মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক উত্তর | রাসায়নিক বিক্রিয়া

অনুঘটক বলতে কী বোঝায় উপযুক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া, অনুঘটক বলতে কী বোঝায় উপযুক্ত রাসায়নিক বিক্রিয়া সমীকরণসহ ব্যাখ্যা করো

উত্তর: যেসব রাসায়নিক পদার্থ বিক্রিয়ায় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার বেগ বাড়ায় কিংবা কমায় কিন্তু বিক্রিয়ার শেষে নিজের সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত থাকে, সেই সমস্ত রাসায়নিক পদার্থকে অনুঘটক বা ক্যাটালিস্ট বলা হয়।

পরীক্ষাগারে পটাশিয়াম ক্লোরেট ( KClO ) থেকে অক্সিজেন  প্রস্তুত করার সময় শুধুমাত্র KClOকে উত্তপ্ত করলে 650C তাপমাত্রায় অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়। কিন্তু KClO এর সঙ্গে সামান্য পরিমানে MnOমিশিয়ে উত্তপ্ত করলে মাত্র 230C তাপমাত্রায় অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন হয়।এক্ষেত্রে  MnO  অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। 

            KClO + (MnO2) → 2KCl + 3O2 + (MnO2

তড়িৎ এর প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটেছে সমীকরণ, তড়িৎ প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটেছে সমীকরণ সহ উদাহরণ, তড়িতের প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটেছে সমীকরণ,
তড়িতের প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটেছে সমীকরণ সহ উদাহরণ দাও, তড়িতের প্রভাবে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটেছে সমীকরণসহ এমন উদাহরণ দাও

সালফিউরিক অ্যাসিড মেশানো চল তড়িৎ পরিবহনে সক্ষম। এই অ্যাসিড মেশানো জলের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ ঘাটালে জলের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়।জল বিশ্লিষ্ট হয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধর্ম বিশিষ্ট দুটি আলাদা গ্যাস হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এ পরিণত হয়। এই ধরনের বিক্রিয়া কে বলা হয় ইলেকট্রোলাইসিস বা তড়িৎ বিশ্লেষণ।

জলে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড (H2SO4) মিশিয়ে তার মধ্যে ব্যাটারির সাহায্যে তড়িৎ পাঠালে দেখা যাবে দুটো তড়িতদ্বারেই বুদবুদ আকারে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। এর মধ্যে একটা হলো হাইড্রোজেন ও অন্যটা হলো অক্সিজেন। এক্ষেত্রে জল বিয়োজিত হয়ে হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাস উৎপন্ন করে।

2H2O → 2H2+O2

এখানে তড়িৎ না পাঠালে গ্যাস তৈরী হয় না। অর্থাৎ তড়িতের প্রভাবেই এই রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটছে।

রসায়ন বিদ্যায় যখন কোন তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের দ্রাবনে দ্রবীভূত পদার্থের মধ্য দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ চালনা করা হয় তখন ঐ তড়িৎ-বিশ্লেষ্য পদার্থের রাসায়নিক বিয়োজন ঘটে নতুন রাসায়নিক ধর্মবিশিষ্ট পদার্থ উৎপন্ন হয়, এই পদ্ধতিকে তড়িৎবিশ্লেষণ (ইংরেজিঃ Electrolysis) বলে।

  • তড়িৎবিশ্লেষণ পদ্ধতি খনিজ পদার্থ থেকে বিভিন্ন ধাতু উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
  • তড়িৎবিশ্লেষণে তড়িৎশক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।

আম পাকানোর জন্য কোন রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়

আম পাকানোর জন্য অ্যাসিটিলিন গ্যাস যা সাধারণভাবে পরিচিত কার্বাইড গ্যাস দ্বারা কৃত্রিমভাবে আম পাকানো হয়।

তবে বর্তমানে, এফএসএসএআই তাদের নীতি-নির্দেশিকায় কৃত্রিমভাবে ফল পাকানো সম্পর্কে জানিয়েছে ইথিলিন গ্যাস ফল পাকানোর জন্য উপযুক্ত। ইথিলিন একটি সুরক্ষিত বিকল্প। প্রাকৃতিকভাবে ফল পাকাতে এটা ফলের ভিতরেই তৈরি হয়।

উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক, উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়া, উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায় কেন, উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক হার বৃদ্ধি পায় কেন

উত্তর: বিক্রিয়া শুরু করতে শক্তি প্রয়োজন। উষ্ণতা বাড়লে অণুদের গতিশক্তি বাড়ে, তখন রাসায়নিক ব্রিক্রিয়া তাড়াতাড়ি ঘটে।

উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায় ,কারণ কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার উষ্ণতা বৃদ্ধি করলে বিক্রিয়ক সমূহের গতিশক্তি বেড়ে যায় এবং বিক্রিয়ক অনুগুলি দ্রুত গতিতে ছোঁটাছুটি শুরু করে , সেই কারণে বিক্রিয়ক অনুগুলির মধ্যে সংঘর্ষের পরিমাণ ও বেড়ে যায় এবং সংঘর্ষের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফল হল বিক্রিয়ার হারের বৃদ্ধি ঘটা। আর সেই কারণেই উষ্ণতা বৃদ্ধিতে বেশিরভাগ রাসায়নিক বিক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পায়।

কাপড় কাচা সোডার রাসায়নিক নাম কি, কাপড় কাচার সোডার রাসায়নিক নাম, কাপড় কাচার সোডার রাসায়নিক নাম কি

কাপড় কাচা সোডার রাসায়নিক সংকেত Na2CO3.10H20 – সোডিয়াম কাবর্নেট আর ১০ অনু জল বা পানি। কাপড় কাচা সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম কার্বনেট ডেকা হাইড্রেট।

সোডিয়াম কার্বনেট (ওয়াশিং সোডা, সোডা অ্যাশ এবং সোডা স্ফটিক নামেও পরিচিত) হল Na₂CO₃ এবং এর বিভিন্ন হাইড্রেটের সূত্র সহ অজৈব যৌগ। সব রূপই সাদা, গন্ধহীন, পানিতে দ্রবণীয় লবণ যা পানিতে ক্ষারীয় দ্রবণ তৈরি করে।

কার্বলিক এসিডের রাসায়নিক নাম কি

হাইড্রক্সিবেনজিন বা ফেনলকে কার্বোলিক এসিড বলে এর রাসায়নিক সংকেত C6H5OH ।

কার্বনিক অ্যাসিড হলো একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসায়নিক সূত্র হলো H2CO3 (OC(OH)2 এর সাথে সমান)। এটিকে অনেক সময় পানিতে কার্বন ডাইঅক্সাইড এর দ্রবণ (কার্বনেটেড জল) বলা হয়, কারণ এই ধরনের দ্রবণে অল্প পরিমাণে H2CO3 থাকে।

কোন জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক, কোন জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক আবহবিকার প্রধান লক্ষ্য করা যায়

উত্তর:- বৃষ্টি বহুল উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু অঞ্চলে রাসায়নিক রাসায়নিক আবহবিকার বেশি ঘটে, কারণ:-

  • আর্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সময়ে বৃষ্টির জল বায়ুমন্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের (CO2) সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে মৃদু অ্যাসিডে (কার্বনিক অ্যাসিড) পরিণত হয়, যা চুনা পাথরের সংস্পর্শে এলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে । এই বিক্রিয়ার ফলে চুনাপাথরের ক্যালসিয়াম কার্বনেট দ্রবীভূত হয়ে ক্যালসিয়াম বাইকার্বনেটে পরিণত হয় । রাসায়নিক আবহবিকারের -এর কার্বোনিকরণ -এর ফলে চুনাপাথরের সহজেই ক্ষয়প্রাপ্তি ঘটে ।
  • বৃষ্টিবহুল আর্দ্র অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সময় শিলা গঠনকারী লৌহ যুক্ত খনিজের সঙ্গে বায়ুমন্ডলের অক্সিজেনের রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে শিলায় মরিচা পড়ে । রাসায়নিক আবহবিকার -এর জারণ -এর ফলে শিলার মধ্যস্থিত মূল লৌহ খনিজ ফেরাস অক্সাইড জারিত হয়ে ফেরিক অক্সাইডে পরিণত হয়ে হলুদ অথবা বাদামি রঙের লিমোনাইট নামে যৌগিক পদার্থের সৃষ্টি করে, যার ফলে লৌহ যুক্ত শিলা খন্ড ভেঙে গিয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় ।
  • বৃষ্টিবহুল আর্দ্র অঞ্চলের শিলাস্তরের মধ্যে অবস্থিত কোনো খনিজ পদার্থের মধ্যে জল প্রবেশ করলে রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে সেই খনিজ পদার্থটি আয়তনে বৃদ্ধি পায় এবং অবশেষে ভেঙে গিয়ে ক্ষয়প্রাপ্ত হয় । হেমাটাইট নামে লৌহ আকরিক এবং কেলসপারের সঙ্গে জলযুক্ত হলে রাসায়নিক আবহবিকার -এর আর্দ্রকরণ ঘটে ।

কোন রাসায়নিক জেলি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়

জেলি হল একটি মিষ্টান্ন, একটি মিষ্টি স্বাদ যুক্ত পণ্য যা বিশেষ প্রক্রিয়ায় জেলাটিন দিয়ে তৈরী।

জেলাটিন এর রাসায়নিক সংকেত – C102H151N31O39 । জেলাটিন দেখতে সাদা থেকে সামান্য হলুদ ।

ক্রোমোজোমের রাসায়নিক উপাদান, ক্রোমোজোমের রাসায়নিক উপাদান গুলি উল্লেখ করো, ক্রোমোজোমের রাসায়নিক উপাদানের ছক, ক্রোমোজোমের রাসায়নিক গঠন

ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষ পর্যন্ত সকল জীব কোষেই ক্রোমোজোম থাকে। তবে ব্যাকটেরিয়ার ক্রোমোজোমের তুলনায় অন্যান্য বহুকোষী জীবের ক্রোমোজোমের আকার, সংখ্যা এবং রাসায়নিক গঠন ভিন্ন ধরনের হয়। ক্রোমোজোমের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করলে এতে প্রধান দুটি উপাদান পাওয়া যায়। যথা

  • নিউক্লিক অ্যাসিড এবং প্রোটিন। নিউক্লিক এসিডের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগের অধিক থাকে DNA এবং
  • বাকি অংশ RNA ।

প্রোটিনদের মধ্যে ক্রোমোজোমের মূল গঠনে অধিকমাত্রায় হিস্টোন বা বেসিক প্রোটিন পাওয়া যায়। অহিস্টোন বা এসিড প্রোটিন থাকে খুবই সামান্য। ইঁদুরের যকৃৎ কোষের ক্রোমাটিন বস্তু রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে এতে ১:১ অনুপাত হিস্টোন প্রোটিন এবং DNA পাওয়া গেছে। অপরদিকে হিস্টোন প্রোটিন এবং DNA পাওয়া গেছে ০.৬ঃ১ অনুপাতে এবং RNA ও DNA পাওয়া গেছে ০.১ঃ১ অনুপাতে।

ব্যাকটেরিয়ার ক্রোমোজোমের ইউক্যারিওটিক কোষের মত হিস্টোন প্রোটিন পাওয়া যায় না। তাই ব্যাকটেরিয়ার ক্রোমোজোমকে নগ্ন (naked) ক্রোমোজোম বলে। ব্যাকটেরিয়ার ক্রোমোজোম থেকে DNA পৃথক করলে ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখা যায় যে এই DNA বিশেষভাবে কুণ্ডলী তৈরি করে থাকে।

ব্যাকটেরিয়া DNA তে সকল অংশ থেকেই প্রোটিন তৈরির সংকেত গঠিত হয়ে থাকে। এর তুলনায় প্রাণী কোষের DNA তে বিশেষত মানুষের DNA একটি বৃহৎ অংশ থেকে প্রোটিন তৈরীর কোন সংকেত গঠিত হয় না। মানুষের ক্রোমোজোমের DNAতে 3×10⁹ বেস জোড়া আছে। এরা আনুমানিক এক লক্ষ জিন তৈরি করতে পারে। তবে এই জিনের মধ্যে কেবল মাত্র ৩% জিন কার্যকরী প্রোটিন তৈরি করে।

যেহেতু ক্রোমোজোমের অন্যতম রাসায়নিক উপকরণ এই হচ্ছে DNA তাই ক্রোমোজোম আসলে জিনের সংগঠক এবং বাহক রূপে কাজ করে।

ক্রোমোজোমের রাসায়নিক গঠন

প্রাথমিকভাবে ক্রোমোজোমে ৯০% DNA ও ক্ষারীয় প্রোটিন এবং ১০% RNA ও অম্লীয় প্রোটিন থাকে। Ca, Mg, Fe ইত্যাদি কয়েকটি ধাতব আয়ন থাকে। ক্রোমোজোম প্রধানত হিস্টোন এবং হিস্টোনবিহীন প্রোটিন ও নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA ও RNA) দ্বারা গঠিত।

খাদ্য লবণের রাসায়নিক নাম কি

সোডিয়াম ক্লোরাইড (ইংরেজি: Sodium Chloride) একটি রাসায়নিক পদার্থ যা সাধারণ লবণ, টেবিল লবণ হিসেবেও পরিচিত। এর রাসায়নিক সংকেত হলো NaCl । সোডিয়াম ক্লোরাইড সাগরের নোনা স্বাদের জন্য সর্বাপেক্ষা দায়ী। খাবার লবণের বা টেবিল লবণের প্রধান উপকরণ হিসেবে, এইটি একটি স্বাদবর্ধক এবং খাবার সংরক্ষক হিসেবে সাধারণভাবে ব্যবহার করা হয়।

খাবার লবণের রাসায়নিক নাম হলো সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) । সোডিয়াম হাইড্রো – অক্সাইড ও হাইড্রোক্লোরিক এসিড বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড লবণ তৈরি করে।

সোডিয়াম ক্লোরাইড বা খাদ্য লবণের ঘরোয়া ব্যবহারের পাশাপাশি প্রতি বছর উৎপাদনের প্রায় ২৫০০ লক্ষ টন ব্যবহার (২০০৮সালের তথ্য) হয় বিভিন্ন রাসায়নিক তৈরিতে এবং বরফ যাতে না জমতে পারে বা বরফ সরাতে ব্যবহার হয়।

খাবার সোডার রাসায়নিক নাম কি

খাবার সোডার রাসায়নিক নাম সোডিয়াম বাইকার্বনেট, সংকেত NaHCO3।

সোডিয়াম বাইকার্বনেট (IUPAC নামঃ সোডিয়াম হাইড্রোজেন কার্বনেট) একটি রাসায়নিক যৌগ যার রাসয়নিক সংকেত NaHCO3। সোডিয়াম বাইকার্বনেট সাদা কঠিন স্ফটিক পদার্থ কিন্তু প্রায়শই একে মিহি পাউডার রূপে ব্যবহার করা হয়।

জৈব রাসায়নিক সমন্বয়ক বলা হয়, হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়কারী কেন বলা হয়

জীব দেহের নির্দিষ্ট স্থান থেকে হরমোন উৎপন্ন অথবা নিঃসৃত হয়ে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ দেহের কোষে কোষে ছড়িয়ে পড়ে এবং কোষের বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়া গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। এইভাবে হরমোন জীব দেহে রাসায়নিক সংযোগ গঠন করায় হরমোন কে রাসায়নিক সমন্বয়কারী বা কেমিক্যাল কো অর্ডিনেটর (chemical co-ordinator) বলা হয়।

হরমোনকে রাসায়নিক সমন্বয়কারী কারণ:-

  • প্রথমত – হরমোন নিজেই জৈব রাসায়নিক পদার্থ ।
  • দ্বিতীয়ত – হরমোন উৎস থেকে লক্ষ্য কলা-কোষে বাহিত হয়ে তাদের মধ্যে বিশেষ নির্দেশ পৌছে দেয় ও তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ।

তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণী, তড়িৎ রাসায়নিক শ্রেণী কাকে বলে​

তড়িৎরসায়ন হল গাঠনিক রসায়ন এর উপশাখা যেটা সরাসরি বৈদ্যুতিক ব্যাপারের সাথে সম্পর্কযুক্ত তড়িৎ, গুনগত, অবস্থানগত ও পরিমাণগত রাসায়নিক পরিবর্তন, ভাইস ভার্সাতে বিদ্যুৎচালনাকে রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফল হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এই বিক্রিয়াগুলো বৈদ্যুতিক চার্জএর স্থানান্তর বিভিন্ন তড়িদ্বারের থেকে তড়িৎক্ষেত্রে পরিবহন করে (অথবা আয়নিক জাত দ্রবণ এর মধ্যে)। তাই বলা হয়ে থাকে তড়িৎরসায়ন বিদ্যুৎবাহী শক্তি ও রাসায়নিক পরিবর্তন দ্বারাই সম্পন্ন হয়ে থাকে।

১০ টি রাসায়নিক বিক্রিয়ার নাম

একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে যখন একটি রাসায়নিক বা রাসায়নিক পদার্থ (রিঅ্যাক্ট্যান্ট) অন্য পদার্থে (পণ্য) রূপান্তরিত হয়। এই প্রতিক্রিয়াগুলি রান্না, পরিষ্কার, গাড়ি চালানো এবং আপনার শরীরের অভ্যন্তরে ঘটতে থাকা প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে ঘটে। চারটি প্রধান ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া রয়েছে: সংশ্লেষণ, পচন, একক প্রতিস্থাপন এবং দ্বিগুণ প্রতিস্থাপন।

সংশ্লেষণ রাসায়নিক বিক্রিয়া উদাহরণ

সংশ্লেষণের অর্থ হল দুটি উপাদান একত্রিত হয়ে নতুন কিছু তৈরি করে। একটি সংশ্লেষণ বিক্রিয়ায়, যা সরাসরি সংমিশ্রণ বিক্রিয়া নামেও পরিচিত, দুটি রাসায়নিক (A এবং B) একটি নতুন পদার্থ (AB) তৈরি করে। সহজ সংশ্লেষণ প্রতিক্রিয়ার কিছু উদাহরণ অন্তর্ভুক্ত:

  • হাইড্রোজেন + অক্সিজেন —> পানি
  • আয়রন + অক্সিজেন —> মরিচা
  • পটাসিয়াম এবং ক্লোরিন গ্যাস —> ক্লোরাইড
  • চুন + কার্বন ডাই অক্সাইড —> ক্যালসিয়াম কার্বনেট (রাজমিস্ত্রি শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত)
  • জল + কার্বন ডাই অক্সাইড + আলো —> গ্লুকোজ এবং অক্সিজেন (সালোকসংশ্লেষণ)
  • সোডিয়াম + ক্লোরাইড —> সোডিয়াম ক্লোরাইড (টেবিল লবণ)

দহন প্রতিক্রিয়া প্রায়ই সিন্থেটিক বিক্রিয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দহন ঘটে যখন একটি রাসায়নিক অক্সিজেনের সাথে একত্রিত হয়। পণ্য সাধারণত আগুন বা অন্য ধরনের তাপ হয়।

পচনশীল রাসায়নিক বিক্রিয়ার উদাহরণ

যখন একটি রাসায়নিক দুটি সরল উপাদান (AB তে A এবং B) ভেঙ্গে একটি উদ্দীপকের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায়, এটি একটি পচন প্রতিক্রিয়া। পচন রাসায়নিক বিক্রিয়া সংশ্লেষণ বিক্রিয়ার বিপরীত। আপনি নিম্নলিখিত প্রক্রিয়াগুলিতে পচন প্রতিক্রিয়া খুঁজে পাবেন:

  • জল —> হাইড্রোজেন এবং জল (ইলেক্ট্রোলাইসিস)
  • কার্বনিক অ্যাসিড —> কার্বন ডাই অক্সাইড এবং জল (যখন একটি কোমল পানীয় তার বুদবুদ হারিয়ে ফেলে)
  • খাদ্য —> প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট (হজম প্রক্রিয়া)
  • সিলভার ক্লোরাইড —> সিলভার এবং ক্লোরিন
  • ধাতব ক্লোরেট —> ধাতব ক্লোরাইড এবং জল
  • মারকিউরিক অক্সাইড —> পারদ ধাতু এবং অক্সিজেন
  • অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট —> জল এবং ডাইনাইট্রোজেন অক্সাইড (লাফিং গ্যাস)

রাসায়নিককে সহজ পদার্থে ভেঙ্গে ফেলার তিনটি উপায় রয়েছে। তাপীয় পচন তাপের সাথে রাসায়নিককে ভেঙে দেয়, যখন ইলেক্ট্রোলাইটিক পচন বন্ধন ভাঙতে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। ফটো পচন ঘটে যখন একটি জটিল রাসায়নিক আলো থেকে ফোটনের সংস্পর্শে আসে।

একক প্রতিস্থাপন রাসায়নিক বিক্রিয়া উদাহরণ

কখনও কখনও একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া একটি যৌগ থেকে একটি উপাদান দূরে নিয়ে যায় এবং এটি অন্য পদার্থে যোগ করে (A + BC = B এবং AC)। এটি একটি একক প্রতিস্থাপন রাসায়নিক বিক্রিয়া হিসাবে পরিচিত, এবং এটি একটি একেবারে নতুন পণ্যে পরিণত হয়। এখানে একক প্রতিস্থাপন প্রতিক্রিয়ার কিছু উদাহরণ রয়েছে:

  • জিঙ্ক + হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড —> জিঙ্ক ক্লোরাইড এবং হাইড্রোজেন গ্যাস
  • জিঙ্ক + সিলভার নাইট্রেট —> জিঙ্ক নাইট্রেট এবং সিলভার ধাতু
  • ক্যালসিয়াম + জল —> ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং ডাইহাইড্রোজেন
  • আয়রন + কপার নাইট্রেট —> লোহা নাইট্রেট এবং তামা ধাতু
  • ব্রোমিন + পটাসিয়াম আয়োডাইড —> পটাসিয়াম ব্রোমিন এবং আয়োডিন

অ্যাসিডের সাথে মিলিত ধাতু প্রায় সবসময় একক প্রতিস্থাপন রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। যখন তারা প্রতিক্রিয়া জানায়, ধাতুটি অ্যাসিড থেকে একটি উপাদান নেয়, একটি একক উপাদান পিছনে ফেলে। লিথিয়াম, পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো প্রতিক্রিয়াশীল ধাতুগুলির জলের প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়, যখন কম প্রতিক্রিয়াশীল ধাতুগুলি নাটকীয়ভাবে প্রতিক্রিয়া নাও করতে পারে।

ডবল প্রতিস্থাপন রাসায়নিক বিক্রিয়া উদাহরণ

রাসায়নিক বাণিজ্যের মতো ডবল প্রতিস্থাপন রাসায়নিক বিক্রিয়া, বা মেটাথেসিস প্রতিক্রিয়ার কথা ভাবুন। যখন আপনার কাছে দুটি জটিল বিক্রিয়াকারী (AB এবং CD) থাকে যা একটি বিক্রিয়ার সময় রাসায়নিক অদলবদল করে, আপনি দুটি নতুন পণ্য (AC এবং BD) পান। ডবল প্রতিস্থাপন প্রতিক্রিয়া উদাহরণের জন্য পড়তে থাকুন.

  • আয়রন সালফাইড + হাইড্রোজেন ক্লোরাইড —> আয়রন ক্লোরাইড এবং হাইড্রোজেন সালফাইড (বিষাক্ত গ্যাস)
  • সীসা নাইট্রেট + পটাসিয়াম আয়োডাইড —> সীসা আয়োডাইড এবং পটাসিয়াম নাইট্রেট (সল্টপিটার)
  • সোডিয়াম বাইকার্বোনেট (বেকিং সোডা) + ভিনেগার —> কার্বনিক অ্যাসিড এবং সোডিয়াম অ্যাসিটেট
  • সালফিউরিক অ্যাসিড + বেরিয়াম হাইড্রক্সাইড —> বেরিয়াম সালফেট এবং জল
  • সিলভার নাইট্রেট + সোডিয়াম ক্লোরাইড —> সিলভার ক্লোরাইড এবং সোডিয়াম নাইট্রেট

আপনি যখন একটি অ্যাসিড এবং একটি বেস একত্রিত করেন তখন আপনি একটি ডবল প্রতিস্থাপন রাসায়নিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারেন। যে বিক্রিয়াগুলো অ্যাসিড এবং বেসকে বিক্রিয়ক হিসেবে ব্যবহার করে তাকে নিরপেক্ষকরণ বিক্রিয়া বলে। তারা একে অপরকে বাতিল করে না, তবে তারা অন্যান্য ডবল প্রতিস্থাপন প্রতিক্রিয়াগুলির মতো সম্পূর্ণ নতুন পণ্য তৈরি করে।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।