ইউরিক এসিডের ঘরোয়া চিকিৎসা
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের উচ্চ মাত্রার উপস্থিতির ফলে গেঁটে বাতের মতো একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু-সহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে এবং তাতে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় এবং ব্যথা হতে থাকে। সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
এ ছাড়া কিছুক্ষেত্রে জিনগত সমস্যাও থাকে। উচ্চ মাত্রায় চিনি খাওয়াও হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির একটা বড় কারণ। দেহে উচ্চ মাত্রার ইউরিক অ্যাসিডের উপস্থিতির কারণে হতে পারে গেঁটে বাত, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা-সহ নানা রকমের অসুখ।
মূত্রের মাধ্যমে যে পরিমাণ স্বাভাবিক ইউরিক অ্যাসিড বেরিয়ে যায়, তার চেয়ে বেশি পরিমাণ যখন শরীর তৈরি করে, তখনই সমস্যা দেখা দেয়। তবে একটু সচেতন হয়ে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে ইউরিক অ্যাসিড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আমাদের ঘরেতেই মধ্যেই কিছু জিনিস রয়েছে তার মধ্যে পাওয়া যাবে এর থেকে মুক্তি।
- অ্যাপেল সিডার ভিনিগার-অ্যাপেল সিডার ভিনিগার কিনুন। ১ চা চামচ ভিনেগার নিন, এক গ্লাস জলের সঙ্গে মিশিয়ে পান করে ফেলুন। দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন নিয়মিত। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার শরীর থেকে যে কোনও দূষিত পদার্থ বের করে দিতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশুদ্ধ অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে থাকে ম্যালিক অ্যাসিড, যা ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টালগুলোকে ভেঙে দেয় এবং তাদের শরীরে গাঁটগুলোতে জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। তাছাড়া প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার জল খেতে পারলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে পারে না।
- অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ থেকে দূরে থাকুন। খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি রাখুন। নিয়মিত লেবু বা ভিটামিন সি-যুক্ত ফল খান। ভিটামিন সি ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ করে।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এ জন্য হাঁটা বা সাঁতার বেছে নিতে পারেন। ওজন কোনও ভাবেই বাড়তে দেবেন না। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হৃদরোগ থাকলে ইউরিক এসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে সবসময় নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হোন।
- বাজারে পাওয়া জুস, কোমল পানীয়, লসসি খাওয়া একদমই ঠিক নয়। এতে বিপাকে সমস্যা হয়।
- চায়ের বদলে কফি খাওয়ার অভ্যাস করুন। প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কালো কফি খেলে শরীর ভালো থাকে। তবে এতে যাতে কিডনির সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
যদি কোন ব্যক্তির বেশি পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকে তাহলে তাকে সঠিক খাদ্য তালিকা অনুসরন করতে হবে। ইউরিক অ্যাসিডে কি কি খাবার এবং পানীয় গ্রহণ করা যাবে তার একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হল।
- জলজল শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক এসিড সহ টক্সিন বের করে দেয় । তাই একজন ব্যক্তির প্রতিদিন অন্তত ১০ থেকে ১২ গ্লাস জল পান করতে হবে ।
- বেরিবেরি বিশেষ করে স্ট্রবেরি, এবং ব্লুবেরির মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে যা শরীরকে জয়েন্টের ব্যথা থেকে আরাম দেয়। তাই এদের ইউরিক অ্যাসিডের ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
- আপেলআপেল হল ম্যালিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ যা ইউরিক এসিড নিষ্ক্রাষণে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন একটি করে আপেল খাওয়ার চেষ্টা করুন।
- বিনসের রসবাতের ব্যথা থেকে আরাম পাওয়ার জন্য আরেকটি কার্যকরী ঘরোয়া উপায় হল বিন্সের রস। বাত বা উচ্চ ইউরিক অ্যাসিডের চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন দুবার করে স্বাস্থ্যকর রস খাওয়া যেতে পারে।
- পিন্টো বিনফোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই খাদ্যটি প্রাকৃতিকভাবে ইউরিক এসিড কমাতে সাহায্য করে। ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ পিন্টো বিন্স, সূর্যমুখী বীজ এবং ডাল আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ যা আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করবে।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারশরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমানোর জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার ও সাপ্লিমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করুন । এটি ইউরিক অ্যাসিডকে সংহত করে এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয় । ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন আম্লকি, পেয়ারা, কিউই, মিষ্টি লেবু, কমলা লেবু, ক্যাপসিকাম, লেবু, টমেটো এবং সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়া উচিৎ।
- উচ্চমাত্রায় ফাইবার জাতীয় খাবারমেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুযায়ী, খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য শরীরেইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে এর পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমিয়ে কিডনির সাহায্যে তা শরীরের বাইরে বের করে দেয়।ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য হিসাবে ইসবগুল, ওটস, ব্রোকলি, আপেল, কমলা, নাশপাতি, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, শসা, সেলারি, এবং গাজর, বার্লি ইত্যাদি খেতে পারেন। কলাও ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।
- গ্রিন টিনিয়মিত গ্রিন টি অর্থাৎ সবুজ চা খান যেটি আপনার ইউরিক এসিড এবং হাইপারইউরেক্সিমিয়াকে (উচ্চ ইউরিক এসিড মাত্রা) নিয়ন্ত্রণ করবে, এবং আপনাকে বাতের সমস্যা থেকে রেহাই দেবে।
- সবজিটমেটো, ব্রোকলি এবং শসা এমন কিছু খাবার যা আপনার ইউরিক অ্যাসিড কমানোর খাদ্য তালিকায় যুক্ত করা দরকার।যে সব সবজি ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারে, তাদের মধ্যে টমেটো অন্যতম । টাটকা টমেটোর মধ্যে প্রাকৃতিক ক্ষারীয় উপাদান রয়েছে এবং এটি রক্তের প্রবাহে মিশে এটি রক্তের মধ্যে অ্যালমালাইন বৃদ্ধি করে । আলু বা ভূটার মতো কাঁচা সব্জি শরীরে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কার্যকরী । তাই এদের কাঁচাই খাওয়া উচিত।
হার্নিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
হার্নিয়া কী
একটি বালতির মধ্যে ফুটো হয়ে গেলে জল বাইরে বেরিয়ে আসবে। হার্নিয়াও তাই। ‘‘পেটের পিছনের দিকে থাকে হাড়, সামনে রয়েছে পেশি। তার ভিতরে থাকে অন্ত্র, নালি, চর্বি ইত্যাদি। কিন্তু পেটের মধ্যে কোথাও ফুটো হয়ে গেলে এই ভিতরের পদার্থগুলি বাইরে বেরিয়ে আসতে চাইবে। একেই হার্নিয়া বলে।’’
হার্নিয়া কোথায় হতে পারে
প্রাইমারি হার্নিয়া: ভ্রূণ অবস্থাতেই ছেলেদের গোনাড অঙ্গ শরীরের বাইরে আসে। সেখানে দুর্বলতা সৃষ্টি হলে গ্রোইন হার্নিয়া হতে পারে। পরিণতবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে এই হার্নিয়া বেশি হয়। গ্রোইনের মতো নাভিও আর একটি ‘উইক স্পট’। স্থূলতার কারণে নাভিতেও হার্নিয়া হতে পারে। বেশ কয়েক বার গর্ভবতী হলে মহিলাদের তলপেটের অংশ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। ব্যায়াম না করলে মেয়েদের তলপেট কমজোরি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হতে পারে আম্বিলিক্যাল হার্নিয়া।
সেকেন্ডারি বা ইনসিশনাল হার্নিয়া
সেকেন্ডারি বা ইনসিশনাল হার্নিয়া: অস্ত্রোপচারের পরবর্তী সেলাইয়ের সঙ্গে স্বাভাবিক ক্ষতের পার্থক্য আছে। সেলাইয়ের ক্ষতের পেশিগুলোর শক্তি স্বাভাবিক ক্ষতের চেয়ে কম হয়। এ সময় যদি রোগী কাশেন বা অতর্কিতে জোর দিয়ে ফেলেন, বেশি কাজকর্ম করেন, তবে ক্ষতে সংক্রমণ হতে পারে। তার থেকে বা কোনও কারণে সেলাই খুলে গেলে ইনসিশনাল হার্নিয়া হয়। মহিলাদের সিজ়ারিয়ান সেকশন বা হিস্টেরেক্টমি-র পর তলপেটে এই হার্নিয়া দেখা যায়। হয়তো রোগী কেশেছেন, বমি করেছেন বা ওবিস ছিলেন, তাই সমস্যাটি হয়েছে। যে কোনও অস্ত্রোপচারের পরেই এই হার্নিয়া হতে পারে। ক্যানসার রোগীর অস্ত্রোপচারের পরে শারীরিক দুর্বলতার জন্য ঘা না শুকোলেও হার্নিয়া হয়। পেটে ফুটো বা সংক্রমণের জরুরিভিত্তিক অস্ত্রোপচারের পরেও ঘা পেকে হার্নিয়া হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
- রোগী পেটে কিংবা কুঁচকিতে ব্যথা ও ফোলা অনুভত করেন। অনেকের আবার দেরিতে ব্যথা অনুভূত হয়।
- বয়স্কদের ক্ষেত্রে হার্নিয়া হলে রোগী খেতে পারেন না, পেট ফুলে যায়। যদি অন্ত্র সম্পূর্ণরূপে কোনও জায়গায় বন্ধ হয়ে যায় তাহলে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
- অনেকের আবার পিঠে, কোমরে ব্যথাও হয়।
হার্নিয়া হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
হার্নিয়ার ধরণের ও তীব্রতার উপর নির্ভর করে হার্নিয়ার কিছু ওষুধ এখানে দেওয়া হল:
নাক্স ভোমিকা | Nux Vomica
এটি প্রায় সব ধরণের হার্নিয়ার জন্যই নির্ধারিত হয় – ফেমোরাল, ইনগুইনাল, নাভিল এবং শ্বাসরোধী হার্নিয়া।
এটি সাধারণত সেই হার্নিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে যারা দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়ার কারণে দুর্বল পেশীর অভিযোগ করেন।
সাধারণত বাম দিকের ইনজুইনাল হার্নিয়ার চিকিত্সার জন্য নেওয়া হয়, এই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি শ্বাসরোধী হার্নিয়ার কারণে জ্বলন্ত সংবেদনকেও চিকিত্সা করতে পারে।
ক্যালকেরিয়া কার্বনিকা | Calcarea carbonica
ক্যালকারিয়া কার্বনিকা স্থূলকায় রোগীদের জন্য হার্নিয়ার চিকিত্সার জন্য হোমিওপ্যাথিক ওষুধ।
স্থূল লোকের পেটে অতিরিক্ত মেদ থাকে যার ফলে পেটের পেশী দুর্বল হয়। এই ওষুধটি শিশু এবং শিশুদের মধ্যে নাভির হার্নিয়ার চিকিত্সার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
লাইকোপডিয়াম ক্লাভাটাম | Lycopodium Clavatum
ফেমোরাল পাশাপাশি ইনজুইনাল হার্নিয়াতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই ওষুধটি খাওয়া উচিত। শিশু এবং বয়স্করা এই ওষুধটি নিতে পারে।
হর্নিয়া রোগীদের জন্য পেটের দুর্বল হজমশক্তি এবং অতিরিক্ত পেট ফাঁপাতে মোকাবেলা করার জন্য, এই ওষুধটি কার্যকর।
রুস টক্সিকোডেনড্রন | Rhus Toxicodendron
এই ওষুধটি যে কোনও ধরণের হার্নিয়ার মূল কারণ নিরাময় করতে পারে যা পেটের পেশী দুর্বল করে। এটি দুর্বল অঞ্চলে শক্তি সরবরাহ করে কাজ করে।
ককুলাস | Cocculus
যদি কোনও রোগীকে ইনজুইনাল হার্নিয়া ধরা পড়ে তবে কোকুলাস হল হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত ওষুধ। এটি ফুলে যাওয়া এবং ফ্ল্যাটাস থেকে মুক্তি দেয়।
এই ওষুধটি হার্নিয়াকে চিকিত্সা করে যা অন্ত্রগুলিতে লেসারেটিং ব্যথা তৈরি করে। হার্নিয়ার কারণে যে সমস্ত লোকদের দাঁড়াতে অসুবিধা হয় তারা এই ওষুধটি থেকে স্বস্তি পেতে পারেন।
অরুম মেটালিকাম | Aurum Metallicum
কাঁপতে কাঁপতে বাড়ে এমন বাচ্চাদের ইনগ্রিনাল এবং অম্বিলিকাল হার্নিয়ার চিকিত্সা করার জন্য পরিচিত, এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি ইনগুইনাল হার্নিয়ার চিকিত্সা করতে পারে যা প্রসারণের সময় প্রচুর ব্যথা সৃষ্টি করে। এই ওষুধটি শিশু এবং ইনজুনাল হার্নিয়াও চিকিত্সা করতে পারে।
লাচিসিস | Lachesis
এটি প্রধানত তিন ধরণের হার্নিয়া- ইনজুইনাল, নাভিক এবং শ্বাসরোধে চিকিত্সা করতে পারে। যখন হার্নিয়ার উপরের ত্বকটি চাঁচা এবং অন্ধকারযুক্ত হয় তখন এই ওষুধটি স্বস্তি দিতে পারে।
বেলাদোনা | Belladonna
এই ওষুধটি সাধারণত শ্বাসরোধক হার্নিয়ার লক্ষণগুলি যেমন জ্বলন সংবেদন বা নাভির নিকটে একটি বাল্জ হিসাবে চিকিত্সার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। এটি বসতিতে ক্রমবর্ধমান হার্নিয়া থেকেও ত্রাণ সরবরাহ করতে পারে।
ওপিয়াম | Opium
যে রোগীদের মুখের লালচেভাব, লক্ষণগুলি প্রস্রাব করতে ব্যর্থতা, বমিভাব, পেটে ব্যথা হয় সেগুলি এই ওষুধটি গ্রহণ করতে পারে। এই হোমিওপ্যাথিক ওষুধটি ইনজুইনাল হার্নিয়া, নাভির হার্নিয়া এবং শ্বাসরোধী হার্নিয়ার আচরণ করে।
ব্রায়োনিয়া | Bryonia
যে সমস্ত লোকদের দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের ইতিহাস রয়েছে এবং একটি নাভির হার্নিয়া তৈরি করেছেন তারা এই ওষুধ থেকে স্বস্তি পেতে পারেন।
মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা
দ্রুত মাথা ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায়।
আদা
- আদা মাথার রক্তনালির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে। এতে মাথা ব্যথা কমবে।
- সমপরিমাণ আদার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে খান। মাথা ব্যথা থাকলে দিনে দুই থেকে তিনবার এটি খেতে পারেন।
- এক চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো, দুই টেবিল চামচ পানির মধ্যে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি কয়েক মিনিটের জন্য কপালে লাগিয়ে রাখুন। এতে ব্যথা কমবে।
- এ ছাড়া আদা গুঁড়ো বা কাঁচা আদা সিদ্ধ করতে পারেন। এবার এই সিদ্ধ পানিতে ভাপ নিন।
- এ ছাড়া ম্যথা ব্যথা দূর করতে দুই টুকরো আদার ক্যান্ডিও চিবুতে পারেন।
পুদিনা পাতার রস
- পুদিনা পাতায় রয়েছে ম্যানথল ও ম্যানথন। এই উপাদানগুলো মাথা ব্যথা দূর করার জন্য খুব উপকারী।
- এক মুঠো পুদিনা পাতা নিন। পাতা থেকে রস বের করুন। এই রস কপালে মাখুন।
- এ ছাড়া পুদিনার চাও খেতে পারেন।
বরফের প্যাক
- বরফ প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি এটি ব্যথা উপশম করবে।
- বরফের প্যাক ঘাড়ে দিন। এতে মাইগ্রেনের ব্যথা অনেকটা উপশম হবে।
- এ ছাড়া একটি ধোয়া তোয়ালে বা কাপড়ের টুকরো বরফঠান্ডা পানিতে ভেজান। এটি মাথায় পাঁচ মিনিট রাখুন। দিনে কয়েকবার এটি করতে পারেন। তবে যাদের ঠান্ডার সমস্যার রয়েছে তারা এটি না করলেই ভালো।
অ্যাসেনশিয়াল অয়েল
আঙুলের ডগায় অ্যাসেনশিয়াল অয়েল লাগিয়ে কপালে আর রগে ম্যাসাজ করুন। ল্যাভেন্ডার বা পিপারমিন্টের মতো কোনো সুগন্ধি ফ্লেভারের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে মাথার যন্ত্রণা অনেকটা কমে।
হস্ত মৈথুনের ঘরোয়া চিকিৎসা
- নিজেকে সবসময় কোন না কোন কাজে ব্যস্ত রাখুন। ব্যস্ত রাখলে দেখবেন আর এইদিকে আপনার মন থাকবে না।
- কখনো একা থাকতে যাবেন না তাহলে আপনার মাথায় এসব বাজে চিন্তা-ভাবনা আসবে না।
- বেশি রাত করে ঘুমাবেন না এবং যত দ্রুত সম্ভব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবেন।
- প্রতিদিন ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করতে চেষ্টা করুন।
- রাতে সাথে করে মোবাইল নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না। কারণ মোবাইল সাথে থাকলে বাজে জিনিস দেখার ইচ্ছা করবে।
- আপনার মাথা থেকে যৌন চিন্তা দূর করে ফেলুন এসব চিন্তা মাথায় আনার চেষ্টাও করবেন না।
- আপনি গোসল করতে গেলে তাড়াতাড়ি ওখান থেকে বের হয়ে আসুন।
- আপনি ছোট টার্গেট সেট করতে পারেন প্রথমে ৩ দিন তারপর ৭ দিন তারপর ১৫ দিন তারপর ১ মাস। এইভাবে আপনি টার্গেট সেট করে চলতে পারলে দেখবেন আপনার মাথায় এসব চিন্তা আসবে না।
- যদি হঠাৎ করে আপনার যদি উত্তেজনা চলে আসে তাহলে দ্রুত অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ুন। অথবা এমন জায়গায় চলে যান যেখানে হস্ত মৈথুন করা সম্ভব নয়।
- কখনো উপুর হয়ে শুয়ে থাকবেন না।
- বিকালের পর উত্তেজনা আসে এমন খাবার খাবেন না।
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বই pdf
হোমিওপ্যাথিক প্র্যাকটিশনার্স গাইড (অরিজিনাল), বেঙ্গালি মেডিক্যাল
আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারি ও বেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন।