জাতিসংঘ কি, জাতিসংঘের মোট সদস্য দেশ কয়টি, জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায়, জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব কে

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

প্রশ্নপত্র

জাতিসংঘ কি

জাতিসংঘ বিশ্বের স্বাধীন জাতিসমূহের সংগঠন। ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ একটি বহুপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে এবং এর সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অধিকার এবং বাধ্যবাধকতা এর সনদে অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। জাতিসংঘ মূলত একটি রাজনৈতিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংগঠন এবং এটি অধি-রাষ্ট্রীক (supra-national) বা কোনো বিশ্ব সরকার নয়।

জাতিসংঘ সনদের প্রধান দিকগুলো হলো: আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা সংরক্ষণ এবং এতদুদ্দেশ্যে শান্তিভঙ্গের হুমকি নিবারণ ও দুরীকরণের জন্য, এবং আক্রমণ অথবা অন্যান্য শান্তিভঙ্গকর কার্যকলাপ দমনের জন্য কার্যকর যৌথ কর্মপন্থা গ্রহণ, এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে ন্যায়বিচার ও আন্তর্জাতিক বিরোধ বা আইনের নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আন্তর্জাতিক বিরোধ বা শান্তিভঙ্গের আশঙ্কাপূর্ণ পরিস্থিতির নিষ্পত্তি বা সমাধান; বিভিন্ন জাতির মধ্যে সমঅধিকার ও আত্মনিয়ন্ত্রণ নীতির ভিত্তিতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের প্রসার এবং বিশ্বশান্তি দৃঢ় করার জন্য অন্যান্য উপযুক্ত কর্মপন্থা গ্রহণ; অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা মানবিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমস্যাসমূহের সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিকাশ সাধন এবং মানবিক অধিকার ও জাতিগোষ্ঠি, স্ত্রী-পুরুষ, ভাষা বা ধর্ম নি©র্র্বশেষে সকলের মৌল অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে উৎসাহ দান।

জাতিসংঘ কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল

জাতিসংঘ গঠনের মূল কারণ ছিল বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বিশ্বের নেতারা উপলব্ধি করেন যে, একটি শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন যা যুদ্ধ প্রতিরোধ করতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করতে সক্ষম হবে।

জাতিসংঘ গঠনের অন্যান্য কারণগুলি হল:

  • মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করা
  • সামাজিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নতি সহায়তা করা
  • আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা
  • বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা

জাতিসংঘের সনদে এই সমস্ত উদ্দেশ্যগুলির উল্লেখ রয়েছে। সনদের প্রস্তাব অনুযায়ী, জাতিসংঘের মূল কার্যাবলী হল:

  • শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা করা
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সহায়তা করা
  • মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করা
  • আন্তর্জাতিক আইন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা

জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা বিশ্বের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। জাতিসংঘের উদ্দেশ্যগুলি অর্জনের জন্য সংস্থাটি বিভিন্ন কর্মসূচি ও কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।

জাতিসংঘের উদ্দেশ্য কি

বিশ্বের যে কোন স্বাধীন দেশ জাতিসংঘের সদস্য হতে পারবে। মূলত জাতিসংঘ কিছু মহৎ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। জাতিসংঘ একটি বিশ্ব সংস্থান।

জাতিসংঘ গঠনের ৫ টি লক্ষ ও উদ্দ্যেশ্য আছে। নিচে জাতিসংঘের কাজ কি তা ব্যাখ্যা করা হলোঃ

  • বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
  • বিভিন্ন জাতি তথা দেশের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করা যাতে করা।
  • সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের ভিতরে সহযোগিতা গড়ে তোলা।
  • জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব জাতির স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি প্রতিটি দেশের সম্মান গড়ে তোলা।
  • বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করা।

জাতিসংঘের কাজ কি

বিশ্বের যে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য হতে পারে। জাতিসংঘ কিছু মহৎ উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। জাতিসংঘ গঠনের পাঁচটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো—বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা; বিভিন্ন জাতি তথা দেশের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপন করা; অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা; জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান গড়ে তোলা; বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিবাদ মীমাংসা করা।

জাতিসংঘের জনক কে

জাতিসংঘের জনক বলা হয় উড্রো উইলসনকে।

জাতিসংঘের মোট সদস্য দেশ কয়টি

সদস্য ১৯৩ টি। জাতিসংঘ কতৃত মোট স্বাধীন দেশ ১৯৫ টি। বাকি ২ টি দেশ পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে ফিলিস্তিন ও ভ্যাটিকান সিটি।

জাতিসংঘের সদর দপ্তর কোথায়

জাতিসংঘ সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত একটি কমপ্লেক্স। ১৯৫২ সালে নির্মাণের পর থেকে এটি জাতিসংঘের দাপ্তরিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটন বরোর টার্টল বে এলাকায় এটি অবস্থিত। এই কমপ্লেক্সের সামনে ইস্ট রিভার অবস্থিত। এর পশ্চিমে ফার্স্ট এভিনিউ, দক্ষিণে ইস্ট ফোর্টি সেকেন্ড স্ট্রিট, ইস্ট ফোর্টি এইটথ্‌ স্ট্রিট উত্তরে এবং পূর্বে ইস্ট রিভার অবস্থিত। টার্টল বে নামটি অনেক সময় জাতিসংঘের সদর দপ্তর বা পুরো জাতিসংঘকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়।

জাতিসংঘের তিনটি অতিরিক্ত, সহায়ক ও আঞ্চলিক সদর দপ্তর রয়েছে। এগুলো জেনেভাভিয়েনা ও নাইরোবিতে অবস্থিত। এই দপ্তরগুলো জাতিসংঘকে তার নির্দেশনা প্রতিনিধিত্বকরণে, কূটনৈতিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ও কিছু অতিরাষ্ট্রিক সুবিধা লাভে সাহায্য করে। তবে নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তর কেবল জাতিসংঘের প্রধান ছয়টি অঙ্গসংগঠন ধারণ করে। এছাড়া জাতিসংঘের পনেরোটি বিশেষায়িত সংস্থার দপ্তরগুলো নিউ ইয়র্কের বাহিরে অন্যান্য দেশে অবস্থিত।

জাতিসংঘ কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়

জাতিসংঘ ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

জাতিসংঘ (অপর নাম: রাষ্ট্রসংঘ) বিশ্বের জাতিসমূহের একটি সংগঠন, যার লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা। ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫ সালে ৫১টি রাষ্ট্র জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ সনদ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠিত হয়।

জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব কে

জাতিসংঘের প্রথম মহাসচিব (ইংরেজি: Secretary-General of the United Nations) গ্লাডউইন জেব, জাতিসংঘ সচিবালয়ের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি জাতিসংঘের প্রধান মুখপাত্ররূপে কাজ করেন। ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সর্বোচ্চ পদ হল মহাসচিব।

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব কে

জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব হিসেবে পর্তুগালের নাগরিক আন্তোনিও গুতেরেস ১ জানুয়ারি, ২০১৭ সালে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১ সালে বান কি মুনের প্রথম দফার মেয়াদকাল শেষ হয়। পরবর্তীতে কোনরূপ বিরোধিতা না আসায় ২১ জুন, ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত মুন দ্বিতীয় মেয়াদে জাতিসংঘের মহাসচিবরূপে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতিসংঘের সদস্য সংখ্যা কত, জাতিসংঘের বর্তমান সদস্য সংখ্যা কত

জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রসমূহ হল ১৯৩টি সার্বভৌম রাষ্ট্র যারা জাতিসংঘের সদস্য এবং যাদের প্রত্যেকের জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে সমান প্রতিনিধিত্ব আছে। জাতিসংঘ বিশ্বের বৃহত্তম আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা। স্বাধীন রাষ্ট্রের সংখ্যা ১৯৫ টি। পৃথিবীতে মোট রাষ্ট্র ২৩১টি। এর মধ্যে স্বাধীন রাষ্ট্র ১৯৫। সর্বশেষ স্বাধীন রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদান।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ রয়েছে পাঁচটি স্থায়ী সদস্য এবং দশটি নির্বাচিত, অস্থায়ী সদস্য দ্বারা।

জাতিসংঘ দিবস কবে

প্রতি বছর ২৪ অক্টোবর তারিখে বিশ্বের সকল স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে এই জাতিসংঘ দিবস উদযাপিত হয়।

জাতিসংঘের পতাকা

জাতিসংঘের পাঁচটি স্থায়ী রাষ্ট্র কোন সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ‘ভেটো’ ক্ষমতা লাভ করে

জাতিসংঘের স্থায়ী সদস্যরা হল:

  • যুক্তরাজ্য
  • ফ্রান্স
  • রাশিয়া
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • চীন

স্থায়ী সদস্যদের নিম্নলিখিত ক্ষমতা রয়েছে:

  • ভেটো ক্ষমতা: স্থায়ী সদস্যদের যেকোনো সিদ্ধান্তের উপর ভেটো দিতে পারে, এমনকি যদি সেই সিদ্ধান্তে ৯ জন অস্থায়ী সদস্য ভোট দেয়। ভেটো ক্ষমতা হল জাতিসংঘের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষমতা, এবং এটি স্থায়ী সদস্যদের আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলার অনুমতি দেয়।
  • নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব: স্থায়ী সদস্যরা প্রতি মাসে একবার নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করে। সভাপতিত্বের সময়, স্থায়ী সদস্যটি পরিষদের সভাগুলি পরিচালনা করে এবং এর সিদ্ধান্তগুলি প্রণয়ন করতে সহায়তা করে।
  • শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ: স্থায়ী সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তারা সাধারণত মিশনের নেতৃত্ব দেয় এবং তাদের সৈন্য এবং সরঞ্জাম প্রদান করে।
  • অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ: স্থায়ী সদস্যরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে পারে। অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাগুলি একটি দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে সীমাবদ্ধ করে বা নিষিদ্ধ করে।
  • স্থায়ী সদস্যদের ক্ষমতা প্রায়শই সমালোচিত হয় কারণ এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অসাম্য সৃষ্টি করে। স্থায়ী সদস্যরা বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ, এবং তাদের ভেটো ক্ষমতা তাদের অন্য দেশগুলির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে দেয়।জাতিসংঘের কিছু সদস্য স্থায়ী সদস্যদের ক্ষমতা সীমিত করার জন্য কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু সদস্য ভেটো ক্ষমতা বাতিল করার বা এটিকে আরও সীমিত করার প্রস্তাব দিয়েছে। যাইহোক, স্থায়ী সদস্যরা সাধারণত এই ধরনের প্রস্তাবগুলি প্রত্যাখ্যান করে, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে তাদের ক্ষমতাগুলি জাতিসংঘকে কার্যকরভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয়।

বাংলাদেশ কবে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে, বাংলাদেশ কত সালে জাতিসংঘের সদস্য হয়

বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৩৬ তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে যোগদান করে।

১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ অধিবেশনে বাংলা ভাষায় একটি ভাষণ দিয়েছিলেন।

১৯৮২ থেকে ১৯৮৩ সাল অবধি বাংলাদেশ গ্রুপ অব ৭৭ এর চেয়ারম্যান ছিল।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের কততম সদস্য

১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হতে ব্যর্থ হয়েছিল কারণ চীন পাকিস্তানের পক্ষে ভেটো ব্যবহার করে বাংলাদেশে পূর্ণ সদস্যপদ প্রাপ্তি রোধ করেছিল। ১৯৭৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ করে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের ১৩৬ তম সদস্য

আরো অন্যান্য প্রশ্নোত্তরের সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | জাতিসংঘ

Q1. জাতিসংঘের প্রথম মুসলিম মহাসচিব কে

Ans – জাতিসংঘের একমাত্র মুসলিম মহাসচিব কফি আনান । তিনি ঘানায় জন্মগ্রহণ করেন ।

Q2. জাতিসংঘের ভাষা কয়টি, জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা কয়টি

Ans – জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা আরবি।
জাতিসংঘের বৈঠকে ব্যবহৃত ছয়টি ভাষাকে বলা হয় জাতিসংঘের অফিসিয়াল ভাষা। জাতিসংঘের সকল আনুষ্ঠানিক দলিল দস্তাবেজগুলোও এই ছয়টি ভাষায় লিখা হয়। ভাষাগুলোর নাম বর্ণানুক্রমিক ক্রমে দেয়া হলঃ
1) আরবি (আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড আরবী),
2) ইংরেজি (অক্সফোর্ড বানানে ব্রিটিশ ইংরেজি),
3) ফরাসি ভাষা,
4) মান্দারিন (সরলীকৃত চীনা বর্নমালা),
5) রুশ ভাষা,
6) স্প্যানিশ।

Q3. জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন কয়টি

Ans – জাতিসংঘের মূল অঙ্গসংগঠন ৬টি।

Q4. জাতিসংঘের পতাকার রং কি

Ans – জাতিসংঘের পতাকায় নীল ও সাদা রং আছে।
জাতিসংঘের পতাকা 1946 সালের 7 ই ডিসেম্বর গৃহীত হয় এবং নীল পটভূমিতে সাদা জাতিসত্তার প্রতীকী প্রতীকটি গঠিত হয়।

অক্টোবর 1947 সালে জাতিসংঘের ২ য় সাধারণ পরিষদের রেজল্যুশন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত পতাকা। একটি নীল নীল জমির কেন্দ্রে উত্তর মেরুতে কেন্দ্রিক একটি বিশ্ব মানচিত্র আঁকুন, এটি দুটি জলপাই শাখাগুলির সাথে ঘিরে রেখেছে যা শান্তির প্রতীক। । পতাকাটির অনুপাত 2: 3 বা 3: 5, কেন্দ্রীয় পতাকাের উপরের এবং নীচের দৈর্ঘ্য পতাকাটির দৈর্ঘ্য অর্ধেক।

Q5. জাতিসংঘের প্রধান শাখা কয়টি

Ans – জাতিসংঘের প্রধান শাখা ছয়টি। যার মধ্যে তিনটি শাখাকে মনে করা হয় সংস্থাটির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অপরিহার্য।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।