ফ্রান্সে দাসপ্রথার বিলুপ্তি কিভাবে সম্ভব হয়েছিল বর্ণনা কর।

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE History, Itihas | Farashi Biplob | Question Answer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান গুলি অতিসংক্ষিপ্ত (VSA), এবং ছোট (SA), সকল প্রশ্নের ক্ষেত্রে উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

ফ্রান্সে দাসপ্রথার বিলুপ্তি কিভাবে সম্ভব হয়েছিল বর্ণনা কর।

উত্তর: নিম্নলিখিত উপায়ে ফ্রান্সে দাসপ্রথার বিলুপ্তি সম্ভব হয়েছিল:

  • 18 শতকে লবণের ব্যবসা শুরু হয়। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মানুষের অধিকার নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় যেটি উপনিবেশগুলির সহ সমস্ত ফরাসি বিষয়গুলিতে প্রসারিত হওয়া উচিত।
  • কনভেনশন ফরাসী বিদেশী সম্পত্তির সমস্ত ক্রীতদাসকে মুক্ত করার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে। .
  • যাইহোক, নেপোলিয়ন দাসপ্রথার পুনঃপ্রবর্তন করেন। অবশেষে 1848 সালে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাকরন

(ফরাসি: Emmanuel Jean-Michel Frédéric Macron, উচ্চারণ: [emanɥɛl ʒɑ̃ miʃɛl fʁedeʁik makʁɔ̃]; জন্ম: ২১শে ডিসেম্বর ১৯৭৭) একজন ফরাসি রাজনীতিবিদ। তিনি ১৪ই মে, ২০১৭ তারিখ থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এবং পদাধিকারবলে অ্যান্ডোরার সহরাজপুত্র।

ফ্রান্সের উত্তরভাগের আমিয়াঁ শহরে জন্ম নেওয়া মাক্রোঁ পারি নঁতের বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি সিয়ঁস পো নামক মর্যাদাবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জনসংযোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর উপাধি অর্জন করেন। পরিশেষে তিনি ফ্রান্সের খ্যাতিমান একল নাসিওনাল দাদমিনিস্ত্রাসিওঁ নামক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জনপ্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ২০০৪ সালে উত্তীর্ণ হন। তিনি ফ্রান্সের আঁস্পেকসিওঁ জেনেরাল দে ফিনঁস (অর্থসংস্থান পরিদর্শকদের সাধারণ কার্যালয়) প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মচারী হিসেবে এবং পরবর্তীতে রথসচাইল্ড অ্যান্ড কো নামক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ব্যাংকার হিসেবে কাজ করেন।

২০১২ সালের ফরাসি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী ফ্রঁসোয়া ওলঁদ ২০১২ সালের মে মাসে মাক্রোঁকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপ-মহাসচিব পদে নিয়োগ দেন, ফলে তিনি ফরাসি রাষ্ট্রপতির অন্যতম জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টায় পরিণত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের আগস্টে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মানুয়েল ভালস তাঁকে ফরাসি মন্ত্রিসভাতে অর্থনীতি, শিল্প ও ডিজিটাল বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দান করেন। এই ভূমিকায় মাক্রোঁ ব্যবসাবান্ধব বেশ কিছু সংস্কার সাধন করেন। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন এবং ২০১৭ সালের ফরাসি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করেন। যদিও তিনি ২০০৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের সমাজতান্ত্রিক দল পার্তি সোসিয়ালিস্তের সদস্য ছিলেন, তিনি তার আদি দল থেকে নয়, বরং ২০১৬-এর এপ্রিল মাসে নিজের প্রতিষ্ঠিত “অঁ মার্শ” নামক একটি মধ্যপন্থী রাজনৈতিক আন্দোলনের ছত্রছায়ায় নির্বাচনে অংশ নেন।

জনমত জরিপে পিছিয়ে থাকলেও নির্বাচনের প্রথম পর্বে মাক্রোঁ সবচেয়ে বেশি ভোট পান এবং এরপর দ্বিতীয় পর্বে ফ্রোঁ নাসিওনাল দলের প্রার্থী মারিন ল্যপেনের বিরুদ্ধে ৬৬% ভোট পেয়ে ২০১৭ সালের ৭ই মে ফ্রান্সের ৫ম প্রজাতন্ত্র পর্বের ৮ম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। মাত্র ৩৯ বছর বয়সী মাক্রোঁ ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপতি। তিনি বিজয়ী হয়েই এদুয়ার ফিলিপকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দান করেন। এর এক মাস পরে মাক্রোঁর নেতৃত্বাধীন “লা রেপ্যুব্লিক অঁ মার্শ” নামক সদ্যগঠিত রাজনৈতিক দলটি ২০১৭ সালের ফ্রান্সের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে।

ফরাসি কোন দেশের ভাষা

ফরাসি ভাষা (ফরাসি: français [fʁɑ̃sɛ] ফ্রঁসে বা langue française [lɑ̃ɡ fʁɑ̃sɛːz] লা লঁগ ফ্রঁসেয) ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের একটি রোমান্স ভাষা। অন্য ব রোমান্স ভাষার মতো এটিও রোমান সাম্রাজ্যের প্রাকৃত লাতিন থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ফরাসি গালো রোমান্স থেকে বিবর্তিত হয়েছে, যা গল বা আরও নির্দিষ্টভাবে উত্তর গলে কথিত লাতিন। এর নিকটতম আত্মীয় হল অন্যান্য অইল ভাষাসমূহ—ঐতিহাসিকভাবে উত্তর ফ্রান্স ও দক্ষিণ বেলজিয়ামে কথ্য ভাষা, যেগুলোকে ফরাসি (ফ্রঁসিয়াঁ) বহুলাংশে প্রতিস্থাপিত করেছে। গালিয়া বেলজিকার মতো উত্তর রোমান গলের স্থানীয় কেল্টীয় ভাষাসমূহ এবং রোমানোত্তর ফ্রাঙ্ক হানাদারদের জার্মানীয় ফ্রাঙ্কীয় ভাষা দ্বারাও ফরাসি প্রভাবিত হয়েছে। ফ্রান্সের অতীতের ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য বিস্তারের কারণে বর্তমানে প্রচুর ফরাসিভিত্তিক ক্রেওল ভাষা রয়েছে, বিশেষত হাইতীয় ক্রেওল। একজন ফরাসিভাষী ব্যক্তি বা জাতিকে ফরাসি ভাষাতে ফ্রঁকোফোন হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে।

ফরাসি একাধিক মহাদেশ জুড়ে ২৯টি দেশের দাপ্তরিক ভাষা, যাদের বেশিরভাগই অর্গানিজাসিওঁ অ্যাঁতেরনাসিওনাল দ্য লা ফ্রঁকোফোনির (ওইএফ) সদস্য, ৮৪টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত একটি সম্প্রদায় যারা ফরাসি ভাষার দাফতরিক ব্যবহার বা শিক্ষা দেয়। ফরাসি জাতিসংঘে ব্যবহৃত ছয়টি দাফতরিক ভাষার মধ্যে একটি। এটি মাতৃভাষা হিসেবে কথিত হয় (বক্তার সংখ্যার নিম্নক্রম মোতাবেক): ফ্রান্স; কানাডা (বিশেষত কেবেক, অন্টারিও ও নিউ ব্রান্সউইক প্রদেশের পাশাপাশি অন্যান্য ফরাসিভাষী অঞ্চল); বেলজিয়াম (ওয়ালোনিয়া ও ব্রাসেলস-রাজধানী অঞ্চল); সুইজারল্যান্ড (পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষত ক্যান্টনগুলো নিয়ে গঠিত রোমান্ডি অঞ্চল); লুক্সেমবুর্গের কিছু অংশ; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশ (লুইজিয়ানা, মেইন, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও ভার্মন্ট রাজ্য); মোনাকো; ইতালির আওস্তা উপত্যকা অঞ্চল; এবং অন্যত্র বিভিন্ন সম্প্রদায়ে।

২০১৫ সালে ফরাসিভাষী জনসংখ্যার প্রায় ৪০% (দ্বিতীয় ও আংশিক ভাষাভাষী-সহ) ইউরোপে, ৩৬% সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা ও ভারত মহাসাগরে, ১৫% উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে, ৮% আমেরিকা মহাদেশি দ্বয়ে এবং ১% এশিয়া ও ওশেনিয়ায় বসবাসরত ছিল। ফরাসি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য মাতৃভাষা। ইউরোপীয়রা যারা স্থানীয়ভাবে অন্যান্য ভাষায় কথা বলে, তাদের মধ্যে প্রায় এক-পঞ্চমাংশ দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ফরাসিতে কথা বলতে সক্ষম। ফরাসি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় সর্বাধিক পড়ানো বিদেশি ভাষা। সংস্থাটির সমস্ত প্রতিষ্ঠান ইংরেজি ও জার্মানের সঙ্গে ফরাসিকে একটি দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ব্যবহার করে; এমনকি কিছু প্রতিষ্ঠানে ফরাসি হল একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা (যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ন্যায়বিচারিক আদালতে)। এছাড়াও ফরাসি হল বিশ্বের ১৮শ সর্বাধিক স্থানীয়ভাবে কথ্য ভাষা, মোট বক্তার সংখ্যার ভিত্তিতে পঞ্চম সর্বাধিক কথ্য ভাষা এবং বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় বা তৃতীয় সর্বাধিক অধীত ভাষা (২০১৭ সালের জরিপমতে প্রায় ১২ কোটি শিক্ষার্থীসহ)৷ ১৬শ শতকের পর থেকে ফরাসি ও বেলজীয় উপনিবেশবাদের ফলস্বরূপ ফরাসি ভাষা আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার নতুন এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছিল। বেশিরভাগ দ্বিতীয় ভাষাভাষীরা ফরাসিভাষী আফ্রিকাতে বসবাস করে, এবং আরও নির্দিষ্টভাবে বললে গাবোঁ, আলজেরিয়া, মরক্কো, তিউনিসিয়া, মরিশাস, সেনেগাল ও কোত দিভোয়ারে (আইভরি কোস্ট)।

অনুমান করা হয় যে ফরাসি ভাষার প্রায় ৭ কোটি ৬০ লক্ষ মাতৃভাষী বক্তা আছে ভাষাভাষী। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ কোটি ৫ লক্ষ লোক দৈনন্দিন ফরাসি ভাষায় সাবলীল কথা বলেন। এছাড়া আরও ৭ কোটি ৭০ লক্ষ থেকে ১১ কোটি ব্যক্তি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ফরাসি ভাষায় কথা বলতে পারে; এরা মূলত আফ্রিকায় বাস করে। আন্তর্জাতিক ফরাসিভাষী সংস্থার মতে বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩২ কোটি মানুষ “এই ভাষায় কথা বলতে সক্ষম”, তবে এই অনুমানের মানদণ্ড বা এটি কাদের অন্তর্ভুক্ত করে তার উল্লেখ নেই।[২] লাভাল বিশ্ববিদ্যালয় ও আজঁস উ্যনিভের্সিতের দ্য লা ফ্রঁকোফোনির নেতৃত্বাধীন একটি জনমিতিক প্রক্ষেপণ অনুসারে ২০২৫ সালে মোট ফরাসিভাষীর সংখ্যা প্রায় ৫০ কোটি এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৬৫ কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। আন্তর্জাতিক ফরাসিভাষী সংস্থার অনুমান মোতাবেক ২০৫০ সালে ৭০ কোটি ফরাসিভাষীর ৮০ শতাংশই হবে আফ্রিকার বাসিন্দা।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান ইতিহাস রেফারেন্স – ক্লাস – IX

অল ইন ওয়ান ইতিহাস রেফারেন্স

ক্লাস – 9 এর জন্য.





ফ্রান্সে দাসপ্রথার বিলুপ্তি কিভাবে সম্ভব হয়েছিল

8 শতকে লবণের ব্যবসা শুরু হয়। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মানুষের অধিকার নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয় যেটি উপনিবেশগুলির সহ সমস্ত ফরাসি বিষয়গুলিতে প্রসারিত হওয়া উচিত।
কনভেনশন ফরাসী বিদেশী সম্পত্তির সমস্ত ক্রীতদাসকে মুক্ত করার জন্য আইন প্রণয়ন করেছে। .
যাইহোক, নেপোলিয়ন দাসপ্রথার পুনঃপ্রবর্তন করেন। অবশেষে 1848 সালে দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।