আন্তর্জাতিক বিচারালয় কি, আন্তর্জাতিক বিচারালয় কোথায় অবস্থিত, আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতির সংখ্যা কত

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

আন্তর্জাতিক বিচারালয় কি

আন্তর্জাতিক বিচারালয় হল রাষ্ট্রসঙ্ঘ বা ইউ. এন. ও’র প্রধান বিচারালয় । এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৬ সালের ১৮ এপ্রিল । এর প্রধান কার্যালয় হল, নেদারল্যান্ড বা হল্যান্ডের হেগ শহরে । এই আদালতের বিচার্য বিষয় হল দুটি বা তার চেয়ে বেশি রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির ব্যাখ্যা দান । আন্তর্জাতিক আইনের ব্যাখ্যা ইত্যাদি । এই বিচারালয়ের ১৫ জন বিচারক নিয়ােগ করে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ ও নিরাপত্তা পরিষদ ।

আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (ইংরেজি: International Court of Justice; ফরাসি: Cour internationale de Justice; মূলত আন্তর্জাতিক আদালত নামে পরিচিত। এটির সদর দপ্তর হেগ, নেদারল্যান্ডে। এটির প্রধান কাজ স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আইন বিষয়ে পরামর্শ মতামত দেয়া। এটিকে সংক্ষেপে আইসিজে(ICJ ) বলা হয়।

আন্তর্জাতিক বিচারালয় কোথায় অবস্থিত, আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত

ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ সনদ দ্বারা 1945 সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এপ্রিল 1946 সালে কাজ শুরু করে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের সরকারি কাজের ভাষা হল ইংরেজি এবং ফরাসি।

আন্তর্জাতিক বিচারালয় সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের বিচারবিষয়ক প্রধান অঙ্গ।

দ্বিতীয় যুদ্ধের পরই এই বিচারালয় গঠন করা হয়। হল্যান্ডের ‘দি হেগ’ নামক স্থানে বিচারালয়টি অবস্থিত। তবে ইচ্ছা করলে যে কোনো জায়গায়ই তার অধিবেশন বসাতে পারে। এর প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘দি হেগ’-এ ১৯৪৬ সালের এপ্রিল ও মে মাসে।

আন্তর্জাতিক বিচারালয় সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের সদস্য দেশগুলোর মধ্যকার ঝগড়া, তর্কবিতর্ক বা বিবাদ মেটায়। ১৫ জন বিচারপতি নিয়ে বিচারালয়টি গঠিত। এর গঠনতন্ত্র অনুসারে- কোনো দেশ থেকে একজনের বেশি বিচারপতি থাকতে পারে না। সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক ওই সব বিচারপতিরা ৯ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তারা পুনর্নির্বাচনের জন্যও বিবেচিত হন। বিচারপতিরা সমগ্র আন্তর্জাতিক সরকারের (রাষ্ট্রের) প্রতিনিধিত্ব করেন।

আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারপতির সংখ্যা কত

আন্তর্জাতিক আদালত ৯ বছর মেয়াদি ১৫ জন বিচারক দ্বারা পরিচালিত। বিচারকগন স্থায়ী সালিস আদালতের মনোনীত তালিকা থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে থাকে। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক আদালতের অনুচ্ছেদ ৪-১৯ –এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। আদালতের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি ৩ বছর পর পর ৫ জন বিচারক নির্বাচন করা হয়।

কোন বিচারক মারা গেলে, সাধারনত বাকি সময়ের জন্য বিশেষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিচারক নির্বাচন করা হয়। একই দেশ থেকে দুই জন বিচারক থাকে না। অনুচ্ছেদ ৯ অনুসারে আদালতের সদস্যপদ ‘মৌলিক সমাজ ব্যবস্থা ও শীর্ষস্থানীয় আইন ব্যবস্থা’ কে প্রতিনিধিত্ব করে। মূলত, সকল ধরনের বিদ্যমান আইন। জন্মলগ্ন থেকে, নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্যের (ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র) মধ্যে ৮ জনের বিচারক সবসময় এই আদালতে থাকে। শুধুমাত্র চীন কোনো নাম না দেওয়ার কারণে, এই আদালতে কোন) বিচারক (১৯৬৭ থেকে ১৯৮৫ ছিল না।

জাতিসংঘের অন্যতম একটি অঙ্গ হলো আন্তর্জাতিক আদালত। এটি জাতিসংঘের প্রধান বিচারবিভাগীয় অঙ্গ। কিছু রাষ্ট্র ব্যতীত পৃথিবীর প্রায় সকল রাষ্ট্র জাতিসংঘের সদস্য। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আইনগত বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা দিলে এই সংস্থা তার বিচার করে৷

বিচারকদের অঞ্চল অনুযায়ী বিতরণ করা হয়:

  • আফ্রিকা থেকে 3
  • 2 লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান থেকে
  • এশিয়া থেকে 3
  • পশ্চিম ইউরোপ এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে 5
  • পূর্ব ইউরোপ থেকে 2

১৫ জন বিচারপতির মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং একজন রেজিস্ট্রার রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের গঠন

আন্তর্জাতিক আদালত গঠিত হবে সংবিধির ১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী।

আন্তর্জাতিক আদালতের প্রধান কার্যালয় নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে অবস্থিত। তবে আদালত প্রয়োজন মনে করলে যে কোন সময় যে কোন স্থানে তার কার্যাদি পরিচালনা করতে পারবে।

সংবিধির ২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৫ জন সদস্য নিয়ে বিচার বিভাগ গঠিত হবে।

যে সকল ব্যক্তি নিজ দেশে সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার যোগ্য বা আন্তর্জাতিক আইন সম্পর্কে স্বীকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন এবং উচ্চ নৈতিক চরিত্রের অধিকারী সেই সকল ব্যক্তি নিয়ে এই আদালত গঠিত হবে।

একই সময়ে একই রাষ্ট্র থেকে একাধিক ব্যক্তি নিয়োগ পাবেন না। বিচারকদের মেয়াদ হবে ৯ বছর। তবে তারা পূনঃ নির্বাচিত হতে পারবেন।

প্রথম নির্বাচনে যে সকল ব্যক্তি বিচারক হিসেবে নির্বাচিত হবেন তাদের ৫ জনের মেয়াদ হবে বছর এবং আরো ৫ জনের মেয়াদ হবে ৬ বছর।

বিচারকগণ নিজেদের মধ্য থেকে সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত করবেন। যাদের মেয়াদ হবে ৩ বছর।

কোন বিচারক ইস্তফা দিতে চাইলে সভাপতি বরাবর আবেদন করতে হবে।

১৫ বিচারকের মধ্যে ৯ জন দ্বারা কোরাম হবে।

এই আদালত এক বা একাধিক চেম্বার গঠন করতে পারবেন। যার সদস্য হবে ৩ বা ততোধিক।

আন্তর্জাতিক আদালতের ক্ষমতা, আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারের এলাকা হল, আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের বিচারের এলাকা হল কয়টি

আন্তর্জাতিক আদালতের এখতিয়ার বা ক্ষমতা মূলত দুইভাগে বিভক্ত। (১) বিরোধমূলক ক্ষমতা বা এখতিয়ার, (২) উপদেশমূলক ক্ষমতা বা এখতিয়ার।

(১) বিরোধমূলক ক্ষমতা বা এখতিয়ার : আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধির ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিরোধমূলক ক্ষমতা বা এখতিয়ার পর্যালোচনা করা বলতে যা পাওয়া যায় তা হলো-

(i) স্বেচ্ছামূলক ক্ষমতা বা এখতিয়ার : আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধির ৩৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী- জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত যে কোন রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধির পক্ষ হতে পারবে। এছাড়া যে কোন রাষ্ট্র জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতের এখতিয়ার বা ক্ষমতা স্বেচ্ছামূলকভাবে মেনে নিতে পারবে।

(ii) বাধ্যতামূলক ক্ষমতা বা এখতিয়ার : জাতিসংঘ সনদের ৯৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী- আন্তর্জাতিক আদালতের রায় জাতিসংঘের সকল রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক প্রযোজ্য। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক আদালত যে রায় প্রদান করবে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত সকল রাষ্ট্র তা মানতে বাধ্য।

(iii) ঐচ্ছিক ক্ষমতা বা এখতিয়ার : আন্তর্জাতিক আদালতের সংবিধির ৩৬(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী- পক্ষগণ ইচ্ছা করলে নিচের চারটি বিষয়ে আদালতের ঐচ্ছিক ক্ষমতার অধিভূক্ত হতে পারেঃ

(ক) কোন চুক্তির ব্যাখ্যার জন্য,

(খ) কোন ঘটনার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে হলে আন্তর্জাতিক দায়-দায়িত্ব লংঘন বলে বিবেচিত হবে।

(গ) আন্তর্জাতিক দায়-দায়িত্ব লংঘনের ফলে ক্ষতিপূরণের প্রকৃতি ও পরিধি নির্ধারণ করা।

(ঘ) আন্তর্জাতিক আইনের কোন প্রশ্ন।

(২) উপদেশমূলক ক্ষমতা বা এখতিয়ার : সাধারণ পরিষদ বা নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক প্রেরিত আইনগত কোন প্রশ্নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আদালত তার মতামত বা উপদেশ বা পরামর্শ প্রদান করতে পারবে। [জাতিসংঘ সনদ, অনুচ্ছেদ-৯৬(২)]

আন্তর্জাতিক আদালতের কাজ কী, আন্তর্জাতিক বিচারালয় এর কার্যাবলী

নিম্নে আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যাবলী উল্লেখ করা হলো :

(১) পরামর্শ দান : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদের অনুরোধে আন্তর্জাতিক আদালত পরামর্শ দান করে থাকে।

(২) বিচার করা : আন্তর্জাতিক আদালত জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আইনগত বিষয়ে কোন বিরোধ দেখা দিলে তার বিচার করে।

(৩) আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা : আন্তর্জাতিক আদালত বিভিন্ন দেশের বিরোধ নিষ্পত্তি করে তাদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

(৪) সন্ধি বা চুক্তির ব্যাখ্যা প্রদান : আন্তর্জাতিক আদালত বিভিন্ন সন্ধি বা চুক্তির ব্যাখ্যা প্ৰদান করে।

(৫) জটিল প্রশ্নের মীমাংসা : আন্তর্জাতিক আদালত আইন সংক্রান্ত জটিল প্রশ্নের রায় প্রদানের মাধ্যমে তা মীমাংসা করে।

কিভাবে এর রায় বা সিদ্ধান্ত বলবৎ করা যায়

আন্তর্জাতিক আদালতের রায় জাতিসংঘের সকল রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক প্রযোজ্য। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক আদালত যে রায় প্রদান করবে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত সকল রাষ্ট্র তা মানতে বাধ্য।

কিভাবে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় বা সিদ্ধান্ত বলবৎ করা যায় তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

(১) বল প্রয়োগ বা সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে : আন্তর্জাতিক আদালতের রায় কার্যকর বা বলবৎ করতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। প্রয়োজনে বল প্রয়োগের মাধ্যমে বা সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে রায় কার্যকর করা যেতে পারে।

(২) অর্থনৈতিক বয়কটের মাধ্যমে : কোন রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অমান্য করলে তার উপর অর্থনৈতিক বয়কট করা যাবে।

(৩) অভিমত প্রদানের মাধ্যমে : কোন সুপারিশ করে বা অভিমত প্রদানের মাধ্যমেও আন্তর্জাতিক আদালতের কার্যকর করা যেতে পারে।

উপসংহারঃ আন্তর্জাতিক আদালত জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এই আদালতের উপদেশ কারো জন্য বাধ্যতামূলক না হলেও এর বিচারের রায় বাধ্যকর। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আন্তর্জাতিক আদালত কেন প্রতিষ্ঠিত করা হয়

আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যুদ্ধাপরাধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইতিহাস বলে, যুদ্ধকালে নিরীহ মানুষদের ওপরে নৃসংশতার ইতিহাস অনেক পুরনো। একই সঙ্গে যুদ্ধনীতি বা যুদ্ধে পরাজিত দলের সঙ্গে কী ধরণের আচরণ করা হবে, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনাও অনেক দিনের। তবে জাতি রাষ্ট্রের ধারণার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে আলোচনা বাড়তে থাকে।

কার্যত ১৯ শতকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষত ইউরোপে, যুদ্ধাপরাধ বন্ধের দাবি জোরালো ভাবে সামনে আসে। যুদ্ধকালে নিরীহ মানুষদের ওপরে জোর-জুলামকে অন্যায়, অবিচার ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন বিবেচনার দাবি ক্রমে ঘনিয়ে ওঠে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা বিশ্বকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। যুদ্ধরত রাষ্ট্রগুলোর সেনাবাহিনী বিরোধী পক্ষের ও নিজ জাতির মানুষদের ওপরে চরম নির্যাতন-নিপীড়ন চলায়। বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ এ যুদ্ধে প্রায় দুই কোটি বেসামরিক ও সামরিক মানুষ প্রাণ হারায়। যুদ্ধে শেষে অপরাধ নিয়ে তুমুল তর্ক বিতর্ক হয়।

আনুষ্ঠানিক বিচারের কাজও শুরু হয় এ সময়ই। তবে তা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নয়, এককভাবে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত শক্তিদের মধ্যে তুর্কিদের আর্মেনীয় নিধন, জার্মানদের বেলজিয়ামের ধ্বংসযজ্ঞ এবং রাশিয়ার ইহুদি হত্যার প্রতিবাদে তখনকার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সরব হয়েছিল।

জাতিপুঞ্জ গঠনের সময় এ ইস্যুটি ছিল অন্যতম প্রধান বিতর্কিত বিষয়। কিন্তু জাতিপুঞ্জের বিলোপ বিচারকে এগোতে দেয়নি। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুরু হয় যুদ্ধাপরাধের বিচার। জগতের ভয়াবহতম এ যুদ্ধে প্রায় ছয় কোটি মানুষ প্রাণ হারায়। যুদ্ধে রোগে ভুগে, খাদ্যাভাবে, গণহত্যার শিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। তবে সংগঠিত অপরাধের মধ্যে গণহত্যা, ধর্ষণ, হত্যা এগুলোর পরিমাণ ছিল লক্ষনীয়ভাবে বেশি। জাপানে আনবিক বোমা হামলাও ছিল অন্যতম বিতর্কিত ঘটনা। তবে এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাউকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি।

আরো অন্যান্য প্রশ্নোত্তরের সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | আন্তর্জাতিক বিচারালয়

Q1. আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের সংবিধানকে কি বলা হয়

Ans – আন্তর্জাতিক বিচার আদালত, যা বিশ্ব আদালত নামেও পরিচিত, জাতিসংঘের প্রধান বিচার বিভাগীয় অঙ্গ। এটি জাতিসংঘের সনদ দ্বারা 1945 সালের জুন মাসে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং 1946 সালের এপ্রিলে কাজ শুরু হয়েছিল। আদালতের আসনটি হেগের (নেদারল্যান্ডস) শান্তি প্রাসাদে অবস্থিত।

Q2. আন্তর্জাতিক বিচারালয় কোন শহরে অবস্থিত

Ans – ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস বা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।