ডাকাতের মা প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

একাদশ শ্রেণী সতীনাথ ভাদুড়ী লিখিত ডাকাতের মা বাংলা গল্পের সার্থকতা

সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্পটি ছােটোগল্প হিসেবে নানাভাবে সার্থক হয়েছে।

প্রথমত, এ গল্পে রয়েছে স্থান-কাল-ঘটনার ঐক্য। সৌখীর মায়ের রাত্রিকালীন চিন্তাভাবনা থেকে এই গল্পের শুরু এবং গল্পটি শেষ হয়েছে পরদিন ভােরে সৌখীকে পুলিশে ধরে নিয়ে যাওয়ার কাহিনি দিয়ে।

দ্বিতীয়ত, এ গল্পে ইঙ্গিতধর্মী বাক্যের অসাধারণ ব্যবহার দেখা যায়। যেমন, ডাকাতি করা তার স্বামী-পুত্রের হকের পেশা”—এই একটি বাক্যেই ডাকাতি সম্পর্কে সৌখীর মায়ের মানসিকতা ধরা পড়েছে।

তৃতীয়ত, ডাকাতের মা’ গল্পে একটি বংশানুক্রমিক ডাকাত পরিবারের নানান ঘটনাকে অত্যন্ত নিরাসক্তভাবে লেখক তুলে ধরেছেন। সৌখীর মায়ের কথা শুনে তাই মনে হয়, ডাকাতি করা তার কাছে মােটেও কোনাে নিকৃষ্ট কাজ নয়, বরং ছিচকে চুরিই তার থেকে ঢের বেশি লজ্জার।

চতুর্থত, এই গল্পের শেষে রয়েছে নাটকীয়তা। ছেলের খাবারের জন্য পয়সা জোগাড় করার জন্য সৌখীর মায়ের রাতের বেলায় লােটা চুরি করা এবং পরের দিন সকালেই দারােগাবাবুর হাতে সৌখীর গ্রেফতার হওয়া-এই একমুখী ঘটনা এত দ্রুত ঘটেছে যে, তা পাঠককে শেষপর্যন্ত রীতিমতাে উৎকণ্ঠিত করে রেখেছে, চমকিত করে রেখেছে।

ডাকাতের মা গল্পটিতে বহু চরিত্রের সমাবেশ, ঘটনার ঘনঘটা, অতিকথন, তত্ত্ব ও উপদেশ অনুপস্থিত। ক্ষুদ্রের মধ্যে বৃহতের, খণ্ডের মধ্যে সমগ্রের ইঙ্গিত দিতে দিতে গল্পটি একমুখী লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে গেছে। তাই এটি ছােটোগল্প হিসেবে সার্থক।

ডাকাতের মা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

দোকানদার নগদ কত দামে সৌখীর মায়ের কাছ থেকে পেশকারের ঘটিটি কিনেছে ?

(A) চোদ্দো আনায়

(B) বারো আনায়

(C) দশ আনায়

(D) ষোলে আনায়

উঃ । (A) চোদ্দো আনায়

দারোগার সঙ্গে যাবার সময় খাটিয়ার উপর সৌখী কী রেখে গেল ?

(A) তার ছেলের জন্য আনা খেলনা

(B) তার গায়ের পুরনো কম্বল

(C) তার বউয়ের জন্য আনা শাড়ি

(D) কোমর থেকে বার করা বটুয়া

উঃ । (D) কোমর থেকে বার করা বটুয়া

সৌখীর ছেলের বয়স কত ?

(A) চার – পাঁচ বছর

(B) আট – নয় বছর

(C) দু’বছর

(D) সাত – আট বছর

উঃ । (A) চার – পাঁচ বছর

ডাকাতের মায়ের ছেলের নাম কী ?

(A) সৌখী

(B) মহিম

(C) সাদিয়া

(D) করিম

উঃ । (A) সৌখী

জেলে থাকাকালীন সৌখীর ডিউটি ছিল—

(A) গুদামে

(B) রান্নাঘরে

(C) বাগানে

(D) খামারে

উঃ । (B) রান্নাঘরে

“ পুলিশ দেখে ভয় পাওয়ার লোক সে নয় । ” এখানে যার কথা বলা হয়েছে—

(A) সৌখীর মা

(B) সৌখীর বউ

(C) সৌখী

(D) সৌখীর বাবা

উঃ । (A) সৌখীর মা

ডাকাতের মা গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর

“ ভোরে উঠেই কি ছেলেকে বলা যায় ” —ছেলেকে কী বলা যায় না ?

উঃ । সৌখী দীর্ঘদিন ধরে জেল খেটে বাড়ি এসেছে । ভোরে ওঠেই একথা বলা সমীচীন হবেনা সৌখী পয়সা দিলে তার মা খাবারের ব্যবস্থা করবে ।

“ আইনের ধারায় স্পষ্ট লেখা আছে । ” কী স্পষ্ট লেখা আছে ।

উঃ । সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ ডাকাতের মা ’ গল্পে উদ্ধৃতাংশে বলা হয়েছে চুরির খবর পুলিশকে না জানালে তার পরিণামে জেলও হতে পারে ।

“ সেই হয়েছে বুড়ির মস্ত ভাবনা । ” বুড়ির মস্ত ভাবনা কী ?

উঃ । সৌখী দীর্ঘদিন জেল খেটে বাড়ি ফিরেছে । সৌখীকে তার মা কী খেতে দিবে — এটাই ছিল তার কাছে মস্ত ভাবনা ।

“ ঘটি দেখেই তার খটকা লাগল । ” কার খটকা লাগল ?

উঃ । ‘ ডাকাতের মা ’ গল্পে প্রশ্নোধৃত অংশে ঘটি দেখে মাতাদীন পেশকারের খটকা লাগল ।

‘ ডাকাতের মা ‘ গল্পটির উৎস লেখো ।, ‘ ডাকাতের মা ‘ গল্পটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে ? , ‘ ডাকাতের মা ’ গল্পটির মূলগ্রন্থের নাম কী ?

উঃ । ভতর সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ ডাকাতের মা ’ গল্পটি ‘ চকাচকী ‘ গল্পসংকলন থেকে নেওয়া হয়েছে ।

“ আমি ঘটি চুরি করেছি কাল রাত্রে । ” বক্তা কে ? কাকে উদ্দেশ্য করে বক্তা একথা বলেছে ?

উঃ । সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ ডাকাতের মা ’ গল্প থেকে গৃহীত অংশটির বক্তা সৌখী । সে দারোগাকে উদ্দেশ্য করে আলোচ্য কথাগুলি বলেছে ।

“ তার দরকার আসল অপরাধীকে নিয়ে । ” ‘ তার ’ বলতে কার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ । প্রশ্নোধৃত অংশে ‘ তার ’ বলতে দারোগাবাবুর কথা বলা হয়েছে ।

“ নিজের হাতে নিজের জিব কেটে ফেলেছিল । ” কে , কেন জিব কেটে ফেলেছিল ?

উঃ । সৌখীর বাবা যে দলের ডাকাতি করতো তাদের মধ্যে একজন আহত হয় , পুলিশ তাকে জেরা করতে পারে ভেবে সে নিজের জিব কেটে ফেলে ।

বছরখানেক পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সৌখী কী করবে বলে মায়ের ধারণা হয়েছিল ?

উঃ । সৌখীর মায়ের ধারণা হয়েছি

ডাকাতের মা বড় প্রশ্ন উত্তর

” ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে । ” কে ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে ? ‘ কলঙ্ক ‘ শব্দটি ব্যবহারের কারণ কী ?

উঃ । সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ ডাকাতের মা ’ নামাঙ্কিত ছোটোগল্প থেকে নেওয়া উদ্ধৃত পত্তিতে গল্পের প্রধান চরিত্র ডাকাত সর্দার সৌখী কর্তৃক মায়ের নামে কলঙ্ক আনার কথা বলা হয়েছে ।

কারাবাসের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে এক রাতে সৌখী আচমকা বাড়ি ফিরে আসে । দীর্ঘদিন পর ছেলে বাড়ি ফিরে আসায় সৌখীর মায়ের মনে আনন্দ হয়েছিল । ছেলেকে বুকে জড়িয়ে তিনি সেই আনন্দের বহিঃপ্রকাশও করেন । তবে ছেলে শুয়ে পড়ার পর দুশ্চিন্তায় তার রাতের ঘুম উড়ে যায় । জেল ফেরত ছেলেকে সকালে কী খেতে দেবেন , এই ছিল তার দুশ্চিন্তা । এজন্যই ভোর রাতে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে লোেটা চুরি ও বিক্রি করে পয়সা জোগাড় করে সৌখীর মা । সকালে ছিঁচকে চুরির জন্য বাড়িতে পুলিশ হানা দেয় । ডাকাতের বউ বলে যার গর্ব ছিল , সে কি না অবিবেচকের মতো কাজ করে বসল , এটা ভেবেই সৌখীর মায়ের লজ্জায় মাথা খাটো হয়ে যায় । তখন তার মনে হয় , “ ছেলের নামে কলঙ্ক এনেছে সে । ”

সৌখীর মা একসময় বিশ্বাস করত , “ ডাকাতি করা তার স্বামী – পুত্রের হকের পেশা । সে তো মরদের কাজ , গর্বের জিনিস । ” সৌখীও তার কাজের জন্যই এতটাই অহংকারী ছিল যে , জেলে ছিঁচকে চোরের সঙ্গে বাক্যালাপ পর্যন্ত করত না । স্বামী – ছেলের সেই উঁচু মাথা তার দোষে কালিমালিপ্ত হলো বলেই ‘ কলঙ্ক ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ।

“ কিন্তু আজ যে ব্যাপার অন্য ” – কোন দিন ? অন্য ব্যাপারের পরিচয় দাও ।

উঃ । সতীনাথ ভাদুড়ীর লেখা ‘ ডাকাতের মা ‘ গল্প থেকে প্রশ্নোধৃত পঙ্ক্তিটি নেওয়া হয়েছে । পুলিশ – দারোগা নিয়ে সৌখীর মায়ের কোনো ভয় ছিল না । কারণ ডাকাতির জিনিসের সন্ধানে বা অন্য কারণে আসা পুলিশের মুখোমুখি তাকে বহুবার হতে হয়েছে । কিন্তু মাতাদীন পেশকার যখন দারোগা নিয়ে সকালে তার বাড়িতে হাজির হলো তখন সৌখীর মায়ের বুক কেঁপে উঠল । কারণ ডাকাতের মা হয়ে অতি সামান্য লোটা চুরির দায়ে বাড়িতে পুলিশ আসছে — এটা তাকে লজ্জিত করেছিল । এজন্যই সেদিনের ব্যাপারটিকে ‘ অন্য ব্যাপার ’ বলে চিহ্নিত করা হয় ।

ডাকাতের বউ ও ডাকাতের মা – এই পরিচয়ের জন্য সৌখীর মায়ের কোনো লজ্জা – সংকোচ ছিল না । এজন্য পাড়াতেও তার বেশ নামডাক ছিল । তবে সৌখীর জেলে যাবার পরই সংসারের চাকাটা অন্যদিকে ঘুরে । অভাবের কারণে নাতি সহ বউকে বাপের বাড়ি পাঠাতে বাধ্য হয় । এদিকে বহুদিন পর আচমকা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সৌখী বাড়ি আসায় অন্য দুশ্চিন্তা দেখা দিল । জেল – ফেরত ছেলেকে কী খাওয়াবে এই ভাবনা থেকেই সে আবার চুরির পথ বেছে নেয় । শেষ পর্যন্ত অবশ্য বাসনওয়ালাকে সঙ্গে করে পুলিশ চলে আসে বাড়িতে । তাই পুলিশ দেখে তার বুক কেঁপে ওঠে ।

“ ডাকাতের মা – ও আসলে সাধারণ মা ” —গল্পে কীভাবে বোঝা যায় ?

উঃ । সতীনাথ ভাদুড়ীর অসাধারণ ছোটোগল্প ‘ ডাকাতের মা ‘ অনুসরণে সৌখীর মায়ের আচরণে অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ করা যায় ।

লেখক জানিয়েছেন , আগে সে ছিল ডাকাতের বউ । কীভাবে পুলিশের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয় , কীভাবে দলের ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয় – সবই ছিল তার নখদর্পণে । ক্রমে স্বামী মারা যায় । ডাকাতের বউ হয়ে যায় ডাকাতের মা । সৌখীও যে বাবার পেশা বেছে নিল , এজন্য মায়ের মনে ছিল গর্ব । তবে সৌখী জেলে যাবার পর একদিকে অভাব অন্যদিকে অজানা আশঙ্কা তাকে ঘিরে ধরে । অনেকদিন পর ছেলে এক রাতে বাড়ি ফিরে আসায় তার আনন্দ হয়েছে । কিন্তু সৌখী কী খাবে সকালে , এই ছিল তার ভাবনা । শেষ পর্যন্ত সামান্য পয়সার জন্য সে চুরির পথ বেছে নেয় । সব জানতে পেরে সৌখী মায়ের ‘ দায় ‘ নিয়ে পুনরায় জেলে যায় । মা তখন আর কান্না চাপতে পারেনি । এভাবেই হয়ে যায় ‘ চোরের মা ‘।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

ডাকাতের মা গল্প PDF

Bangla Reference Class 11/ বাংলা রেফারেন্স ক্লাস- ১১

Bangla Reference Class 11/ বাংলা রেফারেন্স ক্লাস- ১১.

ডাকাতের মা প্রশ্ন উত্তর

“ভোরে উঠেই কি ছেলেকে বলা যায়” —ছেলেকে কী বলা যায় না ?
উঃ । সৌখী দীর্ঘদিন ধরে জেল খেটে বাড়ি এসেছে । ভোরে ওঠেই একথা বলা সমীচীন হবেনা সৌখী পয়সা দিলে তার মা খাবারের ব্যবস্থা করবে ।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।