“না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ ||’কারা, কেন রবির কিরণ দেখতে পায়নি?

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Class 9 Bangla | Kalinga Deshe Jhar Bristi, কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি নবম শ্রেণী | Question Answer

নিম্নলিথিত প্রশ্ন এবং তার যথাযত সমাধান ছোটো প্রশ্ন এবং বড়ো (LA) প্রশ্নের উত্তর সমাধান হিসাবে পাঠ করা যেতে পারে।

প্রশ্নোত্তর এবং সমাধান

“না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ ||’কারা, কেন রবির কিরণ দেখতে পায়নি?

উত্তর: ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উধৃতাংশটিতে ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলিঙ্গবাসীর কথা বলা হয়েছে।

কলিগদেশের আকাশে হঠাৎই প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে| মেঘের ঘনঘটার।মাঝে বিদ্যুতের ঝলকে সমগ্র কলিঙদেশ কেঁপে ওঠে। দূরদিগন্তে মেঘের ।গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। কালাে মেঘে চারদিকঅন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় দিনরাত্রির পার্থক্যও বােঝা সম্ভব হয় না।কলিঙ্গাবাসীর। সাত দিন একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তারা সূর্যের। আলাে দেখতে পায় না।

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার উৎস, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার উৎস কি, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতা কোন কাব্যগ্রন্থের, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কার লেখা

কবিকঙ্কন “মুকুন্দরাম চক্রবর্তী” রচিত “চন্ডীমঙ্গল” কাব্যের “আখেটিক খন্ড”-এর অন্তর্গত “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ” অংশটি আমাদের পাঠ্য “কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি” নামে গৃহীত হয়েছে।

কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি কীভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি কীভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশের ঝড় বৃষ্টির ছবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি ছবি, কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি ক্রিতিক বিপর্যয়ের ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি বিপর্যয় ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশটি বিপর্যয়ের ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে, কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কাব্যাংশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছবি কিভাবে ধরা পড়েছে

কবিকঙ্কন মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের আখেটিক খন্ড থেকে ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি নেওয়া হয়েছে । এই কাব্যাংশটিতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের যে ছবি তুলে ধরা হয়েছে তা হল—

কলিঙ্গদেশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়, ঈশান কোণে ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায় । ঘন ঘন বিদ্যুতের চমকানিতে কলিঙ্গের প্রজারা নিজেদের চেহারা দেখতে পায় না । গুরুগম্ভীর মেঘের গর্জনের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয় । টানা সাতদিন ধরে প্রবল বর্ষণে কলিঙ্গদেশ জলে ভেসে যায় । বৃষ্টিপাতের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল ঝড় । প্রজারা ভয়ে আত্মরক্ষার জন্য নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রওনা দেয় । চারপাশের সবুজ প্রকৃতি ধুলায় মলিন হয়ে যায় । ঝড়-বৃষ্টির দাপটে সমস্ত শস্য নষ্ট হয়ে যায় । মুষলধারায় বৃষ্টি দেখে মনে হয়, আট দিকের আটটি হাতি যেন কলিঙ্গদেশকে জলে ভাসিয়ে দিতে চায়— ‘চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ ।’ জল ও স্থল মিশে একাকার হয়ে গেছে, মানুষ পথ খুঁজে পায় না । ঘন মেঘের অন্ধকারে চারিদিক এমন হয়ে গেছে যে, সকল দিন ও রাত্রির ভেদাভেদ মুছে গেছে । প্রজারা বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে । সাপের আশ্রয়স্থল জলে ভরে যাওয়ায় সাপ গর্ত ছেড়ে বেরিয়ে চারিদিকে ভেসে বেড়ায় । প্রবল বৃষ্টিপাতে প্রজাদের ঘরবাড়ি, শস্য নষ্ট হয়ে যায় । প্রবল ঝড়ে মঠ, অট্টালিকাও ভেঙে পড়ে । পর্বতের সমান বড় বড় ঢেউ উঠে ঘরবাড়ি সব ধুলিস্যাৎ করে দেয় । প্রজারা এই চরম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অত্যন্ত দুর্বিপাকে পড়ে । সাতদিন ধরে চলে এরূপ প্রাকৃতিক তান্ডব । নিরুপায় হয়ে কলিঙ্গের মানুষ নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অন্য জায়গায় চলে যেতে বাধ্য হয় ।

কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিচয়ঃ

দেবী চন্ডীর ইচ্ছায় ব্যাধ কালকেতু সাত ঘড়া ধন লাভ করে গুজুরাট নগরি নির্মাণ করলে সেখানে প্রজা স্থাপনের উদ্দেশ্যে দেবী চন্ডী পার্শবর্তী কলিঙ্গদেশে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সৃষ্টি করেন। আমাদের পাঠ্য কবিতায় আমরা যার পরিচয় লাভ করি।

সমগ্র কলিঙ্গদেশের আকাশ এমনভাবে ঘন কালো মেঘ দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে যায় যে কেউ কারো মুখ পর্যন্ত দেখতে পায় না। উত্তর-পূর্ব কোণ জুড়ে কালো মেঘ বিদ্যুতের ভয়াবহ চমক সৃষ্টি করে-

“ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর”

উত্তর দিক থেকে প্রবল বাতাস বইতে থাকে ও মুহূর্তের মধ্যে সমগ্র কলিঙ্গদেশের আকাশে বিস্তৃত কালো মেঘে ঢেকে যায়। সম্বর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ- এই চার প্রকার মেঘের সম্মিলিত বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে যায়-

“চারি মেঘে বরিষে মুষুলধারে জল”

মেঘের উচ্চনাদে কলিঙ্গের প্রজারা মহাপ্রলয়ের আশঙ্কায় আশঙ্কিত হয়ে ওঠে। ঝড়ের তান্ডবে প্রজারা নিদের গৃহ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। প্রচন্ড ঝড়ে পথের ধুলো দ্বারা সকল সবুজ আচ্ছাদিত হয়ে যায়। এমনকি ঝড়ের আঘাতে প্রজাদের মজুদ করা শস্য উলটে পড়ে যায়। চার প্রকার মেঘ যেন ঐরাবত, পুন্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম ও সুপ্রতীক নামক অষ্ট গজরাজের সহায়তায় কলিঙ্গের বুকে বৃষ্টিপাতে ব্রতী হয়-

“চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ”

ব্যঙের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাজ পড়তে থাকে। কলিঙ্গদেশের জল-স্থল মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় বলে প্রজারা পথ হারিয়ে ফেলে ও গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে পড়ে জলে ভেসে বেড়াতে থাকে। প্রচন্ড মেঘের গর্জনে কলিঙ্গবাসী নিজেদের কথা পর্যন্ত শুনতে পারছিল না। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে দিন ও রাতের প্রভেদ পর্যন্ত অবলুপ্ত হয়ে যায়-

“পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী”

ভীত কলিঙ্গবাসী পরিত্রাণের উদ্দেশ্যে জৈমিনি মুনিকে স্মরণ করতে থাকে। নিরন্তর সাত দিন বৃষ্টিতে ফসল সঠিক ভাবে ঝাড়াই-মাড়াই না হওয়ায় তা পচে যেতে থাকে। প্রজাদের ঘরের চাল ভেদ করে ভাদ্রমাসে তাল পড়ার মতো শিল পড়তে থাকে-

“মেঝ্যাতে পড়য়ে শিল বিদারিয়া চাল

ভাদ্রপদ মাসে যেন পড়ে থাকা তাল।।”

ভয়ংকর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝে দেবী চন্ডীর আদেশে বীর হনুমান কলিঙ্গের সমস্ত মঠ ও অট্টালিকা ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিতে থাকেন। দেবী চন্ডীর আদেশে নদনদীরা কলিঙ্গের উদ্দেশ্যে ধাবিত হলে পর্বতসম ঢেউ কলিঙ্গদেশে আছড়ে পড়ে।

এইরূপে কলিঙ্গদেশে যে প্রাকৃতিক অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল তা কলিঙ্গবাসীকে বিপদগ্রস্থ করে তুলেছিল।

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি কবিতার প্রশ্ন উত্তর pdf

আরো বিশদে পড়ার জন্য

অল ইন ওয়ান পারুল বাংলা রেফারেন্স – ক্লাস – 9



শেখার ফলাফলের জন্য 5E মডেল.



ডাঃ উজ্জ্বল কুমার মজুমদার (লেখক)

FAQ | কলিঙ্গদেশের ঝড়-বৃষ্টি নবম শ্রেণী

“চিকুর” শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ– “চিকুর” শব্দের অর্থ বিদ্যুতের ঝিলিক।

“করি-কর সমান বরিষে জলধারা”। – “করিকর” শব্দের অর্থ কী?

উত্তরঃ– “করিকর” শব্দের অর্থ হাতির শুঁড়।

ঝড়বৃষ্টির বিপদে কলিঙ্গবাসী কাকে স্মরণ করেছে?

উত্তরঃ– ঝড়বৃষ্টির বিপদে কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করেছে।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।