অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

অষ্টম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলা প্রশ্ন উত্তর

‘বােঝাপড়া’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে

(ক) পুনশ্চ

(খ) খেয়া

(গ) শেষলেখা

(ঘ) ক্ষণিকা

উত্তর : ক্ষণিকা l

বহুমুখী উত্তরধর্মী প্রশ্ন MCQS

‘অনেক _ কাটিয়ে বুঝি / এলে সুখের বন্দরেতে’ – শূন্যস্থানে বসবে

(ক) ঝগড়া

(খ) শঙ্কা

(গ) ঝঞ্ঝা

(ঘ) অশ্রু

উত্তর : (গ) ঝঞ্ঝা

‘আকাশ তবু _ থাকে’ – শূন্যস্থানে বসবে

(ক) ডাগর

(খ) সুনীল

(গ) আঁধার

(ঘ) মস্ত

উত্তর : (খ) সুনীল

অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2021

‘কতকটা এ ভবের গতিক’ – ‘ভবের গতিক’টি কী?

উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত বােঝাপড়া কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে ৷ কবি বলেছেন কেউ আমাদের ভালােবাসে, কেউ বাসবেই না, কেউ সর্বস্ব বিকিয়ে দেয় আবার কেউ সিকি পয়সা ধার ধারে না এটাই ভবের অর্থাৎ পৃথিবীর গতিক।

ক্লাস ৮ বাংলা প্রশ্ন উত্তর

‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়’ – কোন্ বিষয়টিকে সবার চেয়ে শ্রেয় মনে করা হয়েছে?

উত্তর : কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কারাে সঙ্গে কোনাে রকম বিবাদ না করে ভালাে মন্দ যাই আসুক মেনে নিয়ে এগিয়ে চলাকেই শ্রেয় বলেছেন।

অষ্টম শ্রেণীর প্রশ্ন উত্তর বাংলা 2021

‘তবু ভেবে দেখতে গেলে’ – কবি কী ভেবে দেখার কথা বলেছেন?

উত্তর : উদ্ধৃত অংশটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত বােঝাপড়া কবিতা থেকে গৃহীত হয়েছে।

জগতে কেউ কারাে মত নয় সবাই আলাদা। তবুও সবাই একে অপরকে পিছনে ফেলে এগােতে চায়। তাই কবি ভেবে দেখতে বলেছেন, যে খুশির জন্য আমরা এমন করি তা তাে একজনের প্রতি ভালােবেসে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।

অষ্টম শ্রেণির বাংলা প্রশ্ন উত্তর

‘দোহাই তবে এ কাৰ্যটা / যত শীঘ্র পারাে সারাে। – কবি কোন্ কাৰ্যটা দ্রুত সারতে বলেছেন?

উত্তর : উদ্ধৃত উক্তিটি গৃহীত হয়েছে বিশ্ব বন্দিত কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বােঝাপড়া কবিতা থেকে l তমসাচ্ছন্ন জীবনের জন্য বিধাতাকে দায়ী করা ঠিক নয় l কবি ‘এ কাৰ্যটা’ বলতে অযথা হাহাকার করে সময় নষ্ট করার কথা বলেছেন l কবির মনে হয়েছে, এমন দ্বিধা-দ্বন্দ্বমনের মধ্যে না রাখাই ভালাে l

জীবনে বিপর্যয়ের মেঘ ঘনিয়ে আসলে মানুষ নিজের ভাগ্যকেই দোষী মনে করে। অর্থাৎ সে অদৃষ্ট নির্ভর হয়ে পড়ে। কিন্তু এতে নিজের ক্ষতি উত্তরােত্তর বৃদ্ধি পায়। তাই কবি ভাগ্যের দোহাই ছেড়ে যতখানি সম্ভব নিজের উদ্যোগে এগিয়ে চলার উপদেশ দিয়েছেন।

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 8 বাংলা উত্তর

‘আশ্রয়-প্রার্থনা করিলেন।’- কোথায় আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়েছে?

উত্তর :- পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের লেখা অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে মুব সেনাপতি আরব শিবিরে এসে আশ্রয় প্রার্থনা করলেন ।

‘সন্দিহানচিত্তে শয়ন করিলেন। কেন তার মনে সন্দেহ জেগেছে?

উত্তর :- পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে থেকে উদ্ধৃতাংশটি গৃহীত হয়েছে।

আরব সেনাপতি এবং মুর সেনাপতি যখন নিজ নিজ বংশের পূর্বপুরুষের গৌরবের কথা বলছিলেন তখন হঠাৎ আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হয়ে যায় এবং হঠাৎ তার আচরণও পাল্টে যায়, তাই মুর সেনাপতি সন্দিহান চিত্তে শয়ন করলেন।

‘আমা অপেক্ষা আপনকার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই।’— বক্তা কেন একথা বলেছেন?

উত্তর :- অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে প্রশ্নদ্ধৃত কথাটি বলেছিলেন, কারণ মুর সেনাপতি তার পিতার হত্যাকারী ছিলেন ।

‘কিন্তু তাহার দিভ্রম জন্মিয়াছিল।’— কার কথা বলা হয়েছে? এর ফলে কী ঘটেছিল?

উত্তর :- বাংলা গদ্যের জনক পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা গল্পে এক মুব সেনাপতির কথা এখানে বলা হয়েছে।

‘দিক্‌ম’ হওয়ার ফলে তিনি সঠিক দিক্‌নির্ণয় করতে পারলেন না। ক্ষুধায়, সিপাসায় ও ক্লান্তিতে অত্যন্ত সীড়িত অবস্থায় তিনি বিপক্ষ আরবসেনার শিবিবে উপস্থিত হলেন এবং আশ্রয় প্রার্থনা করলেন।

‘এই সময়ে, সহসা আরব সেনাপতির মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল।’— আরবসেনাপতির মুখ বিবর্ণ হলো কেন?

উত্তর :- পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত ‘অদ্ভুত আতিথেয়তা’ গল্পের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘আতিথেয়তা বিষয়ে পৃথিবীতে কোনো জাতিই আরবদিগের । বষ তুল্য নহে।’

পথ ভুল করে শত্রুপক্ষ আরব সেনাপতির দ্বারে উপস্থিত হয়েছিলেন ক্লান্ত শ্রান্ত – ক্ষুধার্ত মুর সেনাপতি । ইচ্ছা করলেই সেই সময় আরব সেনাপতি তাঁকে হত্যা করতে পারতেন। তিনি তা না করে অতিথি হিসাবেই আহার ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। অতঃপর বন্ধুভাবে তাঁর সঙ্গে গল্প শুরু করেন। উভয়েই নিজ পূর্বপুরুষগণের সাহস, পরাক্রম ও যুদ্ধ কৌশলের কাহিনি বলতে থাকেন। বিদ্যাসাগর লিখেছেন – তাঁহারা, পরস্পর স্বীয় ও স্বীয় পূর্বপুরুষদিগের সাহস, পরাক্রম,সংগ্রাম কৌশল প্রভৃতির পরিচয় প্রদান করিতে লাগিলেন।

কথাপ্রসঙ্গে আরব সেনাপতি জানতে পারেন যে, আশ্রিত মুব সেনাপতি হলেন তাঁর পিতার হত্যাকারী। এই নিদারূণ সংবাদে তাঁর মনে প্রবল আক্রোশ জন্মায়। কিন্তু অতিথিবাৎসল্যের অক্ষমতায় অন্তরে যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, তার প্রভাবেই তাঁর মুখ বিবর্ণ হয়ে ওঠে।

‘এই বলিয়া, আরব সেনাপতি, সাদর সম্ভাষণ ও করমর্দন পূর্বক, তাহাকে বিদায় দিলেন। – আরব সেনাপতি উদ্দিষ্ট ব্যক্তিকে কী বলেছিলেন?

উত্তর :- আরব সেনাপতি মুর সেনাপতি কে বলেছিলেন_ ” আপনি সত্বর প্রস্থান করুন এই বিপক্ষ শিবিরের মধ্যে আমা অপেক্ষা আপনার ঘোরতর বিপক্ষ আর নাই। আমি শ্রবণ মাত্র বৈরসাধন বাসনার বসতি হইয়া বারংবার এই শপথ প্রতিজ্ঞা করিয়াছি সূর্যোদয় হইলেই প্রাণপণে পিতৃহন্তার প্রাণবন্ত সাধনে প্রবৃত্ত হইবো। এখন পর্যন্ত সূর্যোদয় হয় নাই, কিন্তু সূর্যদয়ের ও অধিক বিলম্ব নাই, আপনি সত্বর প্রস্থান করুন। আমি আপনাকে যে অশ্ব দিয়াছি উহা আমার অশ্ব অপেক্ষা কোন অংশেই হীন নহে। যদি উহা দ্রুতবেগে গমন করিতে পারে তাহা হইলে আমাদের উভয়ের প্রাণরক্ষার।

‘তোদের মতো উল্লুকের সঙ্গে পিকনিকের আলোচনাও ঝকমারি! – কোন কথা প্রসঙ্গে টেনিদা এমন মন্তব্য করেছিল?

উত্তরঃ বনভোজন গল্পে আয়োজিত পিকনিকের জন্য মেনু তৈরীর সময় হাবুল সেন, ক্যাবলা, প্যালা ও টেনিদার মধ্যে আলোচনা চলছিল।পোলাও,ডিমের ডালনা, রুই মাছের কালিয়া, মাংসের কোর্মা, মুর্গ মুসল্লম, সামি কাবাব ইত্যাদি সুস্বাদু খাবারের সাথে কথক জুড়েছিল আলু ভাজা, শুক্তো, চচ্চড়ি, কুমড়োর ছক্কা আবার ক্যাবলা মেনুতে কুঁদরুর তরকারি দিয়ে ঠেকুয়া যোগ করার কথা বলেছিল।উক্ত সুস্বাদু খাবারগুলোর মধ্যে এই খাবারগুলো টেনিদার পছন্দ না হওয়ায় টেনিদা এরূপ মন্তব্য করেছিলেন।

‘কৌতূহলী দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে’ – চড়ুইপাখির চোখে কৌতূহল কেন?

উত্তরঃ ‘একটি চড়ুই পাখি’ কবিতায় চড়ুই পাখিটি কৌতূহলী কারণ হলো সাধারনত অট্টালিকা জনপূর্ন হয় কিন্তু কবির বাড়ি নির্জন। এই বাড়ির শূন্যতা তাকে বিস্মিত করে তোলে। আধুনিক জীবনের নিঃসঙ্গতা যেন জড়িয়ে গেছে কবির ঘরটিতে। তাই চড়ুইটি দুই চোখ মেলে অবাক দৃষ্টিতে দেখে আর মনে মনে ভাবে কবির অনুপস্থতিতে বিধাতার কৃপায় কক্ষের সবকিছুই একদিন তার হয়ে যাবে।

‘ছেলের কথা শুনেই বুকুর মা-র মাথায় বজ্রঘাত।’ – বুকুর কোন কথায় তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়লেন?

উত্তরঃ আশাপূর্ণা দেবী রচিত “কি করে বুঝবো” গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে।

বুকুর বাবা মা বুকুকে সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন যে কখনো মিথ্যা কথা বলতে নেই, কোনো কথা গোপন করতে নেই। বুকু সেই মোতাবেক কাজ করেছে। ছেনু মাসীরা তাদের বাড়িতে আশায় তার বাবা বিরক্ত বোধ করলে বুকু তাদের সামনেই তা বলে দেয়। কেননা ছয় বছরের ছোট্ট শিশুটি জানে না কোন কথা গোপন করতে হয়। বুকু নির্দোষ।কারণ তাকে যেটা শেখানো হয়েছে সে সেটাই বলেছে। বুকুর এই সত্যি কথা বলার কারণে তার মা অতিথিদের সামনে অস্বস্তিতে পড়েছেন।

‘রমেশ অবাক হইয়া কহিল, ব্যাপার কী?’ – উত্তরে চাষিরা কী বলেছিল?

উত্তরঃ অবিরাম বৃষ্টিপাতের পর কুড়ি জন অসহায় দরিদ্র কৃষক তাদের কণ্ঠে কেঁদে পড়ল। তাদের কান্না শুনে রমেশবাবু জিজ্ঞেস করেছিলেন ব্যাপার কি? তখন চাষিরা জানিয়েছিল। তাদের ১০০ বিঘা মাঠ জলে ডুবে গেছে, জল বার না করলে সমস্ত ধান নষ্ট হয়ে যাবে এবং অনাহারে তাদের মৃত্যুবরণ করতে হবে।

‘গাছের জীবন মানুষের জীবনের ছায়ামাত্র।’ – লেখকের এমন মন্তব্যের কারণ কী?

উত্তরঃ গাছের কথা প্রবন্ধে জগদীশচন্দ্র বসু বলেছেন গাছপালা কে ভালবাসতে শিখে তিনি অনুভব করেছেন যে, মানুষের মতোই গাছেরাও আহার করে, দিনে দিনে বাড়ে, মানুষের মতো তাদেরও অভাব তাদেরও দুঃখ কষ্ট আছে, জীবনধারণের জন্য সদা ব্যস্ত আছে এবং কি মানুষের মায়ের মতোই প্রয়োজনের সন্তানের জন্য জীবন ত্যাগও গাছের মধ্যে দেখা যায়। এগুলি অনুভব করেই লেখক উক্ত মন্তব্যটি করেছেন।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

নবোদয় বিদ্যালয় নির্বাচন পরীক্ষা ক্লাস – বাংলায় পঞ্চম

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।