পাতা, গাছের পাতা উপকারিতা | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও বিজ্ঞান পাট 2
- পাতা, গাছের পাতা উপকারিতা | মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 পরিবেশ ও বিজ্ঞান পাট 2
- খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- তুলসী গাছের উচ্চ পুষ্টিগুণ রয়েছে
- তুলসি গাছ মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
- তুলসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
- তুলসী গাছের ডিটক্সিফাইং প্রভাব রয়েছে
- তুলসী গাছ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে
- তুলসী পাতা রক্তের সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টেরল দুটোই কমাতে সাহায্য করে
- ক্যানসার প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী
- তুলসী গাছ পোকামাকড় তাড়ায়
- তুলসী গাছের উপকারিতার মধ্যে রয়েছে ত্বকের উন্নতি
- তুলসী গাছ দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী
- তুলসী গাছ হার্টের উপকার করে
- তুলসী সমৃদ্ধির সাথে যুক্ত
- তুলসী পাতার অপকারিতা
- রাম তুলসী পাতার উপকারিতা
- তেলাকুচা পাতার উপকারিতা
- থানকুনি পাতার উপকারিতা, থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
- থানকুনি পাতার অপকারিতা
- FAQ | পাতা উপকারিতা
খালি পেটে তুলসী পাতা খাওয়ার উপকারিতা, তুলসি পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার উপকারিতা, তুলসী পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
তুলসী পাতার গুণাগুণ হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ থাকতে প্রতিদিন একটি করে তুলসী পাতা চিবিয়ে খান। বাসার বারান্দায় যেখানে আলো–বাতাস চলাচল করে, সেখানে লাগিয়ে রাখতে পারেন উপকারী তুলসীগাছ।
তুলসী গাছের উচ্চ পুষ্টিগুণ রয়েছে
তুলসী গাছটি খুব বড় নাও হতে পারে, তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং উপকারিতা প্রদান করে। পাতা ভিটামিন এ, সি এবং কে এবং আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো খনিজগুলির ভাল উত্স। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও প্রোটিন রয়েছে। যদিও এটি খাবারের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে, আপনার খাবারে তুলসি যোগ করা স্বাদ এবং পুষ্টি যোগ করে। তুলসি কাঁচা বা চা বানিয়ে খাওয়া যায়।
তুলসি গাছ মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
গাছপালা দীর্ঘদিন ধরে তাদের স্ট্রেস-বাস্টিং গুণাবলীর জন্য পরিচিত। তাই বাগানে বাইরে থাকলে আপনি কম চাপ অনুভব করেন। গাছপালা ইতিবাচক শক্তি দেয় এবং আপনার মনকে শিথিল করে। বেশির ভাগ দেশে তুলসীকে মানসিক চাপমুক্ত করার একটি অসাধারণ ঔষধি হিসেবে ধরা হয়। তুলসীর ভিটামিন সি, অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি ও অন্যান্য অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এ উপাদানগুলো নার্ভকে শান্ত করে শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তুলসী শরীরে কর্টিসোলের মাত্রা কমিয়ে আনতে পারে। এ ছাড়া অতিরিক্ত উত্তেজনা ও চাপ থেকে মুক্তি দেয়।
তুলসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
তুলসি জিঙ্ক এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। শিশু থেকে শুরু করে যেকোনো বয়সের মানুষের ঠান্ডা, সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে তুলসী পাতা মহৌষধ। বাচ্চার সর্দি-কাশি থাকলে আধা চা–চামচ মধুর সঙ্গে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খাওয়ালে কাশি কমে যাবে। বুকে কফ বসে গেলে সকালবেলা এক গ্লাস পানিতে তুলসী পাতা, আদা ও চা পাতা ভালো করে ফুটিয়ে তাতে মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করুন, আরাম পাবেন। এ ছাড়া মাথাব্যথা কমাতে তুলসীর চা অনেক কার্যকরী। তুলসী পাতা ফুটিয়ে গড়গড়া করলে গলাব্যথায় আরাম পাওয়া যায়।
বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে তুলসী পাতায় রয়েছে অসাধারণ রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা যেমন অ্যাজমা, ফুসফুসের সমস্যা, ব্রঙ্কাইটিস ইত্যাদি। এ ছাড়া জ্বরের সময়ও তুলসী পাতা খুব উপকারী। বর্ষাকালে এই তুলসী পাতা ও এলাচি দিয়ে ফোটানো পানি পান করলে খুব সহজেই নানা রকমের রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিভিন্ন সার্জারির পর বা কোনো ক্ষতস্থানে তুলসী পাতা বেটে লাগালে তা বেশ তাড়াতড়ি শুকিয়ে ওঠে।
তুলসী গাছের ডিটক্সিফাইং প্রভাব রয়েছে
ইংরেজিতে তুলসী গাছটিকে যথার্থই হলি বেসিল বলা হয়। এটি বিশুদ্ধতার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয় এবং এটি যে পরিবেশে স্থাপন করা হয় সেখান থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলিকে সরিয়ে দেয়৷ দরজা এবং জানালার কাছে তুলসি রাখলে আপনার বাড়ির বাতাসকে বিশুদ্ধ করতে পারে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং সালফার ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকারক টক্সিন এবং গ্যাসগুলি অপসারণ করতে পারে৷ আপনি যদি একটি তুলসী গাছকে বাড়ির ভিতরে রাখতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই এটি এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে এটি পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় বা প্রতি কয়েক দিন পর পর পাত্রটি বাইরে নিয়ে যায়। তুলসীর পাশাপাশি, এই অন্যান্য বায়ু বিশুদ্ধকারী উদ্ভিদের দিকে নজর দিন।
তুলসী গাছ শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে
সাধারণ সর্দি-কাশির জন্য সবচেয়ে সুপরিচিত ঘরোয়া প্রতিকারগুলির মধ্যে একটি তুলসী পাতার শক্তির উপর নির্ভর করে। তুলসী অন্যান্য প্রায় সমস্ত আয়ুর্বেদিক ভেষজগুলির সাথে ভাল কাজ করে। এতে ইউজেনল, ক্যামফিন এবং সিনিওল রয়েছে। মধু এবং আদার সাথে রস এবং মিশ্রিত করা হলে, এই উপাদানগুলি কাশি, সর্দি, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। ইউজেনলের ব্যথা-উপশমক বৈশিষ্ট্যও রয়েছে যা শরীরের ব্যথা এবং মাইগ্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করতে পারে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।
তুলসী পাতা রক্তের সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টেরল দুটোই কমাতে সাহায্য করে
তুলসী পাতা রক্তের সুগারের মাত্রা ও কোলেস্টেরল দুটোই কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে খুব সহজেই আপনি ওজন বৃদ্ধির হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে প্রতিদিন খাওয়ার আগে তুলসী পাতা খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত তুলসী পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। ফলে শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকে না। এ ছাড়া তুলসীতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শরীরের ভেতর থেকে নানা রকমের বিষক্রিয়া পদার্থ বের করে আনতে সাহায্য করে। ফলে ডিহাইড্রেশন কমে যায় ও কিডনির কার্যকারিতা সচল অবস্থায় থাকে। এর ফলে কিডনিতে পাথর হওয়া রোধ করা যায়।
ক্যানসার প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী
ক্যানসার প্রতিরোধ করতে তুলসী পাতা খুবই উপকারী। তুলসী পাতায় রয়েছে রেডিওপ্রটেকটিভ উপাদান, যা টিউমারের কোষগুলোকে মেরে ফেলে। তুলসী পাতায় থাকা ফাইটোকেমিক্যাল যেমন রোসমারিনিক অ্যাসিড, মাইরেটিনাল, লিউটিউলিন এবং এপিজেনিন ক্যানসারের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। অগ্ন্যাশয়ে যে টিউমার কোষ দেখা দেয়, তা দূর করতেও তুলসী উপকারী। ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতেও তুলসী পাতা খুব কার্যকরী।
তুলসী গাছ পোকামাকড় তাড়ায়
এটি একটি ভুল ধারণা যে বাড়িতে গাছপালা থাকা বাগ আমন্ত্রণ জানায়। তুলসী গাছ একটি চমৎকার পোকামাকড় প্রতিরোধক। তুলসী পাতার তেলের নির্যাসের লার্ভিসাইডাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পূর্ণ বয়স্ক মশা হওয়ার আগেই এটি মশার লার্ভাকে মেরে ফেলে। এইভাবে, এটি পোকামাকড় দূরে রাখে এবং একটি মনোরম সুবাস ছড়িয়ে দেয়। পোকামাকড় তাড়ানোর জন্য শুকনো তুলসী পাতা ভাত এবং ডালের মতো সংরক্ষণের ব্যবস্থার সাথেও রাখা যেতে পারে। এমনকি যদি তুলসী গাছের পাতা ভুলবশত আপনার প্যানে পড়ে যায়, তবে তারা আপনার ক্ষতি করবে না। এমনকি আপনি আপনার আলমারিতে শুকনো তুলসীর পাউচও রাখতে পারেন।
তুলসী গাছের উপকারিতার মধ্যে রয়েছে ত্বকের উন্নতি
ত্বকের যত্নের জন্যও তুলসী পাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। তুলসী পাতায় থাকা ভিটামিন সি, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ও এসেনশিয়াল অয়েলগুলো চমৎকার অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের কাজ করে, যা বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। কেউ কেউ আবার তুলসী পাতাকে যৌবন ধরে রাখার টনিকও মনে করেন। তুলসী পাতা বেটে সারা মুখে লাগিয়ে রাখলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ হয়। এ ছাড়া ত্বকের কোনো অংশ পুড়ে গেলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে জ্বালা কমবে এবং সেখানে কোনো দাগ থাকবে না।
তুলসী গাছ দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী
মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য তুলসি খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। আপনি যদি ভেষজ টুথপেস্টের উপাদান তালিকাটি মনোযোগ সহকারে দেখেন তবে আপনি সম্ভবত তুলসীর উল্লেখ খুঁজে পাবেন। তুলসি দাঁতের পাশাপাশি মাড়ি মজবুত করে। এটি মুখের আলসার প্রশমিত করতেও সাহায্য করে। এইভাবে, আপনার বাগানে একটি তুলসি গাছ থাকলে আপনার হাসিকে উজ্জ্বল করার একটি সহজ উপায় দেয়।
তুলসী গাছ হার্টের উপকার করে
ভিটামিন সি যা তুলসিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এটি হৃদরোগের জন্য একটি ভাল উদ্ভিদও করে তোলে। হৃদপিণ্ডের জন্য তুলসীর উপকারিতা উদ্ভিদের ইউজেনলের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতেও জমা হতে পারে।
তুলসী পাতা হার্টের রোগীদের জন্য অনেক উপকারী। কেননা হার্টের রোগ জন্ম দেয় হাইপারটেনশন, উচ্চ রক্তচাপ বা কোলেস্টরলের। তুলসী পাতার দ্বারা রক্তের জমাট বাঁধার সমস্যা দূর করা যায় ও হার্ট অ্যাটাক রোধ করা যায়। হার্টের অন্যান্য সমস্যাও সহজে রোধ করতে পারে তুলসী পাতা।
তুলসী সমৃদ্ধির সাথে যুক্ত
সবাই সমৃদ্ধ হতে চায়। এবং প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থ অনুসারে, বাড়িতে একটি তুলসী গাছ থাকলে সম্পদ এবং সৌভাগ্য আকর্ষণ করতে পারে। আপনি কি জানেন যে এটিকে ভেষজ রাণীও বলা হয় কারণ এটি দেবী লক্ষ্মীর মূর্ত প্রতীক, সম্পদের দেবী বলে বিশ্বাস করা হয়?
তুলসী পাতার অপকারিতা
- গর্ভবতী সময় তুলসি না খাওয়াই উচিত। তুলসিতে ইউজেনল নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়। এমন অবস্থায়, আপনি যদি এটি খান, তাহলে, তাহলে পিরিয়ডস শুরু হতে পারে, যে কারণে গর্ভাবস্থায় ডায়রিয়ার সমস্যাও হতে পারে।
- আপনি যদি একদিনে খুব বেশি তুলসি পাতা খান তবে আপনার রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। আসলে, তুলসি পাতায় এমন বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা রক্তকে পাতলা করে দেয়, যা আপনার জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।
- তুলসির একটি গরম প্রভাব আছে, তাই আপনি যদি এটি বেশি খান তবে এটি আপনার পেটে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করে। তাই সীমিত পরিমাণে তুলসি খাওয়া উচিত।
রাম তুলসী পাতার উপকারিতা
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, রাম এবং কৃষ্ণ তুলসী উভয়েরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুমতে, আপনার বাড়িতে এই দুটির যে কোনও একটি রাখতে পারেন। কীভাবে চিনবেন? যে তুলসী গাছের পাতা উজ্জ্বল সবুজ হয় সেটি রাম তুলসী নামে পরিচিত। এর পাতা হালকা মিষ্টি এবং পুজোর জন্যও পাতা ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের তুলসী গাছ বাড়িতে পুঁতলে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
- উদ্ভিদ বায়ুনাশক, ঘর্ম উদ্রেককারী, এবং মস্তিষ্ক, হৃদপিণ্ড, যকৃৎ ও প্লীহা রোগের চিকিৎসায় উপকারী। এর তীব্র স্বাদ রয়েছে, দূর্গন্ধ শ্বাস বিদূরিত করে, দাঁতের মাড়ি শক্ত করে এবং বেদনা ও অর্শ রোগে উপকারী।
তেলাকুচা পাতার উপকারিতা
তেলাকুচা ফলে আছে ‘মাস্ট সেল স্টেবিলাইজিং’, ‘এনাফাইলেকটিক-রোধী’ এবং ‘এন্টিহিস্টামিন’ জাতীয় উপাদান। কবিরাজী চিকিত্সায় তেলাকুচা বেশ কিছু রোগে ব্যবহৃত হয়, যেমন- কুষ্ঠ, জ্বর, ডায়াবেটিস, শোথ (edema), হাঁপানি, ব্রংকাইটিস ও জন্ডিস।
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধে: ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচার কান্ড সমেত পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে আধাকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকালে খেতে হবে। তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়। পাতা ভেজেও খেতে পারেন।
- জন্ডিস প্রতিরোধে: জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেতে হবে।
- পা ফোলা রোগে প্রতিরোধে : গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায় একে শোথ রোগ বলা হয়। তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
- শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে: বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাপানি রোগ নয়) হলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে!
- কাশি প্রতিরোধে: শ্লেস্মাকাশি হলে শ্লেস্মা তরল করতে এবং কাশি উপশমে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূলও পাতার রস হালকা গরম করে আধা চা-চামচ মধু মিশিয়ে ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে।
- শ্লেম্মাজ্বর প্রতিরোধে : শ্লেষ্মাজ্বর হলে ৩-৪ চা চামচ তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে ২-৩ দিন সকাল- বিকাল খেতে হবে। এ ক্ষেত্রে তেলাকচুর পাতার পাটায় বেটে রস করতে হবে।
- স্তনে দুধ স্বল্পতা প্রতিরোধে: সন্তান প্রসবের পর অনেকের স্তনে দুধ আসে না বা শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এ অবস্থা দেখা দিলে ১টা করে তেলাকুচা ফলের রস হালকা গরম করে মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তেলাকচুর ফল একটু তিতে হওয়ায় পরিমাণমত সকাল-বিকাল ১ সপ্তাহ খেতে হবে। মা হলেও স্তনে দুধ নেই। এদিকে শরীর ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে কাঁচা সবুজ তেলাকুচার ফলের রস একটু গরম করে ছেঁকে তা থেকে এক চা চামচ রস নিয়ে ২/৫ ফোঁটা মধু মিশিয়ে সকালে ও বিকালে ২ বার খেলে ৪/৫ দিনের মধ্যে স্তনে দুধ আসবে।
- ফোঁড়া ও ব্রণ প্রতিরোধে : ফোড়া বা ব্রণ হলে তেলাকুচা পাতার রস বা পাতা ছেঁচে ফোঁড়া ও ব্রণে প্রতিদিন সকাল-বিকাল ব্যবহার করতে হবে।
- আমাশয় প্রতিরোধে: প্রায়ই আমাশয় হতে থাকলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস ৩-৪ চা চামচ ৩ থেকে ৭ দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে। অরুচিতে : সর্দিতে মুখে অরুচি হলে তেলাকুচার পাতা একটু সিদ্ধ করে জল ফেলে দিয়ে ঘি দিয়ে শাকের মত রান্না করতে হবে। খেতে বসে প্রথমেই সেই শাক খেলে খাওয়াতে রুচি আসবে।
থানকুনি পাতার উপকারিতা, থানকুনি পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
থানকুনি পাতা। আমাদের দেশের খুব পরিচিত একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ। এর ল্যাটিন নাম centella aciatica। গ্রামাঞ্চলে থানকুনি পাতার ব্যবহার আদি আমল থেকেই চলে আসছে। ছোট্ট প্রায় গোলাকৃতি পাতার মধ্যে রয়েছে ওষুধি সব গুণ। থানকুনি পাতার রস রোগ নিরাময়ে অতুলনীয়।
- চুল পড়ার হার কম করে: নানা সময়ে হওয়া বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সপ্তাহে ২-৩ বার থানকুনি পাতা খেলে স্কাল্পের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়। ফলে চুল পড়ার মাত্রা কমতে শুরু করে।
- টক্সিক উপাদানেরা শরীর থেকে বেরিয়ে যায়: নানাভাবে সারা দিন ধরে একাধিক ক্ষতিকর টক্সিন আমাদের শরীরে, রক্তে প্রবেশ করে। এইসব বিষেদের যদি সময় থাকতে থাকতে শরীর থেকে বের করে দেওয়া না যায়, তাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ! আর এই কাজটি করে থাকে থানকুনি পাতা।
- ক্ষতের চিকিত্সা করে: থানকুনি পাতা শরীরে উপস্থিত স্পেয়োনিনস এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এবার থেকে কোথাও কেটে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে অল্প করে থানকুনি পাতা বেঁটে লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে।
- হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: থানকুনি পাতা হজম ক্ষমতারও উন্নতি হবে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে থানকুনি পাতায় উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে টিক মতো হয় সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: থানকুনি পাতায় উপস্থিত অ্যামাইনো অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন, ফ্য়াটি অ্যাসিড এবং ফাইটোকেমিকাল ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি বলিরেখা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্কিনের ঔজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
- আমাশয়ের মতো সমস্যা দূর হয়: এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে থানকুনি পাতা খেতে হবে।
- কাশির প্রকোপ কমে: ২ চামচ থানকুনি পাতার রসের সঙ্গে অল্প করে চিনি মিশিয়ে খেলে সঙ্গে সঙ্গে কাশি কমে যায়। আর যদি এক সপ্তাহ খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে কাশির কোনও চিহ্নই থাকবে না।
- জ্বরের প্রকোপ কমে: আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে যে জ্বরের সময় ১ চামচ থানকুনি এবং ১ চামচ শিউলি পাতার রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে অল্প সময়েই জ্বর সেরা যায়। সেই সঙ্গে শারীরিক দুর্বলতাও কমে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়: থানকুনি পাতা হাফ লিটার দুধে ২৫০ গ্রাম মিশ্রি এবং অল্প পরিমাণে থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে একটা মিশ্রন তৈরি করে ফেলুন। তারপর সেই মিশ্রন থেকে অল্প অল্প করে নিয়ে প্রতিদিন সকালে খাওয়া শুরু করুন। এমনটা এক সপ্তাহ করলেই দেখবেন উপকার মিলবে।
থানকুনি পাতার অপকারিতা
উপকারিতার পাশাপাশি থানকুনি পাতার রয়েছে বেশ কিছু অপকারিতা। চলুন তাহলে জেনে নেই থানকুনি পাতার অপকারিতা সম্পর্কেঃ
- কোনো খাদ্যই প্রয়োজনের বেশি খেতে নেই। অতিরিক্ত কোন খাবার খাওয়ার ফলে নানা ধরণের বিপত্তির দেখা মেলে। থানকুনি পাতায় তার ব্যতিক্রম নেই। অতিরিক্ত থানকুনি পাতা খেলে পেটের পীড়া বেড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
- প্রয়োজনের তুলনায় অত্যাধিক থানকুনি পাতা খাওয়ার ফলে আপনার মাথা ঘুরার মতো নানা ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- বিভিন্ন ধরণের খোস পাচড়ার কিংবা এলার্জি জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- যারা লিভারের নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত রয়েছেন, তাদের কোনভাবেই থানকুনি পাতা খাওয়া উচিত নয়। থাককুনি পাতা খাওয়ার ফলে তারা নানা ধরণের সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারে।
- যারা বিভিন্ন ধরণের অপারেশনের রোগী রয়েছেন তাদের থানকুনি পাতা না খাওয়া উচিত।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আয়ুর্বেদ খুব প্রাচীন। আয়ুর্বেদ ওষুধের সঠিক প্রয়োগের সাথে, অনেক কঠিন রাগগুলি সহজেই নিরাময় করা হয়। এই পাঠ্যে, বিভিন্ন রাগগুলিতে উদ্ভিদের গুণাবলী, বর্ণিত ব্যবহারের নিয়মগুলি এটির সাথে রয়েছে, চিত্রটি। ফলস্বরূপ, পাঠ্যের গাছগুলি সনাক্ত করা খুব কঠিন হবে না। এটি কোন গাছগুলি, কোন ভেষজগুলি কোন ক্রোধে ব্যবহৃত হবে তাও বর্ণনা করে। আশা করি, শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পাঠকরা অবশ্যই এই বইটি থেকে উপকৃত হবেন
ডিসক্লেইমার: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধরণ তথ্যের জন্য। এটি কোনও ওষুধ ও চিকিৎসার অঙ্গ নয়। আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।
FAQ | পাতা উপকারিতা
Q1. সজনা পাতা উপকারিতা
Ans – সজনে পাতার গুনাগুন আমাদের যকৃত বা লিভারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ তার কারণ সজনে পাতাতে পলিফেনল উপাদান থাকে যা বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বা ক্ষতি থেকে আমাদের যকৃত বা লিভার কে রক্ষা করে। সজনে পাতাতে কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের যকৃত বা লিভারের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ গুলোকে পুনরায় সচল কোষে রূপান্তর করে।
Q2. ধনেপাতা উপকারিতা
Ans – ধনে পাতার অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
১. ধনে পাতা খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়, ভাল কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কারন এতে কোলেস্টেরল এর মাত্রা শূন্য।
২. ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্যে ধনে পাতা বিশেষ উপকারি। এটি ইনসুলিনের
ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।
৩. ধনে পাতায় থাকা অ্যান্টি-সেপটিক মুখে আলসার নিরাময়েও উপকারী, চোখের
জন্যেও ভাল।
Q3. পাথরকুচি পাতা উপকারিতা
Ans – এক নজরে দেখে নেই পাথরকুচির উপকারিতা। পাথরকুচি পাতার গুনাগুণঃ
সর্দি হলেঃ সর্দি বসে গেলে বা পুরাতন হয়ে গেলে পাথরকুচি পাতা ছেঁচে রস করে এবং তা গরম করে ২ চা চামচ পরিমাণ সকাল-বিকাল ২বার পান করতে হবে।
রক্তপিত্তেঃ পিত্ত জনিত ব্যাথায় রক্ত ক্ষরণ হলে সকাল-বিকাল ২ বার পাথরকুচি পাতার রস পান করলে এ সমস্যা দূর হবে।
মেহঃ ঠাণ্ডা-সর্দির কারণে অনেক সময় শরীরে ফোঁড়া হয় এবং ব্যাথা করে। একেই বলে মেহ। এমতাবস্থায় পাথরকুচি পাতার রস ১ চা চামচ করে টানা ১ সপ্তাহ পান করলে মেহ ভাল হবে।
কাটা-ছিড়াঃ অনেক সময় কেটে গেলে বা চাপ খেয়ে থেঁতলে গেলে টাটকা পাথরকুচি পাতা হালকা তাপে গরম করে কাটা-ছিড়ার স্থানে সেঁক দিলে আরাম পাওয়া যায় ও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
পেট ফাঁপা হলেঃ পেট ফেঁপে গেলে পেট ফুলে যায়, হালকা বায়ু, প্রস্রাব আটকে যায় এক্ষেত্রে ১/২ চামচ পাথরকুচি পাতার রস অল্প পরিমাণ চিনির সঙ্গে মিশিয়ে গরম করে অল্প পানির সঙ্গে মিশিয়ে রোগীকে পান করাতে হবে। তাহলে এধরনের সমস্যা দূর হবে।
মৃগী রোগ হলেঃ মৃগী ব্যারাম উঠার সঙ্গে সঙ্গে ৮-১০ ফোটা পাথরকুচি পাতার রস রোগীর মুখে দিলে সাথে সাথে উপকার লক্ষ্য করা যায়।
Q4. সোনাপাতা উপকারিতা
Ans – কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধে সোনা পাতা খুব ভালো কাজ করে। এই পাতা পিচ্ছিল হওয়ায় মানবদেহের বৃহদন্ত্রে পানি ও ইলেকট্রোলাইট শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে অন্ত্রের উপাদানগুলোর ভলিউম চাপ বৃদ্ধি করে এবং কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপ্ত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে খুব সহজে দেহ থেকে মল নিষ্কাশিত হয়। এ জন্য সোনা পাতাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ বলা হয়।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।