মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 2022

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন বলতে কী বোঝো

হিন্দু কলেজের তরুণ, যুক্তিবাদী ও মননশীল অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরােজিওর নেতৃত্বে ঐ কলেজের একদল তরুণ ছাত্র উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হিন্দুধর্ম ও হিন্দু সমাজের রক্ষণশীলতা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘােষণা করেন এবং দেশের সামাজিক অগ্রগতির জন্য পাশ্চাত্যের অনুকরণে সংস্কারবাদী মতাদর্শ প্রচার করেন। এঁরা ইয়ং বেঙ্গল নামে পরিচিত।

ইয়ং বেঙ্গল, ইয়ং বেঙ্গল কাদের বলা হয়

ঊনিশ শতকের বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষায় প্রভাবিত হয়ে হিন্দু কলেজের অধ্যাপক হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও -র নেতৃত্বে একদল যুবক যুক্তিবাদ, মু্ক্তচিন্তা, মানসিক স্বাধীনতা, সাহস ও সততার মাধ্যমে হিন্দুসমাজ ও ধর্ম সংস্কারের কাজে বিশেষ খ্যাতিলাভ করে । ডিরোজিও ও তাঁর অনুগামী যুবকগোষ্ঠী ‘নব্য বঙ্গ’ বা ‘ইয়ং বেঙ্গল’ নামে পরিচিত

ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি ছিল

ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী হিন্দুধর্মের রক্ষণশীলতা কে তীব্র ভাবে আক্রমণ করেন। তারা ব্রাহ্মণ দের উপবীত ছিঁড়ে ফেলতে বলেন এবং নিজেরাও তাদের উপবীত ছিঁড়ে ফেলেন। তারা নিজেরা গোমাংস ভক্ষণ করতেন এবং ব্রাহ্মণ, পুরোহিতদের লক্ষ্য করে চেঁচিয়ে বলতেন- “আমরা গোমাংস খাইগো”।তারা গঙ্গাজলের পবিত্রতাও মানতেন না। কালীঘাটের মন্দিরে মা কালীর উদ্দেশ্যে বলতেন- “গুড মর্নিং ম্যাডাম”। ডিরোজিও নিজেও বিভিন্ন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে অর্থ ব্যয়ের সমালোচনা করেন এবং বলেন ওই অর্থ সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে ব্যায়িত হওয়া উচিত।

ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের নেতা কে ছিলেন

ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের প্রবক্তা ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরােজিও।

ধর্মসংস্কার আন্দোলন

মধ্যযুগে ইউরোপে পোপ নিয়ন্ত্রিত সার্চ রাষ্ট্রের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ধর্মের নামে সাধারণ মানুষকে শোষণ, নির্যাতন করতো ।একশ্রেণীর যাজক ধর্মকে ব্যবহার করে ভোগবাদিতার মত্ত হয়ে মানবতাবিরোধী আদেশ জারি করতে থাকে। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীর বেশ কয়েকজন মানবতাবাদী ধর্মযাজক ও সাধক ক্যাথলিক ধর্মের এসব বাড়াবাড়ির প্রতিবাদ করে।

খ্রিষ্টধর্মের নতুন নতুন সংস্করণ এর জন্য আন্দোলন গড়ে তোলেন । এক কথা চার্যকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য এবং প্রচলিত ধর্মীয় রীতি কে বাইবেলের মূল নীতি অনুযায়ী সংস্কার করার জন্য যে আন্দোলন করা হয়, তাই ইউরোপের ইতিহাসে ধর্ম সংস্কার আন্দোলন নামে পরিচিত ।

ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের কারণ :

১) ধর্মের নামে অধর্ম ও কুসংস্কার :

  • মধ্যযুগে ইউরোপে চলত ধর্মের নামে অধর্ম । লোকজন অলৌকিক ও কুসংস্কার কে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরে পৃথিবীতে চলার এবং পরকালে মুক্তির পথ খুঁজতো। অনেকের বিশ্বাস ছিল যে সকালবেলা খ্রীষ্টের উপাসনা উৎসব অবলোকন করলে সারাদিন সে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে । অনেকে  ধর্ম উৎসবের খাবার না খেয়ে জামা রেখে দিত উদ্দেশ্য যে এর ফলে দুষ্ট শক্তির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে অথবা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ।
  • অনেকে পবিত্র খাবার গুঁড়ো করে ফসলের জমিতে ছড়িয়ে দিত । তাদের বিশ্বাস ছিল এতে ফসল ভালো হবে । খ্রিস্টান সন্ন্যাসীদের অলৌকিক ক্ষমতাকে  যদু বা মায়ার সমপর্যায়ে ধরা হতো । প্রত্যেক সন্ন্যাসীর আলাদা আলাদা বিশেষত্ব আছে বলে মনে করা হতো ।যেমন চক্ষুর জন্য  সেন্ট ক্লারে , দাঁতের জন্য সেন্ট এ্যাপোলিনে , জলবসন্তের জন্য সেন্টে , স্তনের ব্যাধি থেকে নিরাময়ের জন্য সেন্টা অ্যাথাতে  প্রার্থনা করা হতো ।
  • যীশুখ্রীষ্ট বা সন্নাসীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র কে রোগ নিরাময়ের জাদুশক্তি বলে মনে করত এবং এগুলোর রমরমা বাজার ছিল। যারা ধর্ম বুঝতেন তাদের জন্য এই অবস্থা ছিল বিবৃতকর । 

২) নিষ্কৃতি পত্র বিক্রয় :

  • যাজক শ্রেণি ধর্মবিশ্বাসী জনসাধারণের জ্ঞানের অভাবের সুযোগ নিয়ে তারা নানাভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করত । আত্মার মুক্তির জন্য ইনডালজেন্স নামক এক প্রকার ছাড়পত্রের কেনাবেচা হতো ।
  • ক্যাথলিক ধর্মতত্ত্বে ইনডালজেন্স হচ্ছে পোপ কর্তৃক ইস্যুকৃত এক ধরনের মুক্তিপত্র যার দ্বারা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে পাপ ইহকালে ও পরকালে মিটে যায় এমন আশ্বাসের ছাড়পত্র । যাকে বলে পাপমোচনের ছাড়পত্র । অর্থের বিনিময়ে তা বিক্রি করা হতো । একাদশ শতাব্দীতে জনসাধারণকে ক্রুসেডে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করতে প্রথা চালু করেছিলেন ।
  • ১৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পোপ চতুর্থ সিক্সটাস, ঘোষণা করলেন যে,  ইনডালজেন্সর সুবিধা এখন জীবিত এবং মৃত ব্যক্তি উভয়ই লাভ করতে পারবে । এর অর্থ হল এটা কেবল জীবিত ব্যক্তি কে তার পাপ থেকে মুক্তি দেবে না । উপরন্তু তার আত্মীয়স্বজন কেউ পরকালের কঠিন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে । অনেকে বউ ছেলেমেয়েকে পরিবারকে অসহায় রেখে ঘর বাড়ি বিক্রি করে এ ইনডালজেন্স ক্রয় করত । আর যাজকরা পাপ কাজ না করার পক্ষে যুক্তি না দেখিয়ে কিভাবে অর্থ দিয়ে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে বিষয়ে যুক্তি দেখাতো । এতে পাপকর্ম না কমে বরং বৃদ্ধি পেত ।
  • খ্রিস্টধর্মে চাচাতো বা মামাতো বোন বিয়ে করা নিষিদ্ধ হলেও টাকার বিনিময় গির্জায় সম্মতি পাওয়া যেত । তালাক নিষিদ্ধ থাকলেও টাকার বিনিময়ে তালাকের অনুমতি পাওয়া যেত । এসব অপকর্মের চার্চের বিরুদ্ধে সচেতন মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তোলে । 

৩) নৈতিক অধঃপতন :

যাজক শ্রেনীর জীবনযাত্রা কোন কোন ক্ষেত্রে অভিজাত শ্রেণী অপেক্ষায় বস্তুবাদী ছিল । তারা ধর্মের নামে অধর্ম কর্মে লিপ্ত ছিল । নানা দেশ থেকে অর্থ রোমের ক্যাথলিকদের ধর্ম স্থানে আসতে লাগলো । এতে তারা বিলাসিতা ও ইন্দ্রিয় -পরায়ণতায় নিমজ্জিত হতে লাগলো । আর এর সাথে অর্থ চাহিদা ও বাড়তে থাকল । এতে যাজকদের প্রতি সাধারণ মানুষের অভক্তি জেগে উঠতে লাগলো । 

৪) অর্থনৈতিক কারণ :

রাষ্ট্র ও ধর্ম স্থানের দ্বন্দ্বের প্রত্যক্ষ কারণ এই ছিল অর্থনৈতিক কারণ । পোপ নিয়ন্ত্রিত চার্চ টাইদ, এ্যানেট ইত্যাদি নানা প্রকার ধর্মকর বিভিন্ন দেশের লোক ও ধর্ম প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা হতো । যাজকদের বিলাসী ও ইন্দ্রিয়- পরায়ন জীবন-যাপনের ফলে এসকল অর্থর  দাবী দিনদিন বেড়েই চলেছিল । মধ্যযুগে ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের এর দাবি অস্বীকার করার মত জ্ঞান বা মানসিক বল সাধারণ মানুষের ছিল না । কিন্তু ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব যখন জেগে উঠে তখন তারা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকে ।জনগণ নিজ দেশের অর্থ অন্য দেশে পাঠাতে আর রাজি হচ্ছিল না, সে সাথে রাজা গণ । 

৫) রাজনৈতিক কারণ :

ক্ষমতার প্রাধান্য নিয়ে ধর্মযাজক ও রাজাগণ এর মধ্যে সংঘাত শুরু হয় । পোপ ও যাজক সম্প্রদায় রাজনৈতিক ক্ষমতা দাবি করলে প্রত্যেক দেশের রাজা এবং জনগন নিজ নিজ দেশকে ধর্মানুষ্ঠানের প্রাধান্য থেকে মুক্তি করার চেষ্টা করতে থাকেন । এতে প্রত্যেক দেশেই জাতীয়তাবোধ বৃদ্ধি পেতে লাগল । 

মধ্যযুগের শেষ দিকে প্রত্যেক দেশের জাতীয় রাষ্ট্র গড়ে উঠা শুরু করল । ধর্মের জগত ছেড়ে বাস্তবের উপর প্রাধান্য দাবি করে যাজক সম্প্রদায় জাতীয় রাজাদের বিরাগভাজন হন । এতে ধর্ম সংস্কার আন্দোলন গতি পায় । 

৬) মানবতাবাদী সাধকদের আর্বিভাব :

  • ইউরোপের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের পেছনে মানবতাবাদী ধর্মযাজক ও সাধকদের অবদান অপরিসীম । এই সকল সাধকেরা মানুষের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য মানুষকে মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করার জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন । ক্যাথলিক ধর্মের অনাচারের বিরুদ্ধে মানবতাবাদীরা লেখকরা যেমন : পের্ত্রক  বোককাচো, লিওদার্দো দ্যা ভিঞ্চি , রাফায়েল, মাইকেল এ্যাঞ্জেলো, টিশিয়ান, ইরাসমাস, জোহান রিউচলিন প্রমূখ কলম ধরেন। কিন্তু তারা রোমেরএর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চাননি ।
  • রোমের পোপ এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ক্যাথলিক ধর্ম সংস্কার করে প্রটেস্ট্যান্ট ধর্ম প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ সময় কিছু লোকের আর্বিভাব হয় । যেমন জার্মানিতে মার্টিন লুথার, সুইজারল্যান্ডে জুইংলি, ফ্রান্সে ক্যালভিন ইত্যাদি ধর্মগুরুর আর্বিভাব ঘটে । ক্যাথলিকরা পোপএবং যাজকদের অবান্তর ঊর্ধ্বে এবং ঈশ্বরের প্রতিনিধি মনে করত এবং তাদের মাধ্যমেই ঈশ্বর লাভ করা যায় একথা বিশ্বাস করত ।
  • অপরদিকে প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মগ্রন্থ বাইবেল কে অবান্তর মনে করত এবং বিশ্বাস করতে ব্যক্তি চেষ্টা করে আত্মার মুক্তি পেতে পারে । লুথারবাদ, ক্যালভিনবাদ,  জুইংলিবাদ, এ্যানাব্যাপটিজম, এ্যাঙ্গলিকানিজম ইত্যাদি ধর্মমত প্রোটেস্ট্যান্টবাদের অন্তভুক্ত । ধর্ম সংস্কারকগন প্রচলিত ক্যাথলিক  ধর্ম মতবাদের উপর আস্থা হারিয়ে নিজস্ব বিচারবুদ্ধি কে সন্তুষ্ট করতে পারে এমন ধর্মীয় মতবাদ প্রচার করতে থাকে । এই নিয়ে খ্রিস্টজগত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । রক্তারক্তি হানাহানি জীবনের আবেগপ্রবণ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে । 

ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের ফলাফল :

১) ধর্মীয় ফলাফল:

  • ধর্ম সংস্কার আন্দোলন খ্রিস্টান চার্চে বিভক্তি আনয়ন করে । চার্চের সর্বজনীনতাকে   প্রত্যাখান করে । খ্রিস্টান জগতের এক বৃহৎ অংশ পোপের আনুগত্য থেকে বের হয়ে আসে এবং অন্য দল চার্চের প্রতি আনুগত্যশীল থাকে । যারা ক্যাথলিক চার্চের প্রতি অনুগত ছিলেন তাদের বলা হতো রোমান ক্যাথলিক । যারা পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য থেকে বেরিয়ে এসে নতুন চার্চ প্রতিষ্ঠা করেন তাদের বলা হয় প্রোটেস্ট্যান্ট । জার্মানি, ইংল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, প্রতিবাদী ধর্ম গ্রহণ করে ।
  • অপরদিকে ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, রোমান ক্যাথলিক ধর্মের প্রতি অনুগত থাকে । ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের পর খ্রিস্টধর্ম অধিকতর উদার ও যুক্তিবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ওঠে । ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট উভয় গ্রুপ এই যুক্তি ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দানের মাধ্যমে তাদের ধর্মের মূলনীতি ও তথ্যকে বিশ্লেষণ করতে এগিয়ে আসে ।
  • প্রোটেস্ট্যান্ট নেতারা ছিলেন মনেপ্রাণে মানবতাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী । অন্ধত্বের মুক্তি ছিল এদের মূল মন্ত্র । কিছু সুনির্দিষ্ট নৈতিক অনুশাসন দ্বারাে এ মতবাদ পরিচালিত হয় ।মধ্যযুগের ধর্ম বিষয়ে কোন স্বাধীনতা বা ব্যক্তিগত মতামত পোষন করা সম্ভবপর ছিল না । ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে গোঁড়া ক্যাথলিকরাও তাদের গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে আসে । ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ইউরোপে আরও একটি ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের সূচনা হয় যা প্রতি সংস্কার আন্দোলন নামে পরিচিত । 

২) রাজনৈতিক ফলাফল:

ধর্ম সংস্কার আন্দোলন পোপতন্ত্রকে দুর্বল করে রাজতন্ত্রকে সবল করে। ধর্মকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ও জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদ ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টি হয় । এমন এক সময় ছিল যখন পোপেরা সহজে রাজাদের সকল ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারতেন । সংস্কার আন্দোলন যাজকদের হাত থেকে রাজাদের মুক্তি করে।  রাজারা ক্রমশই রাষ্ট্র ও চার্চের  উপর একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।  Divine Rights of Pope এর স্থলে Divine Right of King প্রতিষ্ঠিত হয়। Secular চিন্তা বিকাশ লাভ করতে থাকে ।

৩) অর্থনৈতিক ফলাফল :

সংস্কার আন্দোলনের ফলে চার্চের অধীনস্ত বিশাল সম্পত্তি রাষ্ট্রের হাতে চলে আসতে থাকে এবং উন্নয়নমূলক কাজে তা ব্যবহার হতে থাকে । জনগণ জাযক শ্রেণীর শোষণের হাত থেকে রক্ষা পায়। ক্যাথলিক ধর্ম মত পুঁজিবাদ ও সুদ কারবারি বিপক্ষে ছিল ।

পক্ষান্তরে প্রোটেস্ট্যান্ট মতবাদ পুঁজিবাদ সুদের পক্ষে ছিল। ফলে ব্যাংকার, বণিক, কারখানা এর মালিক ইত্যাদী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ ঘটতে থাকে । ক্যাথলিকরা যেখানে সুদকে পাপ মনে করত প্রোটেস্ট্যান্ট রা সেখানে সুদকে আধুনিক বাস্তবসম্মত মনে করে । ফলে দ্রুতগতিতে প্রটেস্ট্যান্ট ধর্ম প্রচারিত প্রসারিত হয় সেখানে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় প্রভাব বিস্তার করতে থাকে । 

৪) সামাজিক ফলাফল :

ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের ফলে পিউরিটানবাদের উদ্ভব হয় তাদের মূল লক্ষ্য ছিল নৈতিক চরিত্রের উন্নতিসাধন । ইনকুইজিশনের মাধ্যমে চরম শান্তির স্থলে মানবিক শান্তির ব্যবস্থা করা হয় । যাদুবিদ্যার প্রভাব কমতে থাকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। স্কটল্যান্ডে জনলক্স প্রতিটি প্যারিতে একটি পাঠশালা , প্রতিটি মফস্বল শহরে একটি স্কুল, প্রতিটি বড় শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা বলেন । নারীদের সামাজিক শিক্ষার পথ উম্মুক্ত করা হয়।  নারীরা বাইবেল পড়ার অনুমতি পায়।

পুরুষ-নারী উভয়েই প্রাথমিক স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পায়। ফলে নারী ও পুরুষের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়তে থাকে। অপরদিকে বাইবেলের বহুল প্রচার ও প্রসারের ফলে সৎও সংযত জীবনের প্রতি আগ্রহ দেখা দেয়। ধর্মীয় জ্ঞান বৃদ্ধির ফলে ন্যায় পরায়নতা বৃদ্ধি পায়। এতে পেপের অনৈতিকতা ও শোষণ নীতির অবসান ঘটে । 

৫) শিল্প ও সাংস্কৃতিক ফলাফল:

  • বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে প্রোটেস্ট্যান্ট আন্দোলন ধর্মীয় আন্দোলন হলেও বিজ্ঞান, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা ও জ্ঞানের অন্যান্য শাখায় নানাবিধ প্রভাব রাখে । প্রচলিত বিশ্বাস ও ধর্ম ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করে জ্ঞান বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধনের সুদূরপ্রসারী ভূমিকা রাখে ।
  • ভৌগলিক আবিষ্কার আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং সব কিছুকে সংজ্ঞায়িত করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয় । এই সময়ে মানবতাবাদীরা হিউম্যানিস্ট দার্শনিকরা Classical বা প্রাচীন গ্রিকদের জ্ঞান- বিজ্ঞানের উপর নতুন সৃষ্টির মাধ্যমে জ্ঞানের জগতকে বৃদ্ধি করার কথা বলেন । বৈজ্ঞানিক তথ্যের উদ্ভাবনের ফলে দর্শনের ব্যাখ্যায় পরিবর্তন সূচিত হয় ।
  • ধর্মতত্ত্ব বিষয়ে ছাড়াও ইতিহাস, ভূগোল, নৈতিকতা, আধুনিক ভাষা শিক্ষা, পদার্থবিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা, গণিত ,আইন, সৃষ্টিতত্ত্ব ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান চর্চা হতে থাকে । অথচ পূর্বে ধর্মীয় শিক্ষাকে জ্ঞানচর্চার একমাত্র উপায় মনে করা হতো । আগে ইতিহাস লেখা হত সাহিত্যের ঢংয়ে । সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে ইতিহাস লেখার প্রচলন হয় আধুনিক তথ্য ও উপাত্ত যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে । আর শিল্পকলার ক্ষেত্রে পুরনো গথিক রীতির পরিবর্তে বারূক রীতি প্রচলিত হয়, যা স্থাপত্য-শৈলীর নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে । 
  • উপরে উল্লেখিত আলোচনা থেকে প্রতীয়মান হয় যে মধ্যযুগ থেকে আধুনিক যুগে উত্তোলনের ক্ষেত্রে প্রোটেস্ট্যান্ট প্রভাবিত ধর্ম সংস্কার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । পোপের একচ্ছত্র আধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র ব্যবস্থার উদ্ভব হয় ।
  • এতে জাতীয়তাবাদ ও গণতান্ত্রিক চেতনার উন্মেষ ঘটে । পুঁজিবাদী অর্থনীতি ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বিকাশ হয় ।সাহিত্য শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে শুধু সংস্কার নয় বরঞ্চ সামাজিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুগউপযোগী পরিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক যুগের উত্তরন কে নিশ্চিত করেছিল এই ধর্ম সংস্কার আন্দোলন  ।

১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের কারণ, সিপাহী বিদ্রোহের কারণ ও ফলাফল, সিপাহী বিদ্রোহের পাঁচটি কারণ

ভারতের ইতিহাসে ভারতীয় বিদ্রোহ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ যা একটি বিশাল রূপ ধারণ করেছিল। এই বিদ্রোহের পিছনে মূল ব্যক্তি ছিলেন সৈন্যরা। এ কারণেই এটিকে সিপাহী বিদ্রোহও বলা হয়। যদিও এই বিদ্রোহ পরে শুধুমাত্র সেনাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না বরং পরে এটি বিশাল রুপ ধারণ করে। আর অনেকেই বলে থাকেন এটি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম বিদ্রোহ।

১০ মে ১৮৫৭ সালে এই বিদ্রোহ প্রথম শুরু হয়েছিল। ১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরে ব্রিটিশ সার্জেন্টকে আক্রমণ করা হয়েছিল। এই বিদ্রোহের নেতাদের মধ্যে ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাই, বাহাদুর শাহ, নানা সাহেব এছাড়াও আরও অনেকে রয়েছে।

  • সিপাহী বিদ্রোহের রাজনৈতিক কারনঃ

সিপাহী বিদ্রোহের রাজনৈতিক কারনও গুরুত্বপূর্ণ বলা যেতে পারে। রাজনৈতিক কারনগুলি হল-

  1. সহায়ক চুক্তি
  2. দেশীয় রাজপরিবারের পতন
  3. ল্যাপস নীতি
  • সিপাহী বিদ্রোহের অর্থনৈতিক কারনঃ
  1. ব্রিটিশ জাতীয় নীতি ও শোষণ
  2. দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুর্ভিক্ষ
  3. হস্তশিল্প পতন, ঐতিহ্যবাহী অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস
  4. ব্রিটিশদের বৈদেশিক প্রবণতা
  5. কৃষির বাণিজ্যিকীকরন
  • সিপাহী বিদ্রোহের সামাজিক কারনঃ
  1. ব্রিটিশদের সামাজিক সংস্কার, সামাজিক কুপ্রথা এবং কুসংস্কার
  2. ইংরেজদের উদ্দেশ্যে সন্দেহ
  3. ভারতবর্ষকে ধর্মান্তরিত করার জন্য ইংরেজদের তোড়জোড়
  4. আইন- ধর্ম পরিবর্তন
  • সিপাহী বিদ্রোহের সামরিক কারনঃ
  1. কার্তুজে গুরু ও শূকরের ফ্যাট ব্যবহার
  2. সেনাবাহিনীতে বৈষম্য
  3. সমাজের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য যোগাযোগ
  4. সৈন্যদের ধর্মীয় ও বর্ণগত সমস্যা
  5. সৈন্যদের অসন্তুষ্টির কারণ

লক্ষ্মীবাই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে শক্তিশালী নেতৃত্ব এবং সঠিক সমন্বয়ের অভাবে বিদ্রোহটি ব্যর্থ হয়েছিল।

জাতীয়তাবাদ বলতে কী বোঝায়, জাতীয়তাবাদ কাকে বলে

স্বদেশের তথা মাতৃভূমির গৌরব ও অগৌরবকে কেন্দ্র করে সেই দেশের মানুষ বা জাতির অন্তরে যে উল্লাস, স্বতঃস্ফূর্ত আবেগ, অনুভূতি, জাতীয় চেতনা, আত্মমর্যাদা ও আত্মাভিমান সঞ্চারিত হয় তাকেই জাতীয়তাবাদ বলে । জাতীয়তাবাদ একটি আধুনিক ধারণা ।

যেমন আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আসরে বিজয়ী দেশগুলির সমর্থকদের বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখা যায়, তেমন বিজিত দেশগুলির সমর্থকদের মধ্যে দেখা যায় সীমাহীন বিষাদ ও হতাশা । দেশের প্রতি এই মমত্ববোধ ও একাত্মতাই হল জাতীয়তাবাদ ।

ভারতের ইতিহাসের জাতীয়তাবাদী ব্যাখ্যা কার

Ans – রমেশচন্দ্র মজুমদার

রমেশচন্দ্র মজুমদার ঢাকা সরকারি ট্রেনিং কলেজে প্রভাষক হিসেবে তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। তিনি 1914 সালে শুরু করে সাত বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস পড়ান। তাঁর গবেষণামূলক গবেষণা “প্রাচীন ভারতে কর্পোরেট লাইফ” তাকে পিএইচডি অর্জন করে।

1921 সালে, তিনি নবনির্মিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। উপাচার্য হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ইতিহাস বিভাগের প্রধান এবং কলা অনুষদের ডিন ছিলেন। তিনি 1924 থেকে 1936 সাল পর্যন্ত জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট ছিলেন। তারপর, 1937 থেকে 1942 পর্যন্ত, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি 1950 সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অফ ইন্ডোলজির অধ্যক্ষ ছিলেন।

মুদ্রণ বিপ্লব বলতে কী বোঝো

পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউরোপে মুদ্রনযন্ত্রের সাহায্যে বই ছাপার কাজ শুরু হলে মুদ্রনশিপ্লে বিপ্লব ঘটে যায়।

​ইউরোপের মুদ্রন বিপ্লবের পটভূমি বা কারন হিসেবে বিভিন্ন বিষয় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছিল । যেমন-

​1. কাগজের প্রচলন:

  • (১) হাতে লেখা পুথি: মধ্যযুগের ইউরোপে এগজেম্পলার নামে মূল পুথি হাতে নকল করে প্রকাশ করা হত । তখন ভেড়া বা বাছুরের চামড়া থেকে তৈরি দামি পার্চমেন্ট -ত্রর ওপর হাতে লিখে পুথি প্রকাশ করা হত । ত্রয়োদশ – চতুর্দশ শতকে হাতে লেখা অ্যারিস্টটলের প্রায় ২০০০ হাজার টাকা পুথি পাওয়া গেছে । 
  • (২) কাগজের প্রচলন: পরবর্তীকালে চিনের কাগজ তৈরির  কৌশল আরবদের   মাধ্যমে ইউরোপে পৌছোলে সেখানকার মুদ্রনশিপ্লে কাগজের ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় । আরবের বনিকরা খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকে স্পেনে কাগজ তৈরির কৌশল নিয়ে আসে । পরবর্তী দুশো বছরের মধ্যে ত্রই কৌশল ইতালি (১২৭০খ্রি,)  ফ্রান্স (১৩৪০ খ্রি,) জার্মানি প্রভৃতি দেশে পৌঁছে গেলে কাগজে বইপত্র ছাপার বহুল প্রচলন ঘটে ।

​2. সস্তায় মুদ্রন:

​পার্চমেন্টের পরিবর্তে কাগজে বই ছাপার কাজ শুরু হলে সেগুলি  যেমন দেখতে সুন্দর হয় তেমনি দামেও সস্তা হয় । কাগজে মুদ্রিত বইগুলি পাঠকদের বেশি করে আকৃষ্ট করে । আবার বহুমূল্য পার্চমেন্ট বই ছাপতে যে বিপুল ব্যয় হত কাগজে ছাপার প্রচলন হলে সে ব্যয় বহুলাংশে হ্রাস পায় ।

​3. মুদ্রনযন্ত্রের ব্যবহার:

  • ​(১) মুদ্রন যন্ত্রের প্রতিষ্ঠা: মুদ্রন বিপ্লবের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যে বিষয়টি সর্বাধিক যুক্ত ছিল তা হল মুদ্রনযন্ত্রের আবিষ্কার । চিন বা আরবে কাঠের ব্লকের দ্বারা মুদ্রনের যে কৌশল প্রচলিত ছিল তা পঞ্চদশ শতকের ইউরোপ  আমুল পালটে যায় । জোহানেস গুটেনবার্গ পঞ্চদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মুদ্রন যন্ত্র আবিষ্কার করেন ।
  • ​(২)  মুদ্রনশিল্পে উৎকর্ষ: এসময় ধাতু শিল্পের  অগ্রগতি , স্বর্নকারদের খোদাই করা নতুন ধরনের সূক্ম ধাতব অক্ষর প্রভৃতি ছাপার কাজে উৎকর্ষ আনে । অল্প সময়ে প্রচুর বই মুদ্রিত হয়ে থাকে ।​

4. বয়ের চাহিদা বৃদ্ধি:

​আগে একমাত্র উচ্চবিত্তরাই কেনার বিলাসিতা উপভোগ করত । পরবর্তীকালে হাতে লেখার পরিবর্তে যন্ত্রের সাহ্যয্যে মুদ্রন এবং দামি পার্চমেন্টের পরিবর্তে সস্তা কাগজে ছাপার ফলে মুদ্রিত বইয়ের উৎপাদন ব্যয় খুব কম হত । ফলে সাধারন পাঠকদের কাছে সন্তায় সুদৃশ্য বই পৌঁছে যেতে থাকে । সর্বস্তরের উৎসাহী মানুষ বই কিনতে থাকে ।

​5. নবজাগরনের প্রভাব :

​পঞ্চদশ শতকে ইউরোপের  নবজাগরনপ্রসূত  ভাবধারার প্রসার মুদ্রন বিপ্লবের বিকাশে বিশেষভাবে সহায়তা করেছিল । নবজাগরনের ফলে সাহিত্য, বিজ্ঞান, শিল্পকলা – সহ শিক্ষার সমস্ত শাখায় জ্ঞানের  অভূতপূর্ব স্ফূরন ঘটে, জ্ঞানার্জনের আগ্রহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে । নবজাগরনপ্রসূত ভাবধারার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অসংখ্য বইপত্র ছাপা হতে থাকে । এই সময় অসংখ্য নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয় এবং শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে।

FAQ | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 2022

Q1. ভারতের জাতীয়তাবাদের জনক কাকে বলা হয়

Ans – রাম মোহন রায়কে জাতীয়তাবাদের নবী মনে করা হয়। তিনি একজন অক্লান্ত সমাজ সংস্কারক যিনি ভারতে আলোকিত ও উদার সংস্কারবাদী আধুনিকায়নের যুগের উদ্বোধন করেছিলেন। রাজা রাম মোহন রায়কে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক বলা হয়। তাকে ভারতীয় রেনেসাঁর জনক এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদের নবী বলা হয়।

Q2. জাতীয়তাবাদের গীতা কাকে বলা হয়

Ans – বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ গ্রন্থটিকে ভারতের স্বদেশপ্রেমের গীতা বলা হয়।

Q3. ছাপাখানা কে আবিষ্কার করেন

Ans –  ১৫ শতকের মধ্যভাগে জোহানস গুটেনবার্গ ছাপাখানার আবিষ্কার করে শুধু মুদ্রণ ব্যবস্থায় নয় পৃথিবীতে বিপ্লব আনে। আর এই বিপ্লব পৃথিবীতে রেনেসাঁর সূত্রপাত করে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রচার প্রসার সেখান থেকেই শুরু।

মুদ্রণযন্ত্র সহজলভ্য হওয়ায় বই ছাপাও অনেক সস্তা এবং সহজ হয়ে ওঠে। আর তখন থেকেই শুরু বইয়ের ধারনা ছাপার অক্ষরে। পৃথিবীর ইতিহাস আরো সহজে ছাপার অক্ষরে বইয়ের পাতায় স্থান পেতে শুরু করে।

Q4. আধুনিক ছাপাখানার জনক কে

Ans – হানেস গুটেনবার্গকে আধুনিক ছাপাখানার জনক বলা হয়।

Q5. পূর্ববঙ্গের কোথায় প্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়

Ans – প্রথম ছাপাখানাটি বাংলার কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।