- ভর কাকে বলে
- পারমাণবিক ভর কাকে বলে
- পারমাণবিক ভর একক কাকে বলে
- আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কাকে বলে
- বস্তুর ভর কাকে বলে
- আনবিক ভর কাকে বলে
- ভর সংখ্যা কাকে বলে
- ভর ত্রুটি কাকে বলে
- ভার কাকে বলে
- ভরের একক কি
- বস্তুর ভার কাকে বলে
- ভর ও ভারের পার্থক্য, ভর ও ওজনের পার্থক্য
- ভর মাপার যন্ত্রের নাম কি
- পরিবাহীর রোধ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে
- FAQ | ভর, ভার
ভর কাকে বলে
ভর হল একটি বস্তুতে পদার্থের পরিমাণের পরিমাপ। এটি একটি বস্তুর একটি অন্তর্নিহিত সম্পত্তি, যার অর্থ এটি তার অবস্থান বা গতির সাথে পরিবর্তিত হয় না। ভরের SI একক হল কিলোগ্রাম (কেজি)।
ভর ওজন থেকে ভিন্ন। ওজন হল একটি বস্তুর উপর কাজ করে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির একটি পরিমাপ। একটি বস্তুর ওজন তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, যেহেতু মাধ্যাকর্ষণ শক্তি স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, চাঁদে একটি বস্তুর ওজন পৃথিবীর তুলনায় কম।
কোনো বস্তুর ভর নির্ণয় করা যায় তার জড়তা পরিমাপ করে। জড়তা হল একটি বস্তুর গতি পরিবর্তনের প্রতিরোধ। একটি আরও বিশাল বস্তুর আরও জড়তা থাকবে, এবং তাই ত্বরান্বিত করা বা থামানো আরও কঠিন হবে।
ভর শক্তির সাথেও সম্পর্কিত। আপেক্ষিকতা তত্ত্ব অনুসারে, ভর এবং শক্তি সমান এবং একে অপরে রূপান্তরিত হতে পারে। পারমাণবিক বিক্রিয়ার পিছনে এই নীতি, যেখানে অল্প পরিমাণ ভর একটি বড় পরিমাণ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
সংক্ষেপে, ভর পদার্থের একটি মৌলিক সম্পত্তি। এটি ওজন থেকে ভিন্ন, যা একটি বস্তুর উপর অভিকর্ষ বলের একটি পরিমাপ। ভর জড়তা এবং শক্তির সাথে সম্পর্কিত।
ভরের একক কি
ভরের একক kg। আর ওজনের একক kgms^-2 বা N ( নিউটন)।
আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে ভরের একক হলো কিলোগ্রাম (kg)। সংক্ষেপে এটি কেজি হিসেবে পরিচিত। ফ্রান্সের সাভ্রেতে অবস্থিত ওজন ও পরিমাপের আন্তর্জাতিক সংস্থার অফিসে সংরক্ষিত প্লাটিনাম-ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি দণ্ডের ভরকে এক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। কম ভরের জন্য গ্রাম এবং বেশি ভরের জন্য কুইন্টাল ও মেট্রিকটন একক ব্যবহৃত হয়।
ভরের একক Kg. ভর আর ওজন আবার এক রকম নয়। ওজনের আলাদা একক আছে। ওজনের ক্ষেত্রে অভিকর্ষজ ত্বরণ কাজ করবে যা ভরের ক্ষেত্রে কাজ করবে না। একটা বস্তুর ভর সর্বাবস্থায় সমান। পার্থক্য ঘটে বস্তুর ওজনে।
পারমাণবিক ভর কাকে বলে
কোন মৌলের পরমাণুতে উপস্থিত প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফলকে পারমাণবিক ভর বলে।
পারমাণবিক ভর হল দুটি ভরের অনুপাত। কোন মৌলের একটি পরমাণুর ভর কার্বন–12 আইসোটোপের ভরের 1/12 অংশের যতগুণ ভারী তত সংখ্যাকে ঐ মৌলের পারমাণবিক ভর বলে। পারমাণবিক ভরের কোন একক নেই।
রাসায়নিক গণনায় পারমাণবিক ভরের প্রয়োজনীয়তা
- পরমাণুর ভরসমূহের মাধ্যমে কোন যৌগের শতকরা সংযুতি নির্ণয় করা যায়।
- পরমাণুর ভর ব্যবহার করে আণবিক ভর নির্ণয় করা যায়।
- এর সাহায্যে কোন বস্তুর পরিমাণযোগ্য ধারণা লাভ করা যায়।
- পারমাণবিক ভর জানা থাকলে একটি পরমাণুর ভরের মাধ্যমে অপর পরমাণুর ভর নির্ণয় করা যায়।
- রসায়নের বিভিন্ন পরীক্ষামূলক কাজের জন্য পরমাণুর ভরের প্রয়োজন হয়।
- আধুনিক রসায়নে কোন মৌলের পরমাণুর ভর নির্ণয় করার জন্য কার্বন -12 আইসোটোপের পরমাণুর ভরকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
- পারমাণবিক ভর থেকে কতগুলো মৌলের বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়।
- পরমাণুর ঘনত্ব, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক ইত্যাদি নির্ধারণ করা যায়।
পারমাণবিক ভর একক কাকে বলে
ভরের একক গ্রাম। পারমানবিক ভরের একক ও সেই ভিত্তিতে গ্রাম। তবে পারমাণবিক ভর বলতে আমরা সাধারনত আপেক্ষিক পারমানবিক ভর বুঝি। আপেক্ষিক কোনোকিছুরই একক থাকে না।
মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর=(মৌলের একটি পরমানুর ভর÷কার্বন ১২ আইসোটোপ এর ভরের ১/১২ অংশ)
যেহেতু আপেক্ষিক পারমানবিক ভর দুটি ভরের অনুপাত, সেহেতু আপেক্ষিক পারমানবিক ভরের কোনো একক নেই।
সবসময় পারমানবিক ভর বলতে আপেক্ষিক পারমানবিক ভর কে বুঝানো হয়। তাই পারমাণবিক ভরের কোনো একক নেই।
আর যদি একক থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে ১ মোল পরমানুর ভর সেটা।যেমন যদি লেখা থাকে কার্বনের পারমাণবিক ভর ১২ গ্রাম বলতে বুঝানো হয় এক মোল কার্বন পরমাণুর ভর ১২ গ্রাম।
আর যদি লেখা থাকে যে কার্বন এর পারমানবিক ভর ১২।তাহলে বুঝতে হবে যে এটা কার্বনের আপেক্ষিক পারমানবিক ভর।
আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর কাকে বলে
আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর বা পারমাণবিক ওজন একটি মাত্রাবিহীন ভৌত রাশি। পারমাণবিক ভর ধ্রুবককে কার্বন-১২ পরমাণুর ভরের 112 দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। দুইটি ভরের অনুপাত বলে আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর শুধুই একটি সংখ্যা, এর কোনও একক নেই।
আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর নির্ণয়
যেকোনো মৌলের জন্য আমরা আদর্শ ভর বা প্রমান ভর হিসেবে একটি কার্বন ১২ আইসোটোপ ভরের ১২ ভাগের ১ ভাগ কে ধরে থাকি।
প্রমাণ বা আদর্শ ভর = একটি কার্বন ১২ আইসোটোপ ভরের ১১২ অংশ
মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভর= মৌলের একটি পরমাণুর ভরএকটি কার্বন ১২ আইসোটোপ ভরের ১/১২ অংশ
আর মৌলের একটি পরমাণুর ভর বলতে বুঝায় পরমাণুটির প্রোটনের ভর ও নিউট্রনের ভরের যোগফল
একটি পরমাণুর ভর = পরমাণুটির প্রোটনের ভর + পরমাণুটির নিউট্রনের ভর
একটি কার্বন ১২ আইসোটোপ ভরের ১১২ অংশ ভর কত তা আমরা কিভাবে জানবো
১ মোল বা ১২ গ্রাম কার্বন = 6.02 x 1023 টি কার্বন পরমাণু
6.02 x 1023 টি কার্বন পরমাণুর ভর = 12 গ্রাম
6.02 x 1023 টি কার্বন পরমাণুর ভর = 12 গ্রাম
∴1 টি কার্বন পরমাণুর ভর = 126.02 x1023
1/12 অংশ কার্বন পরমাণু ভর = 112126.02 x1023
=1.66 x 10-24 গ্রাম
বস্তুর ভর কাকে বলে
কোন বস্তুর ভেতর মোট পদার্থের পরিমাণকে তার ভর বলে। ভরকে সাধারণত m দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ভর একটি অদিক ও মৌলিক রাশি। ভর সর্বত্র অপরিবর্তিত থাকে।
উদাহরণ : আমরা বাজার থেকে ১ কেজি লবণ কিনলে বলে থাকি যে লবণের ওজন ১ কেজি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি ওজন নয় ‘ভর’।
আনবিক ভর কাকে বলে
আণবিক ভর (সংক্ষেপে M) হল কোন পদার্থের একটি অনুর ভর। প্রত্যেক বিশুদ্ধ পদার্থের আণবিক ভর একটি ভৌত ধর্ম। আণবিক ভর মৌলের আপেক্ষিক পারমাণবিক ভরের (কার্বন-১২ পরমাণু ভরের ১/১২ অংশ) সাথে সম্পর্কযুক্ত। তবে আণবিক ভর আপেক্ষিক আণবিক (অণুর ভর ও কার্বন-১২ পরমাণুর ভরের ১/১২ অংশের অণুপাত) ভর হতে পৃথক।
আণবিক ভর = মৌল বা যৌগের 1টি অণুর ভর / 1টি কার্বন -12 (C12) পরমাণুর ভরের 1/12 অংশ
এই হিসাব অনুযায়ী, অক্সিজেনের আণবিক ভর = 32 বলতে এই বোঝায় যে, 1টি অক্সিজেন অণুর ভর 1টি কার্বন – 12 (C12) পরমাণুর ভরের 1/12 অংশের চেয়ে 32 গুণ ভারী ।
ভর সংখ্যা কাকে বলে
কোনো মৌলের পরমাণু নিউক্লিয়াসে যত সংখ্যক পটানো নিউট্রন থাকে, তাদের মোট সংখ্যাকে ওই মৌলের ভর সংখ্যা (Mass Number) বলা হয়।
অন্যভাবে বলা যায়, কোন মৌলের পরমাণুর কেন্দ্রকে থাকা মোট নিউক্লিয়ন কে ওই মৌলের ভর সংখ্যা বলা হয়।
ভর ত্রুটি কাকে বলে
কোন পরমাণুর ভর হল এর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত মোট প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যার যোগফল।
পরমাণুর মধ্যে মোট প্রোটন ও নিউট্রন সংখ্যা যত তার চেয়ে পরমাণুর প্রকৃত ভর অল্প কম হয়, এই অল্প পরিমাণ ভর কমে যাওয়াই হল ভরত্রুটি । ওই ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয় ও নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন কে একত্রে বেঁধে রাখে । এই শক্তিকে নিউক্লিয় বন্ধন শক্তি বলে।
যখন একটি নিউক্লিয়াস ভেঙ্গে দুই বা তার বেশি নিউ ক্লিয়াস তৈরি হয় অথবা দুটি হালকা মৌলের নিউক্লয়াস যুক্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত ভারী নিউক্লিয়াস তৈরি হয় তখনও ভরের এই রূপ ত্রুটি ঘটে এবং শক্তি উৎপন্ন হয় । এই দুই পদ্ধতিকে যথাক্রমে নিউক্লিয় বিভাজন ও নিউক্লিয় সংযোজন বলে।
আরো পড়তে: যোজনী কাকে বলে, যোজ্যতা কাকে বলে, যোজনী চার্ট, যোজ্যতা ইলেকট্রন কাকে বলে, জারণ সংখ্যা কাকে বলে
ভার কাকে বলে
কোন বস্তুর ওপর অভিকর্ষীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রযুক্ত বলের মানকে ওজন বা ভার বলে। কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বলে তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষল করে তা হলো বস্তুর ভার। কোন বস্তুর ভর m এবং পৃথিবীর কোন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ g হলে ঐ স্থানে বস্তুর ভার হবে, W= mg । ওজন ভরের আনুপাতিক হলেও ভর ও ভার মোটেও অভিন্ন নয়। ওজনকে সাধারণত W দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ওজনের একক হল বলের একক অর্থাৎ নিউটন (N)।
বস্তুর ওজন স্প্রিং নিক্তির সাহায্যে পরিমাপ করা হয়ে থাকে। ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরে ওঠা যায় ভিকর্ষজ ত্বরণের মানও তত কমতে থাকে ফলে বস্তুর ওজনও তত কমতে থাকে। এ কারণে পাহাড় বা পর্বতের শীর্ষে বস্তুর ওজন কম হয়। এটি প্রকৃতির ক্ষেত্রে পরিবর্তনশীল, এবং সে কারণেই এটি উচ্চ বা নিম্ন মাধ্যাকর্ষণ সহ বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়।
ভরের একক কি
ভরের সবচেয়ে প্রচলিত দুইটি একক হল গ্রাম এবং কিলোগ্রাম।
বস্তুর ভার কাকে বলে
কোন বস্তুর ওপর অভিকর্ষীয় ক্ষেত্র দ্বারা প্রযুক্ত বলের মানকে ওজন বা ভার বলে। কোন বস্তুর ভর m এবং পৃথিবীর কোন স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ g হলে ঐ স্থানে বস্তুর ওজন হবে, W= mg.
ওজন ভরের আনুপাতিক হলেও ভর এবং ওজন মোটেও অভিন্ন নয়। ওজনকে সাধারণত W দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ওজনের একক হল বলের একক অর্থাৎ নিউটন (N)। বস্তুর ওজন স্প্রিং নিক্তির সাহায্যে পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
ভর ও ভারের পার্থক্য, ভর ও ওজনের পার্থক্য
বস্তুর ভর | বস্তুর ভার বা ওজন |
---|---|
1. কোন বস্তুর মধ্যে যে পরিমাণ জড় পদার্থ থাকে তাকে ভর বলা হয়। | 1. কোন বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে তাকে তার ওজন বলা হয়। |
2. ভর হলো বস্তুর পরিমাণ। | 2. ভার হল আসলে বলের ভিন্নরূপ। |
3. ভর একটি স্কেলার রাশি। | 3. ওজন একটি ভেক্টর রাশি অভিমুখ পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে। |
4. বস্তুর ভর কোন কিছুর উপর নির্ভর করে না। | 4. ওজন হলো বস্তুর ভর ও অভিকর্ষজ ত্বরণের গুনফল সুতরাং বস্তুর ভরের উপর নির্ভরশীল। |
5. ভর মাপা হয় সাধারণ তুলা যন্ত্র দিয়ে। | 5. বস্তুর ভার বা ওজন মাপা হয় স্প্রিং তুলা যন্ত্র দিয়ে। |
6. CGS পদ্ধতি ও SI তে ভরের একক যথাক্রমে গ্রাম ও কিলোগ্রাম। | 6. CGS ও SI পদ্ধতিতে ওজনের একক যথাক্রমে ডাইন ও নিউটন। |
7. কোন বস্তুর অবস্থান যাই হোক না কেন তার ভর একই থাকে। | 7. স্থান ভেদে অভিকর্ষজ ত্বরণের ভিন্নতার জন্য বস্তুর ওজন ভিন্ন হয়। |
8. ভূ কেন্দ্রের সাপেক্ষে বস্তুর ভর প্রভাবিত হয় না বলে বস্তুর ভর কে স্বকীয় ধর্ম বলে। | 8. বস্তুর ওজন কোন স্বকীয় ধর্ম নয়। |
9. বস্তুর ভর ও ওজনের উপর নির্ভরশীল নয়। | 9. বস্তুর ওজন ভরের উপর নির্ভরশীল। |
10. ভরের একক একটি মৌলিক একক। | 10. ওজনের একক একটি লব্ধ একক। |
ভর ও ওজন কী একই জিনিস
দৈনন্দিন জীবনে আমরা ভর এবং ওজন শব্দ দুটিকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহার করলেও বিজ্ঞানের ভাষায় এদের অর্থ ভিন্ন।
সহজ করে বলতে গেলে, ভর (Mass) হচ্ছে কোনো বস্তুতে মোট পদার্থের পরিমাণ। সাধারণত ভরকে কিলোগ্রাম (kg) এককে প্রকাশ করা হয়। যেমন, আমার ভর ৭০ কেজি।
অন্যদিকে ওজন (Weight) হচ্ছে কোন বস্তুর উপর পৃথিবীর আকর্ষণ বল। অর্থাৎ কোনো বস্তুকে পৃথিবী যে বলে তার কেন্দ্রের দিকে টানছে তাই হলো সেই বস্তুর ওজন। এবং ওজনকে নিউটন (N) এককে পরিমাপ করা হয়। তাহলে ভূপৃষ্ঠে আমার ওজন হবে –
ওজন(W) = ভর(m) X অভিকর্ষজ ত্বরণ(g) = ৭০ কেজি X ৯.৮ নিউটন/কেজি = ৬৮৬ নিউটন
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, অবস্থানের পরিবর্তন হলে বস্তুর ওজনের পরিবর্তন হয় কিন্তু ভরের পরিবর্তন হয় না। এজন্য আমার ভর চাঁদেও ৭০ কেজি থাকবে কিন্তু ওজন কমে গিয়ে হবে ১১৪ নিউটন এর কাছাকাছি। কারণ চাঁদে অভিকর্ষজ ত্বরণ পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় ৬ ভাগের ১ ভাগ।
ভর মাপার যন্ত্রের নাম কি
কোন বস্তুর মধ্যে যে পরিমাণ জড় পদার্থ থাকে তাকে ভর বলা হয়। ভর একটি স্কেলার রাশি। ভর মাপা হয় সাধারণ তুলা যন্ত্র দিয়ে।
পরিবাহীর রোধ কোন কোন বিষয়ের উপর নির্ভর করে
পরিবাহকের রোধ নির্ভর করে মুলত তিনটি বিষয়ের উপর, প্রকৃতি, আকৃতি, ও তাপমাত্রা।
পরিবাহকটি কি ধরনের পদার্থ দিয়ে তৈরি তার উপর ভিত্তি করে তার রোধ কম বেশি হতে পারে। পদার্থের এই ধর্মটি নির্ভর করে তার আপেক্ষিক রোধের (specific resistance) উপর, যা রো (ρ) দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
পরিবাহকটি যত মোটা হয়, বা প্রস্থছেদের ক্ষেত্রফল যত বেশি হয়, তার রোধ বা বাধা তত কম হয়, অর্থাৎ বিপরিত অনুপাতের সম্পর্ক। তেমনি পরিবাহকটি যত লম্বা হয়, রোধ বা বাধা তত বাড়ে, বা সমানুপাতিক সম্পর্ক।
উপরের দুটি সম্পর্ক একসাথে লেখা যায় এভাবে,
যেখানে l=তারের দৈর্ঘ্য, A=প্রস্থছেদের ক্ষেত্রফল।
তৃতীয় বিষয়টি হল তাপমাত্রা। সহজ ভাবে বলতে গেলে, পরিবাহকের তাপমাত্রা যত বাড়ে, তার বাধা/রোধ ও তত বাড়ে।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | ভর, ভার
Q1. ভর ও ভার কাকে বলে
ভর সংজ্ঞা : বস্তুর ভর বলতে ঐ বস্তুর মধ্যে কতটা জড় পদার্থ আছে তা বোঝায় অর্থাৎ কোন বস্তুর মধ্যে যে পরিমাণ জড় পদার্থ থাকে তাকেই বস্তুতির ভর বলে।
ভার বা ওজন সংজ্ঞা: একটি বই কে টেবিল থেকে কিছুটা উপরে তুলে ছেড়ে দিলে আবার টেবিলের উপর গিয়ে পড়ে।এর দ্বারা বোঝা যায় যে পৃথিবী সব বস্তুকে নিজের কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে। একেই অভিকর্ষ বলে। এই অভিকর্ষের জন্য কোন বস্তুকে হাতের উপর রাখলে আমরা নিম্ন অভিমুখী এক বল অনুভব করি। এই নিম্নমুখী বলি হলো বস্তুটির ভার বা ওজন।
Q2. পরমাণুর সবচেয়ে ভারী কনা কোনটি
Ans – নিউট্রন হলো পরমাণুর সবচেয়ে ভারী কনা।
Q3. সবচেয়ে ভারী ধাতু কোনটি
Ans – সবচেয়ে ভারী ধাতু হলো – পারদ। ভারী ধাতু সাধারণত সেই ধাতুসমুহ যাদের ঘনত্ব, পারমাণবিক ভর অথবা পারমাণবিক সংখ্যা অনেক বেশি।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।