বিপ্লব কি, বিপ্লব কাকে বলে
বিপ্লব হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একটি মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন যা তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে ঘটে যখন জনগণ চলমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জেগে উঠে।
এরিস্টটল দুই ধরনের রাজনৈতিক বিপ্লবের বর্ণনা দিয়েছেন-
(১) এক সংবিধান থেকে অন্য সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন।
(২) একটি বিরাজমান সংবিধানের সংস্কার।
একটা সমাজ ব্যবস্থা যখন তার গতি হারিয়ে ফেলে , রুগ্ন হয়ে যায় তখন এক শক্তি এসে একটি নতুন ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
যখন কোনো দেশের, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রভৃতি জায়গায় আমূল পরিবর্তন দেখা যায়, তখনই তাকে বিপ্লব বলা হয়। যেমন ফরাসী বিপ্লব, রুশ বিপ্লব, শিল্প বিপ্লব।
বিপ্লব বলতে কী বোঝো
কোনো প্রচলিত ব্যবস্থার দ্রুত,ব্যাপক ও আমূল পরিবর্তন কে বিপ্লব বলা হয়। বিপ্লব এর একটি উদাহরণ হল 1779 খ্রিস্টাব্দে ফরাসি বিপ্লব। কেননা ,এই বিপ্লবের ধারা ফরাসি সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা দ্রুত আমূল পরিবর্তন ঘটে।
একটি বিপ্লব হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একটি মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন যা তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে ঘটে যখন জনগণ চলমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জেগে উঠে। এরিস্টটল দুই ধরনের রাজনৈতিক বিপ্লবের বর্ণনা দিয়েছেন: এক সংবিধান থেকে অন্য সংবিধানে পূর্ণাঙ্গ পরিবর্তন একটি বিরাজমান সংবিধানের সংস্কার।
বিপ্লব বলতে : –
প্রথমত, এটি এমন এক দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া যা পুরোনো অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত হেনে তার আমূল পরিবর্তন ঘটায় ।
দ্বিতীয়ত, একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই পরিবর্তন সংঘটিত হয় ।
তৃতীয়ত, বিপ্লবের উদাহরণগুলি হল — আমেরিকার স্বাধীনতা বিপ্লব, ফরাসি বিপ্লব, শিল্প বিপ্লব, চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব ।
বিদ্রোহ এবং বিপ্লব বলতে কী বােঝ, বিদ্রোহ ও বিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য কী
বিদ্রোহ বলতে বােঝায়—
প্রথমত, কোনাে নির্দিষ্ট অঞ্চলে প্রচলিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের ঘটনা অথবা নির্দিষ্ট কিছু মানুষের স্বার্থে নির্দিষ্ট সহিংস প্রতিবাদের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টাই হল বিদ্রোহ।
দ্বিতীয়ত, বিদ্রোহের উদ্দেশ্য সীমিত থাকার কারণে তা ক্ষণস্থায়ী হয় এবং আমূল পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়।
তৃতীয়ত, ইংরেজ শাসন-শােষণ ও অত্যাচারই ছিল ভারতে সংঘটিত আদিবাসী বিদ্রোহ, কৃষক বিদ্রোহ ও সিপাহি বিদ্রোহের সাধারণ কারণ।
বিপ্লব বলতে বােঝায়—
প্রথমত, এটি এমন এক দীর্ঘস্থায়ী। প্রক্রিয়া যা পুরােনাে অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত হেনে তার আমূল পরিবর্তন ঘটায়।
দ্বিতীয়ত, একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে এই পরিবর্তন সংঘটিত হয়।
তৃতীয়ত, বিপ্লবের উদাহরণগুলি হল—আমেরিকার স্বাধীনতা বিপ্লব, ফরাসি বিপ্লব, শিল্পবিপ্লব, চিনের সাংস্কৃতিক বিপ্লব।
বিদ্রোহ ও বিপ্লবের মধ্যে পার্থক্য : বিদ্রোহের উদ্দেশ্য সীমিত থাকার কারণে তা ক্ষণস্থায়ী এবং আমূল পরিবর্তন আনতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে বিপ্লব হল এমন এক দীর্ঘস্থায়ী প্রক্রিয়া, যা পুরােনাে অর্থনৈতিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক ব্যবস্থার ওপর আঘাত হেনে তার আমূল পরিবর্তন ঘটায়।
বৈজ্ঞানিক বিপ্লব বলতে কী বোঝো
পঞ্চাদশ ও ষােড়শ শতকের ইউরােপের ইতিহাসে প্রধানতম ঘটনাগুলি ছিল নবজাগরণ, ভৌগােলিক আবিষ্কার ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে বিশেষত গণিত, পদার্থবিদ্যা, জীববিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল তা ‘বিজ্ঞান বিপ্লব’ নামে পরিচিত। অপর একটি মতে, ‘বিজ্ঞান বিপ্লব’ বলতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি, ধারণা ও দর্শনের বিপ্লবকে বােঝায়, যার উৎসমুখ হল কোপারনিকাসের তত্ত্ব এবং এর পরিণতি ঘটে নিউটনের কালজয়ী মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্বের মাধ্যমে।
বৈজ্ঞানিক বিপ্লব
(১) পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে জ্ঞান :- মধ্যযুগে শেষদিকে ইউরােপীয়দের ভৌগােলিক জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছিল। পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কিত ধারণার পরিবর্তন ঘটলে ইউরােপের বেশ কিছু মানুষ জানতে পারে যে ইউরােপ থেকে পশ্চিম বা পূর্বে যে-কোনাে দিক দিয়ে সমুদ্রপথে সােজাসুজি যাত্রার মাধ্যমে প্রাচ্যে পৌঁছানাে সম্ভব হতে পারে।
(২) সমুদ্রযাত্রার সহযােগী যন্ত্র :- দিক নির্ণয়ের জন্য কম্পাস, অ্যাস্ট্রোলের (অক্ষাংশ নির্ণয় যন্ত্র), মানচিত্র, নকশা, পথনির্দেশ তালিকা প্রভৃতির উদ্ভাবন হলে সমুদ্রযাত্রা পূর্বের তুলনায় অনেক নিরাপদ হয়েছিল।
(৩) সৌরকেন্দ্রিক বিশ্ব ঃ পােল্যান্ডের বিজ্ঞানী কোপারনিকাস প্রমাণ করেন যে, সূর্য স্থির এবং পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। কোপারনিকাস তার এই বক্তব্য প্রচার করেননি। কোপারনিকাসের মৃত্যুর পর ইটালির বিজ্ঞানী গ্যালিলিয়াে দূরবিন যন্ত্রের আবিষ্কার করেন এবং এই যন্ত্রের সাহায্যে তিনি কোম্পানিকাসের তত্ত্বের সত্যতা প্রমাণ ও প্রচার করেন।
(৪) খনিবিদ্যা চর্চা :- যুদ্ধের জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে লােহা, তামা, গন্ধকের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। যার ফলশ্রুতিতে খনিবিজ্ঞানের চর্চা শুরু হয়। সম্ভবত জার্মান বিজ্ঞানী এগ্রিকোলার প্রথম ইস্পাত নির্মাণের পদ্ধতি বর্ণনা করেন।
(৫) পদার্থবিদ্যা চর্চা :- খনিজ ও ধাতু বিজ্ঞানকে কেন্দ্র করে পদার্থবিদ্যার উন্নতি ঘটে। নেদারল্যান্ডের বিজ্ঞানী জানসেন সম্ভবত প্রথম কম্পাউন্ড মাইক্রোস্কোপ আবিষ্কার করেন (১৫৯০ খ্রি.)।
(৬) মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব :- ইংল্যান্ডের রয়্যাল সােসাইটির বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন মাধ্যাকর্ষণ তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এবং সৌরজাগতিক গতির বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দেন।
(৭) রসায়নবিদ্যা জে. বি. ভ্যান হেলমন্ট প্রথম উপলব্ধি করেন যে, বাতাসের মধ্যেই বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের অস্তিত্ব রয়েছে। তিনিই প্রথম কার্বন ডাইঅক্সাইডকে চিহ্নিত করেন।
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে সত্যানুসন্ধানে ব্রতী হয়েছিলেন। বৈজ্ঞানিক বিপ্লব দু’ভাবে জ্ঞানচর্চা ও সমাজের বিকাশে সহায়ক হয়েছিল।
প্রথমত, ব্যাবহারিক দিক থেকে যেসব পরিবর্তন ঘটেছিল তার ফলে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য, ভৌগােলিক আবিষ্কার সব দিকেই রূপান্তর ঘটেছিল।
আবার অন্যদিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান দর্শনের মধ্যে নতুন নতুন ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছিল। পদার্থবিদ্যা, জ্যোতিবিদ্যা, রসায়ন সমস্ত ক্ষেত্রেই জ্ঞানের পরিধি প্রসারিত হয়।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | বিপ্লব
Q1. বিপ্লব অর্থ কি
Ans – একটি বিপ্লব (ইংরেজি: Revolution) (লাতিন থেকে: revolutio, ইংরেজি অর্থ: “a turn around”) হচ্ছে রাজনৈতিক ক্ষমতা বা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে একটি মৌলিক সামাজিক পরিবর্তন যা তুলনামূলকভাবে সংক্ষিপ্ত সময়ে ঘটে যখন জনগণ চলমান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে জেগে উঠে।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।