বাংলাদেশের আয়তন কত, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা কর, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

বাংলাদেশের আয়তন কত

বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ্য ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। এটি বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী প্রকাশিত।

মতান্তরে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ১ লক্ষ্ ৪৮ হাজার ৪৬০ বর্গকিলোমিটার। এটি সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক ২০২১ এর তথ্য অনুযায়ী এটি প্রকাশিত।

এছাড়া শুধুমাত্র দেশের ভূখণ্ড সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল যা কিলোমিটারের হিসাবে ২২ দশমিক ২২ কিলোমিটার। এবং অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা উপকুল থেকে ২০০ নটিক্যাল পর্যন্ত বিস্তৃত। যা কিলোমিটারের হিসাবে ৩৭০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার।

ল্যান্ডমাসের বিচারে, বাংলাদেশের অবস্থান ৯২ তম এবং ১৪৮,৪60 বর্গকিলোমিটার ( ৫৭,৩২০ বর্গ মাইল) বিস্তৃত, এটি বিশ্বের সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত দেশ হিসাবে গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের পশ্চিমে, উত্তর ও পূর্বে, দক্ষিণ-পূর্বে মায়ানমার এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। এটি শিলিগুড়ি করিডোর দ্বারা নেপাল এবং ভুটান এবং উত্তর থেকে সিকিমের দ্বারা যথাক্রমে চীন থেকে পৃথক হয়ে গেছে। ঢাকা, রাজধানী ও বৃহত্তম শহর, জাতির অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল। বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।

উইকিপিডিয়া এর তথ্য মতে দেশের মোট আয়তন

বাংলাদেশের আয়তন কত উইকিপিডিয়া এটি দ্বারা মানুষ বুঝাতে চায় যে উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে বাংলাদেশের আয়তন কত। অফিসিয়ালি ভাবে বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ্ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার।

মতান্তরে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ১ লক্ষ্ ৪৮ হাজার ৪৬০ বর্গকিলোমিটার। এটি সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্ট বুক ২০২১ এর তথ্য অনুযায়ী এটি প্রকাশিত।

আগে ছিলও ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গকিলোমিটার। এখন ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৬০ বর্গকিলোমিটার।

অর্থাৎ বাংলাদেশের আয়তন কত বেড়েছে এখান থেকেই জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের আয়তন বাড়ছে ৮৯০ বর্গকিলোমিটার।

অর্থাৎ বর্তমানে বাংলাদেশের আয়তন ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৪৬০ বর্গ কিলোমিটার।

বর্তমানে বাংলাদেশের আয়তন কত

বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিমি ছিল। ছিটমহল বিনিময়ের ফলে বাংলাদেশের আয়তন হয় ১,৪৭,৬১০ বর্গকিমি। তবে সরকারি হিসেবে এখনও ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিমিই গণনা করা হচ্ছে ।

বাংলাদেশের মূল আয়তন 1 লক্ষ 47 হাজার 610 বর্গ কিলোমিটার কিন্তু পদ্মা ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ এর যে নতুন নতুন দ্বীপ জেগে উঠেছে তাদের আয়তন আরো প্রায় 1600 বর্গ কিলোমিটার তো সব মিলিয়ে বাংলাদেশের আয়তন দাঁড়ায় প্রায় 1 লক্ষ 49 হাজার 210  বর্গ কিলোমিটার।

কয়েক বছর আগে ভারত এবং মায়ানমার থেকে পাওয়া প্রায় 28 হাজার 4 শত 67 বর্গ কিলোমিটার ও 70 হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা লাভ করেছে বাংলাদেশ। সেই সুবাদে এই সমুদ্রসীমার আয়তন যদি বাংলাদেশের মোট আয়তন এর সাথে যোগ করা হয় তাহলে সবমিলিয়ে বাংলাদেশের মোট আয়তন হতে পারে প্রায় ২,৪৭,৬৭৭ বর্গ কিলোমিটার।

আরো পড়ুনবাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা

বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বর্ণনা কর

বাংলাদেশ নামে কোন দেশের নাম পৃথিবীর মানচিত্রে এক শতাদ্বী আগে ও ছিল না।মাত্র পঞ্চাশ বছর আগে এক মহান রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর মানচিত্রে দক্ষিণ এশিউয়ার এই স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশটির উদ্ভব হয়।এর দক্ষিণে রয়েছে বঙ্গোপ্সাগর, এর উত্তর পশ্চিমের বিরাট সীমানা জুড়ে রয়েছে ভারতের মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গ, এবং পুর্বে ভারতের মিজোরাম ও মায়ানমার।

অর্থাৎ বাংলাদেশের তিন দিক ভারত ও মায়ানমারের সীমানা দ্বারা বেষ্টিত এবং এক দিক বঙ্গোপ্সাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ।

বাংলাদেশের ভৌগােলিক অবস্থান

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত একটি দেশ। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ব-দ্বীপ। এর অবস্থান ২০°৩৪” উত্তর হতে ২৬°৩৮” উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১” পূর্ব ৯২°৪১” পূর্ব দাঘ্রিমাংশে। ভৌগলিক অবস্থান থেকে বাংলাদেশ শুরু থেকেই বসবাসের উপযোগী এর কারণে যুগে যুগে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর এখানে এসে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছে।

ভৌগোলিক অবস্থান

২৬° ৩৮’ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২০° ৩৪’ উত্তর অক্ষাংশ এবং

৮৮° ০১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯২° ৪১’ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ

আয়তন : ১৪৭,৫৭০ বর্গকিমি (ভূমি : ১৩৩,৯১০ বর্গকিমি, জলজ : ১০,০৯০ বর্গকিমি)

বাংলাদেশের সীমানা

  • উত্তরে ভারত (পশ্চিমবঙ্গ আর মেঘালয়)
  • পশ্চিমে ভারত (পশ্চিম বঙ্গ )
  • পূর্বে ভারত (ত্রিপুরা ও আসাম) এবং মিয়ানমার
  • দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর
  • সীমানা দৈর্ঘ্য : ৪,২৪৬ কিমি. (মায়ানমার : ১৯৩ কিমি., ভারত : ৪,০৫৩ কিমি.)
  • সমুদ্র সীমানা : ৫৮০ কিমি.
  • মহীসোপান : মহাদ্বীপীয় মার্জিন বাইরের সীমা অবধি
  • বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা : ২০০ নটিক্যাল মাইল
  • সমুদ্র এলাকা : ১২ নটিক্যাল মাইল

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ

বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ এই কারণে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই অঞ্চলে মানুষদেরকে আসতে দেখা গেছে এবং বসতি স্থাপন করতে দেখা গেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে যেহেতু বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ এবং এ অঞ্চলের নদীর পরিমাণ অনেক বেশি সেহেতু পলিমাটি বিভিন্ন উর্বর স্থানের সৃষ্টি করেছে যাতে করে ফসল উৎপাদন এবং মৎস্য আহরণ সহ আরো অনেক সাহায্য মানুষজন পেয়ে থাকবেন। এ কারণে এই অংশটিতে বিভিন্ন সময় মানুষকে বসতি স্থাপন করতে দেখা গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ মূলত সেই অঞ্চল জুড়ে রয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর প্রবাহ

মৌসুমী বায়ুর সঠিক প্রবাহ বাংলাদেশের উপর দিয়ে যেতে দেখা যায়। এতে করে সঠিক সময়ে আমরা বৃষ্টিপাত হতে দেখি আর এই কারণে এদেশে খরা ও অতিবৃষ্টি অন্যান্য জায়গার তুলনায় কম দেখা যায় এর মূল কারণ হচ্ছে সঠিকভাবে মৌসুমি বায়ু আমাদের এই ভূ-প্রকৃতির উপর দিয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল দেখা যায় এবং এই সকল পাহাড়ি অঞ্চল গুলো মূলত আবহাওয়া এবং মৌসুমের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনেক ভূমিকা পালন করে থাকে। এরা যেমন বিভিন্ন ফসল উৎপন্ন করায় ভূমিকা রাখে ঠিক তেমনিভাবে পর্যটন ও অন্যান্য কাজ করার ক্ষেত্রে ও গবেষণার ক্ষেত্রে পাহাড়ি অঞ্চলের দরকার হয়।

বাংলাদেশ ও সমুদ্র

বাংলাদেশের দক্ষিণে অবস্থান করছে বঙ্গোপসাগর। এদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সমুদ্রের মাধ্যমে যাতায়াত ব্যবস্থাকে সচল করেছে বঙ্গোপসাগর এবং এর মাধ্যমে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার পণ্য আমদানি রপ্তানি করা হয়ে থাকে। সমুদ্রের তীরবর্তী হওয়ার সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে এতেকরে অনেক অর্থের মাধ্যমে অধিক পরিমাণে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা যায়। এতে করে একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতির ক্ষেত্রে সমুদ্রের ভূমিকা অনেক বেশি হয়ে থাকে।

প্রাকৃতিক সীমানার দিক থেকেও বাংলাদেশ অনেকটা সাহায্য পেয়ে থাকে। এর কারণ হচ্ছে এদেশ পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা ও গহীন অরণ্য দ্বারা বেষ্টিত এর কারণে বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক ঝড়-বাদল থেকে এছাড়া দমকা হওয়া থেকে মানুষের বসবাস করা স্থানগুলো রক্ষা পেয়ে থাকে। এছাড়া একইভাবে সুন্দরবন অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ বনভূমি মূলত সামুদ্রিক বিভিন্ন ঝড় থেকে দেশকে রক্ষা করছে। পুরো বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশ প্রাকৃতিক ভাবে বেষ্টনী দ্বারা আবদ্ধ।

উপরোক্ত এই সকল কারণে বাংলাদেশকে নাতিশীতোষ্ণ দেশ এবং এই দেশে বসবাসরত মানুষজন প্রকৃতি দ্বারা তেমন বাজেভাবে প্রভাবিত হয় না। বিভিন্ন সময় এদেশের মানুষ প্রকৃতিকে ব্যবহার করে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেন। এই সুন্দর ভূ-প্রকৃতির কারণে মূলত বিভিন্ন সময় মানুষ এই অঞ্চলকে বেছে নিয়েছেন নিজেদের সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কত ২০২২

বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬। পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। গত এক দশকে দেশে জনসংখ্যা বেড়েছে দুই কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯১৯ জন।

ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যায় দেখা গেছে, মুসলমান ৯১ শতাংশ। সনাতন ধর্মাবলম্বী ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ২০১১ সালের জনশুমারিতে হিন্দু ছিল ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বুদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিল শূন্য দশমিক ৬১ শতাংশ। আগের শুমারিতে ছিল শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো দ্বারা সর্বশেষতম দশকের জনশুমারিটি পরিচালিত হয়েছিলো ২০২২ সালে।

গত ১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেতে দেখা গেছে।

জনগণনার তারিখজনগণনায় প্রাপ্ত জনসংখ্যা
(মিলিয়ন)
সমন্বিত জনসংখ্যা
(মিলিয়ন)
১৮০১১৪.৫
১৮৫১২০.৩
১৯০১২৮.৯২৮
১৯১১৩১.৫৫৫
১৯২১৩৩.২৫৫
১৯৩১৩৫.৬০২
১৯৪১৪১.৯৯৭
১৯৫১৪১.৯৩২
১৯৬১৫০.৮৪০
১৯৭৪৭১.৪৭৯৭৬.৩৯৮
১৯৮১৮৭.১২০৮৯.৯১২
১৯৯১১০৬.৩১৩১১১.৪৫৫
২০০১১২৪.৩৫৫১৩০.৫২৩
১৫ মার্চ ২০১১১৪২.৩১৯১৫২.৫১৮
বাংলাদেশের জনসংখ্যা
আরো অন্যান্য অতি জনপ্রিয় প্রশ্নোত্তর সম্পর্কে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন 

FAQ | বাংলাদেশের আয়তন

Q1. বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গমাইল

Ans – বাংলাদেশের আয়তন ৫৭,৩২০ বর্গ মাইল।

Q2. বাংলাদেশের আয়তন কত বর্গ কিলোমিটার

Ans – বাংলাদেশের আয়তন ১,৪৮,৪৬০ বর্গকিলোমিটার।

Q3. ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের আয়তন কত ছিল

Ans – ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের আয়তন ছিল ১৮,২৯০ বর্গ কিলোমিটার।

আপনি কি চাকরি খুজঁছেন, নিয়মিত সরকারিবেসরকারি চাকরির সংবাদ পেতে ক্লিক করুন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে মানব সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাড়ার জন্য, ক্লিক করুন। এছাড়াও, স্বাস্থ, টেকনোলজি, বিসনেস নিউস, অর্থনীতি ও আরো অন্যান্য খবর জানার জন্য, ক্লিক করুন

আপনার বন্ধুদের সাথে এই পোস্ট শেয়ার করতে

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।