্র (1623-1662) | Pascal’s Law
- হুকের সূত্র (1635-1703) | Hooke’s Law
- লেঞ্জের সূত্র (1805-1865) | Lez’s Law
- ডালটনের সূত্র (1766-1844) | Dalton’s Law
- ফ্যারাডের সূত্র (1791-1867) | Faraday’s Law
- ওহমের সূত্র (1787-1854) | Ohm’s Law
- পদার্থ বিজ্ঞানীদের নাম
- পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন চিহ্নের নাম
- পদার্থ বিজ্ঞান বই
- FAQ | পদার্থ বিজ্ঞান
পদার্থ বিজ্ঞান কাকে বলে
বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ এবং শক্তির মিথস্ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।পদার্থবিজ্ঞান একটি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান যা শক্তি এবং বলের মতো ধারণার পাশাপাশি স্থান ও কাল সাপেক্ষে পদার্থের গতি নিয়ে আলোচনা করে থাকে। সংক্ষেপে বললে, মহাবিশ্ব কীভাবে আচরণ করে তা বোঝার প্রয়াসে এটি একটি প্রাকৃতিক অধ্যয়ন।
পদার্থবিজ্ঞান(Physics) শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘ফুসিকে’(fusiky) থেকে যার অর্থ– ‘প্রকৃতি সম্প্রর্কিত জ্ঞান ’
পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে প্রকৃতি বিজ্ঞানের সেই শাখা যে শাখায় পদার্থ ও শক্তি,এদের ধর্ম ও প্রকৃতি,এদের পারস্পারিক সম্পর্ক ও রুপান্তর এবং এদের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
অন্যভাবে, পদার্থ ও শক্তির অন্তর্নিহিত দর্শন হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান।
পদার্থবিজ্ঞান শক্তি এবং পদার্থ সম্পর্কিত মৌলিক নীতিগুলি উদঘাটন করতে এবং এই নীতিগুলোর প্রভাব আবিষ্কার করতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। এটি ধরে নেওয়া হয় যে এমন কিছু নিয়ম রয়েছে যার দ্বারা মহাবিশ্ব পরিচালিত হয় এবং সেই নিয়মগুলোর খুব সামান্য অংশ মানুষ বুঝতে পারে।
সাধারণত বিশ্বাস করা হয়ে থাকে যে, যদি আমরা শক্তি ও পদার্থের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা অর্জন করতে পারি, তাহলে সে জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আমরা ভবিষ্যতে বিশ্বজগত কেমন আচরণ করবে তার পূর্বাভাস পেতে পারব। আর এই পথে পদার্থবিজ্ঞান সবচেয়ে বড় সহায়ক।
পদার্থবিজ্ঞানের লক্ষ্য হল চার্জ-যুক্ত ক্ষুদ্র কণার চলাচল থেকে শুরু করে মানুষ, গাড়ি, এমনকি বৃহৎ কোন কিছু সহ সমস্ত কিছুর গতির বর্ণনা দেওয়া। প্রকৃতপক্ষে, আমাদের চারপাশের প্রায় সমস্ত কিছুই পদার্থবিদ্যার আইন দ্বারা সঠিকভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। আপনার হাতের স্মার্ট-ফোনটি কিভাবে কাজ করে, এর ভেতরে সার্কিটগুলি কিভাবে যোগাযোগ করে, কিভাবে আপনার সামনে ভেসে উঠছে আপনার কাঙ্ক্ষিত চিত্রটি, কিংবা কিভাবেই বা মুহূর্তেই দূর দূরান্তে যোগাযোগ করতে পারছেন, এ সব কিছুই পদার্থ বিদ্যার নিয়ম মেনে চলছে।
পদার্থবিজ্ঞান এর মূল উদ্দেশ্য
বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ ও শক্তির সম্পর্ক এবং এদের নিয়ে আলোচনা করা হয় সেই শাখাকে পদার্থবিজ্ঞান বলা হয়।
এর মূল উদ্দেশ্য হল পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও বিশ্লেষণের আলোকে বস্তু ও শক্তির রূপান্তর ও সম্পর্ক উদঘাটন এবং পরিমাপগতভাবে তা প্রকাশ করা। মহাবিশ্বের মধ্যে বিভিন্ন শক্তি এবং পদার্থের মাঝে যে সম্পর্ক এর মাঝে যে রহস্য এগুলো উৎঘাটন করা এগুলো পর্যবেক্ষণ করা এবং বিশ্লেষণ করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা
পদার্থবিজ্ঞানের প্রধান দুটি শাখা রয়েছে, চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান (Classical Physics) এবং আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান (Modern Physics)।
১। চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞান বা শাস্ত্রীয় পদার্থবিজ্ঞান (Classical Physics): চিরায়ত বলবিজ্ঞান হল পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন সূত্রের সমন্বয় যা আধুনিক, স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং ব্যাপকভাবে প্রচলিত সূত্রগুলোর পূর্বনির্দেশ করে।
২। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান (Modern Physics): কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান ও আপেক্ষিকতত্ত্ব কে কেন্দ্র করে যে পদার্থবিজ্ঞান গড়ে উঠেছে তাকে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান বলে।
এছাড়াও পদার্থবিজ্ঞান কে অনেকগুলো শাখায় বিভক্ত করা যায়। নিচে পদার্থবিজ্ঞানের শাখাগুলোর নাম দেওয়া হল।
১। বলবিদ্যা (Mechanics)
- বায়ুগতিবিদ্যা (Aerodynamics)
- বায়োমেকানিক্স (Biomechanics)
- চিরায়ত বলবিদ্যা (Classical mechanics)
- কন্টিনিউয়াম মেকানিক্স (Continuum mechanics)
- গতিবিদ্যা (Dynamics)
- ফ্লুইড মেকানিক্স (Fluid mechanics)
- স্থিতিবিদ্যা (Statics)
- পরিসংখ্যানিক গতিবিদ্যা (Statistical Mechanics)
২। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা (Quantum Physics)
৩। আপেক্ষিকতা (Relativity)
- সাধারণ আপেক্ষিকতা (General Relativity)
- বিশেষ আপেক্ষিকতা (Special Relativity)
৪। পারমাণবিক ও আণবিক পদার্থবিজ্ঞান (Atomic and Molecular Physics)
৫। তাপগতিবিদ্যা (Thermodynamics)
৬। তড়িৎচুম্বকত্ব (Electromagnetism)
৭। তড়িৎ (Electricity)
৮। চুম্বকত্ব (Magnetism)
৯। ভূ-পদার্থবিজ্ঞান (Geo physics)
১০। প্লাজমা পদার্থবিদ্যা (Plasma physics)
১১। আলোক বিজ্ঞান (Optics)
১২। শব্দ ও তরঙ্গ (Sound and oscillation)
১৩। ইলেক্ট্রনিক্স (Electronics)
১৪। রাসায়নিক পদার্থবিদ্যা (Chemical physics)
১৫। প্রকৌশল পদার্থবিদ্যা (Engineering physics)
১৬। কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞান (Solid-state physics)
১৭। কোয়ান্টাম পদার্থবিদ্যা (Quantum physics)
১৮। নিউক্লিয়ার পদার্থবিদ্যা (Nuclear physics)
১৯। কণা পদার্থবিদ্যা (Particle physics)
২০। জীব-পদার্থবিজ্ঞান (Biophysics)
- চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান (Medical physics)
- স্নায়ু পদার্থবিজ্ঞান (Neurophysics)
- কোয়ান্টাম বায়োলজি (Quantum biology)
২১। জোতির্বিজ্ঞান (Astronomy)
- জ্যোতির্গতিবিজ্ঞান (Astrodynamics)
- নভোমিতি বা জ্যোতির্মিতি (Astrometry)
- সেলেস্টিয়াল মেকানিক্স (Celestial mechanics)
- ছায়াপথ-বহিঃস্থ জ্যোতির্বিজ্ঞান (Extragalactic astronomy)
- ছায়াপথ জ্যোতির্বিজ্ঞান (Galactic astronomy)
- ভৌত বিশ্বতত্ত্ব (Physical cosmology)
- গ্রহ বিজ্ঞান (Planetary science)
- নাক্ষত্রিক জ্যোতির্বিজ্ঞান (Stellar astronomy)
২২। জ্যোতিঃ পদার্থবিজ্ঞান (Astrophysics)
২৩। ঘনীভূত পদার্থ পদার্থবিজ্ঞান (Condensed matter physics)
২৪। আবহমণ্ডলীয় পদার্থবিজ্ঞান (Atmospheric physics)
২৫ । পরিগণনামূলক পদার্থবিজ্ঞান (Computational physics)
২৬। গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান (Mathematical Physics)
২৭। সাইকোফিজিক্স (Psychophysics)
২৮। Agrophysics
২৯। Soil physics
৩০। Cryogenics
৩১। Econophysics
৩২। Materials physics
৩৩। Vehicle dynamics
৩৪। Philosophy of physics
পদার্থ বিজ্ঞানের জনক কে
পদার্থবিজ্ঞানের জনক’(father of physics) পদবীটি কোনো একক ব্যক্তির নয়। আলবার্ট আইনস্টাইন,স্যার আইজ্যাক নিউটন এবং গ্যালিলিও এদেরকে সম্মিলিতভাবে পদার্থবিজ্ঞানের জনক( fathers of physics) বলা হয়।
আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক কে
আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানের জনক আলবার্ট আইনস্টাইন। তার আপেক্ষিক তত্ত্ব ও অন্যান্য মৌলিক গবেষণার হাত ধরেই আধুনিক পদার্থ বিদ্যার যাত্রা শুরু হয়। তিনি ছিলেন সর্বকালের সেরা পদার্থবিদদের একজন।
পদার্থ বিজ্ঞান সূত্র
পদার্থবিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সমূহ নিচে দেওয়া হল।
আর্কিমিডিসের নীতি | Arcitinuedes Principle
কোন বস্তুকে তরলে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে নিমজ্জিত করলে বস্তুটি উদ্ধচাপ অনুভব করে, সেই চাপ বস্তু দ্বারা অপসারিত তরলের ওজনের সমান, অর্থাৎ বস্তুটির ওজনের আপাত হ্রাস অপসারিত তরলের ওজনের সমান হয়। এই নীতিটি খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে গ্রীক গাণিতিক আর্কিমিডিসের দ্বারা আবিষ্কৃত।
অ্যাভােগাড্রোর সূত্র | Avagadri’s Law
সম তাপমাত্রায় ও চাপে একই আয়তনের সমস্ত গ্যাসের অণুর সংখ্যা সমান হয়। ইটালীর বিজ্ঞানী অ্যামেডিওস অ্যাভােগাড্রোকে এই প্রকল্পটি 1811 খ্রীঃ প্রেরণা দিয়েছিল এবং পরে তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
নিউটনের সূত্রসমূহ (1642-1727) | Newton’s Law
(I) মহাকর্ষের সূত্র (Law of Gravitation) – এই বিশ্বের বস্তুগুলি পরস্পর পরস্পরকে যে বল দ্বারা আকর্ষণ করে তা বস্তু দুটির ভরের গুণফলের সমানুপাতিক ও তাদের মধ্যে দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক। পৃথিবীর উপরিপৃষ্ঠে বা তার কাছাকাছি কোনাে বস্তুর ভর পৃথিবীর ভরের তুলনায় অনেক কম এবং বস্তু ও পৃথিবীর মধ্যে মহাকর্ষ বলের ফলে বস্তু পৃথিবীর দিকে পতিত হয়। এই কারণে শূন্যস্থানে একটি সীসার ঢাকতি গিনি এবং একটি পালক সমবেগে নীচের দিকে নেমে আসে।
(II) নিউটনের প্রথম গতিসূত্র (Newton’s First Law of Motion) – বাহ্যিক প্রযুক্তি বলের দ্বারা অবস্থার পরিবর্তন না ঘটালে স্থির বস্তু চিরকাল স্থির অবস্থায় এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে, সরলরেখায় গতিশীল থাকে। এই সূত্রকে বলা হয় জাড্য সূত্র।
(III) নিউটনের দ্বিতীয় গতিসূত্র (Newton’s Second Law of Motion) – কোনাে বস্তুর ভরবেগের পরিবর্তনের হার বস্তুটির উপর প্রযুক্ত বলের সমানুপাতিক এবং বল সরলরেখা বরাবর যে দিকে প্রযুক্ত হয় ভরবেগের পরিবর্তন সেই দিকেই ঘটে। আরেকভাবে বললে, বল হলাে ভর ও ত্বরণের গুণফলের সমান।
(IV) নিউটনের তৃতীয় গতিসূত্র (Newton’s Third Law of Motion) – প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া ঘটে। বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়লে বিপরীত দিকে ধাক্কা অনুভূত হয় — এই সূত্রের ভিত্তিতে ঘটে।
(V) নিউটনের শীতলকরণ সূত্র (Newton’s Law of Cooling) – একটি বস্তু যে হারে তার চারিপাশে তাপ বর্জন বা মােচন করে তা বস্তুটির অতিরিক্ত গড় তাপমাত্রার সমানুপাতিক, যদি এই তাপমাত্রা চারিপাশের তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয় এবং যদি এই তাপমাত্রা কোনাে ভাবেই অতিরিক্ত না হয়।
কুলম্বের সূত্র (1738-1806) | Coulomb’s Law
যদি দুটি তড়িৎ আধানের মধ্যেকার বল দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা যায়, তাহলে আধান দুটির মধ্যের বল পূর্বের বল অপেক্ষা 1/4 অংশ কমে যায়। SI পদ্ধতিতে তড়িৎ আধানের একক হলাে কুলম্ব। আবিষ্কারক চার্লস অগুস্টিন ডে কুলম্বের নামে এই এককটির নামকরণ হয়েছে।
স্টিফ্যান্সের সূত্র (1835-1833) | Stefan’s Law
একটি কালাে বস্তু থেকে নির্গত বিকীর্ণ শক্তি, তার পরম তাপমাত্রার চারগুণের সমান।
প্যাস্কালের সূত্র (1623-1662) | Pascal’s Law
(i) তরলের উপর চাপ প্রয়ােগ করলে, পরিবর্তিত সম্পূর্ণ চাপ তরলের সব অংশের উপর পড়ে। হাইড্রলিক চাপের মতাে হাইড্রোলিক মেশিন এই নীতির ভিত্তিতে কাজ করে।
(ii) উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুমন্ডলীয় চাপ কমতে থাকে। চাপের SI একক হলাে প্যাস্কাল। আবিষ্কারক প্যাস্কালের নামে এই এককের নামকরণ হয়েছে।
হুকের সূত্র (1635-1703) | Hooke’s Law
একটি স্প্রিং এর প্রসারণ, তার প্রসারিত হওয়ার টানের সঙ্গে সমানুপাতিক। দ্বিগুণ প্রসারণের জন্য টান দ্বিগুণ হয়।
লেঞ্জের সূত্র (1805-1865) | Lez’s Law
সব তড়িৎ চুম্বকীয় আবেগের ক্ষেত্রে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহের অভিমুখ এমন হয় যে, তা উৎপন্ন হওয়া মাত্রই ঐ প্রবাহের প্রতিক্রিয়া যে কারণে আবিষ্ট প্রবাহের সৃষ্টি হয় সবসময় সেই কারণকে বাধা দেয়।
ডালটনের সূত্র (1766-1844) | Dalton’s Law
একটি মিশ্র গ্যাসের (বাষ্পের) ওপর সম্পূর্ণ চাপ তার উপাদানগুলির প্রতিটির উপর প্রযুক্ত আংশিক চাপের যােগফলের সমান ; অর্থাৎ ঐ মিশ্রণের প্রতিটি উপাদান, মিশ্রণের আয়তনের সম আয়তন অর্জনে যে চাপ প্রদান করে তার সমষ্টির সমান।
1803 সালে ডালটন তার পারমাণবিক তত্ত্বটি প্রকাশ করেন। এখানে বলা হয়েছে — প্রত্যেক পদার্থ যে কণা বা পরমাণু দ্বারা গঠিত তা রাসায়নিক পরিবর্তনের সময় অবিভক্ত থাকে। একই রাসায়নিক মৌলের মধ্যে একই রকম পরমাণু থাকে ; পরমাণুগুলির ওজন অভিন্ন, অন্যদিকে বিভিন্ন মৌলের পরমাণুগুলি বিভিন্ন হয় এবং তাদের ধর্ম, ওজন এবং রাসায়নিক যৌগ গঠনের সময় মৌলের সরল অনুপাতগুলি বিভিন্ন হয়।
ফ্যারাডের সূত্র (1791-1867) | Faraday’s Law
(I) তড়িৎ বিশ্লেষণের সূত্র (Law of Electrolysis):
(a) তড়িৎ বিশ্লেষণের সময় যে পরিমাণে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, তা উৎপন্ন আধানের সঙ্গে সমানুপাতিক।
(b) একই পরিমাণ তড়িৎ আধান দ্বারা যে পরিমাণ পদার্থের ভর মুক্ত হয় বা জমা হয়, তা পদার্থগুলির রাসায়নিক তুল্যাঙ্কের সঙ্গে সমানুপাতিক।
(II) তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশের সূত্র (Law of Electromagnetic Induction):
(a) পরিবাহীর চারপাশের চুম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে পরিবর্তন ঘটানাে হলে পরিবাহীর মধ্যে তড়িৎচুম্বকীয় প্রবাহ আবিষ্ট হয়।
(b) তড়িৎ চুম্বকীয় প্রবাহের মাত্রা, চুম্বকক্ষেত্রের পরিবর্তনের মাত্রার সঙ্গে সমানুপাতিক।
(c) আবিষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় প্রবাহের অভিমুখ, চুম্বকক্ষেত্রের অভিমুখ পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে।
ওহমের সূত্র (1787-1854) | Ohm’s Law
কোনাে তড়িৎ বর্তনীর মধ্যে দিয়ে যে পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহিত হয়, তা নির্ভর করে ব্যাটারীর ভােল্টেজের উপর অথবা যে ডায়নামােটি ব্যাটারীতে ক্ষমতা প্রদান করে তার উপর। অন্যভাবে বললে, একটি পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত তড়িৎ, পরিবাহীর মধ্যে যে বিভব প্রভেদ সৃষ্টি করে তার সঙ্গে সমানুপাতিক এবং পরিবাহীর রােধের সঙ্গে ব্যাস্তানুপাতিক। তড়িৎ রােধের প্রতিষ্ঠাতা, জর্জ সাইমন ওহমের নামে SI পদ্ধতিতে এর একটি নামকরণ হয়েছে, ওহম (Ohm)।
পদার্থ বিজ্ঞানীদের নাম
বর্তমান সমাজ আধুনিকতার কৃতিত্ব সিংহভাগই বিজ্ঞানকে দিতে হয়। আজকে বিজ্ঞানকে আমরা যে পর্যায়ে দেখছি তার পেছনে রয়েছে শত শত বছরের হাজারো নিবেদিত মানুষের শ্রম। আর বিজ্ঞানের রয়েছে অনেক শাখা। এর প্রধান তিনটি শাখা হল ভূতত্ত্ব, পদার্থবিদ্যা, এবং রসায়ন।
এর প্রতিটি শাখাতেই বিজ্ঞানীদের অসামান্য অবদানের জন্যই আমরা আজ আধুনিক সব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছি। এমন অনেক বিজ্ঞানী আছেন যাদের আবিষ্কারের উপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞান এগিয়ে চলেছে। আবিষ্কৃত হয়েছে নিত্য নতুন তত্ব ও প্রযুক্তি। এমনই সেরা ১০ জন বিজ্ঞানী
আলবার্ট আইনস্টাইন
১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন আলবার্ট আইনস্টাইন। তাঁর তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানে অবদান ও আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কিত গবেষণা বিখ্যাত। ১৯৩৩ সালে এডলফ হিটলার জার্মানিতে ক্ষমতায় আসলে দেশটিতে ইহুদী বিদ্বেষ বেড়ে যায়। ওই সময় তিনি বার্লিন একাডেমি অব সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন। ইহুদী হওয়ার কারণে আইনস্টাইন দেশত্যাগ করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে “শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি” হিসেবে ঘোষণা করে।
আইজাক নিউটন
আইজাক নিউটন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ সালে তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি সর্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র উলেখ করেছিলেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। নিউটনই প্রথম দেখিয়েছিলেন, পৃথিবী এবং মহাবিশ্বের সকল বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ২০০৫ সালে রয়েল সোসাইটি বিজ্ঞানের ইতিহাসে প্রভাব বিচারে নির্বাচন আয়োজন করে। ফলাফলে দেখা যায়, নিউটন আইনস্টাইনের চেয়েও অধিক প্রভাবশালী।
গ্যালিলিও গ্যালিলেই
গ্যালিলিও দূরবীক্ষণ যন্ত্রের উন্নয়ন করেছিলেন। আর এই উন্নয়নই জ্যোতির্বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। নিউটনের গতির প্রথম এবং দ্বিতীয় সূত্র ও কোপারনিকাসের মতবাদ প্রমাণে তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন আধুনিক যুগে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অগ্রগতির পেছনে গ্যালিলিওর চেয়ে বেশি অবদান আর কেউ রাখতে পারেনি।
নিকোলা টেসলা
নিকোলা টেসলা পাগল বিজ্ঞানী হিসেবে বহুল পরিচিত। তিনি তড়িৎ শক্তি উন্নয়নের জন্য কাজ করেন। ১৮৮৪ সালে তিনি নিউইয়র্কে চলে যান। সেখানে টমাস আলভা এডিসনের সঙ্গে কাজ শুরু করেন। তার এক্সরে, তড়িৎ বিচ্ছিন্ন চার্জ নিয়ে গবেষণা করেন। টেসলার পেটেন্টের তালিকায় ইলেকট্রিক্যাল কনডেনসার, ট্রান্সফরমার, সার্কিট কন্ট্রোলার, মেথড অব সিগনালিং এবং গতি নির্দেশক যন্ত্র ছাড়াও আরো অনেক কিছু রয়েছে।
জগদীশ চন্দ্র বসু
জগদীশ চন্দ্র বসু ছিলেন একজন বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানী ও উদ্ভিদবিজ্ঞানী। তিনি রেডিও ও মাইক্রোওয়েভ অপটিক্সের অগ্রগতি ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান অবদান রাখেন। তিনি ক্রসকোফোগ্রাফ উদ্ভাবন করেন। চাঁদের একটি ক্রটার তার সম্মানে নামকরণ করা হয়েছে।
টমাস আলভা এডিসন
টমাস আলভা এডিসন গ্রামোফোন, ভিডিও ক্যামেরা এবং দীর্ঘস্থায়ী বৈদ্যুতিক বাতি সহ অনেক যন্ত্র তৈরি করেছেন। তাঁর আবিষ্কার বিংশ শতাব্দীর জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এডিসনের নামে ১,০৯৩টি মার্কিন পেটেন্টসহ যুক্তরাজ্যে, ফ্রান্স এবং জার্মানির পেটেন্ট রয়েছে।
অ্যালেকজান্ডার ফ্লেমিং
আলেকজান্ডার ফ্লেমিং একজন স্কটিশ ডাক্তার, জীববিজ্ঞানী, ফার্মাকোলজিস্ট এবং উদ্ভিদবিজ্ঞানী ছিলেন। ১৯২৩ সালে তাঁর সর্বপ্রথম আবিষ্কার এনজাইম লাইসোজাইম এবং বিশ্বের প্রথম এন্টিবায়োটিক পদার্থ বেনজাইলেননিসিলিন (পেনিসিলিন জি)। তিনি ১৯৪৫ সালে হোয়াড্ড ফ্লোরী ও আর্নেস্ট বরিস চেইন সহ পদার্থবিদ্যা বা মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল
টেলিফোনের আবিষ্কারক হিসেবে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল পরিচিত। তাকে বোবাদের পিতা তথা দ্য ফাদার অফ দ্য ডেফ বলা হয়। তার পরিবারের সবাই অভিনয়ে জড়িত ছিলেন। তার মা ও স্ত্রী কথা বলতে পারতেন না। এ কারণেই বোবাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তিনি অনেক গবেষণা করেছেন।
মেরি ক্যুরি
প্রথম নারী বিজ্ঞানী হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন মেরি ক্যুরি। পদার্থবিজ্ঞানে তেজষ্ক্রিয়তা নিয়ে কাজ করার জন্য এবং রসায়নে পিচব্লেন্ড থেকে রেডিয়াম পৃথক করার জন্য তিনি নোবেল পান।
মাইকেল ফ্যারাডে
মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎ-চুম্বকীয় তত্ত্ব এবং ইলেক্ট্রো কেমিস্ট্রির ক্ষেত্রে ফ্যারাডের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি প্রমাণ করেছিলেন চুম্বকত্ব আলোক রশ্মিকে প্রভাবিত করে। তাঁর আবিষ্কারের প্রধান বিষয়বস্তুগুলোর মধ্যে রয়েছে তড়িৎ-চৌম্বকীয় আবেশ, ডায়াম্যাগনেটিজম ও তড়িৎ বিশ্লেষণ।
পদার্থ বিজ্ঞানের বিভিন্ন চিহ্নের নাম
চিহ্ন | অৰ্থ | এসআই একক |
---|---|---|
চুম্বকীয় ভেক্টর বিভব (magnetic vector potential) | টেসলা মিটার (T⋅m) | |
ক্ষেত্ৰফল (area) | বর্গমিটার (m2) | |
আণবিক ভর সংখ্যা (atomic mass number) | একক নেই | |
বিস্তার (amplitude) | মিটার | |
ত্বরণ (acceleration) | মিটার প্রতি বর্গ সেকেন্ড (m/s2) | |
চৌম্বক ক্ষেত্র ঘনত্ব (magnetic flux density) চৌম্বক ফ্লাক্স ঘনত্ব বা চুম্বকীয় আবেশ | টেসলা (T) বা ওয়েবার প্রতি বর্গ মিটার (Wb/m2)[১] | |
ধারকত্ব (capacitance) | ফ্যারাড (F) | |
তাপ ধারকত্ব (heat capacity) | জুল প্রতি কেলভিন (J K−1) | |
সমাকলন ধ্ৰুবক (constant of integration) | ||
শূন্য মাধ্যমে আলোর বেগ (speed of light in vacuum) | ২৯৯,৭৯২,৪৫৮ মিটার প্রতি সেকেন্ড (m/s) | |
শব্দের বেগ (speed of sound) | ৩৪০.২৯ মিটার প্রতি সেকেন্ড (m/s) | |
আপেক্ষিক তাপ ধারকত্ব (specific heat capacity) | জুল প্রতি কিলোগ্ৰাম প্ৰতি কেলভিন (J kg−1 K−1) | |
সান্দ্ৰতা ড্যাম্পিং গুণাংক (viscous damping coefficient) | কিলোগ্ৰাম প্রতি সেকেন্ড (kg/s) | |
বৈদ্যুতিক সরণ ক্ষেত্ৰ (electric displacement field) বা বৈদ্যুতিক অভিবাহ ঘনত্ব | কুলম্ব প্রতি বর্গমিটার (C/m2) | |
ঘনত্ব (density) | কিলোগ্ৰাম প্রতি ঘন মিটার (kg/m3) | |
দূরত্ব (distance) | মিটার (m) | |
দিক (direction) | একক নেই | |
impact parameter | মিটার (m) | |
ব্যাস (diameter) | মিটার (m) | |
অন্তরজ (differential যেমন: ) | ||
পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল A এর অন্তরজ ভেক্টর উপাদান যার দিক পৃষ্ঠ S এর অভিলম্ব বরাবর | বর্গমিটার (m2) | |
পৃষ্ঠ S এর সাপেক্ষে আয়তন V এর অন্তরজ | ঘন মিটার (m3) | |
বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বা তড়িৎ ক্ষেত্র (electric field) | নিউটন প্রতি কুলম্ব (N C−1) বা ভোল্ট প্রতি মিটার (V m−1) | |
শক্তি (energy) | জুল (J) | |
ইয়ঙের গুণাঙ্ক (Young’s Modulus) | প্যাসকেল (Pa) বা নিউটন প্ৰতি বৰ্গ মিটার (N/m2) বা কিলোগ্ৰাম প্রতি মিটার প্রতি বর্গ সেকেন্ড (kg·m−1·s−2) | |
উৎকেন্দ্ৰিকতা (eccentricity) | একক নেই | |
২.৭১৮২৮… (প্রাকৃতিক লগারিদমের ভিত্তি) | একক নেই | |
ইলেক্ট্রন (electron) | একক নেই | |
মৌলিক আধান (elementary charge) | কুলম্ব (C) | |
বল (force) | নিউটন (N) | |
ফ্যারাডে ধ্রুবক | কুলম্ব প্রতি মোল (C⋅mol−1) | |
কম্পাঙ্ক (frequency) | হার্জ (Hz) | |
অপেক্ষক (function) | ||
ঘর্ষণ (friction) | নিউটন (N) | |
রোধ | সিমেন্স (S) | |
মহাকর্ষ ধ্রুবক (gravitational constant) | নিউটন বর্গ মিটার প্রতি বর্গ কিলোগ্রাম (N m2/kg2) | |
অভিকর্ষজ ত্বরণ (acceleration due to gravity) | মিটার প্ৰতি বর্গ সেকেন্ড (m/s2) | |
চৌম্বক ক্ষেত্র প্রাবল্য (magnetic field strength) | অ্যাম্পিয়ার প্রতি মিটার (A/m) | |
হ্যামিল্টনিয়ান (Hamiltonian) | জুল (J) | |
ℎ | উচ্চতা (height) | মিটার (m) |
প্ল্যাংকের ধ্রুবক (Planck’s constant) | জুল সেকেন্ড (J s) | |
ℏ | হ্রাসকৃত প্ল্যাংকের ধ্রুবক | জুল সেকেন্ড (J⋅s) |
ক্রিয়া (action) | জুল সেকেন্ড (J⋅s) | |
প্রাবল্য (intensity) | ওয়াট প্রতি বর্গমিটার (W/m2) | |
শব্দ প্রাবল্য (sound intensity) | ওয়াট প্রতি বর্গমিটার (W/m2) | |
তড়িৎ প্রবাহ (electric current) | অ্যাম্পিয়ার (A) | |
জড়তার ভ্রামক (moment of inertia) | কিলোগ্রাম বর্গমিটার (kg⋅m2) | |
দেদীপ্যমানতা (Irradiance/intensity) | ওয়াট প্রতি বর্গমিটার (W/m2) | |
কাল্পনিক একক | একক নেই | |
^ | কার্তেসীয় এক্স-অক্ষ বরাবর একক ভেক্টর | একক নেই |
প্রবাহ ঘনত্ব (current density) | অ্যাম্পিয়ার প্রতি বর্গ মিটার (A/m2) | |
বলের ঘাত বা ঘাতবল (impulse) | কিলোগ্রাম মিটার প্রতি সেকেন্ড (kg m/s) | |
jerk | মিটার প্রতি ঘন সেকেন্ড (m/s3) | |
কাল্পনিক একক (তড়িৎ) -imaginary unit (electrical) | একক নেই | |
^ | কার্তেসীয় ওয়াই-অক্ষ বরাবর একক ভেক্টর | একক নেই |
পদার্থ বিজ্ঞান বই
অনেক বই আছে। নিচে কিছু বইয়ের নাম বেসিক থেকে এডভান্স ভাবে লেখা হয়েছে।
১)অপদার্থ বিজ্ঞান – রাতুলখান। বইটি একদম বেসিক লেভেলের। সুন্দরকরে কার্টুন একে একে বুঝানো হয়েছে। পদার্থ কে মজা হিসেবে নিতে চাইলে পড়ে ফেলুন এটি।
২)পদার্থবিজ্ঞানের মজারকথা -ইয়াকভ পেরেলম্যান। রাশিয়ান এই লেখক বিভিন্ন মজার গল্পের ছলে ছলে ফিজিক্স বুঝিয়েছেন। এটি দুই খন্ডে লেখা হয়েছে।
৩) পদার্থ বিজ্ঞানের মজার কথা। পার্ট টু।
৪) চা কফি আর কোয়ান্টাম মেকানিক্স -নাঈম হোসেন ফারুকী। তিনি খুবই সুন্দরভাবে গল্পের ছলে বুঝিয়েছেন কোয়ান্টাম মেকানিক্স কি, কিভাবে কাজ করেন। তবে চা, কফির ব্যাপারে তিনি একদম এড়িয়ে গেছেন।
৫) পদার্থ বিজ্ঞানের প্রথম পাঠ -জাফর ইকবাল। এর পরিমার্জিত সংস্করণই এখন নবম শ্রেণীতে পড়ানো হয়। তাই এটি পড়লে বিস্তারিত ভাবে আরো ভালোভাবে পদার্থের অধ্যায় গুলো আয়ত্ত করা যাবে।
৬)সিক্স ইজি পিসেস-রিচার্ড ফাইনম্যান। ফাইনম্যানের এই বইটি একটি বেস্ট সেলার বই। যারা পদার্থবিজ্ঞান ভালবাসেন তাদের জন্য মাস্ট রিকমন্ডেড। বাংলাদেশে অনেকেই এটার অনুবাদ করেছেন।
৭)কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস -স্টিফেন হকিং। A brief history of time (কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস) এই বইটির মাধ্যমেই মূলত স্টিফেন হকিং জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহ থাকলে পড়ে ফেলতে পারেন এটি।
৮)রহস্যময় ব্ল্যাক হোল – জাফর ইকবাল। মহাকাশ বিজ্ঞান, কৃষ্ণ গহ্বর সম্পর্কে ধারনা পেতে পড়ে ফেলতে পারেন এই বইটি।
৯)ফিজিক্স অব দা ইম্পসিবল -মিশিও কাকু। হালের নামকরা বিজ্ঞানী মিশিও কাকুর এই বইটিও বেস্ট সেলার। মোটামুটি এডভান্স এই বইটি। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে লেখা এই বইটি পড়লে এবং বুঝলে টাকা উসুল হয়ে যাবে।
১০) বড় প্রশ্ন ছোট উত্তর – স্টিফেন হকিং। স্টিফেন সাহেবের আরেকটি নাম করা বই। মহাকাশ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বইটি লেখা হয়েছে। গভীরভাবে কসমোলজিতে(মাহাকাশ বিদ্যা) আগ্রহ থাকলে পড়ে ফেলুন এটি।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | পদার্থ বিজ্ঞান
Q1. পদার্থ বিজ্ঞান কি
Ans – বিজ্ঞানের যে শাখায় পদার্থ এবং শক্তির মিথস্ক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে।পদার্থবিজ্ঞান একটি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান যা শক্তি এবং বলের মতো ধারণার পাশাপাশি স্থান ও কাল সাপেক্ষে পদার্থের গতি নিয়ে আলোচনা করে থাকে। সংক্ষেপে বললে, মহাবিশ্ব কীভাবে আচরণ করে তা বোঝার প্রয়াসে এটি টি প্রাকৃতিক অধ্যয়ন।
Q2. পদার্থ বিজ্ঞান ইংরেজি কি, পদার্থ বিজ্ঞান এর ইংরেজি নাম কি
Ans – “পদার্থ” ও “বিজ্ঞান” দুটি সংস্কৃত শব্দ নিয়ে এটি গঠিত। এর ইংরেজি পরিভাষা Physics
Q3. প্রাচীন পদার্থ বিজ্ঞানের জনক কে
Ans – গ্রিক বিজ্ঞানী থেলিসকে প্রাচীন পদার্থ বিজ্ঞানের জনক বলা হয়।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।