মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক পরিবেশ ও বিজ্ঞান, বিষয় আলোর প্রতিফলন, আলোর প্রতিসরণ

আলোর প্রতিফলন কাকে বলে

আলোর প্রতিফলন: আলোক রশ্মি যখন কোন স্বচ্ছ ও সমসত্ব মাধ্যম থেকে এসে অন্য এক মাধ্যমের বিভেদ তলে আপতিত হয়, তখন ওই আলোক রশ্মির কিছু অংশ দ্বিতীয় মাধ্যমের তল থেকে দিক পরিবর্তন করে আবার প্রথম মাধ্যমের ফিরে আসে, একে আলোর প্রতিফলন বলে।

প্রতিফলনের উদাহরণ: দিনের বেলা যখন সূর্য রশ্মি জলের মধ্যে পরে তখন ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যে আলোক রশ্মি সামনের দেওয়ালে বা জলের পাশে গাছের মধ্যে আলোর ঝিকমিক করতে দেখা যায়। আসলে এটি আলোর প্রতিফলনের জন্য ঘটে।

আলোর প্রতিফলনের সূত্র, আলোর প্রতিফলন এর সূত্র, আলোর প্রতিসরণের সূত্র কয়টি

আলোর প্রতিসরণের সূত্র দুটি, যথা:-

  • আপতিত রশ্মি, প্রতিফলিত রশ্মি এবং আপতন বিন্দুতে প্রতিফলকের ওপর অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।
  • আপতন কোন এবং প্রতিফলন কোণ পরস্পর সমান হয়।

আলোর প্রতিফলনের সূত্র ব্যাখ্যা

সমসত্ত্ব মাধ্যমে আলো সরলরেখায় চলে। কিন্তু আলো যখন এক সমসত্ত্ব মাধ্যম থেকে অন্য এক সমসত্ত্ব মাধ্যমের তলে আপতিত হয়, তখন সাধারণত তিনটি ঘটনা ঘটে: 

  • (1) আপতিত আলোর কিছু অংশ দ্বিতীয় মাধ্যম তল থেকে দিক পরিবর্তন করে পুনরায় প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। আলোর এরূপ দিক পরিবর্তনকে প্রতিফলন বলে। 
  • (2) আপতিত আলোর কিছু অংশ। দ্বিতীয় মাধ্যমে প্রবেশ করে অন্য পথে চলে যায়। একে আলোর প্রতিসরণ বলে। 
  • (3) আপতিত আলোর অবশিষ্ট অংশ দ্বিতীয় মাধ্যম-তলে শোষিত হয়।

নিয়মিত প্রতিফলন ও বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের পার্থক্য

নিয়মিত প্রতিফলনবিক্ষিপ্ত প্রতিফলন
নিয়মিত প্রতিফলন মসৃণ ও স্বচ্ছ প্রতিফলকে হয়।বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন অমসৃণ ও অস্বচ্ছ প্রতিফলকে হয়।
নিয়মিত প্রতিফলনে প্রতিফলক বস্তুর প্রতিবিম্ব গঠন করে।বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনে বস্তুর প্রতিবিম্ব পাওয়া যায় না।
নিয়মিত প্রতিফলনে প্রতিফলককে ঘুরিয়ে প্রতিফলিত রশ্মির দিক পরিবর্তন করা যায়।বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনের ক্ষেত্রে প্রতিফলককে ঘুরিয়ে প্রতিফলিত রশ্মিকে ইচ্ছা মতো নির্দিষ্ট কোনো দিকে ফেলা যায় না।
নিয়মিত প্রতিফলনে প্রতিফলিত আলো একটি নির্দিষ্ট দিক থেকে বেশি পরিমাণে আমাদের চোখে এসে পরে। ফলে, কেবল মাত্র সেই দিক থেকে তাকালেই প্রতিফলক চকচকে দেখায়।বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনে প্রতিফলিত রশ্মি গুলি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় অল্প অথচ সমপরিমাণ আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় এবং যে কোনো দিক থেকেই প্রতিফলক তালটিকে সমান উজ্জ্বল দেখায়।
নিয়মিত প্রতিফলনে প্রতিফলিত রশ্মি গুচ্ছ আপতিত রশ্মি গুচ্ছের অনুরূপ হয়।বিক্ষিপ্ত প্রতিফলনে আপতিত ও প্রতিফলিত রশ্মি গুচ্ছের মধ্যে কোনো সাদৃশ্য থাকে না।

আলোর প্রতিফলন, আলোর প্রতিফলন চিত্র

আলোর প্রতিফলন গাণিতিক সমস্যা, আলোর প্রতিফলন সৃজনশীল প্রশ্ন

সরণ দূরত্ব অপেক্ষা বেশি হতে পারে কিনা ব্যাখ্যা করবেন কি?

সরণ দূরত্ব অপেক্ষা বেশি হতে পারে না।বরং দূরত্ব সরণ অপেক্ষা বেশি বা সমান হতে পারে।

যেমন একটা চতুর্ভুজ abcd এর a থেকে যদি কেউ b তে যেতে চাই সে দুইভাবে যেতে পারবে।হয় চতুর্ভুজটির adcb পথ অতিক্রম করে আর না হয় ab পথ অতিক্রম করে। এখানে দুই ক্ষেত্রেই উদ্দেশ্য হচ্ছে b বিন্দু। এখানে কম দূরত্বটা হচ্ছে সরণ একই সাথে দূরত্ব । কিন্তু adcb হচ্ছে মোট দূরত্ত্ব কিন্তু সরাণ নয়।

ভরবেগ থেকে বেগকে বাদ দিলে ভর পাওয়া যায়। তাহলে আলোর ভরবেগ থেকে বেগকে বাদ দিলে এর ভর পাওয়া যাবে না কেন?

কারণ আমরা সাধারণত যে ভরবেগের সূত্র জেনে এসেছি , p = mv. তা দিয়ে আলোর ভরবেগ মাপা হয় না । আলোর ভরবেগ মাপার জন্য আপেক্ষিক বলবিদ্যার সূত্র প্রয়োজন । আর সে সূত্র অনুযায়ী

E^2=(pc)^2+(moc^2)^2

এখানে যদি mo অর্থাৎ ভর শূন্য হয় তবে

E^2=(pc)^2 বা, ভরবেগ, p = E / c পাওয়া যায় ।

সুতরাং দেখাই যাচ্ছে যে ভরবেগ তৈরিতে ভর থাকটাই গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং শক্তির উপস্থিতি থাকলেই যথেষ্ট

আলোর প্রতিসরণ ও বিচ্ছুরণ এর দুটি পার্থক্য লেখ

আলোর প্রতিসরণআলোর বিচ্ছুরণ
আলো এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে প্রবেশকালে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে আপতিত হয়ে যদি পূর্বের মাধ্যমেই ফিরে আসে তবে তাকে আলোর প্রতিফলন বলে। সাদা বর্ণের যৌগিক আলোর বর্ণালীর ৭ টি রঙে (বেগুনী, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল) বিভাজিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে আলোর বিচ্ছুরণ বলে। 
আলোর প্রতিফলনর একটি অন্যতম উদাহরণ হল- সমতল দর্পণ বা আয়নার সামনে যখন আমরা দাঁড়াই তখন আমরা আমাদের প্রতিবিম্ব দেখতে পাই। দর্পণে আলোর প্রতিফলনের জন্যেই বিম্বের সৃষ্টি হয়।বিজ্ঞানী স্যার আইজাক নিউটন সর্বপ্রথম এটি আবিষ্কার করে। তিনি প্রমাণ করেন যে সাদা আলো যৌগিক এবং তা প্রিজম এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় ৭ টি বর্ণে বিভক্ত হয়।
আলোর প্রতিসরণ ও বিচ্ছুরণ

আলোর প্রতিসরণ, আলোর প্রতিসরণ কাকে বলে

আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদ তলে তির্যকভাবে আপতিত আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

আলোর প্রতিসরণের উদাহরণ

  • আলোর প্রতিসরণের কারনে রাতের আকাশের তারা গুলো মিটি মিটি করে জ্বলতে থাকে ।
  • মরীচিকা আলোর প্রতিসরণের দ্বারা সৃষ্ট অপটিক্যাল ভ্রম । 
  • আলোর প্রতিসরণের কারনে পানির কণায় আলোক রশ্মির বেঁকে যাওয়ায় আকাশে রংধনু তৈরি হয়। 
  • একটি সুইমিং পুলে আলোক প্রতিসরণের কারণে সুইমিং পুলের তলকে তুলনামুলক অগভীর মনে হয়।
  • সাদা আলোক রশ্মি প্রিজমের মধ্যে দিয়ে গেলে তা সাত টি রঙ্গে বিশ্লিষ্ট হয়ে থাকে। 
  • একটি পেন্সিলকে পানি ভর্তি গ্লাসে রাখলে আলোর প্রতিসরণের কারনে বাঁকা মনে হয়।

আলোর প্রতিসরণের সূত্র

এক মাধ্যম থেকে অন্য কোন সমসত্ত্ব মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় আলোর রশ্মি যে দুটি সূত্র মেনে চলে তাদের প্রতিসরণের সূত্র বলে। প্রতিসরণের সূত্র দুটি নিচে দেওয়া হল।

  • ১. আলোর প্রতিসরণের প্রথম সূত্র: আপতিত রশ্মি, প্রতিসৃত রশ্মী এবং দুই মাধ্যমের বিভেদ তলের উপর আপতন বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্ব একই সমতলে থাকে।
  • ২. আলোর প্রতিসরণের দ্বিতীয় সূত্র: দুটি নির্দিষ্ট মাধ্যম এবং একটি নির্দিষ্ট রঙের আলোর সাপেক্ষে আপতন কোণের সাইন এবং প্রতিসরণ কোণের সাইনের অনুপাত সর্বদা ধ্রুবক হয়। এই দুর্ভোগ থেকে  μ মিউ অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এই সূত্রটিকে স্নেলের সূত্র বলে।

আলোর প্রতিসরণ ব্যাখ্যা করতে পারবে

আলোক রশ্মি যখন এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে তীর্যকভাবে আপতিত হয় তখন দ্বিতীয় স্বচ্ছ মাধ্যমে আলোক রশ্মির গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়। অর্থাৎ আলোক রশ্মি বেঁকে যায়। মাধ্যম পরিবর্তনের সাথে সাথে আলোক রশ্মির এই গতি পরিবর্তনের বিষয়টিকে আলোর প্রতিসরণ বলা হয়।

অন্যভাবে, মাধ্যম পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভেদতলে আলোক রশ্মির দিক পরিবর্তনকে আলোর প্রতিসরণ বলা হয়।

আলো রশ্মি ০ ডিগ্রি এবং ৯০ ডিগ্রি ব্যতিত অন্য যে কোন কোণে আপতিত হলে আলোর প্রতিসরণ ঘটে। 

আলোর প্রতিসরণের কারণ, আলোর প্রতিসরণের কারণ কোনটি

আলো এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে গেলে আলোর প্রতিসরণ হয়। এর মূল কারণ – দুইটি

  • তির্যকভাবে আলোর আপাতন
  • দুই স্বচ্ছ মাধ্যমের ঘনত্বের পার্থক্য

আলোর প্রতিফলন ও প্রতিসরণের মধ্যে পার্থক্য

আলোর প্রতিফলনআলোর প্রতিসরণ
আলো বায়ু বা অন্য কোন স্বচ্ছ মাধ্যমের ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময় যখন দ্বিতীয় কোন মাধ্যমে বাধা পায়, তখন দুই মাধ্যমের বিভেদতল থেকে কিছু পরিমান আলো প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে। এই ঘটনাকে আলোর প্রতিফলন বলে।আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য কোন স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যকভাবে প্রবেশকালে আলোকরশ্মির গতিপথের দিক পরিবর্তন হয় আলোকরশ্মির এইদিক পরিবর্তনকে আলোর প্রতিসরণ বলে।
প্রতিফলনের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মি যে মাধ্যম থেকে আপতিত হয় আবার সেই মাধ্যমে ফিরে আসে।প্রতিসরণের ক্ষেত্রে আলোকরশ্মির প্রথম স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে দ্বিতীয় স্বচ্ছ মাধ্যমে তির্যক ভাবে আপতিত হয়।
প্রতিফলন কোণ আপন কোণের সমান। অর্থাৎ, ∠ i = ∠ rএকজোড়া নির্দিষ্ট মাধ্যম ও নির্দিষ্ট বর্ণের আলোকরশ্মির ক্ষেত্রে আপতন কোণের সাইন ও প্রতিসরণ কোণের সাইন এর অনুপাত ধ্রুবক। 
অর্থাৎ, ‍sin ∠ i / sin ∠ r = ধ্রুবক 

আলোর প্রতিসরণ গাণিতিক সমস্যা, আলোর প্রতিসরণ সৃজনশীল প্রশ্ন

ঘন মাধ্যমে অবস্থিত কোন বস্তুকে লঘু মাধ্যম থেকে দেখলে বস্তুটি উপরের দিকে উঠে এসেছে বলে মনে হবে।

ঘন-মাধ্যম-থেকে-লঘু-মাধ্যমে-আলোর-প্রতিসরন
ঘন-মাধ্যম-থেকে-লঘু-মাধ্যমে-আলোর-প্রতিসরন

ধরি, একটি জলভর্তি চৌবাচ্চার তলায় P, Q এবং R প্রভৃতি কয়েকটি বস্তু বিন্দু আছে। এখন যদি চৌবাচ্চার উপরে বায়ু মাধ্যম থেকে P এর দিকে দেখি, তবে P থেকে অপসারী আলোকরশ্মি নির্গত হয়ে বাতাসে প্রবেশ করবে। ঘনতর মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রবেশ করার ফলে, ওরা অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যাবে এবং আরও অপসারী হয়ে চোখে পড়বে। ফলে, মনে হবে রশ্মিগুলি কাছের কোন বিন্দু P1 থেকে আসছে। এইজন্য P বিন্দুটি কিছু উপরে P1এ উঠে এসেছে বলে মনে হবে।

চোখ ওই জায়গায় রেখে Q এবং Rকে দেখলে, ওইগুলি থেকে নির্গত আলোকরশ্মি আরও তীর্যকভাবে জলতলে আপতিত হবে এবং বাতাসের মধ্যে প্রতিসৃত রশ্মী অভিলম্ব থেকে আরও দূরে সরে যাবে। অর্থাৎ, আরও বেঁকে চোখে পড়বে। ফলে Q বস্তুটির প্রতিবিম্ব Q1 এবং R বস্তুর প্রতিবিম্ব R1 অবস্থানে দেখা যাবে, ফলে P1 এর চেয়ে Q1কে আরও উপরে দেখাবে এবং R1কে Q1এর চেয়ে আরো উপরে আছে বলে মনে হবে। এই জন্য কোন জলাশয়ে দাঁড়িয়ে তলদেশের দিকে দেখলে যেখানে জলের মধ্যে দাঁড়ানো হয় সেই জায়গাটি সবচেয়ে গভীর বলে মনে হয় এবং একটু দূরের তলদেশ অপেক্ষাকৃত কম গভীর বলে মনে হয়।

সাদা কাগজের উপর একটা কালির ফোঁটা এঁকে ফোটাটিকে কোন আয়তাকার কাঁচ ফলকের নিচে রেখে ফলকের উপর থেকে ফোঁটাটিকে সোজা দেখলে মনে হবে ফোটাটি কিছুটা উপরে উঠে এসেছে। আলোর প্রতিসরণের জন্য এরকম ঘটে।

প্রতিসরণের-ফলে-বস্তুর-স্থান-পরিবর্তন
প্রতিসরণের-ফলে-বস্তুর-স্থান-পরিবর্তন

ধরা যাক, কালির ফোঁটাটি কাঁচ ফলকের নিচে O বিন্দুতে রয়েছে। এখন O বিন্দু থেকে আগত আলোক রশ্মি ঘনতর মাধ্যম কাঁচ থেকে লঘুতর মাধ্যম বায়ুতে প্রতিসৃত হচ্ছে। ফলে, প্রতিসৃত রশ্মী, মাধ্যম দুটি বিভেদ তলের আপাতন বিন্দুতে অঙ্কিত অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যাবে। ওই প্রতিসৃত রশ্মিগুলিকে অভিমুখের বিপরীত দিকে বাড়ালে O বিন্দুর কিছুটা উপরে O’ বিন্দুতে কালির ফোটার অসদ প্রতিবিম্ব গঠিত হবে – যে কারণে পর্যবেক্ষক O বিন্দুতে থাকা কালির ফোঁটাটিকে O’ বিন্দুতে দেখতে পাবে। অর্থাৎ পর্যবেক্ষকের কাছে কালির ফোঁটাটি কিছুটা উপরে উঠে এসেছে বলে মনে হবে।

একটি সোজা দণ্ডের কিছু অংশকে তীর্যকভাবে জলে ডোবালে জল ও বায়ুর সংযোগস্থল থেকে দন্ডটিকে গেছে বলে মনে হবে।

একটি সোজা দণ্ডের কিছু অংশকে তীর্যকভাবে জলে ডোবালে জল ও বায়ুর সংযোগস্থল থেকে দন্ডটি বেকে গেছে বলে মনে হবে। কারণ দণ্ডের যে অংশ জলের উপরে থাকে, সেই অংশ থেকে আলোর রশ্মি সরাসরি আমাদের চোখে আসে এবং আমরা দন্ডটির ওই অংশকে প্রকৃত স্থানে দেখতে পাই। কিন্তু দন্ডের যে অংশ জলের মধ্যে থাকে, সেই অংশ থেকে আগত আলোকরশ্মি যখন প্রতিসৃত হয়ে লঘুতর মাধ্যম বায়ুতে আসে তখন প্রতিসরণ কোণ আপতন কোণ থেকে বেশি হয়। ফলে, প্রতিসৃত রশ্মিগুলো অভিলম্ব থেকে দূরে সরে যায়। ওই প্রতিশ্রুত রশ্মি গুলো চোখে পৌঁছালে দন্ডটির প্রকৃত অবস্থানের কিছু উপরে আমরা দন্ডটির জলে নিমজ্জিত অংশের অসদ প্রতিবিম্ব দেখতে পাই। অর্থাৎ দন্ডটির জলের বাইরের অংশ এবং জলের ভিতরের অংশের প্রতিবিম্ব একই সরলরেখায় না থাকায় দন্ডটিকে বাঁকা দেখায়।

অদৃশ্য মুদ্রকে দৃশ্য করা

প্রতিসরণ-ও-মুদ্রার স্থান পরিবর্তন
প্রতিসরণ-ও-মুদ্রার স্থান পরিবর্তন

একটি পাত্রের ভিতরের তলে একটি মুদ্রা রেখে, পাত্রটিকে সরিয়ে এমন অবস্থানে রাখা হল যেন মুদ্রাটি পাত্রের দেয়ালের আড়ালে ঢাকা পড়ে। এখন চোখকে ওই একই জায়গায় রেখে বাটির মধ্যে জল ঢেলে ভর্তি করা হল। এই অবস্থায় বাটির মধ্যে যে মুদ্রাটি ছিল তাকে চোখে দেখা যাবে।
কারণ জলের মধ্যে থাকা মুদ্রাটি থেকে আগত OA এবং OB রশ্মি জলের উপরের তলে আপতিত হয়ে বায়ুতে প্রতিসৃত হলে প্রতিসরণ কোণ আপতন কোণ অপেক্ষা বেশি হবে। ফলে প্রতিসৃত রশ্মী দুটি যথাক্রমে AC ও BD রশ্মি রূপে পর্যবেক্ষকের চোখে প্রবেশ করবে। তখন মুদ্রাটির প্রকৃত অবস্থানের কিছু উপরে মুদ্রাটির অসদ প্রতিবিম্ব গঠিত হবে এবং পর্যবেক্ষক O’ অবস্থানে মুদ্রাটির প্রতিবিম্বকে দেখতে পাবে।

আলোর প্রতিসরাঙ্ক কাকে বলে

আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে যাওয়ার সময় মাধ্যমদ্বয়ের বিভেদ তলে তির্যকভাবে আপতিত আলোকরশ্মির দিক পরিবর্তন করার ঘটনাকে আলোর প্রতিসরণ বলে।

আলো এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে গেলে কিছু পরিমান বেঁকে যায়। এই বেকে যাওয়ার অনুপাতকেই আলোর প্রতিসরণাঙ্ক বলা হয়। সাধারণত বায়ু মাধ্যমে প্রতিসরণাঙ্ক ১ ধরে হিসাব করা হয়। একে n (ইটা) দ্বারা প্রকাশ করে, কোনো মাত্রা বা একক নেই।

আলোর প্রধান ধর্ম কয়টি

আলোর প্রধান প্রধান ধর্মগুলো নিচে তুলে ধরা হলো–

  • কোনো স্বচ্ছ সমসত্ত্ব মাধ্যমে আলো সরলপথে চলে।
  • কোনো নির্দিষ্ট মাধ্যমে আলো একটি নির্দিষ্ট বেগে চলে। শূন্যস্থানে এই বেগের মান, c = ৩
  • আলোর প্রতিফলন, প্রতিসরণ, ব্যতিচার, অপবর্তন, বিচ্ছুরণ এবং সমবর্তন ঘটে।
  • আলো এক প্রকার শক্তি।
  • আলো এক ধরনের তাড়িতচৌম্বক তরঙ্গ।
  • কোনো কোনো ঘটনায় আলো তরঙ্গের ন্যায়, আবার কখনো কখনো আলো কণার ন্যায় আচরণ করে।

আলোর বর্ণ কিসের উপর নির্ভর করে

রঙ হল আলোর একটি বৈশিষ্ট্য যা তার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। কোনো বস্তুর ওপর আলো পড়লে তার কিছু অংশ শোষিত হয় এবং কিছু প্রতিফলিত হয়। আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং কম্পাঙ্ক উপরোক্ত সম্পর্কের দ্বারা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।

আলোর বর্ণ কোন ভৌত রাশির উপর নির্ভর করে

দৃশ্যমান আলোর রঙ তার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে।

আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না, যে ক্ষেত্রে আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না সেটি হল

আয়না উপর আলোর বিক্ষিপ্ত প্রতিফলন ঘটে না।

আলোর অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন কাকে বলে

আলোকরশ্মি যখন ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে ক্রান্তি কোণের এর চেয়ে বড় মানের কোণে আপতিত হয় তখন প্রতিসরণের পরিবর্তে আলোকরশ্মি সম্পূর্ণরূপে ঘন মাধ্যমের অভ্যন্তরে প্রতিফলনের সূত্রানুযায়ী প্রতিফলিত হয়। এই ঘটনাকে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন বলে।

আভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলনের উদাহরন

  • মরীচিকা
  • জলের নিচে মাছ বা কচ্ছপ দেখা
  • চিকিৎসা শাস্ত্রে এন্ডস্কোপ এর ব্যাবহার
  • বাইনোকুলার
  • প্রিজম
  • হীরকের উজ্জ্যলতা

আলোর ক্ষুদ্রতম কণিকার নাম কি

আলোর মৌলিক কণা উভয়ই সাধারণ এবং বিস্ময় পূর্ণ। পদার্থবিদরা যাকে ফোটন হিসাবে উল্লেখ করেন, অন্য লোকেরা কেবল আলো বলতে পারে। আলোর কোয়ান্টা হিসাবে, ফোটন হল ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক শক্তির সবচেয়ে ছোট সম্ভাব্য প্যাকেট।

আলোর গতি ও বেতার তরঙ্গের গতি

আলোর গতি ও বেতার তরঙ্গের গতি সমান

বেতার তরঙ্গ এক প্রকার তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ। যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১ মিলিমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়। অন্যান্য সব তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণের মতো বেতার তরঙ্গ ও আলোর গতিতে ভ্রমণ করে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

Q1. আলোর গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে কত

Ans – আলোর গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার।

Q2. আলোর তরঙ্গ তত্ত্বের উদ্ভাবক কে

Ans – আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন হাইগেন। দীপ্তিমান বস্তু থেকে আলো কীভাবে আমাদের চোখে আসে তা ব্যাখ্যার জন্য বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত চারটি তত্ত্ব প্রদান করেন। এর মধ্যে ১৬৭৮ সালে আলোর তরঙ্গ তত্ত্ব উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী হাইগেন।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।