- মহাসাগর কাকে বলে
- মহাসাগর কয়টি ও কি কি, পৃথিবীতে কয়টি মহাসাগর আছে, পৃথিবীতে মহাসাগর কয়টি
- ৫ টি মহাসাগরের নাম কি, ৫ টি মহাসাগরের নাম
- 7 টি মহাসাগরের নাম
- পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগরের নাম কি
- পৃথিবীর গভীরতম মহাসাগর কোনটি
- পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মহাসাগরের নাম কি
- শৈবাল সাগর কি
- শৈবাল সাগর সৃষ্টি হয়েছে কোন মহাসাগরে
- FAQ | মহাসাগর
মহাসাগর কাকে বলে
অবস্থান, আয়তন ও গভীরতা অনুযায়ী বারিমণ্ডলের বৃহত্তম ও গভীরতম অর্থাৎ উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ জলরাশিকে মহাসাগর (Ocean) বলে। মহাসাগরের ইংরেজি হচ্ছে Ocean ।
অতি প্রকাণ্ড ও লবণযুক্ত বিপুল জলরাশি যা পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে, তাকেই মহাসাগর বা মহাসমুদ্র বলে।
মহাসাগর পৃথিবীর মোট আয়তনের প্রায় ৭০.৯% স্থান দখল করে আছে। অর্থাৎ পৃথিবীর একভাগ স্থল ও তিনভাগ জল রয়েছে।
একভাগ স্থলের মধ্যে ৭টি মহাদেশ রয়েছে। এবং বাকি অংশ জলে পরিপূর্ণ। এই জলটিকেই বিভিন্ন মহাসাগরে ভাগ করা হয়েছে।
এবং আলাদা আলাদা নাম দেওয়া হয়েছে। একটি উম্নুক্ত বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তীর্ণ জায়গায় জল জমা হয়ে থাকলেই তা মহাসাগর হয়ে যায়।
মহাসাগরের অর্ধেকেরও বেশি জায়গার গড় গভীরতা ৩,০০০ মিটার বা ৯,৮০০ বর্গফুটেরও বেশি।
মহাসাগর কয়টি ও কি কি, পৃথিবীতে কয়টি মহাসাগর আছে, পৃথিবীতে মহাসাগর কয়টি
পৃথিবীপৃষ্ঠে মোট ৫টি মহাসাগর আছে। যথা:
- ১. প্রশান্ত মহাসাগর
- ২. আটলান্টিক মহাসাগর
- ৩. ভারত মহাসাগর
- ৪. সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর
- ৫. কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগর
নিম্নে মহাসাগরগুলোর অবস্থান, আয়তন ও গভীরতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
৫ টি মহাসাগরের নাম কি, ৫ টি মহাসাগরের নাম
১. প্রশান্ত মহাসাগর
আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীর বৃহত্তম ও গভীরতম মহাসাগর হলো প্রশান্ত মহাসাগর। এর আকৃতি একটি বৃহদাকার বিষম ত্রিভুজের ন্যায়। এটি দক্ষিণ দিকে প্রশস্ত যা নিরক্ষরেখা বরাবর সবচেয়ে বেশি কিন্তু উত্তর দিকে ক্রমেই সংকীর্ণ। মহাসাগরগুলোর মধ্যে এটি সর্বাপেক্ষা বৃহৎ। এছাড়াও এ মহাসাগরে বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে কয়েকটি মালভূমি। এসব মালভূমির উপরিভাগ সমুদ্রের উপর উত্থিত হওয়ার ফলে এখানে বহুসংখ্যক দ্বীপের সৃষ্টি করেছে। যার মধ্যে রয়েছে মহাসাগরের পশ্চিমে কিউরাইল দ্বীপপুঞ্জ, ফিলিপাইন, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ বড় বড় দ্বীপপুঞ্জ। এছাড়াও নিউহেবরাইডস, ফিজি, মার্শাল, সোলোমন, নাউরু, কিরিবাতি, হাওয়াই, অলিউশিয়ান প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এ মহাসাগরের পশ্চিমে ওখটস্ক সাগর, পীত সাগর, পূর্বচীন সাগর এবং উত্তর দিকে বেরিং প্রণালি দ্বারা মহাসাগরের মহীঢাল ক্রমশ অধিক ঢালু হয়ে সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
অবস্থান : প্রশান্ত মহাসাগরটির পূর্বে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ, পশ্চিমে এশিয়া ও ওসেনিয়া মহাদেশ অবস্থিত।
আয়তন : এ মহাসাগর আয়তনের দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা বৃহত্তর । এর মোট আয়তন প্রায় ১৬৫.৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা সমস্ত ভূপৃষ্ঠের প্রায় – অংশ জুড়ে বিস্তৃত।
গভীরতা : প্রশান্ত মহাসাগরে সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৫,৯৫৮ ফুট এবং গড় গভীরতা ১৪,০০০ ফুট। এটি পৃথিবীর গভীরতম মহাসাগর।
২. আটলান্টিক মহাসাগর
আটলান্টিক মহাসাগর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মহাসাগর। এর আকৃতি অনেকটা ইংরেজি ‘S’ অক্ষরের ন্যায়। এটি নিরক্ষরেখার কাছে সর্বাধিক সংকীর্ণ এবং নিরক্ষরেখা থেকে উত্তরে ও দক্ষিণে ক্রমশ চওড়া হয়ে অবস্থিত। এ মহাসাগরটির প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে নিরক্ষরেখা অতিক্রম করায় নিরক্ষরেখার উত্তর অংশকে উত্তর আটলান্টিক এবং দক্ষিণ অংশকে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর বলে পরিচিত। আটলান্টিক শৈলশিরা নামে এ মহাসাগরের মধ্যভাগে এক বিশাল শৈলশিরা অবস্থিত। এছাড়া ওয়ালভিস শৈলশিরা, রিও গ্যান্ড শৈলশিরা, চ্যালেঞ্জার শৈলশিরা, ডলফিন শৈলশিরা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এ মহাসাগরের দ্বীপগুলো বেশিরভাগই উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মধ্যবর্তীতে অবস্থিত। উল্লেখযোগ্য দ্বীপগুলোর মধ্যে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ, নিউফাইন্ডল্যান্ড, ক্যানারি, ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ, বারমুডা, ত্রিনিদাদ, ক্যাপভার্দে প্রভৃতি প্রধান। এ মহাসাগরে সাগর ও উপসাগরের মধ্যে উত্তর সাগর, বাফিন সাগর, বাল্টিক সাগর, অ্যাড্রিয়াটিক সাগর, বিস্কে উপসাগর, মেক্সিকো উপসাগর, ভূমধ্যসাগর, ক্যারিবিয়ান সাগর প্রভৃতি প্রধান।
অবস্থান : আটলান্টিক মহাসাগরটি ইউরোপ ও আফ্রিকার পশ্চিমে এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পূর্বে অবস্থিত।
আয়তন : এ মহাসাগরের মোট আয়তন ৮২.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়।
গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ৩০,১৪৩ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ১২,০০০ ফুট।
৩. ভারত মহাসাগর
ভারত মহাসাগরের আকৃতি উত্তর দিক হতে ক্রমশ দক্ষিণ দিকে প্রশস্ত। এ মহাসাগরে ‘সুন্ডাখাত’ নামে একটি গভীর খাত রয়েছে। এ মহাসাগরের উল্লেখযোগ্য দ্বীপগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা, মাদাগাস্কার, আন্দামান, নিকোবর, লাক্ষা দ্বীপ, মালদ্বীপ, সিসিলি প্রভৃতি প্রধান। এ সহাসাগরে সাগর ও মহাসাগরের সংখ্যা কম। আরব সাগর, লোহিতসাগর, পারস্য উপসাগর, বঙ্গোপসাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : এ মহাসাগরটি এশিয়ার দক্ষিণে, আফ্রিকার পূর্বে, ওসেনিয়ার পশ্চিমে, এন্টার্কটিকার উত্তরে অবস্থিত।
গভীরতা : মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা ২৪,০০০ ফুট এবং গড় গভীরতা ১২,৮০০ ফুট।
৪. সুমেরু বা উত্তর মহাসাগর
সুমেরু মহাসাগরটির আকৃতি অনেকটা বৃত্তাকার। এ মহাসাগরের অধিকাংশ স্থানই বরফাবৃত্ত। এ মহাসাগরে ক্ষুদ্র ও বৃহৎ কিছু দ্বীপপুঞ্জ রয়েছে যা অধিকাংশ কানাডা, সাইবেরিয়া প্রভৃতি ভূখণ্ডের নিমজ্জিত অংশ নিয়ে গঠিত। সাগর উপসাগরের মধ্যে পূর্ব সাইবেরিয়ার সাগর, কারা সাগর, ব্যারেন্ট সাগর, ল্যাপটিভ সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : প্রায় স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত সুমেরু বা উত্তর মহাসাগরটি সুমেরু বৃত্তের মধ্যে অবস্থিত; যার দক্ষিণ ভাগ উত্তর আমেরিকার কানাডা, গ্রিণল্যান্ড এবং ইউরোপ দ্বারা বেষ্টিত।
আয়তন : সুমেরু মহাসাগরটির মোট আয়তন প্রায় ১৫ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলোর মধ্যে চতুর্থ।
গভীরতা : এ মহাসাগরের সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,০০০ ফুট এবং গভীরতা প্রায় ২,৭০০ ফুট।
৫. কুমেরু বা দক্ষিণ মহাসাগর
কুমেরু মহাসাগরটির আকৃতিও অনেকটা বৃত্তাকার। এ মহাসাগরটি প্রায়ই বরফে আবৃত। সাগর মহাসাগরের মধ্যে ওয়েডেল সাগর, রস সাগর, এ্যামুন্ডসন সাগর প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
অবস্থান : কুমেরু ৰা দক্ষিণ মহাসাগরটি এন্টার্কটিকা মহাদেশে উত্তরাংশের চারদিকে বেষ্টন করে অবস্থিত।
আয়তন : এ মহাসাগরটির আয়তন প্রায় ১৪.৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার; যা মহাসাগরগুলো মধ্যে ক্ষুদ্রতম।
গভীরতা : কুমেরু মহাসাগরটির সর্বাধিক গভীরতা প্রায় ১৮,৭৯৪ ফুট এবং গড় গভীরতা প্রায় ৪,৯২০ ফুট।
মহাসাগরগুলো বারিমণ্ডলের মধ্যে অন্যতম। ভূপৃষ্ঠের মোট আয়তনের ৫ এর ৭ ভাগ জলভাগ। উপরিউক্ত মহাসাগরগুলোর অবস্থান, আয়তন, গভীরতা প্রভৃতি বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। ফলে প্রতিটি মহাসাগরের মধ্যে উক্ত বিষয়গুলোর যথেষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। কাজেই ভূপৃষ্ঠের মধ্যে মহাসাগরগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
7 টি মহাসাগরের নাম
পৃথিবীর আয়তনের প্রায় তিন ভাগ জল ও এক ভাগ স্থল। এই বিশাল জলরাশির মধ্যে 7 টি মহাসাগরের আছে। “সাত সমুদ্র” পৃথিবীর সমস্ত মহাসাগরের একটি প্রাচীন বাক্যাংশ। উনিশ শতক থেকে এই শব্দটি সাতটি মহাসাগরীয় জলের অন্তর্ভুক্ত বিবেচিত হয়ে আসছে। সেগুলি হলো:
- উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর
- আটলান্টিক মহাসাগর
- ভারত মহাসাগর
- আর্কটিক মহাসাগর
- দক্ষিণ মহাসাগর
- দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর ও
- দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর ।
পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগরের নাম কি
প্রশান্ত মহাসাগর হলো পৃথিবীর বৃহত্তম মহাসাগর।
প্রশান্ত মহাসাগর পৃথিবীর বৃহত্তম এবং গভীরতম মহাসাগর। ইংরেজিতে একে বলে প্যাসিফিক ওশান (Pacific Ocean)।
প্রায় ২৫ হাজার দ্বীপসহ প্রশান্ত মহাসাগরের আয়তন ১৬৯.২ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার, যা পৃথিবীপৃষ্ঠের প্রায় ৩২ শতাংশ, সমস্ত জলভাগের ৪৬ শতাংশ এবং পৃথিবীর সমস্ত ভূমিপৃষ্ঠের চেয়েও আয়তনে বেশি।
পৃথিবীর গভীরতম মহাসাগর কোনটি
পৃথিবীর গভীরতম মহাসাগর হলো প্রশান্ত মহাসাগর (Pacific Ocean)। এর সর্বোচ্চ ১০.৯১১ মিটার বা ১০.৯১১ কিলোমিটার। এর গড় গভীরতা ৪২৮০ মিটার।
এই মহাসাগরের সর্বোচ্চ গভীর স্থান বা খাতের নাম “মারিয়ানা ট্রেঞ্জ”। এর গভীরতা এতো বেশি যে সেখানে সূর্যের আলো পৌছাতে পারে না। তাই অনেক অন্ধকার এবং তাপমাত্রা অনেক কম।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া (সবচেয়ে উঁচু স্থান) এভারেস্টের সাথে মারিয়ানা ট্রেঞ্জের তুলনা।
পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মহাসাগরের নাম কি
বিশ্বের পাঁচটি মহাসাগরের অববাহিকার মধ্যে, আর্কটিক মহাসাগর বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাসাগর হওয়ার গৌরব ধারণ করে। আইকনিক মেরু ভালুক সহ এই বরফের রাজ্যে অসাধারণ বন্যপ্রাণীর বিচিত্র বিন্যাস রয়েছে। প্রায় 6.1 মিলিয়ন বর্গ মাইল বিস্তৃত, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আকারের প্রায় 1.5 গুণ। এটি শুধুমাত্র সবচেয়ে ছোট নয়, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা এবং সবচেয়ে কম লবণাক্ত মহাসাগরও, যা এটিকে তার গুণাবলীতে সত্যিই অনন্য করে তুলে।
উত্তর মেরুতে অবস্থিত, আর্কটিক মহাসাগরটি ইউরেশিয়া, গ্রিনল্যান্ড এবং উত্তর আমেরিকার ল্যান্ডমাস দ্বারা বেষ্টিত। এর পরিমিত আকার সত্ত্বেও, এটি বিশ্বের মহাসাগরগুলির মধ্যে সবচেয়ে অগভীর হওয়ার স্বাতন্ত্র্য ধারণ করে। সমুদ্রের মোট এলাকা প্রায় 14,060,000 বর্গ কিমি জুড়ে বিস্তৃত এবং এটি প্রায়শই আন্তর্জাতিক হাইড্রোগ্রাফিক সংস্থা দ্বারা “আর্কটিক ভূমধ্য সাগর” হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
শৈবাল সাগর কি
পর্তুগীজ শব্দ ‘Sargassum’ শব্দ থেকে ‘ Sargasso sea’ এর উদ্ভব। যার অর্থ ‘Sea weeds’ বা সামুদ্রিক আগাছা। সমুদ্রজলে শৈবাল, আগাছা ও জলজ উদ্ভিদপূর্ণ জলাবর্ত ও স্রোতহীন অঞ্চলকে শৈবাল সাগর বলে। এই নাম কলম্বাসের দেওয়া। এই বিশাল জলাবর্তের মাঝখানে কোন রকম জলপ্রবাহ থাকে না।
উদাহরণ – উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে উপসাগরীয় স্রোত, ক্যানারী স্রোত ও উত্তর নিরক্ষীয় স্রোতের মধ্যবর্তী স্থানে কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে একটি বিশাল শৈবাল সাগরের সৃষ্টি হয়েছে।
আটলান্টিক মহাসাগরের ন্যায় উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরেও জাপান বা কুরেশিয় স্রোত, উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত, ক্যালিফোর্নিয়া স্রোত ও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্রোতের মাঝখানে প্রকাণ্ড শৈবাল সাগর দেখা যায়।
শৈবাল সাগর সৃষ্টি হয়েছে কোন মহাসাগরে
মহাসাগরের মাঝখানে বিভিন্ন স্রোত মিলিত হয়ে কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে একটি ঘূর্ণস্রোত বা জলাবর্তের সৃষ্টি করে । এই বিশাল জলাবর্তের মাঝখানে কোনোরকম জলপ্রবাহ থাকে না বলে স্রোতবিহীন এই অঞ্চলে নানারকম শৈবাল বা শেওলা, আগাছা ও জলজ উদ্ভিদ জন্মায় । এইজন্য এই অঞ্চলকে শৈবাল সাগর বলা হয় । যেমন—
আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিমে (১) উষ্ণ উপসাগরীয় স্রোত, (২) উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত এবং (৩) ক্যানারি স্রোত মিলিত হয়ে কয়েক হাজার বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে একটি ঘূর্ণস্রোত বা জলাবর্তের সৃষ্টি করে । এই বিশাল জলাবর্তের মাঝখানে কোনোরকম জলপ্রবাহ থাকে না বলে স্রোতবিহীন এই অঞ্চলে নানারকম শৈবাল বা শেওলা, আগাছা ও জলজ উদ্ভিদ জন্মায় । এইজন্য এই অঞ্চলকে শৈবাল সাগর বলা হয় । আটলান্টিক মহাসাগর ছাড়াও উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরেও (১) উত্তর প্রশান্ত-মহাসাগরীয় স্রোত, (২) কুরোশিয়ো বা জাপান স্রোত, (৩) উত্তর নিরক্ষীয় স্রোত এবং (৪) ক্যালিফোর্নিয়া স্রোতের মাঝখানে প্রকাণ্ড একটি শৈবাল সাগর দেখা যায় ।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | মহাসাগর
Q1. পৃথিবীতে কয়টি মহাসাগর আছে
Ans – মূল মহাসাগরের সংখ্যা = 5. সেগুলো হ’ল যথাক্রমে :
Indian Ocean বা ভারত মহাসাগর, Pacific Ocean বা প্রশান্ত মহাসাগর, Atlantic Ocean বা আটলান্টিক মহাসাগর, Arctic Ocean বা উত্তর মহাসাগর এবং Southern Ocean বা দক্ষিণ মহাসাগর।
পরবর্তীকালে, আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে দুভাগ করে মোট সাতটি মহাসাগর করা হয়েছে। সেগুলো হ’ল : ভারত মহাসাগর, উত্তর প্রশান্ত মহাসাগর,
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর, উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর,
উত্তর মহাসাগর এবং দক্ষিণ মহাসাগর।
Q2. প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরতা কত, আটলান্টিক মহাসাগরের গভীরতম খাতের নাম কি
Ans – অতলান্তিক মহাসাগরের গড় গভীরতা 3646 মিটার (11962 ফুট)। সর্বাধিক গভীরতা : পুয়ের্তো রিকো খাত। এর গভীরতা 8346 মিটার ( 27480 ফুট)।
Q3. প্রশান্ত মহাসাগরের একটি শীতল স্রোতের নাম
Ans – দক্ষিণ মহাসাগর থেকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের শীতল স্রোত গুলি হল –
শীতল দক্ষিণ মহাসাগর থেকে একটি শীতল স্রোত পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পূর্ব দিকে যেতে যেতে দক্ষিণ আমেরিকার দক্ষিণ পশ্চিম উপকূলে বাধা পেয়ে হ্যামবোল্ড স্রোত বা পেরু স্রোত নামে উত্তর দিকে ডেকে যায় এবং অবশেষে দক্ষিণ নিরক্ষীয় স্রোত এর সঙ্গে মিলিত হয়।
Q4. মারিয়ানা খাত কোন মহাসাগরে অবস্থিত
Ans – মারিয়ানা খাত বা মারিয়ানা ট্রেঞ্চ হলো প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশের একটি খাত বা পরিখা। এটি বিশ্বের গভীরতম সমুদ্র খাত। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জের ঠিক পূর্বে অবস্থিত। মারিয়ানা খাত একটি বৃত্তচাপের আকারে উত্তর-পূর্ব থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ২৫৫০ কিমি ধরে বিস্তৃত।
Q5. বেঙ্গুয়েলা স্রোত কোন মহাসাগরে দেখা যায়
Ans – বেঙ্গুয়েলা স্রোত দেখা যায় আটলান্টিক মহাসাগরে ।
Q6. এল নিনো কোন মহাসাগরে দেখা যায়
Ans – পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে পেরু, ইকুয়েডর বরাবর কোনও কোনও বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ এক প্রকার উষ্ণ দক্ষিণমুখী স্রোতের সৃষ্টি হয়। এরই নাম এল নিনো। এল নিনো স্প্যানিশ শব্দ। এর অর্থ ছোট্ট ছেলে।
Q7. ল্যাব্রাডর স্রোত কোন মহাসাগরে দেখা যায়
Ans – মেরু বায়ুর প্রভাবে সুমেরু অঞ্চলের উত্তর মহাসাগর থেকে একটি শীতল স্রোত গ্রীণল্যান্ডের পশ্চিম উপকূল দিয়ে শীতল ল্যাব্রাডার স্রোত নামে প্রবাহিত হয়ে ও আর একটি স্রোত গ্রীণল্যান্ডের পূর্ব উপকূল দিয়ে গ্রীণল্যান্ড স্রোত নামে প্রবাহিত হয়ে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবেশ করে ।
Q8. মৌসুমী স্রোত কোন মহাসাগরে দেখা যায়
Ans – ভারত মহাসাগরের উত্তরাংশে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালে ও শীতকালে দুই বিপরীতমুখী স্রোতের উৎপত্তি হয় ।
Q9. ভারতের দক্ষিণে কোন মহাসাগরে অবস্থিত
Ans – দক্ষিণ দিকে, ভারত ভারত মহাসাগর , দক্ষিণ-পশ্চিমে আরব সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগর দ্বারা বেষ্টিত।
Q10. সেন্ট হেলেনা দ্বীপ কোন মহাসাগরে অবস্থিত
Ans – সেন্ট হেলেনা দ্বীপ টি আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত।
Q11. বঙ্গোপসাগর কোন মহাসাগরের অংশ
Ans – বঙ্গোপসাগর হলো বিশ্বের বৃহত্তম উপসাগর। এটি ভারত মহাসাগরের উত্তর অংশে অবস্থিত একটি প্রায় ত্রিভূজাকৃতি উপসাগর।
Q12. প্রশান্ত মহাসাগর আবিষ্কার করেন কে
Ans – ১৫২০ খ্রিস্টাব্দে নাবিক ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান এবং তার দলবল ইতিহাসের পাতায় প্রথম প্রশান্ত মহাসাগর পার করে।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।