৪২ টি ছোট গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর নদী বিষয়ের উপর

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

WBBSE Geography, Bhugol | Nadi Question Answer

প্রশ্নপত্র

নদী কাকে বলে

উত্তর: ভূপৃষ্ঠের উপর দিয়ে ভূমির ঢাল অনুসারে প্রবাহিত যে স্বাভাবিক জলধারা বৃষ্টির জল বা তুষার গলা জলে পুষ্ট হয়ে কোনো সমুদ্রে বা হ্রদে বা অন্য কোনো জলধারায় মিলিত হয়, তাকে নদী বলে। যেমন – গঙ্গা, যমুনা, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী ইত্যাদি।

আদর্শ নদী কাকে বলে

উত্তর: যে নদীর উচ, মধ্য ও নিম্ন – এই তিন গতি থাকে, সেই নদীকে আদর্শ নদী বলা হয়। যেমন, গঙ্গা একটি আদর্শ নদী। এই নদীর হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহের গোমুখীর গহ্বর থেকে উৎপত্তি। গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য 2704 কিলোমিটার।

গঙ্গার উচ্চগতি এখানেই আরম্ভ। গভীর গিরিখাত সৃষ্টি করে গঙ্গানদী ভয়ঙ্কর বেগে সমস্ত বাধা-বিপত্তি ভেঙে চুরমার করে প্রবল বেগে ছুটতে শুরু করে। পর্বতে নদীর এই গতিকে উচ্চ গতি বলে। যেহেতু পর্বতে এই গতি, এটাকে পার্বত্য অবস্থাও বলে। হরিদ্বার পর্যন্ত গঙ্গার উচ্চ গতি। এই পার্বত্য অবস্থা , অর্থাৎ হিমালয়ের পার্বত্য অবস্থার দৈর্ঘ্য 200 কিলোমিটার, একেবারে হরিদ্বারের হৃষীকেশ পর্যন্ত। এই উচ্চ গতিতে নদী হয় সরু, কিন্তু গভীরতা বেশি । এই অবস্থায় নদীর কাজ শুধুমাত্র ভাঙ্গা ও পরিবহণ।

এই নদীর উভয় দিকেই অনেকগুলি উপনদী আছে।

বামদিকে: রামগঙ্গা, গোমতী, ঘর্ঘরা, গণ্ডক, বারহি, কোশী , মহানন্দা, ব্রহ্মপুত্র ইত্যাদি।

ডানদিকে: যমুনা, শোন, কালী, চন্দন, ফল্গু, অজয়, দামোদর, রূপনারায়ণ ইত্যাদি।

গঙ্গা-পার্শ্বস্থ শহর সমূহ ( পবিত্র তীর্থস্থান সমূহ) : গঙ্গোত্রী, হরিদ্বার, এলাহাবাদ, বারানসী, কালীঘাট প্রভৃতি।

নদী অববাহিকা কাকে বলে

উত্তর: একটি প্রধান বা মূল নদীর সম্পূর্ণ গতিপথে বহু উপনদী এসে মিলিত হয়। আবার মূল নদী ও উপনদী থেকেও বহু সংখ্যক শাখা নদী নির্গত হয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অর্থাৎ একটি প্রধান বা মূল নদী তার উপনদী, শাখানদী সহ যে অঞ্চলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্রে পতিত হয়, সেই সমগ্র অঞ্চলকে উক্ত নদীর অববাহিকা বলা হয়।

উদাহরণ – দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন অববাহিকা আয়তনে বিশ্বে বৃহত্তম। আবার ভারতের নদী অববাহিকা হল গঙ্গা নদী অববাহিকা।

অন্তর্বাহিনী নদী কাকে বলে

উত্তর: যখন কোনো নদী দেশের অভ্যন্তরের কোনো পাহাড় , পর্বত বা কোনো উচ্চভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করে সেই দেশের কোনো হ্রদ বা জলাশয়ে এসে মিলিত হয় , তখন তাকে অন্তর্বাহিনী নদী বলে । যেমন — লুনি , রূপনগর নদী ।

নিত্যবহ নদী কাকে বলে

উত্তর: যে সব নদীতে সারাবছর ধরেই প্রবাহ দেখা যায়, তাদের নিত্যবহ নদী (Perinnial River) বলে।যেমন: পদ্মা নদী, ব্রক্ষ্মপুত্র নদ প্রভৃতি।

নিত্যবহ নদী বৈশিষ্ট্য

  • সারা বছরব্যাপী পানির যোগান থাকে এরকম কোনো নির্দিষ্ট উৎসক্ষেত্র (যেমন- হিমরেখার উপরে অবস্থিত কোনো তুষারক্ষেত্র, হিমবাহক্ষেত্র অথবা সারা বছরব্যাপী বর্ষনযুক্ত কোনো উচ্চভূমি ইত্যাদি) থেকে উৎপত্তিলাভ করে ।
  • সারা বছর ধরেই পানির যোগান থাকে।
  • নদীর মোট প্রবাহপথের অধিকাংশই নৌ-চলাচলযোগ্য হয় ।
  • অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সারা বছরব্যাপী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের উপযোগী অনুকূল পরিবেশ নদীগুলিতে বজায় থাকে ।
  • অধিকাংশ নিত্যবহ নদীই যথেষ্ট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট, পানিবহুল ও স্রোতস্বিনী হয়।
  • এরা অসংখ্য উপনদী ও শাখানদীবিশিষ্ট হয় ।
  • অধিকাংশ নিত্যবহ নদীতেই উচ্চ প্রবাহ, মধ্য প্রবাহ ও নিম্ন প্রবাহ – এই তিনপ্রকার প্রবাহ দেখা যায়।

নদীর গতিবেগ পরিমাপক একক, নদীর গতিবেগ পরিমাপের একক কি

উত্তর: নদীর গতিবেগ বা জলপ্রবাহ মাপার একক কিউসেক।

পৃথিবীর বৃহত্তম নদী কোনটি, পৃথিবীর বৃহত্তম নদীর নাম কি

উত্তর: বৃহত্তম নদী বলতে বোঝায় সবথেকে বেশি পানি যে নদ বা নদীর মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। পৃথিবীর বৃহত্তম নদী হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন। এটি পৃথিবীর প্রশস্ততম নদীও বটে। আমাজন নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২০৯০০০ কিউবিক মিটার পানি সাগরে পতিত হয়। বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী হচ্ছে মেঘনা। এই নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩৮১২৯ কিউবিক মিটার পানি সাগরে পতিত হয়। মেঘনা পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম এবং এশিয়ার বৃহত্তম নদী। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী হচ্ছে পদ্মা। এই নদী দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৩২০০০ কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়।

ভারতের বৃহত্তম নদীর নাম কি

উত্তর: গঙ্গা নদী, এটি ২৫১০ কিমি দীর্ঘ।

ভারতের দীর্ঘতম নদীর নাম কি

উত্তর: ব্রহ্মপুত্র নদের দৈর্ঘ্য হল 2900 কিমি

কিন্তু ভারতে ব্রহ্মপুত্র নদের দৈর্ঘ্য মাত্র 916 কিমি। গঙ্গা নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় 2510 কিমি। ভারতীয় উপমহাদেশের দুটি প্রধান নদী – ব্রহ্মপুত্র এবং সিন্ধু – মোট দৈর্ঘ্যের পরিপ্রেক্ষিতে গঙ্গার চেয়ে দীর্ঘ নদী।

উপদ্বীপীয় ভারতের দীর্ঘতম নদী কোনটি

উত্তর: গোদাবরী উপদ্বীপীয় ভারতের দীর্ঘতম নদী। গোদাবরী নদী ভারতের দীর্ঘতম নদীগুলির মধ্যে একটি এবং এর দৈর্ঘ্য প্রায় 1,465 কিমি ।

চারটি নদী কেন্দ্রিক সভ্যতার নাম লেখো

উত্তর: ইতিহাসবিদরা চারটি আরভিসিকে বিশ্বের প্রথম মহান সভ্যতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তারা হল টাইগ্রিস ইউফ্রেটিস নদী উপত্যকা, নীল নদী উপত্যকা, সিন্ধু নদী উপত্যকা এবং হুয়াং-হে নদী উপত্যকা।

এশিয়ার বৃহত্তম নদী কোনটি

উত্তর: চীনের ইয়াংজি নদী পৃথিবীর তৃতীয় দীর্ঘতম এবং এশিয়ার বৃহত্তম নদী যার দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার।

নদীটি শুধু চীনা সভ্যতা গড়ে তুলতে নয়, চীনের আর্থ-সামাজিক টেকসই উন্নয়নেও রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ইয়াংজি নদীর দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। ইয়াংজি নদীর অববাহিকার আয়তন ১৮ লাখ বর্গকিলোমিটার যা চীনের মোট আয়তনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।

দেশটির ১৯টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও কেন্দ্রশাসিত মহানগরের সঙ্গে ইয়াংজি নদীর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও বেশকিছু নদী, হৃদ এবং বদ্বীপ সমতলভূমি ইয়াংজি নদীর অববাহিকার সঙ্গে সম্পর্কিত। ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় গোটা চীনের এক-তৃতীয়াংশ লোকের বসবাস।

চীনের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্যশস্য এই ইয়াংজি নদীর অববাহিকায় উৎপাদন হয়। নদীর অববাহিকা থেকে চীন পেয়ে থাকে ৩৬.৫ শতাংশ জলসম্পদ ও ৪৮ শতাংশ ব্যবহার্য জলশক্তি সম্পদ। দেশটির ৫২.৫ শতাংশ নাব্য নদীপথ ও এক- তৃতীয়াংশ শহর রয়েছে ইয়াংজি নদীর অববাহিকায়। ইয়াংজি নদীর অববাহিকা চীনের প্রধান জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ঘাঁটি।

দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার দীর্ঘতম নদী

উত্তর: এশিয়ার বৃহত্তম নদী -ইয়াং সি কিয়াং। – ইয়াং সি কিয়াং প্রবাহিত হয়েছে -চীন দেশের মধ্য দিয়ে। – এশিয়ার সবচেয়ে খরস্রোতা নদী -সালউইন। – এশিয়ার দীর্ঘতম নদীগুলোর নাম- ইয়াং সি কিয়াং (৫৪৯৪ কিলোমিটার)

এশিয়ার দীর্ঘতম নদী কোনটি, এশিয়ার দীর্ঘতম নদীর নাম কি

উত্তর: এশিয়ার দীর্ঘতম নদী হচ্ছে চীনের চ্যাং জিয়াং। এটি ইয়াং জি নামেও পরিচিত। এর দৈর্ঘ্য ৬৩০০ কিলোমিটার, যা পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী।

মরু অঞ্চলের শুষ্ক নদীখাত কে কি বলে, মরু অঞ্চলের শুষ্ক নদীখাত হলো, মরু অঞ্চলের শুষ্ক নদীখাত

উত্তর: ওয়াদি আরবি শব্দ যা উপত্যকা বুঝাতে ব্যবহৃত হয়। মরু অঞ্চলে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের ফলে সাময়িক জলধারার সৃষ্টি হয়। এই জলধারার সাথে বালি, কাঁকর, কাদা প্রভৃতি কর্দমধারা রূপে প্রবাহিত হয়; কিন্তু খুব দ্রুত এই কর্দমধারার প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় ও নদীখাত শুষ্ক অবস্থায় পড়ে থাকে । মরু অঞ্চলে অবস্থিত এরকম শুষ্ক নদীখাতগুলি ওয়াদি নামে পরিচিত । উদাঃ আরবে ‘রাব-আল-খালি’ মরুভূমিতে ওয়াদি দেখা যায় ।

সাধারনত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে মরুভূমিগুলি সৃষ্টি হলেও মরু অঞ্চলগুলি কিন্তু একেবারেই বৃষ্টিহীন নয় । মাঝে মাঝেই মরু অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিপাত হয় (বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাত 25-48 সেন্টিমিটার) । কিন্তু সেই বৃষ্টিপাত পরিমানে সামান্য হলেও তা স্বল্প সময়ের মধ্যে আকস্মিক ও মুষলধারে ঘটে । এর ফলে ঐ অঞ্চলে বেশকিছু বেগবান ও ক্ষণস্থায়ী জলধারার সৃষ্টি হয় ।

এই জলধারা ভূমির ঢাল অনুসারে প্রবাহিত হয়ে বালি, পলি, কাঁকর, সূক্ষ্ম শিলাচূর্ণ প্রভৃতি মিশে একটি কর্দম ধারা রূপে প্রবল বেগে নিচে নেমে আসে । কিন্তু প্রবাহপথে জলের দ্রুত অধঃগমন ও অধিক পরিমানে বাস্পীভবনের কারণে নদীখাতটি তাড়াতাড়ি শুকিয়ে গিয়ে ওয়াদি সৃষ্টি হয় ।

নদী অপেক্ষা সমুদ্রে সাঁতার কাটা সহজ কেন

উত্তর: পুকরের পানির চেয়ে সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ কারন সমুদ্রের পানিতে নানা ধরনের লবণ দ্রবীভূত থাকে।

তাই সমুদ্রের পানির ঘনত্ব নদীর পানি বা পুকুরের পানির চেয়ে বেশি।

ঘনত্ব বেশি হওয়ার কারনে সমুদ্রের পানির প্লবতা নদী বা পুকুরের পানির চেয়ে বেশি। ফলে সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটার সময় সাঁতারুর শরীরের উপর প্লবতা বেশি হওয়ায় শরীর হালকা বলে মনে হয়।

এ কারনে নদী বা পুকুরের পানির তুলনায় সমুদ্রের পানিতে সাঁতার কাটা সহজ

তরাই অঞ্চল সৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদী গুলির ভূমিকা, তরাই অঞ্চল সৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির ভূমিকা, তরাই অঞ্চল সৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের নদীর ভূমিকা

উত্তর:

  • তরাই অঞ্চলের ভৌগোলিক বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে যে তরাই অঞ্চলের অধিকাংশ অঞ্চলই পলিমাটি দ্বারা নির্মিত।
  • এখন আমরা জানি যে,পলিমাটি একমাত্র নদী প্রবাহের ক্ষয়কার্য এবং সঞ্চয় কার্যের জন্য গঠিত হয়ে থাকে।
  • সেরকমই,উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন নদীগুলি দ্বারা বাহিত পলিমাটি এবং নুড়িকাঁকড়ের সাহায্যে তরাই অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ গঠিত হয়েছে।
  • তাই,তরাই অঞ্চল গঠনে উত্তরবঙ্গের নদীগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বরীচ জায়গাটি কোন নদীর তীরে অবস্থিত

উত্তর: মুসি নদীর তীরে অবস্থিত।

তেহরি বাঁধ কোন নদীর উপর অবস্থিত

উত্তর: তেহরি বাঁধ ভারতের সর্বোচ্চ বাঁধ এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ বাঁধগুলির মধ্যে একটি। এটি ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের তেহরির কাছে ভাগীরথী নদীর উপর নির্মিত বহুমুখী পাথর এবং মাটি ভরাট কৃত্রিম বাঁধ। বাঁধের দৈর্ঘ্য হল 575 মিটার।

ভারতের একটি পশ্চিম বাহিনী নদীর নাম

উত্তর: পশ্চিম বাহিনী নদী গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নর্মদা, তাপ্তি, সবরমতী, মাহি, পেরিয়ার প্রভৃতি।

নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে কেন

উত্তর: যখন কোনও নদী একটি হ্রদ বা সমুদ্রের কাছে পৌঁছে যায় তখন জল ধীর হয়ে যায় এবং পলল বহন করার শক্তি হারাতে থাকে।

বহন করা পলি নদীর মুখে ফেলে দেয় । কিছু নদী এত বেশি পলল ফেলে যে ঢেউ এবং জোয়ার এটিকে পুরোপুরি বহন করতে পারে না। এটি একটি ব-দ্বীপ গঠনে স্তরগুলিকে তৈরি করতে পারে। এই জন্যই বদ্বীপ গুলো মোহনায় গড়ে উঠেছে।।

সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না কেন, সব নদীতে বদ্বীপ গড়ে ওঠে না কেন

উত্তর: আমরা ভৌগোলিক ভাবে দেখতে পায় যে সমস্ত নদীর মোহনা তে কিন্তু দ্বীপ গড়ে ওঠে না। এর পিছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ আছে, যেমন –

  • নদীর মোহনায় যদি ভূমির ঢাল বেশি হয় তবে সেক্ষেত্রে দ্বীপ সৃষ্টি হয় না।
  • নদীর মোহনায় জোয়ার , ভাটার প্রকোপ যদি বেশি হয় ।
  • যদি নদীর মোহনায় নিচের শিলা স্তর কঠিন হয় তবে সেখানে নদী বাহিত পদার্থ জমতে না পারায়, দ্বীপ গোড়ে ওঠে না।
  • নদীর সমস্ত গতিপথের তীব্রতা দ্বীপ গোড়ে ওঠার অন্যতম কারণ।

দুটি নদী অববাহিকার মধ্যবর্তী উচ্চভূমি কে বলে

উত্তর: দুটি নদীর মধ্যবর্তী উচ্চভূমি কে জলবিভাজিকা বলা হয়।

সরদার সরোবর প্রকল্প টি কোন নদীর উপত্যকায় অবস্থিত

উত্তর: সর্দার সরোবর বাঁধ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী বাঁধ, যা নর্মদা নদীর উপরে ভারতের গুজরাতে শোনগড়, নবগাও অঞ্চলে নির্মিত হয়েছে।

মানুষের নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ নদীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, মানুষের নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ নদীর উপর

উত্তর -মানুষের জীবনের সাথে নদীর সম্পর্ক নিবিড় হলেও, মানুষের নানাবিধ কাজ নদীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে

মানুষের অবাঞ্ছিত ক্রিয়াকলাপ গুলি আলোচনা করা হল

  • কৃষিজাত নদী দূষণ: কৃষি উৎপাদন বাড়াতে জমিতে যথেচ্ছ ভাবে কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার করা হয় যা বৃষ্টির জলে ধুয়ে নদীর জলে মিশে নদী দূষণ ঘটায়
  • নদী বাঁধ নির্মাণ: বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীর পাড়ে কৃত্রিম বাঁধ তৈরি করলে সাময়িক সুফল পাওয়া গেলেও শেষ পর্যন্ত তা আরও ভয়াবহ বন্যার কারণ হয়ে উঠছে
  • নগরায়ন: অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে লোকালয় নিঃসৃত জৈব অজৈব পদার্থ নদীগর্ভে দূষণ সৃষ্টি করে
  • নদীজলের অতিরিক্ত ব্যবহার: কৃষিতে সেচের জলের জোগান দিতে দিতে নদী ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে
  • শিল্পজাত নদী দূষণ: শিল্পাঞ্চলের গরম বর্জ্য জল নদীতে অবাধে মিশে গিয়ে নদীর জল ক্রমশ উষ্ণ ও বিষাক্ত করে দিচ্ছে

কৃষি ব্যবস্থার প্রসার, শিল্পায়ন, নগরায়ণ, ইত্যাদি নানাভাবে নদীকে প্রভাবিত করেছে।

আরো অন্যান বিষয়ের প্রশ্নোত্তর এর জন্য, এখানে ক্লিক করুন 

বাংলাদেশের বিখ্যাত নদী

উত্তর: বাংলাদেশের দীর্ঘতম নদী হচ্ছে সুরমা, ৩৯৯ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী হচ্ছে পদ্মা, ৩৬৬ কিলোমিটার।

নদীমাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য নদনদীর মধ্যে অনেকগুলো আকার এবং গুরুত্বে বিশাল। এসব নদীকে বড় নদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বৃহৎ নদী হিসেবে কয়েকটিকে উল্লেখ করা যায় এমন নদীসমূহ হচ্ছে: পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলি, শীতলক্ষ্যা, তিস্তা, গোমতী ইত্যাদি।

যশোর জেলার নদী

উত্তর: যশোর জেলার উল্লেখযোগ্য নদী সমূহ হল- কপোতাক্ষ, ভৈরব, চিত্রা, মুক্তেশ্বরী ও হরিহর নদী ইত্যাদি।

  • কপোতাক্ষ নদ: চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার মাথাভাঙ্গা নদীর শাখা দুইটি গড়াই ও কপোতাক্ষ। কপোতাক্ষ নদী কুষ্টিয়া জেলা থেকে ঝিনাইদহ জেলা হয়ে যশোরের চৌগাছা, ঝিকরগাছা, মনিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলার উপর দিয়ে খুলনার পাইকগাছা উপজেলা হয়ে শিবসা নদীতে পড়েছে।
  • চিত্রা নদীঃ চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উৎপত্তি। এটি ঝিনাইদহ জেলা হয়ে যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর ইউনিয়নের ছুটুয়াকান্ডি ভায়া খাজুরা নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন হয়ে নড়াইল জেলার মাইজপাড়া, গোবর সিংগাসলপুর পেরুলীর হয়ে নবগঙ্গার সাথে মিলিত হয়েছে।
  • ভৈরব নদী: সুন্দরবনের শিবসা নদীতে এ নদী মিলিত হয়েছে। শিবসা নদীর উজানে খুলনা-নওয়াপাড়া (অভয়নগর উপজেলা) ভায়া যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের আফ্রা এসে এটির একটি অংশ নড়াইল জেলায় এবং আরেকটি অংশ যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া, কচুয়া-নরেন্দ্রপুর, যশোর পৌরসভার মধ্য দিয়ে উপ-শহর, নওয়াপাড়া, চুড়ামনকাঠি ও হৈবৎপুর ইউনিয়ন দিয়ে ঝিনাইদহ জেলায় প্রবেশ করেছে।

পৃথিবীর দীর্ঘতম নদীর নাম কি, পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী কোনটি

উত্তর: দীর্ঘতম নদী বলতে বোঝায় ওই নদ বা নদীকে যা সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে। পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী হচ্ছে নীল নদ, যার দৈর্ঘ্য ৬৮৫৩ কিলোমিটার। এটি আফ্রিকার ১১টি দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত।

আমাজন নদী

উত্তর: দৈর্ঘ্যের বিচারে পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী আমাজন। এই নদীটির উৎস পেরুর আন্দিজ পর্বতের নেভাদো মিসমি নামক চূড়া থেকে। আমাজনের দৈর্ঘ ৬ হাজার ৪৩৬ কিলোমিটার। চলার পথে এই নদীটি তিনটি দেশের বুক চিরে মিশে গেছে আটলান্টিকের বুকে। দৈর্ঘের দিক থেকে দ্বিতীয় হলেও পানি এই নদী যে পরিমাণ পানি ধারণ করে তা পৃথিবীর অন্য কোন নদীর সেই সক্ষমতা নেই। আমাজন নদী সেকেন্ডে প্রায় ২ লাখ ৯ হাজার ঘনমিটার পানি বহন করে সাগরে নিয়ে যায়। পৃথিবীর সব নদীগুলোর সমুদ্রে বহন করে নিয়ে যাওয়া পানির প্রায় বিশ ভাগই সাগরে পতিত হয় এই নদীর মাধ্যমে। ব্রাজিল, কলম্বিয়া ও পেরুর বুক চিরে বয়ে চলা এই নদীটিকে কেন্দ্র করে প্রাণ-বৈচিত্রে ভরপুর দক্ষিন আমেরিকার সুবিশাল অঞ্চল।

ভারতের নদ নদীর নাম

উত্তর: হিমালয় থেকে নির্গত প্রধান নদীগুলি হল সিন্ধু, গঙ্গা, এবং ব্রহ্মপুত্র। নদীগুলি দীর্ঘ, এবং অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় উপনদীসমূহ এসে তাতে মিলেছে। হিমালয় থেকে নির্গত নদীগুলি তাদের উৎস থেকে সাগর অবধি(ভারত আরব সাগর এবং বঙ্গোপসাগরে) পৌছানর জন্য দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে।

ভারতের নদীসমূহ

উত্তর: গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীর অববাহিকা।

সাতটি প্রধান নদী তাদের অসংখ্য উপনদীগুলিসহ ভারতের নদী বিন্যাস গঠন করেছে। নদীগুলির বৃহত্তম অববাহিকা ব্যবস্থায় সমস্ত জল বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে;যদিও কিছু নদীর গতিপ্রবাহ দেশের পশ্চিম অংশের ভিতর দিয়ে বয়ে গিয়ে হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের পূর্ব দিক হয়ে আরব সাগরে গিয়ে মিশেছে।লাদাখের অংশবিশেষ,আরাবল্লী পর্বতশ্রেণীর উত্তরাঞ্চল,থর মরুভূমি বিন্যাসের অনুর্বর অংশের অভ্যন্তরীণ নিষ্কাশন আছে।

ভারতের সব বড় বড় নদীগুলি তিনটি প্রধান জলবিভাজিকা থেকে উদ্ভূত :

  • হিমালয় এবং কারাকোরাম শ্রেণী
  • বিন্ধ্য পর্বত এবং সাতপুরা শ্রেণী ও মধ্য ভারতে ছোটনাগপুর মালভূমি।
  • পশ্চিম ভারতে সৈয়াদ্রী বা পশ্চিমঘাট পর্বতমালা।

ভারতীয় উপমহাদেশে হিমালয়ের হিমবাহসমূহ বিস্তৃতভাবে তিনটি নদী অববাহিকায় বিভক্ত করা হয় ,সিন্ধু, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র।

সিন্ধু অববাহিকার বৃহত্তম সংখ্যক (৩৫০০) হিমবাহ আছে,অথচ গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় যথাক্রমে ১০০০টি ও ৬৬০টি হিমবাহ আছে |

পশ্চিমবঙ্গের নদী, বাংলার নদী

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ নদী উত্তরের হিমালয় থেকে বা পশ্চিমে ছোট নাগপুর মালভূমি থেকে উত্পন্ন এবং রাজ্যটির দক্ষিণে বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত। পশ্চিমের সমভূমিতে নদীগুলির কারণে, বছরের অন্য যে কোনও সময় জল খুব দুর্লভ বা খালি থাকে, বিশেষত ফাল্গুন-চৈত্রের পতনে, বর্ষা বাদে।

ভাগীরথী নদী

উত্তর: ভাগীরথী নদী ভারতের, উত্তরাখণ্ড রাজ্যে প্রবাহিত একটি নদী। এটি গঙ্গার প্রধান দুটি প্রবাহের একটি এবং হিন্দুদের একটি পবিত্র নদী। হিন্দু পুরাণ ও সংস্কৃতিতে এটিকে গঙ্গার উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বাংলাদেশের নদী

নদীর নামদৈর্ঘ্য (কিমি)প্রবাহিত এলাকা (বৃহত্তর জেলা) এবং দৈর্ঘ্য (কিমি)
আড়িয়াল খাঁ১৬০ফরিদপুর (১০২), বরিশাল (৫৮)
বংশী২৩৮ময়মনসিংহ (১৯৮) ঢাকা (৪০)
বেতনা-খোলপটুয়া১৯১যশোর (১০৩) খুলনা (৮৮)
ভদ্রা১৯৩যশোর (৫৮) খুলনা (১৩৫)
ভৈরব২৫০যশোর, খুলনা
ভোগাল-কংস২২৫ময়মনসিংহ (২২৫)
ব্রহ্মপুত্র-যমুনা (যমুনা ২০৭)২৭৬রংপুর (১৪০) পাবনা (১৩৬)
বুড়িগঙ্গা২৭ঢাকা (২৭)
চিত্রা১৭০কুষ্টিয়া (১৯) যশোর (১৫১)
ডাকাতিয়া২০৭কুমিল্লা (১৮০) নোয়াখালী (২৭)
ধলেশ্বরী১৬০ময়মনসিংহ, ঢাকা
ধনু-বৌলাই-ঘোড়াউত্রা২৩৫ময়মনসিংহ (১২৬), সিলেট (১০৯)
দোনাই-চরলকাটা-যমুনেশ্বরী-করতোয়া৪৫০রংপুর (১৯৩), বগুড়া (১৫৭), পাবনা (১০০)
গঙ্গা-পদ্মা (গঙ্গা ২৫৮, পদ্মা ১২০)৩৭৪রাজশাহী (১৪৫), পাবনা (৯৮), ঢাকা এবং ফরিদপুর (১৩৫)
গড়াই-মধুমতি-বলেশ্বর৩৭১কুষ্টিয়া (৩৭), ফরিদপুর (৭১), যশোর (৯২), খুলনা (১০৪), বরিশাল (৬৭)
ঘাঘট২৩৬রংপুর (২৩৬)
করতোয়া-আত্রাই-গুর-গুমানি-হুরাসাগর৫৯৭দিনাজপুর (২৫৯), রাজশাহী (২৫৮), পাবনা (৮০)
কর্ণফুলি১৮০পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম
কপোতাক্ষ২৬০যশোর (৮০) খুলনা (১৮০)
কুমার১৬২যশোর, ফরিদপুর
কুশিয়ারা২২৮সিলেট (২২৮)
ছোট ফেনী-ডাকাতিয়া১৯৫নোয়াখালী (৯৫), কুমিল্লা (১০০)
লোয়ার মেঘনা১৬০চাঁদপুর থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত
মাতামুহুরী২৮৭পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম
মাথাভাঙ্গা১৫৬রাজশাহী (১৬), কুষ্টিয়া (১৪০)
নবগঙ্গা২৩০কুষ্টিয়া (২৬), যশোর (২০৪)
পুরাতন ব্রহ্মপুত্র২৭৬ময়মনসিংহ (২৭৬)
পুনর্ভবা১৬০দিনাজপুর (৮০), রাজশাহী (৮০)
রূপসা-পসুর১৪১খুলনা (১৪১)
সাঙ্গু১৭৩পার্বত্য চট্টগ্রাম (৯৩), চট্টগ্রাম (৮০)
সুরমা-মেঘনা৬৭০সিলেট (২৯০), কুমিল্লা (২৩৫), বরিশাল (১৪৫)
তিস্তা  ১১৫রংপুর (১১৫)
বাংলাদেশের নদী

প্রাচীন বাংলার যে অঞ্চল ও নদী গুলির নাম তালিকা

উত্তর: প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি হলো-বরেন্দ্র, বঙ্গ, বাঙ্গাল, সূক্ষ, গৌড়, সমতল, হরিকেল।

আর প্রধান নদীগুলি হলো-ভাগীরথী, পদ্মা, মেঘনা।

আগেকার দিনে মানুষ নদীর কাছাকাছি জায়গায় থাকত কেন

উত্তর: আগেকারদিনে মানুষ নদীর সন্নিকটে বাস করে কারণ নদী তাদের পান করতে এবং স্নানের জন্য মিঠা জল সরবরাহ করে এবং তারা জল থেকে মাছ পেয়ে থাকে। এগুলি পরিবহন ও ফসল ফলানোর জন্য নদী ব্যবহার করে।

প্রধান কারণ-

  • নদী বা জলাভূমি থেকে তারা সহজেই জল পেত।
  • নদী বা জলাভূমি থেকে তারা সহজেই মাছ পেত ।
  • জল পথেই তারা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেত।
  • প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রীও আসতাে এই জল পথেই।

তাই থাকার জন্য আগেকারদিনে মানুষ কাছাকাছি জায়গাই বেছে নিত

নদীর ধারে জনবসতি সৃষ্টি হলে কি কি সুবিধা হতে পারে, নদীর ধারে জনবসতি সৃষ্টির সুবিধা

উত্তর: পৃথিবীর প্রধান প্রধান জনপদ/শহর নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল। প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা নীল নদের তীরে এছাড়াও মেসোপটেমীয় সভ্যতা ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস নদী অববাহিকায় গড়ে উঠেছিল। নদীর তীরে জনবসতি গড়ে উঠলে আদিবাসীদের জীবন ও জীবিকা সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা সৃষ্টি হতে পারে:

  • নদীর জল সুপেয় মিঠা পানির অন্যতম উৎস। তাই উপকূলের আদিবাসীরা অতি সহজেই পানীয় জলের চাহিদা মেটাতে পারবে।
  • মিঠা পানির মাছ সহজেই আমিষ হিসেবে গ্রহণ করা যাবে ‌। মৎস্য কেন্দ্রিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হতে পারে। যা বেকারত্ব কমাতে সাহায্য করবে।
  • নদীর পানিতে ভেসে আসা পলি সিলিকা কর্টজ সমৃদ্ধ হওয়ায় নদীর উপকূলীয় এলাকায় কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হবে। কৃষিক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের বিভিন্ন ক্ষেত্র সৃষ্টি হবে।
  • যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন সহজলভ্য ও সুলভ হবে। কারণ হলো স্থল পথে পরিবহন এর তুলনায় জলপথে পরিবহন অনেকটা সহজলভ্য।
  • উপকূলের আদিবাসীদের সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হবে।

বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে, বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে চিঠি

উত্তর:

তারিখ: XX-XX-XX

সম্পাদক

পত্রিকা নাম: XX

পত্রিকা ঠিকানা XX

বিষয়: নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আবেদন

মহাশয়,

বাংলা একটি নদীপ্রধান এলাকা। নদী যেমন আমাদের জল, পলি দিয়ে সমৃদ্ধ করে ঠিক তেমনি প্রচণ্ড বন্যায় নদীর নিকটবর্তী এলাকাগুলি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়। প্রতি বছর মালদা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও হুগলির খানাকুল বন্যার প্রকোপে জলমগ্ন হয়। কিন্তু তাই নয় বন্যার প্রকোপে গ্রামের বহু কৃষিজমি নদীর গ্রাসে হারিয়ে যাচ্ছে, গৃহহীন ও সম্পদহীন হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার কৃষক।

এই প্রতিকূল পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। নদীর তীরবর্তী এলাকায় যেখানে পাড় সহজেই ভেঙ্গে যাওয়ার আশঙ্কা আছে সেখানে বাধ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারী ও এলাকার মানুষের উদ্যোগে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে এবং ক্ষয়প্রবণ অঞ্ছল থেকে বসতি সরিয়ে আনতে হবে।

নদীর পাড়গুলির স্থায়ী রক্ষণাবেক্ষণ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় জনগুরুত্বপূর্ণ পত্রটি প্রকাশ করলে বিশেষভাবে বাধিত হব।

বিনীত-

তোমার নাম: XXX

তোমার স্থান: XXX

আরো বিশদে পড়ার জন্য

এসএসসি ভুগোল গেটওয়ে [এসএসসি জিওগ্রাফি গেটওয়ে]

পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (WB-SSC), মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন (WBMSC), ত্রিপুরা সার্ভিস কমিশন (T-SSC), WBCS(Main & Prelim), PSC, CGL-SSC, RRB এবং UGC-NET, UGC-SET প্রভৃিত Competitive Exam Preparation -এর জন্যই “ভূগােল Gateway” -রচিত

FAQ | নদী বিষয়ের উপর

প্রাচীন বাংলার যে অঞ্চল ও নদী গুলির নাম তালিকা

উত্তর: প্রাচীন বাংলার প্রধান অঞ্চলগুলি হলো-বরেন্দ্র, বঙ্গ, বাঙ্গাল, সূক্ষ, গৌড়, সমতল, হরিকেল।

দুটি নদী অববাহিকার মধ্যবর্তী উচ্চভূমি কে বলে

উত্তর: দুটি নদীর মধ্যবর্তী উচ্চভূমি কে জলবিভাজিকা বলা হয়।


আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।