- উৎসেচক কাকে বলে, উৎসেচক কি, এনজাইম কি
- উৎসেচক এর বৈশিষ্ট্য
- উৎসেচক এর শ্রেণীবিভাগ
- উৎসেচক এর কাজ
- উৎসেচক কে জৈব অনুঘটক বলে কেন
- হরমোন কাকে বলে, হরমোন কি
- হরমোন কি কত প্রকার, হরমোন কয় প্রকার
- হরমোনের বৈশিষ্ট্য
- হরমোন কি কাজ করে
- হরমোন কে আবিষ্কার করেন
- টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি
- টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
- টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয়
- লোকাল হরমোন কাকে বলে
- নিউরো হরমোন কাকে বলে
- থাইরয়েড হরমোনের কাজ কি
- হরমোন ও উৎসেচকের মধ্যে পার্থক্য
- FAQ | উৎসেচক ও হরমোন
উৎসেচক কাকে বলে, উৎসেচক কি, এনজাইম কি
যে প্রোটিন জীবদেহে অল্পমাত্রায় বিদ্যমান থেকে বিক্রিয়ার হার কে ত্বরান্বিত করে কিন্তু বিক্রিয়ার পর নিজেরা অপরিবর্তিত থাকে সে প্রোটিনকে এনজাইম বা উৎসেচক বলে। এনজাইমকে জৈব অনুঘটকও বলা হয়ে থাকে।
এনজাইম বা হরমোন হল নালি বিহীন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত এক প্রকার রস। এনজাইম একধরনের জৈব-রাসায়নিক অনুঘটক বা উৎসেচক পদার্থ। জীবদেহে এমন কিছু প্রোটিন অণু সৃষ্টি হয় যার কাজ হলো দেহের জরুরি কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়াকে দ্রুততর করা, এই অণুগুলোকে বলা হয় এনজাইম। এনজাইম বিভিন্ন রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে বিক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এনজাইম পরিপাকে, বিপাকে, স্নায়ু উদ্দীপনা পরিবহনে সাহায্য করে।
উৎসেচকের সংজ্ঞা
সজীব কোষে উৎপন্ন প্রোটিনধর্মী বৃহদাকার যে জৈব অণুঘটক কোষের ভিতরে এবং বাইরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারকে বাড়িয়ে দেয় এবং বিক্রিয়ার শেষে অপরিবর্তিত থাকে তাকে উৎসেচক বলে।
এনজাইম হলো বিশেষ প্রকার প্রোটিন যা রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্পন্ন করে ও বায়ুজনিত পাথরচুরের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এটি শরীরের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়ায় সাহায্য করে, যেমন খাদ্য পচন, ক্রমাগত কাজকর্মের সম্পূর্ণতা এবং পুষ্টিকর্মী তত্ত্ব গঠনে সাহায্য করে।
উৎসেচক এর উদাহরণ
কী জাতীয় উৎসেচক | উৎসেচকের নাম | উৎস | সাবসট্রেটের নাম | ক্রিয়ায় ফল |
অ্যামাইলোলাইটিক(কার্বোহাইড্রেট– বিশ্লিষ্টকারী উৎসেচক) | টায়ালিন | লালাগ্রন্থি | সেদ্ধ শ্বেতসার | মলটোজ |
অ্যামাইলেজ | অগ্ন্যাশয় ও আন্ত্রিক গ্রন্থি | শ্বেতসার | মলটোজ | |
সুক্রেজ | আন্ত্রিক গ্রন্থি | সুক্রোজ | গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ | |
ল্যাকটোজ | আন্ত্রিক গ্রন্থি | ল্যাকটোজ | গ্লুকোজ ও গ্যালাকটোজ | |
মলটেজ | লালাগ্রন্থি, অগ্ন্যাশয় ও আন্ত্রিক গ্রন্থি | মলটোজ | গ্লুকোজ | |
প্রোটিওলাইটিক(প্রোটিন বিশ্লিষ্টকারী উৎসেচক ) | পেপসিন | পাকগ্রন্থি | প্রোটিন | পেপটোন |
রেনিন | পাকগ্রন্থি | দুগ্ধ প্রোটিন | কেসিন | |
ট্রিপসিন | অগ্ন্যাশয় | পেপটোন | পেপটাইড | |
ইরিপসিন | আন্ত্রিক গ্রন্থি | পেপটাইড | অ্যামাইনো অ্যাসিড | |
লাইপোলাইটিক(ফ্যাট বিশ্লিষ্টকারী উৎসেচক ) | লাইপেজ | পাকগ্রন্থি, অগ্ন্যাশয় ও আন্ত্রিক গ্রন্থি | ফ্যাট | ফ্যাটি অ্যাসিড ও গ্লিসারল |
উৎসেচক এর বৈশিষ্ট্য
- একটি উৎসেচক কেবল একটি নির্দিষ্ট সাবসট্রেটের ওপর কাজ করতে পারে। উৎসেচকের যে বস্তুর ওপর ক্রিয়া করে তাকে সাবসট্রেট বলে।
- উৎসেচকের অনুঘটক হিসাবে কাজ করে এবং বিক্রিয়ার শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে, বিক্রিয়ার শেষে উৎসেচকের কোনরকম রাসায়নিক গঠনের পরিবর্তন হয় না।
- উৎসেচক কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়াকে শুরু করতে পারে না, কেবল রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারকে বাড়ায় বা কমায়।
- উৎসেচকের সক্রিয়তা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত তাপমাত্রায় উৎসেচকের ক্রিয়া ভালো হয়। বেশী তাপে উৎসেচকের ক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়।
- প্রতিটি উৎসেচক কেবল একটি নির্দিষ্ট সাবস্ট্রেটের ওপর কাজ করে।
- উৎসেচক অনুঘটকরূপে কাজ করে এবং বিক্রিয়া-শেষে নিজে অপরিবর্তিত থাকে; অর্থাৎ বিক্রিয়া-শেষে উৎসেচকের রাসায়নিক গঠনের কোনো পরিবর্তন হয় না।
- উৎসেচক কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়াকে শুরু করতে পারে না; কেবল রাসায়নিক বিক্রিয়ার হারকে বাড়াতে বা কমাতে সাহায্য করে।
- উৎসেচকের সক্রিয়তা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রার ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত 25°-40°C তাপমাত্রায় উৎসেচকের ক্রিয়া সবচেয়ে ভালো হয়। অধিক তাপে উৎসেচক নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু কম তাপে নষ্ট হয় না, তবে তার কার্যকারিতা কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়।
- উৎসেচক একটি নির্দিষ্ট অ্যাসিড ও ক্ষারের ভারসাম্যে ক্রিয়া করে। যেমন- পেপসিন একটি নির্দিষ্ট অ্যাসিড মাধ্যমে (pH 2.0) এবং ট্রিপসিন একটি নির্দিষ্ট ক্ষারীয় মাধ্যমে (pH 8.3) কাজ করে।
- রাসায়নিক ধর্মে উৎসেচক সাধারণত প্রোটিন জাতীয়।
- উৎসেচক কোশে সাধারণত কোলয়েড রূপে থাকে।
উৎসেচক এর শ্রেণীবিভাগ
যে সব উৎসেচক খাদ্য পরিপাকে অংশ গ্রহণ করে তাদের পাচক উৎসেচক বলে। পাচক উৎসেচক তিন প্রকারের
১৷ জারক উৎসেচক ( Oxidising enzymes ) – যে সব উৎসেচক জারন ক্রিয়ায় সহায়তা করে, তাদের জারক উৎসেচক বলে। যেমন – গ্লুকোজ-অক্সিনেজ, ডিহাইড্রোজিনেজ ইত্যাদি।
২৷ বিজারক উৎসেচক (Reducing enzymes) – যে সব উৎসেচক বিজারন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করে, তাদের বিজারক উৎসেচক বলে। যেমন – NADP , ADP ইত্যাদি ।
৩৷ পাচক উৎসেচক (Digestive enzymes) – যে সব উৎসেচক পাচন ক্রিয়ায় অংশ গ্রহণ করে, তাদের পাচক উৎসেচক বলে। পাচক উৎসেচক তিন প্রকারের
(i) অ্যামাইলোলাইটিক (Amylolytic) – যে সব উৎসেচক শর্করা জাতীয় খাদ্য পরিপাক করে, তাদের অ্যামাইলোলাইটিক বলে।
(ii) প্রোটিওলাইটিক (Proteolytic) – যে সব উৎসেচক প্রোটিন জাতীয় খাদ্য পরিপাক করে তাদের তাদের প্রোটিওলাইটিক বলে।
(iii) লাইপোলাইটিক (Lipolytic) – যে সব উৎসেচক স্নেহ বা ফ্যাট জাতীয় খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে, তাদের লাইপোলাইটিক বলে।
উৎসেচক এর কাজ
আমাদের শরীরে উৎসেচকের কাজ গুনে শেষ করা যাবে না। এদের কাজের ব্যাপকতা এতটাই বেশি যে আমরা সেই কাজের সিকি পরিমাণও জানতে পেরেছি কিনা এ নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।
নিচে উৎসেচক এর খুবই গুরুত্বপুর্ণ ৪টি কাজ খাদ্য পরিপাক, শক্তি উৎপাদন, DNA রেপ্লিকেশন, হরমোন তৈরি নিয়ে আলোচনা দেওয়া হলো:
খাদ্য পরিপাকে
আমাদের শরীরে প্রতিটি খাদ্য উপাদান পরিপাকে আলাদা আলাদা উৎসেচক কাজ করে। যেমনঃ ল্যাকটোজকে ল্যাকটেজ Enzyme ভাঙতে সাহায্য করে একে গ্যালাক্টোজ ও গ্লুকোজে পরিণত করে।
শক্তি উৎপাদন
আমাদের শরীরে শক্তি উৎপাদনের জন্য ATP তৈরি করতে হয়। ATP আমাদের শরীরে শক্তি হিসেবে ব্যয় হয়। ATP synthase এর ক্রিয়ায় ATP তৈরি হয়।
DNA রেপ্লিকেশন
আমাদের শরীরে কোষের বৃদ্ধির জন্য DNA রেপ্লিকেশন খুবই গুরুত্বপুর্ণ ধাপ। DNA পলিমারেজ এই গুরুত্বপুর্ণ কাজে সাহায্য করে থাকে।
হরমোন তৈরিতে
নানা রকমের Enzyme হরমোন তৈরিতেও সাহায্য করে থাকে। যেমনঃ গ্লুকোকাইনেজ নামের উৎসেচক এর ক্রিয়ায় ইনসুলিন তৈরি হয় যা গ্লুকোজের ভাঙ্গনে সাহায্য করে থাকে।
উৎসেচক কে জৈব অনুঘটক বলে কেন
উৎসেচক কে জৈব অনুঘটক বলার কারণ হচ্ছে এরা আমাদের দেহের জৈব রাসায়নিক ক্রিয়া বিক্রিয়া গুলোকে প্রভাবিত করে। শুধুমাত্র রাইবোজাইম ছাড়া অধিকাংশ এনজাইমই উচ্চ আনবিক ভর বিশিষ্ট প্রোটিন। প্রভাবক বলতে সেসব রাসায়নিক যৌগ কে বোঝাচ্ছি যারা কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার গতি বাড়াতে কিংবা কমাতে পারে।
হরমোন কাকে বলে, হরমোন কি
জীবদেহের যে জৈব-রাসায়নিক পদার্থ সারা দেহে রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে তাকেই হরমোন বলা হয় । হরমোন সাধারণত বিশেষ ধরনের কোষ, কলা এবং অন্তঃক্ষরা বা অনালগ্রন্থি থেকে ক্ষরিত হয় । ওই জৈব-রাসায়নিক পদার্থ সাধারণত প্রাণীদের ক্ষেত্রে রক্ত ও লসিকার মাধ্যমে এবং উদ্ভিদের ক্ষেত্রে জল ও কলারসের মাধ্যমে উত্স স্থল থেকে দূরবর্তী স্থানে বাহিত হয়ে ওই অঞ্চলের কলা-কোষের বিপাক নিয়ন্ত্রণ করে এবং ক্রিয়ার পর ধ্বংস হয়ে যায় । হরমোন প্রধানত প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, স্টেরয়েড প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত । উত্স স্থল ছাড়া দেহের অন্য কোথাও হরমোন সঞ্চিত হয় না ।
হরমোন কথাটি গ্রিক শব্দ হরম্যাসিন [Hormacin] বা হরমাও [Hormas] থেকে উত্পত্তি হয়েছে, যার অর্থ জাগ্রত করা বা উত্তেজিত করা । 1905 খ্রিস্টাব্দে বেলিস [Bayliss] এবং স্টারলিং [Starling] নামে দুই বিজ্ঞানী জীবদেহে প্রথম হরমোনের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করেন ।
হরমোন সংজ্ঞা
প্রোটিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড বা স্টেরয়েডধর্মী যে জৈব-রাসায়নিক পদার্থ, জীবদেহের কোনও বিশেষ কোষগুচ্ছ অথবা অন্তঃক্ষরা বা অনাল গ্রন্থি থেকে স্বল্পমাত্রায় ক্ষরিত হয়ে সাধারণত রক্ত, লসিকা ইত্যাদির মাধ্যমে উত্পত্তি স্থল থেকে দুরে শরীরের কোনও বিশেষ জায়গায় পরিবাহিত হয় এবং সেখানকার কলা-কোষের বিভিন্ন বিপাকীয় কাজের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয়সাধন করে, এবং কাজের শেষে নষ্ট হয়ে যায়, তাকেই হরমোন বলে ।
হরমোন কি কত প্রকার, হরমোন কয় প্রকার
রাসায়নিক গঠন অনুযায়ী তিনটি প্রধান ধরনের হরমোন আছে।
- ১. প্রোটিন হরমোন (বা পলিপেপটাইড হরমোন) অ্যামিনো অ্যাসিডের চেইন দিয়ে তৈরি। একটি উদাহরণ হল ADH (অ্যান্টিডিউরেটিক হরমোন) যা রক্তচাপ হ্রাস করে।
- ২. স্টেরয়েড হরমোন লিপিড থেকে উদ্ভূত হয়। যেমন কর্টিসল।
- ৩. অ্যামাইন হরমোন অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে উদ্ভূত হয়।
কাজ অনুযায়ী হরমোনগুলি তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত যা আবার ৯টি ভাগে বিভক্ত।
সামনের পিটুইটারি হতে নিঃসৃত হয়
- অ্যাড্রেনোকোর্টিকোট্রফিক হরমোন (ACTH)- অ্যাড্রিনাল কর্টেক্স দ্বারা হরমোন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে
- থাইরয়েড-উত্তেজক হরমোন (TSH)- থাইরয়েড থেকে থাইরয়েড হরমোন নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে
- লুটেইনাইজিং হরমোন (এলএইচ)- গোনাড দ্বারা এন্ড্রোজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে
- ফলিকল-উত্তেজক হরমোন (FSH)- গোনাডে গ্যামেট উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে
প্রোল্যাক্টিন (পিআরএল)- স্তন্যপায়ী গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়
- দুধ উত্পাদন উদ্দীপিত করে, গ্রোথ হরমোন (GH) – শরীরের টিস্যু বৃদ্ধি উদ্দীপিত করে।
মধ্যবর্তী পিটুইটারি হতে নিঃসৃত হয়
- মেলানোসাইট-উত্তেজক হরমোন (এমএসএইচ) যা সম্মিলিতভাবে MSH নামে পরিচিত, মেলানোট্রপিন বা ইন্টারমেডিন নামেও পরিচিত, ত্বক ও চুলে মেলানোসাইট দ্বারা মেলানিন উৎপাদন ও মুক্তিকে উদ্দীপিত করে ও হাইপোথ্যালামাসে কাজ করে, α-MSH ক্ষুধা দমন করে।
পিছনের পিটুইটারি হতে নিঃসৃত হয়
- অ্যান্টিডাইউরেটিক হরমোন -কিডনি দ্বারা জল পুনর্শোষণ উদ্দীপিত
- অক্সাইটোসিন -প্রসবের সময় জরায়ুর সংকোচনকে উদ্দীপিত করে।
আরো পড়তে: ডিএনএ কী, ডিএনএ ফুল ফর্ম, আরএনএ কি, ডিএনএ ও আরএনএ এর মধ্যে পার্থক্য
হরমোনের বৈশিষ্ট্য
[1] প্রকৃতি:- হরমোন একরকম প্রোটিনধর্মী বা স্টেরয়েড বা অ্যামাইনো ধর্মী জৈব রাসায়নিক পদার্থ, যা নিঃসৃত স্থান থেকে দূরবর্তী স্থানে ক্রিয়া করে (ব্যতিক্রম : স্থানীয় হরমোন ) ।
2] পরিণতি:– হরমোন জৈব অনুঘটকের মতো ক্রিয়া করে, কিন্তু ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং দ্রুত সে স্থান থেকে বের হয়ে যায় ।
[3] সঞ্চয়:– নিঃসৃত স্থান ছাড়া দেহের অন্য কোথাও হরমোন সঞ্চিত হয় না ।
[4] পরিমাণ- হরমোন খুব স্বল্প মাত্রায় ক্রিয়া করে, কিন্তু এই ক্রিয়ার স্থায়িত্বকাল বহুদিন পর্যন্ত থাকে । প্রয়োজনের তুলনায় হরমোন কমবেশি ক্ষরিত হলে জীবদেহে অস্বাভাবিকত্ব দেখা যায় ।
[5] সমন্বয়কারী:– হরমোন জীবদেহে রাসায়নিক সমন্বয়কারী অর্থাৎ কেমিক্যাল কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করে ।
[6] বার্তাবহ:- হরমোন কোষে কোষে রাসায়নিক বার্তা প্রেরণ —এই জন্য হরমোনকে রাসায়নিক দূত বা রাসায়নিক বার্তাবহ বা রাসায়নিক মেসেঞ্জার [Chemical messenger] বলে ।
[7] ফিডব্যাক:- কোনো একটি অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরণক্রিয়া পরোক্ষভাবে অন্য গ্রন্থির মাধ্যমে নিজেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে —এই পদ্ধতিকে ফিড-ব্যাক বলা হয় ।
[8] দ্বৈতনিয়ন্ত্রক [Dual controller] :- প্রাণীদেহে কোনো কোনো কার্যক্ষেত্রে কোনও একটি হরমোন কোনও কাজে সহায়তা করে, আবার কোনও একটি হরমোন ওই কাজে বাধা দেয় । এইভাবে হরমোন প্রাণীদেহে দ্বৈত-নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে ।
হরমোন কি কাজ করে
হরমোন আমাদের শরীরে নানা রকমের কাজ করে থাকে। যার উপকারিতা আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে উপভোগ করি। নিচে এটির দশটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ দেওয়া হলো:
- মেটাবোলিজমে: Hormone আমাদের শরীরের নানা রকমের মেটাবোলিক এক্টিভিটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমনঃ ইনসুলিন, glucagon আমাদের শরীরে শর্করা, আমিষ ও স্নেহ জাতীয় খাদ্যের পরিপাক ও সমন্বয়ে কাজ করে থাকে।
- বৃদ্ধি ও শরীর গঠনে: গ্রোথ-হরমোন, সেক্স-হরমোন, থাইরয়েড-হরমোন আমাদের শরীরে বৃদ্ধি, গঠন ও পরিবর্তনে সাহায্য করে থাকে।
- প্রজনন: টেস্টোস্টেরন, এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন ইত্যাদি Hormone আমাদের প্রজনন প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভুমিকা রাখে। এদের ছাড়া বংশবৃদ্ধি সম্ভব হতো না।
- মন-মানসিকতা এবং আচার-আচরন: নানা রকমের প্রাণরস আমাদের আচার আচরন, ব্যবহার, মানসিকতা ইত্যাদিকে প্রভাবিত করে। যেমন: সেরোটোনিন, ডোপামিন
- হাড়ের সুস্থতায়: টেস্টোস্টেরন এবং এস্ট্রোজেন আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে এবং অস্টেওপরেসিসকে বিলম্বিত করে।
- রক্ত সঞ্চালনে: এল্ডোস্টেরন আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন এবং ইলেকট্রোলাইটিক ব্যালেন্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- ইমিউন সিস্টেমের সহযোগিতায়: কর্টিসল এবং এড্রেনালিন আমাদের শরীরে চাপ সামলে নিতে সাহায্য করে এবং একই সাথে এরা আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে সতর্ক রাখে।
- ঘুম: মেলাটোনিন আমাদের ঘুম আনতে এবং সারকেডিয়ান সাইকেল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- রুচি ধরে রাখতে: অনেক সময় আমাদের খাবারের রুচি কমে বা বেড়ে যায়। এটিও Hormone এর কারনেই হয়ে থাকে। যেমন: লেপটিন
- ত্বকের সুরক্ষায়: এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন আমাদের ত্বককে সতেজ রাখতে এবং বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে।
হরমোন কে আবিষ্কার করেন
বেলিস ও স্টারলিং সর্বপ্রথম হরমোন আবিষ্কার করেন।
ব্রিটিশ ফিজিওলজিস্ট উইলিয়াম বেলিস (1860-1924) এবং আর্নেস্ট স্টারলিং (1866-1927) 1902 সালে সিক্রেটিন আবিষ্কার করেন। তারা রাসায়নিক পদার্থ বর্ণনা করতে “হরমোন” (গ্রীক শব্দ হরমান থেকে, যার অর্থ “গতিতে সেট করা”) শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তারা আবিষ্কার করেছিল যে রাসায়নিকের উৎপত্তিস্থল থেকে দূরে একটি অঙ্গকে উদ্দীপিত করে।
চেতনানাশক কুকুর ব্যবহার করে তাদের বিখ্যাত পরীক্ষায় দেখা গেছে যে আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবারের সাথে মিশ্রিত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড ডুডেনামে (ছোট অন্ত্রের উপরের অংশ) একটি রাসায়নিক পদার্থ সক্রিয় করে। এই সক্রিয় পদার্থ (সিক্রেটিন) রক্ত প্রবাহে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং অগ্ন্যাশয়ের কোষগুলির সংস্পর্শে এসেছিল। অগ্ন্যাশয়ে এটি অগ্ন্যাশয় নালীর মাধ্যমে অন্ত্রে পাচক রসের নিঃসরণকে উদ্দীপিত করে।
টেস্টোস্টেরন হরমোনের কাজ কি
টেস্টোস্টেরন হ’ল প্রাথমিক পুরুষ যৌন হরমোন এবং একটি অ্যানাবোলিক স্টেরয়েড। পুরুষ মানুষের মধ্যে, টেস্টোস্টেরন টেস্টস এবং প্রোস্টেটের মতো পুরুষ প্রজনন টিস্যুগুলির বিকাশের পাশাপাশি গৌণ পেশী এবং হাড়ের ভর বৃদ্ধি, এবং দেহের চুলের বৃদ্ধির মতো গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্যগুলি উন্নীত করার ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা পালন করে।
যদি কোনও পুরুষের টেস্টোস্টেরন নিম্ন স্তরের হয় তবে এর লক্ষণগুলির মধ্যে ইরেক্টাইল ডিসফাংশান এবং হাড়ের ভর এবং যৌন ড্রাইভ হ্রাস হতে পারে। হরমোনের অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ কার্য রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে: হাড় এবং পেশীগুলির বিকাশ। কণ্ঠস্বর, চুলের বৃদ্ধি এবং চেহারা সম্পর্কিত অন্যান কারনগুলি গভীরভাবে নির্দেশ করে।
টেস্টোস্টেরন বৃদ্ধি হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। এটি পেশী গঠনের ব্যায়ামকে আরও বেশি করে তোলে। টেস্টোস্টেরন হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্থি মজ্জাকে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে বলে। টেস্টোস্টেরনের খুব নিম্ন স্তরের পুরুষদের হাড়ের ভাঙা এবং বিরতিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
টেস্টোস্টেরন পুরুষ যৌন বৈশিষ্ট্য বিকাশের জন্য দায়ী হরমোন। … মহিলা সাধারণত টেস্টোস্টেরন উৎপাদণ করে, সাধারণত অল্প পরিমাণে। এটি এক ধরণের অ্যান্ড্রোজেন যা প্রাথমিকভাবে কোষগুলিতে অণ্ডকোষ দ্বারা উৎপাদিত হয় যা লিডিগ কোষ বলে।
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধির উপায়
টেস্টোস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি করতে এই খাবার গুলো নিয়মিত খাবেন
- খোরমা খেজুর
- দুধ, ডিম, মাছ,মাংস, মধু
- কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম কিচমিচ
- চকলেট জাতীয় খাবার
- ফলমূল, তরমুজ কলা
- শারিরীক ব্যয়াম
এই খাবার গুলো নিয়মিত দৈনিক খাদ্য তালিকায় রাখবেন
টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে গেলে কি হয়
পুরুষদের এ হরমোনের তারতম্যের কারণে অনেক সময় পুরুষের শারীরিক মিলনের ক্ষমতা কম বা বেশি হয়।
পুরুষত্বের জন্য দায়ী এ হরমোনের মাত্রা পুরুষদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কমতে থাকে। টেস্টোস্টেরন শরীরে কমে যাওয়ার কারণে পুরুষদের অ্যান্ড্রোপজ হয়।
পুরুষদের ক্ষেত্রে এ হরমোন কখনই একবারে কমে যায় না। এ হরমোন ধীরে ধীরে কমে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। এ হরমোন কমলে শুধু যে পুরুষত্ব কমে এমন না। বরং পুরুষেরা নিজেদের অনেক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলেন এ হরমোন কমার কারণে।
চলুন জেনে নেই এ হরমোন কমলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে
- টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমলে পুরুষদের আচরণে পরিবর্তন আসে। এ ক্ষেত্রে পুরুষেরা সব সময় বিমর্ষ থাকেন।
- পুরুষের যৌনসঙ্গম ক্ষমতা ও শুক্রানু উৎপাদনের পরিমাণ কমে যায় এ হরমোনের মাত্রা শরীরে কমে গেলে। টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেলে যৌনক্ষমতা পাশাপাশি যৌনসসঙ্গমের আগ্রহও কমে যায়।
- টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখার সমস্যা (ইরেক্টাইল ডিসফাংশন) দেখা দেয়। নাইট্রিক অক্সাইড সরবরাহের মাধ্যমে লিঙ্গের দৃঢ়তা ধরে রাখে টেস্টোস্টেরন হরমোন। এ সমস্যা দেখা দিলে ধরে নিতে হবে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হয়েছে।
- টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার ফলে অল্প কাজেই ক্লান্তি চলে আসে সহজে। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকায় অবসাদ আসা স্বাভাবিক কিন্তু কাজ ছাড়াও যেসব পুরুষের অবসাদ আসে তাদের টেস্টোস্টেরনের অভাব আছে বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন গবেষণা।
- টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকলে পুরুষদের মাথায় টাকের প্যাটার্নে চুল পড়তে থাকে।
- পুরুষদের অন্ডোকোষ স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট মনে হলে সাধারণত তা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি জনিত কারণে হয়ে থাকে। তবে এমন সমস্যা হলে দ্রুত হরমোন টেস্ট করা ও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
- পুরুষদের ক্ষেত্রে বীর্য হলো শুক্রাণু বহনকারী তরল। যদি লক্ষ্য করা যায় যে, বীর্যের পরিমাণ ও ঘনত্ব হঠাৎ করেই কমতে শুরু করেছে তবে তা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি থেকে হতে পারে। এ ক্ষেত্রেও সমস্যা হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া জরুরি।
- টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি হলে রক্তের পরিমান কমে গিয়ে রক্তসল্পতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যার ফলে রক্তচাপ কমে যায় পুরুষদের শরীরে।
এ ছাড়াও এ হরমোনের অভাবে প্রতিনিয়ত অস্বস্তিবোধ করা, হাড় সংযোগস্থলে ব্যথা অনুভব করা, পেশীর ঘনত্ব কমে যাওয়া, হাড়ের সমস্যা, মনোযোগের অভাব, স্তনের আকার বৃদ্ধি পাওয়া ও ঘুমের সমস্যার মতো আরও অনেক সমস্যা দেখা দেয়।
লোকাল হরমোন কাকে বলে
যে হরমোনের ক্রিয়া সাধারণত উৎসস্থল বা উৎস গ্রন্থিতে সীমাবদ্ধ, তাদের স্থানীয় হরমোন বা লোকাল হরমোন বলে।
উৎপত্তিস্থলে ক্রিয়াকারী হরমোনগুলিকে বলা হয় লোকাল বা স্থানীয় হরমোন।
একটি লোকাল হরমোন হল
টেস্টোস্টেরন, সিক্রেটিন, গ্যামট্রিন, কোলিসিস্টোকাইনিন, প্যানক্রিওজাইনিন, প্রোস্টাগ্ল্যাডিন, ব্রার্ডিকাইনিন, হিস্টামিন ইত্যাদি
নিউরো হরমোন কাকে বলে
নিউরো-সিক্রেটরি কোষ বা স্নায়ুকোষ থেকে নিঃসৃত ও নিয়ন্ত্রিত রাসায়নিক পদার্থকে নিউরো হরমোন বলে।
মস্তিষ্কের নিউরােসিক্রেটরি কোশ (হাইপােথ্যালামাস অংশ) বা স্নায়ুকোশের প্রান্ত থেকে ক্ষরিত হরমােনগুলিকে নিউরো হরমোন বলে।
উদাহরণ: অক্সিটোসিন, ভেসোপ্রেসিন বা ADH ইত্যাদি।
থাইরয়েড হরমোনের কাজ কি
থাইরয়েড হলো থাইরয়েড গ্রন্থি। এই গ্রন্থিটা আমাদের গলার সামনের দিকে প্রজাপতির মতো থাকে। এর দুটো লুপাস থাকে। এর কাজ হলো থাইরয়েড হরমোন সৃষ্টি করা। হরমোনের বিষয়ে আমরা জানি। একে বলা হয়, মাস্টার অব মেটাবলিজম।
অর্থাৎ আমাদের শরীরে যত রকমের ক্রিয়া-বিক্রিয়া হচ্ছে, আমাদের খাবারের ক্রিয়া-বিক্রিয়া হচ্ছে, এটি এই মেটাবলিজমটা নিয়ন্ত্রণ করে। এই মাস্টার গ্রন্থি থাইরয়েড। এর মানে, অনেক বড় একটি ভূমিকা রয়েছে এর। এর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আমাদের মস্তিষ্কের ভেতরে। পিটুটারি ও হাইপোথেলামাস থেকে। হাইপোথেলামাস থেকে পিটুইটারি, পিটুইটারি থেকে থাইরয়েড।
থাইরয়েড হরমোনের কাজ হলো শরীরের বিপাককে ব্যবস্থাপনা করা। আমরা যে আয়োডিন খাচ্ছি, এটি দিয়ে থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয়। আয়োডিনের ঘাটতির জন্য যেটি হয়, একে গয়েটার বলা হয়। আয়োডিন সমৃদ্ধ লবণের অভাবে দেখা যাচ্ছে, গলা ফুলে যাচ্ছে, গলগণ্ড হচ্ছে। তবে এটি এখন কমে গেছে। কারণ, এখন আয়োডিনসমৃদ্ধ লবণ বাজারে এসেছে।
হরমোন ও উৎসেচকের মধ্যে পার্থক্য
ডিএনএ জাইম যেখানে যথাক্রমে আরএনএ (RNA) ও ডিএনএ (DNA) উৎসেচক (এনজাইম) হিসাবে কাজ করে। হরমোন এবং উৎসেচকের মধ্যে পার্থক্য নিম্নরুপ-
হরমোন | উৎসেচক |
---|---|
সব হরমোন প্রোটিন নয় | সমস্ত উৎসেচক প্রোটিন। |
হরমোনের স্রাব ও সক্রিয়করণ বিভিন্ন স্থানে স্থান পায়। | উৎসেচকগুলি গোপন এবং একই স্থানে কাজ করে। |
সিস্টেমে কিছু জৈবরাসায়নিক প্রতিক্রিয়া হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। | উৎসেচকগুলি কোষের সমস্ত জৈবরাসায়নিক প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। |
হরমোনগুলি বিপাকীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে। | উৎসেচক বিপাকজনিত অংশ নেয়। |
হরমোনটি টার্গেট সেল, টিস্যু বা সিস্টেমের জন্য নির্দিষ্ট। | উৎসেচকগুলি নিম্নস্তর নির্দিষ্ট হয় |
প্রতিক্রিয়া পরে হরমোনগুলি পতিত হয়। | প্রতিক্রিয়া পরে উৎসেচকগুলি পরিবর্তিত হয় না এবং পুনরায় ব্যবহার করা যেতে পারে। |
বাধা ধর্মী হরমোন হরমোনের কার্যকলাপকে দমন করে। | ইনহিবিটর অণু নিয়ন্ত্রণ করে এবং এনজাইম্যাটিক কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়। |
উৎসস্থল থেকে পরিবাহিত হয়ে অন্যত্র কোষগুচ্ছের ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। | উৎপত্তিস্থলে ও অন্যত্র সুনির্দিষ্ট যৌগের ওপর কিয়া করে। |
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
FAQ | উৎসেচক ও হরমোন
Q1. লালারসে কোন উৎসেচক থাকে
Ans – লালারসে লাইসোজাইম নামক একটি উৎসেচক রয়েছে, এটি সংক্রমণ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসাবে কাজ করে।
Q2. টায়ালিন উৎসেচক টি কোন জাতীয় খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে
Ans – টায়ালিন টায়ালিন সিদ্ধ অদ্রবণীয় শ্বেতসার জাতীয় খাদ্যের উপর কাজ করে।
Q3. আন্ত্রিক গ্রন্থি থেকে কোন উৎসেচক ক্ষরিত হয়
Ans – আন্ত্রিক রসে আন্ত্রিক অ্যামাইলেজ, লাইপেজ, মলটেজ, ল্যাকটেজ ও শুক্রোজ ইত্যাদি এনজাইম থাকে।
Q4. পরিপাকে সাহায্যকারী উৎসেচক কোনটি
Ans – লাইপেজ হ’ল ফ্যাটের পাচক উৎসেচক। টায়ালিন হল লালারসের পাচক উৎসেচক। হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, খাদ্য হজমে সহায়তা করতে মানুষের পাকস্থলিতে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত হয়।
Q5. ডাবের জলে কোন হরমোন থাকে
Ans – ডাবের জলে সাইটোকাইনিন হরমোন পাওয়া যায় ।
Q6. একটি গ্যাসীয় হরমোন এর নাম
Ans – ইথিলিন এই হরমোন একটি গ্যাসীয় হরমোন। এই হরমোন এর রাসায়নিক নাম হলো H2C = CH2 ।
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। হিন্দিতে শিক্ষামূলক ব্লগ পড়তে, এখানে ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।