বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

সূচিপত্র

অষ্টম শ্রেণী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দ্বারা লিখিত বোঝাপড়া বিষয়সংক্ষেপ প্রশ্ন ও উত্তর | বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর

জীবনে ভালােমন্দ যাই আসুক না কেন, সত্য মনে করে তাকে সহজে গ্রহণ করতে হবে। কেউ তােমাকে ভালােবাসবে, কেউ বাসবে না—এটিই স্বাভাবিক। ব্যাপারটি নিজের ক্ষেত্রেও ঠিক। এটিই স্বাভাবিক যে, সবাই সবার জন্য নয়। আমরা একে অন্যকে ফাঁকি দিই। সুতরাং কোটি কার ভাগে আছে, কেউ জানে না। প্রাচীন কাল থেকে এটিই চলে আসছে। কেউ আঘাত বাঁচিয়ে চলতে পারে না। সুতরাং, সত্যকে সহজভাবে মেনে নেওয়াই ভালাে।

জীবনে বহু ঝড়-ঝঞ্জা পেরিয়ে সুখ পাওয়া যায়। কোথায়, কীভাবে আঘাত আসে কেউ বলতে পারে না। অপ্রত্যাশিত আঘাতে বুকের পাঁজর ভাঙতে পারে, আর্তনাদে আকাশবাতাস মুখর হতে পারে, কিন্তু তাই নিয়ে বিবাদ চলে না। বরং সমস্ত কিছু সহ্য করে টিকে থাকাই শ্রেয়, অন্যথায় সমূহ বিপদ আসতে পারে। সামান্য ঘটনাই তখন মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।

জগতে কেউ কারও মতাে নয়, প্রত্যেকেই আলাদা। তবু একে অন্যকে পিছনে ফেলে এগােতে চায়। অথচ হাত বাড়ালেই বন্ধু পাওয়া যায়। পাওয়া যায় পরম সুখ। সর্বাবস্থায় আকাশ সুনীল থাকে, ভােরের আলাে মধুর হয়, এমনকি সহসা মরণ এলে, জীবনে বাঁচার ইচ্ছাই প্রবল হয়। যাকে ছাড়া জীবন শূন্য বলে মনে হয়, প্রকৃতপক্ষে তাকে ছাড়াও পৃথিবী মনােরম।

সুতরাং, দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে থাকা ঠিক নয়। সুন্দরের সঙ্গে বিবাদ করলে নিজেকে আঘাত করা হয়। মনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সুন্দরের সন্ধান করাই জীবনের সাধনা। দুঃখের প্রদীপ জ্বালিয়েই আলোর সন্ধানে বের হতে হয।সেটিই আসল, সেখানেই স্বাতন্ত্র্য।তা না হলে ভালোমন্দের কোনও তফাৎ থাকতো না।মনকে তাই বোঝাতে হবে,ভালোমন্দ যা-ই আসুক সহজভাবে সব কিছু গ্রহণ করতে হবে,কবির ভাষায় —-“ভালো মন্দ যাহাই আসুক / সত্যেরে লও সহজে।”

আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

বোঝাপড়া কবিতা প্রশ্ন ও উত্তর

১. জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন

উঃ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ভারতী ও বালক পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন।

২. ভারতের কোন প্রতিবেশী দেশে তাঁর লেখা গান জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয় ?

উঃ ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা গান ‘আমার সােনার বাংলা জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয়।

নীচের প্রশ্নগুলির কয়েকটি বাক্যে উত্তর দাও :

৩.১ ‘সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়।’ — কোনটি সবার চেয়ে শ্রেয় ?

উঃ জীবনে দুঃখের সাগর পেরিয়েই সুখের কিনারায় উঠতে হয়। একাজে যে বিপদ আছে, তা মাথায় রেখেই বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হয়। নতুবা মুহূর্তের ভুলে সব কিছু ওলটপালট হয়ে যেতে পারে। সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার বা ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই সতর্ক হয়ে চলতে হবে, অন্যের সঙ্গে বিবাদ করে, সবার সাথে মিলে মিশে দুঃখ-সাগরে ভেসে থাকতে হবে। তাকে অবলম্বন করে টিকে থাকতে হবে। আর সেটিই হবে উপযুক্ত, সংগত ও শ্রেয়।

৩.২ ‘ঘটনা সামান্য খুবই।” —কোন্ ঘটনার কথা বলা হয়েছে ?

উঃ সামান্য ঘটনা বলতে, গভীর চিন্তা না-করে অগ্রাহ্য ও অবহেলার যােগ্য ঘটনাকে বােঝানাে হয়েছে। জীবনে চলার পথে আমরা অনেক বিষয়কে ভাবনা চিন্তার মধ্যে আনি না। যার থেকে কোনাে ভয় নেই মনে করি, দেখা যায়, সে-ই আমাদের সমূহ বিপত্তির কারণ। কবি সেই আপাত তুচ্ছ বলে বিবেচ্য বিষয়কেই সামান্য ঘটনা বলেছেন।

৩.৩ ‘তেমন করে হাত বাড়ালে/সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’ — উদ্ধৃতিটির নিহিতার্থ স্পষ্ট করাে।

উঃ ব্যক্তিমাত্রই আত্মপরায়ণ। সে বিনা স্বার্থে এক পা ফেলতেও রাজি নয়। আবার এই ব্যক্তিই যখন পরার্থে সব কিছু বিসর্জন দিয়ে আত্মসুখ খুঁজে নেয়, হয়ে ওঠে পরম বন্ধু, তখন সে-ই খুঁজে পায় অনেক মন্দের মাঝে ভালাের খোঁজ। মন ভরে ওঠে তৃপ্তিতে। তবে এর জন্য পারস্পরিক ত্যাগ স্বীকার দরকার হয়। প্রত্যেকেই যদি নিজের সামান্য স্বার্থ ত্যাগ করে এগিয়ে আসে, তবে পাওয়া যায় পরম শান্তি। অর্থাৎ স্বার্থকে দূরে ঠেলে বন্ধুত্বের হাত বাড়ালেই জীবনে খুঁজে পাওয়া যায় অনেকটা সুখ ।

৩.৪ ‘মরণ এলে হঠাৎ দেখি/মরার চেয়ে বাঁচাই ভালাে।’— ব্যাখ্যা করাে।

উঃ মানুষের মধ্যে দুঃখবােধ আছে। মাঝেমধ্যে তা প্রবল। আকার ধারণ করে। এই সময় সে জীবন সম্পর্কে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে। তখন সে মনে করে, মরে যাওয়াই ভালাে। এ এক ধরনের পলায়নপ্রবৃত্তি। কবির কাছে তা আসলে ভয়ানক মিথ্যে। তিনি মনে করেন, মানুষ আসলে বাঁচতেই চায়। কবির ভাষায় ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে | মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। কিংবা যদি কেউ বলে, ‘মরলেই বাঁচি’ তাহলে বুঝতে হবে—‘দুঃখে আনন্দ পেয়ে/পরম তৃপ্তিতে ঢেউ তােলা কথা সব।

অষ্টম শ্রেণী বোঝাপড়া কবিতা pdf

অষ্টম শ্রেণী জন্য CBSE বাংলা গাইড

অষ্টম শ্রেণী জন্য CBSE বাংলা গাইড



.

বোঝাপড়া কবিতার প্রশ্ন উত্তর

জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত কোন পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন
উঃ জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি থেকে প্রকাশিত ভারতী ও বালক পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিয়মিত লিখতেন।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।