অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির ধারণা ব্যাখ্যা করুন এবং ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এর তাৎপর্য পরীক্ষা করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির ধারণা ব্যাখ্যা করুন এবং ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এর তাৎপর্য পরীক্ষা করুন

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বলতে প্রক্রিয়া এবং ফলাফলকে বোঝায়, যেখানে সমাজের প্রতিটি অংশ বৃদ্ধির সংগঠনে অংশগ্রহণ করে এবং এর থেকে সমানভাবে উপকৃত হয় (UNDP)।

IMF প্রধান অর্থনীতিবিদ মিসেস গোপীনাথ যুক্তি দেন যে প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় যখন:

  • দরিদ্র কাজ যেখানে সেক্টর ঘটে.
  • দরিদ্র উত্পাদন (শ্রম) যে সম্পদ ব্যবহার করুন.
  • যে খাতে দরিদ্ররা নির্ভর করে (স্বাস্থ্য, শিক্ষা) সে ক্ষেত্রে মান তৈরি করুন।

অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি:

  • অর্থনৈতিক – উচ্চ বৃদ্ধি, প্রকৃতিতে টেকসই।
  • পরিবেশ – পরিবেশের জন্য উদ্বেগের সাথে।
  • জনপন্থী – সমস্ত অংশের সুবিধা।

ভারতের জন্য তাৎপর্য:

বৃদ্ধির প্রকৃতি:

  • ভারতে কর্মহীন বৃদ্ধি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
  • g 2001-2011 সালে অর্থনীতি 7.7% হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল যেখানে কর্মসংস্থান শুধুমাত্র 1.8% বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • 49% জনসংখ্যার কর্মচারী কৃষি অব্যাহত রয়েছে যেখানে জিডিপিতে অবদান শুধুমাত্র 16%।
  • উচ্চ বৈষম্য
  • অক্সফাম – শীর্ষ 1% জাতীয় সম্পদের 43% মালিক।
  • গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট 2021 – মহিলারা পুরুষদের মজুরির 1/5 ভাগ উপার্জন করে, শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ 20% এর নিচে।
  • গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স – ক্ষুধা, স্টান্টিং (37%), অপচয় (17%), অপুষ্টি (14%) এর বৃহত্তম ঘটনা।
  • কোভিড মহামারীর সময় হাইলাইট হিসাবে দুর্বল সামাজিক অবকাঠামো।

অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি তাই নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে:

সুষম বৃদ্ধি:

  • টেক্সটাইলের মতো শ্রমঘন সেক্টরে পুঁজি করা।
  • সামাজিক অবকাঠামো বিনিয়োগ বৃদ্ধি (জাতীয় স্বাস্থ্য নীতি 2017 – স্বাস্থ্য ব্যয় জিডিপির 2.5% বৃদ্ধি)।
  • কমেছে বৈষম্য
  • উচ্চ আনুষ্ঠানিকতা
  • গিগ প্ল্যাটফর্ম কর্মীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা।
  • কৃষি খাতে প্রেরণা
  • ১ লাখ কোটি টাকার কৃষি ইনফ্রা তহবিল।
  • বাজারের বৈচিত্র্য।
  • 2070 সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষ হওয়ার প্রতিশ্রুতিতে প্রতিফলিত পরিবেশগত নীতিশাস্ত্র।

প্রধানমন্ত্রী যেমন তুলে ধরেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিছক স্লোগান নয়, আমাদের নীতির চালিকাশক্তি।

পরিবেশের উপর উন্নয়নের প্রভাব, সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য ও ভিত্তি গুলি আলোচনা করো, সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য গুলি আলোচনা করো, টেকসই এবং টেকসই উন্নয়নের ধারণা ব্যাখ্যা কর, সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্য

১) স্থিতিশীল উন্নয়ন এক ধরণের কার্যাবলি যা পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়ন মূলক কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।

২) স্থিতিশীল উন্নয়ন এ প্রাকৃতিক সম্পদ ও ভূপ্রাকৃতিক পরিবেশের গুনগত মান বজায় রেখে মানুষের জীবন যাত্রার মানের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।

৩) মানুষ যে প্রাকৃতিক সম্পদ ও সাংস্কৃতিক সম্পদ গুলো ব্যবহার করছে, সেগুলি হ্রাস বা ধ্বংস না করে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

ব্রুন্ডল্যান্ড কমিশন (Brundtland Commission) প্রদত্ত প্রতিবেদন স্থিতিশীল উন্নয়নের পৌছানোর লক্ষ্যে বিশ্বের সব দেশ গুলির দ্বারা উন্নয়নমূলক কৌশল গঠনের উপর জোর দেয়। এই কমিশনের মতে স্থিতিশীল উন্নয়ন অর্জন করতে নিম্নলিখিত বিষয় গুলির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া খুব জরুরী –

  • স্থিতিশীল পরিবেশ
  • স্থিতিশীল পৃথিবী
  • স্থিতিশীল মানব উন্নয়ন
  • স্থায়ী শান্তি ও বিকাশ 
  • স্বল্প অপচয়
  • টেকসই প্রযুক্তি

স্থিতিশীল উন্নয়নের বিশেষ দিক গুলি হল

স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে যে বিষয় গুলির উপর জোর দিতে হবে সেগুলি হল –

  • জীববৈচিত্র্য
  • গ্রিন হাউস গ্যাস
  • ক্ষতিকারক ও বিষাক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
  • শিল্পাঞ্চল যে দূষণ ছড়াচ্ছে আয়ত্বে আনা
  • নিরাপদ বাস্তুসংস্থানের ব্যবস্থা

স্থিতিশীল উন্নয়নের প্রধান নীতি বা উদ্দেশ্য

  • বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সম্পদের ব্যবহার
  • জীববৈচিত্র্যের সংরক্ষণ
  • এমন ভাবে সম্পদের ব্যবহার করা, যাতে সামাজিক ন্যায় বজায় থাকে
  • সম্পদের পুনব্যবহার
  • মানুষের গুনগত মানের বিকাশ – ভালো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও উচ্চ মাথা পিছু আয়
  • পরিবেশ সম্পর্কীত বিষয় গুলি বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে দেখা
  • মানুষ কে বিশ্ব সম্পদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বোঝানো।
  • স্থিতিশীল উন্নয়নের জন্য সকলের অংশগ্রহণ আবশ্যক

স্থিতিশীলতার নির্দেশক (Indicators) গুলি হল –

  • ১. বাস্তুসংস্থানিক নির্দেশক – এটি ভূমি ব্যবহারের নমুনা, ভূমি ব্যবহারের পরিবর্তন, জীবভরের গুন ও পরিমান, জলের গুন ও পরিমান, মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনশীলতা ও শক্তি সম্পদের প্রাচুর্যতা প্রভৃতি অন্তভুক্ত করে।
    • ক) ভূমি ব্যবহার ও ভূমি আচ্ছাদন পরিবর্তন প্যাটার্ন – রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড এবং রিমোর্ট সেন্সিং পদ্ধতির ব্যবহারের মাধ্যমে বর্তমান ভূমি ব্যবহার প্যাটার্ন ও সময়ের সাথে সাথে যে পরিবর্তন হচ্ছে তা বিশ্লেষণের দ্বারা ভবিষ্যতের পূর্বাভাস দেওয়া ।
    • খ) জীবভরের গুনমান ও পরিমান – স্থলজ ও জলজ বাস্তুতন্ত্র থেকে উৎপন্ন জীব ভরের পরিমান ও তার গুনমান বাস্তুতন্ত্রের এক গুরুত্বপুর্ন নির্দেশক।
    • গ) জলের গুনমান ও পরিমান – জীব তথা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য জল অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। স্বাদু জলের গুনমান ও পরিমানের যথা যথ পর্যালোচনা করা পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের অপর একটি গুরুত্ব পূর্ন নির্দেশক।
    • ঘ) মৃত্তিকার উর্বরতা – বিবেচনা সম্মত জমির ব্যবহার ও শস্যাবর্তন পরিবেশের উৎপাদন শীলতা ও স্থায়িত্ব নির্দেশ করে।
    • ঙ) শক্তি সম্পদ – শক্তি বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশের গুরুত্ব পূর্ন উপাদান। এটি সৌরশক্তি, জীবাশ্ম জ্বালানি, ভূতাপ বিদ্যুৎ প্রভৃতিকে অন্তর্ভুক্ত করে। বাস্তুতন্ত্রের শক্তির একমাত্র উৎস হল সূর্য।
  • ২) অর্থনৈতিক নির্দেশক – ইনপুট ও আউটপুট অনুপাত স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্ব পূর্ন অর্থনৈতিক নির্দেশক। মোট জাতীয় উৎপাদক কোনো দেশের জাতীয় স্তরের নির্দশক হিসাবে কাজ করে।
  • ৩) সামাজিক নির্দেশক – সামাজিক নির্দেশক হিসাবে জীবন যাত্রার মান খুবই গুরুত্বপূর্ন। জীবনযাত্রার উচ্চ মান বাস্তুতন্ত্রের ভালো স্থায়িত্ব কে নির্দেশ করে।

সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধান বাধা গুলি আলোচনা করো

সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রধান বাধাসমূহ (Major Barriers of Sustainable Development) সুস্থায়ী উন্নয়নের প্রধান বাধাগুলি ছিল

  • রাজনৈতিক
  • সামাজিক
  • অর্থনৈতিক
  • প্রশাসনিক
  • এবং পরিবেশ আইনসংক্রান্ত ।
আরো অন্যান্য সরকারি স্কিম ও বর্তমান খবররা খবর এর জন্য সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

CRACK – WBCS কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স – 2022 প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য

বি সন্দীপ আধ্যায় (লেখক), ড. দীপা রায় (লেখক), কে এস বালা (সম্পাদক)

FAQ | উন্নয়ন

Q1. উন্নয়নশীল দেশ কাকে বলে

Ans – যে সকল দেশের কিছুটা অর্থনৈতিক উন্নতি সাধিত হয়েছে এবং ক্রমশ উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তাকে বলে উন্নয়নশীল দেশ। অর্থাৎ এই সকল দেশসমূহে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়েছে এবং দেশসমূহ অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটিয়ে ক্রমশ উন্নয়নের পথে ধাবিত হচ্ছে। অর্থাৎ অর্থনীতি ক্রমশ বিকশিত হতে থাকে। উন্নয়নশীল দেশসমূহ পশ্চিমী তথা উন্নত দেশের উন্নয়ন মডেলকে অনুসরণ করে নিজেদের উন্নয়নের চেষ্টায় সদা লিপ্ত। কিন্তু সামাজিক, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে এই সকল দেশসমূহ অনেক উদ্যোগ গ্রহণের পরেও উন্নয়নের সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে না।
যেমন-ভারত,চীন,ইন্দোনেশিয়া, লিবিয়া, মিশর, থাইল্যাণ্ড, শ্রীলঙ্কা, তিউনিশিয়া প্রভৃতি দেশ।

Q2. সামাজিক উন্নয়ন কি

Ans – সামাজিক উন্নয়ন হলো সমাজের প্রতিটি ব্যক্তির কল্যাণকে উন্নত করা যাতে তারা তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছতে পারে। সমাজের সাফল্য প্রতিটি নাগরিকের কল্যাণের সাথে যুক্ত।
সামাজিক উন্নয়নের জন্য সঠিক বিনিয়োগ পদ্ধতি অবলম্বন করা যা সমাজের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে তার মধ্যে রয়েছে যুব কর্মসূচি এবং পরিষেবা, মাধ্যমিকোত্তর পরবর্তী শিক্ষা, চাকরি সৃষ্টি, স্বাস্থ্যকর, সক্রিয় জীবনধারণ এবং নিরাপদ ও সুরক্ষিত সম্প্রদায় সৃষ্টি করা। দারিদ্র্য হ্রাস করতে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিনিয়োগ করা যাতে করে সাধারণ জনগন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।